আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্ব: ৪০

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]


#Demon_King#


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী


পর্বঃ৪০



হান্টার এসোসিয়েশানে দুই ভাবে হান্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। এক তো এনার্জি টেস্ট, যেটার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান এনার্জির প্রয়োজন হয়। এবং অন্যটা ফাইটিং টেস্ট। সাধারনত এনার্জি টেস্টের মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি কতটা শক্তিশালী সেটার সঠিক ধারনা পাওয়া যায়। তাই এই টেস্টেই হান্টাররা মূলত তাদের লাইসেন্স অর্জন করে থাকে।


তবে অপরদিকে আরেক টেস্ট হলো ফাইটিং টেস্ট। হান্টার লাইসেন্স অর্জনের জন্য যারা এনার্জি টেস্টে ফেইল করে তারাই মূলত ফাইটিং টেস্টে অংশ নেই এটা ভেবে যে কোনো ভাবে হান্টার লাইসেন্স তারা পেয়ে যাবে। তবে দুই টেস্টের মধ্যে ফাইটিং টেস্টই সবচেয়ে কঠিন। কারন যেখানে স্টোনের উপরে হাত দিলেই লাইসেন্স পাবো, না পাবো সেটা বোঝা যায়। আর অন্যদিকে একজন শক্তিশালী হান্টারের সাথে ফাইটের মাধ্যমে ফাইটিং টেস্টে পাশ করতে হয়। যেটার সম্ভবনা সব সময় এক পারসেন্ট থাকে।


হান্টার এসোসিয়েশান এর মেয়েটা পিছনের এরিনার দিকে নিয়ে আসলো লুসিফারকে। জায়গাটা হান্টার বিল্ডিং এর পিছনে তৈরী করা হয়েছে। চারপাশ দিয়ে পাথরের তৈরী দেওয়াল দিয়ে আটকানো একটা বড় রুম। লুসিফার খেয়াল করলো দেওয়ালের চারপাশ দিয়ে ম্যাজিক রুইনস লাগানো রয়েছে। যদিও সেগুলো দুর্বল কিন্তু যেকোনো আঘাত থেকে সেটা এই দেওয়ালকে সুরক্ষিত করবে।



-->>আমি আশা করি নি এই জায়গায় কোনো রুইনস ম্যাজিসিয়ান দেখতে পাবো। যতই দেখছি জায়গাটা আমাকে অবাক করছে।(লুসিফার আস্তে করে কথাটা বললো)



মেয়েটা তাকে এরিনার মধ্যে নিয়ে আসার পর ভিতরে থাকা এক ব্যক্তির দিকে ইশারা করলো। শুধু প্যান্ট পরে থাকা এক ব্যক্তি ব্যায়াম করছিলো এতোক্ষন এরিনার মধ্যে। লোকটা উপরের অংশে কিছুই পরে নি। তাই তার বিশাল শরীরটা খুব স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে।



-->>তোমাকে এই ব্যক্তির সাথে ফাইট করতে হবে। ওনার নাম হানসা এবং আমাদের হান্টার এসোসিয়েশান এর সেরা একজন হান্টার। তোমার টেস্ট হলো হানসার থেকে তিনটা ব্লো নেওয়া। তুমি আক্রমন করতে পারবে তবে যদি হানসার তিন আক্রমনের পরে দাড়িয়ে না থাকতে পারো তাহলে আমরা তোমাকে হান্টার লাইসেন্স দিতে পারবো না।(মেয়েটা)



মেয়েটার মুখে কোনো হাসি নেই। এটা তার প্রতি দিনেরই কাজ। রোজ রোজ অনেক বলদ আসে যারা নিজেদেরকে তিজ মার খা মনে করে তবে পরে দেখা যায় সবাইকে হিলারের চেম্বারে পাওয়া যায়। আর এটা যেহেতু আজকের শুরু তাই একটু বেশীই বিরক্ত হয়ে আছে মেয়েটা।



"মাত্রই খুললাম বিল্ডিং আর এর মাঝেই এক বলদ নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করতে এসে গিয়েছে।" (মেয়েটা ভাবছে)



মেয়েটা অনেক বিরক্ত ভাব নিয়ে এরিনার দরজার দিকে গিয়ে তাকিয়ে রইলো। এই রুমটা একটা ম্যাজিকাল রুম তাই এখানে ফাইটিং হলে রুমের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে মেয়েটার চোখ যে খোলা থেকে যাবে কে জানতো?


