[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:১৮
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
জ্যাক অনেকক্ষন নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। সকালের নাস্তা করে সে আবারো জিতুদের গেস্টরুমে এসেছিলো। সে অপেক্ষা করলো র্যাঙ্কিং লিস্টের জন্য। কারন সেই লিস্ট আসলেই সবাই জানতে পারবে কার কাছে কত গোল্ড কয়েন রয়েছে। জ্যাক সেটা জানার জন্যই অপেক্ষা করছিলো। আর তখনি ছোট একটা ঘুমে চলে যায় সে।
ইদানিং অনেক আজব স্বপ্ব দেখা শুরু করেছে সে। পূর্বের দিনের স্বপ্ন হয়তো তার মনে নেই তবে আজকের স্বপ্ন জ্যাকের ক্লিয়ার মনে আছে। স্বপ্নটা একদম বাস্তব ছিলো। জ্যাকের মনে হচ্ছিলো সে হঠাৎ হৃদয় বাপ্পী নামক একটা ছেলের শরীরে প্রবেশ করেছিলো যে কিনা অভিশপ্ত ছিলো।
স্বপ্নটা এতো বাস্তব ছিলো যে তার সব কিছু জ্যাকের স্মৃতিতে যুক্ত হয়ে আছে। জ্যাকের মনে হচ্ছে সে এই ঘুমের মধ্যকার সময়ে অন্য একটা জায়গায় কিংবা এই ওয়ার্ল্ডের অতীতেই আঠারো বছর সময় পার করে এসেছে হৃদয় বাপ্পী নামক একটা ছেলের শরীরে। তাই জ্যাক বিষয়টা বাস্তব মনে করে নিজের পরিচয়কে মেনে নিলো। কারন স্মৃতিগুলো অন্যের হলে জ্যাক বুঝতে পারতো। যেরকম আকাশের স্মৃতি তার কাছে থাকলেও সে সহজে বলতে পারছে সেটা আকাশের স্মৃতি তার নিজের না। কিন্তু এই নতুন স্মৃতিকে সে একদম আলাদা ভাবতে পারছে না।
-->>ওয়েল এটা প্রথম না। এখন তো অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।(জ্যাক)
জ্যাকের মনে পরলো ভ্যাম্পায়ার কুইন সিজন ১ এর শুরুর দিকের কথা। তার নিজের নামও তো হৃদয় বাপ্পী ছিলো পৃথিবীতে থাকার সময়। যদিও সেটা তার আসল নাম ছিলো না। তারপরও জ্যাক বুঝতে পারলো নামটার সাথে অবশ্যই কোনো সম্পর্ক রয়েছে। জ্যাক মনে করছে সে অজান্তেই এক ঘুমের মাধ্যমে পুরো আঠারো বছর হৃদয় বাপ্পী হয়ে আলাদা কষ্টভরা একটা জীবন পার করেছে। হয়তো এরকম কষ্ট সে কখনো দেখে নি বা শুনে নি। যদিও আকাশের অস্তিত্ব সে এখনো মেনে নিতে পারছে না কিন্তু এই হৃদয়ের অস্তিত্ব সে খুব সহজেই মেনে নিলো।
-->>এসব নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। যদি একজন অন্যের শরীর দখল করতে পারে তাহলে তো এক ঘুমে অন্য একটা ওয়ার্ল্ডে আঠারো বছর পার করা কোনো ব্যাপারই না।(জ্যাক)
জ্যাক এই অস্তিত্বের সমস্যার কারনেই তার নিজের ওয়ার্ল্ড ছেড়ে এখানে এসেছে। সব কিছু শুরু হয় একটা বানরকে দিয়ে। তাই জ্যাকের রাগ তার উপরে ভরপুর ছিলো,
-->>আমি যদি বানরটাকে পায় তাহলে তার উপরে আরো দুটো পাহাড় ফেলে দিতাম।(জ্যাক)
