[গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]
#Demon_King#
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
পর্বঃ৫২
।
।
।
(ডিমনিক ফরেস্ট)
ডেভিল কেমোরাস তিনজন এস র্যাংক হান্টারের সামনে পরেছে। হান্টার তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। তিনজনের মধ্যে দুজন কোনো সমস্যা ছিলো না, তবে আসল সমস্যা মাক্স পরা ছেলেটার। সাধারন কেউ হলে সে এদের তিনজনকে মেরে ফেলতে পারবে এক সেকেন্ডের মধ্যেই। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা সেরকম না। হলুদ চুল এবং সেই সাথে পরিচিত সেই কন্ঠ। কেমোরাস ভুল শুনে নি বা দেখে নি। যদিও এটা শুধু সাধারন একটা মিল হতে পারে, তারপরও সেই পরিচিত কাটানা যেটার খাপ পর্যন্ত মরিচা পরা।
"আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে।" (কেমোরাস)
কেমোরাস সিওর হলো যে তার সামনে ব্যক্তিটা আর কেউ না বরং প্রথম ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইড লুসিফার। সাত ডিম্যান প্রিন্সের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ডিম্যান প্রিন্স লুসিফার, তাই তার সামনে থাকা মানা সয়ং মৃত্যুকে কাছে টেনে নেওয়া। কেমোরাস অন্য কোনো কিছু না ভেবে নিজের স্কিল ব্যবহার করলো। ব্লাক মিস্ট, কেমোরাসের একটা স্কিল যেটা তার এনার্জি দিয়ে অনেকটা রেডিয়াস জায়গা নিয়ে কালো ধোঁয়ার তৈরী করে। এই কালো ধোঁয়ার মধ্যে কোনো কিছুই দেখা সম্ভব নয়। তাছাড়াও এই ধোঁয়াটা অনেক বিষাক্ত হওয়ায় নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলেই মৃত্যু হবে যেকোনো ব্যক্তির। তবে এখানে ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইড রয়েছে, যার উপরে কোনো ম্যাজিক বা এনার্জি কাজ করে না। তার উপরে বিষাক্ত ধোঁয়া কাজ না করলেও এই সুযোগে কেমোরাস পালিয়ে যেতে পারবে।
ব্লাক মিস্ট এমন একটা স্কিল যেটার ফলে কেমোরাসের প্রায় সব এনার্জি শেষ হয়ে যায়। তাই এটা কখনো সে ব্যবহার করে না। ব্যবহার করলেও এক কিলোমিটারের মতো জায়গায় এই কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পরে। এই কালো ধোঁয়া এতো বিষাক্ত যে যেখানে থাকবে সেখানে দশ বছরের মধ্যে কোনো কিছু জন্ম নিবে না। লুসিফারের উপরে কোনো ম্যাজিক বা এনার্জি কাজ করে না তারপরও সে কালো ধোয়ার মধ্যে কিছু দেখতে পারবে না, তাই এই সুযোগে কেমোরাস এই জায়গা থেকে পালিয়ে গেলো। সে পোর্টালের দিকে যেতে চাচ্ছিলো, কিন্তু লক্ষ একটা শব্দ শুনতে পেলো সে। খুব পরিচিত একটা শব্দ ছিলো সেটা। ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইডের একটা মুভ যেটা সকল শত্রুই ভয় করে। কুইক ড্র, এটা এমন একটা মুভ যেটা স্পেসকেও কেটে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
"আমার মনে হয় না আমি বেঁচে ফিরতে পারবো।" (কেমোরাস ভাবছে)
কেমোরাস বুঝতে পারছিলো তার শরীরের কোনো অংশ কেটে পরে গিয়েছে, ভালো ভাবে নজর দেওয়া পরে দেখতে পারলো ডান হাত দিয়ে রক্ত পরছে। লুসিফার কিছু দেখতে পারছিলো না বলে নিজের মন মতো তার কুইক ড্র ব্যবহার করেছে। যেটা কেমোরাসের জন্য মারাত্মক ছিলো না। কেমোরাস তার হাতকে উঠিয়ে নিলো, সে বুঝতে পারলো আরেকটা কুইক ড্র হলে তার গলা থাকবে না। তাই সে উল্টো রাস্তায় দৌড় দিলো।
