আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১৪৬

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:১৪৬

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.

       টাওয়ার অফ গ্লাটোনি,

টাওয়ারের ১০ তম ফ্লোরের মধ্যে জয়েন্ট টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উক্ত টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের প্রথম স্টেজের জন্য একটা ড্যানজন সিলেক্ট করা হয়েছে। উক্ত ড্যানজনের মধ্যে একাডেমির সকল টিম প্রবেশ করেছে এবং তাদের মধ্যে কিছু মনস্টারের সাথে, কিছু বস মনস্টারের সাথে এবং কিছু অন্যান্য টিমের সাথেই ফাইট করছিলো। ড্যানজনের মধ্যে দুটো বস রুম আবিষ্কার হয়েছে। যার একটা স্বাভাবিক হলেও অন্যাটা পুরো আনএক্সপেক্টেড ছিলো।  অবশ্য সেই ড্যানজনের মধ্যেই আরো আনএক্সপেক্টেড কিছু একটা হয়ে যাচ্ছে।

এলেক্স যার এবং বস মনস্টার বিলজবাব এর মধ্যে অনেক বড় একটা লেভেলের পার্থক্য ছিলো, সে খুব বাজে ভাবে বিলজবাবের কাছে হেরে যাচ্ছিলো। এমন একটা অবস্থা হয়েছিলো যেখানে এলেক্স তার শরীরকে হারিয়ে ফেলতো। তবে শেষ সময়ে এলেক্সের সাথেও একটা অবিশ্বাস্য জিনিস হয়ে যায়। তার বাম হাতের যে এক লাইনের ট্যাটুটা ছিলো সেটা উজ্জ্বল হয়ে যায়। এলেক্সের বাম হাতের ট্যাটু উজ্জ্বল হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার ব্লাডলাইনও একটিভ হয়ে যায়। এলেক্সের পুরো শরীর একটা রাবারের মতো হয়ে গিয়েছে। ঠিক একটা রাবারের অর্ধেক বাকা করলে সেটা যেভাবে আবারো দাঁড়িয়ে যায়, সেভাবেই এলেক্স নিচে পরা থেকে উপরে উঠে দাঁড়ালো। একদম বোঝায় যাচ্ছিলো না যে আদৌও তার শরীরে কি হাড় রয়েছে কিনা। এলেক্স যেভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে তাতে তার সামনে যে বস মনস্টার দাঁড়িয়ে ছিলো সে ও কিছুটা অবাক হয়েছে। কারণ এখন এলেক্সের শরীর থেকে কোনো ম্যাজিক এনার্জি দেখা না দিলেও তার শরীর শরীর থেকে যে আকারের ব্লাডলাস্ট বের হচ্ছিলো সেটা তার পিছনে বিশাল দৈত্যকার একটা কালো মনস্টারের তৈরি করেছে। এটকম অনুভূতি বিলজবাব পূর্বেও অনুভব করেছে। তাই কিছুক্ষণের জন্য তার শরীর শিউরে উঠলো। কিন্তু তাতে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে বিলজবাব এট্যাক করার জন্য এগিয়ে আসলো। এলেক্সের পাওয়ার কিংবা তার ব্লাডলাস্টও তাকে এতোটা মারাত্মক করছিলো না যতটা না তার ইমোশন হীন চেহারাটা করছিলো তাকে। 

     ❝আমিও তো এতো ইমোশন নিয়ে চলি না। তারপরও সময়ে সময়ে হাসতে ভুলি না। কিন্তু এই চেহারাকে যতবার দেখা হবে ততবারই সবার মনে কিছু একটা ছাপ লেগে যাবে।❞ (বিলজবাব ভাবছিলো)

