আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৮৪

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৮৪

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
টাওয়ার অফ গ্রিড,

৭২ তম ফ্লোরের মধ্যে জ্যাক, গ্রিড, ডোয়ার্ক মল্ট এবং লোকির অ্যাভেটারের সাথে ফাইট হচ্ছিলো। ফাইটটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে টাওয়ারের একটা ফ্লোর ভেঙে নিচের ফ্লোরে পরে যায়। ডিম্যান টাওয়ারের এক একটা ফ্লোর এক একটা ওয়ার্ল্ডের মতো ছিলো। যা অদৃশ্য পিলারের সাহায্যে একটার উপরে একটা সাজানো ছিলো। যদিও একটা ওয়ার্ল্ডের কপি করে মোট একশত ফ্লোর তৈরী করা হয়েছিলো। তারপরও বলা যায় এই টাওয়ারে মোট একশত ওয়ার্ল্ড ছিলো ভিন্ন ভিন্ন। আর সেই একটা ওয়ার্ল্ড ভেঙে নিচের আরেকটা ওয়ার্ল্ডে পরেছে। ৭২ ফ্লোরে যা কিছু ছিলো, তার সকল কিছুই ৭১ তম ফ্লোরে পরতে শুরু করলো। গাছপালা থেকে শুরু করে বিশাল পাহাড় পর্বত পর্যন্তই ৭১ তম ফ্লোরে জমা হচ্ছিলো উপর থেকে। এতো ভারী ভারী জিনিস একটা ফ্লোরে পরার কারণে ৭১ তম ফ্লোর আর সে ওজন সহ্য করতে পারছিলো না। তাই সেটাও ভেঙে গেলো। দুটো ফ্লোরের সমস্ত কিছু এবার ৭০ তম ফ্লোরে পরতে শুরু করলো। 

ডিম্যান টাওয়ারের মধ্যে প্রতি দশ ফ্লোরে অনেক শক্তিশালী ম্যাজিক ব্যবহার করার কারণে সে ফ্লোর পুরো টাওয়ারের ওজন বহন করতে সক্ষম হয়। তাই তো দুটো ফ্লোর ভেঙে ৭০ তম ফ্লোরে পরার পরও সে ফ্লোরে কিছুই হলো না। পানি, বরফ, পাহাড়, পর্বত সব কিছুই ৭০ তম ফ্লোরে পরেছে। যদিও সে ফ্লোরটা ভাঙলো না তারপরও মাটি অনেক গর্ত হয়ে গিয়েছে এবং সব কিছু এক ফ্লোরে পরার কারণে ৭০ তম ফ্লোরের উচ্চতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে জায়গাটা বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য এবং ভয়ানক মনস্টার দিয়ে তৈরী হলেও এবার সেটা একটা ওয়েস্টল্যান্ড ছাড়া কিছুই ছিলো না। পুরো ফ্লোর ভেঙে যাওয়ার পূর্বে জ্যাক তার ফ্লায়িং নিম্বাস এর উপরে উঠে যাওয়ার ফলে তার তেমন মারাত্মক ক্ষত হয় নি। শুধু গ্রাভিটি ফোর্স তাকে নিচে টেনে ফেলে দিয়েছিলো যার কারণে হালকা ক্ষত হয়েছে তার শরীরে। অন্যদিকে গ্রিড তার স্পেস টেলিপোর্ট স্কিল ব্যবহার করে কোনো ক্ষত ছাড়াই সে জায়গা থেকে চলে যায়।

জ্যাক ধুলো মাটির উপরে পরে ছিলো। সে ফ্লায়িং নিম্বাসের উপরে বসে থাকলেও সেটা গ্রাভিটি ফোর্সের কারণে জ্যাককে একদম ৭০ তম ফ্লোরে বারি মারে। সব বস্তু পরে যাওয়ার পর যেহেতু জ্যাক পরে তাই তেমন সিরিয়াস ইনজুরি ছিলো না। নতুন একটা শরীর পাবার পর থেকে জ্যাক তেমন ইনজুরি প্রাপ্ত হয় নি। 

-> ইউয়ি কোথায় গেলো? (জ্যাক)

