[গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
পর্বঃ৩৪
।
।
(ডিমনিক ফরেস্ট)
বিশ দিন হলো টেস্টের সময়। এই সময়ে অনেকেই দ্বিতীয় জোনের শেষের দিকে চলে এসেছে। প্রথম দুই জোন সবার কাছেই সহজ মনে হয়েছে। তবে তৃতীয় জোন থেকে তেমনটা হবে না। সবাই প্রস্তুত হচ্ছে তৃতীয় জোনের জন্য। তৃতীয় জোনের মধ্যে অনেক শক্তিশালী ডিমনিক বিস্ট রয়েছে। তাই সেখানে সব টিমকেই সাবধান থাকতে হবে।
সমস্ত টিমের মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে আছে টিম রসিফ। টিম রসিফ একটু বিশ্রাম নিচ্ছে। এই সময়ে তার বন্ধু রেফ তার কাছে আসলো। রেফ এর মুখ দেখেই রসিফ বুঝতে পারলো কিছু প্রশ্ন সে করবে।
-->>রসিফ আমাদের কি এভাবে সব ডিমনিক বিস্ট গুলো এরিয়ে চলা ঠিক হচ্ছে?
রেফ প্রশ্নটা করলো রসিফকে। রসিফ এরকম প্রশ্নেরই আশা করছিলো। সে জানে ডিমনিক বিস্ট হত্যা করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায় আর সেটার মাধ্যমে শক্তিশালী হওয়া যায়। তবে তাদের মূল উদ্দেশ্যে সেটা না।
-->>আমি জানি তুমি কি বলতে চাচ্ছো। দেখো আমাদের এই টেস্টের মূল উদ্দেশ্য টা কি? এমনিতেই টাওয়ারে আমাদের তেমন কোনো মূল্য নেই। আর যদি এই টেস্টে ফেইল করি তাহলে হয়তো টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগই থাকবে না আমাদের। তাই তোমার কি মনে হয় আমাদের করা উচিত?(রসিফ)
রসিফ টাওয়ারের কিছু কথা চিন্তা করে রেফকে কথাটা বললো। প্রায় দুই বছরের মতো সময় হয়েছে তারা টাওয়ারে প্রবেশ করেছে, কিন্তু এই সময়েই বুঝতে পেরেছে টাওয়ার তাদের জন্য কোনো জায়গা নয়। শক্তিশালী সব সময় দুর্বলদের উপরে রাজ করে। এটা অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চিরন্তন সত্য।
-->>আমাদের যেভাবেই হোক টেস্ট সম্পূর্ন করতে হবে। কিন্তু সেটা সম্পূর্ন করার জন্য তো নতুনদের তো কিছুটা শক্তিশালী করতে হবে। তা নাহলে একজনের কিছু হয়ে গেলে তো আমরা বাতিল হয়ে যাবো।(রেফ)
রেফ রসিফের পাশে এসে বসে কথাটা বললো তাকে। রসিফ এতোক্ষন একটা পাথরের উপরে বসে ছিলো। রেফ ও কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসে পরলো। রেফ এর কথায় এবার রসিফ উত্তর দিতে লাগলো,
-->>কিছুদিন পূর্বের হাইব্রিডটার কথা মনে আছে তোমার?(রসিফ)
রসিফের হঠাৎ এই প্রশ্নে অবাক হলো রেফ। রেফের পূর্বের কথা মনে পরতে শুরু হলো। তার লাইফের তিনটা ভয়ানক ঘটনার মধ্যে একটা বলা যায় সেটাকে। রেফ তার ঢোক গিলে বলতে উত্তর দিলো,
-->>গবলিন জেনারেল, গবলিন কিং এবং সবশেষে এই হাইব্রিডটা। তিন জায়গায় আমার মনে হয়েছিলো আমি মারা যাবো।(রেফ)
রেফ আকাশের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো। মৃত্যুর হাত থেকে ভাগ্যের জন্য বেঁচে যাওয়ার পরে সেই মুহুর্তের কথা চিন্তা করলে অনেকটা ভয় তৈরী হয় মনের মধ্যে।
