#Demon_King#


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী


পর্বঃ১৪



মেফাস একাডেমি,


আজ সবার চান্টিং টেস্ট করা হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা এক এক করে চান্টিং টেস্টে অংশ নিচ্ছিলো।


-->> ও গ্রেট মানা লর্ড, আই অ্যাম প্লান্ট এট্রিবিউটর, প্লিজ লিসেন টু মাই কল এন্ড ভ্যানকুইস দ্যা ইভিল, "বাইন্ড''।


অডিটোরিয়ামের মধ্যে চান্টিং টেস্ট হচ্ছে। একটা মেয়ে উক্ত স্পেল চান্টিং দিয়ে টেস্ট শুরু করলো। সাথে সাথে মাটি থেকে দু একটা ছোট পাতলা গাছের কান্ড উঠে আসলো এবং সেগুলো পেঁচিয়ে রইলো সামনের একটা টার্গেটকে।


-->> ও গ্রেট মানা লর্ড, আই অ্যাম লাইট এট্রিবিউটর, প্লিজ লিসেন টু মাই কল এন্ড ভ্যানকুইস দ্যা ডার্ক, " ফ্লাশ"।


আরেকজন তার চান্টিং ব্যবহার করলো। তার স্পেল চান্টিং এর মাধ্যমে একটা আলো তৈরী হলো পুরো অডিটোরিয়ামে। এটা একটা স্পেল যেটা উজ্জ্বল আলো তৈরী করে।


-->> ও গ্রেট মানা লর্ড, আই অ্যাম ফায়ার এট্রিবিউটর, প্লিজ লিসেন টু মাই কল এন্ড ভ্যানকুইস মাই এনিমি, "ফায়ার বল"।


ডিউক কন্যা মাইরা তার স্পষ্ট কন্ঠ দিয়ে অনেক মধুর ভাবে চান্টিং ব্যবহার করলো। সাথে সাথে তার হাতের সামনে তিনটা ফায়ার বল তৈরী হলো। সামনে তিনটা টার্গেট ছিলো যেটা শিক্ষক তার প্লান্ট স্পেল দিয়ে তৈরী করেছেন। মাইরার তিনটা ফায়ার বল সেই টার্গেটে লেগে পুরিয়ে দেই সেগুলোকে।


-->> ও গ্রেট মানা লর্ড, আই অ্যাম লাইটনিং এট্রিবিউটর, প্লিজ লিসেন টু মাই কল এন্ড ভ্যানকুইস মাই এনিমি, "লাইটনিং সুরিক্যান"।


এডওয়ার্ড তার স্পেল চান্টিং ব্যবহার করলো। তার হাত থেকে তারার মতো আকারের লাইটনিং সুরিক্যান তৈরী হলো। সুরিক্যান মূলত নিনজা ব্যবহার করে থাকে। এটা মূলত তিন, চার, পাঁচ  কোণা বিশিষ্ট ধারালো গোপন অস্ত্র। নিনজা এটা ব্যবহার করে থাকে দূর থেকে তাদের শত্রুদের হত্যা করার জন্য। এডওয়ার্ডের সুরিক্যান এতো স্পিডে গেলো যে সেটা মুহূর্তের মধ্যেই লাইনে থাকা শিক্ষক ডিয়ারার তৈরী পাঁচটা টার্গেটকে দ্বিখন্ডিত করে দিলো। সবাই অনেক প্রশংসা করতে লাগলো তার কাজের জন্য। করবেও না কেনো এটা ব্যাসিক স্পেল নয়। বরং স্পেলবুকের মধ্যকার একটা মিডিয়াম লেভেল স্পেল। এলিনের সেটা দেখে রাগ হতে লাগলো।


-->> ও গ্রেট মানা লর্ড, আই অ্যাম আইস এট্রিবিউটর, প্লিজ লিসেন টু মাই কল এন্ড ভ্যানকুইস মাই এনিমি, "ফ্রিজ"।


যদিও কাল এতো বড় চান্টিং এর প্রয়োজন হয় নি এলিনের। তারপরও শিক্ষকের আদেশ ছিলো পুরো চান্টিং ব্যবহার করার। তাই এলিন তার চান্টিং শেষ করলো। সে দশটা টার্গেটকে এক সাথে বরফে জমিয়ে দিলো। যেটা কয়েক মুহুর্তে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। এলিনের মুখে একটা হাসি দেখা গেলো। হয়তো সেটা তার ভাইকে তাদের ক্ষমতার পার্থক্য দেখানোর হাসি ছিলো।


