আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১১৯

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:১১৯

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
       সময়টা অনেক পূর্বের।

অবশ্য কখনকার সময় এটা এলেক্স সঠিক বলতে পারছে না। তবে অনেক অনেক পূর্বের সময় হবে এটা। যেহেতু এলেক্স এক এক করে ইউনিভার্সের এমন সব বিয়িং দের দেখছিলো যাদের পূর্বে কখনো দেখে নি, বা তাদের সম্পর্কে কোনো রকম ধারনাও এলেক্সের ছিলো না তাই এলেক্স তাদের পাওয়ার সম্পর্কে তেমন ক্লিয়ার ধারনা পেলো না। যায়হোক আসল পয়েন্টে আসা যাক। যেহেতু এলেক্স তার সাইড ক্যারেক্টারের অতীত দেখতে পাচ্ছিলো তাই ইউনিভার্সের সকল বিষয় সম্পর্কে এলেক্স জানতে পারছিলো না। বরং সেই ক্যারেক্টারের সম্পর্কিত যেসব বিষয় ছিলো তার সব কিছু সম্পর্কে এলেক্স অবগত হচ্ছিলো আস্তে আস্তে। 

স্যামুয়েল, দ্যা আর্কএঞ্জেল একজন এঞ্জেল ছিলো যে হ্যাভেনলি কিং এর সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধার মধ্যে একজন ছিলো। সবচেয়ে শক্তিশালী এবিলিটি এন্টিম্যাজিক নিয়ে জন্ম হওয়ার কারণে তার প্রাইড ছোট থেকেই অনেক বেশী ছিলো। আর এই প্রাইডই তাকে বাকি এঞ্জেলদের থেকে আলাদা এবং শক্তিশালী করেছে। যেহেতু হ্যাভেনে শুধুমাত্র একজন রুলারই থাকতে পারবে এবং সে হলো হ্যাভেনলি কিং তাই হ্যাভেনে অবস্থানকৃত কোনো ব্যক্তিই হ্যাভেনলি কিং এর আদেশের বিপক্ষে যেতে পারবে না। এটাই হ্যাভেনের সবচেয়ে বড় একটা নিয়ম। স্যামুয়েল আস্তে আস্তে এতোটা শক্তিশালী হয়ে যায় যে তার প্রাইড আর তাকে হ্যাভেনলি কিং এর কোনো আদেশ মানতে দিতে চাচ্ছিলো না। ঠিক তখনি হ্যাভেন এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের মধ্যে অনেক বড় একটা যুদ্ধ শুরু হয়। আন্ডারওয়ার্ল্ডের শক্তিশালী রুলাররা সেখানে থাকা সকল সউল হ্যাভেনে নিক্ষেপ করে দেই যার কারণে অনেক বড় ধ্বংসের তৈরী হতে থাকে। পরিস্থিতি হ্যাভেনের জন্য একদম ভালো যাচ্ছিলো না। ঠিক সে সময়ে বিশাল ডাইমন্ডের একটা প্যালেসের মধ্যে স্যামুয়েল দাঁড়িয়ে ছিলো তার গোল্ডেন কালারের ডানা নিয়ে। স্যামুয়েলের সামনে একজন ব্যক্তি ছিলো যার চেহারা এলেক্স দেখতে পারছিলো না। হয়তো সে ব্যক্তির পাওয়ার এলেক্সের ধারনার বাইরে এজন্যই এলেক্স চেহারা দেখতে পারছিলো না এটাই ভাবছিলো মনে মনে। 

স্যামুয়েল দাঁড়িয়ে ছিলো হ্যাভেনলি কিং এর সামনে যেখানে সে কোনো রকম সম্মান দেখাচ্ছিলো না হ্যাভেনলি কিং কে। হ্যাভেনলি কিং এর চেহারা না দেখার কারনে এলেক্স বুঝতে পারছিলো না কিরকম এক্সপ্রেশন ছিলো হ্যাভেনলি কিং এর। তবে একজন রাজার মতোই সিংহাসনের উপরে পায়ের উপরে পা তুলে বসে ছিলো হ্যাভেনলি কিং। 

[স্যামুয়েল, আমি তোমাকে সব কিছু দিয়েছি। শক্তি, পজিশন এমনকি তোমার প্রাপ্য সম্মান। তারপরও আমি ভাবি নি তুমি আমাকে এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।] 

হ্যাভেনলি কিং এর ভারী কন্ঠ এলেক্স শুনতে পারলো। সে পুরো সিনটা দেখে আসছে স্যামুয়েলের পিছনে থেকে। কত বছর সময় পার হয়েছে? এক হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার নাকি এক লক্ষ বছর? এলেক্স সঠিক ভাবে জানে না তবে স্যামুয়েলের জীবনি দেখতে দেখতে সে অনেকটা সময় পার করে দিয়েছে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যাবে ৮ থেকে ১০ ঘন্টার একটা ঘুমের মধ্যে এলেক্স বিশাল বড় একটা স্বপ্ন দেখেছে। যাইহোক হ্যাভেনলি কিং এর কথায় স্যামুয়েলের শুধু একটা উত্তর ছিলো,