-->>চেইন আর আমার শক্তিতেও আমরা কিছু করতে পারি নি হাইব্রিডটাকে। যদি না চেইনের টিমের মানা ইউজার ডোমেইন ব্যবহার না করতে পারতো, তাহলে হয়তো আমরা সবাই মারা যেতাম।(রসিফ)
মিও এর কথা উল্লেখ করছিলো রসিফ। হঠাৎ রেফ মিও এর কথা ভাবতে লাগলো। রেফ নিজেও একজন মানা ইউজার। তবে ডোমেইন সেটা কি আদৌও সম্ভব তার জন্য? রেফ তার দুই হাতের দিকে তাকালো এবং ভাবতে লাগলো,
"আমাকেও শক্তিশালী হতে হবে।"
রসিফ রেফকে চুপ দেখতে পেয়ে আবারো বলতে লাগলো,
-->>রেফ আমি ডিমনিক ফরেস্টকে অনেক ছোট করে দেখছিলাম এতোদিন। টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে হয়তো বাইরের জিনিসে কম ফোকাস ছিলাম। আমার মনে হয় এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে না বাকি সকল টিম লিডারের ক্ষেত্রেও হচ্ছে।
রসিফ দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ফেলে রেফকে কথাটা বললো। মূলত টাওয়ারে প্রবেশ করতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যার মধ্যে সবচেয়ে প্রধান হলো টেস্ট গ্রাউন্ড। টেস্ট গ্রাউন্ডের পরীক্ষা পাশ না করলে টাওয়ারের প্রথম ফ্লোরে কখনোই প্রবেশ করা যায় না।
এখন অনেকেই এখানে অর্থের সাহায্যে টাওয়ারে প্রবেশকৃত মানুষদের কাছ থেকে টেস্ট গ্রাউন্ডের টেস্টের কথা জানতে চাইবে। লজিকাল ভাবে বললে এতে তারা সহজে টেস্টে পাশ করতে পারবে। তবে এখানে টাওয়ারের নিয়ম রয়েছে। টাওয়ার বাইরের ওয়ার্ল্ডের মতো কাজ করে না। সেখানে নির্দিষ্ঠ কিছু নিয়ম কানুন আছে যেগুলোকে অবশ্যই মেনে চলতে হয়।
রসিফ এবং রেফ দুজনেই দুই বছরে টাওয়ারের কিছু নিয়ম কানুন সম্পর্কে জেনেছে। যার ফলে এতোদিন শুধু টাওয়ারকেই তাদের কাছে ভয়ঙ্কর মনে হতো। রসিফের বাবা একজন হান্টার যে অর্থের বিনিময়ে ডিমনিক বিস্ট হত্যা করে। রসিফ ছোট থেকেই তার বাবার কাজটাকে সহজ মনে করতো। তার ধারনা ছিলো ডিমনিক বিস্টের থেকে শতগুন শক্তিশালী টাওয়ারের মনস্টার গুলো। কতটা একেবারে মিথ্যা নয়। তবে রসিফ এটা অস্বিকার করতে পারছে না যে তার বাবা একজন হান্টার হিসাবে অনেকটা শক্তিশালী।
-->>রসিফ আপাতোতো আমাদের এসব ভাবলে চলবে না। যেহেতু তুমি লিডার, তাই তোমাকেই সলিট একটা প্লান তৈরী করতে হবে।
চিন্তায় হারিয়ে যাওয়া রসিফ হঠাৎ রেফ এর কথায় আবারো বাস্তবে চলে আসলো। সে একটু মুচকি হেসে বলতে লাগলো,
-->>যেহেতু চেইনের টিমে ডোমেইন ব্যবহার করতে পারে এমন একজন মানা ইউজার আছে তাই আপাতোতো আমাদের ফোকাস চতুর্থ জোনে প্রবেশ করা।
রসিফের প্লান একদম ঠিকভাবে বুঝতে পারলো রেফ। রসিফ প্লান করছে সকল ডিমনিক বিস্টকে এরিয়ে যাবে তার টিম। এবং সেগুলো চেইনের টিম দেখে নিবে। এই সুযোগে রসিফের টিম লিডে থাকবে, যেটা তাদেরকে সবার প্রথমে চতুর্থ জোনে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।
"রসিফ ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে খুব ভালো প্লানই তৈরী করতে পারে।"
রেফ তার চিন্তা বাদ দিয়ে উঠে পরলো সেখান থেকে। তাদেরকে আবারো সামনে যেতে হবে।
