[গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
পর্বঃ৩১
।
।
(ডিমনিক ফরেস্ট)
পঞ্চম জোনের মধ্যে মানুষ রূপে এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। যে কোনো চিন্তা ছাড়ায় ডিমনিক বিস্ট হত্যা করে তাদের মাংস খেয়ে যাচ্ছে। ডিমনিক বিস্টের শরীরে অনেক পরিমানে ডিমনিক এনার্জি থাকে। সাধারন মানুষ এই এনার্জির সংস্পর্শে সরাসরি আসলে গুরুতর আহত বা মারাও যায়। তবে পঞ্চম জোনে থাকা ব্যক্তিটার এই বিষয়ে কোনো ভাবনায় নেই। সে আপন মনে একটা ডিমনিক হাইব্রিড সিংহের একটা লেগ পিচকে কাঁচা চিবিয়ে খাচ্ছে।
-->>এসবে আর মজা পাচ্ছি না। আমার জন্য সুস্বাদু খাবার গুলো অপেক্ষা করছে। অনেক দিনই হয়েছে আমি কোনো মানুষের রক্ত, মাংস টেস্ট করতে পারি নি। আমার মনে হচ্ছে অনেক মজায় হবে।
কেমোরাসের মুখে একটা বিচ্ছিরী হাসি ফুটে উঠলো, সেই সাথে তার কালো চোখের মধ্যে লাল মনিটাও জ্বলজ্বল করতে লাগলো। সে হাটছে সেই, তার হাটার সাথে ডিমনিক হাইব্রিডের লেগ পিচ থেকে কালো ব্লাড ছড়িয়ে পরছে মাটিতে। এদিকে তার নজর নেই। কারন তার ক্ষুদার্থ মনটা আজ শিকার খুজে পেয়েছে।
* * * * *
(কোনো এক অচেনা জায়গায়)
পাঁচজন ব্যক্তি তাদের নিজ আলোতে উজ্জ্বল ভাবে জ্বলছে। সবার মধ্য থেকে আলাদা একটা আলো দেখা যাচ্ছিলো। একটা ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছে এখানে। কিন্তু শেষ মেষ কি হলো? তারা লোকটা পরিচয় জানতে ব্যর্থ হলো। পাঁচজন আর কেউ না বরং,
রুলার অফ স্পেস, রুলার অফ ফায়ার, রুলার অফ ওয়াটার, রুলার অফ ফরেস্ট এবং রুলার অফ পয়জন।
পাঁচজন একটা ভয়ানক যুদ্ধ করেছে এখানে, উইশ মেকার নামক এক অদ্ভুদ লোক যার পরিচয় রুলার হয়েও তারা জানে না। এর থেকে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে? তাদের হাত থেকে অর্ধমৃত উইশ মেকার পালিয়ে যায়, যেটা তারা কখনো আশা করে নি।
-->>আমি ভাবতেও পারি নি, কিং অফ এন্জেলের সোর্ড দিয়েও উইশ মেকারকে পুরোপুরি শেষ করতে পারি নি। এখন আমরা কিং দের কি জবাব দিবো?(রুলার অফ ফায়ার)
রুলার অফ ফায়ার তার মুখ খুললো। পাঁচজনই খুব ক্লান্ত, তারা কখনো ভাবতে পারে নি উইশ মেকার এতোটা শক্তিশালী হবে। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য তারা পূর্বে থেকে প্রস্তুত ছিলো। তাইতো কিং অফ এন্জেলের কাছ থেকে তার সোর্ড নিয়ে এসেছিলো। সবার সন্দেহ এক জনের উপরেই ছিলো, কিন্তু সেটা যে ভুল প্রমান হলো তাতে কোনো সন্দেহ রইলো না।
-->>এটা রুলার অফ ডেড হতে পারে না। কারন তার কাছেও একজন কিং এর অস্ত্র থেকে বাঁচার ক্ষমতা নেই।(রুলার অফ স্পেস)
ক্লান্ত স্বরে স্পেসের রুলার কথাটা বলে উঠলো। সে আলাদা একটা স্পেস তৈরী করেছিলো তাদের লড়াই এর জন্য, যেটা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কখনো ভাবে নি পাঁচ টা রুলার একজন আননোন ব্যক্তির কাছে হেরে যাবে। যদি কিং এর সোর্ড ব্যবহার না করলো এখানে তাহলে হয়তো তারা মারায় যেতো।
-->>তাহলে রুলার অফ ডেড আছে কোথায়?(রুলার অফ ফরেস্ট)
সবুজ রঙে উজ্জ্বলিত ব্যক্তিটা কথাটা বলে উঠলো, তার কথায় স্পেসের রুলার উত্তর দিতে লাগলেন।
-->>আমাদের অন্য ইউনিভার্স খুজে দেখতে হবে ডেডকে খুজতে হলে। আপাতোতো উইশ মেকারের ব্যাপারটা কিং রা দেখে নিবে।(রুলার অফ স্পেস)
সকল রুলার হঠাৎ সেই জায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো। তাদের আর কোনো চিহ্নই পাওয়া গেলো না এই জায়গায়। মনে হচ্ছে এখানে কিছু হয় নি।
* * * * *
(এলেক্স রূপে)
আমি আমার আশাটা একটু বেশী করে রেখেছিলাম। তাই তো আমার লেভেল ৩০ এ আটকে আছে। আমি ভেবেছিলাম আমার স্ক্যালেটন আর্মিগুলো দিন রাত ডিমনিক বিস্ট হত্যা করে আমার লেভেলকে খুব তারাতারি বৃদ্ধি করবে। কিন্তু কে জানতো দুই লেভেল বৃদ্ধি হওয়ার পরই সবাই একসাথে হত্যা হবে। আমার কোনো স্ক্যালেটন হত্যা হলে প্রজেকশনে সেটা সো করে এভাবে,
