আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্ব: ১৭

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]



#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:১৭


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


শুনেছি দুনিয়াতে সবাইকে সৃষ্টিকর্তা সমান যত্নে তৈরী করেছে। তবে আমার ক্ষেত্রে এই কথাটা কাজ করে না হয়তো। জানি না আমার জন্ম কিসের জন্য হয়েছে এই দুনিয়াতে। তবে মাঝে মাঝে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে কেনো জন্ম হলো আমার। হয়তো জন্ম না হলেই ভালো হতো আমার। আমার অনেক সময় মনে হয় হয়তো পূর্বের জন্মে শক্তিশালী কেউ আমাকে অভিশাপ দিয়েছে। 

আমার নাম হৃদয় বাপ্পী আর আমি আপনাদেরকে বলতে যাচ্ছি আমার এক কাল্পনিক গল্প, তাই একটু কষ্ট ভরা দুনিয়ায় ঢোকার জন্য রেডি হয়ে যান।

সাল ২০১১, জানুয়ারী মাস,


প্রচুন্ড ঠান্ডা এবং এই ঠান্ডার মধ্যে স্কুলে যেতে হচ্ছে। স্কুল আমার এতোটাও পছন্দের জায়গা না। আমার বয়সী সকল ছেলেরায় স্কুলে যেতে পছন্দ করে, কারন সময়টা প্রাইমারী কিংবা কিন্ডারগার্ডেন এ পড়ার। আর এখন কার সবচেয়ে মূল্যবান একটা জিনিস হলো বন্ধু। আমি ক্লাস ফোরে পড়ালেখা করি। আমার ক্লাসে অনেক ছেলে মেয়ে আছে। সবার চেহারা আমার পরিচিত হলেও কেউ হয়তো আমাকে খেয়ালই করে না। প্লে, নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি পর্যন্ত মোট পাঁচটা ক্লাস পার করেছি কিন্তু এই পাঁচ বছরে একটা বন্ধুও হয় নি আমার। প্রথমে মনে হতো আমি অন্য সবার সাথে কথা বলতে লজ্জা পাওয়ার জন্য কেউ আমার বন্ধু হয় না, কিন্তু পাঁচটা বছর একা কাটার পরে আমি আবিষ্কার করলাম সমস্যা আমার কথা বলতে লজ্জা পাওয়ার জন্য না।


 আমি সবার সাথে কথা বলার চেষ্টাও করেছি তাতেও কোনো কাজ হয় নি কখনো। বরং সমস্যা আমাকে নিয়েই। রোগা একটা ছেলে আমি, সাইজেও আমি বাকি সবার থেকে অনেকটা বেটে, গায়ের রঙ কালো, মুখটা দেখতেও খারাপ। যেটা আমাকে বাকি সবার থেকে আলাদা করেছে। কেউ আমার সাথে বন্ধুত্ব করে না, বরং সবাই আমাকে এরিয়ে চলে। ক্লাসে বসে থাকলে এরকম মনে হয় যেনো আমি ক্লাসের মধ্যে থেকোও ক্লাসে নেই। আমি সব রকমের জিনিস চেষ্টা করেছি অন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য। কিন্তু কোনো কিছু কাজে দেই নি কখনো।


সবশেষে আমি বুঝতে পেরেছি বন্ধু হতে হলে আমাকেও বাকি সবার মতো সুন্দর হতে হবে। জানি না আমি সুন্দর হতে পারবো কিনা। তবে আমার আম্মা বলে, হাই স্কুলে গেলে নাকি সব ছেলেরা বদলে যায়। তখন অনেক নতুন নতুন বন্ধু হবে আমার। আম্মার কথা বিশ্বাস করে আমি আশা ছাড়ি নি আমিও সময় শেষে হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে গেলাম। 