জ্যাক আর এই সাধারন চিন্তা বসে সময় নষ্ট করলো না। কারন রিচুয়ালের র্যাঙ্কিং চলে আসবে আর পাঁচ মিনিট পরে। জ্যাক রিচুয়ালের দেওয়া মোবাইলটা হাতে নিলো এবং সময়ের অপেক্ষা করছিলো। পাঁচ মিনিট পরেই সবার র্যাঙ্কিং দেখাবে। যেখানে সবার উপরে থাকবে তারা যাদের গোল্ড কয়েন বেশী থাকবে। জ্যাক অপেক্ষা করছিলো কিন্তু তখনি তার মোবাইলে মেসেজ আসলো "গ্রিড" এর থেকে।
<কনগ্রাজুলেশন প্লেয়ারস। সবার জন্য পাঁচ মিনিটের জন্য মার্কেট চালু হয়েছে। তাি সবাই এই সময়ের জন্য যা খুশি কিনে নিতে পারো। কারন এই এক মাসের মধ্যে আর এই সুযোগ পাওয়া যাবে না।>
জ্যাকের নজর পরলো ফোনের স্ক্রিনের উপরে। মার্কেটের অপশনটা লক ছিলো এতোক্ষন। তবে সেটা এখন খোলা রয়েছে।
-->>পাঁচ মিনিটের জন্য!(জ্যাক)
জ্যাক তার কপাল কিছুটা ঘুচিয়ে ভাবতে লাগলো। সে বুঝতে পারলো এক মাসের মধ্যে কেউ আর এই মার্কেট ব্যবহার করতে পারবে না। তবে এটা জ্যাকের জন্য ভালো সুযোগ। যদি মার্কেট থেকে কিছু খাবার পাওয়া যায় তাহলে তো কথায় নাই। জ্যাক মার্কেটে ঢুকলো। যা দেখতে পেলো তাতে তার চোখ কপালে না উঠে পারলো না।
<প্লেয়ারদের জন্য মার্কেটে অনেক আইটেম রয়েছে। তবে স্পেশাল দুটো আইটেম রয়েছে।>
<ফায়ার ড্রাগন সোর্ড-----৮০০০ গোল্ড কয়েন>
<ওয়াটার ড্রাগন সোর্ড-----৮০০০ গোল্ড কয়েন>
<এছাড়াও প্লেয়ারদের জন্য জন্য বেশ কিছু ইউনিক আইটেম রয়েছে>
<হিলিং পোশন(১০)-----১০০০ গোল্ড কয়েন>
????
????
????
আরো অনেক আইটেম রয়েছে কিন্তু সেগুলো জ্যাকের চোখে পরলো না। কারন জ্যাক যেটা দেখেছে সেটায় তার জন্য যথেষ্ট ছিলো।
-->>আমি ভাবি নি এখানে ফায়ার এবং ওয়াটার সোর্ড দেখতে পাবো। কিন্তু আমি কাকে চয়েজ করবো? ইগড্রাসিল নাকি ভ্যালিরা?(জ্যাক)
সোর্ড দুটোর ছবি মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিলো। আর যে এক সময়ে এই দুটো সোর্ডের মালিক ছিলো সে কিভাবে দুটোকে চিনতে ভুল করে? হ্যা দুটোই এক সময়ের জ্যাকের দুটো ড্রাগন সোর্ড ছিলো। ইগড্রাসিল দ্যা ফায়ার ড্রাগন এবং ভ্যালিরা দ্যা ওয়াটার ড্রাগন।
জ্যাক চিন্তাও করে নি তার ড্রাগন গুলোর হাল এরকম হবে। যাদের আসল মালিক জ্যাকেরই হওয়ার কথা কিন্তু এখন তার সোর্ড দুটোকে তাকেই কিনে নিতে হবে।
-->>এটাকে কিরকম সিস্টেম বলে? আমার পন্য আমার থেকে চুরি করে আমাকেই দেওয়া হচ্ছে। হয়তো আমার শরীরকেও এরাই চুরি করেছে এবং সেটা বিক্রি করে দিয়েছে।(জ্যাক)
জ্যাকের মেজাজ গরম হলেও সে বুঝতে পারলো এখানে তার কিছু করার নেই। তার চেয়েও শক্তিশালী কিছু বিয়িং ছিলো যারা এতো কিছু কন্ট্রোল করছে। একটা গেমের মতো সব কিছু মনে হচ্ছে, আর লাইফকে একটা গেমের মতো তৈরী করা জ্যাকের পূর্ব শক্তিতে কখনো সম্ভব ছিলো না। তাই নিসন্দেহে এমন কিছু শক্তিশালী বিয়িং রয়েছে যাদেরকে জ্যাক তার পূর্ন শক্তিতেও হারাতে পারবে না।
