আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১৩০

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:১৩০


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.

     এগনোলেনিয়া,

মাস্ক পরা মেয়েটার মুখের মাস্কটা খুলে গেলে স্যামুয়েলের হাতের রিং থেকে বের হয়ে আসা আরোহী তার চেহারা দেখতে পেয়ে অনেকটা অবাক হলো। তাছাড়া রিং থেকে বের হয়ে আসা আরোহীকে ও দেখতে পেয়ে মাস্ক পরা মেয়েটা অনেকটা অবাক হলো। দুজনেই কি বলবে একে অপরকে কিছুই বুঝতে পারছিলো না। তাই শুধু একে অপরের দিকে তাকানো ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ ছিলো না। অন্যদিকে স্যামুয়েল চুপ চাপ দাঁড়িয়ে ছিলো না। একটা ফাইট শুরু করলে সেটা স্যামুয়েলের শেষ না করা পর্যন্ত ভালো লাগে না। তাই তার ক্যারেক্টার অনুযায়ী সে ফাইটটা শেষ করার চিন্তা করে যাচ্ছে এখনো
 
     ❝আচ্ছা ফুপি-আম্মুর ব্যাপারটা আমাকে এতোটা ভাবাচ্ছে না, কিন্তু এলেক্স কোথায়। আর এলেক্সের হাতের রিং এই লোকটার কাছে কেনো? তাহলে কি এলেক্স ট্রান্সফর্ম হতে পারে?❞ (আরোহী ভাবছে)

আরোহীর মাথায় তার ফুপি-আম্মুকে নিয়ে তেমন একটা কথা ঘুরছিলো না, যতটা না এলেক্সকে নিয়ে সে ভাবছিলো। তাই বিষয়টা মাস্ক পরা মেয়েটার একটু ঘটকা লাগলো। অন্যদিকে স্যামুয়েল মাস্ক পরা মেয়েটাকে এট্যাক করতে যাচ্ছিলো, কিন্তু তার পূর্বেই আরোহী চলে আসে তার সামনে। মাস্ক পরা মেয়েটা আরোহীর কন্ডিশন দেখে বুঝতে অনেকটা রেগে আছে।

     ❝ডিম্যান কিং, তোমাকে আমার পাওয়ার দিয়ে আমি বড় করেছি। কিন্তু শেষমেষে তুমি আমাকেই পিছন থেকে আঘাত করেছো। যদিও এই ব্যাপারটা অন্য সবাই এরিয়ে চলতো, কিন্তু আমার অ্যাভেটার গুলো আমার কাছে স্পেশাল। তারা আমার অ্যাভেটার মানেই আমি তাদের মধ্যে আছি। আর এই মেয়ের শরীর তো আরো স্পেশাল। এর সাথে আমি সম্পূর্ণ লিংক হতে পেরেছি। যার মানে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটা আমার আমার স্পেশাল কেউ। আর সে এখন স্পিরিট ফর্মে আছে, যেটার সম্পর্কে আমি কিছুই করতে পারবো না।❞ (মাস্ক পরা মেয়েটা ভাবছিলো)

সে শুধু এটুকুই ভাবছিলো না। আরোহী রিং থেকে বের হওয়ার পর একটা অদৃশ্য সুতোর মতো দেখতে পাচ্ছি সে স্যামুয়েল এবং আরোহীর মধ্যে। যেটার কারণে একটা জিনিস বুঝতে পারলো মাস্ক পরা মেয়েটা।

      ❝এসমোডিয়াস এবং লুসিফার আবার জীবিত হয় নি। বরং এই ওয়ার্ল্ডে কেউ একজন আছে যে তাদেরকে জীবিত বা তাদের শরীরের সাথে পাওয়ার ব্যবহার করতে পারছে। শত শত ওয়ার্ল্ডের বিষয় বস্তু জানতে পারলেও ড্রাগন স্লেয়ারের কারণে এই ওয়ার্ল্ডের বিষয় বস্তু সম্পর্কে আমি আর সান দুজনেই অবগত নই। সব শেষে যদি আমি এই লুসিফারকে এখন হত্যা করি, তাহলে তার সাথে আরোহী একটা স্পিরিটের সাহায্যে যুক্ত থাকার কারণে সে ও মারা যাবে। তাহলে কি ঔ বাস্টার্ডটা এই বিষয়ও প্রেডিক্ট করেছিলো? কখনো কখনো আমার মনে হয় তার কাছে কিং অফ ডেস্টিনি এর থেকে ভয়ানক প্রফেসি পাওয়ার রয়েছে।❞ (মাস্ক পরা মেয়েটা ভাবছে)

