#Demon_King#
পর্ব:১২৯
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
এগনোলেনিয়া,
মেফাস কিংডমের ক্যাপিটালের প্যালেসের মধ্যে ফাইট হচ্ছিলো। সকল নাইট এবং ম্যাজিসিয়ান একত্র হলেও তারা এই ফাইটটা থামানোর মতো কোনো রকম সাহস তৈরি করতে পারছিলো না। তাদের মনে একটা ভয় ই ছিলো। "মাস্ক পরা মেয়েটার সামনে গেলে নিজেদের মৃত্যু হবেই।" কোনো ব্যক্তিই ফাইট থামানোর কথা চিন্তাও করতে পারছিলো না। সবাই হাতের উপরে হাত ফেলে রেখে শুধু ফাইট দেখে যাচ্ছিলো।
মাস্ক পরা এক রহস্য ময়ী একটা মেয়ের সাথে স্যামুয়েলের ফাইট হচ্ছিলো। পূর্বে স্যামুয়েল যখন তার এমিয়াস সাইড ক্যারেক্টার হয়ে ছিলো তখন লেভেল এবং স্ট্যাটের মধ্যে পার্থক্য থাকার কারণে ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারে নি মাস্ক পরা মেয়েটার সামনে। স্যামুয়েলের সামনে এখন তিনটা প্রতিপক্ষ ছিলো। মাস্ক পড়া মেয়েটা তো ছিলোই, তার সাথে আরো দুজন এখন যুক্ত হয়েছে। মাস্ক পরা মেয়েটার স্পেল "কিলারফ্রস্ট" ব্যবহার করার ফলে দুটো আইসের গোলেম তৈরি হয়েছে। যাদের আকার অনেকটা মানুষের মতো হলেও তাদের শরীরের আকার অনেক বড় ছিলো। একজনের শরীরের ভারি আর্মার ছিলো আইসের এবং শরীরও অনেক মোটাতাজা ছিলো। অন্যদিকে পাতলা গরণের আরেকটা গোলেম যেটা মূলত ছোট দুটো ড্যাগার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো সে একজন এসাসিন টাইপের হবে। মাস্ক পরা মেয়েটার শরীর থেকে একটা অউরা বের হলো যেটা পূর্বের মতোই সিলভার কালারের ছিলো। তবে এবারের অউরাটা একদম কালচে ছিলো। সিলভার কালারকে জীবিত রেখে যতটা কালচে হওয়া সম্ভব ঠিক ততটাই কালচে হয়েছে এবারের অউরাটা। এই অউরা স্যামুয়েলের উপরে কোনো রকম প্রেসার তৈরি না করলেও স্যামুয়েলের এন্টি ম্যাজিক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
-""হোস্টের প্যাসিভ স্কিল এন্টি-ম্যাজিক ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছে প্রতিপক্ষের ডোমেইনের কারণে। ডোমেইন থেকে বের হলেই সেটা আবারো একটিভ হবে""-
স্যামুয়েলের সামনে সিস্টেমের একটা মেসেজ চলে আসলো যেটা আসলেই ভয়ানক ছিলো। তবে স্যামুয়েলের কাছে তার ডিম্যান প্রিন্স হওয়ার পরের স্মৃতি না থাকলেও পূর্বের গুলো আছে তাই নিজের প্রাইডকে রক্ষা করার জন্য তাকে তার সর্বোচ্চ দিয়েই ফাইট করতে হবে।
❝একটা স্পেল যেটা এই প্যালেসের পুরোটা জায়গাকে আইসে ঘিরতে পারে, সেই সাথে একটা ডোমেইন যেটা আমার এন্টি-ম্যাজিক স্কিলকে ক্যান্সেল করতে পারে। এই সবটা জিনিসই আমার সামনের ব্যক্তিকে আরো ভয়ানক বানিয়ে দিচ্ছে। একটা কন্সটেলেশন? না কোনো কন্সটেলেশন এক্সব্লকের বাইরে আসতে পারবে না। তাহলে কি কোনো অ্যাভেটার? অ্যাভেটার হলেও অনেক শক্তিশালী একজন কন্সটেলেশনেরই অ্যাভেটার হবে আমার মনে হচ্ছে।❞ (স্যামুয়েল ভাবছে)