জ্যাক তার ইউয়িকে খুঁজে পাচ্ছিলো না। ফ্লোর ভাঙার পর হয়তো সেটা সব কিছুর মধ্যে চাপা পরেছে এটাই মনে করছে জ্যাক। তাই প্রথমে ইউয়িকে না খুঁজে জ্যাক তার মাস্টারকে খুঁজতে লাগলো।

"এই পাওয়ারটা মোটেও একটা মানুষের হতে পারে না। মাস্টারের কাছে এতোটা পাওয়ার রয়েছে সেটা আমি কল্পনাও করি নি। মাস্টার যে মুভটা ব্যবহার করলো সেটা দিয়ে একটা কন্সটেলেশনকেও হত্যা করা যাবে। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?" (জ্যাক ভাবছে)

জ্যাক বুঝতে পারছিলো না এক্সব্লকের বাইরে কেউ এতোটা পাওয়ার কিভাবে ব্যবহার করতে পারে? যদিও বিভিন্ন স্পিসিজ রয়েছে যারা একটা প্লানেটকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কিন্তু এখানে কথা হচ্ছিলো ডিম্যান টাওয়ারকে নিয়ে। জ্যাক ডিম্যান টাওয়ারের সম্পর্কে বেশী কিছু না জানলেও এটুকু জানে যে কয়েকজন উচ্চতর কন্সটেলেশন এর পাওয়ার ব্যতীত একটা ডিম্যান টাওয়ারের একটা ফ্লোর ভাঙা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। যার মূল কারণ হলো এই টাওয়ারের ডিজাইন মুন কন্সটেলেশন নিজেই করেছে। আর মুন কন্সটেলেশন যে আইটেম বা জিনিস ডিজাইন করে সেটা সব সময়ই সেরা হয়।

-> সেটা পরে দেখা যাবে, প্রথমে মাস্টারকে খুঁজতে হবে। (জ্যাক)

ডোয়ার্ক মল্ট তার মার্শাল আর্ট মুভ ব্যবহারের পরে নিজের শরীরকে ভিতর বাইরে সব দিক থেকে ড্যামেজ করেছে। এখন তার শরীরের কোনো অংশ নারানোরই শক্তি ছিলো না। তাই বলে তার ডোমেইন এখানেই শেষ হয় নি। চারপাশ থেকে হাজারো রঙিন প্রজাপ্রতি এসে মল্টের শরীরের নিচের অংশে এসে জমা হয়েছে এবং মল্টকে ভাসমান অবস্থায় রেখেছে। প্রজাপ্রতি গুলো মল্টকে আস্তে আস্তে ৭২ ফ্লোরের জায়গা থেকে ৭০ ফ্লোরের মধ্যে নিয়ে এসেছে। গ্রাভিটি ফোর্স তাকে টানলেও নিজের ডোমেইন একটিভ থাকার ফলে মল্টের তেমন কিছু হয় নি। জ্যাক আকাশের দিকে তাকালো। ডোয়ার্ক মল্ট প্রজাপতির সাহায্য নিয়ে নিচে নামছিলো আস্তে আস্তে। জ্যাক সেদিকে তাকিয়েই ছিলো। আস্তে আস্তে প্রজাপ্রতি গুলো ধুলো মাটির একটা স্তূপের উপরে মল্টকে শুইয়ে দিলো। মল্ট যে জায়গায় পরে রইলো সেখানের ধুলো মাটি থেকে ছোট ছোট ঘাসের মতো গাছ বের হলো যা থেকে শত শত রঙিন ফুল ফুটতে শুরু করলো।

জ্যাক দ্রুত লাফ দিলো তার জায়গা থেকে। সে এক লাফে বিশ মিটারের মতো জায়গা অতিক্রম করলো এবং তার মাস্টারের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। জ্যাক তার মাস্টারের কাছে দাঁড়ানোর সাথে সাথে তার মাস্টার কথা বলতে শুরু করলো।

-> জ্যাক আমার হাতে সময় নেই। পয়জন আমার শরীরকে অনেকটা দুর্বল করে দিয়েছে। আমি আমার জ্ঞান হারালে এই সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমার সাথে ফাইট করো এবং আমাকে এই অসমাপ্ত লুপ থেকে মুক্ত করো। (মল্ট)

