আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ৭৯

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:৭৯

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.

{প্রধান চরিত্রে}

হাই আমি এলেক্স, অবশ্য এটা আমার বর্তমান নাম নয় আবার অতীতের নামও নয়। এক সময় আমি হৃদয় নামে পরিচিত ছিলাম আমার ওয়ার্ল্ডে। তারপর মৃত্যুর মুখে পরার মাধ্যমে আমি অন্য একটা ওয়ার্ল্ডের মধ্যে একটা এলেক্স রূপে রেইনকার্নেট হয়েছিলাম। যদিও আমার জীবনটা ভালোই কাটছিলো সব কিছু মিলিয়ে, তখনি আমি একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। যা আমাকে অন্য এক ব্যক্তির জীবনে নিয়ে এসেছে। এটা বাস্তব কোনো বিষয় ছিলো না, শুধু এমিয়াস নামক ব্যক্তির পার করা অতীত ছিলো। যা আমি তার শরীরেই প্রবেশ করে অনুভব করছিলাম। বিষয়টা অনেকটা একটা ভিডিও গেমসের মতো, যার মধ্যে আমার নিজস্ব কোনো চিন্তা ভাবনা কাজ করবে না। প্রোগ্রামাররা যেভাবে এটাকে বানিয়েছে আমাকে সেভাবেই এটাকে শেষ করতে হচ্ছিলো। 

এক সময় আমি ভেবেছিলাম আমার থেকে দুর্ভাগা কেউ ছিলো না। বাবা, মা ছাড়া একটা পরিবেশে বড় হয়েছিলাম তারপরও নিজের কষ্টে পছন্দের একটা জব পেয়েছিলাম। একসময় সেই জবটাও হারিয়েছিলাম। আর শেষ মেষ তো ভালোবাসার মানুষ, আমার স্ত্রীর থেকে পেয়েছিলাম বিশ্বাসঘাতকতা। সত্য বলতে এমিয়াসের চরিত্রটা প্রথম দেখার পর আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম। তার লাক্ যে এতোটা থাকবে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারি নি। একটা চিন্তা আমার মাথায় তখন আসছিলো, "যদি আমি সেই লাক্ নিয়ে আমার পূর্ব ওয়ার্ল্ডেই জন্ম গ্রহন করতাম, তাহলে কি এতো কষ্ট আমার করতে হতো?" 

অবশ্য আমি এমিয়াসের লাক্ নিয়ে চিন্তা করেছি কিন্তু এমিয়াস এই লাক্ কিভাবে পেয়েছে এটা নিয়ে চিন্তা করি নি। আজ আঠারো বছর হলো আমি এমিয়াসের অতীত নিয়ে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছি। ঠিক দশ বছর যখন ছিলো এমিয়াসের তখন আমি তার এই ড্রিম ওয়ার্ল্ডের মধ্যে প্রবেশ করেছি। যেখানে আমি তার শরীরের মধ্য থেকে যা ইচ্ছা করতে পারি, তবে ভাগ্য কিংবা কোনো ইভেন্টকে চেঞ্জ করতে পারি না। যা হয়েছিলো তার সাথে সেটা হচ্ছে আর তার সবটায় আমি ফিল করে যাচ্ছি। আঠারো বছর অনেক বড় একটা সময়, যদিও এটা একটা স্বপ্ন ছিলো তারপরও আমি এমিয়াসের সাথে অনেক ভালো করে কানেক্ট হতে পেরেছি। সে কেমন ছিলো এবং কেনো ছিলো সবই এখন আমার মুঠোর মধ্যে। সব কিছু ঠিক থাকলেও একটা জিনিসেই শুধু সমস্যা। সমস্যাটা একদম ছোট নয়। আমার দেখা এই পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমস্যা এটায়। আমি মনে করতাম আমার থেকে আনলাকি কেউ হয়তো ওয়ার্ল্ডে ছিলো না। তবে এমিয়াসের শরীরে আঠারোটা বছর কাটানোর পর আমার ধারনা পুরো বদলে গেলো। এমিয়াসের এই সময়ে তার কোনো পাওয়ারই ছিলো না। সে একজন সাধারন মানুষ ছিলো একটা সাধারণ পৃথিবীতে। অবশ্য তার শরীরে থেকেই বুঝেছি সেটা আমারই পৃথিবী ছিলো। তবে কিছুটা পার্থক্য ছিলো। এমিয়াস যে সময়ে জন্ম নিয়েছিলো সেটা আমার সময়ের থেকে অনেক অনেক ভবিষ্যতে ছিলো। ভবিষ্যতের সময় যেখানে টাওয়ার অফ স্লোথ হিস্টরি হয়ে রয়েছে। টাওয়ার অফ স্লোথ প্রায় দুইশত বছর পূর্বে প্রথম দেখা দিয়েছিলো। এবং সেই টাওয়ারকে কিছু লিজেন্ডারি হিরো ক্লিয়ার করার মাধ্যমেই মানব সমাজ শান্তির মুখ দেখতে পেরেছিলো। টাওয়ার ক্লিয়ার করার ফলে অধিকাংশ মানুষই কিছু না কিছু গিফট পেয়েছিলো। টাওয়ারের সাথে ম্যাজিক হারিয়ে গেলোও মানুষ তার থেকেও বড় গিফট পেয়েছে। সুপার ন্যাচারাল এবিলিটি, যা মানব সমাজকে আরো এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। প্রায় ব্যক্তিই তাদের এবিলিটি আনলক করেছে এবং সেগুলো নিয়ে হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বা হয়েছে। কেউ কোনো স্পেল ছাড়ায় তাদের শরীর দিয়ে আগুন তৈরী করে, কেউ বাতাসকে নিয়ন্ত্রন করে, কেউ আবহাওয়াকে, কেউ পানিকে, কেউ মেটালকে, কেউ আলো তৈরী করতে পারে, আবার কেউ অন্ধকার তৈরী করতে পারে, কেউ মেডিসিন ছাড়ায় চিকিৎসা করতে পারে, কেউ সুপারম্যানের মতো উড়তে পারে, আবার কেউ তার পান্স দিয়ে একটা বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে পারে, কেউ আলোর বেগে দৌড়াতেও পারে। সব মিলিয়ে বলা চলে মানুষ এখন আর স্বাভাবিক নেই। আর এতো অসাধারণ মানুষের মাঝে একজন সাধারণ মানুষ ছিলো এমিয়াস। যার ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিলো একজন হিরো হওয়ার। 

