আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ১৯৯

Demon King, Fantasy golpo
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]

#Demon_King#


The Beginning

পর্ব:১৯৯

লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
সাল ২০৫০,

পৃথিবী অনেক আধুনিক হয়ে উঠার কথা ছিলো এই সময়ে, যদিও আধুনিক হয়েছে কিন্তু যেভাবে হওয়ার কথা ছিলো সেভাবে পৃথিবী আধুনিক হতে পারে নি। এক সময়ে পৃথিবীতে শুধু মানুষ এবং মানুষের থেকে অনেক কম জ্ঞানী পশু-পাখির বসবাস ছিলো। কিন্তু এখন আর মানুষ আর পূর্বের পশু পাখিই বসবাস করে না পৃথিবীতে। পৃথিবীতে অনেক বড় একটা পরিবর্তন এসেছে, যে কারণে এখন পৃথিবীতে মানুষ সহ মানুষের সম জ্ঞান, কম জ্ঞান কিংবা মানুষের থেকে উচ্চ জ্ঞানী স্পিসিজের বসবাস শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে পৃথিবীর মানুষেরা তাদের মেনে না নিতে পারলেও সময় এবং অন্যান্য স্পিসিজের কাজের মাধ্যমে মানুষ এবং বেশ কিছু স্পিসিজ একে অপরের সাথে মিলেমিশে বসবাস করতে সক্ষম হয়েছে। আবার কিছু ভয়ানক স্পিসিজ রয়েছে যাদের সংখ্যা পৃথিবীতে একেবারেই কম তবে তাদের আশেপাশেই মানুষ কিংবা অন্য স্পিসিজ যেতে সাহস পাবে না। তাদের মধ্যে এক স্পিসিজ হলো ড্রাগন।

একটা ভ্যান গাড়ির মধ্যে ড্রাইভার ব্যতিত পাঁচজন ব্যক্তি বসা ছিলো। তাদের দুজনের হাতে বড় দুটো স্পেয়ার ছিলো। একজন বড় বডি ওয়ালা ব্যক্তির হাতে একটা সোর্ড এবং পিছনে একটা সিল্ড ছিলো। দুজন মেয়ে যাদের একজনের হাতে কাঠের একটা স্টাফ এবং আরেকজনের হাতে প্লাস সাইনের একটা ব্রেসলেট রয়েছে। পাঁচজনের এই গ্রুপটা একটা ছোট বাউন্টি হান্টার গ্রুপ ছিলো। তারা বিভিন্ন রকম বাউন্টি নিয়ে থাকে যা অন্যা মার্সেনারি, হান্টার কিংবা পাবলিক হিরোরা কখনো করে না। বড় শরীর ওয়ালা লোকটা তাদের লিডার ছিলো। সে তার হাতের সোর্ডটা একটা পাথর দিয়ে ঘষে ধারালো করছিলো। তার পাশেই স্টাফ হাতে নিয়ে একটা ম্যাজিসিয়ান বসে ছিলো। সে সবার উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,

-> আমাদের কি ঔখানে যাওয়া ঠিক হবে? ১৫ বছর পূর্বে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এরিয়ার মধ্যে আজ পর্যন্ত কেউ যায় নি। 

এবার স্পেয়ার হাতে এক ব্যক্তি বলতে লাগলো,

-> এটা আমার করা সবচেয়ে বিপজ্জনক বাউন্টি মিশন হবে এই পর্যন্ত। রেড ড্রাগনের ভয়ে ১০ বছর ধরে কেউ এই এরিয়ার মধ্যে পা ফেলতে সাহস পায় নি, সেখানে আমরা যাচ্ছি তার ডিম চুরি করতে। 

আরেকটা স্পেয়ার হাতে থাকা ব্যক্তি কিছুটা হেসে বলতে লাগলো,

-> আরে ভয় পেয়ে কি লাভ? পুরো পৃথিবী আমাদের গ্রুপকে পাগল বলে থাকে, শুধু ভাবো একবার। যদি আমাদের পাগল গ্রুপটা যদি রেড ড্রাগনের ডিম চুরি করে নিয়ে সেটা ব্লাক মার্কেটে বিক্রি করতে পারে তাহলে তাদের মুখ খানা কি হবে। 

গ্রুপের লিডার তার সোর্ড ঘষা বন্ধ করে সবার উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,

-> শুধু যদি রেড ড্রাগনের ডিম চুরি করার মিশন হতো তাহলে আমি কখনোই এখানে আসার কথা ভাবতাম না। যেহেতু দ্বিতীয় একটা মিশন আমরা পেয়েছি তাই ড্রাগনের ডিম চুরি করতে না পারলেও কোনো সমস্যা হবে না আমাদের। 

বসের কথা শুনে স্পেয়ার হাতে নিয়ে হাসতে থাকা ছেলেটা বলতে শুরু করলো,

-> কি মিশন বস! আপনি তো আগে বলেন নি? 