লুসিফার দাড়িয়ে ছিলো এক পাশে। হানসা অন্যপাশে। এতোক্ষনে এক্সারসাইজ করার ফলে হানসার পুরো শরীর ঘেমে আছে। সেই সাথে তার বিশাল শরীরের প্রতিটা টিস্যু ফুলে আছে। লুসিফার একবার সেই শরীরের দিকে তাকালো এবং পরক্ষনেই হানসার চোখের দিকে তাকালো।



-->>তাহলে আজকের নিউবি তুমি। জুনিয়র হিসাবে তোমাকে আমি তিনটা আক্রমনের সুযোগ দিবো। যদি তিন এট্যাকে আমার শরীরে হালকা দাগ ক্ষত করতে পারো তাহলে এই টেস্টের আর দরকার হবে না। কি বলো?(হানসা)



হানসার অফার খারাপ না। তবে লুসিফারের প্রাইডে বাঝলো কথাটা। যেহেতু লোকটা তাকে ছোট বলে সুযোগ দিয়েছে তাই এই সুযোগটা ভালো করেই কাজে লাগাতে হবে তাকে। কোনো কথা ছাড়ায় দুজন ফাইটের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো।


হানসা তার সামনের ছেলেটার শরীর থেকে বিন্দুমাত্র এনার্জি অনুভব করতে পারছে না। নিজের শরীরের এনার্জি এমন একটা পর্যায়ে আসলে অন্যদের এনার্জি অনুভব করা যায়। হানসা অন্যদের এনার্জি অনুভব করেই বলতে পারে সে কোনো এনার্জি ব্যবহার করে এবং কতটা শক্তিশালী। যদিও এটা একুরেট না তারপরও অনেক সময়ই তার কথা মতোই হয় যদি না তার সামনের কেউ ইচ্ছা করেই এনার্জি ব্লোক করে রাখে।


হানসা একবার লুসিফারের দিকে তাকালো। ময়লা জামা কাপড় যেটা সে কখনো দেখে নি। আর কোমরে একটা খাপযুক্ত পুরাতন ব্লেড। তাছাড়া ছেলেটার শরীরে কোনো এনার্জি নেই।



"আমার মনে হয় কোনো সাধারন মানুষ এনার্জি কোর ছাড়া।"



এরকম অনেক মানুষই দেখেছে হানসা হান্টার হওয়ার পর থেকে। দশ বছর যাবৎ সে এই হান্টার এসোসিয়েশান এর ফাইটিং টেস্টে কাজ করে যাচ্ছে এর মাঝে অনেক লোকজনই এসেছে যারা দুর্বল আবার অনেকে এসেছে যারা তো এনার্জিই ব্যবহার করতে পারে না। তাই এদের সাথে কিভাবে ডিল করতে হয় সেটা এখন হানসা ভালো করেই জানে।



"আমাদের মধ্যকার পার্থক্য দেখালেই হবে।"(হানসা ভাবছে)



হানসা দাড়িয়ে রইলো। তারপরও যেহেতু ছেলেটার কাছে সোর্ড রয়েছে হানসা তার চারপাশে তার অউরা এনার্জি দিয়ে একটা ব্যারিয়ার তৈরী করলো। যদিও এটা তার প্রয়োজন নেই তারপরও সে তৈরী করলো। এতে করে ছেলেটাকে দেখাতে পারবে তার কোনো এট্যাকই কাজে দিবে না এবং ছেলেটা নিজ থেকে হার মেনে নিবে।


লুসিফার দেখতে পেলে তার সামনের ব্যক্তি তার চারপাশ দিয়ে একটা এনার্জি ব্যারিয়ার তৈরী করেছে। যেটা সাধারন চোখে অদৃশ্য হলেও লুসিফারের চোখ ফাকি দিতে পারলো না। সে মনে মনে একটু হাসলো,



"ওয়েল, এমন নয় যে আমি এনার্জি ব্যবহার করতে পারি না। আসলে এনার্জি আমাকে পছন্দ করে না। তাই তো সব সময় আমাকে এরিয়ে চলে।"(লুসিফার ভাবছে)



