[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:১৫
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
এরিয়া এক্সের কলেজের মধ্যে একটা হাহাকার অবস্থা তৈরী হয়েছে। ছেলে মেয়ে কি করবে কিছুই বুঝতে উঠতে পারছিলো না। অনেকে সকালের খাবার পর্যন্ত খায় নি আর এদিকে ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সবাইকে খাবারের জন্য হলেও ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে হবে। আর একবার কলেজ বাউন্ডারি পার করলেই সবার বিপদ শুরু। অনেকেই ডিসট্রেস হয়ে আছে তার কি করবে৷ পুরো কলেজের যেখানে সেখানে এক এক জন পরে আছে। তারা ফ্লোরের উপরেই বসে আছে। কি করবে সেটা ভেবে পাচ্ছে না। অনেকে বন্ধুদের সাথে গ্রুপ বানিয়ে প্লান করছে এখন থেকে এক মাসের তারা কি করবে। বেশ কিছু রয়েছে যারা একে বারেই হাল ছেড়ে দিয়েছে।
সমস্ত মানুষের মধ্যে দুজন ব্যক্তি রয়েছে যারা ইতিমধ্যেই কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। রাজ খান এবং জারা চৌধুরী দুজনেই তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছে। দুজনের পরিবার থেকেই লোক আসছে। যারা নিরাপদে রাজ এবং জারাকে নিয়ে যাবে। হয়তো আগের বারও এমনটা হয়েছে তবে কারো কিছু মনে নেই। একটা জিনিস সবাই জানে প্রত্যেক বছরে জনসংখ্যা অনেকটা কমে যায়। মানুষ ধারনা করে থাকে সে মানুষ গুলো টাওয়ারে প্রবেশ করেছে। তবে কলেজের সকল স্টুডেন্টই বুঝতে পারলো আসল সত্যটা। যদিও এটা নিয়ে তাদের বেশী ভাবলে চলবে না। কারন এই রিচুয়ালে পাশ করতে না পারলে সবার স্মৃতিই মুছে যাবে। কিন্তু সেটায় লাভ কি যদি না বেঁচেই না থাকে কেউ।
ক্যাম্পাসের মধ্যে বেশ কিছু লোক তাদের টার্গেট বেছে নিচ্ছে। বেশ কিছু লোক আছে যারা পরিস্থিতিকে অনেকটা স্বাভাবিক মনে করছে। তাই তারা বড়লোক তবে দুর্বল টার্গেট বেছে নিচ্ছে। আবার অনেকে এরিয়া এক্সের বড়লোক তবে দুর্বল পরিবার গুলোকে টার্গেট করছে। ক্যাম্পাস থেকে বের অনেক গুলো রোড রয়েছে তাই অনেকে এই সুযোগ ব্যবহার করছে এখান থেকে বের হওয়ার। কারন এখনো রিচুয়াল এর কথা ভালো ভাবে ছড়ায় নি। যত সময় যাবে ততই তাদের জন্য এখান থেকে বের হয়ে যাওয়া সমস্যা হয়ে যাবে।
পুরো এরিয়া এক্সের মধ্যে রিচুয়াল এর সংবাদ না পৌছালেও এরিয়া এক্সের ব্লাক মার্কেটে এই সংবাদ পানির মতো ছড়িয়ে গিয়েছে। তবে তাদের জন্যও শর্ত রয়েছে।
-->>শুনেছিস টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ এসেছে।
-->>হ্যা এটা তো পুরো ব্লাক মার্কেটই জানে।
-->>কিন্তু আমাদের কালকে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
-->>এই নিয়ম ভালো লাগে না একদমই।
-->>নিয়ম তো মানতেই হবে। নাহলে এসোসিয়েশান আমাদের ছারবে না।
-->>একবার টাওয়ারে প্রবেশ করতে পারলে এই এসোসিয়েশান এর কুকুরদের দেখাতাম কত ধানে কত চাল।
-->>আমাদের তো কয়েকটা কলেজ স্টুডেন্টদের হত্যা করতে হবে তাই না?