গ্রুপের বস বলতে লাগলো,

-> এই এরিয়ার মধ্যে একটা ফোর্টেজ রয়েছে।

-> ফোর্টেজ!

সবার দৃষ্টি তাদের বসের দিকে চলে গেলো।

-> বস আপনার কি মনে হয় ১৫ বছর হয়ে যাওয়া সেই এট্যাকের পরেও একটা ফোর্টেজ থাকবে এখানে।

-> যদি থাকে তাহলে তো কোনো কথায় নাই। যাদের কাছে ফোর্টেজ রয়েছে তারা সবাই পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাই এই জায়গায় কারো ফোর্টেজ থাকা মানে সেটা বড় কোনো ধনী পরিবারের ছিলো। 

-> আর ধনী পরিবার মানে কিছু গোল্ড কিংবা পুরাতন কোনো কারেন্সি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে আমাদের।

সবার উত্তেজিত চেহারার দিকে গ্রুপের বস তাকালো। সে তার সোর্ডের হাতলকে শক্ত করে ধরলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো সে,

❝ পনেরো বছর, আজ পনেরো বছর আমি অপেক্ষা করে যাচ্ছি এই একটা সুযোগের জন্য। আজ আমি সুযোগ পেয়েছি। পনেরো বছর পূর্বে আমি যদি এই জায়গায় থাকতাম, অন্তত কোনো একজনকে আমি বাঁচাতে পারতাম।❞

পূর্বের কথা মনে করে  নিজের সোর্ডটা আবারো ঘষতে শুরু করলো সে। দেখতে দেখতে তাদের ভ্যানের ড্রাইভার গাড়িটা থামিয়ে দিলো। একটা উঁচু মাটির পাহাড়ের সামনে এসে ভ্যানটা থেমেছে। এতোক্ষণ রোড ছিলো গাড়ি চলার কিন্তু সামনে থেকে কয়েক কিলো গাড়ি চলানোর মতো কোনো জায়গা নেই। উঁচু নিচু মাটির গিরিখাতের মতো রাস্তা রয়েছে সামনে। গাড়ি থেকে পাঁচজন তাদের জিনিসপত্র নিয়ে নেমে পরলো। গ্রুপের লিডার ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

-> তিন দিন, তিন দিন পরে এই জায়গায় এসে আমাদের একটা সিগন্যাল দিবে। যদি তিন ঘন্টার মধ্যে আমরা না ফিরতে পারি তিনদিন পরে তাহলে ভেবে নিবে আমরা ড্রাগনের এট্যাকে মারা গিয়েছি। 

বসের কথা শুনে ভ্যান নিয়ে ড্রাইভার সে জায়গা থেকে চলে গেলো। দুই স্পেয়ার হাতে থাকা ব্যক্তি আস্তে আস্তে মাটির উঁচু পাহাড়ের উপরে উঠলো। 

-> ওয়াও আমি জায়গাটা শুধু ভিডিওতে দেখেছি। তবে বলতে হবে সামনে থেকে জায়গাটা আরো রোমাঞ্চকর। 

-> হ্যাঁ ড্রাগনটা আমাদের দেখে ফেললে আরো রোমাঞ্চকর হবে তাই না?

একটু মোটা করে লোকটা সব সময় ভয় পেয়ে থাকে, অন্যদিকে পাতলাজন সব সময় সব বিষয়কে ফান হিসেবে নিয়ে থাকে। তাই তাদের দুজনের মধ্যে তেমন জমে না কথা বার্তায়। দুজনে ঝগড়া করবে তার পূর্বেই তাদের বস সামনের দিকে স্লাইড করে মাটির পাহাড় থেকে নেমে গেলো। তার পিছনে তার গ্রুপও রওনা দিলো। মোটা স্পেয়ার হাতে থাকা ব্যক্তিটা তার স্পেয়ারকে শক্ত করে ধরে সতর্ক হয়ে হাটছিলো। পাতলা করে লম্বা লোকটা তার স্পেয়ার ঘুরিয়ে খেলা করতে করতে তাকে বলছিলো,

-> এতো টেন্স হয়ে লাভ কি? এই এরিয়ায় মনস্টারের মধ্যে শুধু রেড ড্রাগনই রয়েছে। একটা ড্রাগনের এরিয়ার মধ্যে অন্য কোনো মনস্টারের প্রবেশ করার কি কোনো সাহস হবে? আমাদের শুধু ড্রাগনের থেকে সতর্ক হতে হবে। 