সবাই এক এক করে তাদের চান্টিং শেষ করছে। সবার শেষে সময় চলে আসলো এলেক্সের। সে অনেকক্ষন যাবৎ বসে বিভিন্ন স্পেল দেখছিলো। সবার চান্টিং এক্সাম শেষ হয়ে যাচ্ছে শুধু এলেক্স বাকি আছে। সে উঠে আসলো। শিক্ষক সবার ক্লাস টাইটেল অনুযায়ী টার্গেট তৈরী করেছিলো। যেখানে সে এডওয়ার্ড, এলিন, মাইরার জন্য দশটা টার্গেট, D ক্লাসদের জন্য তিনটা। E এবং F ক্লাসের জন্য একটা। এলেক্স এগিয়ে যাচ্ছে টার্গেটের দিকে। পাঁচ মিটার দূর থেকে সবাইকে টার্গেটের উপরে চান্টিং ব্যবহার করতে হচ্ছে।


এলেক্স সঠিক দূরত্বে চলে আসলো। অডিটোরিয়ামের অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের নজর তার দিকে। সবাই তার স্পেল দেখার জন্য আগ্রহ না। বরং সবাই হাসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো।


 ডার্ক এট্রিবিউটের চান্টিং গুলোকে সবচেয়ে কঠিন বলা হয়। তাই তিন চারটা স্পেল ছাড়া আর কোনো স্পেল তৈরী করতে পারে নি কোনো ডার্ক এট্রিবিউটর। সকল এট্রিবিউটের ব্যাসিক কিছু স্পেল থাকে, ডার্ক এট্রিবিউটের জন্য শুধু সেই ব্যাসিক স্পেল গুলোই তৈরী হয়েছে। একজন ডার্ক এট্রিবিউটরের সারা জীবন কেটে যায় শুধু এই ব্যাসিক শিখতে গেলেই। তবে এলেক্সের জন্য সেটা হলো না। তার রিং এর মধ্যে থাকা এনার্জি ব্যবহারের মাধ্যমে সে চান্টিং পড়তে লাগলো,


-->> ও গ্রেট মানা লর্ড, আই অ্যাম ডার্ক লর্ড, প্লিজ লিসেন টু মাই কল এন্ড ডমিনেট দ্যা ওয়ার্ল্ড, "ডার্ক বল"।


কেউ মনোযোগী ছিলো না এলেক্সের চান্টিং এর উপরে। তাই সেটা যে সাধারন চান্টিং এর থেকে ভিন্ন ছিলো সেটা কেউ বের করতে পারলো না। তবে সব কানকে ধোঁকা দিতে পারলেও দুটো কান ছিলো যেটা এটাকে মিস করলো না। 


"এটা কি রকম চান্টিং?"


এলিন ভাবলো। সে সহ অডিটোরিয়ামের সবাই এলেক্সের দিকে লক্ষ রেখেছে। এলেক্সের বাম হাতে কিছুটা ডার্ক এনার্জি জমা হচ্ছিলো। এটা একটা বলের আকার নিলো। যার আকার সাধারন একটা টেনিস বলের সমান হবে।


এলেক্স তার স্পেলের এনার্জি নিজ ইচ্ছামতো কন্ট্রোল করতে পারে। বাসায় কাল ট্রেনিং এর সময় সে খুব সামান্য এনার্জি ব্যবহার করেছিলো, যার কারনে এই স্পেলের পুরো পাওয়ার সে দেখতে পারে নি। কিন্তু এখানে তাকে বাসার কিছু নষ্ট করার ভয় নেই। এলেক্স তার সর্বোচ্চ এনার্জি ফোকাস করেছে তার চান্টিং এর উপরে। এলেক্স তার টার্গেটে তার "ডার্ক বল" স্পেলটা নিক্ষেপ করবে তখনি তার স্পেলের সকল এনার্জি হাওয়ার মধ্যে মিশে যেতে লাগলো। এটা এলেক্সের কোনো ভুল কিংবা ত্রুটি ছিলো না। অডিটোরিয়ামের মধ্যে প্রিন্সিপাল প্রবেশ করেছে। তার প্রবেশের ফলে পুরো অডিটোরিয়াম নিউট্রল জোন হয়ে গিয়েছে। আপাতোতো এই জোনের মধ্যে কেউ এনার্জি ব্যবহার করতে পারবে না। এনার্জি ব্যবহার না করতে পারা স্পেল ব্যবহার না করতে পারা একই কথা। হঠাৎ প্রিন্সিপালের আগমনে সবাই এলেক্সের ব্যর্থ চেষ্টা ভুলে গেলো। শিক্ষক ডিয়ারা প্রিন্সিপালের সিরিয়াস মুখ দেখতে পেয়ে বুঝতে পারলো কিছু একটা হয়েছে। তবে সে প্রিন্সিপালের বলার জন্য অপেক্ষা করছিলো। প্রিন্সিপাল অডিটোরিয়ামে আসার পর বাকি দুই বিভাগের শিক্ষক স্যার আজরো এবং ম্যাডাম হেলেনও তাদের শিক্ষার্থী নিয়ে প্রবেশ করলেন অডিটোরিয়ামের মধ্যে।