মল্টের চোখ দিয়ে পানি পরছিলো। যেটা জ্যাক এই পর্যন্ত আশা করে নি দেখবে। তার মাস্টারের গভীরে এমন কিছু একটা আছে যেটা সম্পর্কে জ্যাক জানে না। তবে জ্যাকের এখন আর সেটা জানতে হবে না। কারণ সে বুঝতে পারছিলো তার মাস্টার কি বিষয়ে তাকে ইঙ্গিত করছিলো।

-> মাস্টার আপনার চিন্তা করতে হবে না। এটা সামান্য একটা পয়জন মাত্র। আমি তো এক সময়ে ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে মারাত্মক পয়জন খেয়েছিলাম। (জ্যাক)

জ্যাক তার মাস্টারের সাথে ফাইট করতে চাচ্ছিলো না। বিশেষ করে তার মাস্টার যেহেতু উক্ত অবস্থায় পরে ছিলো যেখানে একটা অঙ্গও নারাতে পারছিলো না।

-> তুমি আমার স্টুডেন্ট বলে, আমি তোমার সাথে সহজে ফাইট করবো এরকম কোনো বিষয় না কিন্তু। আমার শেষ হোপ তুমিই। তাই সব কিছু ধ্বংস হওয়ার পূর্বে তুমি আমাকে হত্যা করো। কিংবা আমার হাতে তুমি সহ এই সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাও। (মল্ট)

মল্টের কথার পরেও যখন জ্যাক করছিলো না তখন আর মল্ট চুপ থাকতে পারলো না। যদিও সে তার শরীর নারাতে পারছিলো না, তারপরও তার ডোমেইন যেহেতু একটিভ ছিলো এখনো তাই তার কোনো চিন্তা ছিলো না।

(ডোমেইন স্কিলঃ বন্ডিং)

ডোয়ার্ক মল্টের শুয়ে থাকা জায়গায় ঘাসের মতো অনেক গাছ তৈরী হয়েছিলো যার কান্ড গুলো বড় এবং মোটা হয়ে লতার আকার নিলো। সে গুলো মল্টের সারাশরীরকে পেঁচিয়ে ধরলো। মল্ট নিচের শরীরকে না নাড়াতে পারলেও সে লতা গুলোকে কন্ট্রোলের সাহায্যে সে ঠিকই নিজের শরীরকে নারাতে পারছিলো।

-> এবার তোমার জন্য সহজ হবে না ফাইটটা জ্যাক। (মল্ট)

মল্ট খুব সহজেই নাড়াচাড়া করতে পারছিলো। যদি সেটা জ্যাকের চোখে সহজ মনে হচ্ছিলো। শুধু মাত্র মল্টই জানে তাকে কতটা ব্যথা অনুভব করতে হচ্ছিলো। ক্লিয়ার কোনো কিছু সে দেখতে পারছিলো না। বাম চোখ এতোক্ষণে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ডান চোখ দিয়ে আবছা দেখতে পাচ্ছে জ্যাককে। আর তা দিয়েই সে এগিয়ে আসলো জ্যাকের সাথে ফাইট করার জন্য।

"মাস্টারের এই প্রাইডের পিছনে হয়তো কোনো বিশাল কারণ রয়েছে। যা সে আমাকে কোনো ভাবেই বলতে চাচ্ছে না। তবে আমাকে সে বিষয়ে জানতে হবে না। আমার মাস্টার যেটা চাচ্ছে সেটা আমাকে করতেই হবে।" (জ্যাক ভাবছে)