অসাধারণ মানুষগুলো তাদের এবিলিটি আনলক করার পর দুটো রাস্তা বেছে নিয়ে থাকে। হয়তো হিরো হবে নাহলে ভিলেন। ভিলেনরা ধ্বংসাত্মক কাজ করে থাকে, আর সেখানে হিরোদের কাজ সাধারণ মানুষদের রক্ষা করা এবং ভিলেনদের হারানো। এমিয়াসের জীবনটা ছোট থেকেই তেমন ভালো না হলেও তার স্বপ্ন সব সময় অটুট ছিলো। সে একজন হিরো হবেই। আর সেটার জন্য তাকে তার এবিলিটি আনলক করতে হবে। এবিলিটি কেউ বা কারো সাহায্যে আনলক হয় না। এটা একটা গিফট যেটা শুধু কিছু সংখ্যক ব্যক্তিই পেয়ে থাকে যারা চোজেন হয়। কেউ এবিলিটি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে তো কেউ পনেরো বছরের মধ্যেই আনলক করে ফেলেছে। সেখানে এমিয়াসের বয়স এখন আঠাশ, তবে এখনো সে কোনো এবিলিটি আনলক করে নি। অবশ্য এই সময়ে হয়তো সে ডিপ্রেশনে ছিলো, তবে এই এবিলিটি বিষয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেই। আমি তো চাচ্ছিলাম এই স্বপ্নটা দ্রুত শেষ হোক এবং আমি আমার আসল জায়গায় ফেরত গিয়ে লেভেল আপ করি। তবে আঠারো টা বছর একজন হয়ে কাটানোর পরে তার কিছু স্বভাব তো আমার মাঝে থেকে যাওয়ার কথায়। তাই মনের ভিতরে একটু হলেও সেই হিরো হওয়ার আশাটা রয়েছে আমার। তবে সেই আশাটা আমার, মানে এমিয়াসের খারাপ ভাগ্যের জন্য মাটি চাপা পরে আছে।

হয়তো সবাই অবাক হবে, তবে এমিয়াস যার লাক্ এতোটা শক্তিশালী যে কোনো মনস্টারকেও হত্যা করতে হয় না তাকে, মনস্টার আপনাআপনি মারা যায় তার সামনে, সেই এমিয়াস অতীতে সারা বিশ্বের সবচেয়ে আনলাকি ব্যক্তি ছিলো। আর তার অতীতকে আমি আঠারো বছর এক্সপেরিয়েন্স করার পর এটা বুঝতে পেরেছি যে সৃষ্টিকর্তা তাকে কোনো কিছু দেওয়ার জন্য তৈরী করেন নি। বরং তার ডেস্টিনিই ছিলো সব কিছু হারানো


