[গল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তব বা কোনো ধর্মের সাথে এ গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
The Beginning
পর্ব:২১৩
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
.
.
.
Click To Get Spoiler
আসসালামু আলাইকুম
নিচের বাটনে ক্লিক করলে যেকোনো ধরনের একটা এড লোড হবে। সময় থাকলে বাটনে ক্লিক করে এক মিনিট অপেক্ষা করলে আমার অনেক উপকার হবে।😁
লাক্সের প্রতি মাসে একটা করে টেস্ট হয়। যে টেস্ট সবার জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবারই ভিন্ন কিছু করে লাক্স তাদের প্রতিটা এক্সামে। কোনোবার এরিনা ফাইট, কোনোবার ড্যানজনে ফাইট, আবার কোনো কোনোবার হিডেন মিশন। সব মিলিয়ে প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপাল ব্যতীত অন্য শিক্ষকদের জন্যও বলা কষ্টকর হয়ে যাবে যে এবারের নতুন স্টুডেন্টদের প্রথম মাসে কিরকম এক্সাম হবে।
-> দেখতে দেখতে এতোটা সময় কিভাবে কেটে গেলো বুঝতেই পারলাম না। তোমাদের মতো ট্যালেন্টেড স্টুডেন্টদের শিখাতে পেরে আমার কাছে অনেকটা ভালো লাগছে। আর মাত্র তিন দিন রয়েছে তোমাদের প্রথম এক্সামের। সাধারণত অন্যান্য বছরে সবার চিন্তা শুধু র্যাংকিং এ এগিয়ে থাকাতেই থাকতো। যেহেতু সামনে মাস থেকে রয়েল ক্লাসের ক্লাস শুরু হবে এবং তোমাদের র্যাংকিং এর উপরে নির্ভর করে আমরা নির্ধারণ করবো কে কে সেখানে প্রবেশ করবে, তাই আমি জানি তোমাদের চিন্তা এই সময়ে একটু বেশি। তবে আমি বলবো এখানে চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। এই সময়টা একটু বেশি ফোকাস দাও তোমাদের ট্রেনিং এ। দেখবে এক্সামে অনেক ভালো করতে পারবে। আজকে গ্রাভিটি নিয়ে আমাদের লেকচার এই পর্যন্তই থাকবে। আবার আগামীকাল আমাদের দেখা হবে।
কথাটা বলে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে গেলো থিওরি ক্লাসের শিক্ষক। সব ছেলে মেয়েরা বসে বসে একে অপরের সাথে গল্প করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। অনেকে উঠে গিয়ে গোল করে মিটিং তৈরি করেছে। সবার কথা এরকম,
-> যাক অবশেষে এতোটা বোরিং সময় আমি পার করতে পেরেছি।
-> হ্যাঁ আর তিনটা দিন পার হলেই আমরা রয়েল ক্লাসে উঠতে পারবো।
-> রয়েল ক্লাস ছাড়া লাক্সে পড়ে কোনো মজায় নেই।
-> আচ্ছা এই রয়েল ক্লাসের সুবিধা গুলো কেউ আমাকে বলতে পারবে?
-> কোন জগৎ থেকে উঠে এসেছো তুমি?