মাস্ক পরা মেয়েটা কোনো রকম কথা না বলে এই জায়গা থেকে টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। তার আসল পরিচয় হয়তো এতোক্ষণে আপনারা বের করতে পেরেছেন। অবশ্য যারা জলপরীর প্রেমে পড়েন নি তারা হয়তো বিষয়টা ধরতে পারবেন না। তার নাম হৃদিতা। যে আরোহীর বাবার যমজ বোন। ছোট থেকে তার কাছে বড় হওয়ার কারণে এবং তার ফুপির চেহারা তার বাবার কয়েকটা স্ত্রী এর মধ্যে একজনের মতো হওয়ার কারণে আরোহী ছোট থেকেই তার ফুপিকে ফুপি-আম্মা বলে থাকে। আরোহী সামনে দাঁড়ানোর কারণে স্যামুয়েলও তার এট্যাক করতে পারছিলো না। সে এবারো তার "কন্সটেলেশন কিলার পান্স" ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। কিন্তু আরোহী সামনে এসে দুই হাত উঁচু করে দাঁড়ালো, যার কারণে এবারো স্যামুয়েল কিছু করতে পারলো না। যদিও আরোহী একজন স্পিরিটে পরিণত হয়েছে তাই কেউ তাকে স্পর্শ না করতে পারলেও স্যামুয়েল ঠিকই পারতো। যদিও সে এলেক্স না তারপরও একই ক্যারেক্টারের সাইড ক্যারেক্টার হওয়ার কারণে এরকম একটা জিনিস হতে পারতো বলে স্যামুয়েল মনে করেছিলো। যদিও চেষ্টা করে নি তারপরও স্যামুয়েল রিক্স নিতে চাচ্ছিলো না। কারণ একটা জিনিসে সে অনেকটা আগ্রহী ছিলো, আর সেটা চেষ্টা না করা পর্যন্ত স্যামুয়েল আরোহীকে কিছু করতে বা তার কিছু হতে দিতে চাচ্ছে না। 

সামনে আরোহী দাঁড়ানোর পরে সেই সুযোগে মেয়েটা পিছন থেকে হঠাৎ কালো একটা ধোঁয়া তৈরি করে সে ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো। তার অদৃশ্য হওয়ার পর পরই কালো ধোঁয়াও সেখান থেকে হাওয়ার সাথে মিশতে শুরু করলো। স্যামুয়েল সেদিকে শুধু তাকিয়ে ছিলো। অন্যদিকে আরোহী উত্তেজিত হয়ে পিছনে ঘুরলো। সে কোনো রকম কথা না বলতে পারায় তার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো,

      ❝কোনো কিছু না বলেই তুমি এভাবে কিভাবে চলে যেতে পারলে আমাকে এখানে একা ফেলে।❞ (আরোহী ভাবছিলো)

