আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্ব: ০৯

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

  [গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]


#Demon_King#


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী


পর্বঃ০৯



মেয়েদের ওয়াশরুমের একটা কক্ষের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে প্রবেশ করেছে ডিউক কন্যা এলিন। তার হাতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হচ্ছিলো। সবার সাথে অডিটোরিয়ামে থাকতে না পারায়, তাকে আলাদা একটা জায়গা খুজতে হয়েছে। পুরো একাডেমির মধ্যে ওয়াশরুম ছাড়া কোনো নির্জন জায়গা তার মাথায় আসে নি। তাই এখানেই সে। তার হাতের বেদনা যে তার ব্রেসলেট ছাড়া অন্য কিছু নয় সেটা সে জানে। এলিনের হাত থেকে তার ব্রেসলেট হঠাৎ কালো ধোয়া বের করতে শুরু করলো। সেই ধোয়া থেকে একটা কালো রঙের পাখির উদ্ভব হলো। পাখিটাকে দূর থেকে দেখলে কালো কাক ছাড়া অন্য কিছু মনে হবে না। তবে কাছে থেকে দেখলে বোঝা যাবে তার গায়ের পলক গুলো সাধারন কালো পালকের নয়। কালো রঙের আগুন জ্বলছে পাখিটার প্রতিটা পালক থেকে। এলিন তার হাতের যেখানে ব্রেসলেট ছিলো সেখানে পোড়া দাগ দেখতে পারলো। 


-->>কি হয়েছে তোমার সাথে? আমার হাত এভাবে জ্বলছে কেনো?


-->>আমি দুঃখিত। তবে আমি হঠাৎ জিডুরীর এনার্জি অনুভব করতে পেরে নিজের Flame কন্ট্রোল করতে পারি নি।


-->>জিডুরী!(এলিন)


এলিন অবাক হয়ে গেলো নামটা শুনে। তারপরও আবারো প্রশ্ন করলো,


-->>তাহলে শেষ Key(চাবি) ও উপস্থিত হয়েছে?(এলিনের প্রশ্ন)


পাখিটা তার ডানা বারি দিতে লাগলো। তার ডানা থেকে কালো আগুন বের হচ্ছিলো, যেটা অনেকটা নজর কারা দৃশ্য। তবে এলিনের আগ্রহ সেদিকে নেই। এলিন বুঝতে পেরেছে তার রাস্তার মধ্যে আরেকজন চলে এসেছে যে কিনা তার স্বপ্নের ব্যক্তির সাথে এলিনের সাক্ষাতকে আটকে ফেলবে। এলিন পাখিটার উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে।


-->>যেহেতু জিডুরী উপস্থিত হয়েছে তাই আমি নিসন্দেহে বলতে পারছি যে সবগুলো চাবি এই ওয়ার্ল্ডের মধ্যেই আছে। আমি জিডুরীর এনার্জি খুজে বের করতে না পারলেও বাকি তিন চাবির এনার্জির লোকেশন সম্পর্কে ধারনা দিতে পারবো।


-->>যেহেতু বাকি তিন চাবি টাওয়ারের মধ্যে রয়েছে তাই আমাদের টাওয়ারের মধ্যেই তো প্রবেশ করতে হবে তাই না?(এলিন)


-->>সেটা ঠিক, তবে আপনার এই শরীর নিয়ে আপনি কখনো বাকি চাবি গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন না। আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে।


-->>তোমার মাস্টারের সকল স্মৃতি এবং তার জ্ঞান তোমার ভিতরে রয়েছে। তাই শক্তিশালী হওয়া সময় লাগবে না। যেহেতু আমার এট্রিবিউট আনলক হয়েছে, তাই আমি টাওয়ারে প্রবেশের পূর্বে আমার সমস্ত ফোকাস লেভেল আপে রাখবো।(এলিন)


-->>আপনি কি সত্যি আমার মাস্টারের জায়গা নিতে চান না?