"আপনার স্ক্যালেটন আর্মির একটা স্ক্যালেটন হত্যা হয়েছে। বাকি উনিশটা রয়েছে।"
এভাবেই আমাকে ইনফর্ম করে দেই কয়টা স্ক্যালেটন রয়েছে সেটা সম্পর্কে। স্কিলটা ভালো লাগলেও আমার সকল স্ক্যালেটন গুলো অনেক দুর্বল। তাদের শক্তিশালী করার কোনো উপায় থাকলে অনেক ভালো হতো। আমাদের টিম তৃতীয় জোনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। টেস্টের আজ বারো তম দিন। এই কয়টা দিন কিভাবে কেটে যাচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। তবে একটা জিনিসে অনেক ভালো লাগছিলো। আমি মাইরা এবং এলিনের সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
"বিকাম এ প্লেবয়" এটা আমার স্পেশাল মিশনের নাম। হাজার হাজার মিশনের মধ্যে সবচেয়ে বাজে মিশন বলা যায় এটাকে। পৃথিবীতপ থাকতে সারাটা জীবন আমি সিঙ্গেল ছিলাম। কত মেয়ের অপমান এবং রিজেক্ট সহ্য করেছি সেটা আমি নিজেও বলতে পারবো না। কি মেকার নামক এক ব্যক্তির কাছে উইশ করায় আমার বিয়ে পছন্দের মেয়ের সাথেই হয়ে যায়। তাই কিভাবে মেয়েদের ইমপ্রেস করতে হয় সেটা আমার অজানা। তাই আমার জন্য এটা বাজে একটা মিশন, যেটা শেষ না হওয়ার সম্ভবনায় বেশী।
আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম এক দিক দিয়ে। আমার এখানে সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। টাওয়ার আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমি যদি টাওয়ারে প্রবেশ করতে না পারি তাহলে এই ওয়ার্ল্ড থেকে বের হতে পারবো না৷ এটা যতই সুন্দর ওয়ার্ল্ড হোক না কেনো? আমার ওয়ার্ল্ডে আমাকে ফিরতেই হবে। তবে আমার ওয়ার্ল্ডে ফিরার পূর্বে আমাকে শক্তিশালী তো হতে হবে। আর আমি এখন কি করছি? কিছু বাচ্চা পোলাপানের সাথে হাটাহাটি।
সাধারন ভাবে বললে এখানে বাচ্চা আমিই। সবার বয়সই বারো কিংবা অধিক, শুধু আমিই আছি এগারো বছরের। যদিও ব্যাখ্যা দিলে আমি এক সময় ছাব্বিশ বছরের যুবক ছিলাম। কিন্তু এখানে কাউকে সেটা বললে আমাকে পাগল বলবে। তাই আপাতোতো এই টপিকে না যায়।
আমি হাটতে ছিলাম আমার আপন মনে। আশে পাশে তেমন নজর নাই। হঠাৎ এলিন আমার পাশে এসে হাটতে শুরু করলো। সবাই কিছুটা দূরত্ব নিয়ে হাটছিলাম, তাই কেউ কারো সাথে কথা বললে সেটা শোনা যাচ্ছে না। এলিন আমার দিকে না তাকিয়েই বলতে লাগলো,
-->>এভাবে বিরক্ত লাগছে না? সবাই তোমাকে দুর্বল ভাবছে, কিন্তু তুমি আসলে দুর্বল নও।(এলিন)
তার কথাটা ঠিক। আমাকে সবাই একদমই দুর্বল ভাবছে। যদিও এখানে থাকা সবার মতো মতো শক্তিশালী না আমি, তারপরও তারা আমাকে একটু বেশী দুর্বলই মনে করছে। সে যাইহোক আমার ক্ষমতা গোপন রাখায় ভালো হবে, তানাহলে এলিনের মতো অনেকেই আমার রিং এর পিছনে পরে যাবে। যতদূর আমার জানা রিং কে জোরপূর্বক বের করা যাবে না। একটা উপায় আছে, যেটা আমার আঙ্গুল কেটে ফেলা। অন্য কোনো উপায় থাকতে পারে, তবে সেটা সম্পর্কে আমি জানি না।
-->>আমার এই ক্ষমতা সম্পর্কে হয়তো আমার থেকে আপনিই ভালো জানেন। তাই বুঝতে পারছেন আমি এটাকে গোপন রাখার চেষ্টা কেনো করছি।(আমি)
আমি এলিনের কথাটা বুঝতে পেরেছি, সে আমাকে আমার শক্তি সবাইকে দেখানোর কথা বলছে, কিন্তু সেটা করে আমার উপরে বিপদ আমি আনতে চাই না। আর তাছাড়া যেহেতু আমার রিং এ থাকা জিডুরীর স্মৃতি সিল করা তাই আপাতোতো বলতে পারছি আমার থেকে এলিন বেশী এই রিং সম্পর্কে জানে। কারন তার কাছেও একটা ম্যাজিকাল আইটেম রয়েছে বিলজবাব এর।
* * *
To Be Continue
* * *
আবারো বলছি আমি দুঃখিত অনেক। অনেক ক্লান্ত শরীর। দিতে চাই নি, তারপরও ছোট করে দিলাম। কালকে বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো যদি সুস্থ থাকি।