-> সাধারণত প্রথম ইয়ারে লাক্সের বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না স্টুডেন্টদের, কিন্তু লাক্স অন্য একটা নিয়ম তৈরি করেছে ১০ বছর পূর্বে। লাক্সে প্রবেশ করা ছেলে মেয়েরা এমনিতেই ওয়ার্ল্ডের বেস্ট। সেই সাথে লাক্স সবচেয়ে ইলাইট স্টুডেন্টদের নির্বাচন করে তাদের রয়েল ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত করে। রয়েল ক্লাসের স্টুডেন্টদের কোনো রকমের ক্লাসে অংশগ্রহন করার প্রয়োজন হয় না। এবং লাক্সের তৈরি করে দেওয়া গ্রুপের সাথে ড্যানজন গুলোও রেইড করার এক্সেস পেয়ে যায়। সব মিলিয়ে রয়েল ক্লাসে ঢুকতে পারলে প্রথম ইয়ার থেকেই অন্যান্যদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া যায়।
-> আমি তো প্রথম দিন থেকেই কড়া করে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।
-> আমিও অনেক মনোযোগ দিয়েছি। বিশেষ করে যদিও থিওরি ক্লাস নিয়ে এবারের এক্সাম হয় তাহলে সেটায় আমি টপ ১০ এর মধ্যে থাকতে পারবো। আর যদি থিওরি+এরিনা হয় গত বছরের মতো তাহলে হয়তো টেনেটুনে রয়েল ক্লাসে যেতে পারবো।
-> থিওরি এক্সাম হলে তো আমি প্রথমেই বাদ হয়ে পরবো। প্রতিটা ক্লাসে ঘুমানো ছাড়া কিছুই করি নি, তবে এরিনা অথবা ড্যানজন ফাইট হলে অন্যান্যদের থেকে উপরে থাকবো আমি।
-> আমার ড্যানজন এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে, তাই কোনো ড্যানজন ক্লিয়ারিং এক্সাম হলে আমি নিশ্চিত সেটায় আমার থেকে ভালো করতে পারবে না।
প্রতিটা স্টুডেন্ট তাদের নিজ নিজ কথা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। রুমের একদম সামনের ডান সাইডে মোট সাতজন গোল হয়ে বসে ছিলো তাদের নিজ নিজ টেবিলে। সাতজনের মধ্য থেকে লম্বা এবং সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলেটা খুব আস্তে আস্তে সুন্দর করে কথা বলতে শুরু করলো,
-> লাক্সের মধ্যে আমাদের নাম এখনো তেমন করে ছড়ায় নি। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য অনেক বড় তাই এই প্রথম এক্সামে আমাদেরকে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করতে হবে যা পুরো লাক্সকে অবাক করে দিবে। আমার বের করা তথ্য অনুযায়ী এবারের এক্সাম হবে AI ড্যানজন ক্লিয়ারিং।
কথাটা বললো বর্তমানে লাক্সের প্রথম ইয়ারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছেলে যার নাম নিওন। ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু প্রথম ইয়ার নয় বরং সিনিয়র ক্লাসের মেয়েরাও তার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে। তার জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ সে একজন হাফ এল্ফ। যা তার কিছুটা লম্বা কান দেখলেই বোঝা যায়।
-> কিন্তু বস, এই তথ্য পেলো কোথায় তুমি? এটা তো আমরা এখনো পেলাম না।
সাতজনের আরো একজন হঠাৎ কথা বলে উঠলো। সাথে সাথে পাশে থাকা একটা মেয়ে বলে উঠলো।
-> বাথরুমে বসে রাজত্ব করলে তোমার তো এসব বিষয়ে কিছু জানারই কথা নয় সাব্বির।
মেয়েটার কথা শুনে সাব্বির বলতে লাগলো,
-> কথা ঠিক, যেহেতু লাক্সের সিকিউরিটি অনেক টাইট এবং আমার পুরাতন অভ্যাস চেঞ্জ করা এখন অসম্ভব তাই বাথরুমই আমার এম্পায়ারের জন্য সেরা জায়গা। (সাব্বির)