বিলজবাব এগিয়ে গেলো এখন এট্যাক করার জন্য। যদিও এলেক্সের সাথে কিছু এটা হয়েছে যা এলেক্সকে আবারো দাঁড়াতে এবং কিছুটা ক্ষত হিল করতে সাহায্য করেছে, তারপরও এলেক্স এখনো পাওয়ারের দিক দিয়ে বিলজবাবের থেকে অনেকটা দূরে ছিলো। এটা মনে করে বিলজবাব কনফিডেন্স সহ এলেক্সের সামনে চলে আসলো। একটা এবিলিটি ব্যবহার করলো বিলজবাব যেটা এলেক্স এতোদিন স্কিল হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।

       (এবিলিটিঃ ব্লিংক)

বিলজবাব ব্লিংক ব্যবহারের মাধ্যমে এলেক্সের সামনে চলে আসলো খুব খুব কম সময়ের মধ্যে। এলেক্সের চোখ দুটো বন্ধ ছিলো। সে নিচে পরার পর থেকেই নিচের চোখ বন্ধ রেখেছে। সে এতোক্ষণ এমন একটা অবস্থায় ছিলো যেখান থেকে বাইরে কি হচ্ছিলো সেটা সম্পর্কে সে কিছুই জানে না। এলেক্সের একটিভ স্কিক গুলো কাজ না করলেও এলেক্সের প্যাসিভ স্কিল গুলো কাজ করছিলো। আর এলেক্সের প্যাসিভ স্কিল "ব্যাটেল সেন্স" এর কারণেই এলেক্সের শরীর নিচে শোয়া থেকে উপরে উঠে দাঁড়ায়। বিলজবাব এলেক্সের একদম সামনে এসে এলেক্সের বুক বরাবর আরেকটা পাম এট্যাক করতে গেলো। কিন্তু তার পাম এট্যাক এলেক্সের শরীরে কাজ করলো না। একটু পূর্বেই এলেক্সের রিয়েকশন এবং মুভমেন্ট স্পিড বিলজবাবের থেকে অনেক অনেক কম ছিলো। কিন্তু এখন এলেক্সের স্পিড অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এলেক্সের শরীর তার প্যাসিভ স্কিলের কারণে আপনাআপনি কাজ করছিলো। যেখানে এলেক্স অন্য একটা জায়গার মধ্যে ছিলো। জায়গাটা তার মাইন্ডের মধ্যেই ছিলো। এলেক্স হাঁটু সমান পানির উপরে দাঁড়িয়ে ছিলো। পানির সহ আশেপাশের সব কিছুর কালার ছিলো সাদা। এখনে কতক্ষণ সে দাঁড়িয়ে ছিলো সেটা সে নিজেও জানে না। সময় এখানে সেভাবে চলে না বলে এলেক্স বুঝতে পারলো না। বিশাল একটা জায়গার মধ্যে এলেক্স একা ছিলো না। তার সামনে দুটো বস্তু ছিলো। যে দুটোকে মনস্টারই বলা যেতে পারে। কারণ এতোদিন এলেক্স সেটাকে মনস্টার হিসেবেই জেনে এসেছে। তাছাড়া পুরো ওয়ার্ল্ড বা ইউনিভার্সের সবচেয়ে দুর্বল মনস্টার নামেও সেটা পরিচিত। 

-> দুটো স্লাইম! (এলেক্স)

এলেক্স অনেক সময় সেটার দিকে তাকিয়ে কথাটা বলেই ফেললো। তার সামনে দুটো স্লাইম মনস্টার ছিলো। দুটো আসলেই সবচেয়ে দুর্বল স্পিসিজদের মধ্যে একটার অন্তর্ভুক্ত। আর সে স্লাইমই এলেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। যেটা ভাবতেই এলেক্সের কেমন জানি অবাক লাগছে।

-> তাহলে আমি কি মারা গিয়েছি? এটা জি আন্ডারওয়ার্ল্ড, শাস্তি হিসেবে কি আমাকে স্লাইমের সাথে ফাইট করতে হবে? (এলেক্স)