সাথে সাথে তাদের বস থেমে গেলো এবং মাটির উঁচু একটা পাহাড়ের পাশে গিয়ে নিচু হয়ে বসলো। তার দেখা দেখি বাকিরাও সেখানে চলে গেলো। বস ম্যাজিসিয়ান মেয়েটার দিকে তাকানোর সাথে সাথে মেয়েটা একটা মুখ দিয়ে কিছু পরে লাঠি দিয়ে মাটিতে আঘাত করার সাথে সাথে চারপাশের মাটি তাদের উপর দিয়ে একটা চাদর তৈরি করলো। ভিতরে কয়েকটা ফুটো থাকার কারণে বাইরে দেখা যাচ্ছিলো। কাউকে কিছু দেখতে হচ্ছিলো না। একটা ঠান্ডা হাওয়া সবাই অনুভব করছিলো। হাওয়ায় সবার লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। সবারই শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। এই সময়ে সবাই লক্ষ্য করলো তাদের মাথার উপর দিয়ে প্রায় দশটা বড় উড়োজাহাজের মতো বড় একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে। চার পা ওয়ালা ওয়েস্টার্ন ড্রাগনের দুটো বিশাল পাখার ঝাপটায় মনে হচ্ছিলো ঘূর্নিঝড় তৈরি হচ্ছিলো। কারো মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছিলো না। সবারই পা কাপছিলো ড্রাগনটা দেখতে পেয়ে। আজ পর্যন্ত এমন কোনো মানুষ কিংবা অন্য স্পিসিজ তাদের সাহস করতে পারে নি এই ড্রাগনের সাথে ফাইট করার। তাই তাদের ভয়টা স্বাভাবিক ছিলো। কিছুক্ষনের মধ্যে ড্রাগনটা সে জায়গা থেকে অনেক দূরে চলে গেলো। এই সময়ে বস বলতে লাগলো,

-> আমাদের দ্রুত করতে হবে, ড্রাগনটা ডিমের জন্য এনার্জি সংগ্রহ করতে গিয়েছে। এই সময়ে আমাদের দ্রুত তার বাসা থেকে একটা ডিম সংগ্রহ করতে হবে। (বস)

মোটা স্পেয়ার হাতে থাকা লোকটা তার বসকে বলতে লাগলো,

-> কিন্তু বস পথের মধ্যে যদি আমরা ফোর্টেজটা পেয়ে যায় তাহলে তো আর আমাদের ড্রাগনের ডিমের প্রয়োজন হবে না তাই না? 

-> যদি ফোর্টেজ পেয়ে যায় কোনো ভাবে তাহলে দেখতে হবে সেটার ভিতরে কি আছে। যেহেতু রিস্ক আমরা নিয়ে ফেলেছি তাই ফলাফল ভালো না পেলে গভীর পর্যন্ত তো যেতেই হবে। (বস)

পাতলা লম্বা লোকটা মোটা লোকটা কাঁধে হাত দিয়ে তাকে শান্তনা দিয়ে বলতে লাগলো,

-> যেদিন আমরা বাউন্টি হান্টার হয়েছি সেদিন থেকেই মৃত্যুর সাথে কন্ট্রাক করেছি। তাহলে এখন এই ছোট বিষয় নিয়ে ভয় পেয়ে লাভ আছে। বরং আমাদের ভয় পাওয়া উচিত যে ড্রাগনের সাথে ফাইট হলে মনের মতো ফাইট করে মরতে পারবো না।

মোটা লোকটা তাকে উত্তর দিলো,

-> সবাই তো আর তোমার মতো সাইকো না।

তাদের বস আবারো হাঁটতে শুরু করলো। সবাই তাকে ফলো করতে লাগলো। প্লাসের একটা ব্রেসলেট হাতে থাকা মেয়েটা তার বসের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো,

❝ বসের মনে ভারি কোনো চিন্তা রয়েছে, যা সে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারছে না। আমি বুঝতে পারছি না, আজ বস এই মিশনের জন্য এতোটা সিরিয়াস কেনো? আমরা যেদিকে যাচ্ছি সেটাও ড্রাগনের বাসার দিক না। অনেকটা ঘুরে যাচ্ছে যেটায় প্রায় এক দিন সময় আমাদের বেশি লাগবে সেখানে পৌছাতে। এমন মনে হচ্ছে বস পরিচিত কোনো একটা জায়গায় প্রথমে যাচ্ছে। তাহলে কি আমরা প্রথমে ফোর্টেজ খুজতে যাচ্ছি?❞ 

