আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্ব: ০৪

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

  [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:০৪


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


একটা দিন পার হয়ে গেলো আকাশের শরীরে জ্যাকের। এই কনসেপ্টটাই তার কাছে পুরানো হয়ে গিয়েছে। পূর্বে ভ্যাম্পায়ার কুইন দ্বিতীয় সিজনের শুরুতেও এমনটা তার সাথে হয়েছিলো। সে অন্য কারো শরীরে প্রবেশ করেছিলো। এই জিনিসটা সম্ভব হয়। কারো মানসিক ক্ষমতা দুর্বল হলে তার শরীরকে বশ করা যায়। তাছাড়া সদ্য হত্যা হওয়া কারো শরীরকেও বশ করা যায়। ঠিক তেমনি দুইবার জ্যাক অন্য শরীরকে নিজের করেছে। দুইবারই মৃত শরীরে রেইনকার্নেড হয়েছে সে। 


এর পূর্বে এরকম হওয়ার ফলে জ্যাকের বর্তমান শরীরের ভারসাম্য রাখতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যদিও কাল রাতে লড়াই এর সময় সে শরীরের ভারসাম্য সঠিক ভাবে রাখার ফলে জ্যাককে মারা যেতে হয়েছিলো, তবে একরাতের ঘুমের পরে সে আকাশের শরীরের সাথে মার্জ হতে পেরেছে। 


একটা নতুন জায়গায় আসলে সবাইকেই প্রথমে সে জায়গা সম্পর্কে জানতে হয়। তা নাহলে সেখানে থাকা অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। জ্যাকের হয়তো এই ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে ইনফরমেশন বের করতে হতো, কিন্তু আকাশের শরীরে রেইনকার্নেড হওয়ার ফলে আকাশের সকল স্মৃতি জ্যাকের সাথে মিশে গিয়েছে। যার ফলে এই ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে তার সাধারন একটা ধারনা তৈরী হয়েছে।


-->>বানরটা ঠিকই বলেছিলো, বেশ অনেকগুলো ইউনিভার্স রয়েছে।



জ্যাক দরজা খুলে ছাদের উপরে এসে দাড়িয়ে কথাটা বললো। সে উচু ছাদের উপরে থেকে এই নতুন ইউনিভার্সের পৃথিবীর নির্মম দৃশ্য দেখতে পেলো। মানুষ যে কতটা লোভী ছিলো ক্ষমতার, সেটার উধাহরন তার চোখের সামনে ফুটে উঠছে। দূর দুরান্ত পর্যন্ত জ্যাক যা কিছু দেখছে তা ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই না। মনে হচ্ছিলো ধ্বংসাবশেষের নদীর মধ্যে ছোট একটা শহর তৈরী হয়েছে। 


-->>তাহলে এটাই এরিয়া এক্স।(জ্যাক)



জ্যাক আশে পাশে তাকিয়ে কথাটা বললো। এমন একটা জায়গায় সে আসবে সেটা আশা করে নি। তবে এক দিক দিয়ে সে অনেকটা খুশিই হয়েছে। সে একটা ক্ষমতা পেয়েছে যেটা সাইন্স, কমার্স, আর্টস কোনো কিছুই ব্যাখ্যা দিতে পারবে না। তার মৃত্যুতে সময় এক ঘন্টা পিছিয়ে যায়। সব কিছু আবার এক ঘন্টা পূর্ব থেকে শুরু হয়। জ্যাক তার হাতের রিং এর দিকে তাকালো। 


