আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ২৮

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:২৮


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.

জ্যাক এবং জিতু একটা রুমের মধ্যে এসে বসলো। বৃদ্ধ লোকটার রুম এটা। রুমের মধ্যে বিভিন্ন রকম পিকচার এবং হাতে আকাঁ ড্রয়িং রয়েছে। সেগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে এক সময়ে বৃদ্ধ লোকটা রিপোর্টার ছিলো। বৃদ্ধ লোকটা তার রুমে আসার পরে বিছানার উপরে বসলো এবং দুটো চেয়ারে জ্যাক এবং জিতু বসলো। জ্যাকের মূলত এই ড্যানজন সম্পর্কে অনেক কিছু জানার রয়েছে। যেহেতু এই বৃদ্ধ লোকটা অনেক পূর্বে একজন প্লেয়ার হয়েছে তাই আপাতোতো অনেক কিছু সম্পর্কেই সে জানে।  তাই জ্যাকের সেই তথ্য গুলো জানা দরকার।



-->>প্রথমেই আসা যাক আন্ডারগ্রাউন্ড সিটির লিডার সম্পর্কে। মূলত এখানে কোনো নির্দিষ্ট রুলার নেই। যেহেতু প্রতিবারই কোনো শক্তিশালী পার্টি ড্যানজন ক্লিয়ার করতে পারলে তার সকল সদস্য টাওয়ারে প্রবেশ করে, তাই প্রতি বছরেই নতুন পার্টি দেখা যায়। আপাতোতো এখন এখানের শক্তিশালী পার্রি রয়েছে দুটো। তারা দুই পার্টিই পুরো আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি নিয়ন্ত্রন করে থাকে। প্রতিটা ফ্লোরে প্রবেশের চার্জ, প্রতিটা রুমের চার্জ, প্রতিটা খাবারের চার্জ সবকিছু তাদেরকেই দিতে হয়। তারা নতুন নতুন প্লেয়ারদের বেশী টার্গেট করে এবং তাদের সকল গোল্ড কয়েন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যেহেতু নতুনরা তেমন কিছু জানে না এখানের নিয়ম সম্পর্কে, তাই খুব সহজেই প্রতরনার শিকার হয়ে যাক। আপাতোতো দুই পার্টির সংখ্যা প্রায় পাঁচ শত এর মতো। দুটো পার্টির মধ্যে এই সময়ের সকল অভিজ্ঞ প্লেয়ার গুলো থাকার কারনে এবার তাদেরই সবার পূর্বে ডানজ্যান ক্লিয়ার করার সম্ভবনা রয়েছে। 



-->>যেহেতু তারা সবচেয়ে শক্তিশালী পার্টি, তাহলে তারা অন্যদের সাহায্য করে না কেনো, যদি সকল সদস্য একটা পার্টি তৈরী করে তাহলে অবশ্যই সবাই এখানে থেকে টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ পাবে।(জিতু)




জিতুর কথায় বৃদ্ধ লোকটা অনেকক্ষন তাকিয়ে ছিলো। জিতুর নিজের কাছেও মনে হলো সে বোকামির মতো একটা কথা বলেছে এখানে।



-->>বাইরে থেকে অবশ্যই টাওয়ারের নাম বিশাল অক্ষরে পড়েছো। টাওয়ার অফ গ্রিড বা লোভের টাওয়ার। যদিও তোমার প্রশ্নের মতো সুযোগ রয়েছে এখানে, কিন্তু মানুষের লোভ সেটা সম্পূর্ন হতে দেই না। হয়তো প্রথম ফ্লোরে প্রবেশ করলে তোমরা নিজেরাই সেটা বুঝতে পারবে আমি কি বোঝানোর চেষ্টা করছি।(বৃদ্ধ লোকটা)



জ্যাক লোকটার কথায় মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। কিন্তু জিতু বুঝতে পারলো না বৃদ্ধ লোকটা কি বোঝানোর চেষ্টা করছে এবং জ্যাক কি বুঝলো। সে হাবলার মতো তাকিয়ে রইলো জ্যাকের দিকে। ছোট একটা মাক্সের কারনে যদিও জিতুর পরিচয় গোপন আছে, তারপরও জ্যাক তার এক্সপ্রেশন খুব সহজেই বুঝতে পারলো। তাই তো সে বলতে শুরু করলো।



