[গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
পর্বঃ৩৫
।
।
সদর হাসপাতাল,
আমার নাম হৃদয় বাপ্পী। আপনারা ভাবছেন হয়তো গল্পটা হঠাৎ এইখানে আসলো কেনো? আসলে লেখক অন্য জায়গার সিন সুট করছে তো তাই আপাতোতো আমার কাহিনী শুনতে থাকেন।
আমি সদরের একটি ভিআইপি ক্যাভিনে শুয়ে আছি। আমার কোনো অসুখ হয় নি, ও সরি দুনিয়ার সকল অসুখই আমার মাঝে। তবে আসলে আমি এখানে অসুখের জন্য আসি নি। আজ কলেজে আমার প্রথম দিন ছিলো। আর বরাবরের মতোই লোকজন আমাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
লোকজনের আর কি দোষ, আমার চেহারায় নাকি পিটানি খাওয়ার মতো। তাই এটা একটা অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে। (একটাবার নিজের বেডের উপরে পরে থাকা শরীরটা দেখে নিলাম আমি)। উচ্চতায় আমি চার ফুটের একটু বেশী কিংবা কম ও হতে পারি।। আরে আমি ছোট বাচ্চা না কোনো। কলেজে উঠেছি মানে বয়স তো ১৮ হবেই। সবাই ছোট থেকেই বাটলা বলে ক্ষেপাতো আমাকে। আর চেহারা আর কি বলবো আমি। চোখ দুটো অনেক বড় এলিয়েনের মতো। নাক অনেকটা মোটা। নিচের ছোটের অনেকটা অংশ ঝুলে থাকে। মোট কথা আমার চেহারা কেউ প্রথমবার দেখলে ভয় পেয়ে হার্ট স্ট্রোক করবে। আর সেই সাথে কঙ্কালের মতো হাড় ভাঙা শরীর তো আমার আছেই।
একটা সময় ছিলো যখন ভাবতাম সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু হয়েছে কি? বাবা অনেক ধনী হলেও কখনো আমাকে সাহায্য করে না কোনো বিষয়ে। বড় বোন আমার কাছে থাকে না এবং আম্মা কখনো কখনো আশ্বাস জাগায়। সব মিলিয়ে আমার জীবনটা অনেক অনেক অভিশাপের। কখনো ভাবি আদৌও কি আমি অভিশপ্ত নই তো।
হয়তোবা পূর্বের জীবনে আমি অনেক বড় কোনো ভুল করেছিলাম যার মাধ্যমে আমার আজ এই অবস্থা। কিন্তু কি এমন করেছিলাম যেটার জন্য আমাকে এতো শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে?
বেঁচে থাকার আগ্রহ অনেক পূর্বেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে উজ্জ্বল একটা আলো আমার অন্ধকার জীবনে চলে আসে। যেটা আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। তবে আজ সেই,
-->>কেনো মাহাবি? তুমিই কেনো এমন করলে?
চোখ থেকে হঠাৎ কয়েক ফোটা পানি বের হলো। শরীর নারাতে পারছি না ব্যথার কারনে। পূর্বের তুলনায় আজ অনেক বেশী পিটিয়েছে ওরা। এসব আর কতদিন সহ্য করবো? আমারও তো সাধারন একটা মানুষের মতো বাঁচতে মন চাই। সাধারন একটা জীবন কাটাতে মন চাই। কিন্তু ডেসটিনি। বা* এর ডেসটিনি। আমি বিশ্বাস করি না এই ডেসটিনির উপরে।
আমার অন্ধকার জীবনের শেষ আলোটা নিভে গিয়েছে। তাই আপাতোতো আর বেচে থাকার কোনো ইচ্ছা আমার জাগছে না। হারিয়ে ফেলেছি আমি আমার সকল ইচ্ছা। সকল দুঃখ কষ্ট থেকে আমি মুক্ত হতে চাই। হ্যা মুক্ত হতে চাই আমি।
* * *
সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে বাপ্পী উঠে যায় জানালার কাছে। ক্যাভিনটা কিছুদিন হলো নতুন তৈরী করা হয়েছে। জানালায় হয়তো গ্রিল দিতে ভুলে গিয়েছে তারা। বাপ্পীর জন্য এটা ভালো একটা সময় তার দুঃখ কষ্টকে দূর করা। সে আর ভুগতে চাই না কষ্টে। তার ছোট হৃদয় আর নিতে পারছে না এতো যন্ত্রনা। তাই তো সহজ পথ সে আজ বেছে নিচ্ছে।
