[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:২৭
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি)
এক সপ্তাহের মতো সময় হয়েছে নতুন সবাই আন্ডারগ্রাউন্ড সিটির মধ্যে প্রবেশ করেছে। নতুন জনসংখ্যার সংখ্যা মোট পাঁচ হাজার। তাছাড়াও পূর্বেও দুই তিন হাজারের বেশী জনসংখ্যা আন্ডারগ্রাউন্ড সিটির মধ্যে ছিলো। এই জায়গাটা টাওয়ার প্রথম উধয় হওয়ার পর থেকেই তৈরী হয়েছে, যার মধ্যে অনেকেই আছে যারা প্রথম বছরে টাওয়ারে প্রবেশ করেছিলো। প্রতি বছরে ছাব্বিশটা এরিয়া থেকে নতুন নতুন প্লেয়ার টাওয়ারের রিচুয়ালে অংশ নিয়ে টাওয়ারে প্রবেশের চেষ্টা করে। দ্বিতীয় টেস্টের কোনো সময় সীমা নেই। কেউ চাইলে এখানে দশ থেকে পনেরো বছর সময়ও অতিবাহিত করতে পারবে। কিন্তু তাদের একটা অবজেক্টিভ রয়েছে। দশ লেভেল এবং দশম ফ্লোরে পা দিলেই তারা এই রিচুয়াল থেকে টাওয়ারে প্রবেশ করতে পারবে। পুরানো প্লেয়ার এক-দুই বছরে না পারলেও তাদের কাছে অনেক সময় রয়েছে এটা ভেবে যারা এই অবজেক্টিভ সম্পূর্ণ করতে পারে না তাদের অধিকাংশ টাওয়ারের মধ্যেই থেকে যায়। আবার যারা অবজেক্টিভ শেষ করতে পারে না, তাদের কিছু অংশ টাওয়ার থেকে বের হয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে যায়। তবে সে সময়ে তাদের টাওয়ার সম্পর্কে সকল স্মৃতি সম্পূর্ণ মুছে যাবে। আবার অনেকেই এই রিচুয়াল থেকে প্রাপ্ত স্পেশাল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে। এই স্পেশাল ক্ষমতা ইউজারদের এসোসিয়েশন এবিলিটি ইউজার বলে থাকে এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে তাদেরকে এসোসিয়েশন এর মধ্যে কাজে রাখে। আর এসোসিয়েশন যাদের গুরুত্ব মনে করে না বরং যারা এরিয়ার ব্যালেন্সকে নষ্ট করার চেষ্টা করে তাদেরকে হত্যা বা প্রিজনের মধ্যে বন্ধ করে রাখে।
এই সময়ের মধ্যে নতুন সকল প্লেয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত। এটা স্বাভাবিক, প্রতিটা ব্যক্তি নতুন জায়গায় গেলে সেটা সম্পর্কে ধারনা রাখবেই। তা নাহলে সহজেই সেখানে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এজন্যই দশটা ফ্লোর সম্পর্কে সবাই টুক টাক তথ্য বের করার চেষ্টা করছে। যতদূর পাবলিক জানতে পেরেছে,
এই আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি যদিও জি এম এর কন্ট্রোলে আছে, কিন্তু এখানে কিছু করতে হলে দুই পার্টির অনুমতি নিয়ে কাজ করতে হবে। পার্টি মূলত দুই বা ততোধিক লোকের সমন্বয়ে তৈরী একটা গ্রুপকে বলা হয়। এই দ্বিতীয় টেস্টে সারভাইভালের জন্য প্রতিটা ব্যক্তিকেই পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির পার্টি তৈরী করা উচিত। প্রতিটা ফ্লোরে একটা করে ফিল্ড বস, ফ্লোর বস এবং বেশ কিছু হিডেন বস রয়েছে। একটা ফ্লোরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল বস হলো ফিল্ড বস। যদিও প্রথম ফ্লোরে শুধু একটা ফিল্ড বস ছাড়া আর কোনো বস মনস্টার আজ পর্যন্ত কোনো প্লেয়ারই খুজে পাই নি। তবে সেটা বাদে প্রতি ফ্লোরের মধ্যে ফিল্ড বস, হিডেন বস এবং ফ্লোর বস রয়েছে। শুধু প্রথম ফ্লোরের মধ্যেই ফিল্ড বসকে হত্যা করলে পরবর্তী ফ্লোরে প্রবেশ করা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় থেকে দশ ফ্লোরে প্রবেশের জন্য অবশ্যই ফ্লোর বসকে হত্যা করতে হবে। ফিল্ড বস অনেকটা বোনাস বসের মতো।