এলেক্স যেহেতু স্যামুয়েলের পুরো জীবনটা দেখেছিলো ডিম্যান প্রিন্স হওয়ার পূর্বের, তাই এক্সব্লক এবং কন্সটেলেশন সম্পর্কে তার ধারণা রয়েছে। আর এখন যেহেতু সে তার সাইড ক্যারেক্টার স্যামুয়েলের মধ্যে আছে, তাই এই সব কিছু তার জানায় রয়েছে। যদিও সে স্যামুয়েল হয়েছে সম্পূর্ণ ভাবে তারপরও স্যামুয়েল লুসিফার হওয়ার পরের কোনো বিষয়ই সে জানে না বা তার ধারণা নেই। তাই এই মেয়েকে লুসিফার কোথাও দেখে থাকলে সেটা স্যামুয়েল মনে করতে পারছে না।
দুটো গোলেম আর দাঁড়িয়ে না থেকে এট্যাক করতে আসলো স্যামুয়েল কে। ফাইটের নিয়ম অনুযায়ী নাইটের মতো বিশালদেহী গোলেমটা তার হ্যাভি লং সোর্ড দিয়ে প্রথমে এগিয়ে আসলো স্যামুয়েলের দিকে এট্যাক করতে। পিছনে পাতলা শরীরের এসাসিন গোলেমটা রয়েছে যেটা সামনের বিশালদেহী গোলেমের বিশাল শরীরের পিছনে লুকিয়ে গোপনে এট্যাক করার চিন্তা করছে। একদম বুদ্ধিমানের মতোই তারা প্লান করে হত্যা করার চেষ্টা করছে স্যামুয়েলকে। যদিও মাস্ক পরা মেয়েটা জানে এটা যথেষ্ট ছিলো না স্যামুয়েলের জন্য তারপরও সে স্যামুয়েলের পাওয়ার চেক করার জন্য প্রথমে গোলেম দুটো ব্যবহার করলো।
(একটিভ স্কিলঃ মার্শাল-আর্ট)
(মার্শাল আর্টঃ কুংফু স্টাইল)
(নরমাল মুভঃ ওভারথ্রো স্ম্যাস)
স্যামুয়েলের চারদিক দিয়ে হলুদ এনার্জি সংগ্রহ হলো যেটা দেখা মাত্র মাস্ক পরা মেয়েটাও একটু বিচলিত হলো। সে কল্পানাও করতে পারে নি সে এখানে এতো দুর্বল একটা এনার্জি দেখতে পারবে।
-> আমার সাথে কি চি এনার্জি দিয়ে ফাইট করবে? যে এনার্জি দিয়ে মানুষেরা শুধু লাঠি এবং ইট ভাঙতে পারে সেটা দিয়ে একটা উল্কার থেকে শক্তিশালী গোলেমের সাথে কিভাবে ফাইট করবে।
মাস্ক পরা মেয়েটার মনে অনেক প্রশ্ন ছিলো। যখন তার মনে একটু বেশি প্রশ্ন থাকে তখন সে একটু বেশি কথা বলে। কারণ কথার মধ্য দিয়েই অনেক কিছু জানা সম্ভব যা সাধারণ অনেকেই জানে না। স্যামুয়েল কোনো কথা না বলেই একটা দিলো এবং বড় গোলেমের মাথার উপর দিয়ে চলে যেতে লাগলো। গোলেমটা এট্যাক করতে যাবে তার পূর্বেই স্পিডে স্যামুয়েল গোলেমটার মাথা ধরে ফেললো। স্যামুয়েল এবার ঘুরে পিছনে চলে গেলো এবং নিজের পিঠকে গোলেমের পিঠের সাথে ঠেকিয়ে গোলেমের মাথাকে হাত উঁচু করে ধরলো দুই হাত দিয়ে। এবার সামনের দিকে তাকে উল্টিয়ে অনেক জোরে একটা বারি মারলো। তার আশেপাশের সমস্ত এনার্জি এই সময়ে তার হাতের মধ্যে চলে এসেছিলো এবং এক স্ম্যাসেই বিশালদেহী গোলেমটা তো টুকরো টুকরো হলোই, সেই সাথে পিছনে থাকা চিকনা গোলেম যেটা লুকিয়ে এট্যাক করার প্রস্তুতিতে ছিলো সেটার উপরে বড় গোলেমকে স্ম্যাস করার ফলে সে ও ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। বরফের তৈরি সব জিনিসই কাঁচের মতো। ভেঙে গেলে কাঁচের মতোই টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
-> বলতে হবে তোমার স্ট্রেন্থ আছে এখনো। কিন্তু তোমার এবিলিটি ছাড়া ম্যাজিকের থেকে কিভাবে বাঁচবে তুমি?