সারা শরীরে যন্ত্রনা নিয়ে সে জানালা খুললো এবং লাফ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। বাইরে প্রচুন্ড আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। রাতের সময় সেই সাথে বর্জপাত, সময়টাকে অনেক ভয়ানক করে তুলছে। ছেলেটা প্রস্তুত হলো লাফ দেওয়ার জন্য। তার কোনো ভয় কিংবা যন্ত্রনা নেই আর। সব কিছু থেকে মুক্তি পাবে এই আশায় সে বিজয়ের একটা হাসি দিলো।
কিন্তু সব কিছু কি আর নিজের ইচ্ছা মতো হয়। পুরো অন্ধকারের মধ্য থেকে কালো একটা ফিগার বাপ্পীর সামনে চলে আসলো। পুরো শরীরে তার কালো কাপড় পরা। বাপ্পীর ক্ষনিকের সাহস মুহুর্তেই হারিয়ে গেলো। লোকটার অদৃশ্য চেহারার দিকে তার নজর না। বরং সে তাকিয়ে আছে কিভাবে সেটা উড়ছে সেটা দেখতে পেয়ে। কালো ফিগারটা কথা বলতে শুরু করলো। এর মধ্যেই বাপ্পী জানালার উপর থেকে ভয় পেয়ে নিচে পরে গেলো। বাইরে কোথাও পরলো না, বরং ক্যাভিনের রুমের মধ্যেই।
-->>ওয়েল ইন্টারেস্টিং ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউকে এখানে দেখতে পাবো বলে আমি আশা করি নি। এই ইউনিভার্সে এসেছো কিভাবে বুঝতে পারছি না। যাইহোক সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমার নাম উইশ মেকার। এবং আমি তোমার যেকোনো তিনটা ইচ্ছা পূর্ন করতে পারবো। শুধু অমর হওয়ার ক্ষমতাটা দিতে পারবো না।
কালো পোষাকে ঢাকা উড়তে পারা ব্যক্তিটা হঠাৎ কথাটা বললো। আপাতোতো বাপ্পী লোকটাকে দেখেই ভয়ে আছে। সেই সাথে উপর থেকে পরার সাথে সাথে বাপ্পী তার মাথায় অনেকটা আঘাত পায়। যার কারনে সে সেন্সলেস হয়ে যায়।
বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিলো। হঠাৎ বৃষ্টির পানি গুলো কেমন জীবিত হতে শুরু করলো। প্রতিটা ফোটা এক এক করে জানালা দিয়ে হৃদয়ের শরীরের উপরে আসতে লাগলো। দেখতে দেখতে বেশ অনেকটা পানি হৃদয়ের শরীরের উপরে উড়তে লাগলো। যেটা নিচে পরে থাকা হৃদয়ের শরীরকে উপরে ভাসাতে শুরু করলো। হৃদয় তার চোখ খুললো। তবে এবার সেটা সাধারন রইলো না আর। চোখ থেকে সাদা আলো বের হতে শুরু করলো। আর তার উপরে ভাসমান পানির কনা গুলো হঠাৎ একটা ট্রিশুল এর রূপ নিয়ে নিলো। যেটা একা একাই কালো পোষাক দ্বারী লোকটার দিকে পয়েন্ট করে রইলো।
-->>এরকম পরিস্থিতি আশা করি নি। যাকে পানি ভালোবাসে তার থেকে আর কি বা আশা করা যায়।(উইশ মেকার)
উইশ মেকার তার একটা হাত বারিয়ে দিলো। হৃদয়ের কপাল বরাবর তার হাতটা পৌছে গেলো। যার সাথে সাথে সেখানে উজ্জ্বল একটা আলো তৈরী হলো।
* *
হৃদয় মনে হচ্ছিলো স্বপ্ন দেখছিলো। তার স্বপ্নে একজন লোক আসে তার কাছে।
-->>আমার নাম উইশ মেকার। তোমার তিনটা ইচ্ছা আমি পূর্ন করতে পারবো অমর করা ছাড়া।
এটাই বলেছিলো লোকটা তাকে। সো মৃত্যুকে জরিয়ে নেওয়ার থেকে হয়তো এখানে একটা চান্স নেওয়া যায় বলে হৃদয় বিশ্বাস করে। এটা কি ভালো হতো না তার জন্য যদি সে সাধারন একটা জীবন কাটাতে পারতো।
-->>তিনটা ইচ্ছা বললেন আপনি? সত্যি কি পূর্ন করতে পারবেন আপনি?(হৃদয়)
হৃদয় বাপ্পী অনেক কিছু করেছে তার জীবনে। কিন্তু কখনোই তার ডেসটিনিকে সে হারাতে পারে নি। কিন্তু যদি এবার গড তার প্রার্থনা শুনে থাকে তাহলে হয়তো একটা চান্স থাকবে। তাই তো সে তার ইচ্ছা চেয়ে নেই।
-->>আমি সাধারন একটা জীবন কাটাতে চাই, যেখানে আমাকে আমার চেহারা আমার শরীর নিয়ে ভাবতে হবে না। আপনি পারবেন এমন একটা জীবন দিতে আমাকে।(হৃদয়)
-->>ইউর উইশ স্যাল বি গ্রান্টেড। বাকি দুটো?