-->>জানি না কি এটা, তবে আমার পূর্বের ক্ষমতা গুলো থেকেও একটা অনেক ভয়ানক।



জ্যাক হাতের রিং টা খোলার চেষ্টা করলো তবে সেটা খুললো না। তাই হাল ছেড়ে দিলো। সকালের আবহাওয়াটা অনেক তীব্র ছিলো। আকাশের স্মৃতির কারনে সে বুঝতে পারলো দিনের সময় বাইরে বেশীক্ষন থাকা সম্ভব হয় না। বারো বছর পূর্বে যুদ্ধ শেষ হয়। ব্যবহার করা হয়েছিলো সবচেয়ে মারাত্মক পারমানবিক বোনা গুলো। যেগুলোর মাধ্যমে বসবাস যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে পৃথিবী। পুরো পৃথিবী বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। দশ বছর পূর্বে টাওয়ার দেখা দেয় এই মৃত পৃথিবীতে। যা একটা আশা তৈরী করে মানুষের মধ্যে। ছাব্বিশটা এরিয়া তৈরী হয়। টাওয়ার আসার পরেই ছাব্বিশটা এরিয়া তৈরী হয় এসোসিয়েশান এর সাহায্যে। প্রতিটা এরিয়ার চারপাশ দিয়ে অদৃশ্য ব্যারিয়ার রয়েছে, যেটা বাইরের বিষাক্ত হাওয়াকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।


মানুষ ক্ষনিক সময়ের জন্য শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা পেয়েছে, প্রতিটা এরিয়ার মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকায় আপাতোতো সবাই বেচে আছে। তবে কোনো প্রটেকশন ছাড়া এরিয়ার বাইরে প্রবেশ করলেই মারা যায় যেকোনো জীবিত বস্তু। তাই সবাই আকাশ ছোয়া স্তম্ভে প্রবেশের আশায় বসে আছে। জ্যাক ছাদের উপরে দাড়িয়ে স্তম্ভটার উচ্চতা মাপার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। সে টাওয়ারটার শেষ দেখতেই পাচ্ছে না।


-->>টাওয়ার অফ গ্রিড।(জ্যাক)



জ্যাকের মুখ থেকে শুধু টাওয়ারের নামটা বেরিয়ে আসলো। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। টাওয়ারের গায়ে বিশাল আকারে সেটার নাম লেখা রয়েছে। নামটা এমন অক্ষরে লেখা যেটা কেউ কোনোদিন দেখে নি, তারপরও সেটার দিকে তাকালেই পড়া যায় কি লেখা সেটা। সব এরিয়ার মানুষই জানে টাওয়ার সম্পর্কে, তাই উদাহরন স্বরূপ বলা যায় আকাশেরও সেই বিষয়ে জ্ঞান ছিলো। তাই জ্যাকও জানতে পেরেছে আকাশের স্মৃতি থেকে।


জ্যাকের এই টাওয়ারের বিষয়ে আগ্রহ জাগছে। আকাশের স্মৃতি অনুযায়ী এই পৃথিবীর কেউই স্পষ্ট ভাবে বলতে পারে না সেটার মধ্যে কি আছে। শুধু টাওয়ারটা প্রথম যেদিন দেখা যায় সেদিন সারা পৃথিবীতে একটা আওয়াজ শোনা যায়,


-"তোমরা যারা নতুন জীবন শুরু করতে চাও, তাদের জন্য টাওয়ার অপেক্ষা করছে। টাওয়ারের ভিতরে সব কিছুই রয়েছে। এই মৃত প্লানেট থেকে হিরো হওয়ার সুযোগ তোমাদেরও রয়েছে, যেটা তোমাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হবে।"-




জ্যাকের হঠাৎ এই আওয়াজটা মনে পরলো আকাশের স্মৃতি থেকে। সে টাওয়ার সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না, মানে আকাশ তেমন কিছু জানতো না। শুধু আকাশ কেনো এই মৃত পৃথিবীর কেউই হয়তো টাওয়ার সম্পর্কে জানে না। কারন যারা একবার প্রবেশ করেছে টাওয়ারে, তারা কখনো ফেরত আসে নি।


-->>কি আছে এটার মধ্যে?(জ্যাক)