-->>স্লাইম গুলোকে হত্যার মাধ্যমে হয়তো দেখেছো তারা আমাদের এক এক্সপি পয়েন্ট দিচ্ছিলো। যার কারনে আমাদের ১ হাজার স্লাইমকে হত্যা করতে হতো লেভেল বৃদ্ধি জন্য। কিন্তু একটা পার্টিতে যদি দুজন সদস্য থাকে তাহলে এক এক্সপি পয়েন্টের জন্য আমাদের দুটো স্লাইম হত্যা করতে হবে। মানে একসাথে ২ হাজার স্লাইম হত্যা করতে হবে লেভেল আপের জন্য। আর তাছাড়া লুট গুলোও র‍্যানডম ছিলো, তাই একটা পার্টিতে যখন অধিকাংশ মেম্বার থাকবে তখন লেভেল আপ করতে সময়ও বেশী লাগবে। তাই কেউ পার্টিতে বেশী সদস্য রাখতে চাই না।(জ্যাক)



-->>আমি দেখছি তুমি অনেকটাই বুদ্ধিমান। আমি ধীরে ধীরে তোমাকে লাইক করতে শুরু করেছি।(বৃদ্ধ লোকটা)



-->>সরি বাট আমি ঔ টাইপের না।(জ্যাক)



-->>আমিও বুঝেছি এখন। তাহলে আমাদেরও কম পার্টি মেম্বার রাখতে হবে।(জিতু)



বৃদ্ধ লোকটা আরো ইনফরমেশন দিতে লাগলো, জ্যাক এক এক করে মনোযোগ দিয়ে সব শুনতে লাগলো এবং সেগুলোকে নোট করতে লাগলো।



* * * 


রাতে জ্যাক ঘুমাচ্ছে। তার সমস্ত সেন্স ব্লক হয়ে আছে। পাশের রুমে জিতু রয়েছে। জিতু ঘুমালে সকাল ছাড়া উঠার মতো ছেলে সে নয়। তাই তার রুমে এই সময়ে আসার কারো সম্ভবনা নেই। তাইতো নিশ্চিন্তে সে অনেক শান্তির একটা ঘুম দিচ্ছিলো। বাইরের কোনো সেন্স তার নেই, একবার ঘুমালে সে নিজেও কিছু বলতে পারবে না তার সাথে কি হচ্ছে। ঘুমালে মনে হয় সে অনেক শান্তির জায়গায় রয়েছে। কারন সারাদিনে তিন ধরনের ভাবনা তাকে ভাবতে হয়।  তাই তার রুমে এখন যে কেউ প্রবেশ করেছে এটা সম্পর্কে সে জানেই না। 


রুমের মধ্যে এমিলি প্রবেশ করেছে, এমিলি বললে ভুল হবে এথিনা প্রবেশ করেছে। সে টিপ টিপ পায়ে জ্যাকের পাশে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলো। অনেকক্ষন সে চুপ করে বসে রইলো এবং জ্যাকের চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো। সে চুপ থেকে অনেকটা বিরক্ত ছিলো, অনেক প্রশ্ন তার মনের মধ্যে ছিলো তাই সে সহজেই নিশ্চুপ থাকতে পারলো না।



-->>আমি জানি তুমি এই শরীরে আছো পোসেইডন, আমাকে দেখতে শুনতেও পাচ্ছো।(এথিনা)



কোনো কথা আসলো না। জ্যাক নিশ্চুপ শান্তি মতো ঘুমাচ্ছে। তার ঘুমটা অনেকটা বাচ্চার মতো দেখাচ্ছে। এথিনা সেদিকে তাকিয়ে ছিলো। তার সামনের মানুষের চেহারাটা পোসেইডন এর মতো না হলেও অনেকটা মিল রয়েছে। এথিনার জানে একজন গড সহজে মৃত্যু বরন করে না। তার রেইনকার্নেট হওয়ার অনেক সুযোগ থাকে। ঠিক পোসেইডনও মৃত্যু বরন করে নি। তার আবারো গড হয়ে রেইনকার্নেট হওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিলো। কিন্তু অলিম্পাসের ১২ গডের শক্তিশালী ম্যাজিক কার্সের কারনে পোসেইডন একটা মানুষের শরীরে রেইনকার্নেট নিবে। শুধু একবার নয়, হাজার/লক্ষ/কোটিবার সে রেইনকার্নেট হবে একজন মানুষ হিসাবে।কার্সের(অভিশাপ) ফলে পোসেইডনের জীবনটা খারাপ ভাগ্যে ভরপুর হবে এবং খুব অল্প বয়সেই তার মৃত্যু হবে প্রচন্ড যন্ত্রনাতে। কিন্তু এথিনা সেটার কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।


