[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:২১৪
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
Click To Get Spoiler
আসসালামু আলাইকুম
নিচের বাটনে ক্লিক করলে যেকোনো ধরনের একটা এড লোড হবে। সময় থাকলে বাটনে ক্লিক করে এক মিনিট অপেক্ষা করলে আমার অনেক উপকার হবে।😁
লাক্স,
এলেক্স তার চোখ দুটো খুললো। হলুদ গাছের নিচে সে শুয়ে আছে। আকাশের অর্ধভাঙা চাঁদ দেখা যাচ্ছিলো। চাঁদের কালারটা কিছুটা গোলাপি বর্ণ ধারণ করেছে যা এলেক্সের চোখে লাগছিলো কিছুটা। চারিদিকে নিরবতা থাকার কারণে এলেক্স আশেপাশে কারো।
উপস্থিতি অনুভব করতে পারে নি। তবে হঠাৎ করে একটা কন্ঠ শুনতে পারলো এলেক্স,
-> সম্পূর্ণ চাঁদের থেকে আমার এই ভাঙা চাঁদটায় সবচেয়ে বেশি সুন্দর মনে হয়। (ওজ)
কথাটা ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ গাছের নিচে ঘাসের উপরে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো। এলেক্স তার মাস্টারের দিকে তাকালো।
-> এই সৌন্দর্য একজনের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। (ওজ)
ওজ চাঁদের দিকে এক নজরে তাকিয়ে কথাটা বললো। এলেক্স উঠে দাঁড়ালো।
-> মাস্টার আমার মনে হচ্ছে আমি বের করতে পেরেছি আমার এই স্কিলটা কিভাবে কাজ করে। (এলেক্স)
এলেক্স তার মাস্টারের রহস্য মাখা কোনো কথা বুঝতে পারছিলো না। তাই সে টপিক চেঞ্জ করে ফেললো।
-> নার্কোলেপসি! এটা খুব আজব একটা স্কিল যতবারই দেখি। একদিক দিয়ে এটা তোমার জন্য পারফেক্ট কারণ তুমি অযথা ট্রেনিং করতে গিয়ে ঘুম বাদ দাও। (ওজ)
এলেক্স কিছুটা ভাবতে লাগলো। স্কিল সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান সে থিওরি ক্লাসে পেয়েছে। স্কিল মূলত এমন একটা বিষয় যেটায় মানুষ বা অন্যান্য স্পিসিজ পারদর্শী। পূর্বে বিভিন্ন রকমের কাজ মানুষ করেছে কিন্তু আজ থেকে ২৫ বছর পূর্ব থেকে একটা প্রফেসি পেয়েছিলো মানুষ। আর ১৫ বছর পূর্ব থেকে সব কিছু বদলে যেতে শুরু করে ড্যানজনের আবির্ভাব হওয়ার কারণে। মানুষের কাছে বিভিন্ন রকম বস্তু চলে আসে যা পূর্বে শুধু কল্পনা মাত্র ছিলো। মনস্টার গুলো আসার সাথে আরো বিভিন্ন স্পিসিজ পৃথিবীতে আসে। তাদের সাথে একত্রিত হয়ে পৃথিবীর টেকনোলজি এক ধাপে উপরে উঠে যায়।
মানুষের স্পেশাল কোনো কাজের দক্ষতাকে স্কিল বলা হয়। স্কিল গুলো এমন বিষয় যা হঠাৎ করেই কারো কাছে চলে আসতে পারে। বিভিন্ন ড্যানজনে প্রবেশের মাধ্যমে এমনকি বাতাসের মানা এনার্জির সংস্পর্শে অনেকে আছে যারা স্কিল অর্জন করে। সাধারণ স্কিল গুলো ডিটেক্ট করার জন্য ডিভাইস তৈরি হয়েছে যেটা দিয়ে একজনকে স্ক্যান করলে তাদের কি কি স্কিল রয়েছে সেটা