হঠাৎ করে নিওন সাব্বিরের দিকে তাকালো। সাথে সাথে তার হাসি মুখ বন্ধ হয়ে গেলো। এবার নিওন বলতে লাগলো,
-> এই পর্যন্ত প্রথম ইয়ারের মোট ১২ টা টেস্টের মধ্যে যতগুলোতে AI ড্যানজন ক্লিয়ারিং মিশন ছিলো সেগুলো একা ক্লিয়ার করার রেকর্ড রয়েছে ১৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডের। এবং গ্রুপ নিয়ে ক্লিয়ার করার রেকর্ড রয়েছে ৩০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের। যেভাবেই আমাদের টেস্ট হোক না কেনো আমাদের সকলকে এই রেকর্ড ভেঙে অবিশ্বাস্য রেকর্ড তৈরি করতে হবে। (নিওন)
হঠাৎ সাব্বির কনফিউজড হয়ে গেলো। সে তার বেস্টফ্রেন্ড কাউসারের দিকে তাকালো। সে নিজেও কনফিউজড।
-> একটা প্রশ্ন, গ্রুপ মিলে ড্যানজন ক্লিয়ার করতে কি কম সময় লাগবে না? তাহলে একা এতো কম সময়ের রেকর্ড কিভাবে হলো? (সাব্বির)
বাকি সবাই সাব্বিরের দিকে তাকালো। সাব্বির চুরি করে ধরা খেয়েছে এরকম ফিল করছিলো।
❝আমি কি খারাপ কিছু বললাম।❞ (সাব্বির ভাবছে)
-> লাক্স এমন একটা জায়গা যেখানে সব সময় শুধু অসাধারণ ছেলে মেয়েরা আসে না। তাদের সাথে নিওনের মতো অস্বাভাবিক জিনিয়াসও প্রবেশ করে যাদের কাছে এরকম রেকর্ড কোনো বিষয়ই না। (এলিজাবেথ)
প্রিন্সেস এলিজাবেথ চুপ করে ছিলো এতোক্ষণ, কিন্তু হঠাৎ সে একটা কথা বললো কারণ এই সময়ে সে নার্ভাস ছিলো। সে দরজার দিকে তাকিয়ে ছিলো যেখান দিয়ে একটা ছেলে মাত্র চলে গিয়েছে। যেহেতু তার অমনোযোগী হওয়ার কোনো কারণ ছিলো না এখন তাই সে মিটিং এর মধ্যে মনোযোগী হলো,
-> সে যায় হোক। আমাদের বস এবার তার থেকেও বড় রেকর্ড করবে সেটা আমি জানি। যদি টেস্টে আমরা আমাদের আইটেম ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হতো। (সাব্বির)
সবাই নিজেদের মতো কথা বলতে লাগলো, কিন্তু নিওনও একটু দরজার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সে ভাবতে লাগলো,
❝ভাইস প্রিন্সিপাল কেনো এরকম একটা ছেলেকে নিজের ডাইরেক্ট স্টুডেন্ট বানালো যে পর্যাপ্ত এনার্জিই রিলিজ করতে পারে না এট্যাকের জন্য। তার পূর্বেও সে এরকম বাকাঝাকা এনার্জি কন্ট্রোল নিয়ে কিভাবে লাক্সে প্রবেশ করতে পারলো। ফিজিকাল ভাবে শক্তিশালী ছাড়া আমি তো তার কোনো ট্যালেন্ট দেখতে পারছি না। এ অবস্থায় তো মিলিটারি একাডেমি ব্যতীত তার জায়গা হওয়ার কথা নয়। যে করেই হোক আমাকে এই টেস্টের পর আবারো ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে ফাইট করতে হবে। আমার অউরা এনার্জি থাকলেও সেটা সঠিক ভাবে রিলিজ করা আমি একমাত্র তার থেকে শিখতে পারবো। এছাড়া তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি অউরা প্রেসার স্কিল ব্যবহার করতে পারেন। আমাকে যে করেই সেটা শিখতে হবে, নাহলে আমার প্লান লাক্স থেকে বের হওয়ার পর সব নষ্ট হয়ে যাবে।❞ (নিওন ভাবছে)
* * * * *
ক্লাস শেষ হওয়ার পর এলেক্স ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো। যেহেতু তার ক্লাসে কোনো রকম কাজ ছিলো না এবং যতক্ষণ সে ক্লাসে থাকবে ততক্ষণই তার জন্য ক্ষতি হবে তাই সে দ্রুতই বের হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে কারণে সে বের হয়েছে সে কারণই হয়ে বসেছে তার সাথে।
-> এলেক্স!