হঠাৎ জ্যাকের মনে একটা প্রশ্ন দেখা দিলো। তবে সেটা বেশীক্ষন মাথায় রাখলো না সে৷ কারন যত ভাববে তত সময় নষ্ট হবে তার। বাইরের কেউ তার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। তাকে উত্তর পেতে হলে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে।


-->>এই অর্ধমৃত ওয়ার্ল্ডও টাকা ছাড়া চলে না। আমার যে অবস্থা এখন টাকা ছাড়া কি করবো মাথায় আসছে না।(জ্যাক)



জ্যাক বুঝতে পারলো না কি করবে। আপাতোতো আকাশের কাছে এতো তথ্য ছিলো না যে সে টাওয়ার সম্পর্কে কিছু জানতে পারবে। তাই তাকে এই খানেই থাকতে হবে। জায়গাটা সাধারন পৃথিবীর মতো নয়। এখানে টাকা সব কিছু করতে পারে। টাকার জন্য মানুষ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে সবার সামনেই। যুদ্ধের পরে তেমন নিয়ম শৃঙ্খলা তৈরী হয় নি। এসোসিয়েশান ভিতরের ছোটখাটো দ্বন্দ্ব গুলো দেখে না। তাই আকাশ যে মারা গিয়েছিলো এটা কেউ জানতেও পারে নাই। 

জ্যাক বুঝতে পারলো তাকে কি করতে হবে। তাই সে ছাদ থেকে নিচে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। কিন্তু জ্যাক ছাদের দরজা খোলার পূর্বেই দরজা খুলে তিনজন ব্যক্তি জ্যাকের সামনে দাড়ালো। কালো কোর্ট পরিহিত দুজন লোক পিছনে এবং সাদা কোর্ট পরিহিত একজন মেয়ে সামনে দাড়িয়ে আছে। জ্যাক কিছুটা নার্ভাস হলো তিনজন অচেনা মানুষকে দেখে, 


-->>মিস্টার আকাশ চৌধুরী, আমাদের কিছু প্রশ্ন রয়েছে, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে কোঅপারেট করুন।(মেয়েটা বললো)



মেয়েটার বয়স একুশের মতো মনে হচ্ছে দেখে। মাথার চুল বাধা, চোখে চশমা এবং হাতে ফাইল রয়েছে একটা। মনে হচ্ছে কোনো বড়লোক বসের সেক্রেটারি। জ্যাক কি করবে বুঝতে পারছে না৷ যেহেতু সে এখন জ্যাক না বরং আকাশ চৌধুরী, তাই তাকে মেয়েটার কথা শুনতে হবে। মেয়েটার পিছনে কালো কোর্ট পরিহিত দুজন লোক। যাদের বডি দেখেই জ্যাক একটা ঢোক গিললো। যদিও এক সময়ে এসব তার জন্য কিছুই ছিলো না, তবে তার মাথার আকাশের স্মৃতি থাকার জন্য তার শরীর কিছুটা ভয় পাওয়া শুরু করলো।


ভয় স্বাভাবিক একটা জিনিস। এটা সবারই থাকার দরকার। ভয় না থাকলে মানুষ কখনো কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না। জ্যাক যে কিনা একটা ওয়ার্ল্ডের কিং ছিলো এক সময়, সেও ভয় পেয়েছে জীবনের অনেকটা সময়েই। তাই এই ভয়ও তার জন্য স্বাভাবিক। তবে লজ্জাজনক একটা পরিস্থিতি, কারন তার সামনে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে যার চেহারা একটা পরীর থেকে কম না। সে এমন একটা মেয়ের সামনে ভয় পেয়ে লজ্জা পাচ্ছে। জ্যাকের সামনের মেয়েটাকে দেখতে পরিচিত একজনের মতোই। জ্যাক দেখতে ভুল করে নি। মনে হচ্ছিলো সে হ্যাভেনের প্রিন্সেস আফরিয়েলকে দেখছিলো।


