#Demon_King#
পর্ব:১৫৪
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
টাওয়ার অফ গ্লাটোনি,
তিন কিংডমের জয়েন্ট টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় স্টেজ শেষ হয়ে গিয়েছে। যেহেতু প্রথম রাউন্ডের মাত্র দুটো স্টেজ ছিলো তাই এবার দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবার পালা ছিলো। ড্যানজন ক্লিয়ার করে সবগুলো টিম বের হবার সাথে সাথেই দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হয়ে গিয়েছে।
-> লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস আমি জানি সবাই অনেক আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন। দ্বিতীয় স্টেজ শুরু হওয়ার সময় কিছুটা অসুবিধার কারণে আমাদের টুর্নামেন্ট চলতে একটু লেট হয়ে গিয়েছে। একটু পর রাত হতে যাচ্ছে, অনেকে হয়তো ভাবছেন আজকের মতো আমরা টুর্নামেন্ট শেষ করে দিবো, কিন্তু না আজকেই আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে। দ্বিতীয় রাউন্ড অনেকটা স্পেশাল হবে। যেটার নিয়ম আমি আস্তে আস্তে বলে দিচ্ছি।
সব গুলো টিম ক্লিয়ার করতে পারে নি এখনো ড্যানজন। অনেক টিম রয়েছে যারা এখনো ড্যানজনের ভিতরে রয়েছে। তবে তাদের কাছেও একটা অদৃশ্য কন্ঠ পৌঁছায় যেখানে তারা পরবর্তী রাউন্ড সম্পর্কে জানতে পারে।
-> এখনো অনেক টিম রয়েছে যারা ড্যানজন থেকে বের হতে পারে নি। কিন্তু ড্যানজন গুলোতে ম্যাজিক স্টোন রাখার কারণে তার ভিতরের টিম গুলো আমার কন্ঠ স্পষ্ট শুনতে পারছো নিশ্চয়। যায় হোক আমি দ্বিতীয় রাউন্ডের নিয়ম গুলো এখন ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছি। যারা ড্যানজন ক্লিয়ার করে বের হয়েছো তারা নিশ্চয় দূরে উজ্জ্বল কিছু একটা দেখতে পাচ্ছো যেটা চারপাশ জুরে রয়েছে। জিনিসটা দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিশাল একটা জায়গা নিয়ে গোল করে একটা ব্যারিয়ার তৈরি হয়েছে ম্যাজিক স্টোনের সাহায্যে, যার ভিতরে তোমরা সবাই রয়েছে। ড্যানজনের বাইরে যারা আছো তারা এই রাউন্ডে এগিয়ে থাকবে যারা এখনো ড্যানজনের ভিতর থেকে বের হতে পারে নি। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ব্যারিয়ারের মধ্যে স্পেশাল আইটেম ব্যবহারের কারণে তোমরা সবাই এই রাউন্ডে মোট তিনদিন সময় পাচ্ছো।
যে লোকটা নিয়ম গুলো বোঝাচ্ছিলো সে একটু থেমে নিলো। আবারো সে বলতে শুরু করলো,
-> ব্যারিয়ারের মধ্যে বিশাল একটা জায়গা রয়েছে। যার মধ্যে শত শত ড্যানজনও রয়েছে যেগুলো ব্যবহার হয় নি দ্বিতীয় স্টেজের মধ্যে। সেই শত শত ড্যানজন এবং বাইরের জায়গার মধ্যে বিভিন্ন রকমের মনস্টার রয়েছে। মনস্টার গুলো হত্যার পরে তোমরা সবাই জানো একটা বা একাধিক আইটেম পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের উদ্দেশ্য মূলত কোনো আইটেম সংগ্রহ নয়। বরং সবচেয়ে রেয়ার জিনিসটা যা