একটা ছিলো পিছন থেকে ডাক দিলো। ডাক দেওয়ার প্রথমেই এলেক্স পিছনে তাকালো এবং ছেলেটা অবাক হয়ে গেলো। তাই তার ডাকে বিস্ময় ছিলো। ছেলেটার নাম ক্রিস। সে একজন বিস্টম্যান এবং নিজেকে এলেক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। তার উগ্র মেজাজের কারণে ক্লাসের কেউই তার সাথে কথা বলার সাহস পায় না। তাই এক হিসাবে এলেক্সকে নিজের বন্ধুও মনে করে ক্রিস।
-> ডুড, তুমি তো দেখছি পুরো নিনজা কাকাসি হয়ে গিয়েছো। (ক্রিস)
ক্রিসের কান দুটো নরতে লাগলো এলেক্সকে দেখে। বিস্টম্যানরা অবাক হলে তাদের কান নরে উঠে। এলেক্স পিছনে ঘুরে ক্রিসের দিকে তাকালো।
-> কিছু কি বলবে? (এলেক্স)
-> এখনো এই নো এক্সপ্রেশন। ডুড আমরা আছি লাক্সে, ওয়ার্ল্ডের সেরা সুন্দরীদের বাস এখানে। একটু তো হাসতে পারো, ও এখন তো ফেসই ঢেকে রেখেছো হাসবে কিভাবে। (ক্রিস)
-> কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা না থাকলে থাকো আমার মাস্টার অপেক্ষা করছে আমার জন্য। (এলেক্স)
ক্রিস এগিয়ে এসে এলেক্সের গলার উপর দিয়ে হাত দিয়ে হাঁটতে লাগলো,
-> চলো এক সাথে যায়। এমনিতেই ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে আমার হিসাব রয়েছে কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে সম্ভব হবে না, তাই তাকে ভিন্ন একটা অফার দিবো আজকে আমি। (ক্রিস)
-> আচ্ছা।
-> আরে ম্যান, একটু তো আগ্রহ দেখাতে পারো আমি কি অফার দিবো। তুমি এ কথা বললে দেখতে আমি পাগল করে দিতাম সেটা শোনার জন্য। (ক্রিস)
-> ও
-> আহহহ, আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যায়হোক সেটা বাদ দেই তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলার ছিলো আমার। (ক্রিস)
-> কি বিষয়ে? (এলেক্স)
-> তিনদিনের পরের টেস্ট সম্পর্কে। (ক্রিস)
-> থিওরি ক্লাসের শিক্ষক তো বললো এই ব্যাপারে কেউই জানে না। (এলেক্স)
-> কেউ জানে না এটা ঠিক, কিন্তু আমার আংকেল একজন নামকরা হান্টার এই শহরের। তাকে একটা মিশন দেওয়া হয়েছিলো লাক্স থেকে। (ক্রিস)
-> কিরকম মন্সটার? (এলেক্স)
-> এইতো আমি বুঝে গিয়েছি তোমার আগ্রহ জাগে এখন কোন বিষয়ে, যায়হোক আমি সেটা জানি না আংকেল বলে নি আমাকে। কিন্তু সে বললো তার সাথে ভাইস প্রিন্সিপালের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো এক সময়ে, যে কারণে কথায় কথায় একটা তথ্য জানতে পেরেছে। এবারের টেস্ট ড্যানজন ক্লিয়ারিং হবে। যেখানে হয়তো আমাদের পাঁচজনের একটা ব্যালেন্স গ্রুপ বানিয়ে দিবে এবং একই সাথে ৪০ টা ড্যানজনে ৪০ টা গ্রুপকে পাঠিয়ে দিবে। (ক্রিস)