-->>প্রতি বছর একাডেমির নতুন ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন রকমের টেস্ট নেওয়া হয়। টেস্ট গুলো শুধু তোমাদের ক্লাস টাইটেল নির্ধারন করার জন্য নেওয়া হয় না। বরং সেই সাথে সেটা তোমাদের টাওয়ারে প্রবেশের টিকিট হিসেবেও কাজ করে। একাডেমিতে প্রবেশের এক মাস পরেই সাধারনত প্রথম আসল টেস্ট শুরু হয়। এই সময়ে ব্যাসিক শেখানো হয়। তবে এবার এম্পায়ার সকল প্লান চেন্জ করেছে।


প্রিন্সিপাল থামলো কিছুক্ষন এবং একটু সবার দিকে তাকিয়ে নিয়ে আবার বলতে লাগলেন,


-->>একাডেমি এবার তিন মাস ব্যাপী একটা টেস্টের ব্যবস্থা করেছে। তিনমাস ব্যাপী টেস্টের মধ্যে প্রথম দুই মাসে সবাইকে ব্যাসিক সম্পর্কে ভালো ভাবে শেখানো হবে। এবং বাকি এক মাসে আসল টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে।


সবার চোখে আগ্রহের ছাপ দেখতে পেয়ে প্রিন্সিপাল অনেক খুশি হলেন। সে আসলেই এবার নতুন ধরনের একটা টেস্ট তৈরী করেছে। এটার জন্য সে প্রথমেই এক সপ্তাহের জন্য একাডেমিকে বন্ধ রেখেছিলো। তাকে অনেক অফিসিয়াল কাজ করতে হয়েছে। অনেক কষ্টের পরে এম্পায়ার তার রিকুয়েস্ট মেনে নিয়েছে। এবং সে অনুযায়ী কাজ করার আদেশ দিয়েছে।


-->>কিন্তু প্রিন্সিপাল ম্যাডাম, আমরা তো এ সম্পর্কে পূর্বে কিছু শুনি নি?


হঠাৎ শিক্ষক আজরোর প্রশ্নে ভাবনা থেকে প্রিন্সিপাল ফিরে আসলো।


-->>তোমরা শুনো নি কারন এম্পায়ার থেকে নোটিশ এসেছে আজ মাত্র আমার কাছে।(প্রিন্সিপাল)


তিন শিক্ষক আর কিছু বললো না। যেহেতু এম্পায়ার থেকে আদেশ এসেছে তাই তাদের পালন করতে হবে। কিন্তু কেমন টেস্ট হবে? তিনজনের মনেই প্রশ্ন। 


প্রিন্সিপাল দাড়িয়ে থেকে ব্যাখ্যা দিলেন টেস্ট সম্পর্কে। তিন মাস ব্যাপী টেস্ট মূলত সারভাইভাল মিশন। দশটা টিম তৈরী হবে সকল ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে। যেখানে তিন বিভাগের ছেলেমেয়ে সমান ভাবে ভাগ হবে। প্রতিটা টিমকে লিড করার জন্য তিনজন সিনিয়র শিক্ষার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা তিনজন আলাদা বিভাগের হবে। 


দশটা টিমের প্রত্যেকের প্রথম মিশন থাকবে, পুরো দুই মাস সারভাইভ করা ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে। হান্টার এসোসিয়েশান ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে কয়েকটা জোন তৈরী করেছে। ডিমনিক বিস্টদের শক্তি হিসেবে বিভিন্ন জোনের নাম দিয়েছে তারা। প্রথমে সুরক্ষিত জোন, এরপর প্রথম জোন থেকে দশম জোন পর্যন্ত রয়েছে। প্রথম জোনে তেমন কোনো ডিমনিক বিস্ট পাওয়া যায় না। যেগুলো পাওয়া যায় তারা খুব সাধারন বিস্ট। তবে দ্বিতীয় জোন থেকে ডিমনিক ফরেস্টের ভয়াবহতা দেখা যায়। সকল ছেলে মেয়ের প্রথম টেস্ট হবে, দুই মাস পর্যন্ত ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে সারভাইভ করা। যদিও এটা তিন মাস ব্যপী একটা টেস্ট তারপরও প্রিন্সিপাল পরের এক মাসের সম্পর্কে কিছু বলে নি। প্রিন্সিপাল সবাইকে জোর করছে না। যারা এ টেস্টে অংশ নিতে চাচ্ছে না তাদের একাডেমি থেকে বের করা হবে না। তাই ছেলেমেয়েদের কোনো ভয় নেই। প্রিন্সিপাল জানেন এই টেস্টের মধ্যে কিছু ভয়াবহ জিনিস হতে পারে, তাই সে কারো জন্য রিক্স নিতে চান না।