-> এই যুদ্ধটা আপনার ভুলের জন্য তৈরী হয়েছে। সেখানে আমি কিংবা আমরা হ্যাভেনের বাসিন্দারা কেনো অকারণে নিজেদের জীবন হারানোর জন্য যুদ্ধ করবো। এই পর্যন্ত যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে তার মধ্যে সবই তো আপনার লোভ কিংবা বোর হয়ে যাওয়ায় ইন্টারেস্টিং কিছু করার জন্যই তৈরী হয়েছে। আপনার এই সব ভুলের কারণে আপনার কতগুলো সাবজেক্ট মারা গিয়েছে তাদের একজনের নামও কি আপনি মনে করতে পারবেন এখন? তাহলে আমাকে বলেন, আমি যে এতো গুলো ব্যক্তির লিডার হয়ে এই যুদ্ধে প্রবেশ করবো। সেখানে একজন ব্যক্তি জীবন হারালে তাদের পরিবার সারাজীবনের জন্য আমাকে দায়ী মনে করবে তাদের মৃত্যুর জন্য। আমার প্রাইড এগুলো নিবে কিভাবে? (স্যামুয়েল)

[তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো তোমার প্রাইডের কারণে তুমি আমার আদেশ অমান্য করে যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশ করবে না এবং হাজারো হ্যাভেনের যোদ্ধা এবং অগণিত বাসিন্দাদের মৃত্যু দেখতে চাও? তুমি কি ভুলে গিয়েছো তোমার জন্ম কেনো হয়েছে?]

হ্যাভেনলি কিং বিশাল একটা গর্জন করে কথাটা বললো। তার কথার সাথে সাথে পুরো প্যালেসটা কেঁপে উঠলো। তবে স্যামুয়েল শান্ত মনে বলতে লাগলো,

-> আমি জানি আমার জন্ম কেনো হয়েছে। যতদিন আমার পিঠে এই ডানা রয়েছে, ততদিন আমি হ্যাভেনের একজন গোলাম এবং আমার কাছে কোনো রাইটই নেই হ্যাভেনলি কিং এর আদেশ অমান্য করার। তবে আমার প্রাইড আমাকে আর হ্যাভেনের অপকর্ম করতে দিচ্ছে না। জাস্টিসের নামে যে অন্যায় কাজ গুলো করছে হ্যাভেন সেটা আর আমি নিতে পারছি না। তাই আজ এই মুহুর্তে আমি আমার ডানা ত্যাগ করছি। (স্যামুয়েল)

স্যামুয়েল কথাটা বলার সাথে সাথে তার দুই হাত দিয়ে তার পিছের দুটো ডানা টান দিয়ে পিঠের জায়গা থেকে ছিঁড়ে বের করে ফেললো। যা থেকে ব্লাড পুরো ঝর্ণার মতো বের হচ্ছিলো। প্রথমে হ্যাভেনলি কিং চুপ থাকলেও এবার সে জোড়ে শব্দে করে হাসতে শুরু করলো।

[তোমার প্রাইড তোমাকে এক্সব্লকের সবচেয়ে বড় বোকা ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছে স্যামুয়েল। একজন ফলেন এঞ্জেল এর জায়গা যে আন্ডারওয়ার্ল্ডে হয় এটা নিশ্চয় বুঝতে পারছো। যেহেতু তোমার এঞ্জেল পাওয়ার এখন আর নেই তাই আমিও দেখতে চাচ্ছি আন্ডারওয়ার্ল্ডে তোমার শত্রুদের মাঝে তুমি কিভাবে থাকো। আর যদি ভেবে থাকো তোমার অভাবে হ্যাভেন দুর্বল হয়ে যাবে তাহলে সেটা তোমার সবচেয়ে ভুল ধারনা। এঞ্জেলদের মধ্যে এমন একজন রয়েছে যে এখন আমার পাওয়ার ব্যবহার করতে পারে। তাই তোমার জায়গা নিতে তার বেশী সময় লাগবে না।]

কথাটা হ্যাভেনলি কিং হাসতে হাসতে বললো। হ্যাভেনলি কিংকে খুব ভালো করেই চিনে স্যামুয়েল। তাইতো সে জানে এখান থেকে খুব সহজে সে যেতে পারবে না। তারপরও স্যামুয়েল পিছনে ফিরে প্যালেস থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।