এলেক্সের মাথায় এখনো অনেক প্রশ্ন ছিলো। কিন্তু সে তো স্লাইম দুটোর থেকে সে প্রশ্নের উত্তর আশা করছে না। তাই নিজেকেই কথা গুলো সে বললো। অন্যদিকে তার সামনের দুটো স্লাইম পানির উপরে ভাসছিলো এলেক্সের সামনেই। একটা কালো এবং অপরটি সাদা। দুটো স্লাইমের চোখ কোথায় সেটা খুঁজতে থাকা এলেক্স শেষ পর্যন্ত খুজেই পেলো না। একটু বিরক্ত হয়ে এলেক্স একটু সামনে এগিয়ে গেলো এবং তার ডান পা দিয়ে কালো স্লাইমটাকে একটা কিক করলো। পানির মধ্যে পা থাকার কারণে এলেক্সের কিকে তেমন একটা ফোর্স ছিলো না। তার পরও এলেক্স আশা করেছিলো তার স্ট্রেন্থ অনুযায়ী আরো অনেক দূরে গিয়ে পরবে স্লাইম মনস্টারটা। কিন্তু সেরকম কোনো কিছুই হলো না। এলেক্সের কিকের কারণে বেশি একটা দূরে গিয়ে পরলো না কালো স্লাইমটা। কালো স্লাইমটা দূরে যাওয়ার সাথে সাথে সাদাটা মনে হলো এলেক্সকে কিছু একটা বললো একটু লাফিয়ে। এরপর সেটা পানির উপরেই লাফিয়ে লাফিয়ে কালো বলটার কাছে চলে গেলো এবং মনে হলো সেটার শরীর থেকে ছোট একটা হাতের মতো কিছু একটা বের হলো এবং সেটা দিয়ে সাদা স্লাইমটা কালো স্লাইমের মাথার উপরে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। এলেক্স বিষয়টা দেখে একটু অবাক হয়েছে। প্রথমত সে বুঝতে পারছিলো না এটা কোন জায়গা। যদিও পরিচিত একটা ফিল আসছিলো তার কাছে তারপরও সে এরকম কোনো স্লাইম দেখে নি যারা এরকম ব্যবহার করতে পারে। এলেক্স আবারো কিছুটা এগিয়ে গেলো। কিন্তু এবার কালো স্লাইমের সামনে সাদাটা চলে আসলো এবং কাঁপতে লাগলো। এলেক্স এতোটাও না বুঝ ছিলো না। সে বুঝতে পারলো স্লাইমটা কি বোঝাতে চাচ্ছিলো। 

-> ঠিক আছে আমি তোমাদের কাউকেই আঘাত করবো না। কিন্তু সেটার আগে তোমাদের বলতে হবে তোমরা কি? এবং আমি এখানে কিভাবে আসলাম। (এলেক্স)

এলেক্সের কথা শুনে সাদা স্লাইমটা পিছনের দিকে ঘুরলো। এলেক্সের মনে হলো তারা দুজনের সাথে কিছু একটা কথা বলছিলো। এবার সাদা স্লাইমকে পিছনে রেখে কালো স্লাইমটা এগিয়ে আসলো। সাথে সাথে তার শরীরটা উজ্জ্বল হয়ে গেলো। স্লাইমটা ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। ঠিক এলেক্সের বয়সী একটা ছেলে হয়ে গেলো স্লাইমটা। যদিও বয়সের দিক দিয়ে এলেক্সের সমান ছিলো তারপরও উচ্চতার দিক দিয়ে এলেক্স তার থেকেও কিছুটা বড় ছিলো। ঈষৎ কালো চেহারা হলেও চেহারার মধ্যে এমন একটা মায়া ছিলো যা যে কোনো মেয়েকেই আকৃষ্ট করতে যথেষ্ট ছিলো। সেই সাথে হলুদ দুটো চোখ দুটো অনেকটা বিড়ালের মতো ছিলো।

     [হাই!]