পাওয়ার সম্ভবনা একদমই কম থাকে। ম্যাজিক স্টোন, হ্যাঁ সবাই সঠিক শুনতে পেরেছো আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ড ম্যাজিক স্টোন সংগ্রহের হবে। এই রাউন্ডে তোমরা যেকোনো পথ অবলম্বন করতে পারবে। শুধু একে অপরকে হত্যা বাদে যে কোনো উপায়ে ম্যাজিক স্টোন সংগ্রহ করতে পারবে। ম্যাজিক স্টোন সংগ্রহ করার উপায় হয়তো আমার বলে দিতে হবে না, কারণ সেটা তোমরা সবাই আমার থেকে ভালো করে জানো। যারা এখনো ড্যানজনের মধ্যে আছো এবং দ্বিতীয় স্টেজ শেষ করতে পারো নি, তারা কিন্তু কোনোদিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় নেই। কোনো রকম আইটেম বাদ দিয়ে যদি ম্যাজিক স্টোন পেয়ে থাকো মনস্টার হত্যার মাধ্যমে তাহলে সেটা সংগ্রহ করতে পারো। আর যারা একটা ড্যানজন ক্লিয়ার করে সেটা থেকে বের হয়ে গিয়েছো তারা সে ক্লিয়ার করা ড্যানজনের ভিতরে আর প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ ক্লিয়ার করা ড্যানজন গুলোতো ব্যারিয়ার ম্যাজিক ব্যবহার করা হয়েছে। সবশেষে বলে দেই এই রাউন্ডে কোনো স্টেজ নেই। প্রতিটা টিমকে সরাসরি তৃতীয় রাউন্ডে উঠতে মোট একশত low কোয়ালিটির মানা, অউরা, প্রাণ কিংবা অন্যান্য যেকোনো ম্যাজিক স্টোন সংগ্রহ করতে হবে।
একটা লোক এতোক্ষণ দ্বিতীয় রাউন্ডের নিয়মটা বুঝিয়ে দিলো সবাইকে। এলেক্স এবং তার টিম অনেকক্ষণ হলো ড্যানজন থেকে বের হয়েছে। যেহেতু প্রতিটা ড্যানজনের বাইরে একটা করে নোট লেখা ছিলো, "যদি ড্যানজন ক্লিয়ার হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী রুলস এর আগে কেউ ড্যানজনের সামনে থেকে যাবে না।" উক্ত লেখাটা পড়েই এলেক্স এবং তার টিম দাঁড়িয়ে ছিলো। এতোক্ষণে ড্যানজনের ভিতরে থাকা বাকি চার টিমও বের হয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডের নিয়মটা শোনার সাথে সাথে আবারো ড্যানজনের ভিতরে ঢোকার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালাতে চাইলো।
-> একটু আগে এই রাউন্ড সম্পর্কে বললে কি হতো।
-> ভিতরে কত ম্যাজিক স্টোন ছিলো তাই না? সব কিছু মিস করে ফেলেছি।
চারটা টিমই ড্যানজনের ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করলো। কিন্তু একটা দৃশ্যমান ব্যারিয়ার দেখা যাচ্ছিলো যেটা পুরোটা ড্যানজনকে ঘিরে রেখেছে। ব্যারিয়ারটা অনেকটা সাবান পানির বাবল এর মতো মনে হচ্ছে। সেটার ভিতরে প্রবেশ করার কোনো রাস্তা ছিলো না। মনে হচ্ছিলো সামনে শক্ত একটা দেওয়াল ছিলো যেটা তাদের রাস্তা আটকিয়ে ফেলেছে।
-> তাহলে যেকোনো ধরনের ম্যাজিক স্টোন সংগ্রহ করলেই আমরা পরের রাউন্ডে যেতে পারবো। (মিও)
-> এখানে ম্যাজিক স্টোনের কথা বলা হয়েছে, যেটা পাওয়ার সম্ভবনা একদম কম থাকে। একটা ড্যানজন ক্লিয়ার করলেও ১০ টা ম্যাজিক স্টোন পাওয়ার সম্ভবনা থাকে না। আর যে ড্যানজন গুলো ক্লিয়ার হয়েছে সেগুলোর ভিতরে আমরা প্রবেশ করতে পারবো না। মানে এখন খুব কম ড্যানজনই আছে যেগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে পারবো। তবে এতো গুলো টিমের মধ্যে থেকে আমাদের মোট ১৫ বিশটা ড্যানজন প্রয়োজন একশত ম্যাজিক স্টোন সংগ্রহ করতে। (জেয়াব)