-->>বলতে হবে আমি এক্সাইটেড হচ্ছি প্রতিটা মুহূর্তে।(জ্যাক)
একটা ওয়ার্ল্ডের সবথেকে শক্তিশালী হওয়ার পরে সব কিছু থেকে ইচ্ছা উঠে যেতে শুরু হয়। কারন যত লড়াই হোক আর মজা পাওয়া যায় না তখন। কিন্তু জ্যাক একটা সুযোগ পেয়েছে আবারো সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ার জন্য।
দুটো সোর্ড কেনার মতো গোল্ড কয়েন জ্যাকের কাছে নেই। তাই তাকে একটা কিনতে হবে আপাতোতো সময়ের জন্য। আর কোনটা কিনবে সেটা তো আর বলতে হবে না।
<কনগ্রাজুলেশন প্লেয়ার জ্যাক। আপনি ফায়ার ড্রাগন সোর্ড কিনেছেন ৮০০০ গোল্ড কয়েন দিয়ে।>
<কনগ্রাজুলেশন প্লেয়ার জ্যাক। আপনি হিলিং পোশন (১০) কিনেছেন ১০০০হাজার গোল্ড কয়েন দিয়ে।>
জ্যাক বাকি এক হাজার গোল্ড কয়েন রেখে দিলো। কারন সেটা পরে কাজে লাগতে পারে। মার্কেটের মধ্যে আর কোনো আইটেম ছিলো না যেটা তার আগ্রহ বারাচ্ছে। তাই সে তার পরবর্তী কাজে পা দিলো। এক হাজার গোল্ড কয়েন যেটা আসল টাকার দশ মিলিয়ন। অনেকটা বেমানান মনে হচ্ছে। তারপরও এখানে করার আর কি আছে?
জ্যাকের ড্রাগন ইগড্রাসিল এবং ভ্যালিরার মধ্যে শক্তিশালী বলা যায় ইগড্রাসিল। যদিও জ্যাক দুটো সোর্ডই নিতে চাচ্ছিলো কিন্তু কিছু করার নেই আপাতোতো। কারন এতো গোল্ড কয়েন তার কাছে নেই।
দশটা হিলিং পোশন এবং একটা খুব পরিচিত সোর্ড জ্যাকের হাতে চলে আসলো। হিলিং পোশন গুলো ছোট ছোট বোতলের মধ্যে রয়েছে। স্বচ্ছ কাঁচের বোতলের মধ্যে থাকার কারনে লাল রঙের পোশন গুলোকে দেখতে ব্লাডের মতো মনে হচ্ছিলো। জ্যাক সন্দেহ করছে আসলেই সেটা ব্লাড নাকি পোশন। হিলিং পোশন মূলত আহত হলে ব্যবহার করা হয়। জীবননাশক কোনো ক্ষত হলে সেটা সাথে সাথে পোশন পান করার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায়। জ্যাক তার পোশন গুলোর দিকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে তার হাতের সোর্ডকে দেখতে লাগলো।
-->>অনেক দিন হলো হয়তো।(জ্যাক)
জ্যাক শক্ত করে ফায়ার ড্রাগন সোর্ডটা হাতে ধরলো। সোর্ডটা পূর্বের হলেও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। জ্যাক যেহেতু এটার মালিক ছিলো তাই সহজেই বলতে পারছে।
-->>তার মাস্টার তাকে ধরেছে আর সে কি করছে? ঘুমাচ্ছে।(জ্যাক)
জ্যাক পূর্বের মতো অনুভব করলো না আর। হয়তো ইগড্রাসিল ঘুমাচ্ছে বলে এরকম মনে হচ্ছিলো তার। তারপরও একটা ওয়েল কাম অন্তত সে আশা করছিলো।
<ডিয়ার প্লেয়ারস, এখন সবার র্যাঙ্কিং জানিয়ে দেওয়া হবে।>
জ্যাক সোর্ডের দিকে সময় নষ্ট না করে মোবাইলটা হাতে নিলো। সোর্ড এবং হিলিং পোশনকে পাশে রেখে সে মনোযোগ দিয়ে র্যাঙ্কিং লিস্ট দেখতে লাগলো।
<র্যাঙ্কিং লিস্টঃ
১)এমিলি(২০০০০ গোল্ড কয়েন)
২)রাজ খান(১৬০০০ গোল্ড কয়েন)
৩)জারা চৌধুরী(১৫৫০০ গোল্ড কয়েন)
???