এগুলো সাধারন তথ্য ছিলো, যেগুলোর জন্য কোনো কিছু করতে হয়নি কাউকে। তবে এর থেকে বেশী তথ্যের জন্য অবশ্যই পুরাতন প্লেয়ারদের পার্টিতে যুক্ত হতে হবে নাহলে পুরাতন প্লেয়ারদের কয়েন দিয়ে তাদের থেকে তথ্য কিনে নিতে হবে। এই সময়ে নতুন প্লেয়ারদের ম্যাক্সিমাম লোকই প্রথম ফ্লোরে প্রবেশ করেছে। তারা সবাই মনস্টারদের সাথে খাপ খাওয়াতে পেরেছে। কারন প্রথম ফ্লোরে মনস্টার তেমন শক্তিশালী না। শুধু স্লাইম মনস্টার হওয়ার ফলে তাদের হত্যা করতে কাউকে কোনো কষ্টও করতে হয় না। শুধু সমস্যা হচ্ছে মোট জনসংখ্যার সাপেক্ষে তেমন মনস্টার পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও প্রথম ফ্লোরে স্লাইমের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশী। কিন্তু তিন চার হাজার মানুষ যখন এক সাথে একটা ফ্লোরে প্রবেশ করে এবং একই মনস্টার হান্ট করতে থাকে তখন সবার ভাগ্যে একটা দুটো ছাড়া পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। আর এজন্য প্রথম ফ্লোর থেকে বের হওয়া অনেকটা সময় প্রয়োজন হয় নতুন প্লেয়ারদের জন্য।
জ্যাক এবং জিতু দুদিন হলো প্রবেশ করেছে আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিতে। এই সময়ে তারা দুজনেই বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে। কিন্তু সেটা সাধারন সংবাদের মধ্যেই। সকল পুরাতন প্লেয়ার যারা গোপন তথ্য বিক্রি করে তাদের একটায় শর্ত ছিলো, তথ্যের বিনিময়ে তাদের পার্টিতে ঢুকতে হবে। তার জন্য জ্যাক কোনো গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে নি।
-->>মাস্টার জ্যাক আমাদের কি গোপন তথ্যের একদম প্রয়োজন? যে তথ্য পেয়েছি তাতে তো দ্বিতীয় ফ্লোরে যেতে কোনো সমস্যা হবে না।(জিতু)
জ্যাক এবং জিতু নতুন একটা জায়গার মধ্যে যাচ্ছিলো। পথের মধ্যে জিতু কথাটা বলতে লাগলো।
-->>হ্যা, আমাদের সারভাইভাল এর জন্য সেটা প্রয়োজনীয় একটা বিষয় হবে।(জ্যাক)
আজ সকালে জ্যাকের কাছে একটা লেটার এসেছিলো। লেটারটা পরিচিত ছিলো, তাই তার চিনতে ভুল হয় নি। এরিয়েল নামের এসোসিয়েশন এর মেয়েটা চিঠিটা পাঠিয়েছে। জ্যাক জানে না সে কিভাবে চিঠি গুলো পাঠাচ্ছে, কিন্তু একটা বিষয় সে একদম ক্লিয়ার। মেয়েটাকে চিঠিটা পাঠাতে হলে সয়ং এখানে আসতে হয় না।
"হয়তো সেই কন্ট্রাক নামক জিনিসটার জন্য সে পারছে এটা।" (জ্যাক)
আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি বেশ বড় জায়গা নয়। তারপরও বলা যায় এরিয়া এক্সের সমান একটা জায়গা কিংবা তার থেকে কিছুটা বড়ও হতে পারে। এখানের বাড়ি গুলো পুরাতন স্টাইলে তৈরী হয়েছে। বাড়িগুলো দেখতে তেমন আহামরি না হলেও সেটার মধ্যে অসংখ্যা রুম রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটা প্রাইভেট ভিআইপি বাড়ি বাদে সব গুলোই এক রকমের। একটা বাড়িতে প্রায় পাঁচশত লোক থাকার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। বাইরে প্রথমে কেউই বিশ্বাস করে নি, তবে প্রতিটা বাড়ির মাটির নিচে রয়েছে অসংখ্য রুম। যার মধ্যে অনেক মানুষ খুব আরামেই থাকতে পারে। জায়গাটা আটকা হওয়ার ফলে এবং সুন্দর করে সাজানোর ফলে সবার কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়।