লুসিফার হাটতে শুরু করলো হানসার দিকে। অনেকটা ধীরে সে হাটছে। হেটে হেটে একদম হানসার কাছে চলে গেলো। হানসার ব্যারিয়ারের কাছে আসার সাথে সাথে ব্যারিয়ার লুসিফারের জন্য পথ তৈরী করে দেয়। লুসিফার তার সোর্ড বের করলো না। বরং সোর্ডের হাতল দিয়ে হামসার পেটে একটা আঘাত করলো। 


হানসা মুহূর্তের মধ্যেই লুসিফারকে হারিয়ে ফেললো। তার মনে হচ্ছিলোতার চোখের বাইরে চলে গিয়েছে। এদিক ওদিক তাকাবে খোজার জন্য কিন্তু তার আগেই তার মনে হলো তার ব্যারিয়ারের ভিতরে সে চলে এসেছে। কিন্তু এটা সম্ভব কিভাবে? এরকম স্পিড সে পূর্বে কখনো দেখে নি। হানসা কিছু করবে তার পূর্বেই লুসিফারের সোর্ডে আঘাত খুব মারাত্মক ভাবে লাগে তার।



"ওয়েট, এটা কি ওর সোর্ডের হাতল ছিলো?" (হানসা ভাবছে)



লুসিফার আঘাত করার সময়ে বিন্দুমাত্র লক্ষ করেছিলো হানসা। একটা সোর্ডের হাতল দিয়ে তাকে আক্রমন করলো। সে কি এতোটায় নগন্য। হানসা আর কিছু ভাবছে তার পূর্বেই সেন্সলেস হয়ে গেলো।




আধা ঘন্টা পরে হানসার সেন্স ফিরে আসলো। সে নিজেকে হান্টার বিল্ডিং এর দোতলায় আবিষ্কার করলো। কি হয়েছে সে বুঝতে পারলো না। তার শরীরে সে ইনজুরি দেখার জন্য চেক করতে লাগলে। কোনো ইনজুরিই নেই। হঠাৎ তার সামনে পূর্বের মেয়েটা আসলো। হানসা এবার কথা বলতে লাগলো,



-->>গিল্ড মাস্টার!(হানসা)



মূলত হান্টার এসোসিয়েশান একটা গিল্ডের মতো। যার প্রতিটা প্রধানকে গিল্ড মাস্টার বলা হয়। আর এই মেয়ে যে কাউন্টারে বসে ছিলো সে এই শহরের হান্টার এসোসিয়েশান এর গিল্ড মাস্টার। হানসার চোখে অবাক দৃশ্য দেখে মেয়েটা বলতে লাগলো,



-->>চিন্তার কোনো কারন নেই। তোমার কোনো ক্ষতি হয় নি। ছেলেটার সোর্ডের কিছুটা শক ওয়েব তোমার শরীরে লাগার ফলে বেহুস হয়ে গিয়েছিলে। কিন্তু তার আসল টার্গেট তুমি ছিলে না। যদি হতে তাহলে হয়তো একটা টুকরোও পাওয়া যেতো না তোমার।(গিল্ড মাস্টার)




হানসা তার গিল্ড মাস্টারের মুখ থেকেই এই কথা শুনতে পেয়ে অনেকটা ভয় পেয়ে গেলো। সে আশা করে নি এরকম একটা মনস্টারের সাথে তার দেখা হবে। যে দিক থেকেই হানসা দেখার চেষ্টা করছে, সব দিক দিয়েই ছেলেটাকে মনস্টার ছাড়া আর কিছু লাগছে না। তাই সে এরকম মনস্টারকে নিয়ে আসলেই চিন্তাই পরলো।



-->>গিল্ড মাস্টার?(হানসা)



হানসার প্রশ্ন করার কোনো দরকার পরলো না। মেয়েটা এমনিতেই উত্তর দিতে লাগলো।



-->>ছেলেটার নাম লুসিফার। আজ থেকে আমাদের দ্বিতীয় এস লেভেল হান্টার। তার প্রথম মিশনে সে ডিমনিক ফরেস্টে প্রবেশ করেছে। পঞ্চম জোনের সেই মিশনটা শেষ করতে।(গিল্ড মাস্টার)




হানসা আর কিছু বললো না। সে বিছানা থেকে উঠে পরলো। তার গিল্ড মাস্টার বেরিয়ে গেছে। সম্ভবত কাউন্টারে চলে গিয়েছে। তাই হানসাও এরিনার দিকে পা বারালো। তার মাথায় হঠাৎ ডিমনিক ফরেস্টের পঞ্চম জোনের মিশনটা মনে পরলো। একটা "ট্রিপল এ" লেভেলের মিশন সেটা যেখানে কমপক্ষে পাঁচ জন এস লেভেল হান্টারের প্রয়োজন। 



"ছেলেটা মনস্টার হলেও কি পারবে সেটা ক্লিয়ার করতে?"