[এই প্যালেস থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে পুরো ইউনিভার্স তোমাকে নতুন একটা রূপে দেখবে। তখন আর তোমাকে কেউ স্যামুয়েল রূপে দেখবে না। বরং তুমি হয়ে যাবে হ্যাভেনের বিশ্বাসঘাতক এবং একজন ফলেন এঞ্জেল। আর আমার হ্যাভেনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা মানে তার মৃত্যুকে লিখে রাখা আমার হাতেই। তবে আমি তোমাকে হত্যা করবো না। বরং তোমার জীবনটা আরো বেদনাদায়ক করে তুলবো আমি আমার নিজ হাতে।]

স্যামুয়েল আর প্যালেস থেকে নিজ পায়ে বের হওয়ার সুযোগ পেলো না। সেখান থেকেই তাকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের উপরে নিক্ষেপ করে দিলো হ্যাভেনলি কিং। নিজের এঞ্জেল ডানার সাথে একজন এঞ্জেলের সকল পাওয়ার হারানোর ফলে স্যামুয়েল একজন সাধারণ মানুষের মতোই ছিলো। তার স্পেশাল এবিলিটি এন্টি ম্যাজিকও কোনো রকম কাজ করছিলো না। আন্ডারওয়ার্ল্ডের শত শত ডিম্যান এবং ডেভিলদের সউলের মধ্যে স্যামুয়েল একা পরে ছিলো। কত বছর সেখানে পার হয়েছে সে নিজেও জানে না। কোনো রকম পাওয়ার ছাড়া একটা সাধারণ শরীর নিয়ে একের পর এক সউলের সাথে ফাইট করতে হয়েছে স্যামুয়েলকে। যেহেতু সে একজন ফলেন ছিলো তাই একবার কারো হাতে মারা গেলেই তার সউল ধ্বংস হয়ে যাবে যেটা তাকে ভয়েডে পাঠিয়ে দিবে, যেখান থেকে ফেরত আসার কোনো সুযোগই আর থাকবে না তার জন্য। তাই প্রতি দিন, প্রতি ঘন্টা, প্রতি মিনিট এমনকি প্রতিটা সেকেন্ড স্যামুয়েলকে নিজের জীবনটা বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করতে হয়েছে। সে লড়াই করতে করতে এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌছালো যেখানে তার শক্তি তার এঞ্জেল থাকা অবস্থার থেকেও বৃদ্ধি পেলো। কিন্তু দিন রাত কোনো বিশ্রাম এবং খাবারের অভাবে ফাইট করতে থাকার কারণে তার লাইফ এনার্জি খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। 

ডিম্যান এবং ডেভিলদের সউলদের সাথে ফাইট করতে করতে স্যামুয়েল এতোটা শক্তি অর্জন করেছিলো যে এখন আর কোনো সউলই তার সাথে ফাইট করতে আসতো না। স্যামুয়েল তার পূর্বের সময়ের থেকেও বেশী শক্তি অর্জন করে ফেলেছে। কিন্তু এতো শক্তি দিয়ে লাভ কি হবে? কারণ নিজের এঞ্জেল পরিচয় ত্যাগ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত সে কোনো কিছু খাওয়ারই সুযোগ পায় নি। এতো দিন তো সে জীবিত ছিলো এবং ফাইট করার সুযোগ পেয়েছিলো শুধুমাত্র নিজের লাইফ এনার্জির কারণে। যেটাও শেষের দিকে ছিলো। এখন মৃত্যু তার থেকে কয়েক মুহুর্তের দূরত্বে ছিলো। যেহেতু আন্ডারওয়ার্ল্ডে তার সউলের পরিবর্তে পুরো জীবিত শরীরই ছিলো এবং একজন ফলেন এঞ্জেল হওয়ার ফলে সে মারা গেলে তার জায়গা হ্যাভেন কিংবা আন্ডারওয়ার্ল্ড কোনোটাতেই হবে না। সে মারা গেলে কালো অন্ধকার ভয়েডের মধ্যে চলে যাবে। ঠিক সে জায়গায় যেখান থেকে সে সহ সব কিছু তৈরী হয়েছিলো।

-> তাহলে মনে হচ্ছে এটাই আমার শেষ সময়। (স্যামুয়েল)

স্যামুয়েল একটা লাভার নদীর উপরে শুয়ে ছিলো। তার শরীর এতোটা শক্তিশালী হয়েছে যে লাভা তার কাছে শুধুমাত্র হালকা গরম পানি ছাড়া আর কিছু ছিলো না। সে লাভার মধ্যে শুয়ে থেকে নিজের বয়স হিসেব করার চেষ্টা করছিলো। 

-> কত বছর হয়েছে? এক লক্ষ, দুই লক্ষ? আমি সঠিক মনে করতে পারছি না। হয়তো অনেক বেশী সময় বেঁচেছি। কিন্তু তারপরও আমার মরতে কেনো ইচ্ছা করছে না? (স্যামুয়েল)

