[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:০২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(চৌধুরী ভিলা)
আফিফ চৌধুরী বসে আছে তার রুমের মধ্যে। ছোট একটা অফিসের মতো তৈরী করা হয়েছে রুমে। যেখানে একটা টেবিল এবং বসার জন্য তিনটা চেয়ার বসানো আছে। অবশ্যই আফিফ চৌধুরী বসের চেয়ারেরই বসে আছে। তার সামনে একজন আইনজীবী বসে আছে। কালো কোর্ট দেখলেই বোঝা যায় সে আইনজীবী।
-->>মিস্টার চৌধুরী, আকাশ চৌধুরীর মৃত্যুর মাধ্যমে আসিফ চৌধুরী, আপনার বড় ভাইয়ের সমস্ত সম্পতি আপনার হয়ে গিয়েছে।(আইনজীবী ব্যারিস্টার আনোয়ার)
আফিফ চৌধুরী তার টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা বড় সিগারেট ধরালো। ব্যারিস্টার আনোয়ার বুঝতে পারলো সেটা অনেক দামী সিগারেট। আফিফ চৌধুরী তার সিগারেটটা মুখে নিয়ে টান দিলো। অনেক বড় ধোয়া বের করলো মুখ দিয়ে। আজ তার জন্য খুশির সংবাদ কিন্তু তার এতেই আনন্দ হচ্ছে না।
-->>মিস্টার চৌধুরী আপনি কি খুশি নন এই ফলাফলে?(আনোয়ার)
ব্যারিস্টার আবারো জিজ্ঞেস করলো একটা প্রশ্ন চৌধুরীকে। দুজন অনেক ভালো বন্ধু ছিলো কলেজ সময়ে। তাই একে অপরের সাহায্য করে আসছে এক বছর সময় যাবৎ। আফিফ চৌধুরী হয়তো তার ভাইয়ের এতো সম্পতি কোনোদিনও পেতো না আনোয়ারের সাহায্য ছাড়া। তাই আফিফ চৌধুরী অনেকটা কৃতজ্ঞ তার বন্ধুর জন্য।
-->>তোমাকে ধন্যবাদ আনোয়ার এতোদিন আমাকে সাহায্য করার জন্য।(আফিফ চৌধুরী)
ব্যারিস্টার আনোয়ার কখনো সাহায্য করার চিন্তায় আফিফ চৌধুরীকে সাহায্য করে নি। মূলত অর্থ দুজনকেই এই কাজ করাতে বাধ্য করেছে। দুজনের মধ্যে ডিল ছিলো আসিফ চৌধুরী এবং তার ছেলে আকাশ চৌধুরীকে হত্যার পর তাদের সম্পতি ফিফটি ফিফটি ভাগ করে নিবে। কিন্তু একটা জিনিস ব্যারিস্টার আনোয়ার ভেবে দেখে নি। যে লোকটা সম্পতির জন্য নিজের ভাইকে মেরে ফেলতে পারে, সে তাকে হত্যা করতে পারবে না কেনো?