সাল ২০১৫, জানুয়ারী মাস,


আজও আমি স্কুলে যাচ্ছি। ক্লাস এইটে উঠে পরেছি আমি। কিন্তু কোনো কিছু আজও বদলে যায় নি। শহরের একটা বিভ্যাত হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছি। যেখানে সকল ধনী ছেলে মেয়েরা পড়া লেখা করে। বাবার অঝোরো টাকা এবং আমার পড়ালেখার ঝোকের কারনে শহরের নামকরা হাইস্কুলে চান্স পেতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি। যদিও আমি ভেবেছিলাম হাইস্কুলে সব বদলে যাবে। বন্ধুত্ব হবে নতুন নতুন ছেলেদের সাথে। কিন্তু স্বপ্ন এখনো স্বপ্নই থেকে গেলো। বরং প্রাইমারীতে যদিও আমাকে ইগনোর করতো সবাই কিন্তু এখানে আমাকে ইগনোর করে না। সবার নজরেই থাকি আমি। প্রথমে বিষয়টা আমার এক বছরের মতো ভালো লেগেছে, কিন্তু ক্লাস সেভেনে উঠার পর থেকে আমি বিষয়টা বুঝতে পেরেছি। আমার ক্লাসের মধ্যে প্রায় ছেলে এবং মেয়েরা আমাকে নিয়ে মজা করে। আমার চেহারা এবং শরীর নিয়ে তারা মজা করে। আমি দেখতে কালো, বেটেও অনেক, এখন তো শরীরের চামড়াও বুড়ো মানুষের মতো ভাজ হয়ে গিয়েছে, তাছাড়া চেহারায় অনেকটা কুৎসিত ভাব রয়েছে। ক্লাসের কিছু শক্তিশালী ছেলে যারা নিজেদের ক্লাসের ডন দাবী করে তাদের সকল আদেশ আমাকে শুনতে হয়, তাদের অমান্য হলে তারা আমাকে আড়ালে নিয়ে মারধর করে। তাছাড়া ক্লাসের সকল ছেলেমেয়েরা তাদের সকল জিনিস যেমনঃ পেন্সিল, রাবার, সার্প্নার এমনকি টিফিনে খাওয়ার জিনিসও আমাকে দিয়ে করায়। প্রথম প্রথম জিনিসগুলো খারাপ লাগতো না। কারন আমার মনে হতো বাকি সবার মতো আমাকে তারা নিজেদের বন্ধু ভেবেছে হয়তো। বরং এখনো আমি এই আশায় আছি যে তারা সত্যিই আমার বন্ধু। বিশেষ করে আমার আম্মার কাছে আমি এটায় বলে বেড়ায়।



আমাদের ক্লাসে এখন মোট পঞ্চাশজন ছাত্র ছাত্রী আছে। যার মধ্যে আমার চোখ শুধু একজনের দিকেই থাকে সবসময়। যদিও সে আমাকে খেয়াল করে কিনা আমি জানি না। আমাদের ক্লাসের সবথেকে সুন্দরী মেয়ে যার নাম এলি। মূলত সবাই তাকে সংক্ষেপে এলি বলেই ডাকে। তার জন্য কলেজের সকল ছেলেরাই পাগল। আমি ভালোবাসা সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু জানি না, তবে পুরো ক্লাসের মধ্যে এই একজন মেয়ে যার জন্য আমাদের পুরো স্কুল পাগল। আমি কেনো তাকে পছন্দ করি সেটা নিজেও জানি না, তবে যে জিনিসটায় সবার নজর প্রথমে যায় তাকেই সবার পছন্দ হয়। আমার ক্ষেত্রেও সেরকম।



সাল ২০১৭, জানুয়ারী মাস,


আরেকটা জানুয়ারী মাসে চলে আসলাম। অনেক ঠান্ডা পরেছে। কিন্তু আমার অভ্যাস এখনো বদলো নি। ছোট থেকে আমি শীতে অনেক দুর্বল কারন একটায় আমার শরীরে ব্লাডের পরিমান অনেক কম। নাক দিয়ে পানি পরছে, আর সেটা হাতমুজোর সাহায্যে মুছে নিলাম। এরপর দাড়িয়ে রইলাম গেইটের সামনে। স্কুলের গেইট এখনো খুলে নি, মূলত একবছর পূর্বে আমি স্কুলে আসতে চাইতাম না। এক বছর পূর্বে একদিন হঠাৎ করেই আমি অনেক জলদি স্কুলে পৌছে যায় গেইট খোলার পূর্বেই। আর সেদিনই আমার দেখা হয় এলির সাথে। সে গেইটের সামনে দাড়িয়েই অপেক্ষা করছিলো। আমি গেইটের কাছে যেতেই সে কথা বলতে শুরু করলো।

.

--কেমন আছো?(এলি)

.

--.....(আমি অবাক হয়ে এদিক সেদিক দেখলাম)

.

--তোমাকেই বলছি।(এলি)

.

--ভালো।(আমি)

.

--তো আজকে এতো তারাতারি আসলো, রোজ তো এক ক্লাস দেরী করে ক্লাসে আসো।(এলি)

.

--এমনি।(আমি)

.

--ও তুমি তো এবারো ফার্স্ট এসেছো আমাদের ক্লাসে, তোমার জন্য আমি এবারো সেকেন্ড হলাম।(এলি)

.

--.....(আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলাম)

.

