[[{{<এটা একটা কাল্পনিক ফ্যান্টাসি (রূপকথার) গল্প, তাই গল্পে অনেক কিছু অবাস্তবতা রয়েছে। তাই শুধু মজা নেওয়ার জন্যই পড়বেন গল্পটা>}}]]
ম্যাজিক কাল্পনিক একটা বিষয়। যেটার উপরে কেউ বিশ্বাস করে না। কিন্তু পৃথিবীতে কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা ব্লাক ম্যাজিকের উপরে বিশ্বাস করে। এটাকে আঞ্চলিক বাংলা ভাষায় 'কালা জাদু' বলা হয়ে থাকে। আজকের গল্পটা কিছু ব্লাক ম্যাজিকে বিশ্বাসকারীদের নিয়েই শুরু।
সাল ২০১৯ এর শুরুর দিকে,
চীনের কোনো এক নাম না জানা জায়গা। বরফে ভর্তি এই জায়গাটা। যেদিকে তাকানো যায় সবই শুধু সাদা রঙের বরফ। এই ঠান্ডার সময়টা পাহাড়ের দিক নির্জন থাকে। কেউ ঠান্ডার মধ্যে এতো কষ্ট করে পাহাড় বেয়ে উঠার চেষ্টা করবে না। নির্জন জায়গার সুবিধা নিয়ে পাহাড়ের ঘন বনের মধ্যে একটা ছোট গুহা তৈরী হয়েছে। যেটার মধ্যে সম্ভবত ঠান্ডা থেকে বাচার জন্য বন্য প্রানীরা আশ্রয় নেই। তবে ভিতরে উঁকি দিলে বিশজন মানুষের একটা দল দেখা যাবে। যারা কালো রঙের কোর্ট এবং প্যান্ট পরে আছে। তাদের কোর্টটা অনেকটা ডাক্তারদের পোষাকের মতো। তবে এদেরটা শুধু কালো রঙের যেখানে ডাক্তাররা সাদা রঙের পরে। তাদের সবার মুখে প্রশ্নবোধক চিহ্নের একটা পরে কালো মাস্ক রয়েছে। হয়তো তারা কোনো সংস্থার সদস্য হবে, তাই এই স্পেশাল গেটআপ তাদের।
গুহার আকারটা খুব ছোট। একটা মাঝারি সাইজের রুমের মতোই হবে। গুহার মেঝেতে ঠিক মাঝ বরাবর সাদা রঙ দিয়ে কিছু আঁকা রয়েছে, যেগুলো সার্কেলের মতো। তবে এমন সার্কেল জ্যামিতির মধ্যেও হয়তো দেখা যায় না। সার্কেলের মাঝখানে দশজন বসে আছে, যারা মুখে মুখে কিছু একটা বলছে। খুব আস্তে বলায় শোনা যাচ্ছে না তারা কি বলছে। তবে বাকি দশজন তখন খুব মারাত্মক একটা কাজ করলো।
সার্কেলের মধ্যে বসে থাকা দশজনের গলা কেটে দিলো দাড়িয়ে থাকা দশজন। যেটার দ্বারা পুরো গোল সার্কেলের মধ্যে ব্লাডে ভরে গেলো পুরো গুহার মধ্যে ব্লাডের গন্ধে ভরে গেলো। এ দৃশ্য কেউ দেখলে হয়তো সাথে সাথে সেন্সলেস হয়ে যেতো কিংবা হার্ট এট্যাকই করতে পারতো। গোল সার্কেল যেটা পুরোটা একটা ব্লাডের পুকুর হয়ে গিয়েছে এখন, সেটা আস্তে আস্তে কাপতে লাগলো এখন। হয়তোবা সেটা থেকে কোনো একটা মাছ লাফ দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। হয়তোবা এটা বলাও ঠিক হয় নাই, কারন ব্লাডের মধ্যে থেকে একটা মাছই বেরিয়ে আসলো। অবশ্য মাছ বললে ঠিক হবে না। এটা একটা অর্ধমাছ। যেটাকে Mermaid বলা হয়। বাংলায় যেটা জলপরী। তবে সাধারন জলপরী থেকে এটা অনেকটা ভিন্ন। জলপরীর চোখ দুটো লাল রঙের। কপালের দুই পাশে দুটো শিং রয়েছে, যেটা এই জলপরীকে কোনো ডিম্যানের থেকে কম দেখাচ্ছে না। সার্কেলের মধ্যে ব্লাডের উপরে জলপরী তার লেজের উপরে ভর করে দাড়িয়ে রইলো এবং ভয়ঙ্কর একটা হাসি দিলো। সবাই তাকিয়ে রইলো সেদিকে। কালো মাস্ক পরা লোকগুলোর মুখ থেকে কোনো কথায় বের হচ্ছিলো না। কারন তাদের সামনের এই বস্তু যেটার শরীর থেকে মারাত্মক একটা Aura বের হচ্ছিলে। যেটার মধ্যে শ্বাস নেওয়ায় কষ্ট হচ্ছিলো তাদের।
