[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:১৯৮
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
চারিদিকে হাজারো রকমের রং বিরাজমান ছিলো। রং গুলো একের পর এক নেচে বেরাচ্ছিলো। সেগুলো কি ছিলো তা বলা একটু কষ্টকর, কারণ তার দিকে যতই হাত বারানো হয় তা আরো তত দূরে চলে যেতে থাকে। রং গুলো স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছিলো কোনো এক দিকে। স্রোতের সাথে একটা ছেলেও সেদিকে ভেসে যাচ্ছিলো। ছেলেটা শেষ একটা মেসেজ দেখতে পেলো তার সামনে, মেসেজটা দেখতে পেয়েই সে নিজের সেন্স হারিয়ে গেলো। ছেলেটার পায়ের নিচ থেকে আস্তে আস্তে কালো ধোঁয়া বের হয়ে পুরো শরীরকে আটকে ধরলো। কালো ধোঁয়া একদম গোল একটা বলের মতো আকার নিয়ে ছেলেটাকে ভিতরে আটকে রেখেছে।
ঠিক এই সময় হাজারো রঙের স্রোতের মধ্য থেকে একজনের আওয়াজ স্পষ্ট হলো। এমন মনে হচ্ছিলো সব গুলো রং তাদের জীবন ফিরে পেয়েছে। সব গুলো রং থেকেই একই আওয়াজের একটা কথা শোনা যাচ্ছিলো।
<( সবাই বলে থাকে আমি একজন মাস্টারমাইন্ড। তবে আজ পর্যন্ত মাস্টারমাইন্ড টাইটেল পাওয়ার যোগ্য কোনো কাজই আমি করি নি। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। জানি আমার রেখে দেওয়া এই ফ্রাগমেন্টের আওয়াজ তার কানে যাবে না, তারপরও ১% সুযোগ রয়েছে তার সেন্স থাকার। এই সুবাধে আমি কিছু কথা বলছি। যদিও তার কোনো এক্সপ্রেশন দেখা যাবে না স্বাভাবিক ভাবে। তারপরও আমি নিশ্চিত এই সময়ে তার রাগ অন্য সবার থেকে অনেক বেশি থাকবে। এই রাগটা আমার পুরো মাস্টারপ্লানকে নষ্ট করে দিবে। তাই আমার এখানে কি করা উচিত? হ্যাঁ পেয়েছি! আমাকে এই সময়ে দ্যা বিগিনিং প্রজেক্ট সেট করে রাখতে হবে। আমার প্লানের মেইন ক্যারেক্টারকে আরেকবার ইমোশনাল ভাবে ধাক্কা দিতে হবে। )>
* * * * *
একটা মাঝারি আকারের রুমের মধ্যে সদ্য জন্ম হওয়া দুটো বাচ্চা রাখা হয়েছে। বাচ্চা দুজনের বাবা একজন হলেও মাতা ভিন্ন ছিলো। একটা আশ্চর্যকর ঘটনা যা পুরো হাসপাতালের মানুষকে অবাক করেছে। বাচ্চা দুটোর মধ্যে একজন ছেলে এবং অপরজন মেয়ে। একটা বেডের উপরে দুজনকে রাখা হয়েছে যেখানে ছেলেটার হাত ধরে মেয়েটা খেলা করছিলো। একসাথে রাখার পর থেকে ভাইয়ের হাত তার বোন এখন পর্যন্ত ছেড়ে দেয় নি। বাচ্চাদের দেখে কারো মনেই হবে না তারা সদ্য জন্ম নিয়েছে। তাদের গ্রোথ অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে বেশি দ্রুত হয়েছে তাই এখনি তাদেরকে পাঁচ/ছয় মাসের বাচ্চাদের মতো লাগছিলো। মেয়েটা নিজের ডান হাত মুখে নিয়ে খেয়েই যাচ্ছিলো এবং তার ভাইয়ের ডান হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলো বাম হাত দিয়ে। অপর দিকে তার ভাই চুপ চাপ উপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
* * * * *
(ছেলে বাচ্চার চরিত্রে)
