[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:২০০
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
এরিয়া এক্স,
এই জায়গাটা গভার্নমেন্ট নিষিদ্ধ করেছে। ১৫ বছর পূর্বে একটা ড্যানজন থেকে রেড ড্রাগন সহ আরো অন্যান্য স্পিসিজ বেরিয়ে আসে। যাদের মধ্যে কিছু মানুষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেও অধিকাংশ মানুষের বিরুদ্ধে ছিলো৷ যারা মানুষের বিরুদ্ধে ছিলো তাদেরকে মনস্টার নাম দেওয়া হয়েছিলো। চুক্তিবদ্ধ স্পিসিজের সাহায্যে মানুষ দ্রুত অধিকাংশ মনস্টারকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। তবে এখনো বেশ কিছু মনস্টার অবশিষ্ট রয়েছে যারা এরিয়া এক্সের মধ্যে রয়েছে। যেহেতু এরিয়া এক্সের মধ্যে প্রবেশ সবার জন্যই নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাই অনেকে একটা গোপন তথ্য জানে না। এরিয়া এক্সের মধ্যে রেড ড্রাগন বসবাস শুরু করেছে পনেরো বছর হয়েছে। সবার ধারণা রেড ড্রাগনের এরিয়ার মধ্যে অন্য কোনো মনস্টার থাকবে না কারণ ড্রাগন তাদের এরিয়ার মধ্যে অন্য কাউকে পছন্দ করে না। তবে ব্যাপারটা এখন অন্য রকম। যেহেতু রেড ড্রাগনের ডিম রয়েছে তার বাসায়, তাই রেড ড্রাগন তার বাসায় না থাকলে ডিম গুলোকে সুরক্ষিত রাখারও প্রয়োজন রয়েছে। যে কারণে এই এরিয়া এক্সের মধ্যে এই সময়ে অন্যান্য মনস্টারও রয়েছে।
* * * * *
ফোর্টেজের বাইরে ছয়জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। পাঁচ জন বাউন্টি হান্টারের গ্রুপের মধ্যে লিডার ব্যতীত চারজনের মন খারাপ ছিলো। যদিও তারা ফোর্টেজ খুঁজে পেয়েছিলো কিন্তু তার ভিতরে কোনো কিছুই ব্যবহার করার মতো কিংবা নেওয়ার মতো জিনিসপত্র ছিলো না। মোটা করে স্পেয়ার হাতে থাকা লোকটা ১৫ বছরের ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
-> তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো এরকম নোট এবং এরকম কয়েনের মতো আরো অনেক জিনিস ভিতরে ছিলো, কিন্তু তুমি নোট দিয়ে নিজের ময়লা পরিস্কার করেছো এবং কয়েন গুলো দিয়ে ট্রেনিং করে নষ্ট করে ফেলেছো।
লোকটার কথা শুনে এলেক্স তার দিকে তাকালো। সে হাসি মুখে হ্যাঁ উত্তর দিতে চাইলো কিন্তু আদৌও সে হেসেছে কিনা সেটা তার অজানা ছিলো।
-> জ্বী, আমি জানতাম না সেগুলো আপনাদের প্রয়োজন ছিলো, নাহলে আমার পিছনের ময়লা পরিস্কার করার পরে সেগুলো আগুন না জ্বালিয়ে আপনাদের জন্য রেখে দিতাম।
ছেলেটার কথা শুনে মেয়ে দুটো হেসে দিলো। মোটা লোকটা কিছুটা রেগে গেলো। তবে তাদের গ্রুপের বস তখন বলতে লাগলো।
-> ১৫ বছর এই ছেলেটা পনেরো বছর আটকা ছিলো এই ফোর্টেজের মধ্যে। ওকে দেখে ওর বয়স কত মনে হয় তোমাদের? জন্মের পর থেকে এতোটা বছর একা দুনিয়ার সাথে কোনো যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়া তোমরা কি খুব জ্ঞানী ব্যক্তি হতে পারতে? আমাকে ওর সাথে তুলনা করলে আমি এখন কথা বলতে পারতাম কিনা সেটায় আমার অজানা ছিলো। (বস)
বসের কথা শুনে সবাই বুঝতে পারলো ছেলেটা আর সবার মতো ওয়ার্ল্ড কিভাবে চলে সেটা সম্পর্কে জানে না। তা নাহলে কি কেউ টাকা দিয়ে নিজের খাওয়া জিনিসের অবশেষ মুছে?