-->>এবার দুটো টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা এই তিনমাসের টেস্টে অংশ নিতে চাও না তাদেরকে জোর করা হবে না। তোমরা আবার ছয়মাস পরের টেস্টে অংশ নিতে পারবে।


প্রিন্সিপাল বোঝাতে লাগলেন সবাইকে। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারলো যে এই টেস্টে অংশ না নিলেও তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারা ছয় মাস পরে আবার একটা সুযোগ পাবে। যেহেতু একাডেমিতে এক বছরই পাঠদানের সুযোগ পাবে তারা তাই অধিকাংশ ছেলেমেয়ে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। তারপরও ডিমনিক ফরেস্টের নাম আসায় কিছু সংখ্যক আগ্রহী হবে না।


প্রিন্সিপাল বিভিন্ন জিনিস ব্যাখ্যা করলেন। এর মধ্য দিয়েই আজকের একাডেমির ক্লাস শেষ হয়ে গেলো। একাডেমি বন্ধ হবে না। তাদের জন্য খোলা থাকবে যারা এই টেস্টে আগ্রহী নয়। তবে সে সংখ্যা খুব কম বলে ধারনা করা যাচ্ছে। এই টেস্টটা মূলত একটা ট্রেনিং। একাডেমির মূল লক্ষ হলো টাওয়ারে প্রবেশের জন্য ছেলেমেয়েদের সাধারন ব্যাসিক শিক্ষা দেওয়া। টাওয়ারে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে টাওয়ারের টেস্ট গ্রাউন্ড শেষ করতে হয়। তারপর প্রথম ফ্লোরে প্রবেশ করার সুযোগ পাওয়া যায়। টেস্ট গ্রাউন্ড খুব সহজে পার করার জন্যই মূলত একাডেমি তৈরী করা হয়েছে। প্রিন্সিপাল এই টেস্টের ব্যবস্থা করেছে অনেক কারনের জন্য। সব কারনের মধ্যে একটা কারন হলো, তিন এনার্জি ব্যবহারকারীদের একত্রে কাজ করা। এই টেস্টের মাধ্যমে সবাই অন্য এনার্জি ব্যবহারকারীর গুরুত্ব বুঝতে পারবে। এবং পরস্পরকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেটাও শিখতে পারবে। সবকিছু প্রিন্সিপালের প্লান মতো যাচ্ছে দেখে তার চোখ কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছিলো। সবাই মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন এবং আগ্রহ নিয়ে একাডেমি থেকে বের হলো।


* * * * * 


(এলেক্স রূপে)


আমি আশা করি নি আবারো ডিমনিক ফরেস্টে আমাকে আসতে হবে। তিনদিন পূর্বে একাডেমির টেস্ট সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক অবাক হয়েছিলাম। আম্মা এবং বাবা দুজনেই বারন করছিলো। তবে আমার লেভেল বারানোর জন্য এর থেকে সহজ উপায় দেখছিলাম না। আমাকে পরিবারের ছায়ার মধ্যে থাকলে হবে না। পৃথিবীতে ফেরত যেতে হবে একদিন না একদিন। সেটার জন্য আমার লেভেল বারানো দরকার। আর তাছাড়াও খুব তারাতারি টাওয়ারে প্রবেশ করতে হবে। আমি নিজ ইচ্ছায় এই টেস্টে আসতে চাওয়ায় দুজনে তেমন সমস্যা করে নি। তবে বেশ কিছু জিনিস দিয়েছে আমার সুরক্ষার জন্য। যদিও সেটার প্রয়োজন হবে না আমার মনে হচ্ছে। তারপরও আমি সাথে করে নিয়ে রেখেছি।


আমাদের টিম সবচেয়ে ছোট বাকি টিম গুলোর তুলনায়। একজন প্রান, তিনজন মানা এবং দুইজন অউরা এনার্জি ব্যবহারকারী আমাদের টিমের মধ্যে। যদিও বলা যায় আমার ভাগ্যটা অনেক ভালো ছিলো। ডিউক কন্যা মাইরা ভন রিসপন আমার টিমের মধ্যেই ছিলো। যতদূর আমি লক্ষ করেছি মাইরা সব সময় ডিউক কন্যা এলিন ভন উয়েক্সকুল এর সাথে থাকে। দুজনে তাদের এট্রিবিউটের মতোই একদম ভিন্ন। একজন নম্র, ভদ্র অন্যদিকে আরেকজন কোল্ড ব্লাডেড, রাগী।