--দেখো তোমার ভয় পেতে হবে না। আমি ঔসব ছেলে মেয়েদের মতো না যারা তোমাকে দিয়ে কাজ করিয়ে বেড়ায়, বরং আমি সবার সাথে বন্ধত্বপূর্ন হয়ে থাকি। এবার আমি তোমার সেকেন্ড হয়েছি, কিন্তু সামনের পরীক্ষায় আর হবো না দেখো।(এলি)



আমি আর সেদিন কিছু বলতে পারি নি। কারন কয়েকটা মেয়ে চলে এসেছিলো, তাদের একজন আমাকে তার জন্য খাবার আনতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো তার জন্য। আর সেই দিনের পর থেকে আমি রোজ স্কুলে সবার প্রথমে যায়। শুধু একবার হলেও সবার আড়ালো এলির সাথে কথা বলার জন্য। সাধারনত ক্লাসে কথা হয় না কখনো ওর সাথে। ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী হওয়ার জন্য কখনো সময়ই হয় না ওর সাথে কথা বলার। কারন মধুর চারিদিকে মৌমাছি সব সময় থাকে। আর আমি সাহস করে এগিয়েও কখনো কথা বলতে পারি নি, কারন ওর দিকে তাকালেই ক্লাসের ছেলেরা আমাকে আড়ালে দিয়ে পিটায়।



আজও জলদি এসেছি স্কুলে তাকে একবার দেখার জন্য। কিন্তু একবছরের মধ্যে আর সেদিনের মতো দেখা আর হয়নি আমাদের। আমি যতবার এলির দিকে তাকায় ততোই নিজেকে নিঃস্র মনে হয়। কল্পনায় আমি তাকে নিয়ে অনেক কিছু চিন্তা করি, কিন্তু সেগুলো কখনো বাস্তব হবে না সেটা আমি আগে থেকেই জানি। কিভাবে হয়, একটা মেয়ে যে কিনা পুরো স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী এবং আমি তাকে নিয়ে ভাবি। এলির উচ্চতা পাঁচ ফিট চার ইঞ্চির মতো হবে, আর যেখানে আমি চার ফিট চার ইঞ্চি। এলির গায়ের রং, সাদা রঙ এবং চন্দ্রনের মিশ্রনে একটা সুন্দর রং তৈরী হয় সেরকম। আর আমার গায়ের রঙ কালো, এলির চুল গুলো সিল্কি এবং হাটু পর্যন্ত, যেখানে আমার চুল গুলো পাখির বাসার ঝোপের মতো। এলির চেহারা কতটা মশ্রিন, কিন্তু সেখানে আমার চামড়ায় তো ভাজ ধরেছে বুড়ো লোকের মতো। আমি জানি না আমার মতো ছেলে কখনো তার মতো মেয়ে পাওয়ার যোগ্য হবে কিনা। হয়তো এই জন্মে সেটা কখনো হবে না। আমার মনে এখনি হিংসা হয় যে এলির হাত ধরে হাটবে তাকে নিয়ে। যদি সৃষ্টিকর্তা আমাকে সেভাবে তৈরী করতো যেভাবে আমি অন্তত অন্য কারো বন্ধু হতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। 


দিনশেষে আমাকে ছেলেদের টয়লেটের এককোণায় পরে থাকতে হলো আজও। মুখ দিয়ে রক্ত পরছে, কয়েকজন মিলে আজকেও আমাকে মেরেছে। এটা প্রতিদিনের রুটিন হয়ে যাচ্ছে এখন। তারা প্রতিদিনই আমাকে মেরে এভাবে কোনো এক কোণায় ফেলে রেখে চলে যায়। বাবা কিংবা মাকে বিষয়টা বললে তারা আমাকে স্কুলে পাঠাবে না এই ভয়ে আমি তাদেরকে বলিও না। কারন স্কুলে না আসতে পারলে আমি এলিকে দেখতে পারবো না। আর আমি স্কুলে আসি শুধু ওকে একবার দেখার জন্য।

।।।

।।।

।।।

সাল ২০১৯, মাস জানুয়ারি।


কলেজে উঠেছি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে। ইচ্ছা ছিলো আমার শহরের ভালো একটা কলেজে পড়ার, কিন্তু এলি অন্য শহরের একটা কলেজে ভর্তি হয়েছে, যেটার জন্য আমিও বাবা এবং আম্মাকে অনেক বলে রাজি করিয়ে চলে যায় পাশের শহরের কলেজে। কলেজটা এই শহরের সবচেয়ে নামকরা। এখানেই আমাদের হাইস্কুলের ৮০℅ ছেলে মেয়ে ভর্তি হয়েছে। অবশ্য তাদের মধ্যে ৫০% ই এসেছে এলির জন্য। কারন এলিকে আমাদের ক্লাসের সবাই পছন্দ করতো। যদিও এলি কোনো সম্পর্কে জরায় নি হাই স্কুলে। কিন্তু কলেজে উঠার পর তেমন হলো না। এই শহরের একটা নামকরা রেস্টুরেন্ট এর মালিকের ছেলের সাথে সম্পর্কে জরিয়ে যায় এলি। ছেলেটা আমার মতো দেখতে নয়। বরং দেখতে সুদর্শন, উচ্চতায় পাঁচ ফিট সাতের কাছাকাছি হবে, ভালো শরীর আছে যেটাকে সিক্স প্যাক না বললেও মানা যায়। তাছাড়া তার পড়ালেখাও নাকি অনেক ভালো। যদিও আমি পড়ালেখার দিক দিয়ে ওর থেকে আগে। ছেলেটার নাম আবির। অনেক স্মার্ট হওয়ায় বেশীদিন লাগে নি এলির মন জয় করতে। যদিও বিষয়টা আমার মনটাকে ভেঙে দিয়েছে পুরোটা, বাচার ইচ্ছাকে মেরে ফেলেছে, তারপরও আমি এখন আমার পরিস্থিতি মেনে নিয়েছি।