-> যেহেতু ম্যাজিক স্টোন গুলো প্রকৃতি থেকে এনার্জি সংগ্রহ করে তাদের ফর্ম তৈরি করে তাই সে গুলো যে শুধু ড্যানজনের মধ্যে পাওয়া যাবে তেমন কিন্তু নয়। আমরা বাইরেও সেগুলো পেতে পারি। (এনরি)
-> আমাদের ম্যাজিক সেন্স ভালো থাকলে বাইরে থাকা ম্যাজিক স্টোন গুলো খুঁজে পাওয়া তেমন একটা ব্যাপার হবে না বলে আমি মনে করি। আমি আর এলেক্স যেহেতু মানা ইউজার তাই আমরা আমাদের চারপাশের মানা স্টোন এবং আমাদের এট্রিবিউট স্টোন গুলোও খোঁজার চেষ্টা করবো। ক্রিস এবং জেয়াব অউরা স্টোন এবং তোমাদের এট্রিবিউট স্টোন খোঁজার চেষ্টা করবে। আর এনরি প্রাণ এনার্জি খোঁজার চেষ্টা করবে। (মিও)
মিও ভালো একটা প্লান তৈরি করেছে। যেটায় সবাই সহমত জানালো। সবাই একসাথে হাঁটতে শুরু করলো মিও এর কথার পরেই। ম্যাজিক স্টোন অনেক আকর্ষনীয় একটা পাথর। যেটা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ পাথরের টুকরোর মতো আকার হলেও একটা সাধারণ পাথর দিয়ে একজনের মাথা ফাটানো ছাড়া কিছুই করা যায় না। কিন্তু অপরদিকে একটা ম্যাজিক স্টোন থাকলে যারা ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে না তারাও ম্যাজিসিয়ান হয়ে যেতে পারে। ম্যাজিক স্টোন গুলো তার রঙের উপরে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আগুনের রঙের মতো লালচে হলুদ দেখতে পাথরকে বলা হয় ফায়ার স্টোন। যেটা দিয়ে যেকোনো জায়গায় আগুন তৈরি করা যায়। পানির কালারের মতো নীল স্টোন গুলোকে বলা হয় ওয়াটার স্টোন। যেটা দিয়ে যেকোনো জায়গায় পানি তৈরি করা যায়। এরকম এয়ার, আর্থ, প্লান্ট, লাইট, ডার্ক, লাইটনিং ইত্যাদি স্টোন রয়েছে। এগুলোকে একত্রে এট্রিবিউট ম্যাজিক স্টোন বলা হয়ে থাকে। এই স্টোন গুলো একজন ম্যাজিসিয়ানের কাছে থাকলে তার কাছে ফায়ার এট্রিবিউট না থাকলেও ফায়ার স্পেল ব্যবহার করতে পারবে। যা সাধারণত অনেক দুর্বল হয়ে থাকে তাই কেউ অতিরিক্ত গোল্ড কয়েন খরচ করে সেরকম কিছু করে না।
অন্যদিকে আরো তিন ধরনের ম্যাজিক স্টোন রয়েছে যেগুলোকে এনার্জি স্টোন বলা হয়ে থাকে। এটা তিন কালারের হয়ে থাকে। সবুজ, লাল এবং নীল। মানা, অউরা এবং প্রাণ এনার্জি স্টোন বলা হয়ে থাকে এদের। এই স্টোন গুলোর মধ্যে অনেক পরিমাণে মানা, অউরা এবং প্রাণ এনার্জি থাকে। একজন মানা এনার্জি ইউজার এই এনার্জি স্টোনের এনার্জি এবজোর্ব করতে পারবে। এতে করে তাদের এনার্জির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোনো এনার্জি ইউজার তাদের এনার্জি ব্যবহার করে শেষ করে দিলে সাধারণত সে এনার্জি একা একাই সংগ্রহ হতে থাকে তাদের শরীরে। কিন্তু এটার জন্য অনেকটা