পাখিটা অনেক আগ্রহে প্রশ্ন করলো। এলিন কিছুক্ষন ভাবলো, এবং সবশেষে উত্তর দিলো।


-->>এই পাওয়ার, এই ক্ষমতার যোগ্য আমি নই। আমি শুধু তার পাশে থাকতে চাই। তার পাশে থেকে এই নষ্ট হয়ে যাওয়া পুরো ওয়ার্ল্ডকে ঠিক করতে চাই।


-->>তাহলে আমার সাজেশন থাকবে আপনি প্রথমে জিডুরীকে খুজুন। যেহেতু আপনি নিজে মাস্টারের জায়গা দখল করতে চান না, তাই আমি বলবো আপনি সেটা জিডুরীর হোস্টকে করতে সাহায্য করুন।


-->>সেটা কেনো?


-->>আমার কাছে মাস্টারের সকল জ্ঞান থাকলেও জিডুরীর সম্পর্কে তেমন কিছুই সেখানে অবস্থিত নেই। আর তাছাড়াও আমাদের পাঁচ চাবির মধ্যে জিডুরীই একজন ছিলো যে মাস্টারের সবচেয়ে রয়েল ছিলো। যেহেতু আপনি মাস্টারের জায়গা নিতে চান না তাই আমি বলবো আপনি জিডুরীর হোস্টকে টাওয়ারে ঢোকার পূর্বেই খুজে বের করুন।


-->>টাওয়ারে ঢোকার পূর্বেই বের করবো কিভাবে?(এলিন)


-->>যদিও আমি জিডুরীর এনার্জির লোকেশন ট্রাক করতে পারছি না, তবে আমি অনুভব করতে পারছি জিডুরী আমাদের খুব কাছেই রয়েছে।


-->>যদি তার হোস্ট আমাকে বিশ্বাস না করে?(এলিন চিন্তিত হয়ে বললো)


-->>আমার যতদূর মনে পরে জিডুরী Seal রয়েছে। তার অধিকাংশ স্মৃতিও হারিয়ে ফেলেছে। আমার মনে হয় না চাবির সম্পর্কে সে কোনো কিছু জানে। বাকিটা আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।


-->>হ্যা আমি বুঝতে পেরেছি।


এলিনের মুখে একটা হাসির দেখা দিলো। যেটা অনেক মিষ্টি দেখতে ছিলো, হয়তো কোনো ছেলে দেখলে সেটায় ঘায়েল হতো, কিন্তু এখানে আপাতোতো কেউ ছিলো না। কালো আগুনের পাখিটা আবারো এলিনের ব্রেসলেটের মধ্যে প্রবেশ করলো। এলিন ভাবতে লাগলো,


"জিডুরী হোক কিংবা পিডুরী, হোস্ট আমার পছন্দ না হলে সে কখনো তার জায়গা নিতে পারবে না। আমি আমার পছন্দ মতো হোস্ট খুজে বের করবো তার জন্য।


* * *


অডিটোরিয়ামের মধ্যে,


একজন বাদে সবার টেস্ট সম্পর্ন হয়েছে। ছেলেদের মধ্যে শুধু পাঁচজন এট্রিবিউট আনলক করতে পারে নি। মাত্র দুজন ছেলেই দুটো এট্রিবিউট আনলক করতে পেরেছে। ডিউক পুত্র এডওয়ার্ড যে Lightning এবং Water এট্রিবিউট আনলক করেছে যেটা সবার নজর কেরে নিয়েছিলো। তবে তার থেকেও নজর কারা জিনিস হয় যখন আরো একজন একসাথে Fire এবং Lightning দুটো এট্রিবিউট আনলক করে। সবাই ছেলেটার পরিচয় সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী ছিলো, তবে শিক্ষক ডিয়ারা যখন সবাইকে জানায় সে একজন কমনার তখন পুরো অডিটোরিয়াম চুপ হয়ে যায়। একজন কমনার যে Fire এবং Lightning এট্রিবিউট প্রথমেই একসাথে আনলক করে, এটা অবিশ্বাস্য কোনো কল্প কাহিনী না হওয়া ছাড়া আর কি হতে পারে।


***


ওয়াশরুম থেকে এলিন চলে আসলো। মাইরা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,


-->>শরীর কি খারাপ অনেক?