দামী সিগারেটের লোভ ব্যারিস্টার আনোয়ারের জাগছিলো। ঠিক সেটাই যে তার মৃত্যুর কারন হবে এটা সে জানতো না। একটা সিগারেট ধরিয়ে টান দিতেই ব্যারিস্টার আনোয়ারের দেহ চেয়ার থেকে ফ্লোরে পরে গেলো। আফিফ চৌধুরী তার চেয়ার থেকে উঠে পরলো। সাথে সাথে বাইরে থেকে কয়েকজন ব্লাক ওপস সেনা আসলো যারা ব্যারিস্টারের দেহটা বাইরে নিয়ে গেলো। আফিফ চৌধুরী তার বেলকনিতে এসে দাড়ালো। সিগারেটটা আরেকবার টান দিলো। ধোঁয়াটা বের করে দেওয়ার পর তার মুখ থেকে শান্তির একটা হাসি বেরিয়ে আসলো। কারন এতো কিছুর পর সব কিছু তার হাতের মধ্যে চলে আসছে। কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক এখন সে।
* * * * *
(জ্যাক রূপে)
একটা সময়কে আমি মনে করতে পারছি না। ডিভাইন গেইটের মধ্যে প্রবেশ করার পর কিছু একটা হয়েছিলো যেটা সহজে আমার মনে আসতে চাচ্ছে না। কি ছিলো সেটা? শুধু মনে আছে আমার সামনে একটা কালো পোষাকে ঢাকা লোক ছিলো। এর বাইরে আমি কিছু মনে করতে পারছি না।
আপাতোতো সেসব জিনিসে আমি বেশী মনোযোগ দিলাম না। কারন আমার মনোযোগ আরেকটা জিনিস কেড়ে নিয়েছে। আমি এক সময়ে ডেভিল কিং ছিলাম। এবং শেষ সময়ে আমার কাছে এমন ক্ষমতা ছিলো যেটা সবার শীর্ষে ছিলো।
সবাই বলবে আমার সেই ক্ষমতা গুলো অনেক শক্তিশালী ছিলো কিন্তু আমি চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারবো আমার এই স্কিলের কাছে সেগুলো কিছুই না। "বিরিং মি ব্যাক" এটা এমন একটা স্কিল যেটা আমাকে আমার মৃত্যুর এক ঘন্টা পূর্বের সময়ে পৌছে দিতে পারবে। যেহেতু এক ঘন্টা পূর্বেই আমি এই ওয়ার্ল্ডে এসেছিলাম তাই ঠিক সেই সময়েই আমি পৌছে গিয়েছি যখন তিনজন আমাকে ছিনতাই করার চেষ্টায় ছিলো।
-->>যা আছে সব নিচে ফেলে রাখ।
আবারো সেই শব্দটা শুনতে পেলাম। তিনজন মাক্স পরা লোক ছোট চাকু নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। আমি তাদের চাকু দেখতে পেলাম। যেগুলো জ্বলজ্বল করছিলো আকাশের ভাঙা চাঁদের আলোতে। হ্যা সময়টা রাতের ছিলো। তাই বরাবরের মতো অন্ধকার জায়গা এটা। তবে ভাঙা দু টুকরো হওয়া চাদের আলোতে অনেক ভালো ভাবেই সবকিছু দেখা যাচ্ছিলো। আমি দাড়িয়ে রইলাম।
এদের এখন ছেড়ে দিলে বা এখান থেকে চলে গেলে পরে ঝামেলা করবে আবার। তাই আমি কোনো ঝামেলা রাখতে চাই না আমার কাধে।
-->> কিরে তোর কানে যাচ্ছে না আমি কি বলছি? তোর সাথে কি মজা করছি মনে করেছিস। যা আছে সব দিয়ে দে নাহলে কাল তোর লাশ পাওয়া যাবে এই গলির মধ্যে।