হানসার মনে সন্দেহ উঠে গেলো। কিন্তু এরিনার মধ্যে প্রবেশ এর পরে তার সকল সন্দেহ দূর হয়ে গেলো। তার হাত পা কাজ করা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। হান্টার এসোসিয়েশান এর এরিনা বা ট্রেনিং রুম যেটাকে ম্যাজিকাল রুমও বলা হয়। এই রুমকে একটা এস লেভেল হান্টারও ভাঙতে পারার কথা না।



-->>হোলি সি*৷ এই রুমটা ভাঙার ক্ষমতা এই বিল্ডিং এর মাঝে শুধু আমাদের গিল্ড মাস্টার রাখে। এখন কি আমাকে মানতে হবে একটা ছেলে তার মরিচে ধরা সোর্ডের হাতল দিয়ে এই কাজ করেছে?(হানসা)




হানসা চোখ বিশ্বাস করতে পারছিলো না কি দেখছে সে। এই রুমটা পিছনের দিকে তৈরী করা হয়েছে। আর হানসাও পিছনের অংশে দাড়িয়ে ছিলো। পিছনে একটা বড় লেকের মতো ছিলো। যেটা ভালোই বড় ছিলো। হানসা বিশ্বাস করতে পারছে না সেই কম বয়স্ক ছেলেটার শুধু সোর্ডের হাতলের আঘাতেই পিছনের এই অবস্থা হবে।


পিছনের পুরো দেওয়া ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। যেটাকে শক্তিশালী ম্যাজিক দিয়ে বানানো হয়েছিলো সেটাকে দেখে মনে হচ্ছে একটা একটা ঝড়ে ভেঙে তচনচ করে ফেলেছে। শুধু তাই নয় পিছনের বড় লেকের মধ্যকার একটু পানিও নেই। লেকটা এমনিতে অনেক গভীর ছিলো তবে এবার মনে হচ্ছে সেটা আরো অনেকটা গভীর হয়ে গিয়েছে।


হানসা ভেবে পাচ্ছে না এই মনস্টারকে কি আসলেই সে তার গিল্ড মাস্টারের সাথে কম্পেয়ারিজন করতে পারবে?





* * * * *


(ডিমনিক ফরেস্ট)



একাডেমির প্রতিটা টিম প্রায় তাদেী গন্তব্য স্থলে পৌছে যাচ্ছে। চতুর্থ জোনে প্রবেশ করলেই কাউকে আর ভাবতে হবে না ফেইল করা নিয়ে।


একাডেমি থেকে প্রতিনিয়ত শিক্ষকরা সবার দিকে নজর রাখছে। তবে সেটা সিমীত। এমন নয় যে একটা হাইব্রিড সবার সামনে চলে আসলে একাডেমির শিক্ষকরা কিছু করতে পারবে। এই টেস্টে কয়েক জনের মৃত্যু স্বাভাবিক। তবে তাদের খেয়াল রাখতে হবে কিছু নোবেল দের সন্তানদের উপরে। কারন তাদের কিছু হলে কিংডম এবং একাডেমির মধ্যে একটা ছোট যুদ্ধ ঠিকই শুরু হতে পারে।




টিম চেইনের সবাই খুব সকালেই উঠেছে ঘুম থেকে। তাদের গন্তব্য সোজা চতুর্থ জোন। ক্যাম্পের জিনিসপত্র তারা নিজেদের ব্যাগের মধ্যে ভরে নিয়ে রওনা দিলো চতুর্থ জোনের দিকে। সকল টিমের লিডারের কাছে একটা করে ম্যাপ রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে তারা এতো সময় ধরে এতো দূরে আসতে পেরেছে। তৃতীয় জোন থেকে সকল টিমকেই সাবধান থাকতে হবে। কারন এই জোনে ডিমনিক বিস্ট এবং হাইব্রিডের সংখ্যা অনেক বেশী। যদি কোনো শক্তিশালী হাইব্রিড সামনে আসে তাহলে পুরো টিমের কারোরই বাঁচার সম্ভবনা নেই।



