আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্ব: ১৬

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]



#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:১৬


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


অনেক বছর পূর্বে,




পোসেইডন তার প্রাসাদে বসে আছে। তার প্রাসাদটা বিশাল সমুদ্রের উপরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এটা পোসেইডন এর দ্বিতীয় প্রাসাদ। পোসেইডন অলিম্পাস এর সেরা তিন গডের মধ্যে একজন। যে অলিম্পাস এর গডদের কিং জিউস এর ভাই। 


বিসন্ন মনে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশে অলিম্পাস অবিস্থিত যেখানে রাজ করে কিং জিউস। সে আকাশের দিকে ডান হাত তুলে মুঠো তৈরী করলো। 



"অলিম্পাস"



অনেক দিন যাবৎ সে অলিম্পাসের অবস্থা খেয়াল করছে। যে অলিম্পাসকে সুন্দর করার জন্য তারা আপ্রান চেষ্টা করেছিলো, যেটাকে নতুন ভাবে তৈরী করার জন্য নিজেদের বাবাদের হত্যা করেছিলো, আজ সেই অলিম্পাস আবারো পূর্বের মতো হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি লাভ হয়েছিলো এতো ত্যাগ করে। পোসেইডনের মনে এই চিন্তাগুলোই ভাসছে শুধু। তার সামনে দাড়িয়ে ছিলো ম্যাডুসা যাকে ওয়াটার স্যাইন্ট(সাধু) ও বলা হয়ে থাকে। গড অফ ওয়াটার হিসাবে পোসেইডন পানির সকল বস্তুর উপরে রাজ করে। তাই তো পানির সকল জীবিত বস্তু তাকে কিং এর উপাধী দিয়েছে।



-->>মাই কিং, আপনি কি কোনো জিনিস নিয়ে চিন্তিত?(ম্যাডুসা)



ম্যাডুসা যাকে একজন স্যাইন্ট বলা হয় মূলত তার ব্লাডলাইন গরগন থেকে এসেছে যা ওয়ার্ল্ড শুরুর দিকে সবচেয়ে জ্ঞানী মনস্টারের একজন। ম্যাডুসা পোসেইডন এর দিকে তাকিয়ে আছে অনেক ব্যাকুল ভাবে। যদিও পোসেইডন এর সেবা করার জন্য অনেক মেয়ে আছে প্রাসাদে তারপরও ম্যাডুসা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তার ভালোবাসার ব্যক্তিটার সেবা করতে। পোসেইডন আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলতে লাগলো,



-->>ম্যাডুসা, তোমার কি মনে হয় অলিম্পাস কি পারবে নতুন যুগে পা রাখতে, যেটার জন্য আমরা এতো কিছু ত্যাগ করেছি।(পোসেইডন)



ম্যাডুসা কিছুটা চিন্তিত হলো। সে তার কিং কে কখনোই অলিম্পাস নিয়ে ভাবতে দেখে নি। তাই কিছুটা অবাক না হয়ে পারলো না। পোসেইডন খুবই আলাদা একজন গড। যেখানে সব গড ক্ষমতার জন্য পাগল থাকে সেখানে পোসেইডন কোনো কিছু নিয়েই চিন্তা করে না। সে এমন একজন গড যে অলিম্পাসে থাকতে পছন্দ করে না তাছাড়া যখন যা মন চাই সেটা করতেই পছন্দ করে। পোসেইডন যে একটা কিং সে এটা নিজেই জানে না। কারন তার এই বিশাল কিংডম এ তাকে সবাই কিং মানলেও নিজেকে সে কখনো কিং মনে করে না। ঘুম, খাওয়া এবং মাঝে মাঝে নিজের ট্রিশুলটা নিয়ে মনস্টারদের সাথে যুদ্ধ করা এটায় তার প্রতি দিনের কাজ। তাই ম্যাডুসা অবাক হচ্ছে হঠাৎ তার কিং এর কথা শুনে।


ম্যাডুসাকে ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে সেরা সুন্দরীর একজন ধরা হয়। যদিও সে একজন গড না তারপরও একজন গডের সাথে তার চেহারা তুলনা করা হয়। পোসেইডন ম্যাডুসার দিকে একবার তাকালো। মুখে একটা ঘোমটা দেওয়া ম্যাডুসার যার ফলে তার চেহারা পোসেইডন আর এথিনা ছাড়া আর কেউই দেখে নি। 



