[গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
পর্বঃ০২
।
।
বিশাল একটা বনের মধ্যে দুজন দম্পতির খুব সুন্দর একটা সংসার। জীবনটা সুন্দর করে কাটানোর জন্য পাহাড়ের মধ্যে নির্জনে তারা বাস করছে প্রায় দশ বছর হলো। কোনো ছেলে সন্তান না হওয়ার কারনে তাদের পরিবার থেকে অনেক চাপ দিয়েছিলো এক সময়ে। যেটার কারনে দুজনে এই নির্জন জায়গায় এসে থাকার সিদ্ধান্ত নেই। অনেক প্রার্থনা আবেদন করেছিলো একটা ছেলে সন্তানের জন্য। তবে সেটা অনেক অতীতে। দুজনে কে কি বলেছিলো তা ভুলে গিয়েছিলো। এই পাহাড়ের মধ্যে অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ তারা বানিয়েছে। তারা এখানে আছে সেটা তাদের পরিবারের কেউ জানে না। অনেকে ভেবে নিয়েছে তারা মারা গিয়েছে, তাই খোজার প্রয়োজন মনে করছে না।
এতোদিনে পাহাড়ের মধ্যে থাকার ফলে তারা পুরো বনটাকে আপন করে নিয়েছিলো। যখন আকাশ থেকে একটা উল্কা পরতে দেখছিলো তখন তারা অনেক ভয় পাচ্ছিলো, কারন তাদের এতোদিনের সাজানো সব কিছু এই উল্কার মাধ্যমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু তারা যখন দেখতে পেলো আকাশ থেকে কোনো পাথরের বিশাল টুকরো নয় বরং একটা দশ বছরের ছেলে পরেছে তখন মন থেকে অনেক দুঃখ পেয়েছিলো। তারা ভেবে নিয়েছিলো ছেলেটা মারা গিয়েছে আকাশ থেকে পরার ফলে। কিন্তু দুজনে অনেক খুশি হয় যখন বুঝতে পারে ছেলেটা জীবিত ছিলো। তারা ছেলেটার অরিজিনের উপরে আগ্রহী ছিলো না। ছেলেটা আকাশ থেকে কেনো পরেছে সেটা জানার প্রতিও আগ্রহী ছিলো না। তাদের আগ্রহ ছিলো ছেলেটাকে নিজেদের সন্তান বানানো। তারা আজ দশ বছর হলো এই পাহাড়ের মধ্যে বাস করছিলো। তারা দুজন আর কিছু পোষা প্রানী ছাড়া আর কেউ ছিলো না তাদের সাথে। হয়তো একাকিত্ব বোধ করছিলো তারা। তাই ছেলেটাকে আপন করতে চাচ্ছিলো। পালিত সন্তান হলেও সন্তানই তো।
তাদের মন অনেক খুশি হলো যখন ছেলেটা প্রথমে উঠেই নিজেকে এবং তার আশেপাশের কিছু চিনতে পারলো না। অবশ্য তারা ছেলেটাকে মিথ্যা বলতে চাই নি। কিন্তু ছেলেটার বয়সও বেশী না। এতো কম বয়সে সে যদি জানতে পারে সে উল্কার মতো আকাশ থেকে পরেছে তাহলে হয়তো অনেক চিন্তায় পরে যাবে। ভাগ্য ভালো ছিলো সেখানে ছোট একটা পানির পুকুর ছিলো, যেটার কারনে ছেলেটা বেঁচে আছে। দুজন তাদের স্বার্থ ছাড়তে পারলো না। ছেলে সন্তানের আশায় তারা ছেলেটাকে নিজেদের বলেই পরিচিয় দেই। সাধারন ভাবেই কথা বলতে থাকে ছেলেটার সাথে, যেভাবে একটা বাবা-মা তার ছেলেদের সাথে বলে।
-->>এলেক্স! আমার নাম তাহলে এলেক্স? কিন্তু আমি কোনো কিছু মনে করতে পারছি না কেনো?
ছেলেটা তার হাতের তালু নারিয়ে বললো। আজ এক মাস সময় পর সে জ্ঞান ফিরে পেয়েছে। তার সামনের দম্পতির ভাষা সে পূর্বে কখনো শুনে নি। কিন্তু সে তাদের ভাষা ঠিকই বুঝতে পারলো। সে লক্ষ করলো তার ভাষাও দুজন বুঝতে পেরেছে।
-->>এলেক্স, আমি তোমার বাবা আর এ তোমার আম্মা। তোমার কি কিছুই মনে পরছে না?
