[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:১৪
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
-""ওয়েলকাম প্লেয়ার। ধন্যবাদ দশ বিলিয়ন টাকা রিচার্জ করার জন্য। আপনার নাম ঠিক করুন।""-
(নোটঃ পূর্বের পর্বে এক বিলিয়ন লেখেছিলাম তবে দশ হবে।)
জ্যাকের সামনে মোবাইলের কি বোর্ড আসলো যেটা দ্বারা তার নাম চাইছে। সে কিছুক্ষন কোনো কিছু ভাবছিলো না। সাধারনত জ্যাক এতো টাকা পাবে একটা অচেনা মেয়ের থেকে এটা কখনোই জানতো না। আবার এর জন্য মেয়েটা ভালো করে ধন্যবাদও সে জানাতে পারে নি।
"জ্যাক"
জ্যাক তার নাম সিলেক্ট করে ফেললো তার হাতের মোবাইলে। মোবাইলটাকে একটা সাধারন মোবাইলই মনে হচ্ছে দেখে। আবার কিছুটা অন্যরকমও মনে হচ্ছে। ভিতরে কোনো সফটওয়্যার কিংবা সেরকম কিছু নেই। আপাতোতো তিনটা অপশন রয়েছে মোবাইলের হোম স্ক্রিনে।
<মেসেজ, মার্কেট, কল।>
এই তিনটা অপশনের শুধু মেসেজের অপশনটা খোলা ছিলো আর বাকি সব বন্ধ রয়েছে। মার্কেট এবং কলের অপশনে একটা তালার মতো ঝুলে আছে। জ্যাক সেদিকে নজর দিলো না। মেসেজের মধ্যে কয়েকটা মেসেজ এসেছে সেটা দেখার জন্য সে সেটাতে ক্লিক করলো।
<ধন্যবাদ প্লেয়ারকে। হিরো হওয়ার উদ্দেশ্যে প্লেয়ারকে রিচুয়ালে স্বাগতম। আমার নাম গ্রিড। আমি রিচুয়ালের জন্য সবার একমাত্র গাইড।>
<প্লেয়ার জ্যাক দশ বিলিয়ন কারেন্সি রিচার্জ করেছেন। তাই আপনি দশ হাজার গোল্ড কয়েক পেয়েছেন।>
<রিচুয়ালকে একটা গেমের মতো মনে করতে পারেন আপনারা। যেমন গেমের মধ্যে যে বেশী টাকা ব্যয় করে তার অনেক সুযোগ সুবিধা থাকে ঠিক এটাও তেমনি। রিচুয়ালে যে যত টাকা ব্যয় করবে তাদের এক্সট্রা সুবিধা থাকবে।>
<সকল প্লেয়ারদের আমি ছোট করে এই টেস্টের নিয়মটা বলে দিচ্ছি। সবাইকে মূলত এক মাস নিজেদের চির চেনা এরিয়া এক্সের মধ্যে সারভাইভ করতে হবে। এরিয়া এক্স আজকের পর থেকে পুরো পাল্টে যাবে। আজ থেকে আপনাদের আপন জনও আপনাদের উপরে আক্রমন করতে ভুল করবে না। তাই আমি বলবো সবাই সাবধানে থাকবেন। কারন আপনি মারা গেলেই আপনার স্থান এবং মূল্যবান জিনিসপত্র আপনাকে হত্যা করা ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।>
<টেস্টে শুধু এক মাস সারভাইভ করলেই হবে না। টেস্টে পাশ করার জন্য অবশ্যই সবার পনেরো হাজার গোল্ড কয়েন থাকতে হবে তাদের একাউন্টে। আর হ্যা আরেকটা কথা বলে রাখি। আজ থেকে বাইরের সবাই ও আপনাদের অপেক্ষা করবে। তাই আমি বলবো নিজের জীবনটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য। কারন বাইরের সবাইও এই মজার গেমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।>
<তো রিচুয়ালের গেমটা শুরু করা যাক।>
জ্যাক মেসেজ গুলো পড়ে কিছুক্ষন চুপ রইলো। সে কিছুটা ভাবার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুই তার মাথায় আসছে না। প্রথমত সে অবাক হয়েছে তার গোল্ড কয়েনের পরিমান দেখে। সে চুপ চাপ ভাবছিলো তখনি হঠাৎ তার মনের মধ্যে মনে হলো কেউ একজন কথা বলছে। সে কথাটার সোর্চ একদম বুঝতে পারলো। দূরে স্টেজের উপরে এরিয়েল দাড়িয়ে ছিলো। এরিয়েল এর থেকেই কথাটা আসছিলো। কিন্তি এরিয়েল কোনো কথায় বলছিলো না। জ্যাক বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। দিন দিন আকাশের স্মৃতির সাথে তার ব্রেইন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সে তার ভাবনা শক্তিকে সামনে নিতে পারছে না।
