আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্ব: ০৪

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

  [গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]


#Demon_King#


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী


পর্বঃ০৪



মেফাস কিংডম অনেক বড় একটা জায়গা। যেটার মধ্যে Demon Forest এর অর্ধেক অংশ অবস্থিত রয়েছে। কিংডমের মধ্যে এগারোটা বিশাল শহর রয়েছে, এবং সতেরোটা ছোট শহর রয়েছে। অন্যান্য কিংডমের তুলনায় এটার শহরের সংখ্যা তেমন বেশী নয়। তবে আকারের তুলনায় মেফাস অনেকটা বড়। মেফাসের ক্যাপিটাল শহরে রয়েছে রয়েল প্যালেস। যেখানে মেফাসের কিং বসে পুরো মেফাস শাসন করে। প্যালেসটা ক্যাপিটালের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। যার চারদিকের হাফ কিলোর মতো পথ বন্ধ। চারিদিক দিয়ে বিশাল একটা ব্যারিয়ার রয়েছে, যেটা পুরো প্যালেসকে কোনো রকম আক্রমন থেকে ভয়মুক্ত করে।


রয়েল প্যালেসের কোনো এক কক্ষের মধ্যে এক বিশাল বিছানায় এক বৃদ্ধ লোক শুয়ে আছে। মূলত সে এই কিংডমের কিং চার্লেস দ্যা নাইন। তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার শরীর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কোনো মেডিসিন কিংবা Healer তাকে ঠিক করতে পারছে না। কিংডমের সবচেয়ে সেরা Healer তার চিকিৎসায় নিযুক্ত হওয়ার পরেও ব্যর্থ। তারই পাশে বসে আছে একটা মেয়ে। মেয়েটা কিং এর ছোট কন্যা। বয়স তেরো বছর। কিং এর মোট তিন সন্তান। দুই প্রিন্স এবং এক প্রিন্সেস। 


-->>তাহলে প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রিন্স একে অপরের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করতে যাচ্ছে।


কিং প্রিন্সেসের হাতটা শক্ত করে ধরে বললো। প্রিন্সেস এর চোখে পানি দেখা যাচ্ছে। কিং তার কন্যাকে আবারো বললো,


-->>এনরি আমার কাছে বেশী সময় নেই। আমি জানি আমার দুই সন্তানের উপরে আমি ভরসা করতে পারবো না। তাই তোমাকেই আমার মৃত্যুর পরে এই রাজ্যটাকে সামলাতে হবে।


বাবার কথা শুনে প্রিন্সেস আরো কেঁদে উঠলো, সাধারনত Healer বলেছে কিং আরো দুই থেকে তিন বছর বাঁচবে, তবে আজ দুদিন যাবৎ কিং এর অবস্থা অনেক খারাপ। তার কাছে আর বেশীদিন সময় নেই। তাই সে তার কন্যাকে শেষ উপদেশ দিচ্ছে।


-->>রয়েল নাইট প্রথম প্রিন্সের কমান্ডে চলে যাবে, এবং মিলিটারী ক্ষমতা দ্বিতীয় প্রিন্সের হাতে চলে যাবে, তবে আমার পারশোনাল গার্ডগুলো তোমার আদেশ মতো চলবে। আমার মৃত্যুর পরে তুমি খুব তারাতারি প্যালেস থেকে বেরিয়ে যাবে। আমি ডিউক উয়েক্সকুল এর সাথে কথা বলেছি। তুমি ডিউকের সাথে চলে যাবে তার বাসায় এবং সে তোমাকে পরের উপদেশ গুলো দিবে। 


কিং তার কন্যার হাতকে খুব জোরে করে ধরেই কথাটা বললো। মেয়েটা কোনো কথা বলছে না, শুধু কেদে যাচ্ছে। তার সামনে অনেক বড় কর্তব্য রয়েছে, তাকে বিশাল একটা War শেষ করতে হবে। সে বুঝতে পারছে না তার দুই ভাই এমন অবস্থায় কেনো একে অপরের সাথে যুদ্ধ নিয়ে ভাবছে, তাদের বাবা চোখের সামনে থেকে চলে যাচ্ছে। একবার গেলে আর ফিরে আসবে না। তারপরও তার ভাইয়েরা বাবাকে একবারও দেখতে আসেনি বলে অনেকটা কষ্ট পেলো মনে সে।