আমার জ্ঞান আমার শরীরের তুলনায় বেশি বলা যেতে পারে। জানি না আমার পাশের এই জন্তুটার জ্ঞানও আমার মতো কিনা। না! তার যেভাবে মুখ দিয়ে নালা পরছে তাতে একটুও মনে হয় না সে জ্ঞানী। বরং অনেক বড় বোকা হবে সে। যায়হোক একটু আগের যে জন্তুগুলো আমাকে দেখে গেলো তারা আজব ধরনের কিছু একটা পরে ছিলো শরীরে, কিন্তু আমার শরীরে তেমন কিছু নেই কেনো? এটা কি আমার আসল শরীর? পাশ থেকে একটা শব্দ আসলো। শব্দটা কিসের সেটা বুঝতে বাকি রইলো না। আমারো পিছন থেকে একটু আগে শব্দটা এসেছিলো যার কারণে পিছনটা অনেক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিলো। ঠান্ডা ভাবটা ভালো লাগলেও একটা কড়া দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছিলো যা সহ্য করা আমার নাকের জন্য একটু কষ্টকর হয়ে গিয়েছিলো। তারপরও আমি স্বাভাবিক ছিলাম কারণ আমার মনে হয় আমার মতো জ্ঞানী ব্যক্তিরা সেটায় করবে। কিন্তু অপরদিকে শব্দটা হওয়ার পর আমার পাশে থাকা জন্তুটা আমার হাতকে আরো শক্ত করে ধরলো। প্রথমে একটা মুচকি হাসি দিলো শব্দটা হওয়ার কারণে কিন্তু এবার সে জোরে কাঁদতে শুরু করলো। তার কাঁদার শব্দে হঠাৎ করে আমার সামনে একটা সুন্দর জন্তু চলে আসলো। দেখতে অনেক সুন্দর লাগলেও আমার দিকে তাকিয়ে জিহ্বা বের করে মুখটাকে অসুন্দর করে তাকালো। অপর দিকে আমার পাশের জন্তুটাকে তুলে নিয়ে চলে গেলো কিছুক্ষণের জন্য। জন্তুটা যাওয়ার পর নিজের কাছে একটু শান্তি লাগতে শুরু হলো। কোনো রকম কোলাহল ছিলো না আমার আশেপাশে। আমি চুপ করে উপরে তাকিয়ে রইলাম।
(ছোট বাচ্চার POV শেষ)
* * * * *
পুরো রুমটা খালি ছিলো। শুধু বাচ্চা ছেলেটা ছোট বেডের মধ্যে একা শুয়ে ছিলো। একাকিত্বে সে ঘুমিয়ে গেলো। ঠিক এই সময়ে জানালার পর্দার আড়াল থেকে একজন ব্যক্তি বেরিয়ে আসলো। তার পিছনে প্যান্টের মধ্যে একটা ছুরি গোঁজা ছিলো। ছুরিটা নিয়ে লোকটা বাচ্চার সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলো।
-> যদিও আমি বাচ্চা হত্যা করি না কিন্তু তোর কপালে অনেক বড় আকারের একটা বাউন্টি দিয়েছে আমাদের এসোসিয়েশনকে। তাই আমি না করলেও অন্য কেউ চলে আসবে তোকে হত্যা করার জন্য ঠিকই। (লোকটা)
লোকটা ছুরি দিয়ে বাচ্চাটাকে মারতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে বাচ্চার বেডের পিছন থেকে কালো কিছু একটা বেরিয়ে আসলো। ঠিক সেই সময় রুমের মধ্যে একটা মেয়ে প্রবেশ করলো। তার কোলে একটা মেয়ে বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চা মেয়েটাকে একটা নতুন চাদরে মুরিয়ে মেয়েটা নিয়ে এসেছে। রুমের মধ্যে কোনো পরিবর্তন ছিলো না। তারপরও মেয়েটা রুমের দিকে একটু ভালো করে তাকালো।
-> তোমাদের কেনো এই সময়ে জন্ম নিতে হলো? পৃথিবী দিন দিন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর সেই ধ্বংসের সাথে অংশ নিতে কি তোমাদের জন্ম হয়েছে? (মেয়েটা)