এথিনা মূলত পোসেইডনকে খুজতে ছিলো তাকে আরো কষ্টকর শাস্তি দেওয়ার জন্য। পোসেইডন অলিম্পাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করার ফলে শাস্তি তো পেয়েছে। কিন্তু হাজার হাজার বছরে দেওয়া এথিনার মনের কষ্টের শাস্তি সে এখনো পায় নি। তাইতো তাকে খোজার জন্য সে ব্যকুল ছিলো। কিন্তু সেই পোসেইডন তার সামনে। সাধারন ভাবে বললে তার সামনে পোসেইডনের রেইনকার্নেট রয়েছে। যদিও এক সময়ে সে গড ছিলো অলিম্পাসের। কিন্তু এখন সে একজন মানুষ যার পূর্বের কোনো স্মৃতি মনে নেই। 



-->>আমি জানি তুমি কোনো ভাবে তোমার স্মৃতি ফিরে পেয়েছো পোসেইডন। তা নাহলে তোমার জীবনটা এতোটা আনন্দ দায়ক হতো না।(এথিনা)



এথিনা জ্যাকের সাথে প্রথম দেখা করার পর থেকেই খুব কাছ থেকে জ্যাককে অবজার্ব করছে। আর তাতে সে বুঝতে পেয়েছে অলিম্পাসের গডদের দেওয়া কার্স পোসেইডনের উপরে আর কাজ করছে না। যদিও পোসেইডনের সেই গড লেভেল পাওয়ার আর নেই, তারপরও এথিনা সিওর যে পোসেইডন তার হোস্ট খুজে পেয়েছে।


এথিনা হঠাৎ অবাক হয়ে গেলো। কারন তার সামনে ঘুমন্ত থাকা জ্যাক হঠাৎ উঠে বসলো। জ্যাক বললে ভুল হবে, এতোক্ষনে তার শরীর থেকে শুধু পরিচিত একটা গন্ধই পাচ্ছিলো এথিনা। কিন্তু এখন পুরো দেহটা এথিনার কাছে পরিচিত মনে হলো। জ্যাকের পুরো চেহারা পাল্টে গেলো। তার শরীর ছোট একটা ট্রান্সফর্মেশন নিলো। একটা উচু লম্বা ব্যক্তি এথিনার সামনে বসা ছিলো। আকাশ যদিও অনেকটা লম্বা, কিন্তু এথিনার সামনে বসা ব্যক্তিটা জ্যাকের শরীর আকাশের থেকেও অনেকটা লম্বা। হ্যা সেটা পোসেইডন। গড অফ ওয়াটার পোসেইডন। হালকা স্যাম বর্নের পোসেইডনকে দেখতে পেয়েই এথিনার মুখ লাল হয়ে গেলো। তার হার্টবিটও বারতে শুরু করলো। অনেক বছর পর তার সামনে আবারো সেই ব্যক্তি দাড়িয়ে আছে যে এক সময়ে এথিনার হার্ট চুরি করেছিলো। 



-->>কেমন আছো এথিনা, এখনো তুমি চেন্জ হও নি একটুও।(পোসেইডন)



পোসেইডন এথিনার খুব কাছে চলে আসলো। আরেকটু হলেই সে এথিনার শরীরে স্পর্শ করবে। এথিনার হার্ট বিট আরো দ্রুত বারতে শুরু করলো। সে সব দিক দিয়ে আজকে প্রস্তুত হয়ে এসেছিলো। যে করেই হোক সে পোসেইডনের সাথে কথা বলবে। কিন্তু এখন সে কোনো ভাবেই কথা বলতে পারছে না। তার মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হতে চাচ্ছে না। পোসেইডনের উপরে তার রাগ এতোটা ছিলো কিন্তু অনেক দিন পর তার চেহারা দেখার পর নিমিষেই সেটা ভুলে গেলো।



-->>সেম এজ এভার। তুমি এতো দিনে একটুও বদলাও নি এথিনা। এখনো কি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছো? হাহাহা।(পোসেইডন)



পোসেইডন একটা হাসি নিয়ে কথাটা এথিনাকে বললো। এথিনা স্বাভাবিক হয়ে উঠলো। সে জানে সে নার্ভাস হলে এখানে কিছুই করতে পারবে না। তাই কথা বলতে শুরু করলো।



-->>আমি জানি না তুমি কিভাবে করেছ, কিন্তু এটা তো কখনো সম্ভব হওয়ার কথা না। তোমার স্মৃতি কিভাবে ফিরে আসতে পারে। ফাদার জিউসের জন্যও কখনো এটা সম্ভব না এই কার্সকে ভাঙা।(এথিনা)



