আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১২০

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:১২০

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
       টাওয়ার অফ গ্লাটোনি,

টাওয়ার অফ গ্লাটোনি, সাত ডিম্যান টাওয়ারের মধ্যে একটা। যেটা তৈরী করা হয়েছিলো ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্লাটোনি, বিলজবাবের ট্রেনিং এর জন্য। এই টাওয়ারের মধ্যে ডিম্যান প্রিন্স একের পর এক মনস্টার হত্যার মাধ্যমে শক্তিশালী হয়ে উঠে। যা এখন ব্যবহার হচ্ছে ডিম্যান প্রিন্স বিলজবাবের হোস্ট খোঁজার জন্য। এগনোলেনিয়ার মধ্যে প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে সর্বপ্রথম টাওয়ার অফ গ্লাটোনির দেখা পাওয়া যায়। যেহেতু এক্সব্লকের বাইরে টাওয়ার উদয় হয়েছিলো তাই টাওয়ারে থাকা মনস্টারদের মধ্যেও লিমিট চলে আসে যেটা নির্দিষ্ট করা ছিলো এক্সব্লকের বাইরের জায়গার জন্য। এগনোলেনিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র মানুষ স্পিসিজের বাস হওয়ার কারণে তারা প্রথমে অনেকটা দুর্বল ছিলো। কিন্তু টাওয়ার আসার পূর্বেই যখন প্রকৃতিতে মানা, অউরা এবং প্রাণ এনার্জি চলে আসলো, তখন মানুষ আস্তে আস্তে সেটা ব্যবহার শিখতে শুরু করে যা এক সময়ে তাদেরকে অনেকটা শক্তিশালী হিসেবে তৈরী করে। যেখানে সাধারণ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্বল মনস্টার হত্যা করাও মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। সেখানে মানুষ ম্যাজিকের সাহায্যে টাওয়ারে প্রবেশ করে একের পর এক ফ্লোর ক্লিয়ার করতে শুরু করে। এগনোলেনিয়ার মধ্যে টাওয়ার অফ গ্লাটোনিকে কে কেন্দ্র করে প্রথমে তৈরী হয় একটা এম্পায়ার। যেটার সময় দেওয়া হয় ফায়ার এম্পায়ার। পুরো এগনোলেনিয়া তখন ফায়ার এম্পায়ারের মধ্যে ছিলো। তবে টাওয়ারে প্রবেশ করে মানুষ যখন আরো শক্তিশালী হতে শুরু করলো এবং শক্তিশালী আইটেম সংগ্রহ করতে শুরু করলো তখনি ফায়ার এম্পায়ারের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মাঝে। যেটার ফলে তৈরী হয় আরো তিনটা এম্পায়ার। চার এম্পায়ার থেকেই যারা টাওয়ারের টেস্ট পূর্ণ করে টাওয়ারে প্রবেশ করেছিলো তারা টাওয়ারের মধ্যেই নিজেদের জীবন পার করতে থাকে। যেটার ফলে টাওয়ারের মধ্যেও তৈরী হয় তিনটা বিশাল কিংডমের। 

এগনোলেনিয়ার ফায়ার এম্পায়ারের ক্যাপিটালে অবস্থিত টাওয়ার অফ গ্লাটোনি। যার মধ্যে প্রবেশের শুধু একটা রাস্তা রয়েছে। আর সেটা ফায়ার এম্পায়ারে অবস্থিত। অন্যদিকে টাওয়ারের মধ্য থেকে বের হওয়ার কয়েকটা রাস্তা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয় তিন কিংডমের বর্ডারের পোর্টাল। এলেক্স এবং তার টিমের সবাই এখন তিন কিংডমের বর্ডারের দিকে যাচ্ছিলো। যদিও তাদের টিম থেকে দুজন অনুপস্থিত ছিলো তারপরও চারজন আরো সদস্য যুক্ত হয়েছিলো তাদের টিমে। অবশ্য সবারই কিছু না কিছু লক্ষ্য ছিলো যেটা এই জার্নিতে অর্জন করার জন্য তারা যুক্ত হয়েছে। যেহেতু এলেক্সের সাথে মাত্র দেখা হয়েছে তাই কি হয়েছে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে এলেক্সকে খুলে বললো। যেটা এলেক্সের ইন্টারেস্ট সেই মাস্ক পরা মেয়েটার উপরে নিয়ে আসছে।