মল্টের বাম হাত ছিলো না, ডান হাত পুরো প্যারালাইস হয়ে আছে। অন্য দিকে তার দুই পায়েও কোনো সেন্স ছিলো না। তবে নিজের ডোমেইনের সাহায্যে সে তার চারপাশে জীবিত বস্তু তৈরী করতে পারছিলো। অবশ্য এটাকে জীবিত বস্তু তৈরী করা বলে না। এক সময় না এক সময় সে যে মাটিতে দাড়িয়ে আছে বা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে গাছের জন্ম হবে। সে গাছে প্রজাপ্রতিদের বংশবিস্তার হবে। ডেয়ার্ক মল্ট শুধু তার চি এনার্জি দিয়ে সে সব কিছুর আগমণ দ্রুত করাচ্ছিলো। আর এজন্যই সে যেখানে পা দিচ্ছিলো সেখানেই ঘাস তৈরী হচ্ছিলো। যে ঘাস থেকে শত শত ফুল বেরিয়ে আসছিলো। আর সে ফুল গুলো থেকে হাজারো প্রজাপ্রতি। জ্যাক যতই সিরিয়াস হতে চাচ্ছিলো কিন্তু এই সুন্দর মনোমুগ্ধকর পরিবেশটা দেখে সে অবাক না হয়ে পারলো না। মল্ট তার পায়ে চি এনার্জি চ্যানেল করিয়ে ডান পা দিয়ে একটা কিক মারলো। প্রথম কিকে জ্যাক লাফ দিয়ে পিছনের দিকে চলে যাওয়ায় কিকটা লাগলো না। তবে তখনি মল্ট একটা ব্যাক ফ্লিপ দিলো। মাটি থেকে কিছু ঘাসের কান্ড বড় হলো এবং সেটা গুলির স্পিডে জ্যাকের দুটো পা ধরে মল্টের দিকে ছুঁড়ে মারে। মল্ট তার ফ্লিপ থেকে সোজা হওয়ার পূর্বে জ্যাকের পেট বরাবর একটা কিক দিলো।

 (নরমাল মুভঃ টুইন ড্রাগন কিক)

 যে কিকে জ্যাক পুরো রকেটের স্পিডে অনেক দূরে গিয়ে পরলো। প্রজেকশন দেখে মনে হচ্ছিলো দুটো ড্রাগন তাদের মুখে জ্যাককে নিয়ে দূরে ফেলে দিচ্ছে। জ্যাক পিছনে বারি খাওয়ার ইমপ্যাক্টকে কমানোর জন্য নিজের স্কিল ব্যবহার করলো।

(ফ্লায়িং নিম্বাস)

আকাশ থেকে দ্রুতগতিতে কতগুলো মেঘের টুকরো উড়ে আসলো। যা জ্যাকের পিঠের কাছে এসে থামলো। কিছুটা পিছনেই একটা ধুলো মাটির উঁচু একটা পাহাড়ের মতো জায়গা ছিলো। যার মধ্যে অনেক গাছ এমনকি পাথরও দেখা যাচ্ছিলো। জ্যাক দ্রুত গতিতে সেটার সাথে বারি গেলো। চারিদিকে ধুলো ছড়িয়ে গেলো। ধুলো আস্তে আস্তে সরে গেলে একটা বিশাল গর্ত দেখা গেলো যার মধ্যে জ্যাক ঢুকে গেছে। পিছনে নিম্বাস থাকার কারণে জ্যাকের শরীরে শুধু কয়েকটা হাড়ই ভাঙলো। সে কোনো রকমে উঠলো শরীরে ব্যথা থাকা সত্ত্বেও। 

"আমি যতই সিরিয়াস হতে চাচ্ছি ততই মনে হচ্ছে মাস্টারের সামনে আমি কিছুই না। এরকম হলে মাস্টারের আরো একটা কিংবা দুটো এট্যাকেই আমি আর ফাইট করতে পারবো না।" (জ্যাক ভাবছিলো)

জ্যাকের দুই হাত কাপছিলো। পিঠের এবং পেটের হাড় ভেঙে যাওয়ার ফলে সে শরীরকে ভালো মতো ব্যালেন্স রাখতে পারছিলো না। জ্যাক তার পা নারাতে চাচ্ছিলো কিন্তু সে পারছিলো না। কোনো এক কারণে সে তার পুরো শরীরকে নারাতে পারছিলো না। নিচের দিকে তাকালে সে দেখতে পেলো তার পুরো শরীর আবার লতায় আটকে ছিলো। এবার শুধু যে জ্যাক আটকা ছিলো এমন নয়। লতা গুলো জ্যাকের শরীর থেকে এক ধরনের এনার্জি এনজোর্ব করে নিচ্ছিলো। যেটা দেখা মাত্রই জ্যাক বুঝতে পারলো।