সময় লাগে। মেডিটেশন করলেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এনার্জি ফুল করতে। কারণ প্রকৃতিতে এতো বেশি এনার্জি নাই যে সাথে সাথে সেটা ফুল করে দিতে পারবে। তাছাড়া একসাথে এতোটাও এনার্জি এবজোর্ব করতে পারে না মানব দেহ। সে যায়হোক একটা এনার্জি স্টোনের মধ্যে পূর্ব থেকে এনার্জি সংগ্রহ করা থাকে যা একজন ব্যক্তি দ্রুত এবজোর্ব করতে পারে। কারণ তখন তার শরীরকে আস্তে আস্তে পরিবেশ থেকে এনার্জি খুঁজতে হয় না। এ কারণে টাওয়ার এবং টাওয়ারের বাইরে প্রায় সবাই কাছে একটা করে এনার্জি স্টোন রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু এনার্জি স্টোন পাওয়া যেমন কষ্ট ঠিক তেমনি এটার দামও অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই সবাই এটাকে ক্রয় করতে চাইলেও এতো অর্থ খরচ করতে পারে না।
সবশেষে রয়েছে একধরনের ম্যাজিক স্টোন, যেটাকে মানুষেরা নাম দিয়েছে টুল স্টোন। এই স্টোন অনেকটা স্পেশাল। এটা এট্যাকের ক্ষেত্রে ব্যবহার না হলেও অনেক ক্ষেত্রে ডিফেন্সে ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে টুর্নামেন্টের সব গুলো টিমের দৃশ্যই বিশাল একটা স্ক্রিনের মধ্যে দেখা যাচ্ছিলো। যেটা সম্ভব হয়েছে দুটো টুল স্টোনের সাহায্যে। একটা স্টোন যেটা রেকর্ড করছিলো সব কিছু এবং আরেকটা স্টোন যেটা প্রজেক্ট করছিলো সব কিছু। টাওয়ারের মধ্যে সবচেয়ে রেয়ারেস্ট স্টোন বলা হয় এই টুন স্টোনকে। যেটা শুধু শক্তিশালী ফ্লোর বসকে হত্যা করলেই পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই অধিকাংশ টুল স্টোনের অধিকার রয়েছে সিক্রেট কিংডমের কাছেই যেটা সবাই জানে।
এলেক্স এবং তার টিম রওনা দিয়েছে ম্যাজিক স্টোন খোঁজার জন্য। টাওয়ারের ভিতরে ম্যাজিক স্টোন সব জায়গাতেই রয়েছে। শুধু পরিমাণ কম হওয়ার কারণে খালি চোখে কারো সামনে পরবে না সেগুলো। দশম ফ্লোর এমন একটা ফ্লোর যেখানের সম্পূর্ণ রাইট সিক্রেট কিংডমের কাছে রয়েছে। ঠিক এরকম অন্যান্য কয়েকটা ফ্লোর আছে যেটা শুধু সিক্রেট কিংডম কিংবা রেড এবং ব্লু কিংডমের কন্ট্রোলে রয়েছে। সিক্রেট কিংডমের কাছে যেহেতু এই ফ্লোরের রাইট রয়েছে তাই এই ফ্লোরে অনেক স্টোন রয়েছে এটা সবাই ভালো করেই জানে। যাইহোক স্টোনের ব্যাপার থেকে আমরা এখন অন্য কোথাও চলে যায়।
* * * * *
কোনো অচেনা জায়গায়,
পাঁচটা বিশাল পিলারের উপরে চারজন ব্যক্তি বসা ছিলো। একটা পিলার এখনো খালি রয়েছে যেখানে কোনো ব্যক্তিই বসা ছিলো না। পাঁচ পিলারের মাঝখানে দুটো সোর্ড ছিলো। যা হঠাৎ কাঁপতে শুরু করলো। চার পিলারের উপরে বসে থাকা চারজনই কিছুটা অবাক হয়েছে তাতে। চার পিলার থেকে হঠাৎ একজন বলতে শুরু করলো,
[তাহলে কি দুজন রেইনকার্নেট হতে যাচ্ছে?]
[কিন্তু আমি তো তাদের এনার্জি অনুভব করতে পারছি না। তাদের এনার্জি যেহেতু অনুভব করতে পারছি না তাহলে কিভাবে সোর্ড দুটো রেসপন্স দিচ্ছে?]