তখন আমি কনফিউশনে থাকায় তাদের কথায় তেমন গুরুত্ব দেই নি। তবে এবার অনেক বিরক্ত বোধ হচ্ছিলো। তাই আমি তাদের কথা বলার কোনো সুযোগই দিলাম না। তিনজন লাইন ঠিক করে দাড়িয়ে আছে। একজন সামনে দাড়িয়ে আছে বাকি দুজন বরাবর পিছনে সামনের জনের দুইপাশে দাড়িয়ে আছে। যদিও আমি স্বাভাবিক মানুষ এখন, তারপরও এমন নয় যে ফাইট করি নি কখনো। ড্রাকুলা এবং থরের সাথে ফাইট করেছি এক সময়ে। তাই এই তিনটা বাচ্চা তো কোনো ব্যাপারই না।
আমি দৌড়িয়ে তাদের আর কোনো কিছু বলার সুযোগ দিলাম না। একটা ঘুষি সামনের মাক্স পরা লোকটার মুখে মেরে দিলাম। কোনো কিছু না বলেই যে আক্রমন করবো এটা তারা আশা করে নি। তাই হয়তো রেডি ছিলো না। আমার একটা ঘুশিতে সাইডে চলে গেলো সে। তখনি পিছনের দুজন আমাকে মারতে আসলো। আমি লাফ দিয়ে দুজনকে কিক করতে চাইলাম, কিন্তু এই শরীরে নতুন হওয়ায় আমার এডজাস্ট করতে সমস্যা হচ্ছে। এটা প্রথমবার হচ্ছে না। এরকম ভ্যাম্পায়ার কুইন সিজন ২ এ হয়েছিলো। যখন পুরো ওয়ার্ল্ড আবার নতুন করে তৈরী হয় এবং আমার জন্ম আরেকটা ছেলের শরীরে হয়।
আমি প্রথমে কনফিডেন্ট থাকলেও অনেকটা কষ্টের হয়ে গেলো ফাইটটা। সামনের দুজনকে কিক মারতে গিয়ে আমার নিশানা লাগলো না। আমি নিচে পরে গেলাম চিৎ হয়ে। সেই সময়েই তিনজন তাদের ছুড়ি আমার নিয়ে লাফ দিয়ে আমার বুকে আঘাত করলো। ছিন্ন বিছিন্ন করে ফেললো আমার শরীর। যার ফলে আমি মারা গেলাম।
-এক্টিভেটিং স্কিল "বিরিং মি ব্যাক"।-
-আপনি আপনার মৃত্যুর এক ঘন্টা পূর্বে পৌছে যাবেন।-
সাধারন কেউ হলে হয়তো এটাকে অনেক কষ্টদায়ক একটা ক্ষমতা মনে করতো। কারন প্রতিবার ব্যবহারের জন্য মরতে হয়। আর মৃত্যু মোটেও সহজ কোনো বিষয় না। মৃত্যু যন্ত্রনা একজন মানুষকে পাগল করে দিতে সক্ষম। আর সেটা যদি বরাবারের মতো ঘঠে থাকে তাহলে শরীরে কোনো ইমোশনই দেখা যায় না।
-->>যা আছে সব নিচে ফেলে রাখ।
আবারো সেই মাক্স পরা তিনটা লোকের সামনে পরলাম আমি। তিনজনই চাকু নিয়ে দাড়িয়ে আছে। জিনিসটা আমাকে অনেক রাগিয়ে দিচ্ছে। আমার এইসব বিরক্তকর জিনিস দেখলে রাগ অনেক হয়। যেটা কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেলে নিজেকেই কন্ট্রোল করতে পারি না। তবে সেই ক্ষমতা আমার নেই। যদিও আমার কাছে ডেডলি একটা স্কিল রয়েছে, তবে শুধু এটা আমার নিজের জন্যই। আমি এটার মাধ্যমে অন্যের উপরে ব্যবহার করতে পারবো না।
-->> কিরে তোর কানে যাচ্ছে না আমি কি বলছি? তোর সাথে কি মজা করছি মনে করেছিস। যা আছে সব দিয়ে দে নাহলে কাল তোর লাশ পাওয়া যাবে এই গলির মধ্যে।
তিনজনের মধ্য থেকে সামনের জন বলে উঠলো আবারো। আমার কাছে কেনো জানি মনে হচ্ছে আমি কোনো প্রোগ্রামের মধ্যে আছি। একই জিনিস বারবার শুনতে হচ্ছে। তবে এটাকে কাজে লাগাতে পারবো। আমি এবার কোনো ধরনের লড়াই তে যেতে চাই না। তাই কোনো কিছু করা ছাড়ায় আমার কাছে থাকা যা ছিলো সব কিছু দিয়ে দিলাম ওদের।