-->>মাই কিং, আমি আপনাকে কখনো অলিম্পাস নিয়ে চিন্তা করতে দেখি নি। কি ভাবছেন সেটা কি আমার সাথে একটু শেয়ার করবেন।(ম্যাডুসা)



ম্যাডুসার চেহারার সাথে তার গলার কন্ঠটাও মধুর। তাইতো পোসেইডন এর ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের মধ্যে তার সবচেয়ে কাছেই থাকে ম্যাডুসা। পোসেইডন আবারো আকাশের দিকে অলিম্পাসকে ভাসমান দেখে বলতে লাগলো,



-->>আমি অলিম্পাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছি।(পোসেইডন)



পোসেইডন জানে তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র জিউসই ছিলো যে কিনা কিং হওয়ার ক্ষমতা রাখতো। কিন্তু বর্তমানে সে লক্ষ করছে জিউস আর পূর্বের মতো নেই। তাই তো অলিম্পাসকে নিয়ে সে চিন্তা না করে পারছে না।



-->>তোমার মধ্যে তো গরগনের ব্লাড রয়েছে। তাই এটুকু বলা তো সহজ হবে।(পোসেইডন আবারো বললো)



ম্যাডুসা কখনো তার কিং এর কথা অমান্য করে নি। তবে সে তার এই রূপ তার ভালোবাসার ব্যক্তিতার সামনে দেখাতে চাচ্ছিলো না। 



-->>আমি আমার এই রূপ আপনার সামনে দেখাতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু,



ম্যাডুসা কথাটা বললো। তার চোখ সাধারন থেকে হঠাৎ সাপের মতো হয়ে গেলো। দুই চোখের দুই পাশ থেকে কিছুটা ব্লাড বের হতে শুরু করলো। কিছু মুহূর্ত পরেই আবার তার চোখ স্বাভাবিক হয়ে গেলো। হাতে থাকা সাধারন একটা কাপড় দিয়ে ব্লাডটা মুছে নিলো সে। মাথায় একটা পাতলা ঘোমটা ছিলো তবে পোসেইডন এর সামনে সেটা একদম স্পষ্ট ছিলো যেখানে অন্য কেউ ম্যাডুসার রূপকে দেখতে পারতো না। পোসেইডন অবাক হলো না কারন সে গরগনের বংশধরকে পূর্বেও এই ক্ষমতা ব্যবহার করতে দেখেছে।



-->>মাই কিং, আপনি ঠিকই জানেন আকাশে কখনো সাগরের পানি পৌছায় না। তারপরও আপনি যে ভবিষ্যৎ চাচ্ছেন সেটার জন্য আরো অনেক কিছু ত্যাগ করতে হবে।(ম্যাডুসা)



ম্যাডুসা পোসেইডন এর দিকে তাকালো না। তার মনটা অনেকটা খারাপ হয়ে গিয়েছে সেটা তার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। পোসেইডন বুঝতে পারলো ম্যাডুসা কি বলতে চাচ্ছে। পোসেইডন ক্ষমতার পাগল না। কারন সে জানে যতই শক্তিশালী সে হোক আকাশকে কখনোই নিচের পানি হারাতে পারবে না।



"ত্যাগ, তাহলে আরো ত্যাগের প্রয়োজন হবে।"(পোসেইডন ভাবতে লাগলো)



তাদের ভাবনা হঠাৎ থেমে গেলে যখন প্রাসাদে এথিনা প্রবেশ করলো। দেখতে পনেরো বছরের ছোট বাচ্চা হলেও এই মেয়েটার বয়স মোটেও অনুমান করা ঠিক না। আর তাছাড়া বর্তমানে ধরা হয় ভবিষ্যতে জিউসের থেকে বেশী শক্তিশালী হবে এই এথিনা। পুরো অলিম্পাস জানে পোসেইডন এবং এথিনার সম্পর্ক মোটেও ভালো না। লড়াই ঝগড়া তাদের মধ্যে সব সময় থাকে। তবে ভিতরের কথা কি মোটেও কেউ জানে? ম্যাডুসাকে পোসেইডন এর সামনে দেখতে পেয়ে হিংসায় জ্বলে যাচ্ছিলো এথিনা।




* * * * *



জ্যাক ঘুম থেকে ছিটরে উঠলো। একটা আজব স্বপ্ন দেখেছিলো সে। এরকম স্বপ্ন আদৌও কখনে দেখে নি। স্বপ্নের একটা বিষয় তার কাছে ভালো লাগে না। ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে মনে থাকে কিন্তু কিছুক্ষন পর সেটা আর মাথায় থাকে না। জ্যাকের সাথেও এমনটা হলো, স্বপ্নে কি দেখেছে সব ভুলে গেলো। 