* * * 


এলমন্ড তাদের ক্যারেজকে নিয়ে গেলো একটা বড় টাওয়ারের দিকে, এটাকে Healer Tower বলা হয়। এলেক্সের এটাকে দেখে তার ওয়ার্ল্ডের হাসপাতাল মনে পরলো। এলমন্ড এবং মারিয়া দুজনে এলেক্সকে এখানে নিয়ে এসেছে মূলত এলেক্সের পা Heal করার জন্য। মারিয়ার পরিচিত একজন এখানে কাজ করে, তাই তাদের আর লাইন ধরতে হলো না। ভিতরের এক গার্ড এসে মারিয়া, এলমন্ড এবং এলেক্সকে নিয়ে গেলো ভিতরে। মারিয়া পূর্বে একটা চিঠিতে বলে রেখেছিলো সে এখানে আসবে, তাই তার পরিচিত ব্যক্তি এখানের গার্ডদের পূর্বেই জানিয়ে রেখেছিলো তাদের পরিচিত কেউ আসবে, আসলে তাদের যেনো সরাসরি ভিতরে নিয়ে আসে।


 ক্যাপিটালে প্রবেশের পরে বৃদ্ধা এবং বৃদ্ধার সাথে ছোট মেয়েটা নেমে গিয়েছিলো। মারিয়া এবং এলেক্স বলেছিলো তাদের সাথে থাকার জন্য, কিন্তু তারা সে প্রস্তাবে রাজি হয় নি। তিনজনে টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করলো।


ভিতরে মারিয়ার সাথে দেখা হলো তার পরিচিত এক মেয়ের সাথে। দুজনে অনেক পূর্বের বন্ধু। হঠাৎ দশ বছর পরে মারিয়ার থেকে চিঠি পেয়ে অনেক অবাক হয়েছিলো  Cesli। চেসলি টাওয়ারের মধ্যে অনেক নামকরা একজন Healer। যার কারনে মারিয়া এখানে এসেছে। সেই সাথে মারিয়া বিশ্বাসও করে চেসলিকে অনেক। এলমন্ড এবং এলেক্স এক পাশে দাড়িয়ে বসে ছিলো, মারিয়া এবং চেসলি দুজনে গল্প করা শুরু করেছে। 


-->>তোমরা এখানে এসেছো তোমাদের পরিবার কি সেটা জানে?(চেসলি)


-->>না আমরা এখনো তাদেরকে আমাদের কোনো খোজ দেই নি।(মারিয়া)


-->>কিন্তু তোমার ছেলে হয়েছে এটা আমাকে জানাবে না পূর্বে? আমি কি পর কেউ?


-->>এরকম কোনো বিষয় না। ও অনেক দুর্বল ছিলো ছোট থেকে, যার কারনে আমরা Demon Forest থেকে বের হওয়ার সাহস করি নি। আর ওর নিরাপত্তার জন্য আমরা কাউকে কোনো কিছু জানায় নি।


-->>কিন্তু তোমরা Demon Forest এ কি করেছো সেটা তো অনেক ভয়ানক একটা জায়গা।


-->>সে কথা বাদ দাও, প্রথমে তুমি এলেক্সকে দেখো, মেফাসে বেশ অনেকদিন থাকবো আমরা, তাই গল্প পরে কোনো এক সময়ও করতে পারবো।