-->>সবাই ভালো করে শুনো। আমরা এতো দিন যা করেছি তার কিছুই এখন করা যাবে না। আমরা ভুলেও একটা ডিমনিক বিস্টের সাথে এখন ফাইট নিবো না। যদি আমরা পালিয়ে যেতে পারি তাদের থেকে তাহলে সেটায় করবো।(চেইন)



চেইনের প্লান একদম সোজা ছিলো। তারা কোনো ডিমনিক বিস্টের সাথে এই জোনে ফাইট নিবে না। কারন একটা ফাইট হলে সেখানে ডিমনিক বিস্টের সংখ্যা অনেক হতে থাকবে এবং একটা হাইব্রিড আসার সম্ভবনাও বেরে যাবে। তাই তারা যতসম্ভব ডিমনিক বিস্ট থেকে দুরত্ব বজায় রাখবে চতুর্থ জোনে প্রবেশের পূর্বে।



-->>কিন্তু লিডার, যদি আমাদের সামনে কোনো ডিমনিক বিস্ট চলে আসে আর আমরা পালাতে না পারি তখন?(জেয়াবের প্রশ্ন)



জেয়াবের প্রশ্ন শুনে ডুফেস বলতে শুরু করলো,



-->>তাহলে সেটাকে দ্বিখন্ডিত করবো।(ডুফেস)



-->>হ্যা ডুফেস ঠিক বলেছে। আমরা এতো সময়ে যতদূর এসেছি তাতে তোমরা পর্যাপ্ত পরিমান শক্তিশালী হয়েছো। তাই আমি চাই না কিছুটা বেশী সাহস দেখাতে গিয়ে আমাদের টিমকে বাতিলের খাতায় নাম ফেলাতে।(চেইন)



চেইনের কথা শেষ হওয়ার পর পরই পুরো টিম রওনা দিলো তাদের গন্তব্যে। এই কয়েক দিনে টিমের মধ্যে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। তাই কেউই চাই না অন্যজন কোনো বিপদে পরুক। এতো দিন ব্যাপারটা সাধারন ছিলো। কিন্তু আজকে থেকে আর সেটা থাকবে না। তৃতীয় জোনে তাদের মতো অনুভিজ্ঞদের জায়গা না। তারপরও তাদের লক্ষে পৌছাতে হলে প্রথমে তাদের সামনের গন্তব্যে তো পৌছাতে হবে।


এলেক্স সবার পিছনে হাটছে। কাল রাতে তার ঘুম হয় নি একটুও। পুরো রাত ডিমনিক বিস্ট হত্যা এবং খুজতেই চলে গিয়েছে। ঘুমে তার চোখ ভেঙে আসছে। তবে কেনো জানি ঘুমাতেও মন চাচ্ছে না তার। 


তার চোখের সামনে থ্রি স্ক্রিন রয়েছে যেটা শুধু সেই দেখতে পাচ্ছে। প্রথমে লোকজনের সামনে এটা দেখতে তার কাছে আজব লাগতো কিন্তু এখন এটা স্বাভাবিকই মনে হয়। যেহেতু সে বাদে অন্য কেউই দেখতে পারে না এটাকে তাই তার কোনো চিন্তা নেই।


তার সামনের প্রজেকশন এ কয়েকটা মেসেজ দেখাচ্ছে তাকে। যেগুলো হলো,


 


-""কনগ্রাজুলেশন মাস্টার। পঞ্চাশ লেভেলে পা দেওয়ার জন্য আপনাকে দুটো মিস্ট্রি বক্স দেওয়া হয়েছে।""-



-""মাস্টারের প্রতিদিনের মিশন চালু হয়েছে। ডেইলি মিশন নামক অপশনে মাস্টার তার প্রতিদিনের মিশন দেখতে পাবে। প্রতিদিনের মিশন শেষ করার ফলে মাস্টার পাঁচ স্ট্যাট পয়েন্ট এবং একটা র‍্যানডম বক্স পাবেন।""-