এখনো ক্লাসের প্রায় ছেলে মেয়ে আমাকে নিয়ে মজা করে, মারধর করে। তাদের কাজ কর্ম আমাকে দিয়েই করায়। আমি কোনো কিছু না বলেই সব কিছু মেনে নিয়েছি, কারন আমি এলিকে ভুলতে পারি না যত চেষ্টা করি না কেনো। আমি এই কলেজ থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরের দিন একবার হলেও এলিকে দেখার জন্য মনটা আমার পাগল হয়ে যায়। আমি কখনো আমার মনের কথা এলিকে বলতে পারি নি। কিন্তু একদিক দিয়ে অনেক ভালো বোধ হয় যে ওকে আমার মনের কথা বলি নি। কারন ওর অপমান গুলো হয়তো বিষাক্ত কাটার মতো আমাকে খেতে থাকবে। 




জুন মাস,


কলেজে উঠেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা ছেলে কিংবা মেয়ে বন্ধু হয় নি আমার। আমার শুধু সেই একদিনের এলির কথাগুলো এখনো মনে আছে। হয়তো আমাকে সুন্দর করে বন্ধুর মতো প্রথম ঔ একবার বলেছিলো কথা। কলেজে এসেছিলাম আজকে, যেখানে আজকে গেইটে ঢোকার সময় আবির এবং এলি ও প্রবেশ করেছিলো একসাথে। তখন এক বড় ভাইয়ের সাথে ধাক্কা লাগার ফলে এলির হাতের সাথে সামান্য ধাক্কা লাগে, রোগা হওয়ার ফলে আমার হাড়ের সাথে ওর হাতে ধাক্কা লাগার ফলে এলি কিছুটা ব্যথা পায়। আমি ভয় পেয়ে সেখান থেকে সরি বলে চলে আসি। কিন্তু দুটো ক্লাস পরে আমাকে টয়লেটের মধ্যে নিয়ে আবির এবং ওর বন্ধুরা মিলে মারতে থাকে, কেউ দেখতেও আসে না। কেনো জেনো হঠাৎ সেই রাস্তার সামনে দিয়ে এলিও যাচ্ছিলো, আমার নজর সেদিকেই পরেছিলো। একবার এলির চেহারা দেখার পর মনে হলো নিজের শরীরে আর কোনো ব্যথায় লাগছে না।



আমার চোখ খোলার পর আমি নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করলাম। পাশে এলি এবং আবির বসে ছিলো। আমি উঠার চেষ্টা করতে চাইলাম।

.

--উঠো না, এভাবে শুয়ে থাকো।(এলি)

.

--তোমার ভাগ্য ভালো সেখানে আমি ছিলাম। নাহলে ঔ ছেলেগুলো তোমাকে কি করতো জানো?(আবির রাগি চোখে আমাকে বললো)

।।

।।

আমি জানি আবির আমাকে মেরেছে ওর বন্ধুদের দিয়ে, কিন্তু ভয়ে আমি সেটা এলিকে বলতেও পারবো না। আর ও ভালো সাজার জন্য হয়তো এলির সামনে আমাকে বাচানোর মিথ্যা নাটক করেছে,



--তোমাকে যখন দেখি তুমি কোনো না কোনো সমস্যায় পরে থাকো, তোমার বাসার কেউকে ফোন করো, তারা আসুক।(এলি)



--কলেজ চেন্জ করলেই তো হয় তোমার।(আবির)



--এক কাজ করো তোমার বাসার কারো নাম্বার দাও আমি ফোন করে দিচ্ছি।(এলি)



--না সেটার দরকার হবে না। আমি এই শহরে একা থাকি। বাবা কিংবা আম্মাকে ফোন করলো তারা আমাকে নিয়ে চিন্তা করবে।(আমি)