-->>না ঠিক আছি। একটু মাথা ঘুরাচ্ছিলো পূর্বে।(এলিন)


-->>ও তুমি তো অনেক ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস মিশ করেছো। একজন ছেলে Lightning এবং Fire এট্রিবিউট আনলক করেছে।


অনেক হাসি মুখে মাইরা বললো। তবে এলিন সেটাকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না,


-->>তুমি মজা করছো।(এলিন)


-->>আরে না সত্য।


-->>তাহলে তো তাদের পরিবার উচ্চ একটা পদ পাবে কিং এর থেকে।(এলিন)


-->>তুমি বিশ্বাস করবে না, কিন্তু সে কোনো নোবেল নয়। বরং একজন কমনার।


-->>মাইরা তুমি মজা করো নাতো। একাডেমির টেস্ট গুলো এমন ভাবে নেওয়া হয় যাতে সকল ট্যালেন্টেড কমনার বাদ পরে যায়, আর তুমি বলতেছো একজন কমনার Fire এবং Lightning এট্রিবিউট এক সাথে আনলক করেছে।


-->>বিশ্বাস আমারও হচ্ছে না। আমার মনে হয় ছেলেটা কিং কিংবা দুই ডিউকের গোপন সন্তান হতে পারে। কিংবা অন্য কিংডমের কোনো প্রিন্স হবে।


মাইরা হেসে কথাটা বললো, এলিন রেগে গিয়ে বললো,


-->>ফাজলামি বাদ দাও। ছেলেটাকে নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে না। Empire থেকে লোক এসে ঠিক তাকে নিয়ে চলে যাবে। টেস্ট এখনো শেষ হয় নি?(এলিন)


-->>আর একজন আছে। ছেলেটাকে দেখে মনে পরেছে, এটা সেই ছেলে যাকে আমার লেটারটা দিয়েছিলাম। আমি আগ্রহী ও কি এট্রিবিউট আনলক করবে সেটা দেখার জন্য।


এলিন বেশ কিছুক্ষন এলেক্সের দিকে তাকিয়ে দেখতে রইলো। ছেলেটাকে দেখে কোনো অংশে একজন কমনার মনে হচ্ছিলো না। তারপরও সে সেদিকে আগ্রহী হলো না। এলিন মনের মধ্যে একটা হাসি দিলো। এলিন ভাবছে যদি ছেলেটা কোনো এট্রিবিউটই আনলক না করতে পারে তাহলে মাইরাকে অনেক ভাবে রাগাতে পারবে সে। তাই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলো না সে। মাইরার যে ছেলেটার উপরে আগ্রহ রয়েছে এটা বুঝতে পেরেছে এলিন। তবে সে বুঝতে পারছে না মাইরা একজন কমনারের উপরে আগ্রহ দেখাবে কেনো?