-->>মাস্টার জ্যাক আপনি হঠাৎ একজন লোকের সাথে দেখা করতে চাচ্ছেন, সে কি আমাদের সাহায্য করতে পারবে তথ্য দিয়ে?(জিতু)
-->>হ্যা।(জ্যাক)
জ্যাক কোনো কথা ডিটেইলসে বলে না জিতুকে। যেটার জন্য জিতু সব সময়ই আগ্রহে থাকে জ্যাকের মাথায় কি হচ্ছে সেটা জানার জন্য। কিন্তু কখনো সেটা হয়ে উঠে না। সে যদিও জানে তার সামনের লোকটা আকাশ চৌধুরী, যে জ্যাক নামটা ছদ্মনাম হিসাবে ব্যবহার করছে। তারপরও তার কাছে আকাশ চৌধুরী ছেলেটাকেও নতুন লাগছে। আকাশ চৌধুরী বয়সে তার থেকে ছোট হলেও মার্শাল আর্ট মাস্টার হওয়ার জন্য জিতু তাকে সিনিয়র বলে সম্মান দেই। জিতু প্রথমে বিশ্বাস করতে চাই নি, কিন্তু জ্যাকের সাথে ফাইটের পর তাদের লেভেলের পার্থক্য সে বুঝতে পেরেছে। তাই তো জ্যাকের মতো শক্তিশালী হওয়ার জন্য সে জ্যাককে ফলো করছে।
কিন্তু একটা বিষয় সে কোনো ভাবেই বুঝতে পারছে না। দুই মাস পূর্বেও আকাশ চৌধুরী খুব স্বাভাবিক একটা ব্যক্তি ছিলো। সে যে মার্শাল আর্ট জানতো, কিংবা ফাইট পারতো এটা কেউ বললে সবাই সেটাকে অসম্ভবই বলবে। কিন্তু হঠাৎ এক মাস পরে আকাশ চৌধুরী পুরো পাল্টে গিয়েছে। জিতু বেশ কয়েকবার আকাশ চৌধুরীর সাথে দেখা করেছে সেই সাথে বেশ কয়েকবার পূর্বে কথা বলাও হয়েছে। কম করে হলেও আকাশের পারশোনালিটি সে কিছুটা জানে। আকাশ চৌধুরী অনেক নম্র, ভদ্র, সুদর্শন এবং টাকা ব্যায় করার মতো একটা ছেলে ছিলো। যে সবার জন্যই বন্ধুত্বের হাত বারিয়ে দিতো। কিন্তু তার সামনের বর্তমান আকাশ চৌধুরী পুরো বিপরীত। মাঝে মাঝে সে নিজেও বিশ্বাস করতে পারে না যে জ্যাকই আকাশ চৌধুরী। সেটার কারন একটা অবশ্য রয়েছে।
"লা লিগার সেই দিন থেকে আমি এখনো মাস্টার জ্যাকের চেহারা দেখতে পারি নি।" (জিতু ভাবছে)
অন্যদিকে জ্যাক হেঁটেই চলেছে তার গন্তব্যের দিকে। তার পিছনে জিতু আসছে তাকে ফলো করে। জ্যাক সকালে এরিয়েলের থেকে একটা চিঠি পেয়েছে। সেখানে বেশী কিছু উল্লেখ ছিলো না। শুধু একটা জিনিস লেখা ছিলো সেটার মধ্যে,
"দক্ষিনের গেইটের কাছে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি আছে। একজন লোভী ব্যক্তি সে। লোভী হলেও কয়েন থাকলে তার কাছ থেকে সকল ধরনের তথ্য পাওয়া সম্ভব। কারন পৃথিবীর এই সময়ের পূর্বে নামকরা একজন রিপোর্টার ছিলো সে।" (চিঠিতে এটা লেখা ছিলো)
এরিয়েল মেয়েটা কি, বা কেনো করছে এটা জ্যাক জানে না। মেয়েটার কথার কোনো সেন্সও খুজে পায় না জ্যাক। কিন্তু এটা যে তার জন্য ভালো একটা সুযোগ ছিলো তাই সে এটা ছেড়ে দিলো না। দক্ষিনের গেইটের দিকে পা বারালো সে। এই গেইটটা উত্তরের গেইটের তুলনায় অনেক ছোট। অর্ধেক সাইজ বলা যায়। এটায় প্রবেশ করলে যে কোনো প্লেয়ারই এই টেস্ট রিচুয়াল থেকে তাদের পূর্ব এরিয়ার মধ্যে ফেরত যেতে পারবে। যদিও কেউ সেটা চাই না। টাওয়ার এমন একটা জায়গা, যেখানে সবার সকল স্বপ্ন পূর্ন হবে। এই জায়গাটাকে রেখে কেউ কখনো চাইবে না পূর্বের মারা যাওয়া প্লানেটে ফিরে যেতে।