-> প্রিন্স হ্যারির সাথে আমরা প্যালেসে গিয়েছিলাম। যেখানে প্রিন্স হ্যারি আমাদেরকে কিং এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। আর কিং আমাদের টিমকে টাওয়ারের বাইরে যাওয়ার পারমিট দিয়েছে। আর প্যালেস থেকেই আমাদের সাথে দেখা হয় স্যাম এবং ওর বোন হেয়ার সাথে। একাডেমিতে আবার ফেরত যাওয়ার পর আমাদের সাথে দেখা হয় ক্রিস নাম সেই ছেলের সাথে যার সাথে তুমি ফাইট করেছো। আর ক্যাপিটাল থেকে বের হওয়ার পর স্যামের টিমের সেই মেয়ের সাথে দেখা হয় যার কারণে আমরা টুর্নামেন্টের সর্বশেষে যাওয়ার পরেও হেরে যায়। (মাইরা)

স্যাম এবং হেয়া সবার সামনে থেকে পুরো টিমকে নিয়ে যাচ্ছিলো বর্ডারের দিকে। সবার পিছনে এলেক্স ছিলো যার সাথে ডুফেস ছিলো, তবে ডুফেসকে সামনে পাঠিয়ে দিয়ে মাইরা পুরো বিষয়টা আলোচনা করছিলো।

-> আমি বুঝতে পারছি না এভাবে তাদের উপরে বিশ্বাস করা ঠিক হবে কিনা। এখানে তিন টিমের সদস্য রয়েছে যাদের সবার সাথেই আমরা ফাইট করেছি। আর হেয়া এবং ক্রিসের টিম তো আমাদের কাছ থেকে হেরেছে। তাদের উদ্দেশ্য আমার ভালো মনে হচ্ছে না। (মাইরা)

মাইরা খুব আস্তে আস্তে এলেক্সকে কথা গুলো বলতেছিলো। এলেক্সের মাথায় আপাতোতো অনেক কিছু ছিলো। প্রথম স্যামুয়েলের ফ্লাশব্যাকের কারণে তার মাথা এখনো ব্যথা করছিলো যেটা তাকে বিরক্ত করে দিচ্ছিলো। সেই সাথে আরো নতুন ভাবনা সব মিলিয়ে এলেক্স খুব সিরিয়াস হয়ে ছিলো।

-> ডিউকের সন্তান হিসেবে তাদের দুজনের উদ্দেশ্য আমাদেরকে সাহায্য করা নয় এটা আমি সিওর বলতে পারছি। তাই স্যাম এবং হেয়ার টিমকে আপাতোতো বিশ্বাস না করাই ভালো হবে। তবে তাদের নিয়ে আমি চিন্তিত নয়। বরং আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা সেই মুখ ঢাকা মেয়ে এবং ঔ ক্রিস নাম ছেলেকে নিয়ে। (এলেক্স)