"আমার লাইফ এনার্জি!" (জ্যাক)

জ্যাক পুরো বন্ধী ছিলো। এমন অবস্থায় সে কোনো কিছু করতে পারছে না। অন্যদিকে ডোয়ার্ক মল্টের পুরো শরীর প্যারালাইস হওয়ার পরও সে দৌড়ে জ্যাকের দিকে আসতে ছিলো। শরীরে গাছের ভাইনস বা লতা পেঁচিয়ে থাকার জন্য মল্ট শুধু সেগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে পুরো শরীর কে কাজে লাগাতে পারছিলো। নিজের শরীর প্যারালাইস হওয়ার পরও মল্টের স্পিড একটুও কমলো না। জ্যাক বিপদ বুঝতে পেরে নিজের ডান হাত মুঠো করলো এবং আকাশের দিকে তাকালো।

(নিম্বাস)

তার নিম্বাস বলার সাথে সাথে আকাশে কালো মেঘ জমা হতে শুরু করলো। যা থেকে একটা ভয়ানক লাইটনিং নিক্ষেপ হলো জ্যাকের কাছেই। মল্ট জ্যাকের একদম কাছে চলে এসেছে যার উপরে জ্যাকের লাইটনিং পরতেই ছিলো। লাইটনিং টা মল্টের মাথার উপরে পরবে তার একটু পূর্বেই ডোয়ার্ক মল্ট একটা ব্যাক ফ্লিপ দিলো এবং ফ্লিপ দেওয়ার সময়ে তার ডান পায়ে এনার্জি চ্যানেল করিয়ে একটা কিক পারলো।

(কিলার মুভঃ সেভেন ড্রাগন কিক)

চোখে একটা মনে হলেও সেই ক্ষণিক সময়ের মধ্যে ডোয়ার্ক মল্ট সাতটা কিক দিয়েছিলো। এনার্জির প্রজেকশন হেসেবে সাতটা ড্রাগন দেখা গেলো যা একটা ভয়ানক লাইটনিং এর বিপক্ষে ফাইট করছিলো।

-> স্টোন মাংকির এর ট্রিক গুলো তখনো আমার উপরে কাজ করে নি, আর এখনো সেটা কাজ করবে না। (মল্ট)

মল্টের কিক থেকে যে এনার্জি তৈরী হয়েছিলো তা সাতটা ড্রাগনের চিত্র ধারণ করেছিলো। প্রতিটা ড্রাগন আকাশ থেকে নিক্ষেপ হওয়া লাইটনিং সহ কালো মেঘ গুলোকে দূর করে দিলো। যা দেখে জ্যাকের বিশ্বাস হচ্ছিলো না।

-> অসম্ভব, আমার সবথেকে শক্তিশালী স্কিল এক এট্যাকেই। (জ্যাক)

জ্যাক বুঝতে পারছিলো না তার মাস্টারের সাথে সে কিভাবে ফাইট করবে। তার পোসেইডন ইনকার্নেশন এর যত স্কিল এবং এবিলিটি রয়েছে তার কোনোটায় কাজ করে না তার মাস্টারের উপরে। শুধু মাত্র তার স্টোন মাংকি ইনকার্নেশন এর পাওয়ার দিয়ে সে এতোক্ষণ তার মাস্টারের সাথে ফাইট করতে পারছিলো। কিন্তু এখন যখন তার মাস্টার নিজস্ব পাওয়ার দেখিয়ে দিয়েছে তাই জ্যাক বুঝতে পারছে তাদের মধ্যে কতটা দূরত্ব রয়েছে।

"এই অনুভূতিটা ঠিক সেদিনের মতো। যেদিন আমি হ্যাভেনলি কিং এর সাথে ফাইট করেছিলাম।" (জ্যাক ভাবছে)