আমি এতো সহজে ওদেরকে এসব দিবো এটা হয়তো ওরা ভাবতে পারে নি। তাই অনেকটা অবাক চেহারা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে তিনজনই। আমি সব কিছুই দিয়ে দিলাম। বেশ কিছু টাকা ছিলো, সাথে দামী একটা মোবাইল এবং ঘড়ি, একটা ক্রেডিট কার্ডও রয়েছে। যেহেতু এই শরীরের স্মৃতি আমার কাছে রয়েছে তাই আপাতোতো এসব কোনো কিছুই আমার কাজে দিবে না। যদিও টাকাটা প্রয়োজন ছিলো, তারপরও আমি এখানে আরেকটা মৃত্যু যন্ত্রনা অনুভব করতে চাই না।
-->>তোর রিংটা খুলে দে।
হঠাৎ সব কিছু দেওয়া হলেও লিডারের নজর রিংটার দিকে পরে। যদিও রিংটা দেখতে অনেক পুরাতন, তারপরও যার কাছে এতো দামী মোবাইল এবং ঘড়ি থাকতে পারে তার রিং এর দাম তো বেশী হবেই। হয়তো কোনো দামী এন্টিক পিস ভেবে তারা এটার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি আপাতোতো কোনো কিছু করতে পারছি না। তাই হাত দিয়ে খোলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সেটা খুলছে না।
-->>সরি ভাই রিংটা পুরাতন হয়ে যাওয়ার জন্য আঙ্গুল থেকে খুলছে না।(আমি)
রিংটা হাতের আঙ্গুলের সাথে এডজাস্ট হয়ে আছে। খোলার নামই নিচ্ছে না। তাই আমি তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু তারা কোথায় বুঝে, তাদের লিডার ধারালো ছোট ছুড়িটা হাতে নিয়ে আমার কাছে চলে আসলো। প্রথমে নিজের হাত দিয়ে রিংটা খোলার চেষ্টা করলো।
রিং খুলছে না দেখে লোকটা তার ছুড়ি দিয়ে আমার আঙ্গুল কাটার জন্য প্রস্তুত হলো। যেটা আমি ভাবি নি হবে। কিছু করতে যাবো, তার আগেই আমার রিং হঠাৎ জ্বলে উঠলো। সাথে সাথেই পুরো জায়গাটা অন্ধকার হয়ে গেলো। মনে হলো সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছে কেউ। আবারো কিছু লেখা চলে আসলো আমার সামনে।
-স্বাগতম রুলার অফ ডেড।-
-রুলারের স্কিল "হেল্প" একটিভ হয়েছে।-
-আপনার দুইবার মৃত্যু হওয়ার পর তৃতীয়বার এই স্কিল ব্যবহার করতে পারবেন।-
-হেল্পঃ একটিভ হলে আপনার বিপদ দূরে কোথাও টেলিপোর্ট হয়ে যাবে।-
হঠাৎ আলো ফিরে আসতে শুরু করলো। অন্ধকার অনেকটা ভয়ানক। আমি আমার সামনের লেখাগুলো দেখে অবাক হচ্ছি। কেনো জানি গেমের মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু আমি বেশী গুরুত্ব দিলাম না তাতে। আপাতোতো আমার সামনের তিনজন লোককে খোজার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তাদের একজনকেও খুজে পেলাম না। আমার সামনে একটা স্ক্রিন তৈরী হয়েছে। যার শেষে একটা লেখা আমার নজরে পরলো।
-হেল্পঃ একটিভ হলে আপনার বিপদ দূরে কোথাও টেলিপোর্ট হয়ে যাবে।-