আমি মেয়েদের ব্যাপারে অনেক কাঁচা, কিভাবে পটাতে হয় কাউকে সেটা আমি জানি না। তাই পূর্বের স্বপ্ন আমার সত্যি মনে হচ্ছে এখন। তা নাহলে মেঘার মতো সুন্দরী আমার সাথে কিভাবে বিয়ে করতে রাজি হয়? ওয়েল আমি কনফিজড সেটা ভেবে। তারপরও দুইমাস এক টিমের মধ্যে থাকবো, কিছু একটা হয়তো হয়েই যাবে।


প্রতি টিমকে লিড করার জন্য তিনজন সিনিয়র এসেছে টাওয়ারের মধ্য থেকে। তারা সকলেই তাদের এনার্জির বিষয়ে এক্সপার্ট। এই দুই মাসে তারা আমাদের বিভিন্ন ব্যাসিক সম্পর্কে শিক্ষা দিবেন। সাধারন ক্লাসের তুলনায় এভাবে আমরা ভালো ভাবে বুঝতে পারবো।


আমাদের সবাইকে আজ সকালেই একাডেমিতে পৌছাতে হয়েছিলো। সেখান থেকে আমাদের টিম তৈরী করা হয়েছিলো। প্রতিটা টিমকে ব্যালেন্স করে বানানো হয়েছে। যাতে কোনো টিম দুর্বল কিংবা শক্তিশালী না হয়। আমার টিমকে আমার কাছে ভালোই লাগছিলো। একজন প্রান এনার্জি ইউজার যার নাম স্নিরা। অউরা এনার্জি ইউজার দুজনের নাম ডুফেজ এবং জেয়াব। আমাদের তিন মানা ইউজারদের মধ্যে আমি, মাইরা এবং দুই মারকুস কন্যার মধ্যে একজন। দুজনে যমজ হওয়ায় আমাদের সাথের জনের নাম এবা নাকি জেবা সেটা আমি বলতে পারবো না। যাইহোক আসল কথায় আসা যাক।


আমরা ডিমনিক ফরেস্টের প্রথম জোনে প্রবেশ করেছি বাকি টিম গুলোর মতোই। কাল একাডেমির ক্লাসে আমাদের সবাইকে একটা করে ব্যাগ দেওয়া হয়েছিলো। ব্যাগের সাইজ অনেকটা পৃথিবীর স্কুলব্যাগের মতোই। তবে এটা একটা ম্যাজিকাল আইটেম। এমন নয় যে ম্যাজিকাল আইটেম শুধু টাওয়ারের মধ্যেই পাওয়া যায়। কালকে শিক্ষক ডিয়ারার ব্যাখ্যায় বুঝতে পারলাম এই ওয়ার্ল্ডে বেশ কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা টাওয়ারের লো ক্লাস ম্যাজিকাল আইটেমের মতো ম্যাজিকাল আইটেম তৈরী করতে পারে। এদের নাম দেওয়া হয়েছে ব্লাকস্মিথ।


 আমাদের সবার কাধে একটা ব্যাগ রয়েছে। যেটার ওজন খুব সামান্য। কিন্তু এই ব্যাগের মধ্যে অনেক ভারী ভারী জিনিসপত্র রয়েছে। আমাদের তাবু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রান্নার উপকরন এই ব্যাগের মধ্যে রয়েছে। শিক্ষকের মতে এর মধ্যে স্পেস ম্যাজিক ব্যবহার হয়েছে। তাই পঞ্চাশ কেজির মতো জিনিস রাখা যাবে এর মধ্যে। ব্যাগের ভালো দিক হচ্ছে পঞ্চাশ কেজি তার মধ্যে রাখলেও সেটা ফাকা ব্যাগের মতোই ভারি মনে হবে। আমাদের জিনিসপত্রের সমস্যাটা এই ব্যাগ সমাধান করেছে।


আমাদের টিম লিডার একজন ছেলে এবং দুজন মেয়ে। তারা টাওয়ারের মধ্য থেকে এসেছে। তাই অনেক কিছু সম্পর্কে তাদের জ্ঞান রয়েছে। তারা আমাদেরকে প্রথমেই তাদের পরিচয় দিয়েছে। লুবা যে প্রান এনার্জি ইউজার, মিও যে মানা এনার্জি ইউজার এবং চেইন যে অউরা এনার্জি ইউজার। যদিও তাদেরকে কখনো আমি দেখি নি তবে কেনো জানি মিও নামের মেয়েটার এনার্জি আমার কাছে অনেক পরিচিত মনে হচ্ছিলো। এনার্জি অনেকটা ঘ্রানের মতো কাজ করে। তাই আমি আমার শরীরের এনার্জির ঘ্রানই পাচ্ছিলাম মিও এর শরীর থেকে। আমার চোখ তার চোখের দিকে একবার পরতেই সে মুচকি হেসে দিলো, মনে হচ্ছিলো আমাকে সে ভালো করেই চিনে।


