[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#Demon_King#
পর্ব:৫৫
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(ডিমনিক ফরেস্ট)
পুরো একদিন অপেক্ষা করার পর সকল টিম একত্র হয়েছে। বাকি টিমের লিডারদের কাছেও একটা করে মেসেজ গিয়েছে, তাই তাদের সামনের দুই টিমের কাছাকাছি আস্তে হয়েছে অনেক শীঘ্রই। দশটা টিম যখন একত্র হলো তখন সেখানে উপস্থিত হলো একাডেমির তিন শিক্ষক এবং প্রিন্সিপাল নিজে। পুরো দশ টিমের সকল সদস্যদের নিয়ে তারা সোজা পৌছে গেলো একাডেমির মধ্যে। একাডেমির বিশাল ট্রেনিং রুম যার মধ্যে মানা ইউজারদের টেস্ট হয়েছিলো প্রথমে।
তিন শিক্ষক প্রথমে অবাক হয়েছিলো, কারন প্রিন্সিপাল এতো দিন গায়েব হয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের সামনে এসে টেস্টটা বন্ধ করার কথা বলে। টেস্টটা এম্পায়ারের প্রথম কোনো নির্দেশনায় শুরু হয়নি। প্রিন্সিপালের পরামর্শেই এম্পায়ারের আদেশেই টেস্টটা শুরু হয়েছে। তবে বৈধতা ঠিক রাখার দায়িত্ব মেফাস একাডেমির ছিলো। কিন্তু পথিমধ্যে তারা যে কোনো নিয়ম চেন্জ করতে পারবে এরকম কোনো কিছু বলা হয় নি। তিন শিক্ষকই প্রিন্সিপালের কাছে অনেক প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিলো, কিন্তু কোনো রকমের উত্তর তারা না পাওয়ার পর চুপ হয়ে গেলো। আপাতোতো ট্রেনিং রুমের মধ্যে তারা তিনজন প্রিন্সিপালের পিছনে দাড়িয়ে আছে।
-->>সবাই খুব ক্লান্ত এবং অনেক প্রশ্ন তাদের মাথায় ভাসছে। তবে আমি মনে করি সেটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা ঠিক হবে না। তাই একটা প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি। নিয়মে বলা ছিলো, দশ টিমের মধ্য থেকে একটা টিমের একটা মেম্বারের কিছু হলে মানে মারা গেলে পুরো টিমটায় বাতিল হয়ে যাবে এবং তারা টাওয়ারের টেস্টে প্রবেশের কোনো সুযোগ পাবে না। কথাটা সত্য ছিলো, কিন্তু একেবারেরই যে সত্য সেরকম নয়। পূর্বেই বলা হয়েছে একাডেমির এই টেস্টা তিনমাসের ছিলো। তার মধ্যে দুইমাস সারভাইভ করতে হবে ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে। এবং পরবর্তী একমাসের কথা কিছুই বলি নি আমি।(প্রিন্সিপাল)
প্রিন্সিপাল কিছুটা থামলো। সে একটা নিশ্বাস নিয়ে আবারো শুরু করতে লাগলো তার কথা।
-->>যেহেতু সব গুলো টিমের সদস্যরাই মিশিং রয়েছে তাই আমি বুঝতে পেরেছি ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে আনএক্সপেক্টেড কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু আমি খুশি হয়েছি যে বেশীরভাগই ঠিক মতো ফিরতে পেরেছে। যেহেতু টিম রসিফের সবাই ঠিক মতো ফিরতে পেরেছে তাই তাদের কোনো চিন্তার কারন নেই। কিন্তু বাকিদের এখনো বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়ে উঠে নি। যেহেতু বাকি নয় টিমই বাতিল হয়েছে এই টেস্ট থেকে, তাই পরবর্তী এক মাসের মধ্যে তাদের আরেকটা টেস্ট হবে। এই টেস্টের পরে সবাই তাদের পরবর্তী এট্রিবিউট আনলক করার একটা সুযোগ পাবে এবং টাওয়ারে প্রবেশ করবে।(প্রিন্সিপালের)
এতোক্ষনে সকল স্টুডেন্টের মাঝে অলসতা এবং ক্লান্তের ছাপ দেখ যাচ্ছিলো। কারন সবাই জানে তারা টাওয়ারে প্রবেশ করতে পারতো না। যেহেতু তাদের প্রত্যেকের টিমের একজন কিংবা অধিকাংশ মারা গিয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য প্রিন্সিপালের কথাটা আগ্রহময় ছিলো। তাদের ক্লান্ত ভাব নিমিষেই কেটে গেলো।
-->>যেহেতু সবাই অনেকটা ক্লান্ত হয়ে আছে, তাই টেস্টটা এখনি আমরা নিতে চাচ্ছি না। এক সপ্তাহ সবাই রেস্ট নিক, তারপরও এখানেই সবার টেস্ট হবে। ভয়ের কোনো কারন নেই, এবারের টেস্ট কোনো মারাত্মক টেস্ট নয়। সবাইকে এক সপ্তাহ পরেই জানিয়ে দেওয়া হবে কিরকম টেস্টের ব্যবস্থা আমরা করবো।(প্রিন্সিপাল)