-> মাস্টার বলেছে। (এলেক্স)
ক্রিস মাথায় হাত দিলো। সে ভেবে নিয়েছিলো হয়তো ডাইরেক্ট স্টুডেন্টদেরও কিছু বলবে না শিক্ষকরা, কিন্তু এখানে সে হেরে গেলো। এলেক্সকে অবাক করতে চেয়েছিলো যাতে সে এলেক্সের কোনো একটা এক্সপ্রেশন দেখতে পারে কিন্তু সেটা এখনো সম্ভব হলো না।
-> যায়হোক তুমি কি জানো বর্তমানে বাথরুমে গিয়ে বেশ কিছু ছেলেরা গুরুতর আহত হচ্ছে। বিশেষ করে সাপোর্ট এবং ম্যাজিসিয়ান জব-ক্লাসের ছেলেদের সাথে এই ঘটনা বেশি হচ্ছে। (ক্রিস)
-> কেনো বাথরুম কি ঠিক নেই? (এলেক্স)
-> ঠিক আছে কিন্তু আমার মনে হয় সেখানে মারামারি হয়, আমাদের কি উচিত নয় সেখানে একবার অংশ নেওয়া, যেহেতু দুজনেই ফাইট করা পছন্দ করি। (ক্রিস)
ক্রিসের কথায় এলেক্স আর কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্রিস এলেক্সের গলার উপর দিয়ে হাত দিয়ে একদম পাশে এসে নিজের মতো গল্প করেই যাচ্ছে। কখন সে একটা বিশাল হলুদ গাছের নিচে চলে আসছে সেটা খেয়ালই করে নি। গাছের নিচে পূর্বে থেকেই ভাইস প্রিন্সিপাল ওজ দাঁড়িয়ে ছিলো। প্রিন্সিপালের সামনে এসেই ক্রিসের হাত থেকেই এলেক্স মাটিতে পরে গেলো। কি হলো ক্রিস কিছুই বুঝতে পারলো না।
-> এই জিনিসটা দিন দিন আমার মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছে। (ওজ)
ভাইস প্রিন্সিপালকে রাগতে কখনো দেখে নি ক্রিস। তাই তার রাগী ইমপ্রেশনের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রিস বলতে লাগলো,
-> মনে হচ্ছে আমি সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় আসতে পারি নি। (ক্রিস)
* * * * *
আমাদের সিন চেঞ্জ হয়ে অজানা একটা জায়গার মধ্যে চলে আসলো,
বারোটা বড় বড় পিলারের মধ্যে দশজন ব্যক্তি বসে আছে। তাদের চেহারা দেখা যাচ্ছিলো না তাই তাদের পরিচয় লুকায়িত ছিলো। লোকগুলো একে অপরের সাথে কথা বলছে,
ཌ সকল রুলার মিলেও এখনো এই সমস্যার অরিজিন বের করতে পারে নি। এই সময়ে সুপ্রিম কন্সটেলেশনও কোনো রকমের কথা বলছে না। তাই আমাদের আর চুপ করে থাকলে চলবে না।ད
ཌতাহলে তো আউটার রিং এ থাকা আমার অ্যাভেটার গুলোকে আমি শক্তি সংগ্রহ করতে বলতে পারি এখন।ད
ཌএজগার্ডও এই সময়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেহেতু তাদের মূল ফোকাস পৃথিবীতে রয়েছে তাই আমাদেরও মূল ফোকাস পৃথিবীতে থাকবে।ད
ཌকিন্তু কিছুদিন পরে কি অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে না যখন আউটার রিং এর কয়েক হাজার ওয়ার্ল্ড একসাথে এখানে মাইগ্রেট হবে।ད