জানা সম্ভব। অপরদিকে কিছু স্পেশাল স্কিল রয়েছে যেটা সাধারণ ডিভাইস দিয়ে জানা স্ক্যান করলেও বের করা যায় না। যদি ইউজার স্কিলের ব্যবহার না জানে এবং সেটা ব্যবহার না করতে পারে তাহলে তার স্কিল নেই বলেই গণনা হয়। অপরদিকে তারা কোনো স্পেশাল স্কিল ব্যবহার করলে সেটা রেজিস্টার হয়ে যায় ডিভাইসে এবং আগামীতে কারো কাছে একই স্কিল থাকলে সেটাও ডিটেক্ট করতে পারে।
এলেক্সের শরীরকেও তার মাস্টার ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ স্ক্যান করেছে একটা স্কিল ডিটেকশন ডিভাইস দিয়ে। একটা ম্যাজিকাল আইটেম স্পর্শ করলে যেমন সেটা সাধারণ হয়ে যায় ঠিক প্রতিবার ডিভাইস দিয়ে স্ক্যান করার সময় সে ডিভাইসের মানাও শেষ হয়ে যায়। এ কারণে এলেক্সের কোনো স্কিল সম্পর্কে কিছুই বের করা সম্ভব হয় নি।
-> আমার মনে হয় প্রতিবার এই নার্কোলেপসি এর কারণে আমি একটু একটু করে শক্তিশালী হচ্ছি। (এলেক্স)
এলেক্সের কথা শুনে অবাক হলো ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ। প্রতিবার এলেক্সের স্কিলটা এমন ভাবে কাজ করে যেটা পূর্বে কখনো ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ দেখে নি। স্কিলটা অনেকটা হিলার বা প্রিস্টদের ম্যাজিকের মতো হিলিং বা বাফ্ এর মতো। যদিও এরকম ম্যাজিক আছে যেটা অন্যদের বা নিজেকে ঘুম পারানো যায়, কিন্তু কোনো স্কিল এরকম নেই যেটা এরকম কিছু করতে পারবে।
-> পরিবর্তন তেমন বেশি না, তারপরও প্রতিবার ঘুমের পর আমি অনুভব করতে পারি কিছুটা হলেও আমার লিমিট আমি অতিক্রম করতে পেরেছি। (এলেক্স)
একটা ছেলে যদি প্রতিদিন একদম ঠিক ১০ মিনিট দৌড়াতে পারে। এর বেশি শত চেষ্টা করেও যেতে পারে না আর। তাহলে একদিন সে হঠাৎ করে এক মিলি সেকেন্ড বেশি অতিক্রম করলেই বুঝতে পারবে তার হঠাৎ চেঞ্জ। এলেক্সের সাথেও এমন হয়েছে। এবার আর অবাক হলো না ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ। সে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
-> যদি ঘুমিয়ে তুমি আসলেই শক্তিশালী হতে পারো তাহলে এটা ইউনিক স্কিলে পরিণত হবে। আর যেহেতু এনার্জির সাথে তোমার সম্পর্কে এখনো আমি বুঝতে পারছি না তাই আরো আধুনিক ডিটেকশন ডিভাইসের চিন্তা আপাতোতো এক সাইডেই রেখে দিলাম। (ওজ)
ভাইস প্রিন্সিপাল এবার উঠে দাঁড়ালো। সে বলতে লাগলো,
-> আমি চাইনা আমার জানা একজন বোকার মতো অন্যজনের মন জয় করতে চাঁদের পাথর আনতে গিয়ে সেটাকে আরো সুন্দর করে দাও তুমি। বরং তুমি তোমার লাইফ নিজের মতো কাটাও। (ওজ)
এলেক্স কোনোরকম কথা না বলে ওজের দিকে তাকিয়ে রইলো। এলেক্সের এক্সপ্রেশনহীন চেহারা অনেকক্ষণ এক নজরে দেখে ভাইস প্রিন্সিপাল শেষ মেষ উত্তেজিত হয়ে বলতে লাগলো,