এলেক্সকে এরকম সিরিয়াস ভাবে কথা বলতে দেখে নি মাইরা প্রথমে। বেশীরভাগ সময়ই এলেক্স একদম চুপ থাকে। কথা বলার প্রয়োজন হলে সে খুব কম বাক্যে কথা শেষ করে। কোনো সময়েই এলেক্সের মুখে এক্সপ্রেশন দেখা যায়। যদিও এলিনের মুখে কোল্ড কোল্ড একটা এক্সপ্রেশন থাকে সব সময়। তারপরও লজ্জা কিংবা এলেক্সের কাছে থাকলে তার এক্সপ্রেশন চেঞ্জ লক্ষ্য করা যায়। অপরদিকে এলেক্সের এক্সপ্রেশন কখনো চেঞ্জ হতে দেখে নি মাইরা কিংবা তার টিমের কেউ। তার মুখে কোনো রকম এক্সপ্রেশনই নেই। এলিনের তো তা ও কোল্ড একটা ভাব আছে যেটা দেখলে মনে হবে সে একটু বেশী ভাব নিচ্ছে, এলেক্সের মুখে সেটাও দেখা যায় না। যদিও এলেক্সের কোনো এক্সপ্রেশন নেই তারপরও ফাইটের সময় তার শরীর থেকে যখন এনার্জি বের হয় তখন তার চেহারাকে কোল্ড ব্লাডেড কিলারের থেকে কম দেখায় না। অবশ্য একদম ভালো করে দেখলে দেখা যাবে সেখানেও এলেক্সের কোনো এক্সপ্রেশন নেই। যদিও এলেক্স মনে মনে হাসার চেষ্টা করে, তারপরও সেটা তার মুখে দেখা যায় না। যদিও এলেক্স কাঁদার চেষ্টা করে, তারপরও সেটা দেখা যায় না। যদিও সে চিন্তিত হওয়ার চেষ্টা করে, তারপরও সেটা তার মুখে দেখা যায়। যদিও এখনো এলেক্সের মুখে কোনো এক্সপ্রেশন ছিলো না তারপরও এলেক্সের কথা বলার স্পিডেই মাইরা বুঝতে পারলো এলেক্স চিন্তিত ছিলো অনেকটা। যেটা পূর্বে এলেক্সকে কখনো হতে দেখে নি মাইরা।

   ❝ওয়েট ওয়েট, আমি কি এলেক্সের মুখ দেখেই ওর মুখের এক্সপ্রেশন পড়তে শুরু করেছি? এটা কি ঔ রোমান্টিক গল্প গুলোর মতো না যেটা আমি লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি এক সময়?❞ (মাইরা ভাবছে)

এলেক্সের মতো মাইরা তার এক্সপ্রেশন লুকিয়ে রাখতে পারলো না। হঠাৎ তার দুই গাল লাল হয়ে গেলো, যেটা কেউ লক্ষ্য না করলেও সামনে থেকে এলিন লক্ষ্য করলো যেটা। এলিন সেখানে কিছু না করে শুধু নিজের জামাকে একদম মুঠো করে ধরলো। 

-> কিন্তু ক্রিস নামের ছেলেটা তো তোমার কাছে হেরেছে। তাই তাকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না। সে কিছু করতে তুমি তো আছোই। আবারো তাকিয়ে হারিয়ে ফেলবে। (মাইরা)

এলেক্সের সিরিয়াস ভাবটা কেটে গেলো। সে স্বাভাবিক স্পিডেই এবার কথা বলতে লাগলো,

-> আমার মনে হয় না স্যাম এবং আমি আমাদের ফুল পাওয়ার ব্যবহার করেও এই ছেলেকে হারাতে পারবো। (এলেক্স)

এলেক্সের কথা শুনে মাইরার একটু বিশ্বাস করতে সমস্যা হচ্ছিলো। কারণ সে সহ একাডেমির সবাই জানে স্যাম একাডেমির সবচেয়ে বেস্ট স্টুডেন্ট ছিলো। যে সব কিছুতেই টপে রয়েছে। যার সাথে এলেক্স টুর্নামেন্টে ফাইট করার পরে এখন এলেক্সও একাডেমির মধ্যে স্যামের সমতুল্য একজন টপ স্টুডেন্ট। শুধু যে ফাইটে এমন নয়, পুরো একাডেমির মধ্যে এলেক্সই একমাত্র স্টুডেন্ট যে গণিত অলিম্পিয়াডে ফুল নম্বর অর্জন করে একটা ইতিহাস করে দিয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার দুই দিন পরই এই নিউজটা পুরো কিংডম কাঁপিয়ে দিয়েছে। যার কারণে এখন তো অনেকে এলেক্সকে স্যামের থেকেও বেস্ট মনে করছে। আর এই বিষয়ের জন্যই মাইরা ভাবতে পারছিলো না যে স্যাম এবং এলেক্স যাদের ফাইটে এরিনা প্রায় ভেঙে গিয়েছিলো তারা তাদের ফুল পাওয়ার ব্যবহার করলেও ক্রিস নামক ছেলেকে হারাতে পারবে না যে টুর্নামেন্টের মধ্যে এলেক্সের কাছে সহজেই হেরে গিয়েছিলো।