হৃদয় ভাবতে লাগলো সে আর কি চাইবে। আদৌও কি তার কোনো চাওয়া আছে আর। সে জীবনে সবচেয়ে বেশী কি চেয়েছে? শুধু তার এই অভিশপ্ত জীবনটা যেনো দূর হয়। তার কাছে তো তার চেহারায় অভিশপ্ত। তাহলে আর কি দরকার।
কিন্তু তখনি আস্তে আস্তে হৃদয়ের ঘুমাতে শুরু করলো। তার মনে হচ্ছিলো তার শরীরে অন্য কেউ ভর করতে শুরু করেছে। কিন্তু কে সে? হৃদয় ঘুমের মধ্যও থেকেও শুনতে পায় নিজের কন্ঠ। সে কিছু বলছে না, তবে তার মুখ একা একায় কথা বলছে।
-->>আমাকে কি আমার বাকি অংশের সাথে মিলিয়ে দিতে পারবেন।
হৃদয় বুঝতে পারলো না কে এই কথাটা বললো, তার মুখ থেকেই বের হচ্ছিলো, কিন্তু সে বলছে না তাহলে কি ঘুমের মধ্যেই কথাগুলো বলছে সে?
-->>ইউর উইশ স্যাল বি গ্রান্টেড। শেষ উইশ?(উইশ মেকার)
-->>অনেক কিছুই আছে চাওয়ার তবে আমি লোভি না। আমার শেষ ইচ্ছা হবে "সে" যেনো তার জীবনে কষ্ট না পায়। কার কথা বলছি হয়তো আপনি জানেন যেহেতু আপনি আমার আসল পরিচয় সম্পর্কে জানেন।(হৃদয়ের মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো এই কথাটা)
-->>ঠিক আছে সান অফ ক্রোনোস। তোমার তিন ইচ্ছা পূর্ন হবে।
উইশ মেকার হারিয়ে গেলো নিমিষেই। সব কিছু কিছুক্ষনের জন্য সাদা হয়ে রইলো।
-->>আমি আশা করছি অনেক সুন্দর একটা মুভি দেখতে পারবো। কারন সকল ক্যারেক্টার খুব সুন্দর করেই সাজিয়েছি আমি।
আওশাজটা মনে হলো সারা ইউনিভার্সে ছরিয়ে পরলো। আওয়াজের সাথে সাথে হাসপাতালের ক্যাভিনের রুমটার উজ্জ্বল আলোও কাটতে শুরু হলো। তবে সেখানে আর কেউ রইলো না। হৃদয় বাপ্পী নামক ছেলেটা কালো ফিগারের ব্যক্তিটার মতোই অদৃশ্য হয়ে গেলো।
[নোটঃ (সুপ্রিম বিয়িং পড়লে এর পরের কাহিনী বুঝতে পারবেন।)]
* * *
(ডিমনিক ফরেস্ট)
চারপাশ দিয়ে চেইনের টিমকে ডিমনিক বিস্ট ঘিরে ধরেছিলো। একটা ভুল পদক্ষেপ এবং তাদের এখানেই যাত্রা বন্ধ করতে হতো। তাই লিডার চেইন চাচ্ছিলো এখান থেকে চলে যেতে। তবে তখনি অবিশ্বাস্য কিছু হলো। একটা আনডেড বিস্ট তাদের সামনে আসে। প্রথমে সবাই ভয়ে থাকে যে স্ক্যালেটন বিস্টটা তাদের আক্রমন করবে, কিন্তু পরক্ষনেই তাদের ধারনা পাল্টে গেলো।
আনডেডটা তার স্পিডের মাধ্যমে এক একটা ডিমনিক স্পাইডারকে খুব অনায়াসেই হত্যা করতে পারছিলো। সেটার ধারালো নক গুলো প্রতিটা স্পাইডারের চোখের মধ্যে ঢুকতে লাগলো এবং ছিড়ে বের হতে লাগলো। স্পাইডারের কালো রক্তে পুরো জায়গাটা ভরতে শুরু করলো। চেইনের টিমের প্রায় সবাই এই অবস্থা দেখে অনেকটা অবাক এবং ভয় পেয়েছে। কারন এটা যদি তাদেরকে আক্রমন করে তাহলে ভালো কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না।