* * * * *

এমিয়াস বসা ছিলো তার সোফার উপরে। পুরো বাসার অবস্থা তেমন ভালো না। ছোট একটা ভাঙা বাড়ি যার মধ্যকার সমস্ত জিনিসপত্রও ভাঙা। ছাদের বিভিন্ন অংশ ফুটো হয়েছে যা দিয়ে পানি ঝর ঝর করে পরে। তার ভাগ্য এতোটা খারাপ যে প্রতিবার বৃষ্টি নামলে তার বাসার উপরেই বর্জপাত পরে। এতো খারাপ ভাগ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিবারই সে বেঁচে যায় কোনো রকমে। যেহেতু এমিয়াসের ভিতরে এলেক্স রয়েছে এবং পুরো জিনিসটা সে স্বপ্নের মধ্যে এক্সপেরিয়েন্স করছে তাই সে চাইলেই এই স্বপ্নটাকে চেঞ্জ করতে পারবে। তবে তাতে সে এই জায়গা থেকে বের হতে পারবে না। তাকে এই জায়গা থেকে বের হতে হলে ইভেন্টের সাথে সাথে তাল মেলাতে হবে। যেখানে এমিয়াস যে জিনিসটা করেছে তাকেও সেটা করতে হবে। কোনো কারনে এলেক্স সে জিনিসটা করতে না পারলে এলেক্সের সেই দিনের দিনটা আবারো প্রথম থেকে শুরু হবে এবং এলেক্সকে সেই ভাবে করতে হবে যেভাবে এমিয়াস করেছিলো। প্রথমে এলেক্সের এডজাস্ট হতে সমস্যা লেগেছিলো। তখন প্রতিটা কাজ করার পরও এলেক্স আবারো দিনের শুরুতে পৌছে যেতো। তবে এক/দুই বছর এমিয়াসের চরিত্রে থাকার ফলে সে বুঝে গিয়েছিলো এমিয়াসের চিন্তা ভাবনাকে। এবং কোনো ইভেন্টে সে কি করতে পারে সেটা এলেক্সের মুখস্ত হয়ে গিয়েছিলো। এক কথায় সে পুরো এমিয়াস হয়ে গিয়েছে এবং তার আনলাকি জীবনটা এক্সপেরিয়েন্স করতে শুরু করেছে।

এমিয়াস উঠলো তার ভাঙা ছেড়া সোফা থেকে। উঠার সাথে সাথেই তার সোফার পায়া ভেঙে গেলো এবং সেটা মাটিতে পরে গেলো। 

-->> আবারো? এটা দিয়ে কয়বার হলো? (এমিয়াস)

এলেক্স বিরক্ত হয়ে গিয়েছে এই জীবন থেকে। সে কখনো কল্পনাতেও চিন্তা করে নি এমিয়াস এরকম একটা জীবন পার করবে তার জীবনে। যদিও এলেক্স এখান থেকে চিৎকার করে পালিয়ে যেতে চাচ্ছে, তবে তার এখানে কিছু করার নেই। স্বপ্নটায় তাকে এমিয়াসের পুরো কাহিনী শেষ করতে হবে। ভাঙা সোফাকে এক সাইডে রেখে দিয়ে এমিয়াস হাটতে শুরু করলো। তবে সে এক পা বারাতে যাবে তখনি কালকে রাতে ফেলে রাখা খাবারের সসের উপরে পা রাখার ফলে পিছলা খেয়ে পরে গেলো। মাজায় প্রচন্ড ব্যথা পেলো এমিয়াস।

-->> মানুষ কোনো আশ্চর্যকর বিষয় দেখলেই প্রথমে চিমটি কাটে নিজের শরীরে এটা দেখার জন্য যে সে স্বপ্ন দেখছে না কি বাস্তব। স্বপ্ন দেখলে চিমটিতে সে ব্যথা পাবে না। কিন্তু আমার এই স্বপ্নটা মাঝে মাঝে আমার স্বপ্ন মনে হয় না। এমন মনে হয় আমি বাস্তবেই আছি। (এমিয়াস)

এমিয়াস উঠলো ব্যথা পাওয়া কোমর নিয়ে। সে তার রুমের দরজাটা টান দিতে যাবে এমন সময় দরজাটার লকের হাতল খুলে তার হাতে চলে আসলো। দরজা লক করা ছিলো আর লকের হাতল যেটা দিয়ে সে লক খুলবে সেটাই তার হাতে। যার অর্থ তাকে আবারো জানালার গ্লাস ভাঙতে হবে। সময়টা পূর্বের মতো নয়। যদিও এমিয়াস তেমন বড়লোক নয় তারপরও প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চালিয়ে নেওয়ার মতো সামর্থ্য তার রয়েছে। তাই তো সে কোনো কিছু চিন্তা না করেই জানালা ভেঙে তা দিয়ে লাফ দিলো। হিরোর মতো একটা এন্ট্রি নিতে চাইলেও তিন হাত উচু জানালা থেকে ধপাস হয়ে মাটিতে পরে গেলো সে। অনেক লজ্জাজনক একটা সিন তৈরী হলো এখানে। 

-->> যাক বাসা থেকে বের হয়েছি। আমার আরেকটা আনলাকি দিন শুরু হলো আজকে। (এমিয়াস)