একটা মধ্যবয়স্ক লোক বেশ উত্তেজিত হয়ে বলতে লাগলো। মহিলার চোখে ছেলেটা পানি দেখতে পেলো। সে পরিস্থিতি প্রথমে বুঝে উঠতে পারে নি। কিন্তু দুজন দম্পতির উদাহরন অনুযায়ী সে বুঝতে পারলো সে তাদের সন্তান এলেক্স। এক মাস পূর্বে সে গভীর বনের মধ্যে Demon Beast এর হাতে গুরুতর আহত হয়। মাথায় প্রচুর আঘাতের ফলে সে তার স্মৃতি হারিয়ে ফেলে। শরীর থেকে তুলনামূলক বেশী রক্ত হারানের ফলে মৃত্যুর মুখে ছিলো। তবে তার আম্মার সাথে তার ব্লাড ম্যাচ হওয়ার ফলে তার আম্মা তাকে বাঁচাতে পেরেছে।
এলেক্স প্রথমে কনফিউজড ছিলো সব কিছু নিয়ে। কিন্তু তাকে তার পরিস্থিতি এখন মেনে না নেওয়া ছাড়া কিছু উপায় নেই। এভাবে দেখতে দেখতে এক বছর সময় পার হলো, এলেক্স পুরোপুরি সুস্থ এখন। প্রথমে হাটাচলা করতে তার অনেক সমস্যা হতো। সে এই অজানা নতুন ভাষা বলতে এবং বুঝতে পারলেও তার সময় প্রয়োজন হয় কথা বলার জন্য। এজন্য বেশী কথা বলা হয় না তার। তবে এই এক বছরে সে তার বাবা এবং আম্মার সাথে অনেক ঘনিষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ওয়ার্ল্ডের সম্পর্কে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। এলমন্ড যে কিনা এলেক্সের বাবা এবং মারিয়া যে কিনা এলেক্সের আম্মা, দুজনে ছেলেকে খুব যত্নে সকল সাধারন জ্ঞান শিখিয়েছে। যেহেতু তাদের ধারনা এলেক্সের স্মৃতি নেই পূর্বের তাই এই জায়গা সম্পর্কে জানা তার প্রয়োজন। তা নাহলে একটা বলদ ছাড়া কিছুই হবে না তাদের সন্তান।
* * *
(এলেক্স রূপে)
আজ এক বছর হয়েছে আমি এই অচেনা জায়গায় এসেছি। আমার সাথে যা হয়েছে সব কিছু অবিশ্বাস্য। সব কিছু শুরু হয় টাওয়ার থেকে। একটা টাওয়ার যেটা বেশ কয়েক লক্ষ মানুষকে রাতারাতি টেলিপোর্ট করে ভিতরে নিয়ে যায়, জীবনে প্রথম দেখা সব ভয়ঙ্কর মনস্টার যারা মানুষকে খেতে পছন্দ করে, নিজের স্ত্রীর থেকে বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে পরা, বাম হাতের এই কথা বলা ম্যাজিকাল আইটেম, টাওয়ার থেকে আবার অচেনা একটা জায়গায় টেলিপোর্ট হয়ে আসা, এবং সবশেষে পঁচিশ বছরের একজন যুবক থেকে দশ বছরের একটা ছেলে হয়ে যাওয়া। হয়তো আমার মতো খারাপ ভাগ্য কারো হবে না আর।
আজ এক বছর পূর্ন হলো এই অচেনা জায়গায়। জায়গাটা পৃথিবী নয়, বরং পৃথিবীর থেকে হয়তো অনেক দূরে। আমি কারো কাছে পৃথিবীর লোকেশন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাও করতে পারবো না, কারন তাতে আমাকে পাগলে গন্য করা হবে। তাই আমাকে এই জায়গার একজন হিসাবেই থাকতে হবে। আমার নিজের পরিচয় নিয়ে আমাকে ভাবতে হয় নি। কারন আমি এলেক্স, আমার বাবা এবং আম্মা রয়েছে যারা আমাকে তাদের সন্তান মনে করেন। তাদের এটা করার কারনে প্রথমে আমি অবাক হলেও পরে কিছু প্রমান পাওয়ায়, হয়তো সেটা সম্ভব। যদিও আমি আবারো এগারো বছরে পা দিয়েছি কিন্তু আমি মোটেও আমার পূর্বের মতো দেখতে নেই আর। আমার শরীরের রঙ পূর্বে হালকা কালচে হলেও এবার সেটা একদম ফর্সা। আমার চুলের রং পূর্বে কালো হলেও এখন সেটা হলুদ যেটা মারিয়ার সাথে মিলে যায়। আমার চোখের রং পূর্বে বাদামি হলেও এখন সেটা নীল, যেটা এলমন্ড এর সাথে মিলে যায়।