-->>আমার মনে হচ্ছে অনেকটা সহজ হবে টাওয়ারে প্রবেশ করা।
-->>এসোসিয়েশান এর এজেন্টের কথা অনুযায়ী কলেজ স্টুডেন্টদের হত্যা করলে তাদের একাউন্ট আমাদের হয়ে যাবে তাই না?
-->>সেটায় তো বললো। তবে আমার মনে হচ্ছে একাউন্ট নিজের করার পরেও কিছু একটা করতে হবে।
-->>আমি তো এখনি যাচ্ছি কলেজের সামনে গার্ড দিতে।
-->>এসোসিয়েশান এর কড়া নির্দেশ আজ কেউ কলেজের আশে পাশে যেতে পারবে না। তাই সেখানে গিয়ে নিজের জীবন হারিয়ে কোনো লাভ হবে না।
পুরো ব্লাক মার্কেটের মধ্যে একেক জন গল্প নিয়ে ব্যস্ত। তাদের আজকের দিন অপেক্ষা করতে হবে। এসোসিয়েশান এর বেশ কিছু এজেন্ট ব্লাক মার্কেটে রিচুয়াল এর সম্পূর্ন ইনফরমেশন লিক করেছে। যার ফলে পুরো ব্লাক মার্কেটের সদস্যই এখন কলেজ স্টুডেন্টদের টার্গেট করে বসে আছে। তবে এক শর্তেই এসোসিয়েশান তথ্য লিক করেছে আর সেটা হলো আজকের দিনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে তার অবস্থা কেমন হবে সেটা তারা ভালো করেই জানে।
* * *
কলেজের ছেলেদের হোস্টেলের ছাদে এরিয়া এক্সের এসোসিয়েশান লিডার এরিয়েল দাড়িয়ে আছে। এরিয়েল এমন একজন মানুষ যার বয়স অনুমান করা অনেক কষ্টকর। দেখতে সে আঠারো বছরের হলেও তার বয়স আঠারো বছর যাবৎ আঠারোই আছে। অবশ্য এটা তারই একটা উইশ ছিলো উইশ মেকারের কাছে। তিনটা উইশের মধ্যে একটা ছিলো, তার বয়স না বারার। বলতে গেলে তার বয়স এখন চৌত্রিশ। তার ইচ্ছাটার ফলে শুধু বাইরে থেকে তার বয়স বোঝা যাবে না। এমন নয় যে একশো দুইশো বছর বেশী বাঁচার সুযোগ পাবে সেটার ফলে।
একজন মানুষের সর্বোচ্চ বয়স একশো বছর। তবে গড় বয়স ষাট বছরের মতো। এর থেকে বেশী সে বাঁচতে পারে না। আর এই নষ্ট হয়ে যাওয়া ওয়ার্ল্ডে তো পঞ্চাশ বছরই কেউ বাঁচতে পারে না। তবে বয়স এরিয়েলকে সীমাবদ্ধ করে নি। যা কিছু হচ্ছে সব তার লেখা একটা গল্প এবং তার একটা ইচ্ছার জন্যই হচ্ছে। "গেম অফ গড" তারই লেখা একটা গল্প ছিলো। গল্প বললে ভুল হবে একটা উপন্যাস। যেটা বই আকারে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বের করেছিলো। তবে সব স্বপ্ন তো আর পূর্ন হয় না। চার পাঁচটা বই ছাড়া বিক্রি হয় নি তখন। একজন লেখিকার কাছে এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে। শুধু কি এটায়? চার পাঁচজন যারা বইটা কিনেছিলো তাদেরই একজন গল্পটা কপি করে নিয়ে বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়েছিলো। যেখানে আসল লেখিকার নামও উল্লেখ ছিলো না।
এরিয়েল ছাদের উপরে দাড়িয়ে পূর্বের কথা গুলো ভাবতে লাগলো। আঠারো বছর হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো সব কিছু স্পষ্ট মনে আছে তার। এক সময় কষ্ট এবং রাগে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আত্মহত্যা করার কিন্তু সময় তাকে একটা সুযোগ দিয়েছে। তার দেখা হয়েছিলো উইশ মেকারের সাথে। যার মাধ্যমে সে তার উইশ পূরন করতে পেরেছে।