* * * * *

সেদিন রাতের সময়,

আবারো সবাই মাটির চাদরের ভিতরে রয়েছে। সবাই আকাশের দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলো ড্রাগনটা ফেরত এসেছে।

-> আমি ভেবেছিলাম তিন চারদিন পরে আসবে ড্রাগনটা। কিন্তু আজকে তো কয়েক ঘন্টা পরেই চলে এসেছে।

-> হয়তোবা এনার্জি সংগ্রহ করতে যায় নি ড্রাগনটা যে কারণে সে এখন ফেরত যাচ্ছে বাসায়। 

-> তাহলে তো এই সময়ে ড্রাগনের বাসার দিকে যাওয়া আমাদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হবে। কোনো ভাবেই সে বাসায় থাকা অবস্থায় তার ডিমকে আমরা স্পর্শ করতে পারবো না। 

তাদের বস তাদের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,

-> আমার পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এই জায়গাতেই ফোর্টেজ থাকার কথা, যেহেতু আশেপাশে নেই তাই আমার মনে হয় আরো কিছুটা মাটির নিচে রয়েছে। (বস)

বস ম্যাজিসিয়ানের দিকে তাকালো। তার দিকে তাকানোর সাথে সাথে সে বুঝলো তাকে কি করতে হবে। সে বলতে লাগলো,

-> আমি সার্চ স্পেল ব্যবহার করছি, সবাই একটু সরে দাঁড়াও নাহলে আমার মানা তোমাদের সাথে বারি খেয়ে ছোট একটা ধামাকা তৈরি করতে পারে। তাতে ড্রাগন আমাদের সেন্স করে ফেলবে। (ম্যাজিসিয়ান)

ম্যাজিসিয়ানের কথায় সবাই কিছু দূরে সরে গেলো। মেয়েটা মুখে কিছুটা বিরবির করে তার হাতের স্টাফ দিয়ে মাটিতে আঘাত করলো, তার শরীর থেকে কিছুটা আলো আস্তে আস্তে মাটির নিচে প্রবেশ করতে লাগলো। এক মিনিট পরেই মেয়েটা থেমে গেলো এবং বলতে লাগলো,

-> ২০ মিটার, আমাদের থেকে ২০ মিটার নিচে কিছু একটা রয়েছে যেটা আমার এনার্জি ব্লক করছে। (ম্যাজিসিয়ান)

-> হ্যাঁ সেটায় ফোর্টেজ হবে। তোমরা দুজন লেগে পরো তোমাদের কাজে। (বস)

বস উক্ত কথাটা দুজন স্পেয়ার হাতে থাকা ব্যক্তিদের বললো। দুজনেই বিরক্ত একটা লুক নিয়ে এগিয়ে গেলো। মোটা জনের পিছনের ব্যাগ খুলে লম্বা জন দুটো মাটি খোড়ার অস্ত্র বের করে নিলো। 

মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে অনেক সময় পার হয়ে গেলো। মেয়ে দুজন ঘুমিয়ে গিয়েছে ম্যাজিসিয়ানের তৈরি মাটির একটা চাদরের মধ্যে। অন্য দিকে তাদের লিডার পুরো রাত গার্ড দিয়েছে এরিয়া। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক একটা জায়গায় তারা রয়েছে তাই সে কোনো ভাবে নিজের গার্ড নিচু করে নি। পুরো রাত মাটি খোঁড়ার পরে দুজনেই ক্লান্ত হয়ে মাটির নিচ থেকে উপরে উঠলো।

-> বস আমাদের কাছে একজন ম্যাজিসিয়ান থাকার পরেও কেনো আমরা সারা রাত এভাবে মাটি খুড়লাম সেটায় বুঝতে পারছি না। 

-> যদিও অনেক ক্লান্ত তারপরও আমার মনে হচ্ছে আমার স্ট্রেন্থ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাদের বস বলতে লাগলো,

-> ফোর্টেজের ম্যাকানিজম অনেকটা ভিন্ন। তোমরা যারা সেটার কন্ট্রাকে আসো নি তারা জানো না। বাইরে থেকে একবার ফোর্টেজের উপরে এনার্জি ব্যবহার করলে সেটা রিজেক্ট করে দেয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যদি সেই একই এনার্জির স্পর্শ পেয়ে যায় তাহলে ফোর্টেজ যতটা এবজোর্ব করতে পারবে ততটা এনার্জি টানবে। এই সময়ে যদি ও কোনো স্পেল ব্যবহার করতো মাটি সরানোর জন্য। আর কোনো ভাবে সেটা ফোর্টেজের সংস্পর্শে আসলে ফোর্টেজ ওর পুরো মানা এবজোর্ব করে রেখে দিতো। (বস)

