আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্ব: ১৯

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:১৯


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.



<[  রিচুয়াল,


টাওয়ারের জিএম গ্রিড, যার সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না। রিচুয়ালে অংশ নেওয়া সকল প্লেয়ারদের হাতে একটা মোবাইল দেওয়া হয়। যেটার মাধ্যমেই গ্রিড সবাইকে মেসেজ দিয়ে থাকে। সকল প্লেয়ার গ্রিডকে এভাবেই চিনে। 


গ্রিড টাওয়ারের সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করে। সকল নিয়ম তার মাধ্যমেই তৈরী হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো মানুষই তার পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারে নি। হয়তো সেটা জানতে পারবে ও না ভবিষ্যৎ। গ্রিড টাওয়ারে প্লেয়ার আনার জন্য দুটো পদ্ধতি অবলম্বন করে। এক রিচুয়াল এবং অন্যটা নিজের পছন্দ মতো। নিজের পছন্দ মতো গ্রিড তাদেরই বেছে নেই তারা যারা যোগ্য। 


গ্রিডের ইচ্ছা ছিলো নিজের ইচ্ছা মতো সে লোকজন টাওয়ারে বেছে নিবে। কিন্তু সে একটা ডিল তৈরী করেছে। যার কারনে তাকে রিচুয়াল নামক পদ্ধতিও অবলম্বন করতে হচ্ছে। গড নামক কিছু অস্তিত্ব রয়েছে যাদের সাথে টাওয়ার অফ গ্রিডের জিএম গ্রিড ডিল তৈরী করেছে। আর সেই ডিলের জন্যই এই রিচুয়ালের ব্যবস্থা করা হয় প্রত্যেক বছরেই।


বিভিন্ন রুলার যাদের সংক্ষেপে গডও বলা হয়ে থাকে তারা গ্রিডের সাথে একটা কন্ট্রাক তৈরী করেছে। তাদের কন্ট্রাক অনুযায়ী গ্রিড একটা রিচুয়ালের মাধ্যমে তার টাওয়ারে মানুষদের প্রবেশ করাবে এবং গড তাদের মাঝ থেকে পছন্দ করে বেছে নিবে নিজেদের অ্যাভেটারকে (Avater)। অবশ্যই সকল মানুষেরা গডের অ্যাভেটার হওয়ার সুযোগ পাবে না। কিন্তু যারা সুযোগ পাবে এবং তাদের গডদের দেওয়া সকল টেস্ট পূর্ন করতে পারবে তারাই হিরো বলে পরিচিত হবে।]>




সবার ফোনে একই আসলো। মেসেজ এসেছে গ্রিডের কাছ থেকে। জ্যাক মেসেজের দিকে অনেক ভালো করে তাকিয়ে ছিলো। তার মাথায় অনেক ভাবনা। তবে ভাবনার মধ্যে তার অতীতের একটা স্মৃতি মনে পরলো। সময়টা ছিলো এখানে আসারও অনেকটা পূর্বে। ডেভিল কিং এবং লোকিকে হারানোর পূর্বের কাহিনী ছিলো। ভ্যাম্পায়ার কুইন সিজন ২ এর শেষের দিকের কাহিনী। জ্যাক একটা জায়গায় প্রবেশ করেছিলো যেখানে তার সাথে দেখা হয়েছিলো একটা বানরের সাথে। যেই বানরের উপরে পাঁচটা ভিন্ন ভিন্ন পাহাড় ছিলো এবং সেই পাহাড় গুলোর নিচে সে আটকা ছিলো। জ্যাক বানরটার সাথে অনেকক্ষন গল্প করেছিলো। 



"বানরটা আসলেই ঠিক বলেছিলো। আমি বিশাল সাগরের মধ্যে শুধু একটা বাচ্চা মাছই ছিলাম"



বানরটা নিজেকে মাঙ্কি কিং বলে পরিচয় দিয়েছিলো জ্যাকের কাছে। যার নাম ছিলো সান উকং। জ্যাক তখন নিজের ইউনিভার্সকেই একমাত্র মনে করতো। তার কোনো ধারনায় ছিলো না যে তার ওয়ার্ল্ডটা সাগরের মধ্যে কয়েকফোটা পানি ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। মাঙ্কি কিং এর সাথে আমার একটা কন্ট্রাক হয়েছিলো,



(পূর্ব আলোচনা)



-->>আমি তোমাকে ডেভিল কিং এবং লোকিকে হারাতে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু তুমি তো জানো বিনা মূল্যে কোনো কিছুই পাওয়া যায় না।(মাঙ্কি কিং)



-->>কি করতে হবে আমাকে?(জ্যাক)



-->>তেমন কিছু না। মূলত আমি এখানে নয়, এক ভাবে বলতে গেলে আমার সোলের একটা ক্লোন যেটা একটা সুযোগে এখানে এসে বন্ধী হয়ে আছে। আমি চাইবো তুমি আমার আসল শরীরের জায়গায় এসে আমাকে মুক্ত করবে।(মাঙ্কি কিং)



-->>.......