-->>যা কিছু হচ্ছে সব আমার গল্পের মতোই হচ্ছে।(এরিয়েল)
এরিয়েল যেহেতু এই ওয়ার্ল্ডকে তার উপন্যাসের মতো করেছে তাই সে সব গোপন কিছুই জানে। এতো দিনে এরিয়েলের বয়স চৌত্রিশ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু তার উইশের ফলে এরিয়েলের বয়স এখনো আঠারো রয়েছে। যদিও তার মাইন্ড এতোদিনে চৌত্রিশে পৌছে গেছে। এরিয়েলের ইচ্ছার ফলে বৃদ্ধ বয়সে মারা যাওয়ার সময়ও তাকে আঠারো মনে হবে। যেহেতু মানুষের বয়সের লিমিট রয়েছে তাই এরিয়েল তার নিজের গল্পের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েছে এবং সেই লিমিটকে পার করেছে।
তাই বয়স নিয়ে এরিয়েলকে কোনো চিন্তা করতে হচ্ছে না আপাতোতো। তারপরও,
-->>আমি আমার এই লিমিটকে অতিক্রম করতে চাই।(এরিয়েল)
এরিয়েল ছাদের উপরে দাড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো। জ্যাক কলেজের ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো সেদিকে এরিয়েল মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে ছিলো। তারই পিছনে এমিলি নামক মেয়েটা হেটে যাচ্ছিলো। এরিয়েলের কিছুটা রাগ হলো কারন রিচুয়ালে সে কোনো প্লেয়ারকে সরাসরি সাহায্য কিংবা আক্রমন করতে পারবে না। তাই এমিলিকে সে ইগনোর করতে চাইলো।
-->>আমি জানি না কি ভেবে আমি এই চরিত্র তৈরী করেছিলাম। যদিও এটা আসল গডেস অফ ওয়ার নয় তারপরও আমার লেভেলে আমি কোনো কিছুই করতে পারবো না তার সাথে।(এরিয়েল)
এরিয়েল নিজের সাথেই কথা বলছিলো। আজ অনেক দিন হলো সে চুপচাপ ছিলো। কিন্তু গল্পের হিরোর চলে আসার পর থেকে আস্তে আস্তে পাল্টে যাচ্ছে সে।
-->>যদিও গল্পের নায়কের এখন আসার কথা নয়, তবে আমার উপস্থিতির জন্য হয়তো স্টোরি কিছুটা চেন্জ হয়েছে।(এরিয়েল)
এরিয়েল ভাবতে লাগলো। তার গল্প অনুযায়ী আকাশ চৌধুরীর মারা যাওয়ার কথা। আর "গড অফ ডেড" এর রিংটা গল্পের হিরোর কাছে যাওয়ার কথা। তবে এরিয়েল বুঝতে পারলো তার উপস্থিতির কারনে গল্পের কাহিনী কিছুটা চেন্জ হয়েছে। যেখানে আকাশের মারা যাওয়ার কথা ছিলো সেখানে সেই গল্পের হিরো হয়ে আছে। আর যেহেতু রিংটা আকাশের কাছে আছে তাই এরিয়েল চাইলেও কিছু করতে পারবে না। কারন গল্পের নায়কের কাছে এমন ক্ষমতা আছে যে মারা গেলে সময় এক ঘন্টা পিছনে চলে যায়।
-->>আই হোপ বাকি কিছু স্মুথ ভাবেই শেষ হবে।(এরিয়েল)
এরিয়েল ছাদেই দাড়িয়ে রইলো। এখন আর তার কিছু করার নেই। এই রিচুয়ালের মধ্যে নাক গলালে তার সাথে অনেক ভয়ানক কিছু হবে যেটা শুধু সেই ভালো করে জানে।
* * *
(জ্যাক চরিত্রে)