এমিয়াস আবারো উঠলো এবং জামা কাপড়ে থাকা ময়লা গুলো মুছে হাটতে শুরু করলো। বাইরের আবহাওয়াটা সে একবার ভালো করে দেখতে লাগলো। প্রথম প্রথম এমিয়াসের স্বপ্নে এলেক্স আসার সময় বিশ্বাসই করতে পারে নি যে এটা পৃথিবী। অবশ্য বিশ্বাস হবেই বা কিভাবে। চারপাশে ভবিষ্যতের উচু উচু উন্নত মানের বিল্ডিং, প্রতিটা বিল্ডিং এর মাঝে আবার থ্রিডি মডেল রয়েছে, যা টিভির মতো কাজ করে। আকাশ দিয়ে ট্রেইন চলে যা কল্পনাও করা যায় না। অবশ্য আকাশ দিয়ে উড়ে না, বরং ইনভিজিবল রেইল ট্রাক রয়েছে যার উপর দিয়েই ট্রেইন চলাচল করে। তাছাড়া গাড়ি আকাশ দিয়ে উড়ছে এখন। সেই সাথে যেসব মানুষ ফ্লাইট এবিলিটি আনলক করেছে তারাও পাখির মতো উড়ে বেরাচ্ছে আকাশ দিয়ে। সব মিলিয়ে জায়গাটা কল্পনার বাইরে। যদিও এটা একটা সুন্দর জায়গা তারপরও এটা এমিয়াসের জন্য নয়। অবশ্য বর্তমান এমিয়াসের নয়। এমিয়াসের অতীত হওয়ার কারনে এমিয়াস এই জীবনটা পার করেছে। তবে এলেক্স মোটেও চাই না আরেকটা দিন এখানে থাকতে। তবে অনেক বছর পার হওয়ার পর সে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছে এই সব কিছু শেষ না করে সে এখান থেকে বের হতে পারবে না। অবশ্য এলেক্স এমিয়াসের জীবনটা থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা পেয়েছে। এমিয়াসের জীবনটা হয়তো খারাপ ভাগ্যের জন্য বাঁচার মতো একটা জীবন ছিলো না। কিন্তু এমিয়াস যে সময়ে রয়েছে সেটা অনেক কাজে লেগেছে এলেক্সের জন্য। একজন ফর্মার প্রোগ্রামার হওয়ার সুবাধে ভবিষ্যতের জ্ঞান দিয়ে সে আরো বেশী কিছু শিখতে পেরেছে।

এমিয়াস অনেক কিছু ভাবছিলো। ভাবতে ভাবতে সে হাটছিলো রাস্তার পাশ দিয়ে। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। যদিও পুরো সিটি অনেক পরিষ্কার একটা জায়গা তারপরও এমিয়াসের বাসাটা একটু রুরাল সাইডে হওয়ার ফলে এখানের রাস্তার উপরে বেশ কিছু জায়গায় পানি জমে থাকে। এমিয়াস হাটছিলো তার মনের চিন্তা নিয়ে। এমন সময় একটা গাড়ি তার পাশ দিয়ে গেলো। পথের মধ্যে পানি থাকাতে সেই পানি ছিটকে এসে এমিয়াসের গায়ে লাগলো। সে ভিজে গেলো রাস্তার পানি থেকে। যদিও পানিটা পরিস্কার ছিলো তারপরও এটা অনেক লজ্জাজনক একটা বিষয়। এই সময়ে কাউকে পোষাক নিয়ে ভাবতে হয় না। কারন তারা যেকোনো সময়েই পোষাক চেঞ্জ করতে পারে। টেকনোলজি এতোটা উন্নত হয়েছে যে হাতের ছোট একটা রিং এর মধ্যে দশ থেকে বারোটা ড্রেস এমনিতেই রাখা যায়। তবে সমস্যা হলো এমিয়াসের কেনা প্রতিটা রিং ই সে তার খারাপ ভাগ্যের জন্য হারিয়ে ফেলেছে। অবশ্য তার ভাগ্যটা এতোটা খারাপ যে, তার আশেপাশের মানুষগুলোও সেটার সাথে ইফেক্ট হয়ে আনলাকি হয়ে যায়। তাইতো পুরো সিটির মধ্যে এমিয়াস খুব পরিচিত একজন ব্যক্তি। যার কাছে কেউই যেতে চাই না।

-->> ওয়েল এটা এখন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। (এমিয়াস)

এমিয়াস তার গন্তব্য পথে রওনা দিলো। এই টা আজ তার সাথে প্রথম হলো না। আজকের দিনটা সে একবার শেষ করার চেষ্টা করেছিলো। তবে ছোট একটা ভুল করার জন্য আবারো দিনের শুরু থেকে তাকে শুরু করতে হয়েছে। তাই এমিয়াস তার সময় নষ্ট না করে বাকি আনলাকি ফ্যাক্ট গুলোকে একসাইডে রেখে চলে গেলো সেন্ট্রাল হসপিটাল যেখানে এমিয়াসের নতুন একটা ইভেন্ট সংঘঠিত হতে যাচ্ছে। এটা দিয়ে তার দ্বিতীয় ট্রাই। আর এবার এটাকে শেষ করতেই হবে তাকে।