একটু পূর্বের দশজন যারা মারা যায় এই ডিম্যানকে এখানে আনার জন্য, তাদের সকল স্মৃতি এখন জলপরীটার মধ্যে রয়েছে। তাই এই জায়গা সম্পর্কে তার সাধারন একটা ধারনা হয়েছে, যেটা তার কাজের জন্য যথেষ্ট। সে মুখ খুললো। হয়তো তার ভাষা ভিন্ন ছিলো, কিন্তু দশজনের স্মৃতির থেকে সে এখানের ভাষাও শিখেছে, যেটার কারনে সে ইংরেজিতে বলতে লাগলো, (বাংলায় সকল সংলাপ রাখা হয়েছে)
-->>ধন্যবাদ আমাকে এই জায়গায় Summon করার জন্য। আমার নাম জিরো, আমি প্রিন্স Belphegor এর রয়েল Maid।
কথা শেষ করার পূর্বেই জিরো খেয়াল করলো তার সামনের বাকি দশজন তার এনার্জি সহ্য করতে না পেরে মারা গিয়েছে। যেটা জিরোকে অনেকটা হতাশ করলো। কারন সে তার পরিচয় ভালো ভাবে দিতে পারলো না তাদের সামনে। কিন্তু কিছুই করার নেই, এটা এই জায়গার মানুষের দুর্বলতার জন্য হয়তো। জিরো মনে মনে চিন্তা করছিলো এগুলো। এবার জিরো বলতে শুরু করলো,
-->>আমার মনে হয় এই জায়গাটা আমার মাস্টারের টাওয়ারের জন্য সবথেকে ভালো হবে। এখানে আমি তাদের(গোপন শত্রু) কোনো এনার্জি অনুভব করতে পারছি না। মানে এই পৃথিবী আমাদের জন্য কিছুটা নিরাপদ। যায়হোক আমাকে টাওয়ারের কাজ শুরু করতে হবে। প্রথমে আমাকে এই জায়গা থেকে বিশাল আকারের এনার্জি এবজোর্ব করতে হবে। শেষ Great War এর মাধ্যমে আমাদের কিং মারা যায় এবং সাত প্রিন্স তাদের শরীর হারিয়ে ফেলে। আমাদের কিংডমকে আবার পূর্বের মতো করতে হলে আমার এই ত্যাগ কিছুই না। শুধু আমি আশা করছি আমার মাস্টার আমাকে আবার জীবিত করবে, যাতে আমি আবারো তার সেবা করতে পারি।
জিরোর চোখ থেকে দু ফোটা পানি পরে গেলো। পুরো সার্কেলের ব্লাড এবং বাকি দশজন যারা মাত্র মারা গেলো তাদের শরীরের ব্লাড বের হয়ে জিরোর শরীরকে ঢেকে দিলো। জিরোর পুরো শরীর মুহুর্তের মধ্যে একটা লাল মূর্তিতে পরিনত হলো। যেটা কোনো নারাচরা করছে না। বাকি ব্লাড যেটা সার্কেলের মধ্যে পরে ছিলো সেটা থেকে খুব ছোটছোট অসংখ্য কিছু বের হলো। যেগুলো উড়তে উড়তে বের হয়ে গেলো গুহার মধ্য থেকে। হয়তো এগুলোই জিরোর কথা মতো এনার্জি এবজোর্ব করবে।
****
ছয় মাসের মধ্যে পুরো পৃথিবী থেমে গিয়েছে। কারন ছয় মাস পূর্বে থেকেই এক অজানা ভাইরাস চীনের বুক থেকে বের হয়ে এসেছে। যেটার নাম দেওয়া হয়েছে Covid-19। এটা ছয় মাসের মধ্যে সারা বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে পরেছে। যেটার দ্বারা কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে লক্ষ লক্ষ। বিজ্ঞানীরা কোনোভাবেই এই ভাইরাসের প্রতিরোধ তৈরী করতে পারে নি। যেটার কারনে এটা আরো ছড়িয়ে যাচ্ছে।