ঠিক সেই সময়েই স্যামুয়েলের সামনে একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হয়। এলেক্স যেহেতু স্যামুয়েলের পিছনে ছিলো তাই সে তাকে দেখা মাত্রই চিনতে পারলো। এটা সেই ব্যক্তি যে তার পূর্বের স্বপ্নে দেখা বিলজবাব এবং এমিয়াসের কাছে এসেছিলো। লোকটা সম্পূর্ণ কালো পোষাকে ঢাকা ছিলো। অবশ্য সেটা কালো পোষাক ছিলো না। বরং কালো ধোঁয়া পুরো শরীরকে পোষাকের মতো ঢেকে রেখেছিলো।

[মনে হচ্ছে তোমার অবস্থা বেশী ভালো যাচ্ছে না এখানে। অবশ্য হ্যাভেনেও তোমার অবস্থা তেমন ভালো না। তোমার সম্মান, তোমার মর্যাদা সব কিছুই সেখানে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সবাই স্যামুয়েলকে এখন এক নামেই চিনে, সে হ্যাভেনের বিশ্বাসঘাতক যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাহায্য নিয়ে হ্যাভেনের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষান করেছে এবং হ্যাভেনলি কিং তাকে শাস্তি দেওয়ার কারণে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আটক করে রেখেছে।]

স্যামুয়েল তার শেষ অবস্থায় ছিলো। তার মন খারাপ হয়ে গেলেও তার এখানে কিছু করার নেই। তাইতো মুখে হালকা একটা মুচকি হেঁসে সে বলতে লাগলো,

-> অন্তত এখানে তো আমি বলতে পারছি যে সম্মানের সাথে মারা যাচ্ছি। (স্যামুয়েল)

এলেক্স স্যামুয়েলের পিছনে ছিলো। সে স্যামুয়েলের চেহারা দেখেই বুঝতে পারছিলো এখানে স্যামুয়েলের মনোভাবটা কিরকম ছিলো। আর এলেক্স এটাও জানে এখানে স্যামুয়েলের সামনে কেউ একটা সুযোগ দিলে সে কি করবে। কারণ এই অবস্থায় এলেক্সের সামনেও কেউ সুযোগ দিলে এলেক্স একদম একই কাজই করতো।

[আমি যদি তোমাকে একটা সুযোগ দেই তাহলে কি করবে?] 

এলেক্স কথাটা একদম মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো। যেখানে সে এখনো এই কালো ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানে না। সেখানে স্যামুয়েল এখনি তার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছিলো। এজন্য এলেক্স প্রস্তুত ছিলো না।

-> তাহলে কি আমার এমন অবস্থা হয়েছে যেখানে এখন আমাকে স্বয়ং ডিম্যান কিং এর থেকে সাহায্য নিতে হবে। এটা তো আমার সম্মানে অনেক বড় আঘাত হানবে। (স্যামুয়েল)

স্যামুয়েলের মুখ থেকে ডিম্যান কিং কতাটা শুনতে পেরে এলেক্স অনেকটা অবাক হলো। এতোদিন সে শুধু সেই ব্যক্তিকে উইশ মেকার নামেই চিনতো। তবে সে যে স্বয়ং ডিম্যান কিং হবে সেটা কোনো ভাবেই এলেক্স বুঝতে পারে নি।

[যদি বলি আমি তোমাকে একটা ইচ্ছা চাওয়ার সুযোগ দিবো। অমর হওয়া বাদে যেকোনো ইচ্ছা আমি পূর্ণ করে দিবো, তাহলে কি করবে?]

-> ইচ্ছা? আমার তেমন কোনো ইচ্ছা নেই। তবে যদি ডিম্যান কিং স্বয়ং আমাকে একটা সুযোগ দিতে চাচ্ছে সেই সাথে তার নিজের লাইফ এনার্জি ব্যবহার করতে চাচ্ছে আমার উপরে তাই তার সম্মানের জন্য আমি তো এই সুযোগটা নিতে পারি। অবশ্য এই হ্যাভেনলি কিং এর বিনাশটাও আমাকে দেখতে হবে আমার নিজ চোখে। (স্যামুয়েল)

[তাহলে কি হ্যাভেনলি কি এর বিনাশটাই তোমার ইচ্ছা?]

-> না না এটা তো একান্ত আমার কাজ হবে। যদি আমি নাও করতে পারি তাহলে এমন কাউকে তৈরী করবো যে আমার হয়ে কাজটা করতে পারবে। আর যদি আমার ইচ্ছার কথা বলি, তাহলে আমার একটা নাম প্রয়োজন হবে। যেহেতু স্যামুয়েল নামটায় এখন আর কোনো সম্মান বা প্রাইড অবশিষ্ট নেই। তাই আমার নতুন একটা নাম প্রয়োজন। নামটা এমন হওয়া দরকার যেটার সাহায্যে আমি শেষ সময়েও যেনো একটা নামের সাথে গর্বের সাথে মরতে পারি।। (স্যামুয়েল)