ছেলেটা কথাটা অনেক কাপা কন্ঠে বললো। এমন মনে হচ্ছিলো সে এলেক্সের সাথে কথা বলতে লজ্জা এবং ভয় দুটো একই সাথে পাচ্ছিলো। এলেক্স কোনো রকম এক্সপ্রেশন তৈরি না করে সোজা জিজ্ঞাসা করলো ছেলেটাকে।

-> তোমরা কি? এবং এটা কোন জায়গা? আর মূল বিষয় আমি এখানে কেনো? (এলেক্স)

এলেক্সের প্রশ্ন গুলো শুনে ছেলেটা আরো ভয় পেয়ে গেলো। সে কি উত্তর দিবে কিছুই বুঝতে পারছিলো না। কোনো কিছু সে গুছিয়ে পাচ্ছিলো না বলার জন্য। 

-> আমার একই জিনিস দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করা মোটেও ভালো লাগে না। (এলেক্স)

এবার এলেক্সের কথা শুনে ছেলেটা ভয়ে কেঁপে উঠলো। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সে বলতে লাগলো, 

    [এই জায়গাটা আপনারই মাইন্ডের ভিতরে। আমাদের দুজনকে বলা হয় টুইন স্লাইম। স্লাইম স্পিসিজের হলেও আমরা বাকি স্লাইমের থেকে অনেকটা আলাদা। কারণ টুইন স্লাইম হাজারো কোটি বছরে মাত্র একটায় পাওয়া যায়। আর সেটা আমরা।]

-> স্লাইম একা হোক কিংবা টুইন হোক। সবশেষে সে একটা স্লাইমই। তাই এখানে আমি কোনো স্পেশাল জিনিস আশা করছি না। (এলেক্স)

এলেক্সের কথায় তার সামনের ছেলেটার মুখ লাল হয়ে গেলো। বোঝায় যাচ্ছিলো সে কিছুটা রেগে গিয়েছে। কিন্তু কোনো কিছু বলতে পারছিলো না সে এলেক্সকে। এক দিক দিয়ে এলেক্সের কথা ঠিকই ছিলো, তাই এখানে বলার মতো কোনো কথাও ছিলো না। 

-> আমার মাইন্ডে তোমরা দুজন আসছো কিভাবে আমি সেটা জানতে চাই। (এলেক্স)

এলেক্স প্রথমে মনে করেছিলো হয়তো সে মারা গিয়েছে এবং সে আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে এসেছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে সব রকমের শাস্তি দেওয়া হয় এক এক সউলকে। তবে স্লাইম থেকে ছেলে হওয়ার পর সেটা যখন এলেক্সকে বললো এটা তার মাইন্ডের ভিতরেরই একটা জায়গা তখন এলেক্সের মনে পরলো সে এই জায়গাতে পূর্বেও এসেছিলো। কিন্তু তখন এখানে কোনো স্লাইম মনস্টার ছিলো না। তাহলে এরা কিভাবে এলেক্সের কাছে আসলো সেটা নিয়েই এলেক্স ভাবছিলো।

    [একজন মানুষের ব্রেইন হওয়ার কারণে আপনার স্মৃতি শক্তি তেমন শক্তিশালী না। আপনি আমাদের দুজনের সাথে কন্ট্রাক তৈরি করেছেন ব্লাডলাইন কন্ট্রাকের মাধ্যমে। এখন যেকোনো সময় আপনি চাইলেই আমাদের পাওয়ারটা ব্যবহার করতে পারবেন।]

এলেক্স কথাটা শুনে একটু অবাক হলো। যদিও এলেক্স ব্লাডলাইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না তবে তার বাবার সাথে সংক্ষিপ্ত কথার ফলে বুঝেছিলো এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তখন ভালো করে সব কিছু শুনতে না পারলেও এখন এলেক্স বুঝতে পারলো,

     ❝তাহলে একজনের ব্লাডলাইন মানে বোঝাচ্ছে তারা অন্যান্য বিস্ট কিংবা মনস্টারের পাওয়ার ব্যবহার করতে পারবে সম্পূর্ণ ভাবে!❞ (এলেক্স ভাবছে)