***


এদিকে সর্বশেষ এলেক্স বাকি রয়েছে। ছেলেদের মধ্যে বেশ অনেকজন ট্যালেন্টেড ছিলো। দুজন শুধু দুটো এট্রিবিউট আনলক করেছে। আর বাকিদের মধ্যে দুজন Fire, এবং বাকি সবাই যথাক্রমে Air, Earth, Poison, Plant, Light এট্রিবিউট আনলক করেছে। এলেক্স Mana Stone এর দিকে এগিয়ে গেলো। তার মাথায় অনেক চিন্তা। তবে আপাতোতো সে চিন্তা এক পাশে রেখে স্টোনের উপরে হাত রাখলো। Mana Stone এর সাধারন রং সব সময় নীল কালারের থাকে। যেটা বিভিন্ন এট্রিবিউট এবং তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী রং পাল্টায়। তাছাড়া স্টোনের ভিতরে কিংবা চারপাশে সেই এট্রিবিউটের উদাহরনও দেখা যায়। যেমন এডওয়ার্ডের লাইটনিং এট্রিবিউট আনলকের সময়ে স্টোনের চারপাশ দিয়ে ছোট ছোট লাইটনিং দেখা দিয়েছে, ওয়াটার এট্রিবিউটের সময় ছোট ছোট বুধবুধ আকারের পানির বল দেখা দিয়েছে, প্লান্ট এট্রিবিউটের সময় স্টোনের চারপাশ দিয়ে গাছের পাতা বের হয়, লাইট এট্রিবিউটের সময়ে উজ্জ্বল আলো দেখা যায়, ফায়ার এট্রিবিউটের সময় আগুন জ্বলে উঠে স্টোনের চারপাশ দিয়ে। এরকম বিভিন্ন এট্রিবিউটে বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে বোঝা যায় কার এট্রিবিউট কোনটা। 


এলেক্স তার হাত স্টোনের উপরে রাখলো। হঠাৎ পুরো স্টোন কালো হয়ে গেলো। একজন স্টোনের উপরে হাত রাখার পরে কিছুক্ষন পরেই তার এট্রিবিউট আনলক হয়ে চিহ্ন দেখাবে সেটা কোন এট্রিবিউট। এবং কিছু মুহুর্ত পরে আবার স্টোন পূর্বের মতো ফিরে আসবে। হাত তখনো রাখতে হয় স্টোনের উপরে কারন তখনি দ্বিতীয় এট্রিবিউট আনলক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে এলেক্সের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। কেউ হাত রাখার পরে স্টোনে কোনো পরিবর্তন না হলে বোঝা যায় তার কোনো এট্রিবিউট আনলক হয় নি। 


এলেক্স স্টোনে হাত রাখার পর সময় যত যাচ্ছে এমন মনে হচ্ছে স্টোন তত বেশী কালো হচ্ছে। কিছু সময় পরে Mana স্টোনটা একদম কালো রঙে পরিনত হয়ে টাস্ করে শব্দ করে ভেঙে গেলো। একটা কাচ ভাঙার মতো আওয়াজ হলো। যদিও সবার নজরে পরলো না। তবে এলেক্স ঠিকই দেখতে পেলো ভাঙা স্টোনের মধ্য থেকে কালো রঙের ধোয়া বের হয়ে তার রিং এর মধ্যে প্রবেশ করছে। সবাই অনেক ভয় এবং অবাক হলো, কিন্তু তারা সবাই এটুকু জানে যে এটা এই ছেলের কাজ হবে না। সবার ভয় ভাঙাতে শিক্ষক ডিয়ারা বলতে লাগলেন,


-->>ভয়ের কোনো কারন নেই, যেহেতু এবার বেশ কয়েকজন শক্তিশালী এট্রিবিউট আনলক করতে পেরেছে তাই এই Mana স্টোন সকল এনার্জি ধরে রাখতে পারে নি, তাই সেটা ভেঙে গিয়েছে। আজকের জন্য  এখানেই শেষ। কাল সবাইকে সকালে একাডেমিতে আসতে হবে। কাল ক্লাসের মধ্যে সবাইকে ক্লাস টাইটেল দেওয়া হবে।


শিক্ষক বেরিয়ে গেলো। অডিটোরিয়ামে সবাই একে অপরের সাথে মুরমুর করতে লাগলো,


-->>ডার্ক এট্রিবিউট এটাকে তো সবচেয়ে দুর্বল এট্রিবিউট বলা হয়। 


-->>আজ পর্যন্ত শক্তিশালী কোনো স্পেল তৈরী হয় নি ডার্ক এট্রিবিউটের।


-->>ডার্ক এট্রিবিউট আনলক করলেও কেউ ব্যবহার করে না, এই ছেলের ভাগ্যই খারাপ। 


-->>একজন কমনারের থেকে আর কি আশা করবে। লক্ষের মধ্যে নাহয় একজনই ট্যালেন্টেড থাকে, যেখানে আমাদের মতো নোবেল সবাই ট্যালেন্টেড হয়।