আরোহীর মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো। সে বুঝতে পারছিলো না সে এখানে কি করবে বা বলবে। তাই সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে কেঁদে যাচ্ছিলো। অন্যদিকে স্যামুয়েল এই বিষয়ে খেয়াল না করে সেখান থেকে হাঁটা শুরু করলো। যেহেতু তার গন্তব্য ছিলো এনরি তাই এখানে আরোহীর সাথে থেকে সময় নষ্ট করে কোনো লাভ আছে বলে মনে হয় না তার। প্যালেসের ভিতরে অনেকটা জায়গা রয়েছে। সে জায়গার মধ্যেও প্যালেস থেকে একটু দূরে ছিলো স্যামুয়েল। তাদের ফাইট এতোটা ভয়ানক ছিলো যে প্যালেসের মধ্যের সবটা জায়গা এখনো জমে আছে। প্যালেস থেকে টেলিপোর্ট হয়ে মেয়েটা চলে গেলেও তার স্পেল এখনো ক্যান্সেল হয় নি। পুরো জায়গা এখনো জমে আছে বরফে। যার মধ্যে প্যালেসের অনেক নাইট এবং ম্যাজিসিয়ানও আটকা পরে আছে। তাছাড়া যে জায়গায় স্যামুয়েল এবং সেই মেয়ে ফাইট করেছে তার সে জায়গার মাটি এবং গাছপালার কোনো চিহ্নই দেখা যাচ্ছিলো না। মনে হচ্ছিলো জায়গায় জায়গায় ছোট ছোট বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। স্যামুয়েল সব কিছুকে উপেক্ষা করে এক লাফ দিলো এবং এক লাফেই সে প্যালেসের উপরে চলে গেলো। 

প্যালেসের মধ্যে ফাইট হচ্ছিলো এটা শুনতে পেরে প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রিন্স দুজনেই একত্র হয়েছে। দ্বিতীয় প্রিন্সের সাথে কিংডমের মিলিটারি ফোর্স এবং প্রথম প্রিন্সের সাথে এম্পায়ারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেই সাতে নিজস্ব এবং ডিউকের নাইট ও ম্যাজিসিয়ান ছিলো। যারা একত্রে থাকলে তাদের বিপক্ষে যাওয়ার সাহসই ছিলো না কারোর এই কিংডমের মধ্যে। তাই তো দুই প্রিন্স দ্রুত এসেছে প্রিন্সেসকে সিকুওর করার জন্য। যেহেতু ফাইট বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো না প্রিন্সেসের থেকে, তাই কোথায় ফাইট হচ্ছিলো সেটা কেউ লক্ষ না করে সোজা প্রিন্সেস এর রুমের দিকে চলে এসেছে। যেখানে প্রিন্সেস ফ্লোরের উপরে পরে ছিলো নিজের সেন্স হারিয়ে। দুই প্রিন্স একে অপরের শত্রু হলেও এখানে বোনের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য এগিয়ে গেলো এবং প্রিন্সেসকে জাগ্রত করার চেষ্টা করলো। ঠিক তখনি সেখানে উপর থেকে লাফ দিয়ে প্রবেশ হলো স্যামুয়েলের। যার শরীরে কয়েকটা ক্ষতস্থান দেখা যাচ্ছিলো। স্যামুয়েল সবার দিকে একবার তাকালো।

-> তুমি কে? তোমাকে তো পূর্বে প্যালেসে কখনো দেখি নি। (প্রথম প্রিন্স)

প্রথম প্রন্স সহ সবাই অবাক হয়েছে নতুন এক ব্যক্তির উপস্থিতিতে। যাকে পূর্বে তারা কেউই দেখে নি। প্রথমে সবাই ছোট করে দেখতে শুরু করলো স্যামুয়েলকে। কারণ সেখানে দুই প্রিন্সের সাথেই অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলো। কিংডমের নাইট ও ম্যাজিসিয়ানের সাথে সাথে এম্পায়ারের শক্তিশালী নাইট এবং ম্যাজিসিয়ানও রয়েছে এখানে। সেই সাথে দুজন নোবেলও রয়েছে এম্পায়ারের। যারা প্রিন্সের সাথে প্রিন্সেসকে দেখতে এসেছে।

-> আমি শুনেছি প্রিন্স এখানে এসেছে, কিন্তু প্রিন্সকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। 

এম্পায়ারের দুজন নোবেলের মধ্যে একটা মোটা করে ব্যক্তি এই কথাটা বললো। অন্য ব্যক্তিটা পাতলা করে সে এবার বলতে লাগলো,

-> আমার মনে হচ্ছে প্রিন্স এখানে এসেছিলো কিন্তু এই লোকটা কিছু একটা করেছে প্রিন্সের সাথে। 