-> আমার কি দোষ, আমি ভেবেছিলাম কৌতুহল হয়ে আমার পুরো কথাটা শুনবে, কিন্তু তুমি তো প্রথমে গুরুত্বই দিলে না তাই আমি শেষ করলাম কথাটা। (ওজ)
এলেক্স এখনো কিছু না বলে ওজের দিকে তাকিয়ে আছে।
-> ঠিক আছে আমাদের আমি হার মেনে নিলাম। মেইন টপিকে আসছি এবার। যেহেতু আজ থেকে তিনদিনের দিন তোমাদের প্রথম মাসের টেস্ট হবে তাই প্রিন্সিপাল তোমাকে কোনো ধরনের তথ্য দিতে মানা করেছে। যদিও আমি যা জানি সেটা তোমাকে বলে দিয়েছি, কিন্তু প্রিন্সিপাল জানে আমি বলি নি কারণ প্রতিবার যখন তিনি আসেন চেক করতে তখনি তোমার স্কিলের কারণে তুমি ঘুমিয়ে থাকো তাই এখনো কিছু বলেন নি আমাকে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি তিনি অনেকটা সতর্ক রয়েছে তোমার থেকে, যে কারণে আমাকে স্পেশাল একটা মিশন দিয়েছেন যাতে আমি এক সপ্তাহের জন্য লাক্সের বাইরে থাকি। (ওজ)
ওজ কিছুটা থামলো। সে এলেক্সকে আবারো বলতে লাগলো,
-> লাক্সের প্রথম টেস্ট ভেবে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই। আমার ডাইরেক্ট স্টুডেন্ট হিসেবে রয়েল ক্লাসে এমনিতেই প্রবেশ করবে তুমি। তাই টেস্টে বেশি সিরিয়াস হয়ে কাউকে হত্যা করার দরকার নেই। (ওজ)
একটা হাসি দিয়ে কথাটা বললো ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ। তার কথাটাতে এলেক্স মাথা সম্মতি দিয়ে হ্যা জানালো। এবার এলেক্স বলতে লাগলো,
-> আমি টেকনিক গুলো আরো অল্প এনার্জিতে ব্যবহার করতে শিখে গিয়েছি। তাই টেকনিক গুলোর পাওয়ার কন্ট্রোল করা কোনো ব্যাপারই হবে না। (এলেক্স)
❝হ্যাঁ তোমার ঔ অল্প এনার্জিই এতোটা ধারালো যা আমার অউরাকেও কেটে দিতে পারে।❞ (ওজ ভাবছে)
* * * * *
কিছুক্ষণ পরে,
ভাইস প্রিন্সিপাল তার মতো টেলিপোর্ট হয়ে চলে গেলো। যেহেতু অনেক রাত হয়ে গিয়েছে তাই এলেক্স আর ট্রেনিং না করে হোস্টেলের দিকে রওনা দিলো। চার দিকে চারটা রোড চলে গিয়েছে এবং সেটার মাঝখানে একটা ছোট পানির পুকুর বাধানো রয়েছে। এলেক্স সেটার কাছে গিয়ে পুকুর থেকে কিছুটা পানি তুলে বুকে নিলো। পুকুরের পানির গভীরতা এক হাত পর্যন্ত। নিচে থাকা কিছু আলোকিত পাথরের কারণে পুরো পুকুরের পানি জ্বলজ্বল করছিলো। এলেক্স আরেকবার পানিতে হাত দিয়ে পানি ওঠানোর সময় একটা পাথরে সামান্য হাতের ছোঁয়া লাগলো। পাথরে হাতের ছোঁয়া লাগার সাথে সাথে সেটা থেকে আলো বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। এলেক্স কিছুটা পিছনে চলে আসলো, কারণ পুকুরের মধ্য থেকে একসাথে অনেক পরিমাণ এনার্জি তার হাতের কালো রিংটার মধ্যে যেতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে পুরো পুকুরে থাকা সব গুলো পাথরের আলো বন্ধ হয়ে গেলো। পুকুরের জায়গা থেকে চারদিকে চারটা রাস্তা গিয়েছে। প্রতিটা রাস্তার সাইডে পাথর ছিলো যেগুলো অনেকটা আলো দিয়ে জ্বলছিলো। তবে সেগুলোও বন্ধ হয়ে সাধারণ পাথরে পরিণত হয়ে গেলো।