স্পেয়ার হাতে থাকা লম্বা ব্যক্তিটা এবার নিজের স্পেয়ারটা পিঠে ঝুলিয়ে ছেলেটাকে বলতে লাগলো,
-> আমার নাম ম্যাগমা, যদিও এটা আমার আসল নাম নয়। কিন্তু আসল নামে এখন কি আসে। আমার এই মোটা বন্ধুর নাম হুইসেল। আমাদের এই ম্যাজিসিয়ান ছোট বোনের নাম জুপিটার। আর আমাদের প্লাসের ব্রেসলেট হাতে থাকা হিলারের নাম হিলার। যদিও আমাদের নাম গুলো একটু অদ্ভুদ তবুও সেটা আমাদের বসের নামের ধারের কাছেও নাই। আমাদের বসের নাম কার্স অফ বাউন্টি। সংক্ষেপে সবাই তাকে কার্স বলে থাকে। যদিও আমরা ছোট একটা বাউন্টি হান্টার গ্রুপ তারপরও আমাদের কানেকশন ভালো ভালো জায়গাতেই আছে আমাদের বসের কারণে। আমাদের পরিচয় গেলো এবার তোমার সম্পর্কে কিছু বলো। তোমার নাম কি? আর এখানে কিভাবে এসেছো তার কি কিছু মনে আছে? (ম্যাগমা)
লম্বা লোকটার কথা ছেলেটা মনোযোগ দিয়ে শুনলো। লোকটার প্রশ্ন শোনার পরে ছেলেটা গভীর চিন্তায় পরে গেলো। জন্মের পরে থেকে এখন পর্যন্ত তার কেউ কোনো নাম রাখে নি। জন্মের সাত দিনের মধ্যে সে নিজের পরিবারের সবাইকে হারিয়ে পনেরো বছর ফোর্টেজের মধ্যে একা কাটিয়েছে।
-> নাম!
ছেলেটা অবাক হয়েছে নামের কথা শুনে। সে জানে না এমন একটা প্রশ্ন করবে তাকে সেটা সে ভাবতে পারে নি। তবে এই সময় তার চোখের সামনে কালো কিছু একটা ভেসে উঠলো সামান্য সময়ের জন্য। ফোর্টেজের মধ্যে পড়া লেখা শেখানোর মতো কেউ তার কাছে ছিলো না, তারপরও এমন কোনো লেখা নেই যেটা সে পড়তে জানে না। তার ধারনা সে জন্মগত ভাবেই বুদ্ধিমান। ছেলেটার সামনে কালো কোনো ছায়ায় একটা নাম ভেসে উঠলো। ছেলেটা নামটাকে পড়লো একটু জোরে,
-> এলেক্স।
-> তো এলেক্স এখন তুমি কি করবে?তোমার কথা অনুযায়ী এই ফোর্টেজের মধ্যে জন্মের সাতদিনের পর থেকেই একা পনেরো বছর পার করেছো। আমরা যদি কোনো এজেন্সির কাছে তোমাকে রেখে দেই তাহলে আমি নিশ্চিত কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না। বিশ্বাস করলেও তোমার সাথে বিভিন্ন রকমের এক্সপ্রেরিমেন্ট করবে যা শেষ হলে তোমার যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। আবার যেহেতু তোমার পরিবার ড্রাগনের এট্যাকে মারা গিয়েছে তাই তোমার লুকিয়ে তাদের কাছেও যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। (ম্যাগমা)
ম্যাগমার কথা শুনে তাদের গ্রুপের ম্যাজিসিয়ান জুপিটার এলেক্সের পিছনে চলে গেলো। এলেক্সের পিছনে গিয়ে সে এলেক্সের মাথায় হাত দিয়ে তার বসের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,
-> বস আমরা কি ওকে আমাদের সাথে নিতে পারি না? এমনিতেই আমাদের গ্রুপটা ক্রেজি মানুষ দিয়ে ভরা। আর ওর মতো ক্রেজি মানুষ তো খুজেই পাওয়া যায় না। (জুপিটার)
-> হ্যাঁ বস, যেহেতু ওর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই এই সময়ে, তাই আপাতোতো ও আমাদের সাথে থাকুক। পরে যদি নিজে সাবলম্বী হতে পারে তাহলে না হয় নিজের মতো রাস্তায় চলে যাবে। (হিলার)
হিলার এবং জুপিটারের কথা শুনে তাদের বস তাদের দিকে এগিয়ে আসলো।