প্রিন্সিপালের লেকচার শেষ হলে সকল ছেলে মেয়ে তাদের বাসার দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। যদিও দুই মাস এখনো পূর্ন হয় নি তারপরও অনেকটা সময় তারা নিজেদের বাসা থেকে দূরে ছিলো। তাই তারা যে ডিমনিক ফরেস্ট থেকে ফিরে এসেছে এটা তাদের পরিবারের কানে পৌঁছাতে সময় লাগলো না। সকল ছেলেমেয়ের পরিবারই এসে তাদেরকে নিয়ে গেলো। বিশেষ করে দেখার বিষয় ছিলো নোবেলদের। তারা দামী রথ গাড়িতে তাদের ছেলে মেয়েদের নিতে এসেছিলো। এলেক্স সবার মতোই একাডেমি থেকে বের হলো। তার কাছে এতোটা সময়ও খুব কম মনে হলো।
"সব কিছু খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেলো।" (এলেক্স ভাবছে)
এলেক্সের মাথায় অনেক প্রশ্ন, কিন্তু সব সময় সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করে না সে। কারন তার মাথায় যে প্রশ্নগুলো সেগুলোর উত্তর সে ভাবলে সহজেই পাবে না। তাকে সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য প্রশ্নকে ঘিরে থাকা ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হবে। এলেক্স একাডেমি থেকে বের হলো, সবার মতো তার পরিবারও তাকে নিতে এসেছে। তার বাবা এবং আম্মা দাঁড়িয়ে আছে। যেহেতু তারা এখানের কিংবা কোথাকার নোবেল নয় তাই তাদের জায়গাটা কমনারদের ভিতরেই ছিলো। সাধারন মানুষদের মতো লাইন করে এলমন্ড এবং মারিয়া দাঁড়িয়ে রইলো। সবাই এতোক্ষনে তাদের পরিবারের সাথে কথা বলছে এবং অনেকে এই সময়ে চলেও গিয়েছে। একাডেমির সামনের রাস্তায় অনেকটা জায়গা, যার মধ্যে সকল নোবেল তাদের রথ গাড়ি এক এক করে পার্ক করে রেখেছে। তারা দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে তাদের সন্তানদের জন্য। অনেকে আবার এতোক্ষনে তাদের বাসায় চলেও গিয়েছে। এলেক্স নিজেও তার বাবা এবং আম্মার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। একাডেমির মধ্য থেকেই সে আগের কিছু প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করছিলো, যার কারনে তার বাকি সবার থেকে একটু লেট হয়েছে বের হওয়া। এতোক্ষনে সবাই তাদের পরিবারের সাথে কথা বলছে, কিংবা বাসায় চলে গিয়েছে। আর এলেক্সই শেষ এসে দাঁড়ালো তার বাবা এবং আম্মার কাছে এলেক্স একটা জিনিস লক্ষ করলো।
"আমি তাদের পরিবারকে দেখতে পারছি না, যারা মারা গিয়েছে। তাদের কাছে তো এতো শীঘ্রই এই খবর জানিয়ে দেওয়ার কথা না।" (এলেক্স ভাবছে)
এক টিম বাদে সব টিমেই একটা কিংবা একাধিক স্টুডেন্ট মারা গিয়েছে। যেহেতু সবার গার্ডিয়ান খবর পেয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের নিতে এসেছে, তাই তাদেরও এখানে আসার কথা। কিন্তু এলেক্স মারা যাওয়া স্টুডেন্টদের পরিবারের কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। জিনিসটা তাকে খুব ভাবাচ্ছিলো কিছুক্ষনের জন্য। কিন্তু কোনো উত্তর না পেয়ে সে আবারো এটা ভাবা বাদ দিয়ে দিলো।
-->>আমার ছেলের, কিছু হয়েছে নাকি।(মারিয়া)
মারিয়া তার ছেলেকে অনেক দিন পরে দেখতে পেয়ে তার চোখ দিয়ে পানি পরছিলো। সে কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না, তবে এলেক্সের শরীরে ব্লাডের ছাপ দেখতে পেয়ে তার শরীর চেক করতে লাগলো। প্রথমে হাত, তারপরে পা এবং সবশেষে পেট। একজন হিলার অনুযায়ী সে সহজেই একজন রোগীকে স্পর্শ করলে বলে দিতে পারবে তার কোথায় সমস্যা। কিন্তু এলেক্স সম্পূর্ন ঠিক ছিলো। তারপরও একজন মায়ের চিন্তা এখানেই কি ঠিক থাকে?