কেমোরাসের তৈরী বিষাক্ত ধোঁয়া ডিমনিক বিস্টদেরও মেরে ফেলতেছে। তাই যত ডিমনিক বিস্ট এটাকে দেখছে তারা দ্রুত জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যাচ্ছে। কেমোরাসও তৃতীয় জোনের দিকে দৌড়াচ্ছে। অনেকটা দূর দৌড়ে আসার পর সে কিছু ডিমনিক বিস্ট দেখতে পারছিলো, যাদের এনার্জি সে তার এনার্জি ড্রেইন স্কিলের মাধ্যমে এবজোর্ব করে নিচ্ছিলো। এতে করে তার এনার্জি পূর্ন হলে টেলিপোর্টেশন স্টোন ব্যবহার করে সে পোর্টালে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু তার ভাগ্য তেমন ভালো ছিলো না।
কিছু মানুষদের দেখে সে তাদের হত্যা করার জন্য দাড়িয়ে যায়, আর তখনি পিছন থেকে ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইড লুসিফার তার কুইক ড্র ব্যবহার করে। লুসিফার আস্তে আস্তে হেটে কেমোরাসের হাজার টুকরো হয়ে কেটে যাওয়া শরীরের কাছে এসে বলতে শুরু করে,
-->>কতদিন হলো যে কাউকে হত্যার জন্য দুইবার আমার সোর্ড বের করতে হয়েছে।(লুসিফার)
লুসিফারের মুখে কিছুটা হাসি ফুটে উঠলো। যদিও তার মাক্সের কারনে সেটা দেখা যাচ্ছিলো না। কিন্তু একটা জিনিস ঠিকই বোঝা যাচ্ছিলো, সে কিছুটা খুশি হয়েছে। সে হেঁটে তার জায়গা মতো দাড়িয়ে আছে এবং দূর থেকে একজন ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে।
* * * *
ক্যাপিটালের দুজন এস র্যাংক হান্টার, যার একজন মহিলা এবং অপরজন পুরুষ। দুজনকে দেখলেই মনে হবে তারা দম্পতি। দুজনে দুই টিমের ছেলে মেয়েদের খোজ খবর নিচ্ছে।
-->>আমরা খুবই দুঃখিত, কিন্তু এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মিশন ছিলো। আমাদের কাছে নোটিশ এসেছিলো, যে পঞ্চম জোনের মধ্যে ডিমনিক হাইব্রিড গুলো অনেক হিংস্র হয়ে যাচ্ছিলো, তাই তাদের চেক করার জন্য এবং হান্ট করার জন্য আমরা এখানে এসেছি। কিন্তু সব কিছুর সোর্চ যে একটা মানুষ হবে সেটা কল্পনাও করতে পারি নি। এ পর্যন্ত অনেক মানুষই ডিমনিক এনার্জির সংস্পর্শে এসে মনস্টারে পরিনত হয়েছে কিন্তু আমাদের দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী ডিমনিক মনস্টার ছিলো এটা।(পুরুষ হান্টার)
সবাই হান্টারের বিশ্লেষন শুনে বুঝতে পারলো এখানে কি হয়েছে। ডিমনিক এনার্জি অনেক ভয়ানক, এটা শুধু সাধারন বিস্টকেই ডিমনিক বিস্ট তৈরী করে না, বরং অনেক মানুষকেও ডিমনিক মনস্টারে পরিনত করে। সবাই তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো দুই হান্টারের কাছে। কিন্তু লুসিফারের কাছে যাওয়ার সাহস কেউ পাচ্ছে না। সবাই ভালো করে খেয়াল না করলেও বুঝতে পেরেছে একজন এস র্যাংক হান্টারের শক্তি কতটা হতে পারে। আর লুসিফার কতটা শক্তিশালী তা তো বাকি দুই হান্টারের চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দুজনের চোখেই ভয়ের ছাপ দেখা যাচ্ছিলো। ভয়টা কোনো মনস্টার বা ডিমনিক বিস্টের জন্য ছিলো না, বরং পিছনে দাড়িয়ে থাকা মাক্স পড়া একটা ছেলের জন্য।
"আমি আশাও করি নি এরকম একজন হান্টার আমাদের কিংডম এ থাকবে।" (পুরুষ হান্টার ভাবছে)
"আমরা তো একটু পূর্বেই নিচু করে দেখছিলাম ছেলেটাকে। কিন্তু এটাতো কখনোই এস র্যাংক হান্টারের শক্তি হতে পারে না।" (মহিলা হান্টার ভাবছে)
"এটা একটা মনস্টার হান্টার, যার লেভেল হয়তো ট্রিপল এস হর বেশী হবে। কিন্তু সাধারনত তারা তো টাওয়ারের মধ্যে থাকে। না, আমাদের মিশন শেষ তাই যত তারাতারি সম্ভব এই মনস্টারের থেকে দূরে থাকতে হবে।" (দুজন একসাথেই ভাবছে)