জ্যাকের সবটা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। সে এতোক্ষণ তার মাস্টারের সাথে ফাইট করতে না চাইলেও এখন বুঝতে পারছে সে কখনো তার মাস্টারের সাথে ফাইট করতে পারবে না। কারণ তাদের পাওয়ারের পার্থক্য রয়েছে অনেকটা। সে এতোটা অবাক হয়ে আছে যে একটু পূর্বে মল্ট কিছু একটা বলেছে সেটাও সে শুনতে পারে নি। তাই মল্টও এই বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বললো না। সে জ্যাকের সামনে আসলো। জ্যাক কোনো নাড়াচাড়া না দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো। ভাইনস গুলো তাকে নড়তেও দিচ্ছিলো না। মল্ট ঠিক জ্যাকের সামনে এসে দাঁড়ালো। ঠিক তখনি জ্যাকের মুখ থেকে একটা জিনিস বেরিয়ে আসতে চাচ্ছিলো। জ্যাক বুঝতে পারলো না সেটা কি ছিলো কিন্তু সে অনুভব করলো তার শরীর থেকে কোনো একটা কিছু সে হারিয়ে ফেলছিলো। জ্যাক তার কাছে থাকা ডার্ক পাওয়ার হারিয়ে ফেলছিলো যেটা কেনো হচ্ছিলো সেটা সে বুঝতে পারলো না। একটা স্লাইমের মতো কালো বস্তু জ্যাকের মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো যেটা দেখার পর জ্যাক এবং ডোয়ার্ক মল্ট দুজনেই অবাক হলো। সেটা জ্যাকের মুখ থেকে মাটিতে পরলো এবং লাফিয়ে একটা ছোট হিউম্যানয়েড রূপ ধারণ করলো। অবশ্য রূপটা মানুষের মতো হলেও তার কোনো চেহারা ছিলো না। একটা হুডি পরা ছিলো যার ভিতর থেকে শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছিলো। আর পুরো শরীরই কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিলো।

[ও হ্যালো পোসেইডন+স্টোন মাংকি, এবং হ্যালো ডোয়ার্ক মল্ট এ.কে.এ লুসিফার দ্যা ওয়ান। আসা করি আমার এন্ট্রিটা খারাপ সময়ে হয় নি। অবশ্য খারাপ সময়ে না। কারণ আরেকটু পরে আসলে হয়তো ডিম্যান কিং এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা স্পেসিমেন্ট নষ্ট হয়ে যেতো।]

ছোট বস্তুরটার মুখ থেকে জ্যাক যখন ডোয়ার্ক মল্টের আসল পরিচয় জানতে পারলো তখনি সে হা হয়ে গেলো। সে জীবনে এতোটা অবাক হয়নি যতটা না এখন এই কথাটা শুনে হলো।

"আমি লুসিফার, লুসিফার দ্যা ওয়ানের সাথে ফাইট করছিলাম এতোক্ষণ?" (জ্যাক)

জ্যাক পোসেইডন থাকা সময়ে শুধু মাত্র একটা ডিম্যান প্রিন্সের সাথে ফাইট করেছিলো। কিন্তু স্টোন মাংকি অবস্থায় সে সব গুলো ডিম্যান প্রিন্সের সাথেই ফাইট করেছে শুধুমাত্র বিলজবাব বাদে। সবার সাথে জিততে পারলেও এই পর্যন্ত সাটান এবং লুসিফারের সাথে কখনো জিতে নি। সাটানের সাথে ফাইটটা সহজ হলেও তার ফুল পাওয়ার দিয়েও কখনো সে লুসিফারের শরীরে একটা ক্ষতও করতে পারে নি। 

অন্যদিকে ডোয়ার্ক মল্ট, এ.কে.এ লুসিফার দ্যা ওয়ান কিছুটা অবাক হয়েছে। যদিও সে সন্দেহ করেছিলো প্রথমে যে জ্যাকের সাথে পোসেইডনের কোনো সম্পর্ক আছে কিন্তু এখন সে আসল বিষয়টা বুঝতে পারলো এই আজব বস্তুটার কথা শুনে।