এলেক্সের ভাবনা সম্পূর্ণ ক্লিয়ার ছিলো না। সে ভাবনার মাঝে কিছু অসম্পূর্ণতা রয়েছে যেটা তার সামনে থাকা স্লাইম ছেলেটা বোঝাতে শুরু করলো।

     [অবশ্য ব্লাডলাইন কি সেটাও আপনি জানেন না তা আপনার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমিও বেশি কিছু জানি না। তবে যেটুকু জানি সেটা সংক্ষেপে বোঝাচ্ছি। সকল স্পিসিজদের মধ্যে দুর্বল একটা স্পিসিজ হলো মানুষ, যারা ম্যাজিক কিংবা ম্যাজিকাল আইটেম ব্যতীত আমাদের থেকেও দুর্বল। মানুষ দুর্বল হওয়ার কারণে প্রতিটা সময় তারা বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়েছে অন্যান্য স্পিসিজদের থেকে। কিছু শক্তিশালী স্পিসিজ মানুষদের ধ্বংস করতে চেয়েছে তো কিছু উপকার। এভাবেই মানুষেরা শক্তিশালী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে শুরু হয় এটা জানি না কিন্তু একটা সময় থেকে মানুষ অন্যান্য সকল স্পিসিজের সাথে একটা ব্লাড কন্ট্রাক তৈরি করতে শুরু করে। যেখানে একটা মানুষের শক্তির উপরে নির্ভর করে তাকে অন্যান্য স্পিসিজ সিলেক্ট করে নিজেদের পাওয়ার প্রদান করে। আর এই পাওয়ার প্রদান সম্পূর্ণ হয় ব্লাডলাইন কন্ট্রাকের মাধ্যমে। আর আমাদের ভিতরেও তৈরি হয়েছে সেই ব্লাডলাইন কন্ট্রাক, যার কারণে আপনি চাইলেই আমাদের দুজনের পাওয়ার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেটার জন্যও শর্ত রয়েছে। আমরা যদি আপনাকে পছন্দ না করি তাহলে আমাদের পাওয়ার আপনাকে দান না ও করতে পারি।]

ছেলেটা মুখ ফুলিয়ে শেষের কথাটুকু শেষ করলো। তার সাথে পিছনে থাকা সাদা স্লাইমটাও লাফিয়ে উঠলো। এলেক্স এতোক্ষণ তাদের স্লাইম ভাষা না বুঝলেও সাদা স্লাইমের ইঙ্গিত দেখে সে স্পষ্ট বুঝে গেলো সেটা কি বলছিলো। দুজনেই এলেক্সকে তাদের পাওয়ার দিতে রাজি ছিলো না। কারণ এলেক্সের ব্যবহার তাদের একদমই ভালো লাগে নি। 

-> ও আচ্ছা, তাহলে দুটো স্লাইম মনে করছে তাদের পাওয়ার দিয়ে আমি শক্তিশালী হয়ে যাবো। এর থেকে মজার কোনো কথা আমি শুনি নি কেনো দিন। হা হা (এলেক্স)