দুজন হান্টার একাডেমির ছেলে মেয়েদের সুরক্ষতা নিশ্চিত করে নিলো, এবং তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। লুসিফারও তাদের পিছন পিছন চলে গেলো। তাদের তিন জনের যাওয়ার পরই দুই টিমের মধ্যে কথা বার্তা শুরু করলো। সবাই নিজেদের জায়গায় অবাক হয়ে রইলো। এতোটা ভয় পেয়েছিলো তারা যে এখনো নারাচারা দেওয়ার শক্তি তারা পাচ্ছে না। এতোটা ভয় তারা ডিমনিক বিস্ট দেখেও পায় নি, এমনকি সেই মনস্টার ওয়ালা মানুষটাকে দেখেও ভয় পায় নি বরং সবাই সেই হান্টারের শক্তি দেখে ভয়ে আছে। জীবনে কেউই এতোটা স্মুথ এট্যাক দেখে নি। যেখানে একটা সোর্ড দিয়েই হাজার টুকরো করার কথা কেউ কখনো শুনে নি।
* * * * *
রাতের সময়ে,
দুই টিম কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। দুই টিমের সবার মনে এখনো ভয় রয়েছে তবে সেই ভয়ের অধিকাংশ অংশই এখন উত্তেজনায় রুপান্তর হয়েছে। সবাই হান্টারটাকে নিজেদের আইডল হিসাবে ভাবতে শুরু করেছে। ক্যাম্পফায়ার তৈরী করা হয়েছে যার চারপাশে দুই টিমের সবাই বসে আছে এক সাথে। অনেক ভয়ানক একটা দিন গিয়েছে তাদের জন্য, তাই দুই টিমের মধ্যের সেরা কুক রান্না করেছে। রান্নার শেষে সবাই একত্রে খাওয়া দাওয়া শেষ করলো এবং নিজেদের তাবুতে প্রবেশ করলো।
ক্যাম্পের পাশে একটা গাছের ডালের উপরে এলেক্স বসে আছে। বাকি সবাই আজকে অনেক এনার্জি ব্যবহার করেছে তাই তাদের শরীর অনেক ক্লান্ত। তাই সবাই ঘুমাচ্ছে। ক্লান্ত শরীরে বাইরে কি হচ্ছে সেটা দেখার কারো আগ্রহ নাই। এলেক্স গাছের ডালের উপরে বসে মনোরম দৃশ্য দেখছে। ক্যাম্প তৈরী হয়েছে একদম মাঝখানে, যেখানে লুসিফার ডেভিলটাকে হত্যা করেছে। ক্যাম্পের চারিদিকের গাছপালা কেটে যাওয়ার ফলে সেখানে চাঁদের আলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আর এলেক্স সেই কাটা গাছগুলোর এক পাশের বড় একটা গাছের ডালে বসে সেই পরিবেশ উপভোগ করছে।
-->>লুকিয়ে থেকে কি লাভ?(এলেক্স)
এলেক্স অনেকক্ষন যাবৎ বসে ছিলো ডালের উপরে। পিছনের দিকে অন্ধকার কারন সেদিকে ঘন গাছপালা রয়েছে কিন্তু সামনের গুলো কেটে যাওয়ায় সেখানে ক্লিয়ার আলো পড়ছে। এলেক্সের ইনফো স্কিল একটিভ ছিলো, ইনকেস যদি কোনো ডিমনিক বিস্ট পিছন থেকে আসে তাহলে এলেক্স বুঝতে পারতো। তবে এলেক্স অনেকক্ষন খেয়াল করেছে একজন ??? লেভেল এর কেউ তার পিছনেই তাকে ফলো করছিলো। যেহেতু পূর্বে দুজন ছিলো তাই এলেক্স বুঝতে পারলো সেই দুজনের কেউ না, বরং এটা নতুন কেউ।
-->>আমি আশা করি নি, বিলজবাবা এর হোস্টকে এভাবে দেখতে পারবো।
পিছন থেকে লাফ দিয়ে লুসিফার এলেক্সের বসা ডালের উপরে বসলো। এলেক্স বাম পাশে ছিলো এবং লুসিফার এলেক্সের ডান পাশে বসে পরলো। এলেক্স যদিও তেমন কিছু জানে না, কিন্তু ঔ ডেভিলটার শেষ কথায় সে বুঝতে পেরেছে যে তার পাশের ছেলেটা প্রথম ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইড। সাত ডিম্যান প্রিন্সের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ডিম্যান প্রিন্স লুসিফার। যদিও তার এ বিষয়ে কোনো জ্ঞান ছিলো না, তবে লিচ্ দ্যা আনডেড এর কিছু স্মৃতির ফলে এলেক্স এর পরিচয় জানতে পেরেছে।
-->>আমার মনে হয় তুমি আমাকে চিনতে পেরোছো।(লুসিফার)
লুসিফারের কথা শুনে এলেক্স তার মনের চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে গেলো। লুসিফার তাকে বিলজবাব এর হোস্ট বলেছে এটা নিয়ে এলেক্স চিন্তায় আছে। যদি সে বিলজবাবের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে, তারপরও এলেক্স বিলজবাবের হোস্ট নয়, বরং সে জিডুরীর হোস্ট।
-->>ওয়েল আমাকে তুমি যা ভাবতেছো আমি মোটেও সে নই। ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইড লুসিফার অনেক পূর্বেই মারা গিয়েছে। আমি লুসিফার দ্যা থ্রি। আসল লুসিফার দ্যা প্রাইড প্রিন্স আমার দাদা ছিলো।(লুসিফার)
এলেক্সের মাথায় ঢুকছে না কি বলছে লুসিফার। যাকে সে কখনো চিনেও না সে তার পরিচয় দিচ্ছে কোনো চিন্তা ছাড়ায়। তারপরও আবার বাপ দাদার পরিচয়ও বাদ দিচ্ছে না। এলেক্স কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না।
-->>আমি জানি তুমি বিলজবাব নও, তার হোস্ট মাত্র। তবে তোমার প্রশ্ন থাকতে পারে আমি তোমাকে এসব কথা বলছি কেনো?(লুসিফার)
লুসিফার অনেক উত্তেজনা নিয়ে কথাটা বললো। তাকে দেখে এমন মনে হচ্ছিলো যে সে কয়েক শত বছর কারো সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে পারে নি এবং হঠাৎ কথা বলার সুযোগ পেয়ে সব কথা একসাথে বলছে।
-->>আসলে আমার সব সময়ের দেখার ইচ্ছা ছিলো যে ডিম্যান প্রিন্স অফ প্রাইড শক্তিশালী নাকি ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্লাটোনি। যদিও সবাই বলে যে আমার দাদা তার সময়ে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রিন্স ছিলো। কিন্তু আমি এক্সপিরিয়েন্স করা ছাড়া এটা সঠিক বলতে পারছি না। তাইতো আমি সব ডিম্যান প্রিন্সের সাথেই ফাইট করতে ইচ্ছুক। কিন্তু......
-->>কিন্তু অধিকাংশ ডিম্যান প্রিন্সই রেইনকার্নেট হতে পারে নি। তাইতো।(এলেক্স)
এলেক্স লুসিফারের কথা ধরতে পারলো এবং সাথে সাথে বলতে লাগলো। সে যতদূর জানে যে দুটো টাওয়ারের ডিম্যান প্রিন্স এখনো রেইনকার্নেট হয় নি। বিশেষ করে তার পৃথিবীর টাওয়ার অফ স্লোথ এবং এখানের টাওয়ার অফ গ্লাটোনি এখানের দুজন ডিম্যান প্রিন্স এখনো রেইনকার্নেট হয় নি। এলেক্স বোকা কোনো ব্যক্তি নয়। তার মাথা সবার আগেই চলে। জিডুরীর মধ্যে সিল থাকার কারনে সে অনেক কিছুই জানে না। তারপরও এলিনের সাহায্যে শুধু এটুকু জেনেছে যে বিলজবাবের মোট পাঁচটা চাবি রয়েছে। আর সেগুলো একত্র করলে কি হবে সেটা এলেক্স অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে।
"পাঁচটা চাবি একত্র হলে ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্লাটোনি পাঁচ চাবির হোস্টের একজনের শরীর দখল করে নিবে।" (এলেক্স ভাবছে)
তবে লুসিফার এটা ভাবছিলো না। এলেক্স লুসিফারকে অনেকটা বুদ্ধিবান ভেবেছিলো। বিশেষ করে তার কথা বার্তার স্টাইল দেখে। কিন্তু লুসিফার বলতে শুরু করলো।
-->>না আসলে সমস্যা হলো সাত ডিম্যান প্রিন্সের টাওয়ার এক্সব্লকের বাইরে সাতটা ভিন্ন ওয়ার্ল্ডে রয়েছে। তাই কোনটা কোথায় আছে এটা জানা কষ্টকর।(লুসিফার)
-->>ও তাহলে কি এখানে এসেছেন বিলজবাব এর সাথে ফাইট করার জন্য? আমি সাধারন একটা হোস্ট ছাড়া তো কিছুই না।(এলেক্স)
-->>হ্যা সেটা তো দেখতে পারছি তোমার এই লেভেলে তো আমি একটা চিকন কাঠি দিয়ে লড়লেও তুমি এক সেকেন্ডে মারা যাবে। সমস্যা নেই আমি এখানে তোমার জন্য আসি নি বরং সয়ং বিলজবাবের জন্যই আমি এসেছি। তাই তার রেইনকার্নেট হওয়া পর্যন্ত আমাকে এখানেই অপেক্ষা করতে হবে। আর যেহেতু শুধুমাত্র তোমার মধ্য থেকে আমি বিলজবাব এর এনার্জি অনুভব করতে পারছি তাই আপাতোতো তোমার কাছে থাকায় আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবো মনে হয়। তাই বিলজবাব রেইনকার্নেট হওয়া পর্যন্ত তোমার পাশেই পাবে আমাকে।(লুসিফার)
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।