সবাই একে অপরের সাথে কথা বলা শেষ করার পরে অডিটোরিয়াম থেকে বের হতে শুরু করলো।


শিক্ষক হাটতে হাটতে অডিটোরিয়াম থেকে বেরিয়ে গেলো। সে খুব দ্রুত হাটতে লাগলো। তবে তার কাছে মনে হচ্ছিলো তার পা একদমই চলছিলো না। সে তার রুমের মধ্যে প্রবেশ করেই দরজা বন্ধ করে দিলো। একাডেমির প্রতিটা শিক্ষকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রুম বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।


রুমের দরজা বন্ধ করার পরই শিক্ষক ফ্লোরের উপরে বসে পরলো। একটু পূর্বে কি হয়েছিলো সে নিজেও জানে না। তবে কিভাবে সম্ভব। সকল এট্রিবিউটের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল এট্রিবিউট হলো Dark। যেটা সম্পর্কে পুরো কিংডম জানে। তবে ডিয়ারা যখন ছেলেটার এট্রিবিউট টেস্টের সময় নজর রেখেছিলো স্টোনের মধ্যে তার কাছে মনে হচ্ছিলো যে তার শরীরটা একটু হলেই সেই স্টোনের মধ্যে প্রবেশ করবে। শিক্ষক আর কিছু ভাবলো না। Dark এট্রিবিউট কখনো এমন করতে পারে না। হয়তো বেশী স্ট্রেসের কারনে তার শরীর ক্লান্ত ছিলো। তাকে একটু রেস্ট নিতে হবে।


শিক্ষকের শরীরের Mana এনার্জি শেষ হয়ে গিয়েছে, যেটার কারনে তার শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। এনার্জি ব্যবহারের জন্য শরীরের স্ট্যামানা প্রয়োজন হয়। যার কারনে অতিরিক্ত এনার্জি ব্যবহারে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এবং শরীরের লিমিটের উপরে ব্যবহার করলে অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। শিক্ষক তার বিছানার উপরে থাকা আরেকটা Mana Stone হাতে নিলো। এবং সেটার এনার্জি এবজোর্ব করতে করতে ঘুমিয়ে গেলো।


* * *


(এলেক্স রূপে)


টেস্ট শেষ হয়েছে। সবাই একাডেমি থেকে বেরিয়ে গেলো। অন্যকারো সম্পর্কে কারো কোনো ভাবনা নেই। সবাই শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছে। একাডেমিতে কাল থেকে তারা প্রবেশ করতে পারবে, এর থেকে খুশির কি আছে। আমি আমার বাসার জন্য রওনা হতে যাচ্ছিলাম। তবে একাডেমির গেইটের বাইরে যেতে যাবো তখনি আমি নিজেকে আবারো একটা পরিচিত কক্ষের মধ্যে আবিষ্কার করলাম। এক পলকের মধ্যে আমি প্রিন্সিপালের অফিসে চলে আসবো সেটা কখনো আশা করি নি। আমার সামনে বসে আছে প্রিন্সিপাল। যার সামনে একটা বড় আকারের স্টোন রয়েছে। স্টোনটা অনেকটা পূর্বের Mana স্টোনের মতোই দেখতে, তবে পার্থক্য শুধু আকারে। এটা সেটার থেকে তিনগুন বড় হবে আকারের দিক দিয়ে। আর তাছাড়া স্টোনটা একদম স্বচ্ছ নীল রঙের। যেটাকে দেখলে মনে হবে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি প্রথমত প্রিন্সিপালের ক্ষমতায় আগ্রহী হলাম। সে এক পলকের মধ্যে আমাকে বাইরে থেকে তার রুমের মধ্যে নিয়ে আসলো, এটা অনেক শক্তিশালী একটা ক্ষমতা। এমন স্কিল আমার কাছে থাকলে অনেক ভালো হতো।