-->>হ্যালো মিস্টার, এভাবে তাকিয়ে থেকে আমাদের লিডারের সময় নষ্ট করলে আমরা কিন্তু সেটা মেনে নিবো না।



হঠাৎ পিছন থেকে একজন কালো কোর্ট পরিহিত লোকের কথায় বাস্তবে ফিরে আসলো জ্যাক।


-->>ও হ্যা জিজ্ঞাসা করুন?(জ্যাক)



মেয়েটা তার হাত থেকে একটা কার্ড বের করলো। এবং সেটা জ্যাকে সামনে দেখালো। সেখানে শুধু এসোসিয়েশান এর লোগো ছিলো। আকাশের স্মৃতি থাকায় সে সহজেই বুঝতে পারলো এরা এসোসিয়েশান থেকে। তাই জ্যাককে সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এসোসিয়েশান বর্তমানের ছাব্বিশটা এরিয়াকে কন্ট্রোল করে। বলা যায় তারা এই মৃত পৃথিবীর একমুখী গভার্মেন্ট। যাইহোক জ্যাক তাদেরকে ছাদের রুমটার মধ্যে নিয়ে গেলো, যেখানে সে কাল রাতে ঘুমিয়েছিলো।


-->>আমি সোজা মেইন পয়েন্টে আসবো, আপনি কি এবিলিটি ইউজার?



মেয়েটার হঠাৎ প্রশ্নে থমকে গেলো জ্যাক। কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। মূলত মেয়েটার প্রশ্ন তেমন সঠিক করে সে বুঝে নি। যদিও আন্দাজ করতে পেরেছে, তারপরও সিওর না সে। 


-->>মানে বুঝলাম না?(জ্যাক)




মেয়েটা তার চশমা খুলে হাতে নিলো। পিছন থেকে দুজন বডিগার্ডের একজন হাত দিয়ে আগুন তৈরী করলো, অন্যজন অদৃশ্য হয়ে গেলো।


-->>এদের এবিলিটি ইউজার বলা হয়। আমি নিশ্চিত আপনিও কাল আপনার এবিলিটি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।(মেয়েটা)




জ্যাক কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। কালকে যে রিংটা হাতে নেওয়ার পর তার একটা আলাদা ক্ষমতা তৈরী হয় সেটা সম্পর্কে সে বাদে আর কারো জানার কথা না। কারন তখনি তার মৃত্যু হয়েছিলো এবং সময় এক ঘন্টা পিছিয়ে গিয়েছিলো। তাই এই সময় অনুযায়ী জ্যাক ব্লাক মার্কেটে প্রবেশ করে নি কখনো। তাহলে তার এই ক্ষমতার সম্পর্কে এসোসিয়েশান কিভাবে জানলো এটা সে বুঝতে পারছে না।


"মনে হচ্ছে এখানে শুধু আমার কাছেই স্পেশাল ক্ষমতা নেই।" (জ্যাক ভাবছে)




মেয়েটা আবারো একটা প্রশ্ন জ্যাকের সামনে তুলে ধরলো,


-->>আকাশ চৌধুরী, কাল রাতে নিশ্চয় বেশ কিছু এসাসিন আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো, আপনার মারা যাওয়ার কথাও ছিলো, কিন্তু আজ সকালে আপনি আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন জীবিত।(মেয়েটা)




হঠাৎ মেয়েটা সিরিয়াস হয়ে কথাটা বললো। জ্যাকের মনে হচ্ছিলো তার মাথাটা ঘুরছে। মেয়েটার কথাটা তার কানে বার বার বাধতে লাগলো। মনে হচ্ছিলো মেয়েটা স্পেশাল একটা এবিলিটি ব্যবহার করেছে, যেটা শুধু জ্যাকের কানে বারবার মেয়েটার কথা শোনাচ্ছে।