--তোমাকে না বলে এলির কথায় আমি ডাক্তারকে তোমার সকল টেস্ট নিতে বলেছি, একদম A to Z। কিন্তু সব কিছুর পরও তোমার সব টেস্টই নেভেটিভ এসেছে, কোনো সমস্যা নেই তোমার। কিন্তু তোমার শরীরের এরকম অবস্থা কেনো আমি বুঝি না।(আবির)



--সেটা কোনো ব্যাপার না। আমার কোনো রোগ নেই, আমি জন্ম থেকেই এরকম। সৃষ্টিকর্তা বাকিদের মতো রূপ, শক্তি আমাকে দেই নি। সেসব কিছু ছাড়া আমাকে তৈরী করেছে।(আমি)



--দেখো চিন্তা করো না। আমি জানি সব ঠিক হয়ে যাবে তোমার। আর এখন থেকে কলেজে তুমি আমাদের দুজনের বন্ধু, তাই কেউ তোমাকে আর কিছু বলবে না।(এলি)



--আমি এখানে কতক্ষন আছি?(আমি)



--দুইদিন হলো।(আবির)



--আমি আর আপনাদের দুজনকে কষ্ট দিতে চাই না। আপনারা আমাকে হাসপাতালে এনে ট্রিটমেন্ট দিয়েছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে চিন্তা করার দরকার নেই। আমি ঠিক আছি।(আমি)



--তাহলে থাকো তুমি, রেস্ট নাও। চলো এলি আমাদের লান্স করতে হবে।(আবির)



--আরে দারাও তুমি। তুমি আমার নাম্বার রেখে দাও, হাসপাতালে মনে হয় আরো বেশ কিছুদিন তোমাকে থাকতে হবে। কলেজে আবির বলেছে, তাই কলেজ থেকে একমাসের ছুটি দিয়েছে যেহেতু পরীক্ষা আমাদের শেষ হয়েছে। যখন কিছু প্রয়োজন হয় আমাকে ফোন করে বলবে।(এলি)



এলি একটা কাগজে ওর নাম্বার টা রেখে গেলো। এরপর আবিরের হাত ধরে চলে যেতে লাগলো। আমি সেদিকে তাকিয়ে আছি। চোখ ছলছল করছে, বৃষ্টি ঝরবে একটু পরে হয়তো। আবির ডান হাত এলির কাধে দিয়ে তাকে তার বাহির মাঝে নিয়ে হাটতে লাগলো, যাওয়ার পূর্বে তার কপালে একটা চুমুও দিয়ে গেলো। জানি না সেটা আমাকে দেখানোর জন্য কিনা, তবে আমার মনের মধ্যে কিরকম করতে লাগলো। আমি এতোদিন কষ্ট পেলেও কোনোদিন এতোটা কষ্ট পাই নি। মনে হচ্ছে আমি মারা যাওয়া যন্ত্রনা বোধ করছি। জানি না কেনো কিন্তু আমার হৃৎপিন্ড বাইরে বের হতে চাচ্ছে শুধু। চোখের পানি আমি মুছতে পারছি না। কারন দুটো হাত ভাঙা আমার। যদিও অন্য কোনো টেস্টে আমার কিছু হয় নি, হয়তো এটা আমাকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বলেছে, কিন্তু সিওর জানি আবির আমার ডান হাত ভেঙেছিলো সবাই যখন এলোপাথাড়ি মারছিলো আমাকে। আরেকটা কখন ভেঙেছে আমি সেটা জানি না। কিন্তু কয়েকজন এর জোড়ালো লাঠি খাওয়ার পর আমার বুকের হাড়ও ভেঙেছে। এক হিসাবে আমি একমাসের মধ্যে নরতে পারবো না। এ সবে আমার দুঃখ লাগে না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো আজকের জিনিসটা। যদিও আমি জানি আবির এলির বয়ফ্রেন্ড, তবুও আমি আজকের বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না। হয়তো আজকে দ্বিতীয়বারের মতো এলি আমার সাথে আবার সেই একদিনের মতো কথা বলেছে। আর আমি তো ওর কাছে থাকারও যোগ্য নয়। একটা সময় ছিলো যখন আমি হিংসা করতাম তাকে নিয়ে যে এলির হাত ধরে ভবিষ্যতে হাটবে। আর এখন আমি হিংসা করি আবিরকে নিয়ে। আমি কেনো ওর মতো হতে পারলাম না কেনো। এই রোগা, কালো, বেটে শরীর না হয়ে ওর মতো হতে পারলাম না কেনো। কেনো ওরায় সব কিছু পাবে আমরা কি মানুষ না। আমাদের কি ইচ্ছা করে না বন্ধু হওয়ার কারো। যাকে ভালোবাসি তার হাতটা নিয়ে ঘোরার। নাকি আমরা মানুষ না। আমাদের কেনো এরকম করে বানানো হয়েছে, এই কথা এখনো আমার মাথায় যাচ্ছে না। যদি কোনো ভাবে আমি নিজেকে বদলে দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। আবিরের মতো হতে হলে যদি আমাকে ডেভিলের কাছে আমার Soul বিক্রী করতে হতো তাহলেও আমি রাজি ছিলাম। কান্নায় আমার বালিশ ভিজে গেলো। আমার নাক এবং চোখের পানিতে নিজের মুখ কে হয়তো আরো বিশ্রী লাগছে এখন। জানি না এভাবে দেখলে হয়তো এলি কখনো আমার চেহারায় দেখতে চাইবে না। আমি অনেকবার বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি অনেক ছেলে মেয়ের সাথে। স্কুলের শুরু থেকে, কলেজের শুরু পর্যন্ত। সবার একটায় কথা ""আয়নায় নিজের চেহারা দেখছোস। তোরে দেখলে আমার এমনিতেই ভয় করে।"" 