হসপিটালের মধ্যে এমিয়াস প্রবেশ করলো। ভিতরে একটা মেয়ের সাথে দেখা করতে হবে তাকে। মেয়েটা এমিয়াসের গার্লফ্রেন্ড। যার সাথে পাঁচ বছরের সম্পর্ক তার। ছোট একটা এক্সিডেন্টের জন্য হসপিটালে এসেছে আর এজন্যই সে মেসেজ দিয়েছিলো এমিয়াসকে। এমিয়াস হয়তো খুব স্বাভাবিক ভাবেই এখানে এসেছিলো এবং তার গার্লফ্রেন্ডের বলা কাজে রাজি হয়ে গিয়েছিলো, তবে এলেক্স তার সম্পূর্ন বিপরীত করেছিলো তাই তো আজ সকালে তাকে আবারো শুরু করতে হয়েছে।

-->> আমার মনে হচ্ছে আমার ইতি তারাতাড়িই হতে যাচ্ছে। (এমিয়াস)

এমিয়াস রূপি এলেক্স আজকের ইভেন্টটা আরো একবার এক্সপেরিয়েন্স করেছিলো। যার জন্য সে জানে একটু পরই তার মানে এমিয়াসের গার্লফ্রেন্ড তার থেকে তার জীবনের সবচেয়ে দামী একটা জিনিস চাইতে যাবে। আর এলেক্স যদি ইভেন্টকে এমিয়াসের কৃত কাজ মতো সম্পূর্ণ না করে তাহলে এই স্বপ্নের মধ্যে চিরকালের জন্য আটকে যাবে। তাই তো সে তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এমিয়াসের গার্লফ্রেন্ড সারাহ, যে অনেকটা এলেক্সকে তার স্ত্রীর কথা মনে করিয়ে দেই, শত চেষ্টা করে সে তার রাগ কন্ট্রোল করে আছে। একটা ট্রাই এর মধ্যে সে এই সারাহ কে হত্যা করে ফেলছিলো, তবে ফলস্বরূপ সেই দিনটা আবারো প্রথম থেকে শুরু করতে হয়েছে তাকে। সিস্টেমের বলা পেনাল্টি এটাই ছিলো। তাকে স্বপ্নটা থেকে বের হতে হলে গল্পের স্ক্রিপ্ট মতোই চলতে হবে। আর এখানের স্ক্রিপ্টটা কি সেটা এলেক্স ধরতে পেরেছে।

-->> এতো লেট হলো কেনো তোমার? তুমি জানো আমি কতক্ষন অপেক্ষা করেছি তোমার জন্য? (সারাহ)

ডক্টরের কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো সারাহ, যে এমিয়াসকে দেখার সাথে সাথেই কথাটা বললো। এমিয়াস সারাহ এর সামনে এসে দাঁড়ালো। তখনি পাশ থেকে একজন নার্স মেডিসিন টেবিল নিয়ে যাচ্ছিলো। টেবিলটা হাইটেক হওয়ার জন্য সেটা হাওয়ার মধ্যে ভাসছিলো। টেবিলের সাথে এমিয়াস অনেক গুরুতর একটা ধাক্কা খেলো। যার কারনে সে গিয়ে পরলো সারাহ এর উপরে।

-->> ইউউউ, কি তোমার সাথে এগুলো? ময়লা নোংরা পানি নিয়ে এখানে কেনো আসছো? (সারাহ)

-->> আচ্ছা বাদ দাও, যেটার জন্য তোমাকে এখানে ডেকেছি। আজকে সকালে আমার মুখ দিয়ে ব্লাড পরেছে। যার কারনে আমি ডক্টরের কাছে এসেছিলাম। তবে ডক্টর যা বলছে তাতে মনে হয় না আমি আর তোমার সাথে থাকতে পারবো? (সারাহ)

-->> মানে? (এমিয়াস)

সারাহ একটা কাগজ এমিয়াসের দিকে তুলে দিলো। যেটার মধ্যে তার মেডিকেল রিপোর্ট ছিলো।

-->> হার্ট ক্যান্সার! (এমিয়াস)

-->> হ্যাঁ এমি, আমার জীবন তোমার সাথে হয়তো এখানেই শেষ। (সারাহ)

সারাহ যে এমিয়াসের সাথে পাঁচ বছর হলো সম্পর্কে একসাথে আছে। এমিয়াসের ভাগ্যের ব্যাপারে সারাহ খুব ভালো করেই জানে। দুজনের মধ্যে ভালোবাসাটা মিথ্যা কোনো বিষয় ছিলো না। তবে সেই সত্য ভালোবাসার ভিতরেও এলেক্স কিছুটা ফাদ দেখতে পেয়েছে। 

"ভালোবাসা মানেই একজনকে তার জীবন হারাতে হবে। তাই তো এই ফিলিংস গুলো আমার মাঝে আর নেই।" (এলেক্স ভাবছে)