-->>বয়েস এন্ড গার্লস আমাদের প্রধান মিশন মূলত দুইমাস এই ফরেস্টের মধ্যে সার্ভাইভ করা। শুধু এটাই আমাদের মিশন নই। আমাদের দুই মাসের মধ্যে যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে ভিতরের জোনগুলোতে প্রবেশ করতে। দুই মাস পরে তারাই টেস্টে পাশ করতে পারবে যারা চতুর্থ কিংবা পঞ্চম জোনের মধ্যে প্রবেশ করবে।


আমাদের লিডার ছেলেটা আমাদেরকে ভালো করে বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলো। সে আরো বলতে লাগলো,


-->>ডিমনিক ফরেস্ট মোটেও পিকনিক করার মতো জায়গা নয়। আমরা মোট নয় জন আছি। যাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে সব সময়। একাডেমি আমাদের কোনো সাহায্য করবে না। আমাদেরকে নিজেদের খেয়াল নিজেদেরই রাখতে হবে। এই টেস্টের মধ্যে নিজেদের ছোট একটা ভুলের কারনে মৃত্যুও হতে পারে। তাই এখনো সময় আছে যদি কেউ পিছনে যেতে চাও চলে যেতে পারো। একাডেমি আরেকটা সুযোগ দিবে তোমাদের।(চেইন)


প্রধান লিডার মূলত চেইনই। তার কথা শোনার পরও যখন কেউ কিছু বললো না তখন সে বলতে লাগলো আবারো,


-->>তাহলে এই দুই মাসের জন্য আমরা একটা পরিবার। এমনিতেই একাডেমি আমাদের টাইটেল বর্জন করতে বলেছে এই টেস্টের কারনে, এখানে কাউকে ছোট করে দেখার প্রয়োজন আমি মনে করছি না। সবাই মনে রাখবে মানা ইউজার কখনো অউরা কিংবা প্রান ইউজারদের ছাড়া গ্রুপ ফাইট জিততে পারে না। তাই সবাইকে পুরো টিমের উপরে বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে। উদাহরন হিসাবে আমরা তিনজন প্রথমে দেখাবে কিভাবে টিম ঠিক রেখে কাজ করতে হয়।


* * * * *


নয়জনের টিম অনেকক্ষন যাবৎ হাটতে ছিলো। কিন্তু তাদের নজরে কোনো ডিমনিক বিস্ট পরছিলো না। প্রথম জোনের আকার অনেক ছোট বাকি জোনগুলোর তুলনায়। এখানে সব থেকে দুর্বল ডিমনিক বিস্টই দেখা যায়। টিম লিডার চেইন এবং বাকি দুইজন অনেকক্ষন হলো ডিমনিক বিস্ট খোজার চেষ্টা করছিলো। তাদের উদ্দেশ্য বাকিদের দেখানো কিভাবে টিমওয়ার্ক করতে হয়। বেশ অনেকক্ষন খোজার পরে তাদের নজরে দশটা ডিমনিক বিস্টের একটা গ্রুপ আসলো। তাদের নাম ডিমনিক ডগ। সাধারন কুকুর ছিলো তারা এক সময়। তবে ডিমনিক এনার্জির সংস্পর্শে এসে তাদের মিউটেশন হয় এবং নাম হয়ে যায় ডিমনিক ডগ। প্রত্যেকটা ডিমনিক বিস্টের লেভেল পরিমাপের জন্য দশটা লেভেল তৈরী করা হয়েছে। ডিমনিক ডগ মূলত সবচেয়ে নিচু লেভেল F এর ডিমনিক বিস্ট। যদিও এটা সবচেয়ে দুর্বল তারপরও নতুন এনার্জি ইউজারদের একটা গ্রুপ ডিমনিক ডগদের হত্যা করতে অনেক শ্রমের প্রয়োজন হয়। চেইন তাদেরকে দেখাতে চাচ্ছিলো একা ফাইট আর সবাই মিলে ফাইটের মধ্যের পার্থক্য। 