-->>আমার কিছুই হয় নি আম্মা। আমি ঠিক আছি।(এলেক্স)
-->>ছেলেদের কখনো কিছুই হয় না। আর দেখতে হবে না এলেক্স কার ছেলে।(এলমন্ড)
এলমন্ড বুক ফুলিয়ে এলেক্সের কাছে এসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। সে অনেকটা অবাক হলো কিছু মুহুর্তের জন্য।
"যেমন বাবা তেমন ছেলে। কিছুদিন পূর্বেই ওর লেভেল সাধারন একটা ছেলের মতোই ছিলো, কিন্তু ডিমনিক ফরেস্টে প্রবেশ করে মনে হচ্ছে ও নিজেই একটা ডিমনিক বিস্ট হয়ে গিয়েছে।" (এলমন্ড)
মারিয়া এবং এলমন্ড তাদের কুশলাদি বিনিময় করে এলেক্সকে নিয়ে চললো বাসার দিকে। এলেক্সের মাথায় অনেক প্রশ্ন থাকলেও সেটার চিন্তা ভাবনা সে বাদ দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ সেটা সে ভুলেই গিয়েছে মারিয়ার কথা শোনার পর।
-->>এলেক্স, বাসায় তোমার জন্য দুজন স্পেশাল গেস্ট অপেক্ষা করছে।(মারিয়া)
-->>স্পেশাল গেস্ট?(এলেক্স)
-->>হ্যা।(মারিয়া)
মারিয়া বললো না কারা সেই গেস্ট, তাই এলেক্স এটা নিয়ে চিন্তা করতে করতে পুরানো সকল ভাবনায় ভুলে গেলো।
* * * * *
এলিন তার রথে বসলো। একটা বিশাল এবং সুন্দর সাদা রঙের রথ গাড়ি এসেছে তাদের নেওয়ার জন্য। তাদের বলতে এলিন এবং তার ভাই এডওয়ার্ড। দুজনে একে অপরের সাথে কোনো কথা না বলেই গাড়িতে উঠলো। গাড়িটা সেই সাথে চলতে লাগলো তাদের ম্যানশনের দিকে। যাওয়ার পূর্বে জানালা দিয়ে এলিনের নজর পরলো রাস্তা অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এলেক্স এবং তার মায়ের দিকে। যদিও তাদের এলিন চিনে না, তারপরও এলিন অনেক আগ্রহে তাকালো তাদের দিকে।
"ঔটা মনে হয় এলেক্সের আম্মা, আর ঔটা এলেক্সের বাবা।" (এলিন ভাবছে)
রথের ভিতরে ম্যাজিকের ব্যবস্থা থাকায় ছোট জানালার ভিতর থেকে কেউ দেখতে পারলেও বাইরে থেকে ভিতরে কিছুই দেখা যায় না। এলিন এলেক্সের আম্মাকে দেখে মনের মধ্যে অনেকটা হিংসা করছিলো, যদিও তার রূপটা ভালো করে দেখা যাচ্ছিলো না স্পেশাল ম্যাজিকের কারনে। কিন্তু হেল ফায়ার ফিনিক্সের পাওয়ারের কারনে এলিন সেটা বাইপাস করতে পেরেছে। হয়তো এরকম সুন্দরী মহিলাকে সে কখনো দেখে নি তার জীবনে। এলিনের নজর যখন এলেক্সের বাবার দিকে পড়লো তখন সে অবাক না হয়ে পারলো না। এলমন্ড এলেক্সের সাথে অনেক আগ্রহে গল্প করছিলো। কিন্তু এলিনের নজর তার উপরে পরার সাথে সাথে এলমন্ড ঘুরে তাকালো এলিনের দিকে। যদিও গাড়িটা ম্যাজিক দিয়ে তৈরী ছিলো, তারপরও এলিনের কেনো জানি মনে হচ্ছিলো লোকটা তাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলো।
"মাস্টার লোকটা অনেক ভয়ানক, আমি পরামর্শ দিবো আপনি কোনো খারাপ চিন্তা করবেন না এখন।" (ফিনিক্স)
ফিনিক্স পাখিটা হঠাৎ এলিনের সাথে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে কথা বলতে লাগলো। এলিন মাত্র লোকটার চোখের দিকে তাকিয়েছিলো, কিন্তু এতোক্ষনেই তার সারা শরীর পাথর হয়ে গিয়েছে। এলিন ছোট থেকে এতোটা ভয় কখনো পাই নি।