হাসপাতালের বেডের উপরে আমি শুয়ে আছি। সব কিছু সাদা কালো লাগছিলো আমার। কখন রাত হয়ে গিয়েছে আমি বুঝতে পারি নি। বাইরে প্রচন্ড হারে বৃষ্টি হচ্ছে। রুমের মধ্যে আমার চোখ থেকেও পানি পরছে। আমি কাঁদছি, অনেক কেঁদে যাচ্ছি। চোখ দিয়ে শুধু পানি পরেই যাচ্ছে। আমি অনেক পূর্বেই জানতাম মাটির উপরে থেকে আমি একটা উজ্জ্বল তারা ধরার চেষ্টা করছিলাম। আমার সামনে আকাশ ভরা তারা ছিলো তবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম তারা ছিলো সে। তার পুরো নাম মিরা মাহাবি মেঘা। নামটা বড় হওয়ার জন্য সংক্ষেপে সবাই তাকে এলি বলে ডাকে। আমি এই জীবনে একটা বন্ধুও বানাতে পারি নি, তাই আমার আশেপাশের মানুষ গুলো আমার কাছে অনেকটা আকাশের তারার মতোই। আর সেই আকাশের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে এলি।


এলি মেয়েটা সব দিক দিয়েই পারফেক্ট। তার চেহারার তুলনায় অন্য কোনো মেয়ে তার ধারের কাছেও থাকবে না। মেধার দিকে দিয়েও অনেক এগিয়ে আছে। আর তার ব্যবহার আমার দেখা মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। এক কথায় সব দিক দিয়ে পারফেক্ট। তাই তো আমার দেখা আকাশে সেই সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা। কিন্তু আমি যে কিনা আমিই, তাই আমার দ্বারা আকাশের তারাকে স্পর্শ করা কখনো সম্ভব না।



"যদি আমি কোনো ভাবে আকাশের তারাটা স্পর্শ করতে পারতাম।"




* * * * *


শহরের সদর হাসপাতালের একটা ক্যাবিনের মধ্যে শুয়ে আছে হৃদয় বাপ্পী। যাকে দুদিন পূর্বে কলেজ থেকে মারধর করে চরম অবস্থায় পৌছানো হয়েছে। ভাগ্য ভালো ছিলো ঠিক সময়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। নাহলে খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারতো তার সাথে।


সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে বাপ্পী উঠে যায় জানালার কাছে। ক্যাভিনটা কিছুদিন হলো নতুন তৈরী করা হয়েছে। জানালায় হয়তো গ্রিল দিতে ভুলে গিয়েছে তারা। বাপ্পীর জন্য এটা ভালো একটা সময় তার দুঃখ কষ্টকে দূর করা। সে আর ভুগতে চাই না কষ্টে। তার ছোট হৃদয় আর নিতে পারছে না এতো যন্ত্রনা। তাই তো সহজ পথ সে আজ বেছে নিলো। 



"হ্যা এটায় আমার শাস্তির শেষ হবে। আমি আর এই যন্ত্রনা ভুগতে চাই না।"(সে ভাবছে)



সারা শরীরে যন্ত্রনা নিয়ে সে জানালা খুললো এবং লাফ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। বাইরে প্রচুন্ড আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। রাতের সময় সেই সাথে বর্জপাত, সময়টাকে অনেক ভয়ানক করে তুলছে। ছেলেটা প্রস্তুত হলো লাফ দেওয়ার জন্য। তার কোনো ভয় কিংবা যন্ত্রনা নেই আর। সব কিছু থেকে মুক্তি পাবে এই আশায় সে বিজয়ের একটা হাসি দিলো।