"রুল গুলো খুবই সোজা। আমার মনে হয় এতোক্ষনে বুঝে গিয়েছো। আমি বিস্তারিত বলবো না। টাওয়ারে গেলে সব বুঝিয়ে বলবো। আপাতোতো যত গোল্ড কয়েন পারো জোগাড় করো এক মাসের মধ্যে। কিন্তু সাবধান থাকো কারন রিচুয়াল শুধু কলেজের স্টুডেন্টদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাইরের সবাইও তোমাদের মধ্য থেকে একজনকে হত্যার মাধ্যমে অংশ নিতে পারবে।" (এরিয়েল জ্যাকের কানে কানে কথাটা বললো)
জ্যাক বিষয়টা দেখে প্রথমে অবাক হলো। এই ক্ষমতা এমন নয় যে সে প্রথম দেখছে। ডেভিল কিং থাকা অবস্থায় জ্যাকও পারতো অন্যদের সাথে মুখ দিয়ে কথা না বলে মন দিয়ে কথা বলতে। এটার মাধ্যমে অনেক দূরে কারো সাথেও স্পষ্ট ভাবে কথা বলা যায় বা তথ্য শেয়ার করা যায়। এই ক্ষমতাকে এখানে দেখবে জ্যাক সেটা ভাবে নি।
"একটা জিনিস আমাকে ভাবাচ্ছে শুধু। পূর্বে আকাশের স্মৃতিতে তো এগুলোর কিছুই নেই। যেহেতু বাইরের সবাই অংশ নিতে পারে এই জিনিসে তার মানে এই তো যে বাইরের সবাই এই রিচুয়াল সম্পর্কে জানে। নাকি এসোসিয়েশান সবারই স্মৃতি মুছে দিবে এই রিচুয়াল শেষ হওয়ার পরে?" (জ্যাক ভাবতে লাগলো)
জ্যাকের চিন্তাই আসল পর্যায়ে চলে আসলো। এসোসিয়েশান সবার স্মৃতি নিয়ে খেলা করছে তাই তো রিচুয়ালের কোনো কিছুই সে আকাশের স্মৃতি থেকে জানতে পারছে না। সবার ধারনা এই টুকু ছিলো যে এসোসিয়েশান শুধু তাদের স্মৃতিই মুছে দেই যারা এই রিচুয়ালে ফেল করে। কিন্তু সেটা আপাতোতো সবাই ভুল বুঝতে পারলো।
সবার মোবাইলে আরেকটা মেসেজ আসলো। মেসেজ একটা গ্রিড নামক ব্যক্তির নাম থেকে আসছে যে নিজেকে এই রিচুয়ালের গাইড বলে দাবী করছে।
<আমি বলে রাখি এই পুরো কলেজটা একটা সেফ জোন হিসাবে কাজ করবে। তাই এর মধ্যে কেউ কাউকে হত্যা কিংবা আঘাত করতে পারবে না। যদি করে তাহলে সে অনেক বিরাট পেনাল্টির শিকার হবে।>
<আর হ্যা কাল থেকে র্যাংকিং স্টার্ট হবে। কে কত নম্বরে এবং কত গোল্ড কয়েনের সাথে আছে সব কিছু দেখা যাবে।>
মেসেজটা দেখার পর সবাই একে অপরের দিকে এক বার তাকিয়ে রইলো। কারো বুঝতে বাকি রইলো না তাদের মধ্য থেকে কে এক নম্বরে থাকবে। অবশ্যই সেটা রাজ খান। যে বর্তমানে এরিয়া এক্সের সব চেয়ে বড়লোক তরুনের মধ্যে একজন। সবার বিষাক্ত নজর রাজ খানের উপরে ছিলো এতোক্ষন। অনেকে তো ভেবে নিয়েছিলো এখনি আক্রমন করবে। কিন্তু বর্তমান নিয়মে তো সব কিছু পাল্টে দিলো। জিনিসটা অধিকাংশদের জন্য একটা আশিবার্দই মনে হলো।
বিশেষ করে যারা উচ্চবিত্ত রয়েছে তাদের জন্য এটা অনেক ভালো সুযোগ। তাদের জীবন নিয়ে আর চিন্তা করতে হচ্ছে না যেহেতু এটা একটা সেফ জোন। তবে তারপরও অনেকে আছে যারা নিয়ম ফলো করার বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
অডিটোরিয়ামের পিছনের দিকে উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রথম বছরের এক ছেলে খুবই উত্তেজিত হয়ে আছে। তার প্রধান কারন তার একাউন্টে একটা গোল্ড কয়েনও নেই। এখানে একমাত্র সে একা নয় যাদের একটা গোল্ড কয়েনও নেই। অনেকেই আছে। একটা গোল্ড কয়েনের জন্য মূলত এক মিলিয়ন টাকা রিচার্জ করতে হয়। যাদের কাছে এক দুই হাজার টাকা ছিলো তাদের জন্য কখনোই সম্ভব না যে তারা পনেরো হাজার গোল্ড কয়েন সংগ্রহ করবে। এর জন্য তো পনেরো বিলিয়ন টাকা রিচার্জের প্রয়োজন।