অনেক গল্পের পরে তারা মূল বিষয়ে ফিরে আসলো। এতোক্ষনে এলেক্স এবং এলমন্ড দুজনে ঘুমিয়ে গিয়েছে। তারা এতোক্ষনে চেসলির প্রাইভেট রুমের মধ্যে বসে ছিলো। দুজনের হাজারো গল্পে তারা দুজন আরামের ঘুম দিচ্ছে। মারিয়া উঠে গিয়ে এলেক্সকে কোলে নিয়ে চেসলির সামনে এসে বললো। এলেক্স এতোক্ষনে গভীর ঘুমে ব্যস্ত। চেসলি এলেক্সের পা দেখতে লাগলো, সে তার হাত দিয়ে Pran এনার্জি প্রবেশ করালো এলেক্সের পায়ে, সে অনেকটা অবাক হয়ে গেলো। তার অবাক হওয়া দেখে মারিয়া ভয় পেয়ে বলতে লাগলো,


-->>গুরুতর কোনো কিছু কি হয়েছে? আমার কোনো স্পেলই এটা ঠিক করতে পারে নি। আমি এরকম কোনো রোগের দেখা পায় নি পূর্বে।


মারিয়ার প্রশ্নে চেসলি উত্তর দিলো,


-->>ওর পায়ের গোড়ালিতে কিছুটা হাড় ভাঙা রয়েছে।


-->>কিন্তু সেটা তো আমার স্পেলে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।


মারিয়া উত্তেজিত হয়ে উত্তর দিলো। সে চিন্তায় পরে গেলো একটা।


-->>এলেক্স কি কোনো Demon Beast এর সংস্পর্শে এসেছিলো ছোট সময়ে?


মারিয়া চেসলির প্রশ্নে অবাক হলো। সে নিজেকে একটু ঠিক করে নিলো। সে পূর্বে থেকেই ঠিক করেছে অন্য কোনো কথা সে ভাববে না। এলেক্স তারই ছেলে, তাই ছেলের জন্য সব কিছুই তাকে করতে হবে। দু একটা মিথ্যা কথায় কিছুই হবে না। 


-->>হ্যা খুব ছোট সময়ে একবার এলমন্ড ওকে নিয়ে Demon Beast শিকার করতে গিয়েছিলো। তখন একটা Demon Rat ওর পায়ে কামড় দিয়েছিলো।


মারিয়া উত্তরটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললো। তারপরও সে মিথ্যা বলছে এটা চেসলি ঠিক ভাবেই বুঝতে পারলো। তাদের ছোট থেকে বন্ধুত্ব, এটুকু ধরা হয়তো অস্বাভাবিক কিছু না,


-->>আমি জানি না তোমার ছেলের সাথে কি হয়েছে, কিন্তু যেহেতু তুমি বলতে চাচ্ছো না তাই আমি মনে করবো এটা অনেক গোপনীয় একটা বিষয়, তাই আমি এ বিষয়ে কথা বলছি না। তবে মূল বিষয় এলেক্সের দুই পায়ের নিচের অংশে Poison এবং Demonic এনার্জি মিলিত ভাবে রয়েছে। দুটোর সংস্পর্শে একটা ক্ষতিকর ক্যামিকেল তৈরী হয়েছে। যার কারনে Pran এনার্জির কোনো স্পেল কাজ করবে না।


-->>তাহলে কি করা যায়। এলেক্স ঠিক মতো হাটতে পারে না, দৌড়াতে গেলে ওর পুরো শরীর প্যারালাইস হয়ে যায়। নিজের ছেলেকে এভাবে কি করে দেখতে পারি আমি?


মারিয়া অবাক হলো, সে জানতো না যে এলেক্স Poison এ আক্রান্ত হয়েছে। কারন তার স্পেলে সকল Poison তাদের ক্ষমতা হারায়। কিন্তু তার ছেলের Poison সে ঠিক করতে পারে নি বলে অনেক দুঃখ পেলো। সে বুঝতে পারছে না কিভাবে এতো ছোট একটা ছেলে Demonic এনার্জি এবং Poison দুটোতেই আক্রান্ত হলো। সে চেসলির উত্তরের অপেক্ষা করছিলো।