"কে লোকটা? আমি পূর্বে এরকম কারো সম্পর্কে জানলাম না কেনো?" (এলিন)
এলিন নিজেও ফিনিক্সের সাথে কথা বলতে লাগলো। ফিনিক্স পাখি যেহেতু টেলিপ্যাথি ব্যবহার করতে পারে, তাই এলিনের জোরে কথা বলতে হলো না।
"লোকটার পরিচয় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না। আসলে তেমন কিছু আমি জানিই না। কিন্তু একটা জিনিস বলতে পারবো, আপনি যে জিডুরীর হোস্টকে কিছু করেন নি সেটা আপনি, আমার এবং মাস্টার বিলজবাবের জন্যই ভালো হয়েছে।" (ফিনিক্স)
এলিন অনেক বছর হলো ফিনিক্সের সাথে কথা বলেছে। ফিনিক্স পাখি কোনো কিছুকেই ভয় করে না। যেহেতু তাদের মৃত্যু নেই, সামান্য আগুন ওয়ার্ল্ডের মধ্যে থাকলেই তারা রেইনকার্নেট হতে পারে তাই ভয় কি জিনিস সেটা তারা জানে না। কিন্তু হঠাৎ এলিন সেই পাখিটার কন্ঠে ভয়ের ছাপ শুনতে পাচ্ছে। ফিনিক্স পাখিটা যদিও সামনের লোকটার সম্পর্কে কিছুই জানে না, তারপরও তার শরীর থেকে যে অউরা বের হচ্ছে সেটা তাকে ভয় পেতে জোর করছে।
অন্যদিকে এলিন ভাবতে লাগলো,
"তাহলে আমার সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিলো?"
* * * * *
অন্যদিকে মেফাস একাডেমির প্রিন্সিপাল অফিসে,
তিন শিক্ষক প্রিন্সিপালের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মাথায় অনেক প্রশ্ন, কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর প্রিন্সিপাল দিবে না সেটা তারা জানে। তাদের প্রিন্সিপাল যে রহস্যময় একজন মানুষ সেটা তারা কয়েক বছর তার সাথে থেকেই বুঝতে পেরেছে।
-->>ম্যাডাম, আমাদের কিছু প্রশ্ন ছিলো?(আজরো)
-->>আমি জানি তোমাদের কি প্রশ্ন। ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে সেটা কিসের ব্যারিয়ার ছিলো? মৃত স্টুডেন্ট গুলো জীবিত হলো কিভাবে? আর আমি কোথায় ছিলাম? এই তিনটাই তো প্রধান প্রশ্ন তাই না?(প্রিন্সিপাল)
প্রিন্সিপালের কথা শুনে তিনজনই মাথা নারালো। তারা ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে শুনেছে যে শেষের দিকে সব টিম থেকেই স্টুডেন্টরা মারা গিয়েছে। কিন্তু সেই মারা যাওয়া স্টুডেন্টরা জীবিত হলো কিভাবে এটা তাদের মাথায় ঢুকছে না। প্রথমে তারা অবাক হয়েছিলো, কারন কাল রাতেই মারা যাওয়া ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বাসার মধ্যে ছিলো। আর আজ সকালে তাদের কাছে সেই রিপোর্ট এসেছে।
-->>ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যের ব্যারিয়ারটা আমার স্পেশাল S++ র্যাংকের ম্যাজিকাল আইটেমের মাধ্যমে তৈরী হয়েছিলো। আর সেটার ফলেই স্টুডেন্টরা তাদের বাসায় পৌছাতে পেরেছে। আমি আশা করছি আর কোনো প্রশ্ন নেই।(প্রিন্সিপাল)