-->>সবাই ভালো করে দেখো, প্রথমে গ্রুপ বিস্টদের হত্যার জন্য দূর থেকে মানা ইউজার তাদের স্পেল ব্যবহার করবে। সেই স্পেলে হয়তো সবগুলোকে হত্যা করা যাবে না। তখনি অউরা এনার্জি ইউজার এগিয়ে যাবে এবং সোর্ড কিংবা ফিস্টফাইটের মাধ্যমে বাকিদের হারিয়ে দিবে। প্রান ইউজার সবার পিছনে থাকবে এবং সে নজর রাখবে যদি অউরা ইউজার আহত হয় তাহলে দূর থেকে হিল করবে। এভাবে যদি ফাইট করা যায় তাহলে খুব তারাতারি গ্রুপ বিস্টদের হত্যা করা যায়।


একটা ব্যাখ্যা দিলো চেইন। সবাই শুধু তাকিয়ে ছিলো তিনজনের দিকে। প্রথমেই মিও ছোট একটা ফায়ার বল স্পেলের মাধ্যমে সাতটা ডিমনিক ডগকে হত্যা করে ফেললো। এরপরই চেইন তার সোর্ড নিয়ে এগিয়ে গেলো এবং বাকি তিনটাকে হত্যা করে ফেললো। এই সময় মিও প্রস্তুত ছিলো তার দ্বিতীয় স্পেলের জন্য। কিন্তু সেটার প্রয়োজন হয় নি। সবাই সাধারন একটা ধারনা পেলো কিভাবে সহজে ডিমনিক বিস্টের হত্যা করতে হয়। টিম লিডারদের বেশী কষ্ট করতে হলো না এই টিমের জন্য। কিন্তু অন্যান্য টিমের জন্য মোটেও এটা স্বাভাবিক যাচ্ছে না। বিশেষ করে বেশ কিছু নোবেলদের জন্য যারা শক্তিশালী এট্রিবিউট আনলক করেছে। তারা অন্য কারো সাথে কাজ করতে রাজি নয়। তারা একা একাই ডিমনিক বিস্ট হত্যা করতে চাই।


প্রথম জোনের আকার অনেক বড়। যেটা পায়ে হেটে পার করতে গেলে কমপক্ষে সাতদিন সময় লাগবে। সবাই একটানা হাটতে পারবে না, তাই বিকালের দিকে তাবু টানাতে হয়েছে। স্নিরা, মাইরা, এবা, মিও এবং লুবা মিলে রান্নার কাজ করছে। জেয়াব এবং ডুফেস মিলে তাবু টাঙাচ্ছে। এলেক্স এবং চেইন মিলে চারপাশ গার্ড দিচ্ছে। অবশ্য চেইন এলেক্সকে একা গার্ড দিতে বলতে চাচ্ছিলো, কিন্তু সে শুধু ডার্ক এট্রিবিউট আনলক করেছে এটা জানতে পেরে আর সাহস পাই নি। মানে এলেক্সকে গার্ডে দাড় করানো আর কেউ গার্ড না দেওয়া একই কথা। 


চারপাশ ঘুরে দেখছিলো এলেক্স। চেইন সেদিকে নজর দিচ্ছিলো না। সে এলেক্সকে বলতে লাগলো অন্যদিকে ঘুরে,


-->>এলেক্স সাবধান থেকো। যদি কোনো ডিমনিক বিস্ট নজরে পরে তাহলে জোরে না চিল্লিয়ে তোমার হাতের স্টোনের ব্যবহার করবে।


সবাই আসার পূর্বে একটা করে সিগন্যাল স্টোন পেয়েছে। যেটার মধ্যে এনার্জি প্রবেশ করালে কাছাকাছি থাকা বাকি স্টোনগুলো জ্বলতে থাকবে এবং সেদিকে যাওয়ার জন্য ইশারা করবে। চেইন চিন্তিত ছিলো এলেক্সের সুরক্ষা নিয়ে। তারপরও কিছু করার নেই। একাডেমি থেকে আদেশ যে সবাইকে ডিমনিক বিস্টের সাথে ভালো ভাবে পরিচয় করানো। তাই চেইনকে সবাইকে সামনা সামনি একটা বিস্টের সাথে ফাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। চেইন জানে এলেক্স যেদিকে যাচ্ছিলো সেখানে একটা ডিমনিক বিস্ট ছিলো। তবে চেইন আশা রাখছে যে এলেক্স হারাতে পারবে সেটা। না পারলে চেইন গিয়ে সাহায্য করবে।


এলেক্স হাতছিলো। তারা গাছপালা ছাড়া ফাঁকা একটা জায়গায় ক্যাম্প তৈরী করছে।  বিশ মিটার জায়গা নিয়ে কোনো গাছপালা নেই। এসব জায়গার মধ্যে তেমন ভয় থাকে না। তারপরও রাতে সজাগ থাকতে হয় ডিমনিক বিস্টের জন্য। ঘুমানোর পূর্বে যদি আসে পাশের সমস্ত বিস্টগুলোকে হত্যা করা যায় তাহলে রাতে আর ভয় থাকে না। লো লেভেল ডিমনিক বিস্ট আগুনকে ভয় পায়। তারা দূরে কোথাও আগুন দেখলে সেদিকে যাবে না। কিন্তু তাদের এরিয়ার মধ্যে আগুন জ্বালালে তারা আক্রমন করবে।