???
...
...
...
১৭৮)জ্যাক(১০০০ গোল্ড কয়েন)
জ্যাকের অন্য কোনো কিছু দেখার প্রয়োজন ছিলো না। নিজের এবং টপ এ যারা আছে তাদের টা দেখাতেই হয়ে গিয়েছে। এমনিতেও শহরে চৌধুরী এবং খান পরিবারের মতো ধনী আর কেউ নেই। তাই জ্যাক ভেবেই নিয়েছিলো কারা ফার্ষ্ট হবে।
-->>আমি তো দশ হাজার গোল্ড কয়েন পেয়েই অনেকটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু খান তো অনেক বড়লোক হয়ে দাড়ালো।(জ্যাক)
<প্রতি প্লেয়ার চাইলে তার সাথে সর্বোচ্চ পাঁচজন ব্যক্তিকে টাওয়ারে প্রবেশ করাতে পারবে। তবে প্রতি ব্যক্তি অনুযায়ী প্লেয়ারকে নিজের বাদে পাঁচ হাজার গোল্ড কয়েন সংগ্রহ করতে হবে।>
<অবশ্যই পাঁচজনকে প্লেয়ারের একাউন্টের সাথে যুক্ত হতে হবে। যুক্ত করার জন্য পাঁচ ব্যক্তির এক ফোটা ব্লাড মোবাইলে রিচার্জ করাতে হবে।>
মোবাইলের এই মেসেজটা বাকি গুলোর থেকে জ্যাকের কাছে অনেকটা ভালো লাগলো। সে ভাবছিলো একজন প্লেয়ারকে হয়তো হত্যা করতে হবে। কিন্তু,
-->>ওয়েল জিতুর ব্যবস্থা তো হয়ে গেলো তাহলে। কিন্তু আমি ভাবি নি ব্লাডও রিচার্জ করানো যাবে।(জ্যাক)
জ্যাকের কোনো প্লান ছিলো না। তবে আপাতোতো তার কাছে তার সোর্ড ফেরত আসার ফলে সুন্দর একটা প্লান চলে আসলো। সে প্রথমে ভাবছিলো চৌধুরী বাড়িতে গোপনে ঢুকবে জিতুর সাথে এবং সকল অর্থ রিচার্জ করে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন তাদের সেটার প্রয়োজন হবে না। আকাশের স্মৃতি অনুযায়ী তার বাবা কোনো মার্শাল আর্টিস্ট রাখতো না নিজেদের সুরক্ষার জন্য। যেহেতু আকাশের চাচা পরিবারের সিকিউরিটি দায়িত্বে ছিলো তাই সকল গার্ড সেই নিয়ন্ত্রন করতো।
-->>আর এটার মানে নিশ্চয় চৌধুরীর কাছে এখন অনেক বডিগার্ড আছে। এমনকি মার্শাল আর্টিস্টও রয়েছে। তবে ইগড্রাসিল উঠলে কোনোটায় কাজে আসবে না। অবশ্য ইগড্রাসিলের উঠারও প্রয়োজন নেই।(জ্যাক)
জ্যাকের কোনো ক্ষমতা নেই এখন। তবে তাই বলে তো এমন না যে জ্যাকের কোনো ট্যালেন্ট নেই। জ্যাক তার ওয়ার্ল্ডের সোর্ড মাস্টার ছিলো, যে সব শক্তিশালী লেজেন্ডারি সোর্ডের মালিক ছিলো। এমন নয় যে শুধু তার সোর্ড গুলোই শক্তিশালী ছিলো। ভ্যালিরাকে পাওয়ার সময় এলেক্স বন্ধী ছিলো একটা ড্রিম স্পেসের মধ্যে। যেখানে তার প্রথম মাস্টারের সাথে দেখা হয়েছিলো। তার মাস্টারের থেকেই সে সোর্ড শিখেছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে অতিরিক্ত শক্তিশালী হওয়ার জন্য জ্যাকের কখনো সোর্ড স্কিলের প্রয়োজন হয় নি।