কাল সারা দিন কোনো সমস্যা হয় নি তার।  খাবার এবং রাতে থাকা নিয়ে অনেক চিন্তায় ছিলো জ্যাক। তবে ভাগ্য ভালো ছিলো তার দেখা হয়েছিলো জিতুর সাথে। রাজ খানের শক্তিশালী একজন ফাইটার। জ্যাকের কাছ থেকে হারার পর তার প্রতি সম্মান তৈরী হয়েছিলো জিতুর। তাইতো জ্যাককে দেখার সাথে সাথে তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। 


-->>অবশ্য অফার টা খারাপ ছিলো না।(জ্যাক)



জ্যাক নিজের সাথেই কথা বলতে লাগলো। খাবার এবং থাকার একটা জায়গা সে পেয়ে গিয়েছিলো জিতুর সাহায্যে। তবে এমন নয় যে প্রতিদিন এখানে সে থাকতে পারবে। তাই আজকে তাকে বের হতে হবে। স্বপ্নের কথা ভুলে গিয়ে জ্যাক নিজের জামা কাপড় ঠিক করে নিলো। মুখে মাক্স পরেই সে শুয়েছিলো।



-->>ভাগ্য ভালো ছিলো এটা একটা ম্যাজিকাল আইটেম।(জ্যাক)



জ্যাক প্রথম দিন মাক্সটা ব্যবহার করার পরই বুঝতে পেরেছে সেটা একটা ম্যাজিকাল আইটেম। আর এই মাক্সের ক্ষমতা তার ইউজারের পরিচয় গোপন রাখা। জ্যাক যদি তার পরিচয় গোপন রাখতে চাই তাহলে এর থেকে ভালো জিনিস আর হতে পারে না। জ্যাকের ইচ্ছা ছাড়া এক ভাবেই এই মাক্স খোলা যাবে তার মুখ থেকে। আর সেটা হলো শক্তি দিয়ে ভাঙা। তবে এটা অনেক শক্ত একটা মাক্স যেটাকে শক্তি দিয়ে ভাঙা কষ্টকরই হবে। জিতু যদিও সম্মান করছে জ্যাককে অনেক তারপরও জ্যাক নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য পুরো রাত মাক্স পরে ছিলো।


জ্যাক বের হলো রুম টা থেকে। এটা এক তালা একটা বিল্ডিং যার মধ্যে কয়েকটা রুম রয়েছে। জিতু তার পরিবার নিয়ে এখানে থাকে। তাদের অবস্থা তেমন ভালো না সেটা জ্যাক দেখেই বুঝতে পারছে কাল রাতে। তবে জ্যাক মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে জিতুকে রাতের খাবারের জন্য। আলাদা রুমে খাবার খেয়েছিলো যাতে কেউ তার চেহারা দেখতে না পারে। আর সেই সাথে জিতুর ব্যবহারও অনেক ভালো ছিলো।



-->>আমি যতটা মনে করেছিলাম তার থেকে খারাপ অবস্থা।(জ্যাক)



জ্যাক বুঝতে পারছে না একজন ধনী ব্যক্তির পারশোনাল ফাইটার হওয়ার পরও জিতুর বাসার এবং পরিবারের হাল এরকম কেনো। তবে সে প্রশ্ন জ্যাক করতে পারে নি। তবে একটা ভালো জিনিস জানতে পারলো মাত্র। ডাইনিং টেবিলে জিতু এবং তার স্ত্রী বসে কথা বলছিলো,



-->>তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো এই ব্যক্তিই তোমাকে হারিয়েছিলো দুদিন আগে?(জিতুর স্ত্রী)



-->>হ্যা। আমি তোমাকে বলেছি না উনি একজন শক্তিশালী মাস্টার।(জিতু)



-->>শক্তিশালী দিয়ে কি হবে? এমনিতেই আমাদের পরিবারের এই অবস্থা। আর এই ব্যক্তির জন্যই তো তেমার চাকরি চলে গিয়েছে তাই না?(জিতুর স্ত্রী)



-->>তুমি ভুল বুঝতেছো। এতে উনার হাত নেই। তুমি তো জানোই রাজ খান কখনো হেরে যাওয়া ফাইটারকে তার কাছে রাখে না।(জিতু)