এলেক্স বলতে চাচ্ছিলো স্যামের সাথে ফাইট করলেও তার জেতার সম্ভবনা ছিলো না কারণ স্যামের লেভেল অনুযায়ী টুর্নামেন্টের নিয়মের জন্য স্যাম তার তেমন মারাত্মক স্পেল এমনকি আইটেম ব্যবহার করতে পারে নি। অবশ্য এমন নয় যে এলেক্সও তার পুরোটা ব্যবহার করেছে। যদি লাইফ ম্যাচ না হয়ে থাকে তাহলে এলেক্সের জেতার সম্ভবনা নেই বললেই চলে আপাতোতো। তবে এলেক্স কথাটা তার মনের মধ্যেই রেখে দিলো। কারণ তার একটা কথায় মাইরাকে অনেক ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই সে আরেকটা কথা বলতে শুরু করলো।

-> যেহেতু এতো গুরুত্বপূর্ণ দুজন ব্যক্তি রয়েছে তোমাদের সামনে তাহলে একটা ক্যারেজ তো নিতে পারতে। (এলেক্স)

এলেক্স এমন একটা কথা বলবে সেটাও মাইরা আশা করে নি। অবশ্য প্রথম থেকে এলেক্স তাদের সাথে থাকলে হয়তো কোনো কথায় বলতো না। যেহেতু পরে এলেক্স তাদের জার্নিতে যুক্ত হয়েছে তাই তার মনে অনেকটা প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক,

-> আসলে আমরা একটা ক্যারেজে করেই আসছিলাম। কিন্তু তখনি ক্যাপিটালের গেইটের বাইরে স্যামের টিমের সেই মেয়েটার সাথে আমাদের দেখা। যে আমাদেরকে তোমার সম্পর্কে বলেছে। আর তারপরই আমরা ক্যারেজ থেকে নেমে তোমার খোঁজ করার জন্য এখানে চলে আসি। অবশ্য বেশী আশা ছিলো না। কারণ তোমার শক্তি এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই আমি সিওর ছিলাম কোনো এক ড্যানজনের মধ্যে পরে ছিলো। (মাইরা)

-> আমার সম্পর্কে বলেছে! (এলেক্স)

-> হ্যাঁ সে বলেছে তার একটা মিশনের জন্য সে বের হয়েছিলো। তখনি তোমাকে দেখেছে একটা ড্যানজনের বাইরে। আর আমরা সেদিকেই যাচ্ছিলাম। (মাইরা)

এলেক্স আর কোনো কথা বললো না। সে চুপ হয়ে গেলো। মাইরা আস্তে আস্তে হেঁটে সামনের দিকে চলে গেলো। কারণ এলিন একটু পর পরই কড়া নজরে তাদের দিকে তাকাচ্ছিলো। যেটা মাইরার শরীরকেও কাঁপিয়ে দিচ্ছিলো। তাই সে আপাতোতো এলেক্সকে রেখে সামনে চলে আসলো।

    ❝আমি জানি এলেক্সকে এলিন সহ স্নেরাও পছন্দ করে। কিন্তু তাদের বান্ধুবী হিসেবেও আমি এলেক্সকে স্যাকরিফাইস করতে রাজি নই। যতদিন না এলেক্স আমাদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে না নিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমি চেষ্টা করেই যাবে।❞ (মাইরা ভাবছে)