-->>হ্যা আমার স্কিল গুলো দেখা প্রয়োজন।(জ্যাক)
জ্যাক তার ব্যাগের মধ্যে তার দশটা হিলিং পোশন এবং সোর্ডটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পরলো। জিতুকে নিজের একাউন্টের সাথে যুক্ত করলো না আপাতোতো। সেটা পরে এক সময় দেখা যাবে। সে জিতুকে নিয়ে চললো চৌধুরী বাড়ির দিকে।
* * * *
অন্যদিকে,
খান পরিবারের মধ্যে অনেক বড় ঝামেলা তৈরী হয়েছে। বর্তমান খান পরিবারের লিডার এবং রাজ খানের বাবা আদনান খান, তার পরিবারের সদস্য নিয়ে একটা মিটিং তৈরী করেছেন। সেখানে রাজ এবং পরিবারের বাকি সদস্য রয়েছে।
-->>রাজের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। এখন তোমাদের মধ্য থেকে কে টাওয়ারে প্রবেশ করতে চাই সে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা দরকার।(আদনান খান)
-->>বড় ভাই যেহেতু প্রথম(এখানে প্রথম বলতে বোঝানো হয়েছে দুইশো ছাত্রদের যারা রিচুয়ালে প্রথম অংশ নিয়েছে) প্লেয়ারই পারবে তার সাথে পাঁচ জন নিয়ে যাওয়ার জন্য তাই আমরা কি কয়েকজন লো ক্লাস প্লেয়ারদের স্পনসার করতে পারি না? এতে আমাদের পরিবারের সবাই যেতে পারবে।(আদনান খানের ছোট ভাই)
-->>হ্যা এটা ঠিক বলেছে ছোট ভাই। আমাদের এই মেইন পরিবারে মাত্র বারোজন সদস্য রয়েছে। যদি আমরা তিনজন প্লেয়ারকে স্পনসার করি তাহলে নিশ্চয় আমরা এবং আমাদের বিশ্বস্ত গার্ড গুলোকে নিয়ে যেতো পারবো টাওয়ারে।(আদনান খানের ছোট ভাই)
-->>হ্যা বাবা আঙ্কেল ঠিকই বলেছে। তোমাদের তিনজন প্লেয়ারকে নিয়ে ভাবতে হবে না। কলেজে আমার বিশ্বস্ত ফলোয়ার রয়েছে তাদের মাধ্যমেই করানো যাবে এটা। আর তাছাড়া আসার সময় তো আমি তাদের এখানে নিয়েও এসেছি।(রাজ খান)
খান পরিবার অনেক চালাক একটা পরিবার। তারা নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য সব কিছু করতপ পারে। রাজ খান কলেজ থেকে বাসায় সুরক্ষিত ভাবে পৌছানোর জন্য তার সাথে তিন জন ফলোয়ার নিয়ে এসেছিলো। যদি বিপদ দেখতো তাহলে রাজ সেই তিনজনকে সেদিকে ফেলে নিজে পালিয়ে আসতো। যেহেতু সেই তিন প্লেয়ার কখনোই এই টেস্টে পাশ করতে পারবে না তাই খান পরিবারের জন্য এর থেকে বড় সুযোগ আর হতে পারে না। তবে,
-->>এখনি এটার সময় নয়। আমাদের সম্পদ গুলোকে স্টক করতে হবে। যেহেতু এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে তাই এই সময়ে আমাদের সিকিউরিটি অনেকটা বারাতে হবে।(আদনান খান তার ছেলে রাজের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো)