[যা বাবা আমার ম্যানার কোথায়। আসলে তোমাদের ফাইটটা দেখে আমি অনেক উত্তেজিত ছিলাম। আর তাছাড়া যেহেতু আমার শেষ সময়ও চলে এসেছে তাই হয়তো সব কিছু ভুলতে শুরু করেছি। আমার নাম এরেবাস। কেউ আমাকে লর্ড অফ ডার্কনেস। আবার কেউ আমাকে রুলার অফ ডার্কনেস বলেও চিনে। তবে বর্তমানে আমি রুলার ডিউটি থেকে রিটায়ার্ড। তাই শুধু এরেবাস বলতে পারো আমাকে।]

জ্যাকের সামনের বস্তুটা দেখে তার অনেকটা লিচ্ দ্যা আনডেড এর কথা মনে পরে গেলো। একবার দেখেছিলো লিচ্ কে। দুটোর কাটিং এক রকমই। শুধু তার সামনের বস্তুটার একটা স্কাইটির অভাব রয়েছে এখানে। যাইহোক জ্যাক খুব অবাক হলো, সেই সাথে ডোয়ার্ক মল্টও। তবে মল্ট কিছুটা হলেও পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে অন্যদিকে জ্যাকের মাথায় কিছুই ঢুকছে না।

[লুসিফার তুমি এবং আমি অনেক সময় বেঁচেছি। এখন সময় হয়ে গিয়েছে আমাদের সউল এবং পাওয়ারের আসল মালিককে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার।]

মল্ট জ্যাককে এট্যাক করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো এখনো। তাই তার হাত মুঠো করা ছিলো। তবে এরেবাসের কথাটা শোনার সাথে সাথে সে তার নিজের হাতের মুঠো খুলে দিলো এবং সেখানে দাঁড়িয়ে গেলো।

-> আমি এতোকাল অপেক্ষার পরেও যখন কোনো ইঙ্গিত পাচ্ছিলাম না আমার কিং এর থেকে। তখন ভাবলাম হয়তো তার দ্বিতীয় আদেশটায় পালন করা উচিত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটার আর প্রয়োজন হবে না। (মল্ট)

[আমি চাচ্ছিলাম অনেক পূর্বেই বের হতে। কিন্তু যেহেতু ডিম্যান কিং এর বারণ ছিলো তাই কিছু করার নেই। আর তাছাড়া এতো সুন্দর একটা পারফর্মেন্স কি দেখতে পারতাম আমি? সব সময় তো লুসিফার দ্যা ফলেন এঞ্জেল এর পাওয়ার লাইভে দেখার সুযোগ হয় না। হেহেহেহেহে।]
 
জ্যাক কিছুই বুঝতে পারছিলো না তাদের কথা। একটা জিনিস সে শুধু ভাবছিলো, এই সবই ডিম্যান কিং এর মাস্টার প্লানের অংশ ছিলো। যা সম্পর্কে তার কোনো ধারনাই নেই। এজন্য সে পুরো হাবলার মতো দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানে। 

-> জ্যাক, না সান উকং এটা দিয়ে আমাদের লক্ষ পনেরো বার ফাইট হলো। যার মধ্যে শুধু এটাকেই ড্র ভাবতে পারো। কারণ এখনো তোমার সেই স্ট্রেন্থ হয় নি যে আমাকে হারাতে পারবে। কিন্তু তাই বলে এমন নয় যে হারাতে পারবে না। তোমার শিক্ষক হিসেবে আমি আমার সারাজীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী মুভ গুলো তোমায় দিয়ে যাচ্ছি। যা দিয়ে আমার থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠো। কারণ একটা সময় এগুলো তোমার প্রয়োজন হবে। তখন আমাকে, না সরি আমার সউলের মালিকের সাথে বা পাশাপাশি ফাইট করতে চাইলে তোমাকে আরো শক্তিশালী হতে হবে। (মল্ট)

জ্যাক তার মাস্টারের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো। সে বুঝতে পারছিলো না এখানে সে কি বলবে। তার বলার মতো কিছু ছিলো না। কয়েক ফোটা চোখের পানি তার সকল কথার উত্তর দিয়ে দিলো।