-> থিওরি ক্লাসে শিক্ষক বলেছিলো লাক্সের রোডের প্রতিটা ম্যাজিক স্টোন একে অপরের সাথে মানার তৈরি তারের সাথে সংযুক্ত। তাহলে মনে হচ্ছে এরপর থেকে কোনো পাথরেও স্পর্শ করা যাবে না। (এলেক্স)
এলেক্স কথাটা বলে সে জায়গা থেকে চলে যেতে চাচ্ছিলো, পুরো লাক্সের রোড অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। প্রতিটা স্টোন তাদের আলো হারিয়েছে। যেহেতু চাঁদের আলো ছিলো তাই পথ দেখতে কোনো সমস্যা হচ্ছিলো না এলেক্সের। এলেক্স তার রুমে পৌছে গেলো।
-> যেহেতু আজকে ট্রেনিং করতে পারি নি, তাই পুরো রাত আমাকে ট্রেনিং করতে হবে। (এলেক্স)
এলেক্স কথাটা বলে ফ্লোরে বসে পরলো। সে ট্রেনিং করার জন্য প্রস্তুত হলো কিন্তু তখনি তার সামনে আরো একটা স্ক্রিন ভেসে উঠলো।
꧁ཌ কনগ্রাচুলেশন, ডিম্যান কিং সিস্টেম ৩০% আনলক হয়েছে। স্কিল 'ড্রিম অফ বেলফেগর, স্কিল 'আই লাইক টু কনজিউম', স্কিল 'নো স্কিল', স্কিল 'বডি অফ সাটান', স্কিল 'রুলার অফ এনার্জি', স্কিল 'পারফেক্ট কপি(৫০%)' স্কিল মেনুতে যুক্ত হয়েছে। ডিম্যান কিং সিস্টেম ১০০% আনলক হলে হোস্ট স্কিলের বিবরণ সহ অন্যান্য অপশন চেক করতে পারবে। ད꧂
এলেক্সের সামনে আবারো একটা স্ক্রিন চলে আসলো। যেখানে বেশ কিছু স্কিলের নাম ছিলো। সর্বপ্রথম এই লেখাটা যখন এলেক্সের সামনে আসে তখনো স্কিল বিষয়ে এলেক্স তেমন বেশি জানতো না, যদিও তার থিওরি ক্লাসে স্কিল নিয়ে হালকা কিছু কথা বলেছিলো দুদিন তার শিক্ষক কিন্তু তাতে এলেক্সের জ্ঞানে কোনো লাভ হয় নি। হঠাৎ যেখানে সেখানে ঘুমানোর কারনে এলেক্স তার মাস্টারের থেকে স্কিল সম্পর্কে অনেকটা তথ্য জানতে পেরেছে। তাই এলেক্স এবার কনফিউজড না হয়ে কিছুটা আগ্রহী হলো স্কিল গুলোকে দেখার জন্য।
-> প্রতিটা স্কিল ব্যবহারের জন্য কিছু শর্ত থাকে, যদিও অন্যদের স্কিল শিখলে সেটার শর্ত তাদের থেকেই জানা সম্ভব কিন্তু এই আজব স্কিল গুলো যার নাম আমার মাস্টারও কখনো শুনে নি এগুলোর শর্ত আমি কিভাবে বের করবো? (এলেক্স)
এলেক্স উল্টো হলো, এবার তার হাতে নয় বরং মাথা ফ্লোরে রেখে একদম সোজা উল্টো হয়ে রইলো। কিছুক্ষণ সে ভাবতে লাগলো,
-> স্কিল ব্যবহারের সময়ে তো আমি অনেক সময়ে আঙ্কেল, ম্যাগমা আঙ্কেল, হুইসেল আঙ্কেলকে স্কিলের নাম উচ্চারণ করতে দেখি নি, যদিও কিছু কিছু সময়ে করেছে যেটা তাদের স্পেশাল স্কিল। তাহলে কি স্কিলের নাম উচ্চারণ করলে আমার স্কিলও এক্টিভেট হবে? (এলেক্স)