এলেক্সের কথাটা তাকে আরো ভয়ানক করে দিলো। সে শেষে হাসার চেষ্টা করছিলো কিন্তু তার মুখে হাসির কোনো এক্সপ্রেশনই বের হচ্ছিলো না। সেটা দেখে দুটো স্লাইমের শরীরই কেঁপে উঠলো। এলেক্স ঝাঁপিয়ে পরলো দুটোর সাথেই ফুটবল খেলতে। একটা একটা করে সে কিক মারতে শুরু করলো। ছেলেটাকে কিক মারার সাথে সাথে সেটা আবারো কালো স্লাইমে পরিণত হয়ে গেলো। দুটোর আকারই ফুটবলের মতো ছিলো। তাই এলেক্সের সমস্যা হচ্ছিলো না কোনো। কয়েকবার কিক মারার পর এলেক্স যখন সাদা স্লাইমটাকে আবারো কিক মারতে যাবে ঠিক তখনি সাদা স্লাইমটা ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। কালো স্লাইমটা ঈষৎ কালো দেখতে হলেও সাদা স্লাইমটা সেটার বিপরীত ছিলো। সাদা একটা ড্রেসের মধ্যে অনেক সুন্দর একটা মেয়েটে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। মেয়েটা এতো সুন্দর ছিলো যে এলেক্স এবার তার চোখ নরাতে পারছিলো না। এলেক্সের হার্টবিট বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো মেয়েটাকে দেখেই। এরকম এলেক্সের সাথে পূর্বে কখনো হয় নি। হ্যাঁ এটা ঠিক যে এলেক্স হওয়ার পূর্বে সে যখন  হৃদয় ছিলো তখন এরকম অনুভূতি তার মনে অনেক জেগেছে। কিন্তু এখন সে জীবন এলেক্স পার করে এসেছে। এই সময়ে এলেক্সের কোনো মেয়ের জন্যই অনুভূতি তৈরি হয় নি বা হওয়ার কোনো সম্ভবনায় ছিলো না। কিন্তু আজ হঠাৎ করে এলেক্সের হৃদপিন্ড অনেক স্পিডে বিট করছিলো। যার মূল কারণ এলেক্স নিজেই বুঝতে পেরেছে। তার সামনে যে স্লাইমটা ছিলো সেটা যে মেয়ের চেহারায় ট্রান্সফর্ম হয়েছে সেটা এলেক্সের অনেক চেনা একটা চেহারা ছিলো। যে চেহারা দেখার জন্য এলেক্স এক সময়ে পাগল ছিলো। অবশ্য এখানে এলেক্স বললে ভুল হবে, আমাদের হৃদয় বলা উচিত। যায়হোক স্লাইমটাকে যেহেতু কিক মারতে যাচ্ছিলো এলেক্স তাই এখন সেটা পরিচিত একটা চেহারায় পরিণত হওয়ার পর সে আর কিক মারতে চাইলো না। তবে নিজের ঝুক না রাখতে পেরে সে মেয়েটার উপরেই পরে গেলো। মেয়েটার বয়স কম ছিলো। শরীরের গঠন এবং উচ্চতাও কম ছিলো। তারপরও এলেক্সের কাছে তার প্রতিটা অংশই পরিচিত মনে হলো। ঘ্রাণ থেকে শুরু করে হার্টবিট সব কিছুই এলেক্সের পরিচিত মনে হলো। এদিকে মেয়েটার উপরে এলেক্স পরার কারণে মেয়েটা পানির নিচে চলে যায়, যার ফলে তার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো। শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ার কারণে সে এলেক্সের থেকে ছোটবার জন্য প্রচুর চেষ্টা করছিলো। কিন্তু এলেক্সের কেনো জানি মেয়েটার উপর থেকে উঠতেই মন চাচ্ছিলো না। তবে মেয়েটার যখন পানি খেয়ে প্রায় মরে যাওয়ার মতো অবস্থা ঠিক তখনি এলেক্স তার উপর থেকে উঠে গেলো। হাঁটু পানিতে দুজনে পরে যাওয়ার ফলে দুজনের শরীরই সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছে। এলেক্স হয়তো এতোক্ষণ লক্ষ্য করে নি তবে সে মেয়েটার উপরে যখন পরেছিলো তখন তার এবং মেয়েটার দুজনের ঠোঁটই একত্রিত হয়েছিলো। যে কারণেই মূলত মেয়েটা দম ছারতে পারে নি। তবে বিষয়টা এলেক্স খেয়ালই করে নি। সে তার নিজের চিন্তায় ব্যস্ত থাকার কারণে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ও মিস করে গিয়েছে। মেয়েটা পানি থেকে উঠে নিজের মুখ আটকিয়ে ফেললো দুই হাত দিয়ে। লজ্জায় তার পুরো মুখ দুটো লাল হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ পিছন থেকে কালো স্লাইমটা ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো এবং দৌড়িয়ে মেয়েটার কাছে আসলো এবং এলেক্সের দিকে অনেকটা রাগী নজরে তাকালো।