এলেক্স হেটে যাচ্ছিলো এই আশায় যে তার সামনে একটা ডিমনিক বিস্ট আসবে। তার ট্রেনিং এর ফলে তার লেভেল আর বারছে না। সেই সাথে তার স্ট্যাটও বারছে না। তাকে তার লেভেল বারানোর জন্য এক্সপি পয়েন্ট দরকার। আর সেগুলো বারবে মনস্টার কিংবা ডিমনিক বিস্ট হত্যার মাধ্যমে। তাছাড়াও এলেক্সকের স্কিল রয়েছে, "Skeleton Army"। এই স্কিলের মাধ্যমে সে তার হত্যা করা প্রানীর হাড়কে জীবিত করতে পারবে। যদিও সেটাকে অর্ধমৃত বললেই ভালো হবে। এলেক্স অনেকক্ষন হাটাহাটির পর কখন যে ফরেস্টের মধ্যে প্রবেশ করেছে নিজেও জানে না। একটা ঝোপের মধ্যে নারাচরা দেখতে পেয়ে সে এগিয়ে গেলো। তার এগিয়ে যাওয়াতেই একটা ডিমনিক বিস্ট বেরিয়ে আসলো ভিতর থেকে। সেটা একটা ডিমনিক ইঁদুর। "ইঁদুর তাও আবার ডিমনিক"। এলেক্স ভাবলো।


ইঁদুর টা মোটেও সাধারন ইঁদুর নই। ইঁদুরের আকার একটা বড় বিড়ালের আকারের মতো হয়েছে। চোখদুটো টকটকে লাল। এলেক্সের ভাবলো তার গ্লাটোনি স্কিলের মাধ্যমে এটাকে এবজোর্ব করা অনেক সহজ হবে। কিন্তু তাতে সে এটাকে হাড়যোদ্ধা বানাতে পারবে না। আবার সে একাডেমিতে তার স্পেলের ক্ষমতাও দেখতে পারে নি। এখন আশে পাশে কেউ নেই তাই সে তার স্পেলের সংক্ষেপ চান্টিং ব্যবহার করলো,


-->>ডার্ক ফ্লেম ব্লাস্ট।


এলেক্সের হাত থেকে কালো আগুন বেরিয়ে আসলো যেটা সোজা ইঁদুরের দিকে যাচ্ছিলো। ইঁদুর এলেক্সকে আক্রমন করার চেষ্টা করছিলো কিন্তু তখনি,


বুম, বুম,  কাবুম


ব্লাস্টের আওয়াজ শোনা গেলো। এলেক্স বাকিদের থেকে অনেক দূরে আসায় কেউ সেটা শুনতে পেলো না। একটা ব্লাস্ট হয়েছে সেখানে, যেটায় এলেক্স ইঁদুররের পুরো শরীরকে পুরিয়ে ছাই করে দিয়েছে। এলেক্স তার দাতে কামড় দিয়ে বলতে লাগলো,


-->>মনে হচ্ছে বেশী এনার্জি ব্যবহার করা হয়ে গেছে।


-->>মাস্টার আপনি একটা ডিমনিক বিস্ট হত্যা করেছেন। আপনি লেভেল ১১ তে পা দিয়েছেন। সেই সাথে আপনি আপনার স্কিল Skeleton Army ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি কি ইদুরের কঙ্কাল ডাকতে(Summon) করতে চান? (রিং)


হঠাৎ রিং এর বলে উঠলো। এলেক্স একটু ভয় পেয়ে গেলো। তার এখনো অভ্যাস হয়ে উঠে নি। প্রতিবার যখনি সে এই রিং এর শব্দ শুনে তখনি ভয় পেয়ে যায়। হয়তো রিং খুব উত্তেজনার সময় কথা বলে উঠে বলে এটা হয়। যাইহোক এলেক্সের এই কয়েকদিনের ট্রেনিং কাজে দিয়েছে বলে সে একটু মুচকি হাসলো। সে নতুন একটা স্পেলের জন্ম দিতে পেরেছে। সেই সাথে তাকে বড় চান্টিং এর প্রয়োজন হয় না স্পেল ব্যবহারে। অনেক কিছু বের করেছে সে স্পেল সম্পর্কে। এখন তো নতুন নতুন স্পেল শুধু তার হাতের মুঠোর মধ্যে।


* *


To Be Continue 


* *


কেমন হলো জানাবেন।