পোসেইডন অনেকক্ষন চুপ ছিলো। এথিনাকে অনেক ব্যস্ত দেখা গেলো। পোসেইডন এথিনাকে কিছু বলতে চাই নি, কিন্তু তারপরও সে ছোট করে উত্তর দিলো।



-->>জিউস কিংবা অলিম্পাসের গড এরাই শক্তিশালী অস্তিত্ব নয় শুধু।(পোসেইডন)



এথিনা চিন্তায় পরে গেলো। কিন্তু পোসেইডন তাকে সে সময় দিলো না। এথিনার হাতকে টান দিলো এবং নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে আসলো। এথিনা এতোক্ষনে তার অ্যাভেটার এমিলির শরীরে ছিলো। কিন্তু পোসেইডন তার হাত ধরার ফলে তার শরীরও ট্রান্সফর্ম হয়ে যায় এবং সে তার সেকেন্ড ফর্মে চলে আসে।



-->>আমি তো ভেবেছিলাম তুমি তোমার প্রথম ফর্মে আসবে, কিন্তু এখনো তুমি আগের মতোই সুন্দরী আছো। না মনে হচ্ছে আগের থেকেও সুন্দরী হয়েছো। কথায় বলে না গডরা যত বয়স যায় ততই সুন্দর এবং সুন্দরী হতে থাকে।(পোসেইডন)



এমিলির শরীরটা তুলনা মূলক ভালোই বড় ছিলো। পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি তার উচ্চতা ছিলো। কিন্তু এমিলি তার সেকেন্ড ফর্মে আসার ফলে তার উচ্চতা পাঁচ ফুট হয়ে যায়। তাকে আগের তুলনায় ছোট মনে হচ্ছে। বিশেষ করে পোসেইডন এর সাত ফুট শরীরের কাছে সে একটা বাচ্চায়। এথিনার রূপ যেকোনো পুরুষ দেখলেই সারা জীবনের জন্য ভুলতে পারবে না। যদিও তাকে অলিম্পাসের সেরা সুন্দরীদের মধ্যে গননা করা হতো তারপরও সে প্রথম সুন্দরীদের তালিকার মধ্যে ছিলো না। তার কারন তার বয়স। পোসেইডনের কথা মতোই গডদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তাদের বয়স অনুযায়ী। একজন গডেস তখনি সবচেয়ে বেশী সুন্দরী হয় যখন সে বৃদ্ধ থাকে। আর সেখানে এথিনা তো অলিম্পাসের ছোট জেনারেশান।



-->>আমাকে তোমার মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভোলাতে পারবে না আর পোসেইডন। আমি জানি তোমার ঔ মনে আমার জন্য কখনো জায়গা ছিলো না। তাই সোজা সোজা আমাকে আমার উত্তর দাও। কেনো করেছো এসব?(এথিনা)



যদিও এথিনা মুখ দিয়ে স্বিকার করবে সে পোসেইডনকে খুজেছে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু আসলেই কি তাই? তার মনের গভীরে সব সময় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতো। পোসেইডন যে সবসময় দায়িত্ব থেকে দূরে থাকতো, সে হঠাৎ কেনো অলিম্পাসের থ্রোনের জন্য যুদ্ধ করতে চাইবে। কিন্তু একটা জিনিস এথিনা পূর্বে লক্ষ করেছে। অলিম্পাস পূর্বে নরমাল কোনো জায়গা ছিলো না। সব কিছু পোসেইডনের যাওয়ার পর চেন্জ হয়েছে। যদিও এক সময়ে সবাই জানতো জিউসই অলিম্পাসকে কন্ট্রোল করতো, কিন্তু আদৌও কি তাই? অলিম্পাস এখন অনেক বদলে গিয়েছে। আর সব কিছু শুরু হয়েছিলো পোসেইডনকে দিয়ে। যদিও মনের দিক দিয়ে সে পোসেইডনের কারনটা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিলো তারপরও সে নিজে সেটা পোসেইডনের মুখ থেকে শুনতে চাচ্ছে।



-->>কেনো করেছি জিজ্ঞাসা করলে? ছোট করে বলতে গেলে সব কিছু তোমার জন্য ছিলো।(পোসেইডন)



পোসেইডন আবারো একটা হাসি নিয়ে এথিনাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করলো। কিন্তু এথিনা এবার সরে গেলো। তার চেহারা হঠাৎ সিরিয়াস হয়ে গেলো। সে নিজের হাতে তার স্পেয়ার(বর্শা) নিলো এবং তার নিজের শরীরে তার আর্মার পরে নিলো। বিষয়টা খুব দ্রুত হলো, তাই পোসেইডন কিছু করার সুযোগ পেলো না।