-->>সব শেষে এই ব্যক্তির জন্যই তুমি চাকরি হারিয়েছো এবং এই ব্যক্তিকেই তুমি খায়াচ্ছো। জিতু আর কতদিন বলোতো? আমি এখানে এভাবে থাকতে পারছি না। টাওয়ার আমাকে বার বার ডাকছে প্রবেশের জন্য।



-->>চিন্তা করো না তুমি। আমি শুনেছি রিচুয়াল চালু হয়েছে। এবার তো যে করেই হোক টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ আমি পাবো। তারপর দুজনে এক সাথে প্রবেশ করবো।(জিতু)



-->>তোমার কথায় যেনো সত্য হয়। টাওয়ার কিন্তু আমাকে এখানে থাকার জন্য আর সময় দিচ্ছে না।(জিতুর স্ত্রী)



-->>আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।(জিতু)




জ্যাক দুজনের কথা বার্তা শুনে বুঝতে পারলো তার কারনে জিতু তার চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে। আরো ভালো একটা ইনফরমেশন সে পেলো। জিতুর স্ত্রী টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে যেটার কারনে জিতুরও একটা সুযোগ লাগবে।


টাওয়ার দুই ভাবে লোক প্রবেশ করায় তার ভিতরে। এক রিচুয়ালের মাধ্যমে। আরেক হলো টাওয়ার নিজেই কিছু ব্যক্তিদের কোনো টেস্ট ছাড়াই সুযোগ দিয়ে থাকে। আর জিতুর স্ত্রী সেই সুযোগ পাওয়া একজন।


কাল জিতুর সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথে অনেকটা সম্মানের সাথে জিতু জ্যাককে তার বাসায় আসার দাওয়াত দেই। যেহেতু একদিন এক জায়গায় জ্যাকের থাকার দরকার ছিলো তাই জ্যাক সে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু এখন জ্যাক বুঝতে পারলো,



-->>তাহলে আমার জন্য এই পরিবারে আরো বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে।(জ্যাক)



জ্যাক ডাইনিং রুমে প্রবেশ করলো। তার মুখের মনস্টার মাক্স দেখতে পেয়ে জিতুর স্ত্রী আর কোনো কথা বললো না। মনের মধ্যে কিছুটা ভয় তার কাজ করতে শুরু করলো। যদিও সে এতোক্ষন অনেক কিছুই বলছিলো মাক্সম্যানের বিরুদ্ধে, কিন্তু আর কোনো কথা বের হলো না। জিতু চিন্তিত হলো মাক্সম্যান তাদের কথা শুনেছে কিনা, তাই নিজে থেকেই বলতে শুরু করলো।



-->>আমি দুঃখিত মাস্টার। আমি জানি আমার বাসা তেমন আহামরি নয়, হয়তো আপনার সমস্যা হয়েছে।(জিতু)



জিতুর কথা বার্তা অনেক স্বাভাবিক ছিলো। জ্যাক লক্ষ করলো লোকটার মধ্যে একটা ভালো দিক রয়েছে। এখনো কোনো খারাপ ব্যবহার জ্যাক লক্ষ করে নি। তাছাড়া জ্যাক কখনো কারো উপকার ভুলে না। একজন কিং হিসাবে সে সব সময় সবার উপকার মনে রেখেছে এবং পরবর্তিতে তাদের সাহায্য করেছে। যদিও তেমন সুযোগ পায় নি কারন সব কিছু খুব তারাতারি শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে জ্যাক ভালো মনের মানুষ। অন্তত বলা যায় তার ডেভিল অংশ বাদে সে ভালো একজন মানুষ।



-->>মিস্টার জিতু আমি সোজা কথায় আসি। যেহেতু তুমি তোমার চাকরি হারিয়েছো তাই আমি তোমাকে একটা প্রপোজাল দিচ্ছি।(জ্যাক)



হঠাৎ জিতু চোখ বড় করে জ্যাকের দিকে তাকালো। সে সন্দেহ করেছিলো যে হয়তো জ্যাক তাদের কথা শুনেছিলো কিন্তু সেটা সত্য হওয়ার জন্য মনের মধ্যে খারাপ লাগতে শুরু করলো তার। জিতু মন থেকে একজন মার্শাল আর্টিস্ট, যে কখনো তার ক্ষমতা খারাপ কাজে ব্যবহার করতে চাই নি। তবে এই ওয়ার্ল্ডই এখন এরকম যেখানে ভালো মানুষের দাম নেই। দুই বেলা খাবার খাওয়ার জন্য হলেও অন্যের কথা শুনতে হবে। 