টাওয়ার অফ গ্রিড বা লোভের টাওয়ার মূলত সবার মনেই একটা লোভ তৈরী করে। তোমার আছে তো, তোমার পাশের জনের মনে লোভ তৈরী করবে যাতে সে তোমার জিনিস নিতে চাইবে। এই লোভকে যারা অতি মাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাবে কিংবা এই লোভ থেকে যারা মুক্ত থাকতে পারবে মূলত টাওয়ার অফ গ্রিড তাদেরই বেছে নেই।
এই নষ্ট পৃথিবীতে যেখানে সঠিক নিয়ম কানুন নেই সেখানে মানুষের মনের লোভ থেকে বিরত থাকা আসলেই অসম্ভব। আর লোভ কতটা ভয়ানক হতে পারে এটা এই রিচুয়ালের মাধ্যমেই প্রমাণ পাবে।
অডিটোরিয়ামের পিছনের এক ছেলে তার চিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তার তো একটা জিনিসেরই প্রয়োজন আর সেটা হলো টাকা। তাই তো সেফ জোনকে সে পরোয়া না করেই পাশে থাকা তারই বন্ধুর উপরে সে আক্রমন করলো। সবার নজর কিছুক্ষনের জন্য সেদিকে চলে গেলো। যে ছেলেটা আক্রমন করলো সে অনেক খুশিতে নিচে পরে যাওয়া তার বন্ধুকে আরো মারার চেষ্টা করতে লাগলো। তবে তার পূর্বেই সে লক্ষ করতে লাগলো তার শরীর আস্তে আস্তে গলতে শুরু করলো।
-->>আহহহহহহহহহহহহহ।
একটা চিল্লানি পুরো অডিটোরিয়ামের মধ্যে শোনা গেলো। আক্রমন করা ছেলেটার পুরো শরীর গলে হালুয়ার মতো অবস্থায় পরিনত হলো। সবাই এই বিশ্রি দৃশ্য দেখে নিজেদের চোখ বন্ধ করে নিলো। এতোক্ষন অনেকের বিশ্বাস হচ্ছিলো না, মনে করছিলো হয়তো এসোসিয়েশান কোনো মজা করছে। কিন্তু সব কিছু যে বাস্তব এবং সামান্য একটু ভুলে তাদের জীবন শেষ হতে পারে এটা সবাই বুঝতে পারলো। মনের ভিতরে হাজারো লোভ থাকলেও ক্ষণিকের জন্য সেগুলো ভুলে সবাই নিজের জীবনটা প্রাধান্য দিলো।
অডিটোরিয়াম থেকে এসোসিয়েশান এর লোকগুলো হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেলো। তাদের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছিলো না। তাই অডিটোরিয়ামের মধ্যে একটা বিরাট হৈ চৈ শুরু হয়ে গেলো। এতো ক্ষনে রুমের মধ্যে যে প্রেসার ছিলো সেটা আর নেই। তাই সবাই নিজের মতো খুলে কথা বলতে পারছে।
-->>রাজ আমরা কি করবো এখন?(জারা)
রাজ খানের বর্তমান ফিয়ান্সে জারা কথাটা তার দিকে বললো। দুজনেই খেয়াল করছে রুমের অনেকের নজর তাদের দিকে রয়েছে। এর মানে কলেজের বাউন্ডারি থেকে তারা বের হলেই তাদের খবর শেষ। তাই রাজও বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে।
-->>আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে। একবার আমাদের বাসায় যোগাযোগ করে দেখি।(রাজ)
রাজ এবং জারা দুজনেই শহরের দুই ধনী এবং ক্ষমতাশালী পরিবারের সন্তান। তাই তাদেরকে এই ঝামেলা নিয়ে বেশী চিন্তা করতে হবে। কিন্তু বাকিরা অনেক চিন্তায় পরে আছে।
-->>তাহলে প্রতিবছরে আমাদের এরিয়ার মধ্যে এর জন্য লোকসংখ্যা কমে যাচ্ছে। আচ্ছা আমরা তো দ্বিতীয় বছরে উচ্চতর শিক্ষার। তাহলে কি আগের বারে আমরাও সুযোগ পেয়েছিলাম?
-->>আমার মনে হয় পেয়েছিলাম, যেহেতু এসোসিয়েশান আমাদের স্মৃতি মুছে ফেলেছে তাই কিছু মনে পরছে না।
-->>কি বালের টেস্ট আমরা এতো টাকা কোথায় পাবো রিচার্জ করার জন্য?