এলেক্স অনেকক্ষন তাকিয়ে ছিলো লেখার দিকে। যেহেতু মিশনের কথা উল্লেখ হয়েছে তাই আর আগ্রহ বারলো না সেটা চেক করার। কারন এলেক্স জানে কিরকম মিশন সে পেতে পারে। প্রথম স্পেশাল মিশন যেহেতু প্লেবয় হওয়ার মিশন ছিলো তাই ডেইলি মিশনও এরকম কিছুই হবে। এলেক্সের নজর কারলো দুটো মিস্ট্রি বক্সে। 



"যতদূর আমার মনে পরে, নাইটমেয়ার গেমের মধ্যেও পঞ্চাশ লেভেলে দুটো মিস্ট্রি বক্স দেওয়া হতো। এবং সেটা আমার নিজের তৈরী করা প্রোগ্রাম ছিলো। গেমের মধ্যে যত রকমের আইটেম ছিলো তার একটা পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এই মিস্ট্রি বক্স থেকে। তবে যেহেতু আমি জানি এই বক্সের মধ্যকার জিনিস মোটেও গেমের জিনিস না। তাই বলতে পারছি না কি পাবো?" (এলেক্স ভাবছে)



এলেক্স তার কাজ করা গেমে অনেক সুন্দর একটা প্রোগ্রাম করেছিলো। পঞ্চাশ লেভেলে যাদের একাউন্ট উঠতো তারা দুটো মিস্ট্রি বক্স পেতো। যেটা থেকে লেজেন্ডারী আইটেম থেকে শুরু করে গডলি আইটেমও পাওয়ার সম্ভবনা ছিলো। তবে সেটা পুরো ভাগ্যের উপরে ডিপেন্ড করে। যাদের ভাগ্য খারাপ ছিলো তারা তো একটা এনার্জি ড্রিংকস ও পেতো।


এলেক্স ভেবে পাচ্ছে না সে কি পাবে? তার লাক্ তেমন বেশী না। তার স্ট্যাটাসের একমাত্র অপশন লাক্ যেটা সে স্ট্যাট পয়েন্ট দিয়ে বৃদ্ধি করতে পারছে না। লাক্ সাধারনত একজনের ভাগ্যকে ডিপেন্ড করে। কার ভাগ্য কতটা ভালো সেটা তার লাক্ এর উপরে ডিপেন্ড করে।



-""মাস্টার কি মিস্ট্রি বক্স দুটো ওপেন করবেন?""-



এলেক্স কৌতুহল ছিলো ভিতর থেকে কি বের হবে দেখার জন্য। তাই এটার অপেক্ষা করে লাভ নেই। সে পরের জন্য রেখে দিতে পারতো বক্স দুটো তবে এখনি তার প্রয়োজন কোনো ভালো একটা আইটেমের।



"আমি জানি না রিং আমাকে তারই দেওয়া কোনো আইটেম ব্যবহার করতে দিনে কিনা? তবে চেষ্টা করতে দোষ কোথায়?" (এলেক্স ভাবছে)



এলেক্স পূর্বে যত ম্যাজিকাল আইটেম ধরেছে হাত দিয়ে সেগুলো সাধারন জিনিসেই পরিনত হয়েছে। তাই এখনো সিওর হতে পারছে না যে সে বক্স থেকে ম্যাজিকাল আইটেম ব্যবহার করতে পারবে কিনা।


তারপরও দুটো খোলার সিদ্ধান্ত নিলো। যদি ভালো কিছু পেয়ে যায়,



"একটা ড্যাগার হলেও হবে।" (এলেক্স ভাবছে)




* * * 


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন।


About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

17 comments

  1. অনেক সুন্দর হইছে
  2. Very nice 😍😍😘😘😘😘😍😍
  3. 🖤🖤🖤🖤🖤
  4. 💘💘💘💘💘💘💘
  5. eta ki holo vai .. erokom vabe mestry rekhe dila... just ar ki bolbo!!!!!
  6. Dil se dil tak🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
  7. Lovely ❤❤❤❤
  8. ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
  9. 💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝
  10. 💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
  11. 🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤🖤
  12. ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
  13. 💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗?…
  14. 🖤🖤🖤🖤🖤
  15. Mystery box takee mystery korei rakhla bro.... Lucifer to Dekha jay onek soktishali. Tobe ekhon dekhar bishoy eta j se alex er pokkhe na bipokkhe.... carry on 🙂🙂
  16. আরও গল্প তাকলে লিংক দেন
  17. কি পাবে
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.