পাতলা করে লোকটার কথা শুনে মোটা করে লোকটা সহমত জানালো। মূলত এম্পায়ারের দুই নোবেল এখানে একটা যুদ্ধ তৈরি করার চেষ্টা করছিলো। যে যুদ্ধে দুই নোবেলের সাথে আরো নোবেল রয়েছে তারা অনেক দিক দিয়ে লাভবান হবে। তাই তো তারা প্রিন্সের কিছু হয়েছে এটা দেখিয়ে এখানে একটা ঝামেলা তৈরি করতে চাচ্ছিলো। 

-> কি হয়েছে না হয়েছে সেটা পরে দেখা যাবে। প্রথমে গার্ড, এই লোকটাকে বন্ধী করো। একদম অর্থমৃত অবস্থা করে ফেলো যাতে সে বুঝতে পারে প্যালেসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশের ফল কি হতে পারে। এরপরে আমরা শান্ত মাথায় প্রিন্সের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে পারবো। (দ্বিতীয় প্রিন্স)

দ্বিতীয় প্রিন্সের কথা অনুযায়ী তার সাথে থাকে নাইট এবং ম্যাজিসিয়ান একত্র হলো এবং এট্যাক করার চেষ্টা করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু তখনি স্যামুয়েলের পিছন থেকে একটা আবারো সেই কালো এনার্জি লিক হতে শুরু করলো। এটা তার ইমোশনের উপরে ডিপেন্ড করে। যখন সে কাউকে হত্যা করতে চাই তখন সেটা তার শরীর থেকে বের হয়। যেটাকে অনেকটা তার ব্লাডলাস্ট ফর্মের সাথেও তুলনা করা যায়। অবশ্য এটাকে স্যামুয়েল নিজ ইচ্ছা মতো কন্ট্রোল করতে পারে না। তার ইমোশনের সাথে কানেক্টেড হওয়ার কারণে কন্ট্রোল করার কোনো নিয়ম সে এখনো ভেবে পায় নি বা পাচ্ছে না। 

স্যামুয়েলের পিছন থেকে কালো এনার্জিটা একটা মনস্টারের ফর্ম নিয়েছে। অবশ্য সেটার কোনো ফর্ম ছিলো না। শুধু দুটো লাল রঙের চোখ দেখা যাচ্ছিলো যেটা সবার দিকেই মারাত্মক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। স্যামুয়েলের পিছনের সেই কালো এনার্জির অউরা পূর্বের থেকে অনেকটা শক্তিশালী ছিলো, তাই তো এবার তার সামনে যত ব্যক্তি ছিলো সবার শরীর কাঁপিয়ে দিচ্ছিলো সেটা। স্যামুয়েল এবার এক পা দু পা করে এগিয়ে গেলো। এম্পায়ারের শক্তিশালী ব্যক্তিরাও এখানে কিছুই করতে পারছিলো না। তারা স্যামুয়েলের পিছনে থাকা মনস্টারকে দেখে একদম স্থির হয়ে গিয়েছে। কোনোরকম নাড়াচাড়া করার শক্তি ছিলো না তাদের। স্যামুয়েল এগিয়ে গেলো এবং দুটো প্রিন্সের সামনে দাঁড়ালো। এই অবস্থায় সে কোনো কিছু না করেই প্রিন্সেসকে কোলে তুলে নিলো এবং পিছনের দিকে হাঁটা শুরু করলো অন্যদের ইগনোর করে। ঠিক এই সময়ে তার শরীর থেকে এনার্জির অউরার মাত্রা কমে যাচ্ছিলো। তাই তো পিছন থেকে দুজন এম্পায়ারের নাইট তাদের প্রাইড রক্ষার জন্য পিছন থেকে স্যামুয়েলের মাথা বরাবর সোর্ড দিয়ে এট্যাক করতে যাচ্ছিলো। স্যামুয়েলের শরীরে এট্যাকটা লেগে গেলো সেটা তারা খেয়াল করেছে। 

-> এটা এতোটাও কঠিন ছিলো না। লোকটা অনেক দুর্বল, শুধু মাত্র তার কাছে হয়তো কোনো স্পেশাল আইটেম ছিলো যেটার সাহায্যে সে আমাদের সবাইকে ভয় দেখিয়েছে। 