স্যামুয়েলের কথা শুনে ডিম্যান কিং কিছুটা অবাক হলো। কিন্তু তার অবাক হওয়া মুখ কিংবা এক্সপ্রশন তো দেখায় যাচ্ছিলো না। তবে হালকা শরীর কেঁপে উঠার ফলে এলেক্স বুঝতে পারলো সে অবাক হয়েছে একটুখানি। ডিম্যান কিং এবার স্যামুয়েলের মাথার উপরে হাত রাখলো এবং নিজের চোখটা বন্ধ করলো। একটা স্পেলের মতো কিছু একটা ব্যবহার করলো সেখানে। যেটা সম্পর্কে এলেক্স কিছুই জানে না। এরপরই ডিম্যান কিং বলতে শুরু করলো।

[লুসিফার, আজ থেকে তোমার নাম লুসিফার। আশা করি লুসিফারের ইচ্ছা পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে আমার আশাটাও পূর্ণ হবে।] 

ডিম্যান কিং কথাটা বললো। তার দিকে অবাক হয়ে এলেক্স তাকিয়ে ছিলো। পূর্বে তাকে এতো ভালো করে লক্ষ্য না করলেও এখন দেখেই যাচ্ছে এলেক্স। দেখার মূল বিষয় হলো এই স্বপ্নে এলেক্সের উপস্থিতি কারোরই অনুভব করার সম্ভব ছিলো না। এটা অনেকটা ফ্লাশব্যাকের মতো। যেটা শুধু এলেক্স দেখতে পারছিলো। তবে এলেক্সের মনে হচ্ছিলো তার সামনের কালো ধোঁয়ায় আটকে থাকা ব্যক্তিটা একদম তার দিকে তাকিয়ে ছিলো। যেটা মনের দিক দিয়ে ভয়ানক মনে হলেও এলেক্স এখানে অবাক হয়ে আছে।

      ❝এটা কি আদৌও সম্ভব। স্যামুয়েলের পিছনে থেকে আমি কতটা সময় পার করেছি সেটা আমি নিজেও জানি না। এতোটা সময় পর্যন্ত সে পর্যন্ত আমাকে অনুভব করে নি। এমনকি হ্যাভেনের রুলার পর্যন্ত আমার উপস্থিতি অনুভব করে নি। তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব। নাকি এটা আমার কোনো ভুল ধারনা।❞ 

এলেক্স এটাকে মনের ভুল ধারনা মনে করেছিলো। কারণ এটা কখনোই সম্ভব নয় যে এই স্বপ্নের মধ্যে কেউ তার উপস্থিতি অনুভব করবে। তাই তেমন গুরুত্ব দিলো না সে। অনেক সময় পার করতে করতে এলেক্সের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তাই সে আরো সময় অপেক্ষার জন্যও প্রস্তুত ছিলো। কারণ আসল জিনিসগুলো এখনি এলেক্স জানতে পারছিলো। স্যামুয়েলের জীবনি জানলেও সে লুসিফারের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। আর যেহেতু এই ব্যক্তি লুসিফার ছিলো তাই অবশ্যই তার সাথে দেখা করা লুসিফার সম্পর্কে জানার আগ্রহ এলেক্সের অনেক বছর ধরেই জেগে আছে। কিন্তু এলেক্সের এখানে কিছু করার ছিলো না। প্রতিটা চরিত্র ডিম্যান প্রিন্স হয়ে গেলেই এলেক্সের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। যেটা এমিয়াসের সাথেও হয়েছিলো। আর এইবার স্যামুয়েলের সাথেও একই বিষয় হলো।

(নোটঃ আমি দুঃখিত একটু কম ফ্লাশব্যাক দেখানো হয়েছে। কারণ বেশী দেখালে এক্সব্লক সম্পর্কে অনেক বড় বড় স্পয়লার হয়ে যেতো। অবশ্য এলেক্স যে দেখেছে, তা সময়ে সময়ে উল্লেখ করবো। যাতে স্পয়লার আটকাতে পারি)