"আপাতোতো এটাই আমার জন্য যথেষ্ট।"(এলেক্স ভাবছে)
এলেক্স তার স্ক্যালেটন বিস্টটাকে ফিরিয়ে নিলো। কারো সাথে সন্দেহ না হয় তাই বিস্টটা প্রথমে সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে গেলো। চারিদিকে স্পাইডার ওয়েব দিয়ে আটকানো থাকায় কিছুটা সহজ হয়ে গেলো তার জন্য। স্ক্যালেটন টা তার হাতের ধারালো নক দিয়ে ওয়েব কেটে বেরিয়ে গেলো। তার নিচে কালো পানির মতো তৈরী হলো। যেটার মধ্যে সে ঢুবে যেতে লাগলো।
ত্রিশটার উপরে ডিমনিক স্পাইডার হত্যা করেছে সেটা। যেটা তার জন্য যথেষ্ট। কথায় আছে না বেশী লোভ করা ঠিক না। আপাতোতো এলেক্স একা হলে একটাও হয়তো রাখতো না।
স্ক্যালেটন এবং নিজের হত্যা করার মধ্যে পার্থক্য আছে। নিজ থেকে ডিমনিক বিস্ট হত্যা করলে যতটা এক্সপি পয়েন্ট পাওয়া যায়, তার থেকে অর্ধেক পাওয়া যায় স্ক্যালেটন আর্মির সাহায্যে করালে।
"আমার মনে হয় বাকি অর্ধেক আমার স্ক্যালেটন এর লেভেল বৃদ্ধি করে। তবে এরকম কিছু আমি এখনো দেখি নি।"(এলেক্স ভাবছে)
এলেক্স অন্য কিছু করার আর সময় পেলো না। তার কাজ এখানে হয়ে গিয়েছে। তারপরও যেহেতু বাকি কিছু স্পাইডার ছিলো এখানে তাই তার টিম মেম্বার গুলোও সতর্ক হয়ে গেলো।
-->>আমি জানি না ঔটা কি ছিলো। তবে আমাদের সাহায্য করেছে। আমার মনে হচ্ছে এখানে এর থেকেও বড় বিপদ আছে, তাই আমাদের সাবধান থাকতে বলেছে।
হঠাৎ লুবা মাঝ থেকে কথাটা বলে উঠলো। তার কথার সাথে সাথে টিমের বাকি সবাই ভয় পেতে শুরু করলো। তারা কিছুদিন পূর্বে হাইব্রিডের সামনে পরেছিলো। ভয় এবং ক্ষমতাহীন বোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় তাদের ছিলো না। মিও তাদের টিমে থাকায় তখন তারা বেঁচে ফিরতে পেরেছে, তবে সব সময় কি আর এক রকম হয়।
-->>আমরা আর এখানে থাকছি না। মাইরা তুমি তোমার ফায়ার ম্যাজিক দিয়ে একটা রাস্তা তৈরী করো ঔ ওয়েব গুলো পুরিয়ে। আমরা এখান থেকে বেরিয়ে যাবো। আশে পাশেই মা স্পাইডার আছে তাই এই এরিয়া থেকে চলে গেলে তারা আর আমাদের হামলা করবে না।(চেইন)
চেইনের আদেশ মাত্রই টিমের সবাই প্রস্তুত হয়ে গেলো। মাইরা বড় একটা "ফ্লেইম" স্পেল ব্যবহার করলো। যেটা এক জায়গার অনেকটা স্পাইডার ওয়েবকে পুরিয়ে দিলো। সবাই সেদিক দিয়ে এই জায়গাটা ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।