কিন্তু সব কিছু কি আর নিজের ইচ্ছা মতো হয়। পুরো অন্ধকারের মধ্য থেকে কালো একটা ফিগার বাপ্পীর সামনে চলে আসলো। পুরো শরীরে তার কালো কাপড় পরা। বাপ্পীর ক্ষনিকের সাহস মুহুর্তেই হারিয়ে গেলো। লোকটার অদৃশ্য চেহারার দিকে তার নজর না। বরং সে তাকিয়ে আছে কিভাবে সে উড়ছে সেটা দেখতে পেয়ে। কালো ফিগারটা কথা বলতে শুরু করলো। এর মধ্যেই বাপ্পী জানালার উপর থেকে ভয় পেয়ে নিচে পরে গেলো। বাইরে কোথাও পরলো না, বরং ক্যাভিনের রুমের মধ্যেই।


-->>ওয়েল ইন্টারেস্টিং ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউকে এখানে দেখতে পাবো বলে আমি আশা করি নি। এখানে এসেছো কিভাবে বুঝতে পারছি না। যাইহোক সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমার নাম উইশ মেকার। এবং আমি তোমার যেকোনো তিনটা ইচ্ছা পূর্ন করতে পারবো। শুধু অমর হওয়া বাদে যেকোনো তিন ইচ্ছা আমি পূরন করতে পারবো।



কালো পোষাকে ঢাকা উড়তে পারা ব্যক্তিটা হঠাৎ কথাটা বললো। আপাতোতো বাপ্পী লোকটাকে দেখেই ভয়ে আছে। সেই সাথে উপর থেকে পরার সাথে সাথে বাপ্পী তার মাথায় অনেকটা আঘাত পায়। যার কারনে সে সেন্সলেস হয়ে যায়। 


বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিলো। হঠাৎ বৃষ্টির পানি গুলো কেমন জীবিত হতে শুরু করলো। প্রতিটা ফোটা এক এক করে জানালা দিয়ে হৃদয়ের শরীরের উপরে আসতে লাগলো। দেখতে দেখতে বেশ অনেকটা পানি হৃদয়ের শরীরের উপরে উড়তে লাগলো। যেটা নিচে পরে থাকা হৃদয়ের শরীরকে উপরে ভাসাতে শুরু করলো। হৃদয় তার চোখ খুললো। তবে এবার সেটা সাধারন রইলো না আর। চোখ থেকে সাদা আলো বের হতে শুরু করলো। আর তার উপরে ভাসমান পানির কনা গুলো হঠাৎ একটা ট্রিশুল এর রূপ নিয়ে নিলো। যেটা একা একাই কালো পোষাক দ্বারী লোকটার দিকে পয়েন্ট করে রইলো।


-->>এরকম পরিস্থিতি আশা করি নি। যাকে পানি ভালোবাসে তার থেকে আর কি বা আশা করা যায়।(উইশ মেকার)



উইশ মেকার তার একটা হাত বারিয়ে দিলো। হৃদয়ের কপাল বরাবর তার হাতটা পৌছে গেলো। যার সাথে সাথে সেখানে উজ্জ্বল একটা আলো তৈরী হলো। 




* *



হৃদয় মনে হচ্ছিলো স্বপ্ন দেখছিলো। তার স্বপ্নে একজন লোক আসে তার কাছে।


-->>আমার নাম উইশ মেকার। তোমার তিনটা ইচ্ছা আমি পূর্ন করতে পারবো অমর করা ছাড়া।



এটাই বলেছিলো লোকটা তাকে। সো মৃত্যুকে জরিয়ে নেওয়ার থেকে হয়তো এখানে একটা চান্স নেওয়া যায় বলে হৃদয় বিশ্বাস করে। ভালো হতো না তার জন্য যদি সে সাধারন একটা জীবন কাটাতে পারতো?



-->>তিনটা ইচ্ছা বললেন আপনি? সত্যি কি পূর্ন করতে পারবেন আপনি?(হৃদয়)



হৃদয় বাপ্পী অনেক কিছু করেছে তার জীবনে। কিন্তু কখনোই তার ডেসটিনিকে সে হারাতে পারে নি। কিন্তু যদি এবার গড তার প্রার্থনা শুনে থাকে তাহলে হয়তো একটা চান্স থাকবে। তাই তো সে তার ইচ্ছা চেয়ে নিতে চাচ্ছে। একটা ইচ্ছা যেখানে সে তার আকাশের তারাগুলোর কাছে পৌছাতে পারবে। পারবে তার দেখা উজ্জ্বল তারার সাথে হাত রেখে চলতে।


-->>আমি সাধারন একটা জীবন কাটাতে চাই, যেখানে আমাকে আমার চেহারা আমার শরীর নিয়ে ভাবতে হবে না। আপনি পারবেন এমন একটা জীবন দিতে আমাকে।(হৃদয়)



-->>ইউর উইশ স্যাল বি গ্রান্টেড। বাকি দুটো?