* * * * * 

       টার্টেল ড্যানজন,

ড্যানজনের মধ্যে প্রায় ২৪ ঘন্টার মতো সময় অতিবাহিত করেছে এলেক্স ঘুমিয়ে। যেটা সে জাগ্রত হওয়ার পরে তার ক্ষুধার্ত পেটের অবস্থা দেখেই বুঝতে পারলো। প্রতিবার এলেক্স ফ্লাশব্যাক দেখলে ভিন্ন রকম কিছু একটা অনুভব করে। তার মাথা অনেকক্ষণ ব্যথা এবং ঘুরতে থাকবে যেটা সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে। অবশ্য এলেক্স বিষয়টা নিজেই জানে না। তবে তার স্বপ্ন গুলো দেখার মাধ্যমে তার মাইন্ডের পাওয়ার আরো অনেক শক্তিশালী হচ্ছিলো। এলেক্স যখন এই ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করে তখন তার মাইন্ডের পাওয়ার কম ছিলো এটা জিডুরী উল্লেখ করে। যেটা তার ম্যাজিক স্পেল এমনকি স্কিলেও প্রভাব ফেলে। অবশ্য সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করলে তাদের থেকে এলেক্সের মাইন্ড প্রায় দশগুন শক্তিশালী ছিলো। এটা কেনো? কারণ সে তার ওয়ার্ল্ড মানে পৃথিবীতে একজন প্রোগ্রামার ছিলো। কম্পিউটারে সারাদিন রাত বসে কাজ করলে যে কারো মাইন্ড পাওয়ারই বৃদ্ধি পাবে। অবশ্য তার মাইন্ড পাওয়ার মানুষের থেকে দশগুণ বেশী হলেও তার সিস্টেমের জন্য তার মাইন্ড একদমই দুর্বল ছিলো। তাই সেটা এলেক্সের নিজ গেমের সিস্টেমের মতো হলেও এলেক্স সব কিছু সঠিক করে মনে রাখতে পারে না। মনে রাখতে পারে না বলতে এলেক্সের কাজ করা গেমের সিস্টেমে আরো কি কি অপশন ছিলো এসব বিষয় সম্পর্কে এলেক্স এখন জানেই না। তবে এলেক্সের লেভেলের সাথে তার মাইন্ড পাওয়ার যত শক্তিশালী হতে থাকে ততই এলেক্স তার সিস্টেম সম্পর্কে জানতে থাকে। এমনকি এলেক্সের মাথায় এখন অনেক কিছুর স্মৃতি রয়েছে। বিশেষ করে এমিয়াসের জীবন, বিলজবাবের জীবন, একলিপ্সের জীবন আবার এখন লুসিফার বা স্যামুয়েলের জীবন। সব মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ বছরের স্মৃতি রয়েছে যেসব তার ব্রেইনের এক কোণায় পরে থাকলেও তার মাইন্ড পাওয়ার সে স্মৃতি অনুযায়ী অনেক অনেক দুর্বল হওয়ার কারণে অনেক কিছু সম্পর্কেই এলেক্স জানে না বা বলতে পারবে না সঠিক ভাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার বিষয়টা মনে পরবে এবং সে সেটা সম্পর্কে বলতে পারবে।

 বিষয়টা একটা মানুষের পড়ালেখা করার মতোই। একজন ছাত্র একটা মোটা বই মুখস্ত করলে এক মাস পরে, একটা পৃষ্ঠার কোনো একটা অংশ তাকে জিজ্ঞাসা করলে দেখা যাবে অনেক সময় সে সেটা ভুলে গিয়েছে। এরকম যদি সে ১০০ টা মোটা বই মুখস্ত করে তাহলে এক কিছুদিন পর দেখা যাবে সে একটা কিংবা দুইটা বই সম্পর্কেই ভুলে গিয়েছে। তবে পরে দেখা যাবে কিছু সময় কিংবা অনেক সময় পরে একটু একটু বা সম্পূর্ণই মনে আসবে। এলেক্সের মাইন্ডের বিষয়টাও ঠিক সেরকম।

অনেক হলো এলেক্সের মাইন্ড সম্পর্কে লেকচার দেওয়া, এবার আসল বিষয়ে ফেরা যাক। এলেক্স তার তৃতীয় ড্যানজনের দিকে রওনা দিচ্ছিলো সেটা থেকে বের হয়ে। বাইরে গার্ড থাকার কারণে সে খুব গোপনে নিজের এসাসিন স্কিল "স্টিলথ ব্যবহার করে গার্ডের মাঝ দিয়েই বের হয়ে গেলো কোনো রকম সমস্যা ছাড়া। এই স্কিলটা এলেক্সকে অদৃশ্য করে না সরাসরি। বরং তাকে তার এনার্জি লুকিয়ে রাখে লোকচক্ষুর আড়াল থেকে। এই সময়ে এলেক্স কোনো রকম শব্দ কিংবা কথা বললেই তাকে স্পষ্ট দেখতে পারবে যে কেউ। অবশ্য যাদের ইন্টেলিজেন্স বেশী তাদের উপরে এই স্কিল কোনো কাজেই দিবে না। বেশীরভাগ সময়ে অউরা ইউজারদের উপরেই কাজ করে এটা। 

       ❝যেহেতু একাডেমির টুর্নামেন্টের সময়ে এই দিকে আসা হয়েছিলো আমার। তাই আশে পাশের সব গুলো ড্যানজনের লোকেশন সম্পর্কে হালকা একটা ধারনা আছে আমার। যেহেতু তিনটার মতো ড্যানজনে পূর্বে প্রবেশ করেছিলাম। তাই নতুন একটা ড্যানজন খুঁজে বের করতে হবে।❞