[হয়তোবা কোনো কিছু আমাদের মাঝ থেকে মিস হয়েছে যেটা আমরা বুঝতে পারছি না। সিল ওয়ার্ল্ড থেকেও কোনো স্পিসিজ আমাদের সামনে আসছে না তাই সেখানে কি হচ্ছে সেটাও আমরা বুঝতে পারছি না।]
[সব K এর দোষ। সে নিজের পাওয়ার অন্যদের কাছে না দিলে আজ আমরাই সব কিছু মনিটর করতে পারতাম।]
[এখানে আমার দোষ কোথায়। আমি তো সব কিছুর ব্যবস্থা করেই দিয়েছিলাম। এখানে লোক পাঠানোর জন্যও একটা ব্যক্তিকে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এখন যদি সে তার কাজ ঠিক মতো না করে থাকে তাহলে আমি কি করতে পারি।]
[K এটা অনেক সিরিয়াস একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। সাদা সোর্ডটা কম্পিত হচ্ছে সেটা আমাদের সবার জন্যই অনেক ভালো একটা লক্ষণ। কারণ আমাদের লিডার রেইনকার্নেট হবে তার পূর্বের জীবনের সকল স্মৃতি হারিয়ে। সে আমাদের লিড করতে পারবে আবারো সামনের দিকে কোনো রকমের ইমোশন ছাড়া। কিন্তু সাথে যে কালো সোর্ডটাও কম্পিত হচ্ছে সেটা মোটেও ভালো কোনো বিষয় না। আবারো সে রেইনকার্নেট হয়ে গেলে আমাদের লিডার এবং এই ওয়ার্ল্ডকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসবে।]
[এজন্য তার রেইনকার্নেট হওয়ার পূর্বেই তার হোস্টকে হত্যা করতে হবে আমাদের। তা নাহলে আমাদের লিডারকে আবারো কয়েক হাজারো বছরের জন্য হারাবো আমরা।]
[কিন্তু আমি যদি সিল ওয়ার্ল্ডের ভিতরে এখন দেখার চেষ্টা করি তাহলে আমাকে সেখানে নিজের পাওয়ার প্রয়োগ করতে হবে। এমনিতেই সেখানে অতিরিক্ত পাওয়ারের কারণে অনেকটা খারাপ অবস্থায় আছে। এখন যদি আমি আরো কিছু এনার্জি প্রবেশ করায় তাহলে পুরো ওয়ার্ল্ড ধ্বংস হয়ে যাবে।]
[K তোমার কাছে কি আমাদের লিডার এবং এই ওয়ার্ল্ড থেকে একটা মিথ্যা খেলনা ওয়ার্ল্ড বেশি বড় হয়ে গিয়েছে?]
[আমি চেষ্টা করছি, দেখি কতদূর করতে পারি।]
* * * * *
এক্সব্লকের কোনো এক জায়গায়,
আকাশের উপরে বিশাল একটা দ্বীপ ভাসমান ছিলো। দ্বীপের সবচেয়ে উপরে রয়েছে বিশাল একটা মার্বেল পাথরের দালান রয়েছে। এক্সব্লকের ছোট ছোট বাচ্চারাও বলে দিতে পারবে এই জায়গাটার নাম। হ্যাঁ এটায় ছিলো অলিম্পাস যেখানে টাইটান কন্সটেলেশন রাজ করে। বিশাল মার্বেল পাথরের ভবনের ভিতরে একটা বিশাল সিংহাসন রয়েছে। যার মধ্যে কন্সটেলেশন অফ লাইটনিং এবং রুলার অফ লাইটনিং অপরদিকে রুলার অফ অলিম্পাস জিউস বসে ছিলো। তার বিশাল টাইটান ফর্মে সিংহাসনের মধ্যে এমন ভাবে বসে ছিলো যে বাইরের অন্য কোনো কিছু নিয়েই তার চিন্তা ছিলো না। তার সামনে তার প্রজা এবং অলিম্পাসের অন্যান্য কন্সটেলেশন গুলো দাঁড়িয়ে ছিলো। তারা কিছু বলছিলো যা জিউস তার কানের মধ্যেই রাখছে না। ঠিক তখনি জিউস লক্ষ্য করলো তার আসে পাশের সব কিছু হঠাৎ থেমে গিয়েছে। সব ব্যক্তি যারা দাঁড়িয়ে ছিলো জিউসের সামনে সবাই স্থির হয়ে গিয়েছে। এমন