এমিয়াসের এখানে কি করতে হবে তা এলেক্স ভালো ভাবেই জানে। তাই সে সারাহ এর সাথে সময় নষ্ট না করে ভিতরে প্রবেশ করলো। ডক্টরের কেবিনের মধ্যে একজন কম বয়স্ক ডক্টর বসে ছিলো। যে সারাহ এর রিপোর্ট তৈরী করে দিয়েছে। এমিয়াস এই ব্যক্তির সাথে কথা বলতে শুরু করলো।

-->> মিস্টার এমিয়াস, আপনি হয়তো জানেন মিস সারাহ এখন কোন অবস্থায় আছে। যেহেতু তার অবস্থা খুবই মারাত্মক তাই আমি তার সামনে এসব কথা বলতে পারি নি। তার কাছে বেশী সময় নেই। (ডক্টর)

-->> কিছু কি করা যাবে না ডক্টর? কোনো ভাবে বাঁচানো যাবে না ওকে? (এমিয়াস)

-->> হয়তো যেতো যদি এটা দুইশত বছর পূর্বের কোনো কাহিনী হতো। তবে যেহেতু মিস সারাহ একজন এবিলিটি ইউজার, তাই তার হার্ট ক্যান্সারের উপরে কোনো থেরাপি কাজ করবে না। (ডক্টর)

-->> কোনো উপায় কি তাহলে নেই? (এমিয়াস)

-->> আছে, তবে সেটা হয়তো আপনাদের জন্য অসম্ভব। একজন B- ব্লাড যুক্ত ব্যক্তির হার্ট যদি মিস সারাহ এর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় তাহলে সে বেঁচে যেতে পারবে। তবে সমস্যা হলো এই সময়ে হার্ট ডোনেট করার মতো ব্যক্তি পাওয়া যায় না। (ডক্টর)

এমিয়াস এখানে কিছুক্ষন স্থির রইলো। সে আজকের একটা ট্রাই এর মধ্যে এই পর্যন্ত এসেছিলো এবং এখানে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছিলো। একটা মেয়ের জন্য এলেক্স তার প্রথম জীবনে মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিলো। তাই দ্বিতীয় বার সেই ভুল করতে রাজি ছিলো না। 

"তবে আমাকে এই স্বপ্ন থেকে বের হতে হলে এই জায়গা থেকে বের হতেই হবে।" (এলেক্স ভাবছে)

-->> ডক্তর আমার ব্লাড B-, তাই আমার হার্টটা আপনি সারাহ এর হার্ট দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন। (এমিয়াস)

-->> মিস্টার এমিয়াস, একবার ভেবে দেখুন। এটা কিন্তু অনেক রিস্কি একটা বিষয়। আপনি মারা....

-->> ডক্টর আমি জানি আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। তবে আমার এই জীবনটায় আমি সব সময় আনলাকি একটা ব্যক্তি ছিলাম। হয়তো আমার আনলাকি ছোয়ার মাধ্যমে সারাহ এর এই অবস্থা। আর ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের চোখের সামনে তো চলে যেতে দিতে পারি না। (এমিয়াস)

এই সময়ে হয়তো এমিয়াস অনেক বড় বড় ইমোশনাল ডাইলগ মেরে দিতো, তবে এলেক্স সেগুলো ভুলে গিয়েছে। তাই ছোট করে যা বলার ছিলো তা বলে দিয়েছে। বাইরে সারাহ দাঁড়িয়ে ছিলো। সে আজ সকালেই শুনতে পেয়েছিলো তার জীবনের ইতি ঘটতে যাচ্ছিলো। মেজাজ কটকটে ছিলো তার। তাই তো এমিয়াসের সাথে তার ব্যবহারটা তেমন ভালো ছিলো না। একজন আল্ট্রা হেয়ারিং এবিলিটি ইউজার হওয়ার ফলে ভিতরে কি হচ্ছিলো সেটা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলো সে। চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি পরে গেলো তার। যদিও সে চাচ্ছিলো এমিয়াসকে বারন করতে, কিন্তু তার মুখ দিয়ে সেই কথা বের হবে না। নিজের জীবনের মায়া হয়তো সবারই থাকে, আর যে মেয়ের বাবা-মা হীন আরো দুটো ছোট বোন রয়েছে দেখার জন্য তাদের রেখে তো সারাহ মরতে চাচ্ছে না। তাইতো সে কোনো কথা বলে নি। চোখের পানি মুছে নিলো এবং এমিয়াসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

"তাহলে হয়তো আমি এই সাফারিং থেকে মুক্ত হতে পারবো। যেহেতু এখনো দিনের শুরুতে পৌছায় নি তাই বলা যাচ্ছে আজকের ইভেন্ট সম্পূর্ণ হয়েছে। আমি শীঘ্রই ঘুম থেকে উঠতে পারবো" (এলেক্স ভাবছে)