অন্যদিকে একটু সামনেই স্নেরা হেঁটে যাচ্ছিলো। সে পিছনে তাকাচ্ছিলো না। তার না তাকানোর কারণ হলো সে মাইরা এবং এলেক্সকে একসাথে হেঁটে যাওয়া দেখে চাচ্ছিলো না। যদিও তার মন চাচ্ছিলো এই সময়ে এলেক্সের পাশে গিয়ে হাঁটতে, কিন্তু টিমের মধ্যে একমাত্র হিলার হওয়ার কারণে তাকে সবার মাঝ দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছিলো। বলা তো যায় না কখন মনস্টারের বিশাল একটা গ্রুপ তাদের উপরে হামলা করে। 

    ❝আমি কি আসলেই এলেক্সের যোগ্য? যদিও আমি একজন নোবেল, তারপরও আমার থেকে এলিন এবং মাইরার স্ট্যাটাস অনেক বড়। তারা দুজনেই দুজন ডিউকের মেয়ে। আর সেখানে আমি একজন সাধারণ ব্যারনের মেয়ে। তাছাড়া তারা দুজনেই অনেক শক্তিশালী যার জন্য সব সময় তারা এলেক্সের সাথে থেকে ফাইট করতে পারে। এক সাথে কথা বলতে পারে যখন প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেখানে আমি একজন প্রান এনার্জি হওয়ার কারণে এলেক্স ইনজুরি প্রাপ্ত না হলে ওর কাছে যেতে পারি না। আর আমাদের টিমের মধ্য থেকে এলেক্স সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী হওয়ার কারণে তার ইনজুরিও সবচেয়ে কম হয়। তাই তার কাছেও আমি কম যেতে পারি। অবশ্য আমি চাচ্ছি না এলেক্স ইনজুরি প্রাপ্ত হোক যাতে আমি ওর কাছে যেতে পারি। যদি আমিও একজন অউরা ইউজার বা মানা ইউজার হতাম তাহলে হইতো এলেক্সের পিছনে না থেকে তার পাশে থেকে ফাইট করতে পারতাম।❞ (স্নেরা ভাবছে)

স্নেরার মনে অনেক ভাবনা ছিলো। তাই তার আশে পাশে কি হচ্ছিলো সেটা সম্পর্কে সে জানেই না। সে শুধু হেঁটেই যাচ্ছিলো কোনো কিছু সম্পর্কে মনোযোগ না দিয়ে। অন্যদিকে সামনে থেকে স্যাম কিছুক্ষণ পর পরই স্নেরার দিকে তাকাচ্ছিলো এবং স্নেরা যখন সামনে তাকাচ্ছিলো পথ দেখার জন্য তখন স্যাম তার চোখ সরিয়ে ফেলতো।

-> আমার মনে হয় আমরা পারফেক্ট একটা জায়গার মধ্যে চলে এসেছি। এখান থেকে কেউ আমাদের লক্ষ্য করবে না। (স্যাম)

স্যাম হঠাৎ দাঁড়ালো এবং কথাটা বললো। সে আবারো বলতে লাগলো,

-> যদিও এলেক্সের সাথে যেখানে দেখা হয়েছিলো সেখানেই আমরা এটা ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু সে জায়গা ক্যাপিটালের গেইটের অনেকটা কাছেই ছিলো। তাই যে কেউ আমাদের লক্ষ্য করতো। যেহেতু কিং আমাদেরকে খুব গোপনে টাওয়ার থেকে বের হওয়ার আদেশ দিয়েছে। তাই একটা সুরক্ষিত জায়গা দরকার ছিলো আমাদের। ক্যাপিটালে ফেরত গেলে আমরা প্যালেসের টেলিপোর্টেশন ডিভাইস ব্যবহার করতে পারতাম। তবে এই আইটেমটা কিং আমাদের জন্য স্পেশাল ভাবে তৈরী করিয়েছে যেটা আমরা মাত্র দুইবারই ব্যবহার করতে পারবো। (স্যাম)