-->>আমি তোমাদের টেস্ট পূর্বে দেখছিলাম দূর থেকে। একটা লো লেভেল Mana স্টোন সাধারনত একশো জনের দুটো এট্রিবিউট আনলক করলেও কখনো এনার্জি হারায় না। যেটা আমি দেখলাম সেটা বিশ্বাস হচ্ছিলো না। হয়তো আমাদের দেওয়া স্টোনে ত্রুটি ছিলো। আমি চাই না যে কোনো ছেলে মেয়ে বাইরে গিয়ে বলুক একাডেমির স্টোন ভাঙার জন্য তারা শুধু একটা এট্রিবিউট আনলক করতে পেরেছি। তাই সেটা এড়াতে তোমাকে একটা হাই লেভেল Mana স্টোন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। এটায় অন্য কোনো এট্রিবিউট আনলকের সম্ভবনা পূর্বেরটার থেকে অনেক বেশী রয়েছে।


প্রিন্সিপালের হঠাৎ কথা শুনে আমি চমকে গেলাম। সে অনেক সিরিয়াস লুক দিয়ে কথাটা বললো আমাকে। আমি ভালো করে তার কথার অর্থ না বুঝতে পেরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 


-->>বুঝলাম না আমি?


-->>আমি আবারো এট্রিবিউট আনলকের সুযোগ দিতে চাই তোমাকে। সাধারন এরকম সুযোগ ছয় মাস পরে পায় সবাই, কিন্তু আজকের স্টোন ভাঙার কারনে সেটা এখন দিচ্ছি তোমাকে। এই স্টোনে একজনের তিনটা এট্রিবিউট আনলকের সম্ভবনা থাকে।


প্রিন্সিপাল ছোট একটা হাসি দিয়ে বললো কথাটা। তার হাসির অর্থ আমি বুঝতে পারলাম না। তবে আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পারলাম না। Dark এট্রিবিউটকে সবচেয়ে দুর্বল এট্রিবিউট বলা হয়। আমারো কিছু শক্তিশালী এট্রিবিউটের দরকার ছিলো।


প্রিন্সিপাল তার সামনের স্টোন আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমিও সময় নষ্ট না করে সেটার উপরে হাত দিলাম। তবে এবারো পূর্বের থেকে বিপরীত কিছু হলো না। তবে এবারে শুধু স্টোনটা কালো হলো না। বরং পুরো প্রিন্সিপালের রুমটা কালো অন্ধকারে ছেয়ে গেলো। আমার মনে হচ্ছিলো আমার শরীরের সকল এনার্জি বেরিয়ে যাচ্ছিলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসলো, তারপরে আর কিছু মনে রইলো না।


* * * 


প্রিন্সিপাল পুরো ঘেমে গিয়েছিলো। তার মনে হচ্ছিলো সে পুরো অন্ধকার একটা দুনিয়ার মধ্যে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু সব কিছু আবার পূর্বের মতো হয়ে যায় কয়েক মুহূর্তের মধ্যে। প্রিন্সিপাল মনের মধ্যে যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো। সে এলেক্সকে ফ্লোরের উপরে পরে থাকতে দেখলো। একজন মানুষের মধ্যে এতোটা ডার্ক এনার্জি থাকতে পারে সেটা প্রিন্সিপালের ধারনার বাইরে ছিলো। সে তার চোখের ইশারার মাধ্যমে এলেক্সের সেন্সলেশ শরীরকে উপরে তুললো এবং পাশে একটা লম্বা চেয়ারের উপরে শুইয়ে দিলো। এলেক্সের শরীরে এতো এনার্জি কেনো কিভাবে আসলো সেটা প্রিন্সিপাল জানে না, তবে সে একটা জিনিস জানে যে এই এনার্জির মাধ্যমেই সে তার শরীরকে আবার ঠিক করতে পারবে। তার নজর এলেক্সের উপর থেকে এখন চলে আসলো টেবিলের উপরের উচ্চ লেভেল Mana স্টোনের উপরে। এটা ভেঙে যায় নি। স্টোনটা একদম গাঢ় কালো রঙে রূপ নিয়েছে। যেটার চারপাশ দিয়ে অনেক কালো ছোয়া বের হচ্ছে। প্রিন্সিপাল তার কম বয়স্ক রূপে ট্রান্সফর্ম হলো আবারো। এবং গলা থেকে চেইনটা খুলে বের করলো।