      [আমি তো ভেবেছিলাম আপনার মাথায় বুদ্ধি নেই শুধু, এখন তো দেখছি আপনার চরিত্রও ভালো না। আমার এতটুকু একটা বোনের চরিত্রে কিভাবে দাগ বসিয়ে দিলেন সেটা ভাবতেই আমার গা জ্বলে যাচ্ছে। এখন আমি আর আমার বোন আমাদের মুখ দেখাবো কিভাবে?]

ছেলে স্লাইমটা কাঁপা স্বরে রাগের সহিত কথাটা বললো। তার কথার কিছুই এলেক্স বুঝতে পারলো না। সে যে মেয়েটাকে কিস করেছে এটাই জানে না সে। যদিও সেটা এক্সিডেন্ট ছিলো তারপরও এলেক্স সেটা সম্পর্কে জানে না। তাই এখানে ছেলে স্লাইমটা কি নিয়ে কথা বলছিলো সেটা সম্পর্কে এলেক্স জানে না।

     ❝এখানে কি আমার মনের মাঝে রাগ তৈরি হওয়ার কথা না? রাগ না হলেও ঘৃণা তৈরি হওয়ার তো কথায় ছিলো। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না এই একই চেহারা দেখার পরও সেটা না তৈরি হয়ে আমার মনের মধ্যে এরকম অনুভূতি তৈরি হবে কেনো।❞ (এলেক্স ভাবছে)

এলেক্সের ইমোশন দেখা না গেলেও একজনের প্রতি তার ইমোশন সব সময় কাজ করে। যদিও হৃদয় থাকা অবস্থায় তাকে অসম্ভব ভালোবেসেছে সে। কিন্তু এখন তার কথা মনে পরলেই মনে রাগের তৈরি হয়। তাই সব টা সময় তাকে ভুলে থাকার চেষ্টায় করে এলেক্স। কিন্তু আজ অনেকদিন পর তার কথা মনে পরে গেলো। যেখানে এলেক্সের মনে কোনো রাগ কিংবা ঘৃণা ছিলো না। বরং এলেক্সের মন মেয়েটার আরো কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। একটু কথা এবং কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে চাচ্ছিলো মন। তবে মনকে বাঁধা দিয়ে এলেক্স স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখলো।

সাদা স্লাইম মেয়েটার চোখ থেকে পানি পরছিলো। যেটা দেখতে পেয়ে ছেলে স্লাইমটা এলেক্সের দিকে আবারো রাগী চেহারা নিয়ে তাকালো। 

     [আমার বোনের সাথে এমন অবিচার কিন্তু আমি সহ আমার স্পিসিজ সহ্য করবে না। তাই যদি কাউকে বিয়ে করতে হয় তাহলে আমার বোনকেই করতে হবে।]

ছেলেটা রাগী চেহারা নিয়ে কথাটা বললেও মেয়েটার মুখ লজ্জায় একদম লাল হয়ে গেলো। সে এক হাত দিয়ে মুখ ঢাকা রেখে অন্য হাত দিয়ে ছেলেটার মাথার উপরে অনেক জোড়ে একটা পান্স মারলো। একটা পান্সেই ছেলেটা কয়েক পল্টি খেয়ে পরলো।

     [ঠিক আছে আমাদের শর্ত চেঞ্জ হচ্ছে। যতদিন আমার বোন আপনার উপরে খুশি থাকবে, ততদিন আপনি আমার পাওয়ার ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে আমার বোন কি শর্ত দিবে সেটা তার থেকেই শুনে নিতে হবে আপনাকে। যা করেছেন তাতে আমার মনে হয় না সহজ একটা শর্ত দিবে সে।]