-->>আমি সহজ করে বলতে চাচ্ছি না আর। তোমার মাথায় সহজ করে বললে ঢুকবে না বুঝতে পারছি।(এথিনা)



-->>ওয়াও ওয়াও, কুল কুল।(পোসেইডন)



-->>আমি শেষ বারের মতো জিজ্ঞাসা করছি পোসেইডন। তুমি কেনো করেছো, সব কিছু তোমার দ্বারাই তৈরী হয়েছে। সব কিছুর জন্য তুমিই দায়ী ছিলে তাই না?(এথিনা)



-->>কি বলতেছো। সত্য কথা বলতে গেলে, আমি বোর হয়ে গিয়েছিলাম। জিউস একা একাই সব মজা নিচ্ছিলো, তাই আমিও ভাবলাম কিছুটা সময় পার করা যাক।(পোসেইডন)



কথাটা পোসেইডন তার কানে হাত দিয়ে চুলকাতে চুলকাতে বললো। এটা যে বড় একটা মিথ্যা ছিলো সেটা এথিনার বুঝতে সময় লাগলো না। তারপরও সে আর কিছু করতে পারবে না এখানে। পোসেইডনের থেকে সে পূর্বেও শক্তিশালী ছিলো, তাই এখানে তাকে ভয় দেখানোর কোনো মানে হয় না। পোসেইডন এমন একজন গড, যার মধ্যে কোনো ভয় নেই। একটা পানি যেমন সামনে দিকে কোনো বাধা না পেলে যেতেই থাকে, ঠিক পোসেইডনও তেমন। এথিনার তার স্পেয়ার তার স্পেসের মধ্যে রেখে দিলো, সেই সাথে তার আর্মারও। নিজের উত্তেজনাকে একটু কন্ট্রোল করলো এবং বলতে শুরু করলো।



-->>তাহলে তুমি এই ছেলেকে নতুন হোস্ট বানিয়েছো?(এথিনা)



-->>সেটা করলে কি সবাই জানতে পারতো না?(পোসেইডন)



-->>তাহলে কিভাবে?(এথিনা)



-->>আমার সউলটা এই শরীরের সাথে এক হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে এই ছেলেটাই এই ছেলে, আবার এই ছেলেটাই আমি।(পোসেইডন)



-->>তোমাদের চিন্তাশক্তি তো ভিন্ন।(এথিনা)



-->>এই শরীরে অনেক রহস্য রয়েছে। আমার মনে হয়না সেটা জানা তোমার ঠিক হবে। আর তাছাড়া এই জায়গাটা একদম সুন্দর না। মনোরম পরিবেশ, রাতের সময়। আর আমি আছি এখানে, যাকে তুমি সব সময় চেয়েছো। চলো না এক হয়ে যায়।(পোসেইডন)



পোসেইডন আবারো এথিনার কাছে এসে এথিনার হাত ধরে আস্তে আস্তে এথিনার কানে কথাটা বললো। সে বিশ্বাস করতে পারছে না পোসেইডন নিজে এই কথাটা তাকে বলতে পারে। হাজার বার না লক্ষ লক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে সে পোসেইডনকে। কিন্তু পোসেইডন প্রত্যেকবার সেটা রিজেক্ট করেছে। কিন্তু এখন, সেই পোসেইডন। এথিনার হার্ট বিট বেরে যাচ্ছে। সে কোনো রকমে পোসেইডনের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে সেই রুম থেকে দৌড়ে পালালো।



-->>হুমমম, যাক এখন মেয়েটা আমাকে জ্বালাবে না বেশ কিছুদিন।(পোসেইডন)



পোসেইডন শুয়ে পরলো বিছানায় এবং তার শরীর আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসলো। তাকে আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না। রুমের মধ্যে শুধু আছে এখন জ্যাক যে বাচ্চার মতো ঘুমাচ্ছে।




* * * 


To Be Continued 


* * * 



কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

6 comments

  1. Awesome bro..❤️❤️
  2. 🖤🖤🖤🖤🖤
  3. Lutuputu start bah besh Valo... Tahole jack er body te jack er ojante Posaidon er chintasokti ace and se nijer soul niye body theke ber o hote pare,, interesting,, carry on bro 🥰🥰🥰
  4. Osadaron hoise♥️♥️♥️💘💘💘
  5. নতুন নতুন চমক পাচ্ছি
  6. অসাম ছিল।
    আহ পোসেইডেন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.