আমার হাতের রিং এক বছরের মধ্যে একটা কথাও বলে নি। যতদূর আমার ধারনা এটার এনার্জি শেষ হয়ে গিয়েছে। যেটা আমাকে এবজোর্ব করে আবার বারাতে হবে। আমি নিজে থেকে যতটা গবেষনা করেছি তাতে বলতে পারছি এই শরীরটা হয়তো তাদের ছেলেরই ছিলো। তার ছেলে হয়তো মারা যাওয়ার পরে আমার হাতের রিংটার কোনো এক ক্ষমতার মাধ্যমে আমি এই শরীরের মধ্যে প্রবেশ করেছি।
আমি এলমন্ড এবং মারিয়ার থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। সেগুলো এক এক করে নোটও করেছি। প্রথমত আমি এখন আছি 'Agnolenia'(এগনোলেনিয়া) তে। এই জায়গার মধ্যে গনতান্ত্রিকতা নেই। জনগনের কাছে কোনো ক্ষমতা নেই। বরং সব ক্ষমতা রয়েল এবং নোবেলদের হাতে থাকে। রয়েল হচ্ছে তারা যারা কিং এবং তার পরিবারের সদস্য। Agnolenia একটা পুরো ওয়ার্ল্ড যার মধ্যে চারটা বিশাল Empire রয়েছে। বলতে গেলে সে চারটা আমাদের পৃথিবীর পাঁচ মহাদেশের মতোই। এই চার Empire এর মধ্যে বেশ অনেকটা Kingdom রয়েছে, যেটা পৃথিবীর দেশ গুলোর মতো। শুধু পার্থক্য নামে এবং শাসনে। এক সময় হয়তো পৃথিবীও এভাবে শাসিত হতো।
আমরা বর্তমানে Fire Empire এর ছোট একটা কিংডম এর মধ্যে আছি। এই কিংডম এর নাম Mefas(মেফাস)। এটা খুব জনপ্রিয় একটা কিংডম। জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারন হলো Demon Forest। যেখানে আমরা বর্তমানে আছি। এটা অনেক ভয়ঙ্কর একটা বন যেখানে মারাত্মক মারাত্মক Demon Beast বাস করে। Demon Beast মূলত এক সময় সাধারন প্রানী ছিলো। তবে হঠাৎ Beast Mutation দেখা দেয়, সকল প্রানীদের শরীরে ডিমোনিক এনার্জি দেখা দিতে শুরু করে। এবং ম্যাক্সিমামই Demon Beast এ পরিনত হয়। আমরা বর্তমানে Demon Forest এর একদম মধ্যখানে রয়েছি। এখানে একটা ব্যারিয়ার থাকার কারনে এক কিলোর ভিতরে কোনো Demon Beast প্রবেশ করে না।
আমি দ্বিতীয় যে জিনিসটা নোট করেছি সেটা হলো এই টাওয়ার। আমাদের দুনিয়ার মধ্যে দুই বছর পূর্বে দেখা দিয়েছি, তবে এখানে এই টাওয়ারের বয়স এক হাজার বছর হয়েছে।এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবন এই টাওয়ারের সাথে অনেক গুরুতর ভাবে সম্পর্কিত। আমি বুঝতে পেরেছি দুই ওয়ার্ল্ডের টাওয়ার দুই ভাবে কাজ করে। পৃথিবীর টাওয়ার একসাথে কয়েক লক্ষ মানুষকে জোর পূর্বক প্রবেশ করায় টাওয়ারের মধ্যে। এবং এখানের টাওয়ারে যে কেউ ইচ্ছা করলেই প্রবেশ করতে পারে।