যে নাইট স্যামুয়েলের গলা বরাবর এট্যাক করেছে সে উক্ত কথাটা বললো। কিন্তু তখনি স্যামুয়েল তাদের পিছনে চলে আসলো এবং নিজের স্কিল ব্যবহার করলো।

        (একটিভ স্কিলঃ মার্শাল-আর্ট)

        (মার্শাল আর্টঃ কুংফু স্টাইল)

        (নরমাল মুভঃ ফোকাস পান্স)

স্যামুয়েল তার মার্শাল আর্ট স্কিল ব্যবহার করলো। যেটার কয়েকটা স্টাইলের মধ্য থেকে কুংফু স্টাইলের একটা মুভ ব্যবহার করলো। তার বাম হাত দিয়ে সে উপরে তুলে রেখেছে এনরিকে এবং ডান হাতের মুঠোতে এনার্জি ফোকাস করে স্যামুয়েল দুজনকে দুটো পান্স দিলো। পান্স দুটো একই সময়ে এবং এতো স্পিডে দেওয়া হয়েছে যে অন্য সবাই দেখেছে স্যামুয়েল কিছুই করে নি। স্যামুয়েল পান্স দিয়েই এনরিকে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো, তখনি দুটো নাইটের মাথা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। সেদিকে স্যামুয়েল আর খেয়াল করলো না। এম্পায়ারের দুটো শক্তিশালী নাইটের এরকম অবস্থা দেখে সবাই ভয়ে ফ্লোরে পরে গেলো। কেউ কোনো রকম কথা বলতে পারছিলো না। সবার মনে একটাই ভাবনা ছিলো,

        ❝এটা হয়তো সিকরেট কিংডম থেকে এসেছে যারা প্রিন্সেস এর স্পেল সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তা নাহলে এতো শক্তিশালী ব্যক্তির অন্য ব্যাখ্যা আমি দিতে পারছি না। যদি এখানে সিকরেট কিংডম যুক্ত হয় তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই।❞ 

সবার ভাবনাকে এক সাইডে রেখে স্যামুয়েল একটা লাফ দিলো এবং এক লাফে সে চলে আসলো পূর্বের জায়গাতে যেখানে সে ফাইট করেছিলো মেয়েটার সাথে। সেখানে এখনো আরোহী দাঁড়িয়ে ছিলো, যার কাছে গিয়ে উপর থেকে পরলো স্যামুয়েল। আরোহী শুধু একবার তাকালো স্যামুয়েলের দিকে। যদিও সে বুঝতেছিলো স্যামুয়েল মূলত এলেক্স, তারপরও তার মধ্যে কেমন সংকোচ বোধ করছিলো তাই সে কথা বলছিলো না। এমনিতেই তার ফুপি-আম্মার জন্য তার অনেক মন খারাপ ছিলো। স্যামুয়েল এখানে কোনো রকম কথা না বলেই নিজের হাতের স্পেস রিং ব্যবহার করলো। তার হাতের স্পেস রিং মূলত "রিং অফ বিলজবাব" বা "জিডুরী" যা সে এখন তার সাইড ক্যারেক্টার দিয়েও এক্সেস করতে পারে। সেটাকে স্পেস রিং হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও এলেক্স তার সিস্টেম এর ইনভেন্টরিকে ব্যবহার করা সহজ মনে করে। আর এই রিং এর মধ্যে সে আরোহীকে বন্ধী করে রাখে। এখনো সেটাই করলো। আবারো রিং এর মধ্যে ফেলে দিলো আরোহীকে। অনেক কিছু জিজ্ঞেস করার ছিলো, তারপরও স্যামুয়েল তারাহুরা করলো না। কারণ সময় চলে যাচ্ছিলো না। সময় আবারো আসবে এবং সে সময়ে সে সব কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারবে সে মাস্ক পরা মেয়েটার সম্পর্কে।