-> ওয়ার্ল্ডটা চেঞ্জ হচ্ছে। এই বদ্ধ ওয়ার্ল্ডে তো আমরা অনেক পূর্বেই মারা গিয়েছিলাম। শুধুমাত্র আমাদের কিং এর জন্য নতুন একটা সুযোগ পেয়েছিলাম যেটা আমাকে আমার প্রথম স্টুডেন্ট বানানোর সুযোগ দিয়েছে। ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইডের স্টুডেন্ট হয়ে তোমাকে তোমার মাস্টারের মতো প্রাইড নিয়ে ওয়ার্ল্ডের চেঞ্জে অংশ নিতে হবে। (মল্ট)

[আমার মনে হয় অনেক হয়েছে তোমাদের কথা। যেহেতু আর কোনোদিন খোলা হাওয়া দেখতে পারবো কিনা জানি না। তাই আমাকে বাইরে অপেক্ষা করিয়ে মায়া বাড়ায়ো না আর।]

শেষ বারের মতো ডোয়ার্ক মল্ট জ্যাকের দিকে তাকালো এবং একটা হাসি দিলো। তার হাসির পিছনে কয়েক হাজার বছরের কষ্ট লুকিয়ে ছিলো যা মল্ট নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না। তবে সে কষ্টের মাঝ থেকে সে একটা খুশির মুহুর্ত খুঁজে পেয়েছিলো। আর সে খুশিটা জ্যাক ছিলো। জ্যাককে নিজ হাতে ট্রেনিং দেওয়ার মাধ্যমে মল্টের সব সময় নিজের মেয়ের কথা মনে পরে যেতো। যাক সে দেখে না অনেক বছর হলো। যদিও জ্যাক মেয়ে না তারপরও জ্যাককে দেখে মল্টের হঠাৎ তার মেয়ের কথায় মনে পরে যায়। অবশ্য এখন চেহারা চেঞ্জ হওয়ার পর থেকে জ্যাককে তেমন লাগে না। তবে মল্ট জ্যাককে অনেকটা নিজের সন্তানের মতোই মনে করতে শুরু করেছে। মল্টের চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি বেরিয়ে আসলো, যে পানি মাটিতে পরার পূর্বেই থেমে গেলো। 

সব কিছুর সময় থেমে গিয়েছে। জ্যাক সহ পুরো টাওয়ার থমকে দাঁড়িয়েছে এক সময়ের মধ্যে। সেই সময়ে এরেবাস পুরো ধোঁয়া হয়ে গেলো। যার ধোঁয়া মল্টের শরীরে প্রবেশ করে একত্রিত হয়ে গেলো।

[ফরবিডেন ডার্ক ম্যাজিকঃ রিটার্ন টু অরিজিন]

হঠাৎ সময় আবার নরমাল হয়ে গেলো। পানির ফোটাটা মাটিতে পরলো। তবে সেখানে মল্ট কিংবা কালো বস্তুটা আর ছিলো না। জ্যাকের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং হাজারো প্রশ্ন তার মনে বাসা বাঁধিয়ে তার মাস্টার এবং লর্ড অফ ডার্কনেস সে জায়গা থেকে ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে। মল্টের ডোমেইন ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছে। তবে যে চোখের পানিটা মাটিতে পরেছে। সেটা পরার সাথে সাথে মাটি ফেটে বিশাল বিশাল গাছ হতে শুরু করলো, চারপাশে ছোট ছোট ঘাস জন্মাতে শুরু করলো। গাছে হাজারো রঙের ফুল জন্ম নিলো। যা জ্যাক তার ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে শুধু তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করতে পারছিলো না।

-> তাহলে শেষ? সব এখানেই শেষ? (জ্যাক)


* * * 

To Be Continued 

* * * 


কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

8 comments

  1. S. M. Sady
    This comment has been removed by the author.
  2. ৮ টা পার হয়ে গেছে কিন্তু😐
  3. Somy hoia gese
  4. Vai 8 ta par hoia gese
  5. 8ta to beje geche vai
  6. আমি সিওর ভাই মল্ট এবং এরেবাস এলেক্স এর কাছেই চলে গেছে।😤😤
  7. Amazing
  8. মনেহচ্ছে এলেক্সের কাছেই যাচ্ছে 🥰।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.