তৃতীয় জিনিস যেটা আমি নোট করেছি, এই দুনিয়ার মানুষকে কোনো ম্যাজিকাল আইটেমের উপরে ডিপেন্ড করতে হয় না। উধাহরন অনুযায়ী মারিয়া যে কিনা এলেক্সের(মানে বর্তমান আমি) আম্মা সে কোনো ম্যাজিকাল আইটেম কিংবা কোনো মেডিসিন ছাড়ায় যেকোনো ছোট ক্ষত সাথে সাথে ঠিক করে দিতে পারে। শুধু সেটার জন্য মুখ দিয়ে বিশাল বড় কিছু লাইন বলতে হয়, যেটাকে তারা Spell(স্পেল) বলে। লক্ষ করার বিষয় হলো টাওয়ার উদয় হওয়ার পূর্বেও এখানে ম্যাজিক ছিলো, শুধু ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক কম ছিলো। কিন্তু সেই সংখ্যা টাওয়ার আসার পর থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ওয়ার্ল্ডে তিন ধরনের মানুষ রয়েছে, এক যারা ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে, দুই যারা টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে এবং বিভিন্ন ম্যাজিকাল আইটেম ব্যবহার করে, তিন যারা ম্যাজিক এবং ম্যাজিকাল আইটেম দুটোই ব্যবহার করে। তিন নাম্বারের ব্যক্তিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী এখন।
এরকম আরো নোট রয়েছে কিন্তু সেসবের কথা এখন আর বলতে পারছি না। কারন আমি এই Demon Forest থেকে আজ বের হচ্ছি। এখানে আসার পর এক বছর আমাকে এই জায়গার মধ্যে থাকতে হয়েছে। কারন আমার শরীর অনেক মারাত্মক ভাবে আহত ছিলো, যেটা শুধু মারিয়া নিজে ঠিক করতে পারে নি। তবে আমার অবস্থা এখন অনেকটা স্বাভাবিক। তবে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হবে, কারন আমি হাটতে পারলেও দৌড়াতে পারছি না, তাছাড়া আমার কথা বলার জড়তা এখনো রয়েছে। এলমন্ড বলেছে এই দুটোই ক্যাপিটালের নামকরা Healer(ম্যাজিক ব্যবহারকারী চিকিৎসক) এর কাছে গেলে ঠিক হয়ে যাবে। তাই আমরা যাচ্ছি মেফাসের রয়েল ক্যাপিটালে। তাছাড়াও এখানে আসার পর থেকে আমি বাইরের কিছু দেখতে পারি নি। এই ওয়ার্ল্ড কিরকম সেটা জানার আগ্রহও আমার বারছে। একটা নতুন এডভেঞ্চারে বের হচ্ছিলাম।
* * * * *
এক বছর এলেক্সকে সকল সাধারন জ্ঞান সম্পর্কে জানানোর পরে এলমন্ড এবং মারিয়া তাকে নিয়ে এই Demon Forest থেকে আজ বের হচ্ছে। তাদের মনে হাজারো আনন্দ এখন। সব আনন্দের একটা কারন তাদের পরিবারকে তারা দেখাতে পারবে যে তাদের ছেলে সন্তান হয়েছে। অবশ্য তারা বন থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত এটার জন্য নেয় নি। বরং এলেক্সকে বাইরের দুনিয়ার সৌন্দর্য থেকে তারা বঞ্চিত করতে চাই না। সাধারন একটা ছেলের মতোই এলেক্সকে মানুষ করতে চাই। যদিও নতুন আনন্দে তারা মগ্ধ ছিলো। কিন্তু তাদের মনে ভয় ছিলো এলেক্সের সুরক্ষা নিয়ে। এই Demon Forest এর মধ্যে হাজারো ডিম্যান বিস্টের মধ্যে তারা তাদের সন্তানকে রাখতে চাই না। আর সব বাবা-মার মতোই সন্তানের কথা চিন্তা করে তারা মেফাস কিংডমের ক্যাপিটালে যাচ্ছে। তাছাড়াও এলেক্স এর পায়ের হাড়ে কিছুটা অস্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে যেটা মারিয়া তার উচ্চ লেভেল হিলিং স্পেল দিয়েও ঠিক করতে পারে নি। যার ফলস্বরূপ এলেক্স হাটতে পারলেও দৌড়াতে পারে না। দৌড়ানোর সময় তার পা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। জোর করলে পুরো শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন তার কাছে তার স্ত্রীর থেকে Poison এ আক্রান্ত হওয়ার মতো অনুভব করে।