-->>তাছাড়াও আমি ওর শরীর থেকে ম্যাজিকাল আইটেমের এনার্জি অনুভব করতে পারছি।


-->>এটা কিভাবে সম্ভব ও কখনো টাওয়ারে প্রবেশ করে নি। ঔ Curse টাওয়ারে কেনোই বা আমাদের ছেলেকে প্রবেশ করতে দিবো।


-->>তুমি এখনো টাওয়ারের বিষয়ে এই ধারনা পোষন করছো, দেখো টাওয়ার আমাদের সমাজকে কতোটা উন্নত করেছে।


-->>দেখো আমি চাই না তুমি ঔ টাওয়ার সম্পর্কে কিছু বলো এখানে। তুমি শুধু এটুকু বলো এলেক্সকে ঠিক করতে পারবে কিনা।


মারিয়া কড়া ভাবে বললো কথাটা। চেসলি আর সে বিষয়ে কিছু বললো না। সে এলেক্সের ব্লাড নিয়ে রাখলো পা থেকে। সেই সাথে ভাঙা হাড়ের কিছুটা টুকরোও নিয়ে রাখলো। 


-->>আমাকে এক সপ্তাহের মতো সময় দাও, আমি যে করেই হোক এই সময়ের মধ্যে একটা Cure বের করে ফেলবো এলেক্সের জন্য।


-->>ঠিক আছে, আমি তোমার উপরে বিশ্বাস রাখলাম তাহলে।


-->>কিন্তু তোমরা ক্যাপিটালের মধ্যে থাকবে কোথায়? কিছু কি ঠিক করেছো? নাহলে আমার সাথে আমার বাসাতে চলো।


চেসলি মারিয়াকে উত্তেজিত হয়ে বললো। চেসলি চাচ্ছিলো মারিয়ার সাথে অনেকটা সময় কাটাতে। দশ বছর পরে তাকে দেখেছে, তাছাড়াও পনেরো বছরের মতো তেমন কথা হয় না তাদের মধ্যে। চেসলি এই সুযোগ ছাড়তে চাচ্ছিলো না। তবে মারিয়া উত্তর দিলো,


-->>ধন্যবাদ চেসলি তোমার প্রস্তাবের জন্য। কিন্তু আমরা বর্তমানে নিজেদের পরিচয় একটু গোপন রাখার চেষ্টা করছি। তাই তোমার প্রস্তাবটা আমাকে না করতে হবে।


-->>এটা কোনো ব্যাপার না। আমি তোমাদের অবস্থা বুঝতে পেরেছি। যাইহোক অন্তত তোমাদের জন্য ভালো একটা থাকার জায়গার ব্যবস্থা তো করতে দাও আমাকে। নাকি বন্ধু হয়ে এটুকুও করতে পারবো না আমি।


চেসলির এই প্রস্তাব না করতে পারলো না। তাই মারিয়া রাজি হয়ে গেলো। দুজনে একে অপরকে বিদায় দিলো। এর মধ্যে এলমন্ড উঠে এলেক্সকে এবং মারিয়াকে নিয়ে চলে গেলো। একটা গার্ডকে চেসলি পাঠিয়ে দিয়েছে মারিয়াদের নতুন বাসায় নিয়ে যেতে। 