বসের কথা শুনে তারা বুঝতে পারলো কেনো ড্রাগনের এট্যাকের পরেও এই ফোর্টেজ ঠিক রয়েছে এই জায়গায়। 

-> ঠিক আছে তাহলে দেখা যাক কি আছে আমাদের জন্য এই ফোর্টেজের মধ্যে। (বস)

* * * * *

অন্যদিকে,

(এক চরিত্রের POV শুরু)

কতদিন হবে আমি এখানে আছি? আজব পাখিটা আমাদের আক্রমণ করার পর থেকে আমি এখানে রয়েছি। ছোট সময়ে ভেবেছিলাম একা সবার থেকে আড়ালে থাকতে পারলে হয়তো আমি শান্তি পেতাম। কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা যে ভুল ছিলো সেটা আমি এই জায়গায় সম্পূর্ণ একা থেকে বুঝতে পেরেছি। এভাবে আর কতদিন থাকতে পারবো? দুদিন হলো খাবার শেষ হয়েছে। আর তিনদিন পর পানিও শেষ হয়ে যাবে। এইভাবে চলতে থাকলে আমার মনে হয় আমি না খেয়েই মারা যাবো। এই সময় তো আমার একটায় ইচ্ছা।

-> আমি বাকি মানুষের সাথে মিশে দেখতে চায়।

আমার কথাটা শেষ না হতে হতেই হঠাৎ করে আমার পিছনে একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম। আজ প্রথম আমার আওয়াজ এবং আমার তৈরি করা আওয়াজ ব্যতীত নতুন আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমি দ্রুত সেদিকে তাকালাম। পিছনে তাকাতেই তীব্র একটা আলো আমার চোখের উপরে পরলো। আলোতে প্রথমে মনে হচ্ছিলো আমার চোখ পুড়ে যাচ্ছিলো। আলোটা চোখে পরার সাথে সাথেই আমি বুঝতে পারলাম সেটা বাইরের আলো ছিলো। সেই ছোট অবস্থায় যাদের দেখেছি তাদের আর দেখবো না কোনোদিন এটা আমি জানতাম। তারপরও আশা ছিলো অনন্ত একদিন আমি আমার আম্মা কিংবা আব্বাকে দেখতে পারবো। সেটা না হলেও এই প্রথম বারের জন্য আমি পাঁচজন ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম। যাদের দেখার পরে আমার খুশি হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু কিভাবে আনন্দ প্রকাশ করে সেটা আমি জানি না। আমাকে দেখার সাথে সাথে পিছনে দুজন তাদের চোখ আটকে ফেললো। তাদের চোখ আটকানোর কি আছে সেটায় আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না। নিজের হাত পা একটু ভালো করে দেখে নিলাম। সব অঙ্গই ঠিক ঠাক ছিলো আমার, তাহলে তাদের লজ্জা পাওয়ার কারণ কি ছিলো সেটা আমার মাথায় আসলো না। ভিতরে আসার সাথে সাথে দুজন তাদের হাতে থাকা আজব অস্ত্র আমার দিকে ধরে রেখেছে। তাদের মধ্যে সবার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে আমার গলার দিকে তাকালো। গলার দিকে তাকানোর পরেই তার চোখটা নরতে দেখলাম আমি।

-> ব্যাগ থেকে দ্রুত একটা জামা এবং কিছু খাবার-পানি দাও ওকে। 

আমি এখন বুঝতে পারলো তাদের লজ্জার কারণ। তার বিশেষ পোষাক পরে ছিলো অন্যদিকে আমি কিছুই পরে ছিলাম না। এতে আমার কোনো দোষ নেই। এই বিশাল জায়গার মধ্যে অনেক সাইজের অনেক ধরনের পোষাক ছিলো। সেগুলো পরিধানও করেছি এক এক করে ছোট থেকেই। বড় গুলো লাগতো না বলে ছিঁড়ে পরতাম। তবে আস্তে আস্তে বড় হওয়ার সাথে সাথে আমার ট্রেনিং এর সাথে একটা জামাকাপড়ও টিকতে পারে নি।

(POV শেষ)


* * * * *

To Be Continued 


* * * * *

কেমন হলো জানাবেন।

5 comments

  1. samner part ta joss hobe😇
  2. ভালই হইছে
  3. Khub shonder hoyche
  4. Hridoy vy apni junius vy ap er moto rigjteri hoy na apni amer favaret lekhok🤩🤩🥰🥰
  5. ভাই পরেটা পার্ট দেন🙏🙏🙏🙏🙏
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.