মাস্ক পরা মেয়েটা কথাটা বললো। তার কথা বলার পূর্বেই সে একটা স্পেল তার হাতে রেডি রেখেছে। যেটা সে মাত্র স্যামুয়েলের দিকে ছুঁড়ে মারলো কথার সাথে সাথে।
(ফরবিডেন স্পেলঃ ব্লাকহোল)
এটাও একটা ফরবিডেন স্পেল ছিলো যার মানে পাঠকরা জানে না বলে কিছুই বুঝতে পারছে না। অবশ্য লেখক পরে বুঝিয়ে দিবে এটা কি। একটা কালো বল মেয়েটার হাত থেকে উড়ে স্যামুয়েলের সামনে চলে আসলো। বলটার আকার একটা ছোট মার্বেলের মতো ছিলো। যেটা দেখতে ছোট হলেও কি হবে, সেটা স্যামুয়েলের সামনে এসে আটকে গেলো। স্যামুয়েল মনে করেছিলো স্পেলটা তার শরীরে লাগবে। যেহেতু মেয়েটা কোনো রকম চান্টিং ছাড়ায় স্পেলটা ব্যবহার করেছে, তাই স্যামুয়েল সঠিক জানতো না এটা কোন ধরনের স্পেল ছিলো। তবে তার সামনে এসে স্পেলটা থেমে যাওয়ার পর যখন আশেপাশে সমস্ত কিছু সেটা এবজোর্ব করতে শুরু করলো তখনি স্যামুয়েল বুঝতে পেরেছে সেটা কি ছিলো।
❝এই সময়ে ব্লাকহোল! এই জিনিসটার মধ্যে প্রবেশ করলে কোন ইউনিভার্সে চলে যাবো তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।❞ (স্যামুয়েল ভাবছে)
ব্লাক হোলের আকার একটা ছোট মার্বেলের মতো হলেও সেটার পাওয়ার একটা বড় ব্লাক হোলের মতোই ছিলো। মাটি থেকে শুরু করে পুকুরের পানি এমনকি প্যালেসের দালানের অংশও সেটা অবজোর্ব করার চেষ্টা করছে। স্যামুয়েল অনেক কষ্টে মাটিতে পায়ের সমস্ত প্রেসার ফেলে দাঁড়িয়ে ছিলো। সে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার প্লান করছিলো না। তাই তো সে হালকা লাফ দিলো এবং তীব্র বেগে মার্বেলের আকারের বলের দিকে উড়ে যেতে শুরু করলো। সেটার ভিতরে এবজোর্ব হওয়ার একটু পূর্বেই স্যামুয়েল তার ডান পায়ে সমস্ত এনার্জি চ্যানেল করলো এবং আবারো তার মার্শাল আর্ট স্কিল ব্যবহার করলো।
(একটিভ স্কিলঃ মার্শাল-আর্ট)
(মার্শাল আর্টঃ বিস্ট স্টাইল)
(সিকরেট মুভঃ টার্টেল ফিউরি)
একটা বিশালাকার টার্টেল বা কচ্ছপের প্রতিচ্ছবি তৈরি হলো স্যামুয়েলের উপরে। যেটা স্যামুয়েলের কিকের সাথে সাথে উপর থেকে নিচে পরলো। একটা কট করে আওয়াজ দিয়ে মার্বেলের মতো কালো ব্লাক হোলটা ভেঙে গেলো একটা বড় বিস্ফোরণের সাথে। যার মধ্য থেকে স্যামুয়েল শুধু কয়েকটা ছোট ক্ষত নিয়ে বের হয়েছে। যা আসলেই দেখার মতো একটা অবস্থা ছিলো। স্যামুয়েলকে একটা আঘাত প্রাপ্ত বাঘের মতো লাগছিলো যে তার শিকারের জন্য অপেক্ষা করছিলো। অন্যদিকে মাস্ক পরা মেয়েটা মাস্ক পরে থাকার কারণে তার মুখের এক্সপ্রেশন দেখা সম্ভব ছিলো না।