জ্যাক এবং জিতু একটা ভাঙা বাসার কাছে এসে পৌছালো। সোজা লাইনের মধ্যে এটা সর্বশেষ বাড়ি ছিলো এবং এটার বিপরীতেই রয়েছে দক্ষিনের গেইট। লেটারে বেশী ডিটেইলস ছিলো না, তবে জ্যাক কিছুটা হিন্ট সেটা থেকে পেয়েছে।
"তাহলে আমাকে একজন বৃদ্ধ লোক খুজতে হবে।" (জ্যাক)
জায়গাটা পরিত্যক্ত নয়। প্রায় এক দুই হাজারের মতো নতুন প্লেয়ার এই শহর থেকে বের হয়নি। তাদের মধ্যে বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ লোকও রয়েছে। তবে অধিকাংশ লোকই বাচ্চা কিংবা নারী। একটা পার্টিতে অংশ নেওয়ার পরে সেই পার্টি না ভাঙা পর্যন্ত যদি একটা লোক পুরো ড্যানজনটা ক্লিয়ার করে তাহলে সেই পার্টির বাকি সকল সদস্যের জন্যও ড্যানজন ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এজন্য কাউকে তাদের পরিবারের চিন্তা করতে হয় না। তারা নিজেরাই পরিচিত কয়েকজন মিলে একটা পার্টি তৈরী করে ড্যানজন ক্লিয়ার করে এবং সেই সময়ে নিজেদের প্রিয়জন যাদের পার্টিতে যুক্ত করে সিটির মধ্যেই রেখে দেই। এক সময়ে যখন ড্যানজন ক্লিয়ার হয়ে যায় তখন সবাই মিলে টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবো।
জ্যাক লক্ষ করলো জায়গাটায় তুলনামূলক বেশী লোকজন রয়েছে। সবাই সিটিতে নতুন হওয়ার জন্য ভালো করে ঘুরে দেখছে। এখানে তারা এক দুই মাস থাকবে না, যারা এক লাকি তাদের জন্য হলেও কম করে ছয় মাসের বেশী সময় লাগবে এখান থেকে টাওয়ারে বের হওয়ার জন্য। আবার অনেকেই আছে যারা এখানেই থেকে যাবে। তাই সবাই জায়গাটাকে ভালো করে ঘুরে দেখছে। পূর্বে এমনিতেই অনেক লোকজন ছিলো সিটিতে, কিন্তু তাদের অধিকাংশ উপরের ফ্লোর গুলোতে হওয়ার জন্য এখনো সম্পূর্ন মানুষের চিত্রটা অঙ্কন করতে পারে নি জ্যাক। তবে জ্যাক সেদিকে নজর দিলো না আর। তাকে বৃদ্ধ একটা লোক খোজার দরকার।
-->>মাস্টার জ্যাক, আপনি যে লোকটাকে খোজার চেষ্টা করছেন, তাকে কি আমরা এখানে এতো লোকের মধ্যে পাবো?(জিতু)
-->>কয়েকটা ক্লু রয়েছে আমার কাছে, তাই সমস্যা হবে না।(জ্যাক)
জ্যাকের কাছে কয়েকটা ক্লু ছিলো। তার মধ্যে একটা হলো লোকটা তথ্য বিক্রি করে। আর যারা তথ্য বিক্রী করে তাদের খুব সহজেই শনাক্ত করা যায়। কারন পুরো সিটির মধ্যে সব জায়গায় এমন লোক পাওয়া যাবে যারা তথ্য বিক্রী করে। প্রায় সব পুরাতন প্লেয়ার যারা কোনো ফ্লোরে প্রবেশ করে না তারা এই তথ্য বিক্রীর মাধ্যমেই নতুন প্লেয়ারদের কাছ থেকে অসংখ্য গোল্ড কয়েন ইনকাম করে নিচ্ছে। লোকটা ব্যাপারে জ্যাকের আরো ক্লু হচ্ছে, লোকটা লোভী সেই সাথে সে একজন বৃদ্ধ লোক। তাছাড়া লোকটা পূর্ব সময়ে পৃথিবীর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে একজন রিপোর্টার ছিলো। এই কয়েকটা ক্লু দিয়ে তাকে খোজা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
-->>চাচা আপনার কাছে কি প্রথম ফ্লোরে বস মনস্টার সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে? মানে তাকে সহজে হারানো যায় কিভাবে?