হৃদয় ভাবতে লাগলো সে আর কি চাইবে। আদৌও কি তার কোনো চাওয়া আছে আর। সে জীবনে সবচেয়ে বেশী কি চেয়েছে? শুধু তার এই অভিশপ্ত জীবনটা যেনো দূর হয়। তার কাছে তো তার শরীরই অভিশপ্ত। তাহলে আর কি দরকার। 


কিন্তু তখনি আস্তে আস্তে হৃদয় ঘুমাতে শুরু করলো। তার মনে হচ্ছিলো তার শরীরে অন্য কেউ ভর করতে শুরু করেছে। কিন্তু কে সে? হৃদয় ঘুমের মধ্যে থেকেও শুনতে পায় নিজের কন্ঠ। সে কিছু বলছে না, তবে তার মুখ একা একায় কথা বলছে।


-->>আমাকে কি আমার বাকি অংশের সাথে মিলিয়ে দিতে পারবেন।



হৃদয় বুঝতে পারলো না কে এই কথাটা বললো, তার মুখ থেকেই বের হচ্ছিলো, কিন্তু সে বলছে না তাহলে কি ঘুমের মধ্যেই কথাগুলো বলছে সে?



-->>ইউর উইশ স্যাল বি গ্রান্টেড। শেষ উইশ?(উইশ মেকার)



-->>অনেক কিছুই আছে চাওয়ার তবে আমি লোভি না। আমার শেষ ইচ্ছা হবে "সে" যেনো তার জীবনে কষ্ট না পায়। কার কথা বলছি হয়তো আপনি জানেন যেহেতু আপনি আমার আসল পরিচয় সম্পর্কে জানেন।(হৃদয়ের মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো এই কথাটা)



-->>ঠিক আছে সান অফ ক্রোনোস। তোমার তিন ইচ্ছা পূর্ন হবে।(উইশ মেকার)




* * * * *



উইশ মেকার উধাও হয়ে গেলো। সেই সাথে এই দিনের পর থেকে বাপ্পী নামক ছেলেটাও হারিয়ে গেলো। তাকে শেষ হাসপাতালের ক্যাভিনে দেখা গিয়েছিলো। সে কোনো গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি ছিলো না। তাই তার অস্তিত্ব খুব তারাতারি হারিয়ে যেতে লাগলো। সময়টা ছিলো ২০১৯ এর শেষের দিক। আর এই সময়েই পৃথিবীতে আজব সব জিনিস শুরু হতে লাগলো। কোভিড-১৯ নামক একটা ভাইরাসের দেখা দিতে লাগলো এবং ২০২১ সালের শেষের দিকে চীনের এক জায়গায় বিশাল টাওয়ারের দেখা পাওয়া গেলো। যেটার গায়ে স্পষ্ট এবং বর করে লেখা ছিলো "টাওয়ার অফ স্লোথ"।




* * * * *


(জ্যাক চরিত্রে)



রাতে তেমন ঘুম হয় নি। তাই সকালের নাস্তা শেষ করার পর হালকা ঘুমিয়ে পরেছিলাম। রাতে একটা আজব স্বপ্ন দেখেছিলাম, যার কিছুই মনে নেই এখন। ঠিক এখনো একটা স্বপ্ন দেখলাম, তবে এটা ভুলে যাচ্ছি না আমি। আমার মাথার মধ্যে হঠাৎ তিন ধরনের স্মৃতি খেলা করছে। আমি আমার পরিচয় নিয়ে এখন সংকটে আছি।



"আমি কি জ্যাক? নাকি আকাশ? নাকি হৃদয় বাপ্পী?"




* * *


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

8 comments

  1. পুরাই আগের গল্প থেকে কপি করা হয়েছে।
  2. ভাইরে ভাই একের পর এক চমক এত চমকের উপর চমক তো আর সহ্য করতে পারছি না রহস্যের উন্মোচন করা হোক কে এই ব্যক্তি হৃদয় বাপ্পি না আকাশ চৌধুরী না জ্যাক
  3. I wish story tar 1/2 episode copy kora hoyeche... Jodio last er dike ektu different chilo... Ar "Tower of Gluttony" to gluttony planet a na??? Joto dur amr mone ache, China te "Tower of Sloth" chilo? Tahole?
  4. ভাইয়া আই উইশ গল্টা এখানে দিবেন ভাবতে পারিনি। তবে পর্বটা অনেক ভালো লেগেছে
  5. Kichu bolar nai.. Bappy awesome
  6. 🖤🖤🖤🖤🖤
  7. 😍😍😍😍😍😍🥰🥰🥰🥰🥰😍😍😍😍😍😍
  8. I Wish 😍😍. Awesome bro vallagche..!! Jack, Akash, Hridoy Happy ebar Posaidon er Pala🥰🥰... oshadhron carry on...!!! Waiting for the next 😊😊
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.