* * *


এলেক্স তার বাসায় ফিরেছে। একাডেমি থেকে একজন শিক্ষক তার ম্যাজিকাল ঝাড়ু দিয়ে এলেক্সকে বাসায় দিয়ে গিয়েছে। মারিয়া এলেক্সের জন্য সারাদিনই চিন্তিত ছিলো। সে কাল সকালে তার Alchemy ম্যাজিক ব্যবহার করেছিলো। যেটার মাধ্যমে এলেক্সের সকল এনার্জি Seal হয়ে ছিলো। Alchemist রা এমন কিছু মেডিসিন তৈরী করতে পারে যেটার মাধ্যমে একজনের শরীরে যেকোনো এনার্জির চলাচল বন্ধ করা যায়। কাল প্রিন্সিপালের অফিসে এনার্জি টেস্টের সময় এজন্যই মারিয়া অনেক কনফিডেন্ট ছিলো। সে এলেক্সের Mana এনার্জি বাদে সকল এনার্জি Seal করে রেখেছিলো। যদিও সেটা মাত্র একদিনের জন্য ছিলো। তাই আজ মারিয়া অনেক চিন্তিত ছিলো। ছেলেকে যতটা স্বাভাবিক ভাবে রাখা যায়। এখন তাদের পরিচয় প্রচার হলে এলেক্স হয়তো এমন সাধারন জীবন উপভোগ করতে পারবে না কখনো। তাই এলেক্সকে আপাতোতো সময়ের জন্য নিজেদের ছায়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। যদিও সেটা কিছু সময়ের জন্য। তারপরও এই সময়টা এলেক্সের জন্য গুরুত্বপূর্ন হবে। মারিয়া তার ভাবনা গুলো বাদ দিয়ে ছেলের ঘুমন্ত কপালে একটা চুমু দিয়ে রুমের আলো বন্ধ করে বেরিয়ে গেলো। সে তার রুমের মধ্যে গিয়ে তার স্বামীকে বলতে লাগলো,


-->>পরের মিশনে যাবে কবে?


-->>হঠাৎ এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছো? কাল বিকালেই।


-->>কাল এলেক্স ফিরলে ওকে সাথে করে নিয়ে যাবে।(মারিয়া)


-->>কিন্তু কালকের ডিমনিক বিস্ট তো একটা Two Headed Snake। তুমি তো পূর্বে বিস্ট শিকারের সময়ে ওকে সাথে নিতে দাও নি।


-->>আমি চাই কাল তুমি ওকে দেখাও Aura এনার্জি কেমন।


এলমন্ড আর কিছু বললো না। সে অনেক দিন হলো তার শক্তি ছেলেকে দেখাতে চাচ্ছিলো। কিন্তু মারিয়ার কারনে সে পারে নি। মারিয়া কি ভাবছে সেদিকে এলমন্ড না খেয়াল করে এই খুশিতেই রাত পার করে দিলো। প্রত্যেক বাবাই চাই তাদের সন্তান দেখুক তাদের বাবার ক্ষমতা। এলমন্ডও ব্যাতিক্রম নয়। সে চাই এলেক্স তার ক্ষমতা দেখে অবাক হয়ে নিজেই শিখতে চাইবে সেসব। তাই অনেক উত্তেজনায় আছে এলমন্ড। 