এলেক্স বেশ কিছুক্ষণ উল্টো হয়ে চোখ বন্ধ করে সেভাবেই রইলো। হঠাৎ করে সে বলতে লাগলো,
-> এক্টিভেট গ্লাটোনি। (এলেক্স)
এলেক্সের কথাটা বলার পর অন্য কারো দৃষ্টিতে কোনো কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য না হলেও এলেক্স কিছুটা অনুভব করতে পারলো।
* * * * *
লাক্সের প্রথম এক্সামের দিন।
অরিয়েন্টেশন ক্লাসে লাক্সের সকল শিক্ষক এবং প্রথম ইয়ারের স্টুডেন্ট গুলো একত্রিত হয়েছে। পূর্বে অরিয়েন্টেশন ক্লাস যেরকম দেখা যাচ্ছিলো এখন অরিয়েন্টেশন ক্লাস সেরকম নেই। প্রথমে যে জায়গায় শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে আছে তার নিচে স্টুডেন্টদের দাঁড়িয়ে থাকা জায়গার সামনে অনেক গুলো অফিসার একত্রিত হয়েছে। মোট ৪০ টা পোর্টালের মতো কিছু একটা তৈরি করেছে লাক্স। প্রতিটা পোর্টালের দুইপাশে দুজন করে অফিসার রয়েছে। লাক্সের প্রিন্সিপাল সব ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলো,
-> সবাইকে আজকের এক্সামের জন্য আমি প্রথমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তোমরা হয়তো জানো প্রথম ইয়ারে থাকা অবস্থায় রয়েল ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত না হলে আমাদের স্টুডেন্টদের আমরা লাক্সের বাইরে পা ফেলতে দেই না। মূলত এটা করা হয় স্টুডেন্টদের সুরক্ষিত রাখার জন্য যাতে তারা দ্বিতীয় ইয়ারের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। তাই আজকের এক্সামে কেউ রয়েল ক্লাসের জন্য সিলেক্ট না হলে মন খারাপ করার কিছুই নেই। যদিও তোমরা এক বছরের জন্য লাক্সের বাইরে যেতে পারবে না কিন্তু রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টদের থেকে বেশি থিওরি এর অর্জন করতে পারবে। যায়হোক আমি এদিকে লেকচার দিয়ে পর্বটা বড় করতে চাই না তাই তোমাদের আজকের এক্সামের বিষয়টা আমি জানিয়ে দিচ্ছি। (প্রিন্সিপাল)
প্রিন্সিপাল কিছুটা থেমে আবারো বলতে লাগলো,
-> অরিয়েন্টেশন ক্লাসে প্রবেশের পূর্বে সবাই র্যানডম ভাবে একটা ব্যাজ বেছে নিয়েছো। প্রতিটা বক্সে একই নাম্বারের মোট ৫ টা ব্যাজ রয়েছে। তোমাদের হাতে যে ব্যাজ রয়েছে সে অনুযায়ী পোর্টালের কাছে চলে আসলে অফিসাররা তোমাদের এক্সামের রুলস সম্পর্কে জানিয়ে দিবে। তাই আমি আবারো সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। (প্রিন্সিপাল)
সবার মনে অনেক প্রশ্ন ছিলো, কিন্তু থিওরি ক্লাসে প্রতিদিনই একটা বিষয় শিক্ষক বলেছেন। লাক্সের এক্সামে কোনো স্টুডেন্ট কোনো রকম প্রশ্ন করতে পারবে না। আর এজন্যই কেউ কোনোরকম প্রশ্ন করতে পারছে না।