ছেলেটা তার কথাটা শেষ করার সাথে সাথেই এলেক্সের চোখ খুলে গেলো। মানে তার মাইন্ড থেকে সে বেরিয়ে শরীরে চলে আসলো। এতোক্ষণে তার শরীর অটোমেটিক ভাবে ফাইট করছিলো। এলেক্স নিজের চোখ খোলার কর নিজেই অবাক হলো। তার শরীরের হাড় গুলো যেদিকে বাক দেওয়ার কথা ছিলো তার উল্টো দিকে বাক দিচ্ছিলো ঠিক একটা রাবারের মতোই। এলেক্স এখানে একটু সময়ের জন্য কনফিউজড থাকলেও সাথে সাথে কালো স্লাইমটার কথা তার মনে পরলো।

     ❝তাহলে এটাই কি আমার ব্লাডলাইনের পাওয়ার?❞ (এলেক্স ভাবছে)

এতেক্ষণে এলেক্সের প্যাসিভ স্কিল "ব্যাটেল সেন্স" এবং ব্লাডলাইনের পাওয়ারের ফলে এলেক্স বিলজবাবের প্রতিটা এট্যাক থেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। কিন্তু এলেক্স তার সেন্সে ফিরে আসার কারণে তার ব্যাটেল সেন্সও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে বিলজবাবের একটা পাম এট্যাক এলেক্সের ডান হাতে লাগলো। ডান হাতে বিলজবাবের এট্যাকটা লাগার কারণে এলেক্সের ডান হাত শরীর থেকে ছিটকে অনেকটা দূরে পরে গেলো। তবে সেটা ছিটকে দূরে গেলোও এলেক্সের শরীর থেকে সে ছিটকে যাওয়া হাতের সাথে একটা সুতো দেখা যাচ্ছিলো। একটা হাত ছিটকে যাওয়ার পরও এলেক্সের হাত থেকে কোনো রকমের ব্লাড বের হচ্ছিলো না বরং তার কাছে কেমন রাবার রাবার ফিল হচ্ছিলো সেখানে। কোনো রকমের ব্যথাও এলেক্স অনুভব করে নি। যে সুতো তার ছিঁড়ে যাওয়া হাতের জায়গা থেকে দূরে ছিটকে যাওয়া হাতের সাথে সংযুক্ত ছিলো সেটা এবার ছোট হতে শুরু করলো যার কারণে ছিটকে যাওয়া হাতের অংশটুকুও চলে আসলো এলেক্সের কাছে এবং সেটা আবারো পূর্বের মতো হয়ে গেলো। 

   [এটা কি ছিলো!] 

বিলজবাব অবাক ছিলো। সে বুঝতেই পারছিলো না এলেক্স এখানে কি করেছে। কোনো আইটেম কিংবা স্পেশাল এবিলিটি ব্যবহারের কথাও নয় এখানে এলেক্সের। কারণ এরকম কোনো জিনিসই কোনো মানুষকে সে ব্যবহার করতে দেখে নি। 

     ❝আমার কাছে কেনো জানি মনে হচ্ছে আমি একটা স্লাইম হয়ে গিয়েছি। তাহলে কি এই স্লাইমই আমার ব্লাডলাইন?❞ (এলেক্স ভাবছে)


* * * 

To Be Continued 

* * *


কেমন হলো জানাবেন। 

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

6 comments

  1. Babsilam ekta fight hbe,,, kintu ta mne hoy hbe na
  2. 🤨😳😁😀😂😂🤣🤣
  3. Readers shocked, Rimuru rocked.
  4. Vai porbot aro aktu bro r akta fight asha korcilam
  5. সুন্দর হয়েছে। আগামীতে মনে হয় বিলজিবাব একটা দারুন শিক্ষা পাবে। 😉😉
  6. খুব সুন্দর ভাই
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.