-->>কি বলেছে মেসেজে দেখেছিস? আমরা অন্য প্লেয়ারদের হত্যা করে তাদের সম্পদ নিজের করতে পারবো।
-->>আপাতোতো তো আমাদের এই রুমে আকাশ চৌধুরীর থেকে গরীব কেউ নেই। তাই কেউ ভুলে আবার ওর কাছ থেকে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করিস না। হাহাহাহা।
-->>তোর মতো নাকি আমি? আমি তো কলেজে আসার প্রথম দিন থেকেই জানি কার কত টাকা রয়েছে। তাই আমার টার্গেট খোজা কোনো সমস্যা হবে না।
-->>বন্ধু যদি বড়লোক কেউ বের না হয় তাহলে কি করবো আমরা?
-->>বোকা নাকি? সবাইকে বের হতে হবে। কেউ কি কলেজে আসার সময় সাথে করে পনেরো বিলিয়ন টাকা নিয়ে এসেছে।
-->>আর তাছাড়া বিভিন্ন বড় লোক রয়েছে যাদের বাসায় আমরা একত্রে আক্রমন করলে অবশ্যই পনেরো বিলিয়ন কোনো ব্যাপারই না।
-->>তারপরও পনেরো হাজার গোল্ড কয়েন কি একটু বেশী মনে হয় না?
এক এক জন এক এক রকম কথা বলতে লাগলো। কেউ নিজে নিজে কথা বলছে, কেউ বা বন্ধুদের সাথে। সবাই কি করবে বলে ভাবছে। তবে কেউই অডিটোরিয়াম থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছিলো না। হঠাৎ জ্যাক সবার সামনে থেকে বেরিয়ে গেলো।
-->>ঔটা আকাশ না?
-->>আরে হ্যা আকাশ চৌধুরী তো।
-->>ইস যদি ওর টাকা ওর কাছে থাকতো তাহলে তো আমাদের কোনো কিছু ভাবতেই হতো না।
-->>কিন্তু বেচারা। সবার আগে ঔ বাদ পরবে। হাহাহা।
-->>আমার মনে হয় না আমাদের মধ্যকার কেউ ওর পিছনে পরবে। তাহলে শুধু শুধু সময় নষ্ট।
-->>তবে ওর মাথা আমরা নিলাম রাখতে পারি। যেহেতু বাইরের সবাই অংশ নিবে তাই শক্তিশালী একজন মাস্টারকে যদি আমরা সাহায্য করি ওর লোকেশন দিয়ে তাহলে তো আমরাও সাহায্য পাবো তাই না?
-->>মাক্সম্যানের কাছে ওর লোকেশনটা দিলে কেমন হয়? আমার মনে হয় মাক্সম্যানও এতোক্ষনে রিচুয়াল সম্পর্কে জেনে গিয়েছে।
-->>তুই কেমনে জানলি?
-->>আরে আমার বাপ ফোন দিছিলো। বলছে বাড়ি আসিস না। এতোক্ষনেই নাকি আমার জীবনের পিছনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকে। তাই আমার মনে হয় মাস্কম্যানও ব্যাপারটা সম্পর্কে জানে।
-->>আমি যদি মাস্কম্যানের ফলোয়ার হতে পারি তাহলে আর কি লাগবে।
-->>কিন্তু মাক্সম্যানের সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে?
-->>আমি শুনেছি আমাদের ক্লাসের নতুন ঔ ট্রান্সফার মেয়েটার সাথে মাক্সম্যানের সম্পর্ক রয়েছে।
-->>কিন্তু মেয়েটার সাথে তো শক্তিশালী বডিগার্ড রয়েছে। তার থেকে কি কিছু জানতে পারবো আমরা?
সবাই হঠাৎ অডিটোরিয়ামের মধ্যে এমিলিকে খোজার চেষ্টা করলো। কিন্তু ট্রান্সফার স্টুডেন্ট এমিলির খোজ পাওয়া গেলো না রুমের মধ্যে। সবাই অডিটোরিয়ামে আর সময় নষ্ট করলো না। যদিও মনে সবার ভয় আছে তারপরও ক্যাম্পাসে বের হতে শুরু করলো এক এক করে। পুরো কলেজ বাউন্ডারির মধ্যে কারো কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু এই বাউন্ডারি থেকে বেরিয়ে গেলে সবার জীবনের প্রতি হাজার হাজার মানুষ ঝাপিয়ে পরবে।
অনেকেই আছে যারা চাইলেও কিছু করতে পারবে না তাই এক মাসের মধ্যে তারা এই কলেজ বাউন্ডারি পার করবে না। কিন্তু তারা কি এক মাস এই এরিয়ার মধ্যে বসে থাকতে পারবে? কলেজের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সবাইকে খাবারের জন্য হলেও বের হতে হবে।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।