মনে হচ্ছিলো জিউসের বাদে সবার সময় আটকে গিয়েছে। টাওয়ারের এমন খুব কম ব্যক্তিই ছিলো যারা এমন করতে পারে। যার মধ্যে জিউসের বাবাও একজন ছিলো। কিন্তু তার বাবার কাজ নয় এটা সেটা জিউস ভালো করেই জানে। কারণ তার বাবাকে সে নিজেই খেয়েছে একসময়ে। জিউস তার বসা জায়গাতেই রইলো। কোনো রকম নরাচরা করলো না। ঠিক সেই সময়েই তার সামনে থেকে তার নিজের ছেলেই নরতে শুরু করলো। এরিস যে কিনা অলিম্পাসের একজন কন্সটেলেশন অফ ওয়ার নামে পরিচিত সে হঠাৎ ভাসতে শুরু করলো। ভাসতে ভাসতে সে জিউসের মুখের সামনে চলে আসলো। যেহেতু জিউস তার টাইটান ফর্মে ছিলো তাই তার আকার বিশাল ছিলো। এরিস তার বাবার কাছে একটা পিপড়ার মতো ছিলো। জিউসের দিকে তাকিয়ে ছিলো এরিস।
[হঠাৎ কি মনে করে অলিম্পাসে আসলেন সান কন্সটেলেশন।] (জিউস)
জিউস অবাক ছিলো সুপ্রিম কন্সটেলেশনের আগমন থেকে। পুরো এক্সব্লকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দুটো ব্যক্তির মধ্যে একজন তার সামনে ছিলো। তারপরও জিউস সেরকম একটা ভয় পাচ্ছিলো না। একদম সাহস নিয়ে কথা বলে যাচ্ছিলো। এরকম কনফিডেন্স সে কোথায় পেয়েছে সেটা নিয়ে ভাবতে লাগলো তার সামনে থাকা ব্যক্তিটা। এরিস যাকে প্রজেস করে সান কন্সটেলেশন জিউসের সাথে কথা বলছিলো সে বলতে শুরু করলো,
[ব্লাড ড্রাগন কোনো এক ভাবে জীবিত হয়েছে। যদিও ব্লাড ড্রাগন এখনো ছোট একটা বাচ্চা রয়েছে কিন্তু তার পূর্বের পাওয়ার এখনো তার কাছে রয়েছে যেটার কারণে তাকে হত্যা করতে হবে আমাদের দ্রুতই, তা নাহলে এই টাওয়ারে আমাদের থাকার মতো জায়গা থাকবে না।]
সান কন্সটেলেশন এর কথা শুনে জিউস কিছুটা বিরক্ত হওয়ার মতো মুখ তৈরি করলো। এবার সে বলতে শুরু করলো,
[আপনি তো চাইলে এক এট্যাকেই ব্লাড ড্রাগনের মতো হাজার হাজার ড্রাগনকে হত্যা করতে পারবেন। কিন্তু আপনার পাওয়ার ব্যবহার করলে এই টাওয়ার ও ধ্বংস হয়ে যাবে এজন্য কিছু করছেন না। ঠিক এমনি আপনার টুইন। আপনারা কিছু করতে পারছেন না বলেই তো ডিম্যান কিং এতো কিছু করে ফেলেছে।] (জিউস)
[আমি এখানে তোমার কমপ্লেইন শুনতে আসি নি। আমি একটা কাজ দিতে এসেছি।]
[যদি কাজটা ব্লাড ড্রাগনকে হত্যা করার হয়ে থাকে তাহলে আমি সেটা করতে পারবো না। ডিম্যান কিং যাওয়ার পর সবচেয়ে শক্তিশালী কন্সটেলেশন গুলোর মধ্যে একজন হলেও এতোটা শক্তিশালী নয় যে আমি ব্লাড ড্রাগনকে হত্যা করতে পারবো।] (জিউস)
[তাকে হত্যা করার কাজ তোমাকে করতে হবে না। সেটা আমি ড্রাগন স্লেয়ারের হাতে তুলে দিয়েছি। তোমার কাজ শুধু তাকে টাওয়ারের বাইরে থেকে কোনো এক ভাবে টাওয়ারের ভিতরে প্রবেশ করানো।]