এলেক্সের এজিলিটি তার থেকে দ্বিগুন লেভেলের একজন অউরা ইউজারের মতোই ছিলো। যদিও সে অন্যের স্ট্যাট দেখতে পারে না। তবে তার ক্যালকুলেশন অনুযায়ী ১০০ লেভেলের অউরা ইউজারের এজিলিটি ১০০ থেকে ১৫০ এর মাঝে থাকে। অনেক রেয়ার ব্যক্তিদের ২০০ কাছাকাছি হতে পারে। তাই সে পায়ে না হেটে একজন অউরা ইউজারের মতোই যাতায়াত করতে শুরু করলো। কিংডমের বাইরে অধিকাংশ জায়গা নিয়েই জঙ্গল। কিছুটা ঘন, কিছুটা মধ্যম এবং কিছুটা পাতলা জঙ্গল। এলেক্স এখন মধ্যম জঙ্গলের মধ্যে ছিলো। সেখানে থাকা গাছের উপরে উঠে এলেক্স একের পর এক গাছের ডালে লাফ দিয়ে সামনে যেতে শুরু করলো। মাটিতে দৌড়িয়ে বা হেঁটে যাওয়ার থেকে এভাবে যাওয়া দ্রুত হচ্ছিলো এমনকি এলেক্সের ট্রেনিংও হচ্ছিলো কিছুটা।

-> সামনে মনস্টার মনে হচ্ছে। (এলেক্স)

প্রথম ফ্লোরে ড্যানজন ব্যতীত বাইরেও অনেক সময় মনস্টার জন্ম নিয়ে থাকে। যাদের লেভেল তেমন বেশী হয় না। তবে সমস্যা হয় তাদের সংখ্যা নিয়ে। এলেক্স দূর থেকে মনে করেছে তাদেরকে মনস্টার। যেহেতু গাছপালা বেশী ছিলো তাই সে ভালো করে দেখতে পারে নি। কিন্তু একটু কাছে যাওয়ার পরই এলেক্স অবাক হলো কিছুটা। কারণ সে নিচে নিজের টিম মেম্বারদের দেখতে পারছিলো। অবশ্য সেখানে নিজের টিমে নয় এমন কিছু অপরিচিত মুখও ছিলো। যেটা এলেক্স আশা করে নি। এলেক্স এখনো গাছের উপরে ছিলো, তাই প্রায় সবাই তাকে দেখতে পারে নি। যেহেতু এলেক্সের সাব-জব এসাসিন তাই তার প্রতি পদক্ষেপে শব্দ অনেক কম হয়। উচ্চ লেভেলের সেন্স না থাকলে সরাসরি ফাইট না করলে বোঝা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। তবে মাইরাদের সাথে থাকা একজন ব্যক্তি যার মুখ একটা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিলো, সে হঠাৎ তার হাতে থাকা ধনুক শক্ত করে ধরে কাঁধে থাকা তীরের বক্স থেকে একটা তীর নিয়ে ধনুকের সুতো টেনে এলেক্সের দিলে এট্যাক করলো। মূলত একটা মনস্টার কিংবা এসাসিন এর কথা চিন্তা করেই সে এট্যাক করেছিলো। সাধারণ অস্ত্রের থেকে একটা তীরের স্পিড অনেক বেশী হয়। বেশীরভাগ সময় গুপ্ত এট্যাক করার জন্য ধনুক ব্যবহার করা হয়। একটা তীর বুলেটের থেকেও বেশী স্পিডে এলেক্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। তবে এলেক্স যেহেতু মেয়েটাকে ধনুক দিয়ে এট্যাক করা লক্ষ করেছে তাই সে পূর্ব থেকেই সতর্ক হয়েছিলো। তার সতকর্তার পরেও সে তীরটা থেকে একদম ভালো ভাবে সরে যেতে পারলো না। এলেক্স ডান দিকে সরে গিয়েছিলো শেষ সময়ে। তারপরও তীরের ধারালো ব্লেডের অংশটা এলেক্সের বাম গাল স্পর্শ করে চলে যায়। যেটা তার মুখে ছোট একটা কাট দিয়ে যায়। মেয়েটার এট্যাক করার পর পরই এলেক্স ডান দিকে বাকা হওয়ার সময় পিছলে নিচে পরে যায়। আর তখনি সবাই এলেক্সকে দেখতে পেলো। প্রথমত এলেক্সের টিমের মধ্য থেকে স্নেরা দৌড়িয়ে আসলো যে এলেক্সের উপরে একটা হিলিং স্পেল ব্যবহার করলো। আর এলিন তো তার হাতে একটা আইস স্পেয়ার বানিয়ে সোজা কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা মেয়েটার গলা বরাবর ধরলো।

-> এলিন শান্ত হও। আমরা কেউই জানতাম না এটা এলেক্স ছিলো। হয়তো এসাসিন মনে করে এট্যাক করেছে সে। (মাইরা)