জ্যাক ভালো করে তাকালো। পিছনে থাকা কালো কোর্ট পরা লোক দুটো স্বাভাবিকভাবে দাড়িয়ে আছে। তাদের দেখে এমন মনে হচ্ছে তারা দুজনের কোনো কথায় শুনতে পারছে না।


-->>আপনি কি বলছেন আমি বুঝতে পারছি না?(জ্যাক)



জ্যাক বুঝতে পারলো সে কোনো স্বাভাবিক জায়গায় আসে নি। জায়গাটা অর্ধমৃত হলেও এখানের মানুষ খুবই মারাত্মক।


"আমি যে আকাশ না এটা কি বুঝতে পেরেছে মেয়েটা?"



জ্যাক সন্দেহ করছে, মনে হয় মেয়েটা বুঝতে পেরেছে যে সে আকাশ নয় তাই সে বুঝে উঠতে পারছিলো না কি করবে।


মেয়েটা তার হাতের ফাইল থেকে একটা ছবি বের করলো, এবং সেটা জ্যাকের সামনে তুলে ধরলো, জ্যাক সাথে সাথে চমকে উঠলো ছবিটা দেখে। সে মনে করতে না পারলেও ডিভাইন গেইটে প্রবেশের সময়ে এই মানুষটাকেই সে দেখতে পেয়েছিলো, যদিও বাকি টুকু তার মনে নেই। ছবিতে পুরো কালো পোষাকে এক ব্যক্তি রয়েছে, যেটাকে হাতে আঁকানো হয়েছে। যদিও এতোটা ক্লিয়ার না, তারপরও জ্যাকের চিনতে একদমই অসুবিধা হলো না। 


এদিকে মেয়েটা ছেলেটার চমকে যাওয়া চেহারা দেখতে পেয়ে আর অপেক্ষা করলো না।


-->>আমি এমনটায় আশা করছিলাম। তা নাহলে আমার গল্পে যে চরিত্র মারা গিয়েছে সে কিভাবে পরের দিন জীবিত হয়। "সে" আমার ইচ্ছার সাথে খেলা করছে। এমনটা হলে আমার গল্পের শেষটা পুরোটায় পাল্টে যাবে।(মেয়েটা)




জ্যাক কিছু বুঝতে পারলো না মেয়েটা কি বললো, তাকে জিজ্ঞেস করবে তার পূর্বেই মেয়েটার তার হাত দিয়ে একটা চুটকি বাজালো। সাথে সাথে পিছন থেকে কালো কোর্ট পরা এক লোক জ্যাকের মুখকে তার হাত দিয়ে ধরে ফেললো। জ্যাকের দুর্বল শরীরে সে কিছুই করতে পারলো না। শুধু ছটফট করতে লাগলো ছাড়া পাওয়ার জন্য। তখনি লোকটা তার হাতে আগুন তৈরী করলো। যেটায় জ্যাক পুরে মারা গেলো।


মেয়েটা ছেলেটার পুরে যাওয়া শরীরে তাকিয়ে রইলো। তার মুখে কোনো ইমপ্রেশন দেখা গেলো না। শুধু একটা কথা বেরিয়ে আসলো,


-->>সময় হয়ে গিয়েছে গল্পের হিরোর এন্ট্রি হওয়ার। তাই আমাকেও প্রস্তুতি নিতে হবে। গল্পের লেখিকা অনুযায়ী যে শেষটা আমি করতে পারি নি, সেটা আমাকে করতেই হবে।(মেয়েটা)





-"হোস্ট মারা গিয়েছে।"-


-"স্কিল "বিরিং মি ব্যাক" একটিভ হচ্ছে।"-


-"হোস্ট তার মৃত্যুর এক ঘন্টা পূর্বে পৌছে যাবেন।"-




* * *


To Be Continue 


* * *



অনেক ভুল ত্রুটি থাকতে পারে আজকের পার্টে। তাই কোথাও ভুল পেলে জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.