[ড্রাগন স্লেয়ার! আপনি কি পাগল হয়েছেন? যে ব্যক্তির কাছে এরকম পাওয়ার ছিলো যে সে চাইলে আপনাদের দুজনকেও একটা সময় পাওয়ারের দিক দিয়ে অতিক্রম করতে পারতো। সে হঠাৎ একদিন বোর হয়ে নিজের সকল পাওয়ার হারিয়ে টাওয়ারের বাইরে চলে গিয়েছে, সে টাওয়ারে আসলেও কিভাবে ব্লাড ড্রাগনকে হত্যা করবে? আপনার তো অনেক অ্যাভেটার। যদিও আমি নয় তার মধ্যে। আমার সন্তানদের মধ্যেই তো অনেক গুলো রয়েছে। আমি তাদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছি, সেই সাথে সব গুলো অ্যাভেটার দিয়ে এট্যাক করেন।] (জিউস)
[সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে হলে তো ভালোই হতো। আমার বেশি কথা বলতে ভালো লাগে না। ছয় মাসের সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে আমি ড্রাগন স্লেয়ারকে যেভাবেই হোক টাওয়ারে দেখতে চাচ্ছি। আমি আমার একটা অ্যাভেটারকে পাঠাতে পারতাম এই কাজে। কিন্তু ড্রাগন স্লেয়ারকে কথা দিয়েছি তাকে আর বিরক্ত করবো না আমি এবং মুন। তাই আমার কোনো অ্যাভেটার আমি পাঠাতে পারছি না। ছয় মাসের মধ্যে আমার কাজটা না করতে পারে ঠিক ১৮১ নম্বর দিনে আর অলিম্পাসের চিহ্নও দেখতে পারবে না।]
কথাটা বলেই এরিসের শরীর থেকে সান কন্সটেলেশন চলে গেলো। সে চলে যাওয়ার সাথে সাথে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলো। এরিস উপর থেকে নিচে পরে গেলো শুধু। কি হয়েছে সেটা সে নিজেও জানে না।
❝এই বাস্টার্ড শুধু অলিম্পাস ধ্বংসের ভয় দেখাচ্ছে। ডিম্যান কিং তার শক্তিশালী অ্যাভেটার গুলোকে হত্যা করে দেওয়ার কারণে আপাতোতো তার কোনো অ্যাভেটারই আমার থেকে শক্তিশালী না। আর বাস্টার্ডটা তো কখনোই কোনো ব্যক্তির উপরে নিজের পাওয়ার ব্যবহার করতে পারবে না। শারিরীক এবিলিটি দিয়ে আমাকে কখনোই হারাতে পারবে না। এজন্য ফাইটও করবে না। আর আমিও ফাইট করতে চাই না কোনো ভাবে। কারণ ভুলোও একটু পাওয়ার ব্যবহার করলে পুরো টাওয়ার ধ্বংস করতে বেশি একটা সময় লাগবে না তার। কিন্তু কি প্লান করছে সে। এতো শক্তিশালী অ্যাভেটার এবং অন্যান্য কন্সটেলেশন রয়েছে যারা একত্র হলেও ব্লাড ড্রাগনকে হত্যা করার সম্ভবনা মাত্র ৪০% যেখানে ব্লাড ড্রাগনই জয় করবে তার এবিলিটির কারণে। আর সেখানে সে চাচ্ছে ড্রাগন স্লেয়ারকে টাওয়ারে আনতে। যে টাওয়ার থেকে বের হওয়ার জন্য নিজের সব পাওয়ার নষ্ট করেছে। কি হচ্ছে তার মাথায় আমি বুঝতে পারছি না। যায়হোক, এই সুযোগে আমি দুর্বল হয়ে যাওয়া ড্রাগন স্লেয়ারের সাথে ফাইট করার একটা সুযোগ পাচ্ছি। ডিম্যান কিং এর সাথে ফাইটের থেকেও অনেক আশা নিয়ে বসে ছিলাম আমি তার সাথে ফাইট করার জন্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি সহ কোনো কন্সটেলেশনই তার ফাইট তো দূরের কথা, এখনো তার চেহারাও দেখতে পারি নি। মনে হচ্ছে আমার সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যাভেটারকেই তার কাছে পাঠাতে হবে।❞ (জিউস ভাবছে)
জিউসের মুখে ভয়ানক একটা হাসি ভেসে উঠলো।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।