মেয়েটা ছোট বাচ্চাটাকে বাচ্চা ছেলেটার পাশে রেখে চলে গেলো। মেয়েটা তার ভাইয়ের হাত শক্ত করে ধরে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে গেলো। ঠিক তখনি বাচ্চা ছেলেটার ঘুম ভেঙে যায়। তার স্বাভাবিক মুখ সিরিয়াস হয়ে গেলো পাশে তাকিয়েই।
* * * * *
এক সপ্তাহ পরে,
(বাচ্চা ছেলের চরিত্রে)
একটা আজব বস্তুর মধ্যে বসে আছি। মাঝে মাঝে পিপ পিপ শব্দ হচ্ছে। জানি না কতটা সময় পার হয়েছে কিন্তু আজকে আমার ভালো লাগছে। লোকজনের কথা বার্তার কারণে বুঝতে পেরেছি সেই জন্তুটা আমার সৎ বোন ছিলো। এর পূর্বে কিছুক্ষণ ব্যতিত সব সময় সে আমার কাছেই থেকেছে। তবে আজ অনেকক্ষণ হলো আমি ওর থেকে দূরে আছি। জানি না কেনো তবে ওর থেকে যত দূরে থাকি ততই আমার ভালো লাগে। কবে সে বড়দের মতো মুখ থেকে শব্দ বের হবে আমার। এখন তো হাবুলু ছাড়া কিছুই বের হয় না। তারা কি বলে সেটা আমি স্পষ্ট বুঝি এমনকি মনে মনে সেটা বলতেও পারি। তবে আমার গলা থেকে সেটা বের হতে চাই না। হয়তো ছোট বাচ্চা আমি এজন্য সব কিছুতে সময় লাগবে আস্তে আস্তে। এই সময়ে আমাকে কোলে নিয়ে বসে থাকা ব্যক্তিটা তার মুখ খুললো। এতোক্ষণ শুধু শুধু আমার সাথে অনেক বক বক করেছে যা আমার একটুও পছন্দ না। তার কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম তিনি আমার আম্মা। যদিও তার বক বক আমার পছন্দ নয় তারপরও তাকে আমি অপছন্দ করি না। আমার চোখ খোলার পর থেকে দেখা সবচেয়ে পছন্দের মানুষটায় তিনি। যার অনেক কারনের মধ্যে আমি আপাতোতো একটায় জানি। সেটা হলো কিছুক্ষণ পরপরই তিনি আমাকে খেতে দেন। এতোক্ষণ সে আমার সাথে বক বক করলেও এখন আমার সাথে বকবক করছেন না তিনি। বরং তার পাশে বসে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা বলছেন। পাশের লোকটা আমার বাবা হন যা তার কথার মাধ্যমেই বুঝেছি। তিনি এখনো আমার দুই গাল টানাটানি নিয়ে ব্যস্ত।
-> তুমি যে আমার সাথে যাচ্ছো এতে তো লিসা অনেক কষ্ট পাবে। তোমার কি উচিত ছিলো না ওর সাথে যাওয়ার। ও যেহেতু ছোট এই সময়ে তোমার সঙ্গ ওর বেশি প্রয়োজন ছিলো।
আমার বাবা এবার আমার আম্মার কথার উত্তর দিতে লাগলো।
-> তোমাদের দুজনকেই আমি নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু লিসার পরিবার এসেছে তাই ওর সাথে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো না আমার। আর লিসা নিজেই অনুরোধ করেছে তোমাকে ঠিক মতো তোমার বাবার বাসায় পৌঁছে দিতে। দুজনের মধ্যে তোমার উপর দিয়ে বেশি ধকল গিয়েছে আমার এই সোনাবাবাটাকে দুনিয়ায় আনতে।
এবার আম্মা বলতে লাগলো,
-> আমি ভাবি নি আমাদের ছেলেটা এতোটা পুষ্ট হবে। যদি পৃথিবীর উপর থেকে সবার আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। কিন্তু আমি আমার বাঁচার আস্থা ফিরে পেয়েছি ওকে জন্ম দিয়ে।