-> এটা এই ছেলের উপরে নির্ভর করবে। সে আমাদের সাথে যেতে চাই নাকি নিজের মতো সেটা তার উপরেই নির্ভর করছে। (বস)
তাদের কথা আর বৃদ্ধি পেলো না। কারণ এই সময়ে হঠাৎ দূর থেকে একটা হাড়ের তীর এসে হুইসেলের হাতে লাগলো।
-> রেড ড্রাগন চলে এসেছে। সবাই পালাও। আহ...... আমার হাত ব্যথায় শেষ হয়ে গেলো। (হুইসেল)
হুইসেল জোরে একটা চিৎকার দিলো তীরটা লাগার পরেই। কিন্তু একটু চিৎকার করার পরেই সে হাতের দিকে তাকিয়ে একটা বোন এরো দেখতে পেলো। সেটাকে টান দিয়ে বের করে নিচে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো,
-> ড্রাগনের কি নতুন কোনো এট্যাক নাকি এটা? যদি এটা ড্রাগনের এট্যাক হয় তাহলে তো ড্রাগনকে আমি একাই হত্যা করতে পারবো। (হুইসেল)
হুইসেলের কাঁধে একটা টোকা দিলো ম্যাগমা, হুইসেল তার দিকে তাকাতেই ম্যাগমা পয়েন্ট করলো শত্রুর দিকে। হুইসেল দেখতে পেলো তাদের চারিদিক দিয়ে মনস্টারে ভরপুর ছিলো। তাদের বস পিঠে থাকা সিল্ডকে সাথে সাথে বাম হাতে তুলে নিলো। ডান হাতে সোর্ড ধরে পজিশন নিয়ে দাঁড়লো। মাঝে এলেক্স এবং দুজন মেয়ে এবং পিছনের দুই পাশে হুইসেল এবং ম্যাগমা।
-> মনে হয় আমাদের ব্রাঞ্চের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য ছিলো না। এই গভর্নমেন্ট বাস্টার্ড গুলো এভাবে তথ্য গুলো নিজেদের কাছে গোপন রেখে আর কত মানুষকে হত্যা করাবে মনস্টারের হাতে। (বস)
ম্যাগমা মন খুলে হাসতে হাসতে বলতে লাগলো,
-> বস আমাদের জন্য একটু কষ্টকর হয়ে যাবে মনে হচ্ছে এই ফাইটটা। একটা লিচের সাথে ফাইট করা এবং একইসাথে তিন জনের সুরক্ষা করাটা প্রায় অসম্ভব। (ম্যাগমা)
-> পরিস্থিতি এখনো সিরিয়াস হয় নি। তোমার মুখে যেহেতু পৈশাচিক হাসি দেখা যাচ্ছে তাহলে কোনো চিন্তা করতে হবে না। ছেলেটা আর হিলারের সুরক্ষা আমার উপরে ছেড়ে দাও। জুপিটার নিজেই নিজের সুরক্ষা করতে পারবে। এই সুযোগে তোমরা তোমাদের স্পেয়ারকে মনস্টারের রক্ত দিয়ে গোসল করাও। (বস)
-> কিন্তু বস, আমরা তো ফাইট করছি লিচ্ মনস্টারের বিশাল বড় স্কেলেটন আর্মির সাথে। এখানে হাড্ডি ছাড়া রক্ত পাবো কোথায়? (জুপিটার)
-> মনে করো ওদের হাড্ডি কাটলে রক্ত বের হবে। (বস)
এলেক্স মাঝে দাঁড়িয়ে সবার কান্ড কারখানা দেখছিলো। সে বুঝতে পারছিলো কেনো জুপিটার তাদের গ্রুপটকে ক্রেজি বলেছিলো। এলেক্স মনে মনে ভাবছিলো,
❝এই গ্রুপ আসলেই ক্রেজি।❞
-> আমার মনে হচ্ছে জুপিটার থেকে প্লেটো হতে হবে আমাকে এখন। (জুপিটার)
জুপিটার স্যামলা বর্ণের কালো চুল ওয়ালা সুন্দর চেহারা বিশিষ্ট একজন মহিলা ছিলো। তার বয়স ২৮/২৯ হওয়ার কথা। তবে এই সময়ে সে কি করলো সেটা এলেক্স বুঝতে পারলো না, কিন্তু এলেক্সের চোখের সামনেই জুপিটারের শরীরের এবং চুলের রং চেঞ্জ হয়ে গেলো। স্যামলা থেকে ফর্সা চেহারা হয়ে গেলো তার। চুল গুলো কালো থেকে লালচে বর্ণ ধারণ করলো।
-> সেকেন্ড পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, এটা তার রোগ ছিলো ১৫ বছর পূর্বে। এখন এটা জুপিটারের ইউনিক এবিলিটি। যে একটু আগে আমাদের সাথে কথা বলেছে সে এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওর নাম প্লেটো। জুপিটার একজন ম্যাজিসিয়ান হলেও প্লেটোর ক্লাস ফায়ার আর্চার। (হিলার)