স্যামুয়েল আরোহীকে তার রিং এর মধ্যে ফেলে রেখে এনরিকে নিয়েই লাফ দিলো এবং কয়েকটা লাফেই সে প্যালেসের থেকে অনেকটা দূরে চলে গেলো। তার এক একটা লাফে সে সাধারণ ভাষায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলছিলো। অবশ্য এটা আপনি কিংবা আমি থাকলে ফিল করতাম। যাইহোক সবার চোখের আড়ালে এসে স্যামুয়েল চলে আসলো সেই পাবের ছাদের উপরে যেতে ভেঙে সে সেই রুমের মধ্যে চলে আসলো যেখানে সে এম্পায়ারের প্রিন্সকে বেঁধে রেখেছে। রুমের মধ্যে তখন কেউ ছিলো না শুধুমাত্র প্রিন্স ব্যতীত। প্রিন্সের অবস্থাও তেমন ভালো ছিলো না। স্যামুয়েল সেখানে এসে প্রিন্সের থোবরা দেখেই বুঝতে পারলো অনেকটা পিটানি খেয়েছে সে স্যাম এবং ক্রিসের হাতে। অবশ্য এই কাজটা স্যামের হবে না সেটা ভালো করেই বুঝতে পারলো স্যামুয়েল। বেশি কিছু চিন্তা না করে সে তার মেইন ক্যারেক্টারে চলে আসলো,

      (ক্যারেক্টার চেঞ্জঃ এলেক্স)

এলেক্স তার মেইন ক্যারেক্টারে চলে আসলো। যেটায় সব সময় সে বেশি কমফোর্ট ফিল করে। মূলত তার ক্যারেক্টার চেঞ্জের সাথে সাথে তার পারশোনালিটিও চেঞ্জ হয়। যেটা এলেক্সের তেমন পছন্দের নয়। তারপরও সেই সময় সে শুধু এলেক্স থাকে না তাই এখন আর এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করে না। এক সাইডে বিছানাকে ফেলে রাখা হয়েছিলো যেটাকে সে ঠিক করে দিয়ে সেখানে প্রিন্সেসকে শুইয়ে দিলো। ঠিক সেই সময়েই প্রিন্সেস একটা স্বপ্ন দেখছিলো,


      প্রিন্সেস এনরির স্বপ্ন,

প্রিন্সেসকে হাজারে মনস্টার ঘিরে ধরেছে। মনস্টার গুলো প্রিন্সেসকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসছিলো। তাদের থেকে প্রিন্সেসকে বাঁচানোর মতো কেউ ছিলো না। তাই প্রিন্সেস দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কান্না আর কেউ এসে তাকে সাহায্য করবে এই আশা করা ছাড়া আর কোনো পথ ছিলো না। মনস্টার গুলো তাকে এট্যাক করতে যাবে ঠিক সেই সময়েই উপর থেকে একটা ব্যক্তি প্রবেশ করলো। যার পিঠে এঞ্জেলের মতো দুটো সাদা ডানা ছিলো। মাথায় উজ্জ্বল সাদা একটা রিং ছিলো। সেই সাথে তার শরীর থেকে উজ্জ্বল সাদা তারার মতো চকমকানো জিনিস বের হচ্ছিলো। লোকটার চুল একটা মেয়ের মতোই বড় ছিলো। তার চেহারা এতোটা হ্যান্ডসাম ছিলো যে প্রিন্সেসের হার্ট অনেক জোরে জোরে বিট হতে শুরু করলো। কিন্তু হঠাৎ সেই হ্যান্ডসাম ছেলেটার শরীর এবং চেহারা চেঞ্জ হয়ে পরিচিত একটা ব্যক্তিতে পরিণত হলো। সেই ছেলেটা এলেক্স ছিলো। এমন নয় যে এলেক্স হ্যান্ডসাম ছিলো না, কিন্ত বয়স কম থাকার কারণে তাকে হ্যান্ডসাম কম বরং কিউট বেশি বলা যেতে পারে। তারপরও প্রিন্সেসের হার্ট বিট কমলো না। সুন্দর হ্যান্ডসাম ছেলেটার জন্য সে যেরকম ভাবতে লাগলো ঠিক তেমনি এলেক্সের জন্যও সে ভাবতে লাগলো। এলেক্স একের পর এক মনস্টার হত্যা করলো এবং প্রিন্সেসকে বাঁচিয়ে ফেললো। অবশেষে প্রিন্সেসকে শক্ত করে ধরে এলেক্স একটা কিস খেলো।