রাজ বুঝতে পারলো তার বাবা কি ইঙ্গিত করছে। তাই সে বললো,
-->>কোনো চিন্তা করতে হবে না বাবা। জারার পরিবার আমাদের সাহায্য করবে বলেছে।(রাজ)
-->>তাহলে আর চিন্তার কোনো কারন নেই। তারপরও আমি এই সময়ে সবাইকে সাবধান থাকতে বলবো। কারন আমি চৌধুরীদের একদমই বিশ্বাস করি না। তাদের মধ্য থেকে একজন না একজন বিষাক্ত সাপ ঠিক হয়ে যায়।(আদনান খান)
* * * *
অন্যদিকে চৌধুরী বাড়িতে,
আফিফ চৌধুরী বসে আছে তার অফিস রুমের মধ্যে। ডান হাতে দামী কাচের গ্লাসে বিলাসিতার মদ্য রয়েছে এবং বাম হাতে দামী সিগারেট রয়েছে। তার সামনে ফ্লোরে একজন ব্যক্তি হাটুতে বসে আছে। বোঝা যাচ্ছে আফিফ চৌধুরীর হয়ে সে কাজ করে।
-->>আমার সবচেয়ে সেরা এসাসিন্স স্কাউডের লিডার হয়েও একটা সাধারন কাজ ঠিক মতো করতে পারো নি। আমি আসলেই অনেক ডিসাপয়েন্টেড।(চৌধুরী)
-->>মাস্টার আমি আসলেই অনেক দুঃখিত। আমরা আকাশ চৌধুরীর শরীরকে ভালো ভাবে পরীক্ষা করেছিলাম। লোটাস পয়জন এর সংস্পর্শে আসলে পুরো একটা এরিয়ার মানুষ মারা যেতে পারে। আর আমরা তো সেই পয়জনকে আকাশের শরীরে প্রবেশ করিয়েছিলাম।(এসাসিন্স স্কাউডের লিডার)
-->>তাহলে কি বলতে চাচ্ছো? তোমার মতো একজন মাস্টার এসাসিন্স এর হাত থেকে একটা ছোট বাচ্চা বেঁচে গিয়েছে। নাকি সে মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছে?(চৌধুরী)
আফিফ চৌধুরী রাগে নিজের ডান হাতের গ্লাসটা ভেঙে ফেললো। সে চিল্লিয়ে বলতে লাগলো,
-->>আমি এই দিনের জন্য কবে থেকে অপেক্ষা করছি সেটা কি তোমার জানা আছে? এই পর্যন্ত আমার প্লানে একটা পিপড়াকেও আমি আস্তে দেই নি।(চৌধুরী)
আফিফ চৌধুরী রাগে এসাসিন্স হেড এর কলার ধরে উচু করলো। এবং জোরে কথা গুলো বললো।
-->>মাস্টার আমি দুঃখিত আসলেই। আমাদের আরেকটা সুযোগ দিন। এর পর আর এমন হবে না।
আফিফ চৌধুরী এবার ছেড়ে দিলো তাকে। এবং টেবিলের কাছে গিয়ে আরেকটা সিগারেট জ্বালিয়ে মুখে নিলে।
-->>না এই পিপড়াকে আমাদের আর কিছু করতে হবে। এমনিতেই বাকিদের চাপে মারা যাবে সে। তবে শহরে একটা শেয়াল এসেছে শুনলাম। আমাদের প্রথমে তাকে ধরতে হবে। কি বলেছি বুঝেছো?(চৌধুরী)
-->>জ্বী মাস্টার।
সাথে সাথে লোকটা সেখান থেকে চলে গেলো। আফিফ চৌধুরী জানালার দিকে তাকিয়ে মুখ থেকে ধোঁয়া বের করতে লাগলো।
-->>মাক্সম্যান। দেখি আমার অফার ফিরাতে পারো কিনা?
চৌধুরীর মুখে একটা মারাত্মক হাসি দেখা দিলো। সেই সাথে অনেক লোভের ছাপ।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।