এলমন্ড দুটো ঘোড়া দিয়ে একটা ঘোড়ার গাড়ি তৈরী করেছিলো জিনিসপত্র আনানেওয়ার জন্য। এই দশ বছরে এলমন্ড পাশের ছোট একটা শহর ছাড়া কোথাও পা দেয় নি। যখন খাবার বা বাকি পন্য প্রয়োজন হয়েছে সে পাশের ছোট শহর থেকেই নিয়েছে সেগুলো। তবে আজ দশ বছর পরে তারা ক্যাপিটালে পা দিতে যাচ্ছে। যেটা তাদেরকে কিছুটা নার্ভাস করছে। তবে সেটা তাদের আনন্দের কাছে কিছুই না। এলমন্ড এবং মারিয়ার চোখে হাজারো স্বপ্ন এলেক্সকে নিয়ে। সেগুলো তাদের পুরো করতে হবে এক এক করে।
* * *
Fire Kingdom, Mefas Royel Capital,
ডিউক এভেস্ট এর বিশাল ম্যানসন এর মধ্যে একটা বেলকনির মধ্যে ডিউক এভেস্ট ভন উয়েক্সকুল বসে আছে। তার সামনে বিশাল বড় একটা বাগান, যেটার সৌন্দর্য সে তার স্ত্রী এবং তার কন্যা নিচ্ছিলো হালকা চা পানের মাধ্যমে। ডিউক এভেস্ট চায়ের কাপে মুখ দিয়ে এক চুমুকের পর কথা বলতে শুরু করলো,
-->>সেকেন্ড প্রিন্সের সাথে আমার আজও কথা হয়েছিলো। এলিন (ডিউকের কন্যা এলিন ভন উয়েক্সকুল) সেকেন্ড প্রিন্স আজও তোমার হাত আমার কাছে চেয়েছে।
ডিউক কথাটা অনেকটা সিরিয়াস হয়েই বললো। তার কন্যা এলিন চুপ চাপ বসে ছিলো। সে কথা বললো না। তবে তার আম্মা হাইবা (ডিউকের স্ত্রী হাইবা ভন উয়েক্সকুল) মুখ খুললেন, মুখে মিষ্টি একটা হাসি নিয়ে তিনি বললেন,
-->>Dear, আমি জানি সেকেন্ড প্রিন্স অনেক ক্ষমতাশালী ফার্ষ্ট প্রিন্সের তুলনায়, কিন্তু সে একজন মেয়ে পাগল ছেলে। আমি চাই না আমাদের একমাত্র কন্যা এমন কোনো একজন ছেলের স্ত্রী হোক।
এবার ডিউকের কন্যা বলতে লাগলো,
-->>আমি আপনার একমাত্র কন্যা এলিন ভন উয়েক্সকুল। আমি এমন কোনো ছেলের স্ত্রী হতে চাই না যে কোনো কিছু না করেই সকল কিছু পায়। আমার পিতা যদি ডিউক এভেস্ট ভন উয়েক্সকুল এর মতো একজন মানুষকে আমার জন্য খুজে বের করতে পারেন তাহলে তার স্ত্রী হতে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। তাই আমার তরফ থেকে আপনি সেকেন্ড প্রিন্সকে মানা করে দিবেন। তাকে বলবেন আমি বাকি সকল মেয়ের মতো নয়।
এটা বলেই ডিউকের কন্যা এলিন বের হয়ে গেলো। হয়তো এটা ইনসাল্টের মতো কথা মনে হবে অনেকের। কিন্তু নোবেলদের শিক্ষিত কথা বার্তা এরকমই। এলিন যাওয়ার পর তার আম্মা বললো আবারো একটা মিষ্টি হাসি নিয়ে,
-->>Dear, তোমার মেয়ে একদম তোমার মতোই হচ্ছে দিন দিন। এমন চললে আমার মনে হয় না এলিনের বিয়ে আমরা দিতে পারবো।
-->>সেটা নিয়ে হয়তো আপাতোতো আমাদের ভাবতে হবে না। খুব তারাতারি মেফাসের আকাশ পাল্টে যাবে। পুরো কিংডম লাল হতে যাচ্ছে খুব তারাতারি।
ডিউক আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো। তার স্ত্রী বলতে লাগলো,
-->>তাহলে কি Civil War হতে যাচ্ছে আবার?
-->>কিছুই বলা যাচ্ছে না আপাতোতো। কিন্তু এটুকু বলতে পারছি অনেক ব্যস্ত হয়ে যাবে ক্যাপিটাল।
ডিউকের মুখে একটা ভয়ঙ্কর হাসি দেখা দিলো। সে চায়ের কাপে আবার চুমুক দিলো। তার কথাগুলো মনে হলে আকাশে ভেসে গেলো। পরিবেশ বেশ কিছুক্ষন নিরব রইলো
**
To Be Continue
**
কেমন হলো জানাবেন।