-> একজন ব্যক্তি যখন তার প্রতিপক্ষকে দুর্বল মনে করে, তখনি সে তার লাইফের সবচেয়ে বড় ভুলটা করে। (স্যামুয়েল)
স্যামুয়েল কথাটা মাস্ক পরা মেয়েটার উদ্দেশ্যে বললো। মেয়েটা স্যামুয়েলের কথাটা শুনে একটা হাসি দিলো এবং কোনো রকম স্পেলের সাহায্য ছাড়ায় সে হাড্ডাহাডি ভাবে স্যামুয়েলের সাথে ফাইট করতে লাগলো। একের পর এক পান্স এবং কিক মারতে শুরু করলো যা তার স্ট্রেন্থের সাথে স্যামুয়েলের স্ট্রেন্থকে সমান প্রকাশ করছিলো।
-> আমার মনে হয় অনেক খেলা করা হয়েছে। এবার আসল কাজটা শেষ করা যাক।
মাস্ক পরা মেয়েটা হঠাৎ থেমে গেলো। সে তার ডান হাতকে সামনের দিকে তুলে ধরলো। যেটার কারণে স্যামুয়েল আর তার শরীরকে নারাতে পারছিলো না। তীব্র আকারের একটা ইলেকট্রিক শক তার শরীরে খেলা করছিলো। যেটার ব্যথা অসহনীয় হওয়ার পরও স্যামুয়েল কোনো এক্সপ্রেশন তৈরি না করেই সেটা সহ্য করে গেলো। এবার মেয়েটা তার একটা স্পেল ব্যবহার করলো।
(ফরবিডেন স্পেলঃ রিটার্ন টু অরিজিন)
মাস্ক পরা মেয়েটা এমন একটা স্পেল ব্যবহার করলো, যেটা কিছু সংখ্যক উচ্চ লেভেলের বিয়িং রাই ব্যবহার করতে পারে। স্পেলটার মূল কাজ যে কোনো বস্তুকে তার অরিজিনে পাঠিয়ে দেওয়া। মানে যে জায়গা থেকে সর্বপ্রথম এসেছে সে জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া। আর সকল জীবিত বস্তুর প্রথম স্থান ভয়েডে, তাইতো মাস্ক পরা মেয়েটা স্যামুয়েলকে ভয়েডে পাঠাতে চাচ্ছিলো।
❝যদিও আমি জানি না এটা কোন স্পেল, কিন্তু আমার শরীরের লোম গুলো আমাকে বিপদের সংকেত দিচ্ছে। তাই আমাকেও এখন সিরিয়াস হতে হবে। জানি না এটা কাজ করবে কিনা। তারপরও চেষ্টা করে দেখা যাক।❞ (স্যামুয়েল ভাবছে)
(একটিভ স্কিলঃ মার্শাল-আর্ট)
(মার্শাল আর্টঃ কিলার স্টাইল)
(স্পেশাল মুভঃ কন্সটেলেশন কিলার কিক)
স্যামুয়েল তার সবচেয়ে স্পেশাল মুভ ব্যবহার করেছে। যদিও তার স্কিলের বিবরণ বিস্তারিত ভাবে এখন বলতে পারছি না। তবে সংক্ষিপ্ত আকারে বলায় যায়। স্যামুয়েলের মার্শাল আর্ট স্কিলটা অন্য সব স্কিলের থেকে ভিন্ন। এটা তার নিজের তৈরি একটা স্কিল, যেটার মধ্যে বেশ কয়েকটা স্টাইল রয়েছে। সব স্টাইলের মধ্যে আবার বিভিন্ন মুভ রয়েছে। ফাইটের সময় স্যামুয়েলের ব্যাটেল সেন্স যেটা প্যাসিভ স্কিল সেটা সব সময় একটিভ থাকে। যার কারণে কখন কোন মুভ তার ব্যবহার করতে হবে সেটা আপনা আপনিই তার মাথায় কাজ করে। যায়হোক আসল বিষয়ে আসা যাক।