* * * *
অন্য দিকে চেইনের টিমের সবাই ফাইটের মধ্যে রয়েছে। প্রায় পঞ্চাশটার উপরে ডিমনিক বিস্ট তাদেরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে। কতগুলো লাশ চারপাশ দিয়ে দেখা যাচ্ছে। স্নেরা এবং লুবা সবার মাঝখানে দাড়িয়ে আছে। তাদের দুজনের চারদিকে গোল হয়ে সবাই দাড়িয়ে ফাইট করছে ডিমনিক স্পাইডার এর সাথে। দ্বিতীয় জোনের অনেক ভয়ানক একটা ডিমনিক বিস্ট এরা।
সাধারনত স্পাইডারের সংখ্যা অনেক হয়ে থাকে। একটা মা স্পাইডার কয়েক হাজার ডিম দিতে সক্ষম হয়। আর একটা ডিমনিক মা স্পাইডার কমপক্ষে দুইশত ডিমনিক স্পাইডার বাচ্চা দিতে সক্ষম হয়। যার কারনে স্পাইডার অনেক ভয়ানক একটা ডিমনিক বিস্ট। সাধারনত স্পাইডার খুব ছোট এবং সব গুলো জাতির মধ্যে কিছু রয়েছে যারা বিষাক্ত হয়ে থাকে। তবে ডিমনিক ফরেস্টের তীব্র ডিমনিক এনার্জির ফলে সকল প্রানীর সাথে স্পাইডারেরও মিউটেশন হয়েছে। যার ফলে স্পাইডার গুলোর সাইজ কুকুরের সমান হয়েছে।
বাকি ডিমনিক বিস্টের চেয়ে স্পাইডার অনেক ভয়ানক। ডিমনিক ফক্স এবং ডিমনিক ইঁদুরের শরীর ছাড়া কোনো কিছু ছিলো না এট্যাক করার জন্য। তবে ডিমনিক স্পাইডার তাদের থেকে ভিন্ন। হান্টার এসোসিয়েশান এর মধ্যে ডিমনিক স্পাইডার এর র্যাংক "ডি"। এতোদিন চেইনের টিম "য়ি" এবং "এফ" র্যাংকের ডিমনিক বিস্টের সাথে লড়াই করেছে। তাই খুব সহজেই সেসব শেষ করতে পেরেছে। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা মোটেও তেমন না।
-->>এই স্পাইডারের সংখ্যা শেষই হচ্ছে না। একটার পর একটা এসেই যাচ্ছে।
ডুফেস উচ্চ স্বরে বলে উঠলো কথাটা। সবাই অনেকটা ক্লান্ত। বেশ অনেকক্ষন হলো তার ডিমনিক স্পাইডারের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা শেষ হবার নামই নিচ্ছে না। দশটাকে হত্যা করলে আবারো দশটা তাদের সামনে চলে আসছে।
-->>আমার মনে হয় আশে পাশে স্পাইডারদের নেস্ট রয়েছে। যার কারনে তাদের সংখ্যা বেরে যাচ্ছে।
চেইন তার হাতের সোর্ডটাকে মাটিতে গেড়ে কথাটা বললো। তারা সবাই গোল একটা ফরমেশন তৈরী করেছে। যার মাঝে লুবা এবং স্নেরাকে রেখেছে। যেহেতু তারাই টিমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেম্বার তাই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে পূর্বে চিন্তা করা হয়েছে।
স্পাইডারগুলো স্বাভাবিক কোনো ডিমনিক বিস্ট নয়। একটা স্পাইডার তার নিজের বাসা নিজেই তৈরী করে, নিজের খাবার নিজেই শিকার করে। স্পাইডারের ফাদ অনেকটা তার বাসাকেই বলা যায়। তাদের পায়ুপথ দিয়ে আঠালো নরম সুতোর মতো তৈরী হয়। যেটাকে সাধারনত স্পাইডার ওয়েব বলা হয়ে থাকে।
একটা ছোট স্পাইডার তার ওয়েবের সাহায্যে সুন্দর করে ফাদ তৈরী করে, যার মধ্যে যেকোনো ছোট পোকামাকড় পরলে সেটা আঠালো ওয়েবে আটকে যায়। এরপর স্পাইডার সেটাকে ভঙন করে। মূলত এভাবেই বেচে থাকে স্পাইডার। ডিমনিক স্পাইডারও ব্যতিক্রম নয়। তারাও শিকার করে, তবে পার্থক্য তাদের শিকারের সাইজে। পূর্বে ছোট পোকা হলেই হয়ে যপতো, তবে এখন তারা আস্ত হাতি পেলেও সুখী না।