মারিয়া বের হয়ে যাওয়ার পর চেসলি দাড়ানো থেকে পরে গেলো। তার পুরো শরীর ঘেমে গিয়েছে, সে এতোক্ষন তার বন্ধুর সামনে তার দুর্বল দিকটা দেখাতে চাই নি। সে একবার এলেক্সের ব্লাডের দিকে তাকালো। আরো ঘামতে লাগলো সে। কোনো গরিয়ে সে তার রুমের আলমারিতে রাখা একটা ড্রয়ার খুললো। যেটা থেকে বেশ কয়েকটা লাল রঙের ফল বেরিয়ে আসলো। একটা সে মুখের মধ্যে দিয়ে দিলো। হঠাৎ সে স্বাভাবিক হতে শুরু করলো। সে উঠে চেয়ারে বসলো। তার চশমাটা সে চোখ থেকে খুলে হাতে নিয়ে ধরলো। এটা একটা ম্যাজিকাল আইটেম ছিলো। যেটা সে টাওয়ারের দশম ফ্লোর থেকে পেয়েছিলো। এটা একটা A ক্লাস ম্যাজিকাল আইটেম ছিলো। এটার নাম Medic। এটা যে কোনো জীবিত বা মৃত শরীরে রোগের অস্তিত্ব খুজে বের করতে পারে এবং সেটাকে ঠিকও করতে পারে। চেসলি এটা দিয়েই এলেক্সের রোগকে শনাক্ত করেছিলো। তবে তার Pran এনার্জি দিয়ে সেটা ঠিক করার সময়ে তার শরীর থেকে সকল এনার্জি শেষ হয়ে যায়। সে পুরো মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিলো। চেসলি কিছুটা হাফ ছারলো। সঠিক সময়ে সে Energy Fruit না খেলে হয়তো মারা যেতো। তার হাতের চশমা যেটা একটা A ক্লাস ম্যাজিকাল আইটেম ছিলো সেটা এখন সাধারন চশমা ছাড়া আর কিছুই না। সে বুঝতে পেরেছিলো তার সকল এনার্জি এলেক্সের শরীরে এবজোর্ব হচ্ছিলো, কিন্তু মারিয়ার সামনে সে কিছু করতে কিংবা বলতে পারে নি। যতই হোক সে মারিয়ার ছেলে। তাই খারাপ কিছু সে ভাবতে চাই না। তার মাথায় শুধু একটায় চিন্তা যে এলেক্সের কাছে একটা ম্যাজিকাল আইটেম রয়েছে যেটা বাকি আইটেমের এনার্জি এবজোর্ব করতে পারে। চশমার জন্য চেসলির দুঃখ হচ্ছে না, বরং নতুন কিছু একটা পেয়েছে গবেষনার জন্য এজন্য সে অনেক উত্তেজিত হলো। তার মুখে একটা মৃদু হাসি দেখা গেলো।


* * *


অন্যদিকে ডিউক এভেস্ট ভন উয়েক্সকুল এর ম্যানসনের মধ্যে ডিউক এবং মেফাসের সেকেন্ড প্রিন্স বসে আছে। দুজনে চা পান করছে। প্রিন্স এখানে এসেছে বরাবরের মতোই ডিউককে নিজের দিকে টানার জন্য। আর ডিউক ভন উয়েক্সকুলকে নিজের দলে আনার জন্য তার কন্যাকে যেভাবেই হোক বিয়ে করতে হবে তাকে। একবার ডিউকের কন্যার স্বামী হয়ে গেলে ডিউক সাহায্যের জন্য কখনো না করতে পারবে না।


-->>আঙ্কেল উয়েক্সকুল আপনার এবং আমার বাবা কিং চার্লেস দ্যা নাইন এর অনেক ভালো সম্পর্ক। যার কারনে আমি আবারো আপনার কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি আপনার কাছে।


একজন প্রিন্সকে সরাসরি না বলা মানে তাকে অসম্মান করা। কারন কিং এবং প্রিন্সের পরের ক্ষমতায় একজন ডিউকের। সেটা ডিউক এভেস্ট ভালো করে জানে। তাই সে ভালো করে উত্তর দিতে লাগলো,


-->>সেকেন্ড প্রিন্স আপনার প্রস্তাব আমাদের কন্যার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে আমার কন্যা এখনো অনেক ছোট। তাছাড়া তার নিজের ইচ্ছা ছাড়া আমি জোর করতে চাই না তাকে।