সবাই এক এক করে এগিয়ে যাচ্ছিলো। পোর্টালের মতো জায়গার দুই পাশে দুজন করে অফিসার দাঁড়িয়ে আছে। মোট আশিজন অফিসার ছিলো যাদের প্রতি দুজনের ১-৪০ পর্যন্ত নাম্বারের ব্যাজ ছিলো। সবাই তাদের নাম্বারের সাথে মিল থাকা অফিসারদের কাছে গেলো। এলেক্সও ১০ নাম্বার ব্যাজ পরে থাকা অফিসারদের কাছে এগিয়ে গেলো। কালো স্যুট, প্যান্ট, টাই, জুতা এবং টুপি পরে থাকা দুজন অফিসার পাঁচজনকে দেখে প্রথমে একটা হাসি দিলো। এরপর একজন বলতে লাগলো,
-> ড্যানজন এমন একটা জায়গা যেখানো কোনো রকমের নিয়ম কাজ করে না। মনস্টারদের রাজত্ব করা একটা জায়গা যেখানে আমরা জোরপূর্বক প্রবেশ করে যা মন চাই সেটায় করতে পারি৷ এই বলে এমন নয় যে আমরা একদম মনস্টারের মতো হয়ে যাবো। নিজ টিম মেম্বারদের এট্যাক করা ব্যতীত পুরো ড্যানজন ধ্বংস করতে পারবে। যেহেতু এই এক্সাম তোমাদের র্যাংকিং নির্ধারণ করার, তাই আমি পরামর্শ দিবো এখানেই টিম মেম্বারদের সাথে পরিচিত হয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে। যেহেতু আজ সারাদিন রয়েছে তাই এক ঘন্টা গল্প করলেও কিছুই হবে না। (অফিসার)
অফিসারের কথা শুনে পাঁচজন একে অপরের দিকে তাকালো। এলেক্স বাকি তিনজনের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো তারা পূর্বে থেকে একে অপরের পরিচিত ছিলো। যেহেতু থিওরি ক্লাসের মধ্যে তাদের একত্রিত অনেক বার দেখেছে এলেক্স। কিন্তু আরেকটা ব্যক্তি যে এলেক্সের টিমে রয়েছে তাকে দেখে এলেক্স কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।
-> মনে হচ্ছে তোমাদের কথা বলার কিছু নেই। আর কথা বলার মতো বোরিং কাজ করেও কি লাভ, ড্যানজনে প্রবেশ করো এবং মনস্টারের পিছনে গিয়ে লাথি মারো। (অফিসার)
ছেলে অফিসারটা কথাটা বলার পর তার মাথায় একটা পান্স মারলো মেয়ে অফিসারটা এবং চিল্লিয়ে তাকে শাসন করে পাঁচজনের দিকে তাকালো,
-> আমরা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করবো এখানে। যদি পাঁচজন রাজি থাকো তাহলে এখনি প্রবেশ করতে পারো। (অফিসার)
এলেক্স ড্যানজনের পোর্টালের দিকে তাকালো। পানির ঢেউ এর মতো কাপছিলো সেটা। এলেক্স ভাবতে লাগলো,
❝আঙ্কেল দ্বিতীয় বারের মতো বলেছিলো কিছু না করতে আপাতোতো যা আমার উপরে বেশি এটেনশন ফেলবে। কিন্তু এবার যেহেতু আমার টার্গেট আমার সাথে ড্যানজনে প্রবেশ করছে তাই মিশনের জন্য আমাকে আমার সর্বোচ্চ করতে হবে।❞ (এলেক্স ভাবছে)
মেয়েটা হাত বারিয়ে দিলো যার দিকে মাত্র এলেক্স তাকিয়ে ছিলো। হাত বারিয়ে দিয়ে সে বলতে লাগলো,
-> হ্যালো, আমার নাম এলিজাবেথ। আমি আশা করছি এই এক্সামে আমরা একটা টিমের মতো কাজ করতে পারবো।
* * * * *
To Be Continued
* * * * *
কেমন হলো জানাবেন