-->>চেইন আমাদের কি এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত না? যদি পূর্বের মতো কোনো হাইব্রিড চলে আসে।
লুবা হঠাৎ চেইনকে বললো কথাটা। চেইন এই জিনিসটা ভাবে নি এমন না। তবে হাইব্রিড এর থেকেও কিছু ভয়ঙ্কর তাদের জন্য অপেক্ষা করছে যদি তারা এখানে বেশীক্ষন থাকে। মা স্পাইডার অনেক শক্তিশালী একটা বস্তু হয়ে থাকে সাধারন স্পাইডার থেকে। তাই চেইন চাচ্ছে না এখানে বেশী ক্ষন থাকতে।
-->>আমিও চাচ্ছি এখান থেকে বের হতে, কিন্তু চারদিক দিয়ে আমাদের ঘিরে ধরেছে স্পাইডারগুলো।
চেইন কথাটা খুব উচ্চস্বরে বলে উঠলো। পুরো টিমের চারপাশ দিয়ে পঞ্চাশটার বেশী স্পাইডার হবে হয়তো। তারা তাদের ওয়েব দিয়ে চারপাশ অনেক সুন্দর করে আটকে দিয়েছে। ছোট একটা জায়গার মধ্যে চেইনের টিম গোল হয়ে দাড়িয়ে আছে এবং ওয়েবের উপরে সকল স্পাইডার।
এতোক্ষন এলেক্স তার কাঠের সোর্ডটা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো বাকি সবার মতো। একটা ডিমনিক বিস্টও সে হত্যা করতে পারে নি এই কয়দিনের মধ্যে। আজও চান্স পায় নি। সেই রাতে কিছু ডিমনিক ফক্স হত্যা পর থেকে এলেক্সের লেভেল আর বৃদ্ধি পায় নি। তাই এলেক্স আর তার এক্সাইটমেন্ট লুকিয়ে রাখতে পারলো না।
"স্ক্যালেটন আর্মি"
এলেক্সের স্ক্যালেটন আর্মির মধ্য থেকে এলেক্স যেকোনো সংখ্যাকে ডাকতে পারবে। স্কিল একটিভ করার সময় তার মনে যার বা যে সংখ্যার কথা আসবে ঠিক সে বা ততটা স্ক্যালেটন আর্মিই আসবে এলেক্সের কাছে।
এলেক্স এখানে তার নিজের ক্ষমতা দেখাতে চাচ্ছিলো না, তবে এতো এতো ডিমনিক বিস্টের ঘ্রান তার আর সহ্য হচ্ছিলো না। সে তার লেভেলকে যেভাবেই হোক বৃদ্ধি করতে চাই। আর তার জন্য এইটার থেকে ভালো কোনো সময় হতে পারে না। ইনফো স্কিলের মাধ্যমে এলেক্স দেখেছে ডিমনিক স্পাইডার গুলোর লেভেল ৩০। যেটা তার লেভেল বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করবে।
মাইরা তার ফায়ার ম্যাজিক ব্যবহার করছে অনেকক্ষন ধরেই। ফায়ার ম্যাজিক ডিমনিক স্পাইডারের জন্য বেশী ইফেক্টিভ না হলেও তাদের ওয়েবগুলো খুব সহজে জ্বলে যাচ্ছেমাইরার স্পেলে। চেইন, ডুফেস এবং জেয়াব তিন পাশে দাড়িয়ে তাদের কাছে আশা স্পাইডারদের হত্যা করে যাচ্ছে। এলিন এবং মিও দুজনের আইস ম্যাজিক দিয়ে দূর থেকে স্পাইডার দের আক্রমন করছে। দুজনের ফ্রিজ স্পেল এবং আইস চেইন অনেকটা ইফেক্টিভ স্পাইডারের জন্য। তবে বেশীক্ষন এভাবে চললে এক সময় সবাই এনার্জি শেষ করে ফেলবে। তাই চেইন চিন্তা করছিলো এখান থেকে চলে যাওয়ায় ভালো হবে।
সবার নজর ডিমনিক স্পাইডারদের দিকে থাকায় তাদের নজর তাদের পাশে ছিলো না। মুহুর্তের মধ্যে একটা কঙ্কাল দৌড়ে ডিমনিক বিস্টদের দিকে যেতে লাগলো।
-->>এটা আবার কি?