তিন শিক্ষকই অবাক হলেন। প্রশ্ন তিনটা ছিলো, কিন্তু প্রিন্সিপাল একটা উত্তরেই তিনটার উত্তর দিয়ে ফেলেছে। তিনজনের আরো অনেক কিছু বলার ছিলো, কিন্তু তার আপাতোতো প্রিন্সিপালকে বিরক্ত করতে চাইলো না। তারা প্রিন্সিপালের উত্তরে বুঝতে পারলো এতোদিনে সে ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যেই ছিলো এবং সবার সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে। তিনজন আর কিছু না বলে প্রিন্সিপালের রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
-->>আমি প্রিন্সিপাল ম্যাডামকে যত দেখি ততই তার রহস্য বুঝতে পারি না।(ডিয়ারা)
-->>তাকে অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছে, তাই তাকে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত আমাদের।(হেলেন)
অন্যদিকে স্যার আজরো কিছুই বললো না। সে হেটে বেরিয়ে আসলো প্রিন্সিপালের রুমের ফ্লোর থেকে।
-->>যাক তাহলে একটু একা সময় পাওয়া গিয়েছে।(প্রিন্সিপাল)
প্রিন্সিপাল তার বড় রূপ থেকে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখতে লাগলো।
-->>বুদ্ধিটা অনেক ভালোই ছিলো। এটার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু হারভেস্ট করতে পেরেছি। আমার মনে হচ্ছে এভাবে আর কয়েকবছর চললেই আমি পূর্ব ক্ষমতা ফিরে পাবো।
প্রিন্সিপালের ডান হাতে একটা কালো বল দেখা গেলো, বাম হাতে নীল একটা বল দেখা গেলো। দুটো সে দুই হাত দিয়ে ভেঙে ফেললো। পুরো রুম ভরে গেলো দুই রঙের এনার্জিতে। অনেকটা ধোঁয়ার মতো ভরে গেলো পুরো রুমটা। প্রিন্সিপাল সেটাকে এবজোর্ব করতে শুরু করলো।
-->>আমি আবারো অপেক্ষায় আছি আমাদের পরবর্তী সাক্ষাতের জন্য এলেক্স।(প্রিন্সিপাল)
প্রিন্সিপাল তার নেকলেসটা খুললো গলা থেকে এবং তার মধ্যে পুরোটা এনার্জি এবজোর্ব করিয়ে নিলো।
* * * * *
আননোন একটা জায়গা,
লাল রঙের আকাশ, কালো রঙের পুকুর। তার উপরে বিশাল উচু একটা পাহাড়। আর সেই পাহাড়ের উপরে একটা বিশাল প্যালেস রয়েছে। প্যালেসের থ্রোন রুমের মধ্যে বসে থ্রোনের উপরে শুয়ে আছে এক ব্যক্তি। তার সামনে কুর্নিশ করে দাঁড়িয়ে আছে তিন ব্যক্তি। তিনজনই ডেভিল।
-->>মাস্টার আমি দুঃখিত, কিন্তু.....(এক ডেভিল বলতে লাগলো)
-->>আমি জানি, এমোরাস, কেমোরাস এবং জেমোরাস তাদের মিশন কম্প্লিট করতে পারে নি।(থ্রোনের উপরে বসে থাকা ব্যক্তি)
-->>সব কিছু হয়েছে লুসিফার দ্যা থ্রি এর জন্য।(ডেভিলটা)
-->>আমি হলে কথাটা একটু সাবধানে বলতাম। যতই হোক সে আমার মতোই একজন ডিম্যান প্রিন্স এবং সেই সাথে সবচেয়ে শক্তিশালী ডিম্যান প্রিন্স।
থ্রোনে বসে থাকা ব্যাক্তিটার কথায় ডেভিলটায় ভয়ে কেপে উঠলো। তার মাস্টার এমন কোনো ব্যক্তি না যে অন্য কোনো ডিম্যান প্রিন্সকে সম্মান করবে। কিন্তু তাদের মাস্টারের রাগ তারা কখনো সহ্য করতে পারবে না। কারন তাদের মাস্টার আর কেউ না বরং ডিম্যান প্রিন্স অফ র্যাথ। ডিম্যান প্রিন্স অফ র্যাথের আরেকটা নামও রয়েছে। ডিম্যান প্রিন্স অফ ডিস্ট্রাকশন। যাকে সবাই সাটান নামেও চিনে।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন।