আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ২৬

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

  [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:২৬


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


(টেস্ট টাওয়ার প্রথম ফ্লোর)


লাইটনিং ম্যানুপুলেশন একটা স্কিল, যা তার ইউজারকে নিজ ইচ্ছায় লাইটনিংকে কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে। এটা কোনো ভয়ানক স্কিল না হলেও, পাঁচ এলিমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এলিমেন্ট হওয়ায় কিছুটা এডভান্টেজ থাকে সর্বদা। জ্যাক স্কিলটা ব্যবহার করেছে। প্রথমে সে বুজে উঠতে পারে নি কিভাবে ব্যবহার করবে। কিন্তু স্কিলটার নাম বলার সাথে সাথে সেটা একটিভ হয়েছে। জ্যাকের কোনো দিক দিয়ে আজব বোধ হয় নি। যদিও না প্রথম কোনো ব্যক্তি এরকম ম্যাজিকাল স্কিল ব্যবহার করলে তাদের আজব বোধ হবে। নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা সবার জন্যই অন্যরকম মনে হয়। যেহেতু জ্যাক পূর্বে স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাজিক ব্যবহার করতে পেরেছে তাই তার কাছে এটা ম্যাজিক স্পেলের মতোই মনে হয়েছে।


ওল্ফ মনস্টার, যেটা কিনা এই প্রথম ফ্লোরের ফিল্ড বস ছিলো জ্যাক তার মাথা বরাবর হেডশট দিয়েছে তার রেইনবো বো দিয়ে। যদিও সে ভেবেছিলো ওল্ফ মনস্টারটা তাতেই মারা যাবে, কিন্তু সেটা হলো না। একটা বস, সর্বদা বসই থাকে। সে কখনো এক শটেই শেষ হয় না। অবশ্য দুর্বল কারো কাছে এক শটেই শেষ হয় না।



-->>মাস্টার জ্যাক, বস মনে হচ্ছে একটু দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের এই সুযোগে সেটাকে শেষ করে দেওয়া উচিত।(জিতু)



ওল্ফ বসটা ছোট একটা পাহাড়ের উপরে দাড়িয়ে ছিলো। পাহাড় বললে ভুল হবে। পাথরের অনেকটা উচু জায়গা ছিলো সেটা। জ্যাকের হেডশটের ফলে সেটা উপরে থেকে আচমকা পরে গিয়েছে নিজে। এমন নয় যে এক শটেই সেটা মারা গিয়েছে। তীরটা ওল্ফের মাথার মধ্যেই রয়েছে। যেটা থেকে এখনো লাইটনিং এর স্পার্ক দেখা যাচ্ছে বিন্দু বিন্দু। লাইটনিং এর সংস্পর্শে আসার ফলে ওল্ফ মনস্টারের শরীর কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্যারালাইস হয়ে গিয়েছে। সে একটা এবনরমাল অবস্থায় রয়েছে। তাই এটাকে ভালো সুযোগ মনে করে জ্যাক এবং জিতু সেটার দিকে এগিয়ে যায়।



-->>আমাদের সাবধান থাকতে হবে। কারন এটার লাইফ মনে হচ্ছে এখনো অনেকটা আছে।(জ্যাক)



জ্যাক আরেকবার তার স্কিল ব্যবহার করতে চাচ্ছিলো কিন্তু তার মোবাইলের স্ক্রিনে জি এম থেকে একটা মেসেজ এসেছে,




<স্কিলের জন্য মানা এনার্জি প্রয়োজন। তাই অতিরিক্ত স্কিল ব্যবহার করা যাবে না।>




মেসেজটার মাধ্যমে জ্যাক বুঝতে পারলো তার লিমিট আপাতোতো মাত্র একটা স্কিলই। তাই সে আরেকটা শট নেওয়ার চেষ্টা করলো না। কারন এখন এবনরমাল অবস্থায় আছে ওল্ফ মনস্টারটা। যদি সে একটা নরমাল শটের মাধ্যমে সেটাকে রাখিয়ে দেই তাহলে অনেকটা ঝামেলা তৈরী হবে এখানে। জ্যাক তার ব্যাগের মধ্যে রেইনবো বো টা ঢুকিয়ে দিলো। এবং হাতে ভিরুদা মানে ফায়ার ড্রাগন সোর্ডকে নিয়ে ওল্ফের দিকে আগাতে শুরু করলো। কয়েক মুহুর্তেই তারা বসের প্রায় কয়েক মিটার দূরত্বে চলে আসলো। জ্যাক কোনো এট্যাক করতে যাবে তার পূর্বেই,



-->>এক্সট্রিম ফিস্ট।(জিতু)



জিতু ওল্ফের উপরে তার একমাত্র জানা মার্শাল আর্ট টেকনিক ব্যবহার করলো। পূর্বে জিতুর অনেকক্ষন সময় প্রয়োজন হতো এই স্কিল ব্যবহার করার জন্য। প্রায় এক মিনিটের জন্য তাকে শরীরের এনার্জি সংগ্রহ করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে সেটা তার স্কিলের মধ্যে যুক্ত হওয়ার ফলে পাঁচ সেকেন্ডের মতো সময় প্রয়োজন হয় তাকে সেটা একটিভ করতে। জ্যাক জিতুকে দেখছে এবং ভাবছে। সে এই নতুন ওয়ার্ল্ডকে এখন যত দেখছে তার তত কৌতুহল বারছে। তাই তো একটা মুহুর্ত সে অপেক্ষা করে পারছে না।



"যদিও আমি নিজের সব ক্ষমতা হারিয়েছি, তারপরও আমাকে সর্বোচ্চ উপরে উঠতে হবে আবারো।" (জ্যাক ভাবছে)




জিতুর এক্সট্রিম ফিস্ট স্কিলের ফলে ওল্ফটা অনেকটা ড্যামেজ নিয়েছে, তবে সেই সাথে তার এবনরমাল অবস্থাও কেটে গিয়েছে। জ্যাক তার সোর্ড দিয়ে এক মুভে সেটার গলা কাটতে চেয়েছিলো কিন্তু,



-->>মনে হচ্ছে এটা কষ্টকর হয়ে উঠবে আরো।(জ্যাক)



জ্যাক কিছু না করে থাকতে পারলো না। কারন সেই সময়ে তাদের মোবাইলে আরো একটা মেসেজ আসলো,



<বিস্ট মনস্টারের লাইফ যখন বিশ পার্সেন্টেজে চলে আসে তখন তারা বারসার্ক মুডে প্রবেশ করে। এই অবস্থায় তাদের সকল ডিফেন্স অর্ধেক কমে যায় এবং তাদের এট্যাক পাওয়ার তিনগুন বৃদ্ধি পায়।>



দুজনেই মেসেজটা দেখলো এবং ভয়ে ঢোক গিলতে লাগলো। জিতু তার এক্সট্রিম ফিস্টটা ওল্ফের আঘাত পাওয়া মাথাতেই ব্যবহার করেছিলো। যার ফলস্বরূপ ওল্ফ অনেকটা লাইফ হারিয়েছে। দেখতে দেখতে সেটা বিশ পার্সেন্টেজে চলে আসবে সেটা কে জানতো? জ্যাক এতে বেশী অবাক হচ্ছে। কারন সে তার তীর দিয়েও এতোটা ড্যামেজ দিতে পারে নি যতটা না জিতু দিয়েছে। কিন্তু এটা তার ভুল ধারনাও হতে পারে। কারন তার তীরটা স্পেশাল ছিলো। যাইহোক,


জ্যাক কোনো সাইড ক্যারেক্টার নয় যে সে এই অবস্থায় জিতুর মতো দাড়িয়ে থাকবে। বিস্টকে সময় দিলে সে তার বারসার্ক মুড কমপ্লিট করে ফেলবে। আর সেটা হলে জিতু আর জ্যাক কিছুই করতে পারবে না। যদিও জ্যাক আবারো এক ঘন্টা পূর্বে চলে যাবে, কিন্তু সেই স্কিল সে ব্যবহার করতে যাচ্ছে না। সেটা কোনো ভালো লাগার মতো স্কিল নয়। প্রতিবার ব্যবহারে জ্যাকের কাছে মনে হয় সে কোনো খারাপ একটা স্বপ্ন থেকে উঠেছে। ওল্ফ বসের লাইফ অনেকটা কম। আর এই সময়ে তার এট্যাক পাওয়ারই বৃদ্ধি পাবে শুধু। তার ডিফেন্স আবার অর্ধেক কমে যাবে, মানে এটা তার ধনুক দিয়ে আঘাত করার সময় ছিলো, কিন্তু জ্যাক তার শক্তিশালী মনস্টার কোনো ধনুক দিয়ে শেষ করতে চাই না। সে এগিয়ে গেলো তার হাতে ভিরুদাকে নিয়ে। এটা সেই ভিরুদা যেটা তার সাথে হাজারো জীবিত বস্তুর রক্তে গোসল করেছে। যদিও এটা এখন ঘুমন্ত অবস্থায় আছে তারপরও অস্ত্রটাকে পাওয়ার পর জ্যাক মোটেও সন্তুষ্ট নয়।



"আমার সকল ক্ষমতা, এমনকি শক্তিশালী ড্রাগন গুলোও এভাবে বিতরন হচ্ছে। তাহলে যারা এসব করছে, তাদের অস্ত্র গুলো বা তাদের ক্ষমতা গুলো কতটা শক্তিশালী?" (জ্যাক ভাবছে)



জ্যাকের মধ্যে তিন ধরনের ভাবনা কাজ করছে। যেহেতু তার মধ্যে তিন ধরনের আলাদা স্মৃতি রয়েছে, তাই সে চিন্তা করছে কিভাবে শক্তিশালী হওয়া যায়। আর বাকি দুই স্মৃতির মাধ্যমে সে চিন্তা করছে কিভাবে ওল্ফটাকে হত্যা করা যায়। জ্যাক প্রথমে তিন স্মৃতিতে অভস্ত্য হয় নি, কিন্তু ধীরে ধীরে সে বুঝতে পেরেছে এতে তার চিন্তা শক্তি অনেক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 



-->>আমি জানি না আমার সাথে কি হচ্ছে, কিন্তু আমি কাউকে আমাকে কন্ট্রোল করতে দিবো না।(জ্যাক)



জ্যাকের মাইন্ড পাওয়ার অনেকটা শক্তিশালী হওয়ায় সে এতো কিছুর পরও ঠিক আছে। অন্য কারো সাথে এরকম কিছু হলে তারা কত পূর্বে ভেঙে পরতো। তাদের সউল কত পূর্বেই হারিয়ে যেতো। কিন্তু জ্যাকের সাথে সেটা হচ্ছে না। যাইহোক বিবরন একটু কমিয়ে দি, গল্পে ফেরা যাক।


জ্যাক তার ভিরুদাকে নিয়ে তার সোর্ড স্কিল ব্যবহার করলো। স্কিল গুলোর নামও অনেক অসাধারন লাগে তার কাছে। তাই স্কিল গুলো ব্যবহারের সময় জোরে জোরে বলতে পছন্দ করতো পূর্বে, এখনো সেরকম হলো। তার সোর্ড স্কিলের মধ্যে মোট বারোটা মুভ রয়েছে। যেটার প্রত্যেকটার নাম সে নতুন করে দিয়েছে। ড্যান্স অফ সোর্ড ভার্সন ওয়ান, ড্যান্স অফ সোর্ড ভার্সন টু এভাবে মোট টুয়েলভথ পর্যন্ত প্রতিটার মুভ সে ঠিক করেছে। আরো অনেক গুলো স্কিল শিখেছিলো জ্যাকের মাস্টার বা পূর্ব সময়ের ডেভিল কিং এর বিশ্বস্ত জেনারেল। তবে জ্যাক এই বারোটাকেই প্রাধান্য দেই বেশী। 



-->>ড্যান্স অফ সোর্ড ভার্সন ওয়ান।(জ্যাক)




জ্যাক তার প্রথম সোর্ড স্কিল ব্যবহার করলো। জিতু এই পর্যন্ত জ্যাককে মাত্র তিনটা সোর্ড স্কিলই ব্যবহার করতে দেখেছে পূর্বের এক মাসের মধ্যে। তাই তার কাছে এটা নতুন কিছু ছিলো না। জ্যাক তার জায়গায় না দাঁড়িয়ে সে ওল্ফের অনেকটা কাছে চলে এসেছিলো। এবং সেই সময়ে তার প্রথম সোর্ড স্কিল ব্যবহার করলো। "কুইক ড্র" একটা সোর্ড স্কিল, যেটা সকল সোর্ডসম্যানই তাদের জীবনে প্রথমে শিখে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে এটাকে কখনো ব্যবহার করে না। কারন এটা তেমন ভালো কোনো সোর্ড স্কিল নয়। কিন্তু জ্যাকের মাস্টারের থেকে শেখা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা স্কিল ছিলো এটা। বিশেষ করে যখন নিজের শত্রুর মনোযোগ অন্যদিকে থাকে তখন সাধারন একটা এট্যাকও ডাবল ড্যামেজ দিয়ে থাকে। জ্যাকের এখনো মনে আছে লুসিফারের কথা গুলো,



-->>কুইক ড্র, এটা এমন একটা টেকনিক যেটা মাস্টার সোর্ডসম্যানই শুধু ব্যবহার করে। আমার মাস্টার আমাকে বলেছিলো, "তোমার সোর্ড তখনি সবচেয়ে শক্তিশালী, যখন সেটা মাত্র তার খাপ থেকে বের হলো।" (লুসিফার বলেছিলো এটা)



জ্যাক কথাটা মনে করলো এবং তার সোর্ড স্কিল ব্যবহার করলো। নামটা তার কাছে ভালো লাগতো, তবে সে আপগ্রেড করে নিজের মতো নাম দিয়েছে সে। যাইহোক আসল কথায় ফিরি আবারো। জ্যাক তার স্কিলটা ব্যবহার করলো। ফায়ার ড্রাগন সোর্ড যেটা কাটানা না হলেও সেটার মতোই। আবার এটাকে একটা গ্রেটসোর্ডও বলা যায় না। তবে একটা খাপ থাকলে সাথে, ছোট ড্যাগার দিয়েও এই স্কিল ব্যবহার করা যায়। জ্যাক তার স্কিল ব্যবহার করলো এবং ওল্ফের ভাইটাল স্পট যেটা তার গলা ছিলো, সেখানে আঘাত করলো। জিতুর সাথে ট্রেনিং এর ফলে কিছুটা এনার্জি সে বোধ করতে পেরেছিলো, কিন্তু সেটা তার টেকনিক এর জন্য যথেষ্ট ছিলো না। তাই তো তার স্কিলটা ক্রিটিক্যাল ছিলো না।


ওল্ফ জ্যাকের থেকে আঘাত খাওয়ার পর সেটার দিকে কোনো রিয়াকশন দিলো না। এমন মনে হলো সে কোনো আঘাতই পায় নি। কিন্তু জ্যাক সিওর যে এই আঘাত দশ পার্সেন্টেজের মতো এটার লাইফ চলে গিয়েছে। কারন ব্লিডিং হচ্ছিলো ওল্ফের শরীর থেকে। বোঝা যাচ্ছি আরেকটা আঘাত খেলেই সেটা মারা যাবে। জ্যাক তার সোর্ড দিয়ে আবারো একটা স্কিল ব্যবহার করতে যাবে কিন্তু হঠাৎ তার হাত ভারি হয়ে উঠলো।



-->>আবারো এই জিনিসটা।(জ্যাক)



জ্যাক রেগে গেলো। সে জানে তার স্ট্যামেনা তাকে আর একটা স্কিল ব্যবহার করতে দিবে তাই। এই সুযোগে ওল্ফ তার ধারালো হাতের নক দিয়ে জ্যাকের বুক বরাবর একটা এট্যাক করলো। যেটা তেমন ভয়ানক না হলেও ওল্ফের এট্যাক পাওয়ার তিনগুন বৃদ্ধি হওয়ায় জ্যাক অনেক গুরুতর আহত হলো। তবে স্নেক আর্মারের ফলে এবার সে মারা যায় না। হয়তো ওল্ফের এট্যাকটা সাধারন ছিলো এজন্য জ্যাক আরেকটা সুযোগ পেলো।



-->>গড হ্যান্ড।(জ্যাক)



জ্যাকের শরীর না নরলেও সে তার মুখ ব্যবহার করতে পারছিলো। পূর্বের মতো তার মনের ভাবনায় স্কিলগুলো কাজ না করলেও মুখ দিয়ে বলার সাথে সাথে সেটা কাজ করছে। জ্যাকের পিঠ থেকে একটা হাত বের হলো, যেটা তার নিজের দুটো হাতের মতোই সে কন্ট্রোল করতে পারছে। এটা জ্যাকের কাছে অনেক পরিচিত একটা ফিলিংস ছিলো, তাই তাকে ভাবতে হয় নি কিভাবে সেটা ব্যবহার করতে হবে।


ফিল্ড বস ওল্ফ তার বারসার্ক মুডে আসার পর তার সাইজ অনুযায়ী অনেকটা বড় হয়েছে। তার শরীরের আশে পাশে লাল রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছে। ওল্ফটা জ্যাকের উপরে একবার আক্রমন করেছে, তবে সেটা গুরুতর ছিলো না। কিন্তু এখন তার বারসার্ক মুড সম্পূর্ন হয়েছে, তাই সে পুরো কনফিডেন্সে জ্যাকের মাথা চিবিয়ে খাওয়ার জন্য দৌড়িয়ে আসতে লাগলো। আর তখনি জ্যাক তার গড হ্যান্ড ব্যবহার করেছে। গড হ্যান্ডের ফলে একটা সাদা হাত জ্যাকের পিঠ থেকে বের হলো এবং সেটা রাবারের মতো বড় হতে লাগলো। ওল্ফটা জ্যাকের উপরে হামলা করবে তখনি গড হ্যান্ডের হাতকে মুঠো করে জ্যাক ওল্ফকে একটা ঘুষি দিলো। ওল্ফের ডিফেন্স কম হওয়া ফলে সেটা কিছুটা দূরে গিয়ে পরলো এবং শেষ মুহুর্তে পৌছে গেলো। তবে বারসার্ক মুডের ফলে তার মৃত্যুর কোনো ভয় ছিলো না। তাই এই সময়ে জ্যাক তার রেইনবো বো বের করলো ব্যাগ থেকে আবারো তার গড হ্যান্ডের মাধ্যমে। বাম হাত দিয়ে রেইনবো বো টা ধরলো এবং ডান হাত দিয়ে আরেকটা তীর নিলো। তাক করলো সোজা ওল্ফের মাথা বরাবর। ওল্ফটা রাগে আবারো জ্যাকের উপরে হামলা করতে আসলো। জ্যাকের পাঁচ মিটার দূরে থেকেই সে একটা বিশাল লাফ দিলো। এবার জ্যাক তার গড হ্যান্ড ব্যবহার করলো না। বরং রেইবো বো এর তারটা টেনে সোজা ওল্ফের মাথা বরাবর একটা হেডশট দিলো। 


ক্লোজ রেন্জে হওয়ার ফলে এক শটে এবার মাথার এই পাশ থেকে ঔ পাশে বেরিয়ে গেলো তীরটা। ফিল্ড বস ওল্ফ মনস্টারের দেহটা মাটিতে পরে গেলো। জ্যাকও মাটিতে বসে পরলো। তার শরীর অনেকটা ক্লান্ত। শরীর নারানোর শক্তি তার কাছে নাই। গড হ্যান্ডও একা একা উধাও হয়ে গেলো।



-->>ওয়াও মাস্টার জ্যাক। আমি ভাবতেও পারি নি এতো সুন্দর একটা ফাইট দেখবো। তাহলে এটাই আপনি এক লক্ষ গোল্ড কয়েন দিয়ে কিনেছেন?(জিতু)



জিতু জ্যাকের গড হ্যান্ডের কথা বলছিলো। পূর্বে সে বুঝতে পারে নি জ্যাক একটা হাত কেনো কিনবে এক লক্ষ গোল্ড কয়েন দিয়ে। কিন্তু এখন সে বুঝতে পারলো এই হাতের কার্যকারিতা। 



-->>আমার ঔটুকু ভালো লেগেছে, যখন আপনি হাতটা দিয়ে বসকে দূরে পাঠিয়ে ধনুক রেডি করেছেন। আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম মনস্টারটা আপনাকে গুরুতর আহত করবে। পূর্বের এক্সট্রিম ফিস্টে আমার সকল এনার্জি শেষ হওয়ার ফলে আমি তো আমার শরীর নারাতেই পারছিলাম না।(জিতু)



জ্যাক উপরের দিকে তাকিয়ে আছে। সে এই ফাইটের মাধ্যমে অনেক কিছু বুঝতে পারলো। জীবনে কখনো এরকম অনুভব সে করে নি। তার ক্লান্ত শরীর, আঘাত পাওয়া শরীর এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। শুধু সে নয়, তার সাথে জিতুও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়েছে আবার। তাদের শরীর দেখলে মনেই হবে না তারা ফাইট করেছ। যদিও জামা কাপড়ের চিহ্নটা অন্যরকম।



<প্লেয়ার জ্যাক এবং প্লেয়ার জিতু। আপনারা প্রথম ফ্লোরের ফিল্ড বস হত্যা করেছেন।>



<কনগ্রাজুলেশন প্লেয়ার জ্যাক, আপনি এক হাজার এক্সপি পয়েন্ট এবং এক হাজার গোল্ড কয়েন পেয়েছেন।>



<প্লেয়ার লেভেল আপ>



<প্রতি লেভেল আপের ফলে প্রতিটা প্লেয়ারের শরীর স্বাভাবিক হয়ে যাবে।>




জ্যাক তার মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকালো। মোবাইলটা এমন একটা জিনিস যেটা সব সময়ই প্রয়োজন। কারন যেকোনো সময় যেকোনো তথ্য আসতে পারে জি এম এর থেকে। আর সেটা জানার জন্য প্রতিটা সময়ই সেটা চেক করে সব প্লেয়ার। ফাইটের সময়ও কিছুটা সময় বের করে দেখলে সেই ফাইটে কিছুটা করার সুযোগ থাকে।



-->>মাস্টার জ্যাক, আমার মনে হচ্ছে আমার শক্তি আবার ফিরে এসেছে।(জিতু)



জিতু অবাক এবং কৌতুহলের সাথে জ্যাককে কথাটা বললো।



-->>হ্যা। মনে হচ্ছে লেভেল আপের ফল এটা।(জ্যাক)



-->>এতো কষ্ট তাহলে ফল দিয়েছে।(কাঁদা কাঁদা ভাব করে জিতু)



জ্যাক হঠাৎ জিতুর দিকে তাকিয়ে আবারো তার মোবাইলের দিকে তাকালো,



"হ্যা সব কষ্ট তো তুমি করেছো।" (জ্যাক ভাবছে)



জ্যাক গভীর চিন্তায় চলে গেলো আবারো। জি এম এর মতে মনস্টার হত্যা করার ফলে সবাই এক্সপি পয়েন্ট পাবে এবং সেটা দ্বারা নিজেদের লেভেল বৃদ্ধি করতে পারবে। লেভেল বৃদ্ধির সাথে একজনের পাওয়ারও বৃদ্ধি পাবে। জ্যাক শূন্য লেভেলে ছিলো। এই ওল্ফটাকে হত্যার মাধ্যমে সে এক লেভেলে পা দিতে পেরেছে। সে এক লেভেলে পা দেওয়ার পর এখন পার্থক্য বুঝতে পারছে। পূর্বে সে অনেক দুর্বল ছিলো। বলতে গেলে জিতুর থেকেও অনেকটা দুর্বল ছিলো।



"আমি স্লাইমদের হত্যা করেছিলাম অনেক সহজেই। কিন্তু ওল্ফটার সামনে যখন দাড়িয়ে ছিলাম, তখন আমার পা চলতে চাচ্ছিলো না।" (জ্যাক ভাবছে)



জ্যাক পূর্বের মনস্টার ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে জানে। তাই বিস্টদের ব্যাপারে অনেক কিছুই সে জানে। বিস্টম্যান এমন এক স্পিসিজ যাদের একটা স্পেশাল ক্ষমতা থাকে। যেটাকে ফেয়ার ইফেক্ট বলা হয়। যদি কোনো শক্তিশালী বিস্টের সামনে দুর্বল কোনো স্পিসিজ চলে আসে তাহলে দুর্বল স্পিসিজের মধ্যে এমনিতেই ভয় কাজ করবে। আর এই ভয়ের ইফেক্ট তাদেরকে আরো দুর্বল, আরো স্লো এবং প্যারালাইসিস করে দিবে। জ্যাক এবং জিতুর সাথেও সেটা হয়েছিলো। তবে তারা দুজনেই কোনো রকমে বিস্টটাকে হত্যা করতে পেরেছে।



-->>মাস্টার জ্যাক আমরা তো এক লেভেলে পৌছে গেছি, তাহলে কি সেকেন্ড ফ্লোরে যেতে পারবো না এখন?(জিতু)



-->>না। শর্ত অনুযায়ী, আমাদের এই ফ্লোর থেকে এক লেভেল এবং এক হাজার মনস্টার হত্যা করতে হবে।(জ্যাক)



-->>তাহলে কি আমরা হান্ট করবো?(জিতু)



-->>হ্যা লেভেল আপের ফলে আমাদের শরীর ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই এই সুযোগে আমরা আমাদের অবজেক্টিভ শেষ করে ফেলি।(জ্যাক)



-->>তাহলে কি সরাসরি সেকেন্ড ফ্লোরে যাবো আমরা?(জিতু)



-->>না এক হাজার মনস্টার হান্ট করার পরে আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিতে ফিরে যাবো।(জ্যাক)



জ্যাকের উত্তরে জিতু তাকিয়ে রইলো। সে একটু পূর্বে ভয় পেলেও এখন জ্যাকের সাথ থাকতে অনেকটা উত্তেজিত। কারন সে অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে। সে ফাইট করে নি, না করেই বুঝতে পারছে এক লেভেলে উঠার পর তার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ভাবছিলো সেকেন্ড ফ্লোরে গিয়ে আরো কিছু শক্তিশালী মনস্টার হান্ট করে শক্তিশালী হবে। কিন্তু জ্যাক যেহেতু যাবে না তাই সে কিছুটা হতাশ হলো।



-->>তাহলে কি আমরা সকল তথ্য সংগ্রহ করবো প্রথমে পরের ফ্লোরে যাওয়ার পূর্বে?(জিতু)



-->>হ্যা। তবে আরো একটা কারন আছে। আমি এই ফিল্ড বসকে আবারো চ্যালেন্জ করতে চাই। কিন্তু এরপর একা।(জ্যাক)



জ্যাক তার মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে কথাটা বললো। জি এম থেকে আরেকটা মেসেজ এসেছে।




<ফিল্ড বস ওল্ফ মনস্টার সাতদিন পর আবারো জন্ম নিবে প্রথম ফ্লোরে।>




জ্যাক মোটেও সন্তুষ্ট নয় এই রেসাল্টের জন্য। সে যতদূর জানে সবচেয়ে ক্রিটিকাল ড্যামেজ গুলো সেই দিয়েছে কিন্তু জিতু না থাকলে সে কখনোই হারাতে পারতো না ওল্ফকে। তাই পরবর্তীতে সে একা এটাকে হারাতে চাই। তাই তো সে এই কয়েকদিন যত সম্ভব ইনফরমেশন সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কারন এর পরে সে আর আন্ডারগ্রাউন্ড শহরে ফিরে আসবে না।




* * * 


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

5 comments

  1. 🖤🖤🖤🖤🖤
  2. Awesome bro..❤️❤️
  3. Besh Boro korei dico thank you bro🥰🥰.
    Carry on,,onek sundor hoiche ajker part ta...😊😊
  4. nice
  5. Supar
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.