-->>আমি বাচ্চা ছেলেদের আমার গুরুত্বপূর্ন তথ্য বিক্রী করি না। তোদের কাছে সেই অর্থ নেই সুগুলোকে কেনার মতো।
-->>কি বুড়ো রে বাবা। অন্য পুরাতন প্লেয়ার তাদের তথ্য দশ বিশ গোল্ড কয়েনেও দিতে চাচ্ছে। আর এই বুড়ো বিক্রীই করবে না।
-->>বুড়ো হয়তো কিছুই জানে না, তাই ভাব নিচ্ছে হাহাহাহাহা।
জ্যাকের হঠাৎ নজর পরলো। একটা বুড়ো লোক এবং লোভী। যদিও লোকটা আসলেই লোভী কিনা সেটা জ্যাক বের করতে পারলো না। কিন্তু কথা বলায় দোষ কোথায়। জ্যাক লোকটার সামনে গিয়ে দাড়ালো। লোকটা এতোক্ষনে অনেক বিরক্ত ছিলো। একটা টুলের মতো বস্তুর উপরে সে বসে আছে একটা লাঠির উপরে ভর করে। বয়স একদম বুড়ো না হলেও মুখের দাড়ি এবং মাথার সকল চুল পেকে সাদা দিয়ে গিয়েছে। জ্যাক লোকটার সাথে কোনো কথা না বলায় লোকটায় বলতে লাগলো।
-->>আমার তথ্য গুলো গরীবের জন্য নয়।(বৃদ্ধ)
জ্যাক লোকটার দিকে তাকালো। সে বুঝতে পারলো লোকটা কি বলতে চাচ্ছে, তাই সে একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,
-->>আপনি কি পূর্বে রিপোর্টার ছিলেন?(জ্যাক)
বৃদ্ধ লোকটা হঠাৎ জ্যাকের কথায় অবাক হলো। প্রায় পনেরো বছরের বেশী হয়েছে সে তার সাংবাদিক পেশা বাদ দিয়েছে। তাই এই সময়ে তাকে চেনার মতো কেউ থাকতে পারে না। কিন্তু হঠাৎ তাকে তার পূর্ব পেশা নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় সে অবাক না হয়ে পারলো না। লোকটাকে চুপ এবং অবাক হওয়া দেখতে পেয়ে জ্যাক তার হাতে মোবাইলটা নিলো। কিছু গোল্ড কয়েন ট্রান্সফার করে দিলো ক্যামেরার দিকটা লোকটার চেহারার দিকে ধরার মাধ্যমে। লোকটার মোবাইলে একটা মেসেজ আসলো, সেটা দেখার জন্য সে বের করলো। তার হাত থেকে মোবাইলটা হঠাৎ পরে গেলো। সংখ্যাটা সে ভুল দেখে নি। বিশ হাজার গোল্ড কয়েন ছিলো সেখানে। লোকটা কিছুটা স্বাভাবিক হলো। এই পরিমান প্রথমে সবার কাছে কম মনে হলেও সময়ের সাথে সাথে মাত্র একশো গোল্ড কয়েনই বিলিয়ন বিলিয়ন টাকার থেকেও মূল্যবান সম্পদ হয়ে দাড়ায় এই ড্যানজনের মধ্যে। তাই এই সময়ে এক সাথে এতো অর্থ দেখতে পেয়ে লোকটার চোখে পানি না এসে পারলো না।
-->>কি জানতে চাও।(বৃদ্ধ লোকটা)
-->>সবকিছু।(জ্যাক)
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।