এবার আব্বা বলতে লাগলো,
-> হ্যাঁ আমি আজকেই শক্তিশালী কিছু মার্সেনারি ঠিক করবো আমাদের দুই বাচ্চার সুরক্ষার জন্য।
কথাটা শেষ করতে করতে আমাদের গন্তব্যের জায়গায় চলে আসলাম। আমার আম্মা আমাকে নিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো। আমি তার কোলে শুয়ে থাকার কারণে কিছুই দেখতে পারছিলাম না। শুধু একের পরে এক নতুন মানুষের কোলে যাচ্ছিলাম আর যাচ্ছিলাম। সবার কথা শুনে বুঝতে পারলাম আমি আমার নানার বাসায় এসেছি এবং নানা বাসার সবাই আমার জন্য অধির আগ্রহে বসে ছিলো। কয়েকজনকে আমি পূর্বেও দেখেছি। যারা হয়তো আমার জন্মের পরে আমাকে দেখতে গিয়েছিলো। আরো অনেকে আছে যাদের আমি দেখি নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বুঝতে পারলাম তাদের মতো হাঁটতে পারলে এই সময়ে অনেকটা ভালো হতো আমার জন্য। এই সময়ে আমি কোনো এক নির্জন জায়গায় গিয়ে বসে থাকতে পারতাম।
যার কোলে যাচ্ছিলাম তাকেই মন খুলে হাসতে দেখছিলাম, যা আরো খারাপ লাগছিলো আমার। এক একজনের দাঁতের মধ্যকার অস্পষ্ট জন্তুগুলো মনে হচ্ছিলো সব আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। ঠিক সেই সময় একটা বিশাল শব্দে সবার হাসি বন্ধ হয়ে গেলো। ঠিক এই সময়ে আমার বাবার আওয়াজ শুনতে পেলাম আমি। সে কি বলছিলো সেটা আমি বুঝি নি, কিন্তু কথাটা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি।
-> সবাই দ্রুত আন্ডারগ্রাউন্ড ফোর্টেজের মধ্যে প্রবেশ করো। এই সময়ে এই এরিয়ার মধ্যে একটা ড্যানজন ব্রেক হয়েছে।
তার কথা শোনার সাথে সাথে সবার হাসিমুখ থেকে এখন চিল্লানি বের হতে শুরু করলো। আমি কার কোলে ছিলাম সেটা জানি না। তবে তার কাছ থেকে আমাকে আমার বাবা নিয়ে দৌড় দিতে শুরু করলো। তার পাশে আমার আম্মাকেও দেখতে পারলাম এক নজরের জন্য।
(বাচ্চা ছেলেটার POV শেষ)* * * * *
বাচ্চাটাকে তার বাবা কোলে নিয়ে আরেক হাত দিয়ে তার স্ত্রীকে ধরে মাটির নিচের দিকে একটা সিড়ি বেয়ে আস্তে আস্তে অগ্রসর হচ্ছে তারা। বাচ্চা নিয়ে রয়েছে বলে তারাই সবার পূর্বে ফোর্টেজের দিকে রওনা হয়েছে। বাকিরা পিছনে আসছে এক এক করে। কারো দিকেই তাকানো যাচ্ছে না। ভয়ে কারো গলা দিয়ে কোনো কথা এখন বের হচ্ছিলো না। কারণ এখন চিল্লানি বা কথা বললেই কোনো না কোনো মনস্টার চলে আসতে পারে। ফোর্টেজ ব্যতীত তাদের জন্য সুরক্ষিত কোনো জায়গা নেই আপাতোতো।
-> আর চিন্তা করতে হবে না আমরা ফোর্টেজের সামনে চলে এসেছি। এখন কোনো মনস্টার আমাদের কিছু করতে পারবে না।