ডুফেস ভয়ে চিল্লিয়ে উঠলো। শুধু ডুফেস নয়। বাকি সবাইও অনেকটা ভয় পাচ্ছে। এই প্রথম তাদের দেখা কঙ্কাল যে কিনা নারাচারা করছে। সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে পরিস্থিতি বোঝার জন্য। কিন্তু কেউ যখন কিছু বললো না তখন তারা সবাই বুঝতে পারলো এটা আরেকটা ডিমনিক বিস্ট ছাড়া কিছুই না।
-->>এটাও কি আমাদের উপরে হামলা করবে?(জেয়াব)
সবাই আবারো লড়াই এর জন্য প্রস্তুত হলো। নতুন সবাই এটাকে ডিমনিক বিস্ট ভাবলেও চেইন, মিও এবং লুবা সবচেয়ে বেশী অবাক হয়েছে এখানে।
"এটা একটা আনডেড। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? টাওয়ারের মনস্টার বাইরে বের হলো কিভাবে?"(চেইন ভাবছে)
স্ক্যালেটন সেনাকে মূলত আনডেড ও বলা হয়। তারা টাওয়ারের অনেক জনপ্রিয় মনস্টার। চেইন বুঝতে পারছে না টাওয়ারের একটা মনস্টার কিভাবে এইখানে আস্তে পারে।
"এই আনডেড টাকে আমার অন্য রকম লাগছে। আমি বিস্ট আকারের আনডেড দেখলেও কখনে এরকম কিছু দেখি নি।"(মিও ভাবছে)
স্ক্যালেটন ফক্স যেটা এলেক্স ডেকেছে তার শরীর থেকে হালকা কালো ধোয়া বের হচ্ছে। যেটা অন্য কোনো আনডেড থেকে মিও দেখে নি। সে বুঝতে পারছে না এটা কিভাবে সম্ভব? একজন আনডেড এখানে এমনি এমনি কখনো আস্তে পারে না।
"তবে এই এনার্জিটা আমাকে বোকা বানাতে পারবে না।"(মিও ভাবছে)
মিও স্ক্যালেটন এর শরীরের এনার্জিকে চিনতে পারলে, তাই সে এলেক্সের দিকে হালকা তাকালো। যেহেতু সে নিজেও একজন মানা এনার্জি ইউজার, আর ট্রেনিং এর ফলে তার এনার্জি পারসেপশন অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই সামান্য এনার্জি চিনতেও তার ভুল হয় না।
সবাই স্ক্যালেটন নিয়ে চিন্তা করলেও, এলেক্স এটা নিয়ে ভাবছে না। তার চোখের সামনে শুধু ডিমনিক বিস্টদের লেভেল ভাসছে। তাই সে তার স্ক্যালেটনকে আদেশ করলো।
"স্টার্ট দ্যা ড্যান্স ফর ইউর কিং।"
* * *
(To Be Continued)
* * *
কেমন হলো জানাবেন।