            প্রিন্সেসের স্বপ্ন শেষ,

এনরির স্বপ্ন ভাঙার সাথে সাথে সে এলেক্সকে দেখতে পেলো। এলেক্স মাত্র তাকে শুইয়ে দিয়েছে। এনরি কোনো রকম কিছু চিন্তা করলো না। তার চেহারা একদম লাল হয়ে গেলো মাত্র দেখা স্বপ্নের কথাটা চিন্তা করেই। তাইতো তো সে কোনো রকম কথা চিন্তা না করেই এলেক্সের গলা ধরে টান দিয়ে এলেক্সের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট রেখে দিলো। যেটার জন্য এলেক্স একদমই প্রস্তুত ছিলো না। এলেক্স এই অবস্থায় বুঝতেই পারছিলো না সে কি করবে। দুই তিন সেকেন্ডেই প্রিন্সেস লজ্জা পেয়ে এলেক্সকে ছেড়ে দিয়ে নিজের মুখটা ঢেকে ফেললো। এলেক্স কিছুটা অবাক হয়েছে, কিন্তু তার মুখে কোনো রকম এক্সপ্রেশন ছিলো না। সে কোনো রকম চিন্তা না করে প্রিন্সেসকে একটু রেস্ট নেওয়ার সময় দেওয়ার কথা চিন্তা করলো। তাই সে পিছনে ঘুরলো। পিছনে ঘুরে সে বেঁধে রাখা প্রিন্সকে দেখতে পারলো। যার চোখ বড় বড় হয়ে ছিলো। সে পূর্বেই বুঝতে পেরেছিলো হয়তো এরকম কিছু একটা হবে। প্রিন্সেসের ব্যাপারে অনেকটা গুজব সে শুনেছে। কিন্ত,

      ❝আমি ভাবতেও পারি নি, আমার সাথে বিয়ে ঠিক হওয়া একটা মেয়ের বয়ফ্রেন্ড যে বয়সের দিক দিয়ে এতো ছোট সে আমার মতো একটা প্রিন্সকে এভাবে অসম্মান করবে। এই সবের প্রতিশোধ আমি নিয়েই ছারবো। এখনি সব শেষ হচ্ছে না।❞


* * *

To Be Continued 

* * *

কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

4 comments

  1. Shokher Bose eaikhane coment korlam.
    Awesome story
  2. Elmond koto powerful vaiii 😲😲 !!! Jaar power somporke suprim god raa oo thikmoto jaanee naa🤔🤔 etto power pailo koii oiii😲😲
    1. Elmond ek jon supreme being
    2. এলমন্ডের সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, এলেক্সের ড্রাগন বলেছিলো "ডিমন জেনারেলের" পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা এবং স্পর্শিয়ার চেহারা এলেক্সের মুখে দেখতে পাওয়ার কথা, এর দ্বারা অনেকটা ধারনা করা যায় এলেক্স স্পর্শিয়ার ও ডিমন জেনারেলের সন্তান। আবার "সুপ্রিম বিয়িং” এর পঞ্চ পিলারের শক্তির একটা স্পর্শিয়া আর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিমন কিং কে তাদের একজন কোনভাবে মেরে ফেলেছে। পরবর্তী সময়ে অনেকটা ধারনা করা যায় ঐ একজন কেয়স, যে ডিমন কিং কে মেরে তার স্থান এবং পরবর্তীতে অন্য পিলারের শক্তিগুলোকে বন্দী/হত্যা করে তাদের স্থান দখল করে আছে। যখন কেয়সের সামান্য শক্তির জন্য সুপ্রিম বিয়িং সৃষ্টি হয়েছে তখন ধারণা করা যায় ডিমন কিং এর জেনারেলের শক্তি তাদের থেকে অনেক বেশি।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.