গ্রুপের লিডার হওয়ার কারণে মাইরা সবাইকে শান্ত করে দিলো। এলেক্সের নিজের প্যাসিভ হিলিং স্কিল এবং স্নেরার স্পেলের সাহায্যে এলেক্সের ক্ষতের দাগ পর্যন্ত আর দেখা গেলো না। এলেক্স দাঁড়িয়ে ভালো করে দেখতে লাগলো। তার টিম মেম্বারের সাথে স্যাম, কাপড় পরা মেয়েটা, হেয়া এবং ক্রিস নাম ছেলেটা ছিলো। যদিও নতুন মেম্বার ছিলো টিমের মধ্যে, তারপরও পুরাতন দুজনকে দেখতে পারছিলো না এলেক্স। হ্যারি এবং এনরিকে দেখতে পারছিলো না।

-> তোমরা কোথায় যাচ্ছো? (এলেক্স)

কারোর সাথেই এলেক্সের অনেকদিন হলো কথা হয় না। তারা এলেক্সের সম্পর্কে একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছিলো, কিন্তু এলেক্স সে সুযোগ না দিয়ে নিজেই প্রশ্ন করে বসলো।

-> আমরা টাওয়ারের বাইরে যাচ্ছিলাম। প্রিন্স হ্যারি আমাদেরকে একটা পারমিট এনে দিয়েছে টাওয়ারের বাইরে ট্রেনিং করার। যেটার ছলনায় আমরা যাচ্ছি এনরিকে ফেরত আনতে তার ভাইয়ের হাত থেকে। (জেয়াব)

-> এনরিকে ফেরত আনতে মানে? (এলেক্স)

-> এলেক্স এটা অনেক দুঃখের কথা। আমার এনরি এতোদিন লুকিয়ে ছিলো। সে মূলত তোমাদের ভাবি, মানে আমার ভবিষ্যৎ বউ প্রিন্সেস এনরি। অবশ্য ভবিষ্যৎ হয় নি। তবে তোমাদের সাহায্য নিয়ে আমি একদম হিরোর মতো এন্ট্রি নিয়ে প্রিন্সেসকে তার ভিলেন ভাইদের থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবো। প্রিন্সেস আমার উপরে এতোটা ইমপ্রেস হবে যে আমাদের বিয়ে হয়ে যাবে। এরপর তুমি সবচেয়ে ছোট মামা হয়ে যাবে। (ডুফেস)

-> আসছে মটকু মিয়া প্রিন্সেসকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতে। নিজের চেহারা কখনো আয়নায় দেখছো? সে আবার হিরো হবে। হাহাহা। বেস্ট জোক্স অফ দ্যা ইয়ার। (হেয়া)

-> হ্যাঁ তোমার তো মনে মনে হিংসে হচ্ছে তাই না। আমার মতো হ্যান্ডসাম হিরো তোমাকে পছন্দ না করে প্রিন্সেস এনরিকে পছন্দ করেছে এতে তো হিংসে হওয়ারই কথা। জ্বলো আরো জ্বলো, বেশী বেশী করে জ্বলো।

-> ওর কথায় কান দিয়ো না। আমাদের দ্রুত যেতে হবে। জানি না এতোক্ষণে এনরির সাথে কি হচ্ছে। ওর ভাইয়ের অবস্থা তেমন ভালো না। তারা ক্রাউনের জন্য এনরির জীবন পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে রাজি হতে পারে। (মাইরা)

এলেক্স অনেকক্ষণ চুপচাপ ছিলো। সে ভাবছিলো কি একটা।

     ❝বাবা আর আম্মা বলেছিলো টাওয়ারের মধ্যে আমাদের দেখা হবে। কিন্তু ক্যাপিটালে এই পর্যন্ত তাদেরকে খুঁজে পেলাম না আমি। আমার মনে হচ্ছে তারা টাওয়ারে এখনো প্রবেশ করে নি। হয়তো মেফাসে গেলে তাদের সাথে একটু সাক্ষাত হবে। আমার জন্য হয়তো অনেকটা চিন্তিত তারা হয়ে আছেন।❞ (এলেক্স ভাবছে)

-> আমিও কি এই যাত্রায় অংশ নিতে পারি? (এলেক্স)

এলেক্সের কথায় সবাই কিছুটা অবাক হলো। যদিও তারা সবাই জানতো পথে এলেক্সের সাথে দেখা হলে এলেক্স যাইতে চাইবে কিন্তু এভাবে নয়। বরং কোনো কথা না বলেই এলেক্স তাদের সাথে যাবে। তাই এভাবে যে এলেক্স জিজ্ঞাসা করবে যাওয়ার জন্য সেটা কেউ আশা করে নি। বিশেষ করে টিম মাইরার সদস্যরা তো আশা করেই নি।

-> যেহেতু আমাদের টিমকে পারমিট দেওয়া হয়েছে। তাই টিমের মেম্বার হিসেবে কোনো সমস্যা হবে না তোমার। চলো যাওয়া যাক। (মাইরা)


* * * 

To Be Continued 

* * * 


কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

1 comment

  1. Onek bhalo laglo
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.