হিলারের কথা শুনে এলেক্স এক নজরে তাকিয়ে রইলো প্লেটোর দিকে। এবিলিটি, ক্লাস এগুলো শুনে এলেক্স অনেকটা আগ্রহ হয়েছে সেটার প্রতি। ফোর্টেজের মধ্যে থাকার কারণে এসব ব্যাপারে এলেক্সের কোনো জ্ঞানই ছিলো না।
-> হোল্ড পজিশন। (বস)
গ্রুপের বসের কথার সাথে সাথে সবাই আরো কাছে মিশে এসে দাঁড়ালো। বসের শিল্ড থেকে একটা স্বচ্ছ কাঁচের মতো ব্যারিয়ার তাদের চারিদিকে আঁটকে ধরলো। এই সময়ে দূর থেকে আর্চার স্কেলেটন গুলো তাদের ধনুক দিয়ে তীর ছুরলো। একই সাথে লিচ্ তার পাওয়ারফুল স্পেল ব্যবহার করেছে।
-> ফায়ার মিটিওর স্পেল, সবাই প্রেসারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। (বস)
এলেক্স উপরের দিকে তাকালো। আকাশ থেকে বিশাল একটা আগুনের উল্কা পরছিলো তাদের উপরে। শিল্ডের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে তাদের মনে হচ্ছিলো ভারি কোনো পাহাড় তাদের উপরে ফেলা হয়েছে। শিল্ড কারণে কারো তেমন ক্ষতি না হলেও সেটা প্রভাব ফেলেছে সবার ব্যালেন্স হারাতে। ঠিক এই সময়ে হাজারো স্কেলেটন ঝাঁপিয়ে পরলো তাদের দিকে।
-> ঠিক আছে আমি আমার এগ্রো স্কিল ব্যবহার করছি। ড্যামেজ ডিলাররা তোমাদের কাজ করার জন্য রেডো হও। (বস)
বস জোরে একটা চিৎকার দিলো। তার চিৎকারে আশেপাশের সব কিছু কেঁপে উঠলো। চারিদিক দিয়ে আসা স্কেলেটন মনস্টার গুলো সাইড কাটিয়ে গ্রুপের বসের দিক দিয়ে যেতে লাগলো। বস তার শিল্ড সামনে ধরে সোর্ড দিয়ে এক স্ল্যাশে চার পাঁচটা করে মনস্টার হত্যা করতে লাগলো। পিছন থেকে ম্যাগমা এবং হুইসেলও তাদের লম্বা স্পেয়ার দিয়ে সাইড দিয়ে আসা মনস্টার গুলোকে হত্যা করছিলো। দুই মিনিট পরে এলেক্স প্লেটোর হাতে একটা ধনুক দেখতো পেলো। ধনুকটার বডি দিয়ে আগুন জ্বলছিলো। তার তীরগুলোও ছিলো আগুনের। ধনুকের সুতা টেনে আধা মিনিটের মতো অপেক্ষা করলো প্লেটো। এই সময়ে বসের সামনে অনেক মনস্টার এসে ঝাঁপিয়ে পরেছে। কোনো স্কিল ছাড়া তাদের হত্যা করাটা একটু কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। আর একটু অপেক্ষা করলে শিল্ড পার করে তারা সামনে চলে আসবে।
-> এখনি প্লেটো। (বস)
বসের কথা শুনেই বসের কানের পাশ দিয়ে নিজের তীরকে ছেড়ে দিলো। বসের সামনে থেকেই তীরের সাইড দিয়ে দশ হাত দূর পর্যন্ত চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে পরলো। তীরটা স্পিডে সামনের দিকে যেতে লাগলো। একটা তীরে সামনে থাকা অধিকাংশ স্কেলেটন মনস্টার পুড়ে ছায় হয়ে গেলো। তীরটা যেতে যেতে একটা লিচের মাথা বরাবর যাওয়ার সাথে সাথেই লিচ্ আগুন ওয়ালা তীরকে এক হাত দিয়ে ধরে ফেললো। তার আরেক হাতে একটা হাড্ডি দিয়ে ঘেরা বই ছিলো। শরীর থেকে লাল এনার্জি বের হচ্ছিলো। তীরটা হাতে ধরার কয়েক সেকেন্ড পরেই সেখানে একটা বিশাল বিস্ফোরণ হলো। সাথে সাথে বাকি স্কেলেটন গুলো পাউডার হয়ে নিচে পরে গেলো। সেটা দেখে পুরো টিম খুশিতে নেচে উঠলো।