স্যাম তার স্পেস রিং এর মধ্য থেকে দুটো হলুদ কাগজ বের করলো। যে কাগজ দুটো লম্বায় ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ২ ইঞ্চি ছিলো। সেগুলোর গায়ে কিছু একটা লেখা ছিলো যা এমন একটা ভাষায় যেটা বোঝা যাচ্ছিলো না।

-> এটাকে টেলিপোর্টেশন ট্যালিসম্যান বলা হয়। যার একটা তৈরী করতে গেলেই প্রায় ১০ হাজার গোল্ড কয়েনের সামগ্রী প্রয়োজন হয়। যেটা কিং আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে যদি আমরা কোনো বিপদে পরি। কিন্তু যেহেতু আমরা আমাদের ক্যারেজ বাদ দিয়ে এখন পায়ে হেঁটে বর্ডারে যাচ্ছি, তাই এই ট্যালিসম্যান ব্যবহার না করলে হয়তো এক মাসের বেশী সময় পরে আমরা বর্ডার এলাকায় পৌঁছাবো। এজন্য আমার মনে হয় না এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সময় হতে পারে এই আইটেম ব্যবহারের জন্য। তাই সবাই রেডি হও এবং একে অপরের হাত স্পর্শ করো এবং একজন আমাকে ধরো। (স্যাম)

স্যামের কথার সাথে সাথে সবাই একে অপরের হাতকে ধরলো। হেয়া স্যামের কাঁধে হাত রাখলো। হেয়াকে ধরেছে মুখে কাপড় দিয়ে ঢাকা মেয়েটা। তাকে ধরেছে ক্রিস, এরপর জেয়াব, এবা, জেবা স্নেরা, মাইরা, এলিন, এলেক্স এবং সবশেষে ডুফেস।

-> আমার প্রিন্সেস এনরি, কোনো চিন্তা করো না তুমি। তোমার হিরো ডুফেস আসছে দশ হাজার গোল্ড কয়েন শেষ করে তোমার কাছে। গোল্ড কয়েন তোমার জীবনের জন্য আমার কাছে কিছুই না এটাই তার প্রমাণ। (ডুফেস)

-> ফালতু কথা বাদ দিয়ে শক্ত করে ধরো। আমরা এখন বর্ডার এরিয়ার মধ্যে প্রবেশ করবো। (স্যাম)

স্যাম কথাটা বলেই তার হাতে থাকা একটা কাগজকে রিং এর মধ্যে রেখে দিলো এবং অন্যটা এক হাত দিয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে মাঝ থেকে ছিঁড়ে ফেললো। যেটা ছেঁড়ার সাথে সাথে সেটা থেকে একটা উজ্জ্বল আলো বের হচ্ছিলো। যেটা স্যামের চিন্তা করা জায়গার মধ্যে তাদেরকে টেলিপোর্ট করে নিলো। আর সে জায়গা হলো বর্ডার এরিয়া যেখানে ছোট একটা শহর রয়েছে।

-> আমি বলবো সবাই এখন থেকে সাবধান থাকবে। এই জায়গায় বেশ কিছু আইনবিরোধী লোকের বাস রয়েছে। তাই পোর্টালে যাওয়ার পূর্বে কেউ যদি হারিয়ে যায় তাহলে কিন্তু তাদের জন্য একটু কষ্টকর হবে একাডেমিতে আবারো ফেরত যাওয়া। (স্যাম)

-> বিশেষ করে যাদের শরীর সবচেয়ে ভালো এবং মোটা তাদেরকেই টার্গেট করা হয়। আমি শুনেছি মোটা ব্যক্তিকে কিডন্যাপ করে তাদের শরীরের মাংস কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় এই শহরে। (হেয়া)

কথাটা শুনে সর্বপ্রথম ডুফেস তার ঢোক গিললো।


* * * 

To Be Continued 

* * *

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

2 comments

  1. Awesome
  2. আমি শিহরিত।।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.