আমি কলেজ থেকে বের হলাম। ভেবেছিলাম হয়তো লোকজন আমাকে আক্রমন করবে কিন্তু এমন কিছুই হলো না। তাই নিজের আগ্রহকে পাশে রেখে আমি একটা গলির মধ্যে প্রবেশ করলাম। এই পৃথিবীর অবস্থা এমনিতেই খারাপ। পূর্বে এরিয়েল নামক মেয়েটার সাথে একটা ছেলে দেখেছিলাম যে অদৃশ্য হতে পারে। এজন্য আমি নিজেকে এখন সুরক্ষিত মনে করে নি। প্রতি মিনিটে মনে হচ্ছে আমার সাথে কেউ রয়েছে।
আমি গলির মধ্যে প্রবেশ করে আশেপাশে দেখে নিলাম। আসার সময় হোস্টেলের রুম থেকে আমি আমার ব্যাগ নিয়ে এসেছি যার মধ্যে আমার মাক্স এবং বাকি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। আমি আমার হাতে দুটো গ্লোভস এবং মুখে লাল মনস্টার মাক্সটা পরে নিলাম। দেখতে ভয়ঙ্কর হলেও এটা আপাতোতো আমার পরিচয় লুকিয়ে রাখতে পারবে তাই অনেক কাজের জিনিস। যেহেতু আমার একাউন্টে আমার নাম জ্যাক তাই আকাশকে খোজার চেষ্টা করবে না কেউ। আর যেহেতু অনেকেই আমাকে জ্যাক নামে চিনে না শুধু মাক্সম্যান নামে চিনে তাই জিনিসটা আরো সহজ হয়ে যাবে।
* * *
জ্যাক প্রস্তুত হয়ে গেলো এবং গলি থেকে বের হতে লাগলো। কোনো চোখ তার দিকে তাকিয়ে ছিলো না। তবে সে বের হওয়ার পরে একটা গাড়ি ঠিকই তার জন্য অপেক্ষা করছে। জ্যাক বুঝতে পারলো সেটা এমিলির গাড়ি। কালকে লা লিগার সামনে সে দেখেছিলো গাড়িটা। যেহেতু এলেক্সের এই মেয়েটার সাথে কথা বলা নিষেধ তাই সে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। আজকেই একটা নির্মম অবস্থার শিকার হয়েছিলো। এরিয়েল যে বলেছিলো তার কথা অমান্য করলে খারাপ কিছুই হবে সেটা জ্যাক খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে। তাই সে পিছন দিয়ে বেরিয়ে পরলো। একটা মেয়ের সাথে কথা বলার থেকে নিজের জীবনটা অনেক গুরুত্বপূর্ন তার কাছে।
অন্যদিকে গাড়ির মধ্যে বসে থাকা এমিলি অনেকটা বিরক্ত হচ্ছে। সে আশা করেছিলো জ্যাককে এই একমাস সুরক্ষিত রেখে ইমপ্রেস করবে, কিন্তু জ্যাক তাকে দেখে আরো উল্টো চলে গিয়েছে। এমিলি বুঝতে পারলো জ্যাক এবং তার মধ্যে তৃতীয় কেউ রয়েছে। যার জন্য এমিলির প্লান গুলো ভবিষ্যতে কাজে আসবে না।
এমিলির কাধে তার পেঁচাটা বসে ছিলো। সে তার পেঁচার দিকে তাকালো। সাথে সাথে তার পেঁচা বলতে শুরু করলো,
-->>মাস্টার আপনি যেটা ধারনা করেছেন তেমনই। পোসেইডন এবং আপনার মধ্যে তৃতীয় এক ব্যক্তি রয়েছে। একটু পূর্বে এসোসিয়েশান এর যে সাদা ড্রেস পরা মেয়ে দেখতে পারছিলেন সেই।(পেঁচা)
-->>মেয়েটার শরীর থেকে আমি অন্যরকম একটা এনার্জি অনুভব করতে পারছিলাম যেটা পূর্বে কখনো দেখি নি। তাহলে সেই মেয়ে আমার প্রতিশোধের মধ্যে আসছে।(এমিলি)
-->>আমি কি তাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিবো মাস্টার?(পেঁচা)
-->>না সেটার প্রয়োজন হবে না। তোমাকে যেটা বলেছি সেটা করেছো কিনা?(এমিলি)