ཌযেহেতু সুপ্রিম কন্সটেলেশন এই বিষয়ে কিছু করছে না এবং বলছেও না তাই আমার মনে হয় এটার পিছনে তাদের কাজ রয়েছে।ད
সবাই অনেকক্ষণ কথা বলতে লাগলো, কিন্তু তাদের কথা হঠাৎ করে থেমে গেলো একজনের কারণে। সে ঘুমাচ্ছিলো, সবার চিল্লাচিল্লিতে তার ঘুম ভেঙে গিয়েছে।
ཌমনে হচ্ছে আজকের মিটিং এ ও এটেন্ড করে নি ও। যায়হোক, সুপ্রিম কন্সটেলেশন নিজেদেরকে অনেক বড় কিছু মনে করছে এতোকাল আমাদের উপরে শাসন করে। তবে আমি আর এটা নিতে পারছি না। যেহেতু আউটার রিং এর ওয়ার্ল্ড মার্জ হচ্ছে আমাদের সাথে তাই এটা আরো আমাদের জন্য ভালো হলো। শীঘ্রই অনেক বড় যুদ্ধ শুরু হবে।ད
* * * * *
আমাদের সিন আবারো চেঞ্জ হলো,
একটা বিশাল গাছের নিচের ডালে বেশ কিছু ব্যক্তি বসে অথবা দাঁড়িয়ে আছে। তারা গাছের ডাল গুলো পর্যবেক্ষণ করছিলো যা বিশালাকার ছিলো।
ཌওয়ার্ল্ড ট্রি থেকে একশত আপেল পরেছিলো যার কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যায় নি।ད
ཌওয়ার্ল্ড ট্রি থেকে কোনো আপেল পরলে সেটা কি আদৌও খুজে পাওয়া যায়। এজগার্ড এই সময়ে কি করছিলো যখন আপেল গুলো পরলো?ད
ཌএমন কোনো ঘটনা ঘটে নি যেখানে এজগার্ড থেকে হাজার বছরে একটার বেশি আপেল পরেছে। কিন্তু এবার একসাথে এক শত আপেল পরেছে যেটা কেউই আশা করে নি।ད
ཌএক দিক দিয়ে আউটার রিং এর ওয়ার্ল্ড মার্জ হচ্ছে সেটা নিয়ে বুড়ো চিন্তিত সেই সাথে আবার এই এক শত আপেল। প্রতিটা আপেল হাজার বছরে একবার পরলেও সেটার জন্য কয়েক হাজার এজগার্ডিয়ান নিয়োগ থাকে যাতে কোনো ওয়ার্ল্ডে হারিয়ে না যায়, আর এখন তো একশত আপেল খুজতে হবে। বুড়ো তুমি এই কাজ কিভাবে সামলাবে?ད
ཌএকটা গোল্ডেন আপেল খেলে সাধারণ মানুষও একটা এজগার্ডিয়ান এর মতো শক্তি পাবে, শুধু ভাবো মানুষের হাতে সেগুলো পরলে কি হবে।ད
ཌআমি শুধু ভাবছি যদিও তিন চারটা গোল্ডেন আপেল এক ওয়ার্ল্ডে পরে এবং সবগুলো এক ব্যক্তির কাছে পরে তাহলে কি হবে।ད
ཌএকজন রুলার হিসেবে আমি বলতে পারছি কোনো কন্সটেলেশন যদি একসাথে পাঁচটা গোল্ডেন আপেল খায় তাহলে সে আউটার ওয়ার্ল্ডের এক হাজার ওয়ার্ল্ড ধ্বংস করে দিতে পারবে, সাথে নিজে তো ধ্বংস হবেই। আর কোনো সাধারণ মানুষ এতোগুলো খেলে অন্তত তিন চারটা না হলেও একটা ওয়ার্ল্ড সম্পূর্ণ ধ্বংস তো করবেই নিজের শরীর ব্লাস্ট হওয়ার কারণে।ད
সেখানে থাকা সবচেয়ে বুড়ো লোকটা বলতে লাগলো,
ཌআমার আদেশ ৯ ওয়ার্ল্ডকে জানিয়ে দাও। কোনো ভাবে গোল্ডেন আপেল দেখলে সেটা যেনো এজগার্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।ད
* * * * *
To Be Continued
* * * * *
কেমন হলো জানাবেন।