-> আমি ভাবি নি একটা লিচ্ মারা এতোটা সহজ হবে। (প্লেটো)
বিস্ফোরণের ধোঁয়া এবং আগুন খুব দ্রুত সরে গেলো। দূরের লিচ্ কে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো। তার বাম হাত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বিস্ফেরণের কারণে তাছাড়া তার তেমন কিছু হয় নি। বিস্ফোরণের কারণে লিচ্ এর হাত থেকে তার বইটা পরে গিয়েছে। সেটার দিকে হাত বাড়াতেই বইটা উড়ে লিচ্ এর হাতে চলে আসলো। বই হাতে নিতেই লিচ্ এর শরীর থেকে এনার্জি বের হওয়ার মাত্রা শতগুণ বেড়ে গেলো। আর সাথে সাথে মাটি ফেটে পূর্বের থেকে আরো তিন গুন মনস্টার বেরিয়ে আসলো।
-> আনলিমিটেড মানা যুক্ত কোনো মনস্টারের সাথে ফাইট করার ঝামেলাটায় এটা। ঠিক আছে হুইসেল এবং ম্যাগমা তোমাদের সময় এসেছে। মনস্টার গুলো আমার জন্য ক্লিয়ার করো। আমি লিচ্ এর সাথে ফাইট করছি। (বস)
বসের কথার সাথে সাথে হুইসেল তার পকেট থেকে একটা বাঁশি বের করলো। সেটা ম্যাগমার দিকে তাকিয়ে বাজাতেই ম্যাগমা এবং হুইসেল একত্রিত হয়ে একজন হয়ে গেলো। যদিও হুইসেল মোটা এবং ম্যাগমা পাতলা শরীরের তারপরও যে নতুন ব্যক্তি হলো তার বডিটা প্রায় অনেকটা বসের শরীরের কাছাকাছি ছিলো। দুজনের হাতের স্পেয়ার একটা হয়েছে যার দুই পাশেই ব্লেড রয়েছে।
-> এর নাম ম্যাগমা হুইশেল। একজন সাইকো কিলার যার ক্যান্সার ছিলো ১৫ বছর পূর্বে আর একজন ডাইবেটিস রোগী ছিলো ১৫ বছর পূর্বে। হুইসেলের খাওয়া দাওয়া পছন্দ যে কারণে তার ইউনিক স্কিল 'মার্জ', এটা তাকে যেকোনো সদ্য মৃত ব্যক্তির সাথে একত্রিত হতে দেয়। আর অন্য দিকে ম্যাগমার ইউনিক স্কিল 'ক্যান্সার' তাকে সীমিত এক ঘন্টার জন্য মৃত অবস্থায় রাখে। এই এক ঘন্টায় সে মৃত থাকলেও শরীর স্বাভাবিক ভাবেই চালাতে পারে। তার এবিলিটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো এই এক ঘন্টার মধ্যে তার একটা হাত কেটে গেলেও সে একটুও ব্যথা অনুভব করবে না। আর আমাদের সামনে যে রয়েছে ম্যাগমা হুইসেল, ওর কাছে এখন দুজনের পাওয়ারই রয়েছে। এক ঘন্টা পর্যন্ত আপাতোতো ওরা আনডেডের মতোই ফাইট করবে। হাত পা কেটে গেলেও তাদের কোনো ব্যথার ভয় নেই। আর আমি তো আছি ওদের হিল করতে যাতে করে ওরা সব সময় ফাইট করে যেতে পারে। আমি হিলার, আমার ইউনিক এবিলিটি 'হিলিং'। যদিও এটা স্বাভাবিক মনে হবে, কিন্তু এটা স্বাভাবিক নয়। আমি এক সময়ে মানসিক সমস্যা গ্রস্ত রোগী ছিলাম। যদিও এখনো অনেকে বলে আমি মেন্টাল এবং কেউ চুপ করতে না বললে তার সাথে বক বক করতেই থাকি। তবে আমি সেটা বিশ্বাস করি না। আমার এবিলিটি প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে আমি সহ আমার গ্রুপ মেম্বারের সকল এবনর্মাল সমস্যা দূর করবে একই সাথে আমার ২০% মানার বিনিময়ে প্রতি ৫ মিনিটে আমার সকল গ্রুপ মেম্বারের ৫০% ইনজুরি হিল করবে। (হিলার)
এলেক্স হিলারের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার পরে মনে মনে ভাবতে লাগলো,
❝উনি আসলেই বেশি কথা বলেন।❞
* * * * *
To Be Continued
* * * * *
কেমন হলো জানাবেন।