পুরো একটা বছর কোভিডের ভয়ে মানুষ ঘর থেকেও বের হওয়ার সাহস পায় নি। তবে। কিন্তু হঠাৎ আবারো বিস্ময় করা কিছু হয়ে গেলো। সবার নজর কোভিডের কারনে চীনের দিকে ছিলো এতোদিন। আবারো চীনের দিকে নতুন করে সবার নজর চলে যায়।
২০২১ সালের শেষের দিকে চীনের বুকে আরো আশ্চর্যকর কিছু একটা হলো। কোনো এক অচেনা জায়গায় বরফে ঢাকা পাহাড়ের মধ্যে বিশাল আকাশছোয়া একটা টাওয়ার তৈরী হলো। যেটাকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো। এরকম রাতারাতি এতো বড় টাওয়ার কেউ কখনো দেখি নি, তাই পৃথিবীর সকল মানুষের কৌতুহল বারতে শুরু হলো। দেখতে দেখতে এক মাসের মধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ উপস্থিত হলো টাওয়ারের পাশে। এতো দিনে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এই টাওয়ার নিয়ে গবেষণা করেছে। কিন্তু কেউ কোনো উত্তর দিতে পারে নি। এই টাওয়ার এমন একটা ধাতু দিয়ে তৈরী যেটা পৃথিবীর বুকে হয়তো এখনো পাওয়া যায় নি। এক মাসের গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বোমাও এই টাওয়ারের গায়ে সামান্য দাগ ফেলতে পারবে না। যেটার ফলে সবার কৌতহল বারতে শুরু করেছে। মানুষ অজানা কিছু না জানা পর্যন্ত নিজেদের আগ্রহ, কৌতুহল ধরে রাখতে পারে না। এখানেও তেমন হয়েছে। এক মাসেও এই টাওয়ারের সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেয়ে মানুষ নিজের চোখে দেখতে এসেছে টাওয়ার। তবে টপ দশ দেশের সেরা মিলিটারীকে রাখা হয়েছে পুরো টাওয়ারের দুই মাইল জায়গার মধ্যে। যার কারনে কেউ এই এলাকার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং মিলিটারী বাহিনী যখন টাওয়ারের বিশ মাইল জায়গার মধ্যে উপস্থিত ছিলো, তখনি অবিশ্বাস্য কিছু হলো। টাওয়ার থেকে একটা কালো আলো বের হলো, যেটা পুরো পৃথিবীকে একবার সম্পূর্ন ঘুরে আসলো। এই ঘটনার একদিন পর প্রতিটা দেশ থেকে অগনিত মানুষ হারিয়ে যেতে লাগলো। তারা রাতারাতি গায়েব হয়ে যাচ্ছিলো, যেটার বিরুদ্ধে কিছুই করা যাচ্ছিলো না। ছাত্র, চাকরিজীবী, পুলিশ, মিলিটারী কেউ বাদ যাচ্ছিলো না। পুরো এক দিনেই পৃথিবী থেকে দশ লক্ষ মানুষ গায়েব হয়ে গেলো।
তারা কোথায় গেলো? এটা সবারই অজানা রইলো না। তারা সবাই টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করেছে। কি আছে এই টাওয়ারের মধ্যে? সেটা বাইরের সবারই অজানা, কৌতুহল বারলেও তারা মনে মনে স্বস্তি পেয়েছে, কারন তারা সেই লক্ষ জনের মধ্যে নেই যারা অজানা এই টাওয়ারে প্রবেশ করেছে। তবে তাদের এই স্বস্তি হয়তো ক্ষণিকের জন্য থাকতো যদি তারা জানতে পারতো টাওয়ারের মধ্যে কি আছে সেটা জানতে পেরে।
গল্পঃ Demon_King
গল্পটার Intro পার্ট এটা। প্রথম পর্ব থেকে পড়তে সাথেই থাকুন। পূর্বের গল্প আপাতোতো লেখছি না, অনেকদিন না লোখার কারনে ভালো স্ক্রিপ্ট পাচ্ছি না তাই লেখলেও কারো ভালো লাগবে না। তাই একটু উপন্যাস কোয়ালিটির গল্প নিয়ে আসলাম সবার সামনে।