-->>প্রপোজালটা একদম সহজ। শুধু এক মাস আমার বডিগার্ড হিসাবে থাকতে হবে। পেইমেন্ট হিসেবে এক মাস পরে নিজেকে আমার সাথে টাওয়ারের মধ্যে পাবে।(জ্যাক)



জ্যাক ডিটেইলসে না গিয়ে জিতু যেনো সহজে বুঝতে পারে সেভাবে কথাটা বললো। জিতু ভাবতে লাগলো সে কি করবে। অতীতে অনেক চেষ্টা হয়তো সে করেছে কিন্তু সেগুলো তার মনে নেই। কারন রিচুয়াল এর পরে সবার স্মৃতিই মুছে যায়, শুধু প্লেয়ারদের নই বরং পুরো এরিয়ার সবার স্মৃতি মুছে যায় রিচুয়াল সম্পর্কে।


জিতু ভাবতে লাগলো। সে জানে তার সামনের ব্যক্তিটা একজন মাস্টার। তার প্রপোজাল মোটেও খারাপ হতে পারে না। কিন্তু জিতু তার নিজের ক্ষমতাকে সন্দেহ করতে লাগলো। একজন মাস্টার লেভেল মার্শাল আর্টিস্ট হওয়ার ক্ষমতা কি সে রাখে?



-->>তো কি করবে?(জ্যাক)




জ্যাক জিতুর দিকে তাকিয়ে রইলো। সে জিতুর মুখ দেখেই বুঝতে পেরেছে সে কি ভাবছে। জিতু জ্যাককে একজন মাস্টার মনে করলেও জ্যাক সাধারন একজন মানুষ ছাড়া কিছুই নয়। তার কাছে একটা ক্ষমতা রয়েছে যেটা শুধু তাকে মৃত থেকে এক ঘন্টা পূর্বে পাঠিয়ে দেই। নিজের কাছে আক্রমনের কোনো ক্ষমতা না থাকায় এই এক মাসের মধ্যে একজন বিশ্বস্ত লোক দরকার। এমন নয় যে জ্যাক নিজের জীবনের ভয়ে জিতুকে এই প্রপোজাল দিচ্ছে। জ্যাকের কাছে এমন ক্ষমতা আছে যেটা তাকে তার মৃত্যুর এক ঘন্টা পূর্বে পাঠিয়ে দিবে। তাই কারো এট্যাক এর ভয় তার নেই। 


তবে যদি জ্যাক রিচুয়ালের প্রথম টেস্ট পাশ করতে চাই তাহলে তাকে বাকি গোল্ড কয়েন দরকার। আর তার জন্য বিলিয়ন টাকা রিচার্জ প্রয়োজন। জ্যাক কখনো নিজে একা এতো টাকা সংগ্রহ করতে পারবে না। কিন্তু যদি তার কাছে একটা শক্তিশালী মার্শাল আর্টিস্ট থাকে তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।



-->>ঠিক আছে মাস্টার জ্যাক। আপনার কথাকে আমি বিশ্বাস করলাম। এক মাস আমি সর্বদা আপনার পাশে থাকবো।(জিতু)




জ্যাক এতোক্ষন অন্যকিছু ভাবতে ছিলো। আর এই সুযোগে জিতু তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে জ্যাককে কথাটা বললে। সে রাজি হবে এটা জ্যাক ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলো।



-->>তো মাস্টার আমরা কি করবো?(জিতু)



জ্যাক বুঝতে পারলো জিতুর মাথা অনেক দ্রুত কাজ করে। এরকম একজনকে সাথে রাখা জ্যাকের জন্য ভালো একটা সিদ্ধান্ত ছিলো। জ্যাক সত্যি একটা কিছু ভাবছিলো, আর জিতু সেটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু আদৌও সেটা সত্য নাকি সেটা জিতু জানে না।



-->>আমরা যাচ্ছি চৌধুরী পরিবারে রিচার্জ করাতে।(জ্যাক)




* * * 


To Be Continued 


* * * 



কেমন হলো জানাবেন।


About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

3 comments

  1. অনেক সুন্দর হইছে সামনে মনে হয় আরও ইন্টারেষ্টিং কিছু অপেক্ষা করছে
  2. Awesome
  3. আজকের পর্বটা অনেক সুন্দর হইছে, সামনের পর্বে মনে হয় আরও থ্রিলিং কিছু অপেক্ষা করছে। তবে আজকের পর্বটা অনেক ছোট লাগলো, যেন পড়া শুরু করতে করতে শেষ হয়ে গেল।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.