* * * * *

এক সপ্তাহ পরে,

সারাহ এর অপারেশন হয়েছে। সে এখন সুস্থ। তার হার্ট ক্যান্সার আর নেই। যদিও সে নতুন একটা হার্ট পেয়েছে তারপরও অনেক মূল্যবান একটা জিনিস হারিয়ে ফেলেছে। একটা চিঠি তার হাতের মধ্যে ছিলো। চিঠিটা এমিয়াসের ছিলো। 

"প্রিয় সারাহ,

আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাতে আমি মোটেও পরিত্যক্ত বোধ করছি না। বরং আমি যে তোমার একটা অংশ হতে পেরেছি এটাই আমার কাছে অনেক। হয়তো তোমাকে স্পর্শ বা দেখতে পারবো না। তারপরও তোমার ভিতরে থেকে আমি তোমাকে সব সময় অনুভব করতে পারবো। যদিও শেষটা চেয়েছিলাম অন্যভাবে। তারপরও তুমি তো জানো আমার থেকে আনলাকি কোনো ব্যক্তি এই ওয়ার্ল্ডে নেই। তবে চিন্তা নিয়ো না, একদিন আমি তোমার কাছে ফেরত আসবোই। হয়তো একদিন, দুদিন আমার বেশ কিছু বছরও লাগতে পারে। তবে কথা দিলাম আমি তোমার কাছে একদিন আসবোই। সেদিন তোমাকে আমার করে নিবো চিরদিনের জন্য। শেষ বার বলতে চাই, আই লাভ ইউ

ইতি,
এমিয়াস"

এটাই ছিলো চিঠিতে লেখা। এলেক্স যে এতোদিন এমিয়াসের জীবনটা এমিয়াসের শরীরের মধ্য থেকে নিজের মতো এক্সপেরিয়েন্স করছিলো সে এলেক্স এখন থার্ড পার্টি হয়ে দেখেছ সবকিছু। ঠিক যেমনটা সে বিলজবাবের স্বপ্ন দেখেছিলো। এমিয়াস তার হার্টকে দান করার পর থেকেই এলেক্স থার্ড পার্টি হয়ে গিয়েছে। সে পুরো কাহিনীটা খুব স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছে এখন। এমিয়াস যে মারা গিয়েছিলো তার থেকে কোনো কিছু এখনো এলেক্স দেখতে পারি নি। শুধু মাত্র সে সারাহ এর একটা সিন দেখতে পারছিলো। যেখানে সারাহ চিঠিটা হাতে নিয়ে অনেক কান্না করছিলো। চিঠিটা এলেক্স নিজে লেখে নি। হার্ট প্রতিস্থাপন করার পর এলেক্স এমিয়াসের শরীরে থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো যেখানে এমিয়াস হার্ট ক্যান্সার যুক্ত সারাহ এর হার্ট নিয়ে নিজের মতো সময় কাটিয়েছে। এই সময়টা এলেক্সের জন্য পুরো ব্ল্যাঙ্ক ছিলো। পুরো সিটির মধ্যে এমিয়াসের মৃত্যুর খবর ছরিয়ে পরেছে। যদিও সে এখনো হার্ট ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে আছে লোকজনের আড়ালে। এই চিন্তায় যে একদিন সে সুস্থ হবে এবং ফিরে যাবে সারাহ এর কাছে। সারাহ এর চিঠির সিন চেঞ্জ হলো এবং এলেক্স পৌছে গেলো সম্পূর্ণ নতুন একটা জায়গার মধ্যে। একটা রিসার্চ ইনস্টিটিউট যেখানে এমিয়াসের উপরে বিভিন্ন রকমের রিসার্চ করা হচ্ছে। মূলত এমিয়াস একজন এবিলিটি ইউজার না। তাই তার উপরে ক্যান্সারের থেরাপি ব্যবহার করলেই সে সুস্থ হয়ে যেতো। তবে ফ্রি চিকিৎসা পেয়ে থাকে হিরো এবং তাদের পরিবার গুলো। যেহেতু সারাহ একজন হিরো ছিলো, তাই সে ফ্রি ট্রিটমেন্ট পেয়েছে। কিন্তু এমিয়াস সেই সুযোগ পাবে না। যদি সারাহ এর সাথে তার বিবাহ হতো তাহলে আরেক কথা ছিলো। কিন্তু বর্তমানে তার থেরাপির জন্য তাকে যেতে হয়েছে এক সময়ে নিজের কাজ করা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মধ্যে। যেখানে নিজেকে একটা ল্যাব র‍্যাট বানানোর বিনিময়ে সে পাচ্ছিলো ক্যান্সারের থেরাপি গুলো। এই এক সপ্তাহ এমিয়াসের সাথে কি হয়েছে এলেক্স সেটা জানে না, তবে সে এটুকু জানে যে যেটা হয়েছে সেটা মোটেও ভালো কিছু ছিলো না। আজকেও এমিয়াসের উপরে একটা পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। টেস্টের মূল বিষয় ছিলো কিভাবে এমিয়াসের আনলাকি টাকে ব্যবহার করা যায় এবং সেটাকে আরো শক্তিশালী করা যায়। বিজ্ঞানী গুলো এমিয়াসের ব্যাডলাক্ দিয়ে নতুন একটা এবিলিটি তৈরী করার পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাকে তারা অস্ত্রের মতো ব্যবহার করতে পারবে। বেশ কিছু মেশিনের মধ্যে এমিয়াসকে রাখা হয়েছে। সিরিঞ্জ দিয়ে বেশ কিছু তরল তার শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে। তেমন আহামরি টেস্ট করা হয় নি এমিয়াসের উপরে এখনো। তবে আজকের টেস্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যা হয়তো বিজ্ঞানীদের সাকসেস বানিয়ে দিতে পারতো। তবে এমিয়াসের ব্যাড লাক্ কে তারা ছোট করে দেখেছিলো। পুরো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মধ্যে সর্ট সার্কিট দেখা যায়। যার ফলে পুরো ইনস্টিটিউট লক ডাউন মুডে চলে যায়। টেস্ট ল্যাবের মধ্যে যেখানে এমিয়াসের শরীরের উপরে পরীক্ষা করা হচ্ছিলো সেখানের যন্ত্রপাতি গুলোতেও সর্ট সার্কিট হয় এবং প্রবল আকারের বিদ্যুৎ তৈরী করে তারা। বিদ্যুৎ এর মাত্রা এতোটা বেশী থাকে যে সেটা ল্যাবের মধ্য থাকা প্রতিটা কেমিক্যাল কে একত্র করে একটা ভোর্টেক্স তৈরী করে। যার থেকে বর্জপাত বের হতে শুরু করলো। প্রতিটা বর্জপাতে ল্যাবের মধ্যে থাকা এমিয়াস বাদে সবাই মারা গেলো। এমিয়াস না মরলেও ভোর্টেক্সটা এমিয়াসকে তার মধ্যে নিয়ে গেলো। ভোর্টেক্সের মধ্য দিয়ে এমিয়াস তার বর্তমান সময়কে পার করলো এবং টাইম ট্রাভেল করলো। এমিয়াস পৌঁছে গেলো এমন একটা সময়ের মধ্যে যেটা সে নিজেই জানে না। সে এমন একটা জায়গার মধ্যে পৌঁছে গেলো যেটাও সে জানে না কোথায়। তবে একটা জিনিস সে দেখতে পারছিলো, তা হলো সে মারা যাচ্ছিলো। ভোর্টেক্সের মধ্য দিয়ে টাইম ট্রাভেল করে সে এমন একটা সময়ে এসেছে যা হয়তো তার জীবনের প্রথম ভালো একটা ভাগ্য ছিলো। 