-->>হ্যা আমি পোসেইডন এর উপরের ডেড কার্স সরিয়ে দিয়েছে। এখন সে আপনার সাথে কথা বললে কিছুই হবে না।(পেঁচা)
-->>আমি ঠিকই মনে করছিলাম। এজন্যই তো সকালে সে ইচ্ছা করে আমার সাথে কথা বলে নি।(এমিলি)
-->>তাহলে মাস্টার এখন কি করবেন?(পেঁচা)
-->>একজন সাধারন মানুষ তো আর একজন গডেস এর সাথে কোনোদিনও জিততে পারে না। আমি ও দেখবো পোসেইডনকে কতদিন আমার থেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে। হাহাহাহাহা।(এমিলি)
-->>এটা সরাসরি বললেই হয় যে আপনি পোসেইডনকে হত্যা করতে চান।(পেঁচা)
-->>আরে না এটা তো কথার কথা ছিলো। ওর জন্য তো মৃত্যু সবচেয়ে কম যন্ত্রনা দায়ক হবে। আমার সাথে যেটা করেছে এর জন্য তো ওকে তিল তিল করে কষ্ট দিবো।(এমিলি)
এমিলির চোখ জ্বলজ্বল করছিলো। উত্তেজিত ছিলো তার ভবিষ্যৎ প্লান নিয়ে।
অন্যদিকে জ্যাক বেরিয়ে গেলো গলির বিপরীত দিক দিয়ে। তার কাছে পুরো ব্যাপারটা এখনো ক্লিয়ার হচ্ছে না। অডিটোরিয়ামে ভালো ভাবে সে কোনো কিছু ভাবার সময় পাই নি। এমনিতে এসোসিয়েশানের লোকদের প্রেসার আর শেষের রিচুয়াল যেটা কখনো কেউই আশা করে নি। জ্যাক তখন তার ব্রেইন সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারে নি। এটা ভালো হয়েছে যে ঠিক সময়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে নাহলে আরো ভয়ানক কিছু একটা হতে পারতো।
কালকে রাতে বৃষ্টি হয়েছে যার কারনে রোডের উপরে পানি জমে আছে। বেশ কিছু গাড়ি চলছিলো। জ্যাক রোডের পাশের ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো। সে চিন্তা করছে কি করবে এটা ভেবে।
"আমার কাছে একটা ক্ষমতা রয়েছে যেটা কোনো কাজেই আসবে না ফাইটের সময়। হ্যা মারা যাওয়ার পর জীবিত হওয়া একটা ভালো ক্ষমতা কিন্তু প্রত্যেক ঘন্টায় ঘন্টায় মারা যাওয়া মোটেও ভালো জিনিস না।"
জ্যাক তার গভীর চিন্তায় ব্যস্ত ছিলো। সে খেয়াল করে নি। একটা গাড়ি রোড দিয়ে যাচ্ছিলো যার চাকার স্পিডে রোডের পানি উড়ে তার দিকেই আসছিলো। জ্যাকের শরীরে স্পর্শ করার পূর্বেই পানিটা দুই ভাগ হয়ে জ্যাকের পাশ দিয়ে কেটে গেলো। জ্যাক চিন্তা মগ্ন থাকার ফলে বুঝতেই পারলো না এই জিনিস। সে যে ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো তার পাশেই একটা গ্লাস করা বিল্ডিং রয়েছে। যার মধ্যে জ্যাকের হেটে যাওয়া শরীরের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছি। ক্ষনিক সময়ের জন্য আকাশের যে শরীর সেটা চেন্জ হয়ে গেলো। প্রতিফলনে লম্বা একটা মানুষ দেখা গেলো, আবার ক্ষনিকের জন্য ডান চোখ লাল এবং বাম চোখ নীল রঙের একজন মানুষকে দেখা গেলো। আবার ক্ষনিকের জন্য ছোট খাটো বিশ্রী চেহারায় একজনকে দেখা গেলো। তিনটা প্রতিফলনই খুব তারাতারি চেন্জ হলো যেটা জ্যাকের চোখের মধ্যে আসলোই না।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।