আশেপাশের প্রতিটা বস্তু থেকে হলুদ কালারের এনার্জি সংগ্রহ হয়ে স্যামুয়েলের কাছে চলে আসলো। যেটা তার শরীরে সংগ্রহ হওয়ার সাথে সাথে সে নিজের হাত পা কে নারাতে পারছিলো। তাইতো সে তার পায়ে সমস্ত এনার্জি ফোকাস করে একটা কিক মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এতোক্ষণে মেয়েটার স্পেলও কাজ করতে শুরু করেছে। স্যামুয়েলের হাতের চামড়া কিছুটা কিছুটা করে অদৃশ্য হতে শুরু করেছে। যা আস্তে আস্তে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছিলো। তবে স্যামুয়েল এই বিষয়ে একদমই খেয়াল না করে তাকিয়ে রইলো সামনের দিকে। সে মাস্ক পরা মেয়েটাকে আঘাত করতে যাবে ঠিক তখনি স্যামুয়েলের হাতে থাকা রিং যার নাম "জিডুরি" তার ভিতর থেকে একজন ব্যক্তি খুব দ্রুত বের হলো। সে বের হয়েই বড় একটা নিশ্বাস নিলো। এমন মনে হচ্ছিলো সে রিং এর মধ্যে আটকা ছিলো এবং একদমই নিশ্বাস নিতে পারছিলো না। স্যামুয়েল তাকে চিনতে পারলো কারণ তার মধ্যে এলেক্সের স্মৃতি গুলোও ছিলো। সে জানতো যে এলেক্সই তাকে বন্ধী করেছে রিং এর মধ্যে। তাই সে বেশি একটা বিচলিত হলো না এই জায়গায়। তবে তার সামনে থাকা মাস্ক পরা মেয়েটা কিছুটা বিচলিত হলো হঠাৎ রিং এর মধ্য থেকে বের হওয়া মেয়েটাকে দেখতে পেয়ে।
-> আমার শরীর যন্ত্রনায় শেষ। এক বার এলেক্সকে পেয়ে নি আমার সামনে, তাহলেই বোঝাবো কত ধানে কত চাল। (আরোহী)
কথাটা আরোহী মুভ ফুলিয়ে বললো। দুজনের একদম মাঝখানে আরোহী থাকার কারণে স্যামুয়েল তার স্কিল এবং মাস্ক পরা মেয়েটা তার স্পেল ক্যান্সেল করে দিলো। যার কারণে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলো। মাস্ক পরা মেয়েটা কিছু বলতে গিয়েও আর কিছু বললো না। সে চুপ থাকাকেই প্রাধান্য দিলো। অপরদিকে স্যামুয়েল আরোহীকে ইগনোর করে ফাইট করেই যাচ্ছিলো, যেটার জন্য মাস্ক পরা মেয়েটা প্রস্তুত ছিলো না। স্যামুয়েল একটা পান্স দিলো একদম এগিয়ে গিয়ে মেয়েটার মুখে। যেটার ফলে মেয়েটার মুখের মাস্ক খুলে গেলো। যেটা দেখে আরোহীও তাকে চিনতে পারলো। কিন্তু সে এখানে কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছিলো না।
আপনারাই বলে দিন, সে কে হতে পারে😅।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।
গোছগাছ করে লেখতে বসতে একটু সময় লেগে গিয়েছে। আশা করি কাল মেসে উঠার পর পরশুদিন থেকে একটু বড় করে গল্প দিতে পারবো🥰।