বেশিক্ষন লাগলো না তাদের জায়গাটা ত্যাগ করতে। সেটা আরো পূর্বে করলে হয়তো ভালো হতো। দ্বিতীয় জোনের শক্তিশালী ডিমনিক বিস্টের মধ্যে রয়েছে এই স্পাইডারগুলো। সাধারন ফক্সের থেকে অনেকটা শক্তিশালী হয়ে থাকে এরা। সবাই অনেকটা অবাক যে একটা স্ক্যালেটন বিস্ট কিভাবে এতোগুলো ডিমনিক স্পাইডারকে হত্যা করতে পারলো। বিশেষ করে চেইন এবং লুবা বেশী অবাক হলো।
"আমি কখনো এতো শক্তিশালী স্ক্যালেটন দেখি নি।"(লুবা ভাবছে)
"আমার জানা মতে আনডেড গুলো কোনো কিছু ভাবতে পারে না। তবে আনডেড বিস্টটাকে দেখে মনে হচ্ছিলো সেটার নিজস্ব কোনো চিন্তা ভাবনা ছিলো। স্পাইডারের আঘাত গুলো মনে হচ্ছিলো নিজ চিন্তায় এরিয়ে যাচ্ছিলো। আমি এতো ভয়ানক আনডেড এর কথা টাওয়ারে কখনো শুনি নি। তার শরীরের এনার্জিও আহামরি ছিলো না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো ঔটার সাথে ফাইট করলে আমি হেরে যাবো।(চেইন ভাবছে)
চেইন এবং লুবা দুজনেই তাদের চিন্তায় ব্যস্ত। তবে এতো চিন্তার মাঝেও তারা হাটা বাদ দিচ্ছে না। কিছুক্ষন পরেই রাত হবে, তাই তাদের অনেকটা দূরে গিয়ে ক্যাম্প তৈরী করতে হবে যদি না স্পাইডারদের খাবার হতে না চাই।
অন্যদিকে এলেক্স সবার সাথেই হেটে যাচ্ছে। সে কোনো কথা বলছে না। মুখ থেকে তৃপ্তির একটা হাসি বেরিয়ে আসলো। তার সামনে একটা প্রজেকশন তৈরী হয়েছে। যেখানে তার নতুন একটা স্কিলের নাম রয়েছে। সে তার স্ক্যালেটন আর্মি স্কিল ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন একটা স্কিল পেয়েছে। যেটা একটু পূর্বেই ব্যবহার করেছিলো।
""
স্কিলঃ কানেকশন
হোস্ট এই স্কিলের মাধ্যমে তার ডাকা আনডেড এর মধ্যে কানেকশন তৈরী করতে পারবে। হোস্ট চাইলো নিজের ইচ্ছা মতো কানেকশনকৃত আনডেডকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে। হোস্টের কাছে অনেকটা মনে হবে সে তার নিজের শরীরই কন্ট্রোল করছে, তবে মূলত সে তার স্ক্যালেটনকে কন্ট্রোল করতে পারবে নিজ ইচ্ছায়।
শর্তঃ হোস্ট এক সময়ে মাত্র একটা আনডেড এর সাথে কানেকশন তৈরী করতে পারবে।
কুলডাউনঃ এক ঘন্টা।
""
এলেক্স পিছনের কথা মনে করার চেষ্টা করতে লাগলো। স্ক্যালেটন ফক্সটা যখন সে ডেকেছিলো তখন এই স্কিলও ব্যবহার করেছিলো। তার কাছে অনেকটা মনে হয়েছিলো সে স্ক্যালেটন ফক্সের শরীরে ঢুকে গিয়েছিলো।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন। আর ভুল ত্রুটি তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। যাতে ভালো লেখতে পারি।