আমি এসব নিয়ে আর ভাবলাম না। নিচে ফেলে দেওয়া আমার সব কিছু নিয়ে নিলাম আবার এবং সেখান থেকে চলে আসলাম। আকাশের স্মৃতি অনুযায়ী তাকে হত্যা করা হয়েছে। যেটাকে বলা যায় একটা ক্লিন ডেড। আর এই গলির মধ্যে তাকে ফেলে রাখা হয়েছিলো। সন্দেহের খাতায় অনেকগুলো নামই আছে। তবে বেশী সন্দেহ যাচ্ছে আকাশের কাকার উপরে।
-->>যেহেতু আমি এখন থেকে আকাশ, তাই আমার যা কিছু গিয়েছে সব কিছু ফেরত নিতে হবে।(আমি)
* * * * *
জ্যাক আবারো গলি থেকে বেরিয়ে পরলো। এবার দিয়ে তার দ্বিতীয় বার এই গলি থেকে বের হওয়া। ব্লাক মার্কেটে তার যাওয়ার আগ্রহ নেই আর। কারন যা পাবার সে পেয়ে গিয়েছে। তাই সোজা কলেজের হোস্টেলের দিকে যেতে লাগলো।
রাত অনেক হয়েছে, আকাশ একটা নামিদামি কলেজে পড়াশোনা করে। যেহেতু আকাশের কোনো থাকার জায়গা নেই, তাই তার শরীরে থাকা জ্যাককে থাকার জন্য কলেজের হোস্টেলেই যেতে হচ্ছে। হোস্টেল সকল শিক্ষার্থীর জন্য খোলা, শুধু রেজিস্ট্রেশন করে রুমে প্রবেশ করতে হবে।
কলেজের পাশেই হোস্টেল অবস্থিত। ছেলেদের হোস্টেল উত্তর পাশে কলেজের এবং মেয়েদেরটা দক্ষিন পাশে। তাই দুটো মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ছেলেদের হোস্টেলের সামনেই দাড়িয়ে দুজন গল্প করছিলো। একজন ছেলে অপরজন মেয়ে।
জ্যাক যেহেতু হোস্টেলের মধ্যে প্রবেশ করছিলো তাই দুজনই তার নজরে পরলো। আকাশের স্মৃতি তার কাছে থাকায় চিনতে পারলো তাদের। ছেলেটা খান পরিবারের। খান পরিবারের জায়গা এই ছোট্ট শহরের মধ্যে চৌধুরী পরিবারের পরেই। তাই বলা যায় অনেকটা ক্ষমতাশালী তারা। যেহেতু ছেলেটা খান পরিবারের তাই জ্যাক কোনো ঝামেলা চাচ্ছে না। তবে তার পাশে যে দাড়িয়ে আছে তার জন্য ঝামেলা হয়তো তৈরী হবেই।
চৌধুরী পরিবারের মেয়ে সে। আকাশের দূর সম্পর্কের পরিবারের মেয়ে। নাম জারা। আকাশের বাবা বিয়ে ঠিক করেছিলো আকাশের জারার সাথে। তবে আকাশের বাবা মারা যাওয়ার পর সকল সম্পতি যখন আকাশের চাচা আত্মসাৎ করে নেই তখন বিয়েটা ভেঙে দেয় জারা নিজেই।
এখানে সরাসরি আকাশ থাকলে হয়তো কষ্ট কিংবা দুঃখ পেতো। কিন্তু জ্যাকের কাছে এই স্মৃতি থাকার পরেও সে এতে গুরুত্ব দিলো না। গুরুত্ব দিবেই বা কি। জ্যাকের দুই স্ত্রীর কাছে পুরো বিশ্বের সুন্দরী নারীরাও হয়তো হার মানবে।
জ্যাক দুজনকে এরিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চাইলো। তখনি খান পরিবারের ছেলেটা তার পথ আটকালো। এক সময় আকাশের জন্য অনেক অপমানের স্বিকার হতে হয়েছিলো রাজ খানকে। তাই এখন সেটার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা সে করবে। জারা রাজকে জরিয়ে ধরে আছে। সে দেখাচ্ছে আকাশকে। যাতে আকাশ কষ্ট পায়।
* * *
To Be Continue
* * *
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য।