-->> চাইল্ড, আমি তোমার একটা ইচ্ছা পূর্ণ করে দিবো। কি চাও তুমি? 

এমিয়াসের সামনে একটা কালো পোষাকে ঢাকা ব্যক্তি কথাটা বললো। এলেক্স সব কিছু থার্ড পার্টি হয়ে দেখছিলো। এই কালো ব্যক্তিটাকে এলেক্স তার দেখা বিলজবাবের অতীতেও দেখেছিলো। তাই সঠিক একটা আন্দাজ করতে পারছে এরপরে কি হয়েছে।

-->> আমি মরতে চাই না। (এমিয়াস)

-->> হ্যাঁ তুমি মরবে না। তুমি আবারো নতুন করে জন্ম নিবে, তবে এটা তোমার ইচ্ছা নয়, কারন আমি তোমাকে আবার সেই সুযোগটা দিবো। আমি শুধু জানতে চাই তোমার ইচ্ছাটা কি? (কালো পোষাকে ব্যক্তিটা)

-->> আমি,  আমি ওয়ার্ল্ডের সব থেকে লাকি ব্যক্তি হতে চাই। (এমিয়াস)

-->> তুমি আজকের পর থেকে একজন ডিম্যান হয়ে জন্ম নিবে। আর তোমার নাম হবে এসমোডিয়াস।

কালো পোষাক পরিহিত ব্যক্তিটা এমিয়াসের মাথার উপরে হাত দিলো এবং সাথে সাথে কালো এনার্জি এমিয়াসকে ঘিরে ধরলো। যা থেকে এমিয়াসের পুরো শরীর হারিয়ে গেলো। সে রেইনকার্নেট হলো একজন ডিম্যান হয়ে, ডিম্যান প্রিন্স এসমোডিয়াস।


(৩৪০৪ শব্দ)


* * * 

To Be Continued

* * * 

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

3 comments

  1. Emiyas tahole ekjon demon hoye gelo jak ebar khela jombe .ebar alex tar full power use korte parbe asha kora jay amiyas er luck er karone alex er character o effect a ashbe tar o luck barbe.onek valo laglo sesher dike pore.
    Porer parter jonno opekkhay roilam❤️❤️
  2. Wow, toba amar monahoy alex aibar amias er power valo vaba use korta parba....
  3. বর্জ না ভাই, বজ্রপাত হবে।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.