কথাটা বাচ্চা ছেলেটার বাবা বললো। কিন্তু তার কথাটা বলার সাথে সাথে উপর থেকে ফুটন্ত লাভা সহ আগুন তাদের উপরে এসে পরলো। অনেকটা মাটির নিচে থাকার পরেও সে জায়গার আর কোনো মাটি ছিলো না। আকাশ থেকে বিশাল একটা ড্রাগন তার ব্রেথ এট্যাকের মাধ্যমে পুরো এক কিলোমিটার জায়গা ধ্বংস করে ফেলেছে। বাচ্চার বাবা আর একটু হলেই সবাইকে নিয়ে ফোর্টেজের মধ্যে প্রবেশ করতে পারতো যা ড্রাগনের এট্যাকের পরেও ঠিক আছে। কিন্তু তার পূর্বেই ড্রাগনের এট্যাকে সে, তার স্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বাসার সকল সদস্যের অংশটুকুও অবশিষ্ট নেই। সেখানে কিছু না থাকলেও কালো একটা ধোঁয়া বিশিষ্ট বল দেখা যাচ্ছিলো। আস্তে আস্তে কালো ধোঁয়া কেটে গিয়ে সেটা থেকে সেই ছোট বাচ্চা ছেলেটা বেরিয়ে আসলো যে ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে। বাচ্চা ছেলেটার ঘুম ভেঙে গেলো। আস্তে আস্তে আসে পাশের লাল রঙের ধোঁয়া ছেলেটার শরীরে প্রবেশ করতে লাগলো। বাচ্চাটা সেদিকে না তাকিয়ে আসে পাশে তাকালো। সে শুয়ে ছিলো তাই তার দেখার এরিয়া খুব কম ছিলো। তবে এবার আর সে অন্যান্য ছোট বাচ্চার মতো শুয়ে থাকলো না। এতোক্ষণ নিজের দুর্বল শরীরের জন্য সে ঠিক মতো নরতে না পারলেও ছেলেটা উঠে দাঁড়ালো। সাত দিনের ছেলে উঠে দাঁড়াতে পারে তা হয়তো অসম্ভব একটা ব্যাপার। বাচ্চা ছেলেটা আকাশের দিকে দেখলে পেলো একটা লাল রঙের বিশাল বস্তু উড়ে যাচ্ছিলো। বস্তুটার মুখ থেকে আগুন বের হচ্ছিলো। উপরে তাকাতে গিয়ে পিছন দিকে বাচ্চাটা পরে গেলো। পিছনেই ছিলো ফোর্টেজ যার দেওয়ালের সামনে থাকার কারণে সেটার দরজা খুলে গেলো এবং বাচ্চাটা ঘুরতে ঘুরতে সেটার মধ্যে চলে গেলো। সাথে সাথে দরজা আটকে গেলো।
* * * * *
অন্য একটা জায়গায়,
টিভিতে বসে ড্যানজন ব্রেকের সংবাদ শুনছিলো লিসা। হাসপাতালের পাশেই তার বাসা হওয়ার কারণে তার বাসায় পোঁছাতে সময় লাগে নি। নিজের রুমে তার বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে শুয়ে ছিলো। হাসপাতাল থেকে তার স্বামী, স্বামী প্রথম স্ত্রী এবং নিজের সৎ ছেলে চলে যাওয়ার পর থেকে তার মেয়ের কান্না কোনো ভাবেই থামছে না। এটার কারণও লিসা ভালো করে জানে। তার মেয়ে তার ভাইয়ের থেকে দশ মিনিটের বেশি দূরে থাকতে পারে না। যার জন্ম হওয়ার পর থেকে এই সাতদিনে ডাক্তারও কোনো সমাধান দিতে পারে নি। মেয়ে কান্না করে গেলেও সেদিকে তার কোনো নজর ছিলো না। টিভির সংবাদ শুনে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে কখন সে নিজের সেন্স হারিয়ে ফেলেছে সেটা সে নিজেও জানে না। তার বাসার সবাই দ্রুত ডাক্তার নিয়ে আসে বাসায় এবং বাসাতেই ট্রিটমেন্ট দিতে শুরু করে। সেদিন রাতেই লিসার রুমে লিসাকে রাখা হয়েছিলো। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাকে। এই সময়ে তার মেয়ে অন্য একটা রুমে রয়েছে। রুমে লিসার প্রবেশ করেছে।
-> যদিও আমি চাই নি এরকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে যেহেতু হয়ে গেলো তাই এখন পরের স্টেপে যেতেই হবে। শীঘ্রই আমাদের পাওয়ার আরো বৃদ্ধি পাবে।
* * * * *
To Be Continued
* * * * *
কেমন হলো জানাবেন।