-->>আঙ্কেল উয়েক্সকুল একবার ভেবে দেখুন ব্যাপারটা।


প্রিন্সের কথায় কোনো উত্তর দিলো না। প্রিন্স রাগলেও কোনো কথা বললো না। কারন সে নিজে জানে ডিউক এভেস্ট ভন উয়েক্সকুল সাধারন কেউ নয়। সে সাধারন একজন মানুষ ছিলো, যে টাওয়ারে প্রবেশের পরে শক্তিশালী হয়। দেখতে দেখতে সে সাধারন একটা মানুষ থেকে মেফাসের ডিউক পদে নিযুক্ত হয়। যদিও সে একজন ডিউক কিন্তু তাকে Empire এর কিং নিজে অনেক সম্মান জানায়। সেটার কারন অনেকের অজানা। তাই প্রিন্স তাকে বেশ অনেক দিন ধরেই নিজের দিকে আনার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু ডিউক প্রিন্সের প্রস্তাবে আগ্রহী ছিলো না। প্রিন্স রাগে ডিউকের ম্যানসন থেকে বের হয়ে গেলো।


 যাওয়ার পথে সে তার বড় ভাইয়ের কথা ভাবতে লাগলো। প্রথম প্রিন্সের বিয়ে হয়েছে ডিউক ম্যান্ডেলার বড় কন্যার সাথে। মেফাসের মধ্যে দুজন ডিউক রয়েছে। একজন ডিউক এভেস্ট এবং অন্যজন ম্যান্ডেলা। ডিউক এভেস্টের মতো শক্তিশালী না হলেও সে ও একজন ডিউক। তার টাইটেলই যথেষ্ট প্রথম প্রিন্সকে কিং বানানোর জন্য। কিন্তু সেকেন্ড প্রিন্স হার মানলো না। তার কাছে শেষ ট্রাম্প কার্ডও রয়েছে। তাকে শেষ সময়ে সেটা ব্যবহার করতে হবে।


* * * * *


(এলেক্স রূপে)


আমি আম্মা এবং তার বন্ধুর গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পরেছি কখন সেটা জানি না। যখন ঘুম ভাঙলো তখন আমি নতুন একটা বিছানার মধ্যে শুয়ে ছিলাম। বাবার কথা মতো আম্মার যে বন্ধু ছিলো সেই আমাদের এই বাসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যদিও তেমন আহামরি বাসা নয় যেটা আমি ক্যাপিটালে ঢোকার পরে দেখেছি, তারপরও অনেক সুন্দর একটা বাসা এটুকু বলা যায়। জায়গাটা বেশ বড়ো নয় কয়েক তিন শতাংশের মতো হবে, একটা পুকুর রয়েছে এবং ছোট একটা দোতলা বাড়ি। আমার জন্য হয়তো এটাই অনেক। কারন পূর্বে যেখানে ছিলাম সেটা কাঠের কুড়ে ঘরের মতোই। বাসার মধ্যে সুন্দর একটা বাগান আছে পিছনের দিকে। সেখানে বিভিন্ন ফুল এবং ফল চাষ করা যায়। সবশেষে অনেক ভালোই লাগলো জায়গাটা আমাদের। ক্যাপিটালে থাকার জন্য এইটা অনেক সুন্দর একটা জায়গা। আমার যতদূর ধারনা বাবা এতো ধনী ব্যক্তি নয়, তাই নিজে থেকে এরকম বাসা কখনো নিতে পারতো না। তবে আম্মার বন্ধুকে আমি ধন্যবাদ জানায়। 


রাত হতে যাচ্ছিলো। আমি সূর্যকে হারিয়ে যাওয়া দেখতে লাগলাম। এক মনোযোগে সেদিকে তাকিয়ে ছিলাম। ঠিক তখনি একটা পরিচিত আওয়াজ শুনতে পেলাম। একটা মেয়ের আওয়াজ যেটা আমার হাতের রিং থেকে আসলো। আমি এতোক্ষন আমার রুমের সাথে থাকা ছোট একটা বেলকনিতে দাড়িয়ে ছিলাম। নিচে নামতে হয় নি, কারন এখান থেকেই সব কিছু দেখতে পারছিলাম। হঠাৎ রিং কথা বললো বলে আমি অনেক উত্তেজিত হলাম। কারন অনেক প্রশ্ন আমার করার আছে তাকে।


* * *


To Be Continue 


* * *


কেমন হলো জানাবেন

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.