তবে মারিয়া অন্যদিকে এলেক্সকে সাধারন জীবনের উপভোগ করার সুযোগ দিলেও ভবিষ্যতের বিষয় সে এরাতে পারছে না। তাই এলেক্সকে কিছুটা প্রস্তুত তো তাকে করতেই হবে।


* * * 


ডিউক উয়েক্সকুল এর ক্যাপিটাল ম্যানসনের মধ্যে একটা বিশাল কক্ষের মধ্যে একটা বিশাল বিছানার উপরে শুয়ে ঘুমাচ্ছে এলিন। তার হাতের ব্রেসলেট থেকে কালো ধোয়া বের হচ্ছে, যেটা এলিনের কপালের উপর দিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। এলিন স্বপ্ন দেখছে, আবারো সেই একই স্বপ্ন। একটা চেহারাহীন ছোট ছেলের জীবনের কাহিনীকে সে স্বপ্ন দেখছে। আজ পর্যন্ত তার চেহারা সে কখনো দেখতে পাই নি। তার হাতের ব্রেসলেট তাকে এই চেহারা অর্জনের সুযোগ দিয়েছিলো। কিন্তু এলিন আয়নায় এই চেহারা দেখতে নয় বরং নিজের চোখ দিয়ে আয়না ছাড়া এই চেহারাহীন চেহারাটাকে দেখতে চাই। তার হাত ধরে এই ভাঙা ওয়ার্ল্ডটাকে ঠিক করতে চাই। স্বপ্নের মধ্যে তার আরো একটা রাত পার হয়ে গেলো।


* * *


(টাওয়ারের মধ্যে)


একটা অজানা জায়গায় একটা মৃত ড্রাগনের মাথার উপরে বসে আছে এক ব্যক্তি। তার ব্যবহার করা বিশাল Heavy Two Handed Sword ড্রাগনের চোখের মধ্যে গাথা রয়েছে। ড্রাগনের ব্লাডে চারপাশে ছোট একটা পুকুর তৈরী হয়েছে। লোকটার দৈত্যের মতো শরীর বসা থেকে উপরে উঠলো। তার উচ্চতা সাত ফুটের মতো হবে। শরীরের উচ্চতার সাথে তার প্রতিটা মাংসপেশী অনেক ফোলা এবং মোটা, এরকম ফিগারে কেউ তাকে দেখলে দৈত্য বলে ভুল করবেই। তার মুখে একটা হাসি দেখা দিলো। 


-->>অবশেষে শেষ চাবির আবির্ভাব হয়েছে। বাকিরাও বসে থাকবে না এখন। আমাকেও আমার চাল চালতে হবে এখন। একবার সব চাবি আমার হাতে আসলে এই পুরো ওয়ার্ল্ড আমার হাতের মুঠোর মধ্যে থাকবে।


লোকটা একটা হাসি দিলো। একটা শব্দ শোনা গেলো পুরো টাওয়ারের মধ্যে,


"৬০ ফ্লোর বস Fire Dragon হত্যা হয়েছে। পরবর্তী ফ্লোর সকলের জন্য আনলক হয়েছে।"


-->>পরবর্তী ফ্লোরে প্রবেশ করে কে? যেহেতু চাবিগুলো সব নিচের ফ্লোরে রয়েছে।


 

লোকটা এক হাত দিয়ে তার বিশাল Sword ড্রাগনের চোখ থেকে উঠিয়ে ঘাড়ের উপরে রাখলো এবং আবারো বলতে লাগলো,


-->>ওয়ার্ল্ড সাবধান হয়ে যাও, তোমার কিং এর জন্ম হতে চলেছে। হাহাহাহা


একটা পৈশাচিক হাসি দিলো লোকটা।


* * * 


To Be Continue 


* * *


কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.