-->>আমি জানি এটা অনেক বড় চাওয়া হবে। কিন্তু খারাপ ডিল হবে না। আমার সাহায্য পেলে তোমাদের এই ছোট একটা জায়গায় আর তোমার থাকতে মন চাইবে না। বিশেষ করে যেখানে তোমার থেকে শক্তিশালী কেউ নেই সেখানে আর কি বা করবে। আমার কন্ট্রাকে রাজি হলে শক্তিশালীদের তো দেখতে পারবেই, সেই সাথে এমনও অনেক মানুষ দেখতে পারবে যারা তোমার বর্তমান অবস্থাকে এক চুটকির মাধ্যমে হত্যা করতে পারবে।(মাঙ্কি কিং)




মাঙ্কি কিং জ্যাকের অবস্থাকে খুব ভালো করেই জানতো। জ্যাক ফাইট করে অনেক মজা পেতো। যদিও সেটা প্রকাশ করতো না। কয়েকবার যোগ্য প্রতিপক্ষ পেলেও সে বেশীরভাগ ফাইটেই মজা পেতো না প্রতিপক্ষ দুর্বল হওয়ার কারনে। জ্যাকের চিন্তা পুরো আলাদা ছিলো তখন। সে এতো গুরুত্ব না দিয়েই কন্ট্রাকে রাজি হয়ে গিয়েছিলো। যার ফল স্বরূপ তাকে একন এই ওয়ার্ল্ডে আসতে হয়েছে যেখানে একটা টাওয়ার রয়েছে আকাশ ছোয়া যেটা সম্পর্কে পূর্বে কোনো দিন দেখি নি বা শুনে নি।



* * *



জ্যাক মোবাইলটা পকেটে রাখলো। জিতুর সাথে সে চৌধুরী বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছে। যদিও সে আকাশ না তারপরও আকাশের শরীরে থাকার কারনে এবং তার স্মৃতি নিজের হওয়ার কারনে তাকে আকাশের জন্য প্রতিশোধ তো নিতেই হবে। আর তাছাড়া নিজের গোল্ড কয়েন তো প্রয়োজন হবে। গ্রিডের আজকের ম্যাসেজ দেখে জ্যাক বুঝে গেলো তার গন্তব্য কোথায় হবে।



-->>আমি ভুল জায়গায় চলে আসছি।(জ্যাক)



-->>সরি?(জিতু)




জ্যাক নিজের চিন্তায় কথাটা বললো এবং জিতু সেটা বুঝতে না পেরে সরি বললো যাতে জ্যাক আবারো বুঝিয়ে দেয়। জ্যাকের ক্যালকুলেশন তেমন ভালো না হলেও সে বুঝতে পেরেছে সে সঠিক জায়গায় আসে নি। বিশেষ করে মাঙ্কি কিং এর বিবরন দেওয়া ওয়ার্ল্ড এইটা নয়, সেই সাথে হাই বিয়িং অথবা রুলারের কথা বলা হয়েছে আজকের মেসেজে যেটা দেখতে পেয়ে কিছুটা বুঝতে পেরেছে সে,



"এইটা সেই জায়গা নয় যেখানে আমার যাওয়ার কথা। সব কিছু বানরটার জন্য হয়েছে। একবার আমার হাতে লাগুক"



জ্যাক আকাশের দিকে তাকিয়ে কথাটা বলতে লাগলো। তার মন অনেকটা ভারী হয়ে গেলো। বানরটার কথা ভুল ছিলো না। একটা সাগরের মধ্যে তাকে বাচ্চা একটা মাছই মনে হচ্ছে নিজেকে। জ্যাকের সমস্ত ক্ষমতা থাকলেও হয়তো সে একটা ছোট মাছ ছাড়া তেমন কিছু হতো না। কিন্তু এমন নয় যে ছোট মাছ বড় হতে পারে না। সময় দিলে ছোট মাছটাও এক সময়ে বড় শার্কে পরিনত হতে পাবে।



-->>চলো জিতু। আমাদের গন্তব্য স্থলে আমরা চলে এসেছি।(জ্যাক)



প্রধান চৌধুরী বাড়ির সামনে জ্যাক এবং জিতু এসে দাড়িয়েছে। যদিও অনেকটা দূরে আড়ালে আছে তারপরও সামনে বলা যায়। চৌধুরী বাড়িতে অনেক গার্ড রয়েছে যেটা স্বাভাবিক। কারন এরিয়া এক্সের সবচেয়ে ধনী পরিবারই চৌধুরী। শুধু এরিয়া এক্সের মধ্যে নয়। অন্যান্য এরিয়া দেখলেও চৌধুরীদের স্থান অনেকটা উপরেই আছে। তাই অধিক গার্ড থাকাটা স্বাভাবিক। রিচুয়াল এর কারনে এসোসিয়েশান এর সকল গার্ড চলে গিয়েছে। এসোসিয়েশান রিচুয়ালের মধ্যে নাক গলাবে না। তাই সকল ধনী ব্যক্তিদের এসোসিয়েশানের গার্ড ছেড়ে চলে গিয়েছে। 


যদিও এসোসিয়েশান এর গার্ডরা সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, কারন তারা এবিলিটি ইউজার হয়ে থাকে। সাধারন ভাবে সবাই ধারনা করে স্পেশাল মানুষ গুলোই স্পেশাল এবিলিটি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু সেটা মূলত মিথ্যা। রিচুয়ালের পরে সবার স্মৃতি মুছে দেওয়া হয় বলে এটা ধারনা করে সবাই। রিচুয়ালের প্রথম টেস্টে যদি কোনো প্লেয়ার অংশ নিয়ে পাশ করতে পারে কোনো ভাবে, তাহলে তারা এসোসিয়েশান এ প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। যদি দ্বিতীয় টেস্টে তারা পাশ না করতে পেরে বেঁচে যায় তাহলে তাদের জায়গা এসোসিয়েশানে হয়ে থাকে। তবে খুব কম সংখ্যক মানুষই দেখা যায় যারা দ্বিতীয় টেস্টে বেঁচে যায়, তাই এসোসিয়েশানে তেমন বেশী গার্ড দেখা যায় না।


জ্যাক এসব বিষয়ে তেমন জানে না। তবে সে একটা জিনিস জানে তার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী এসোসিয়েশান এর স্পেশাল ক্ষমতা ব্যবহারকারীদের সাথে জিততে পারবে না। তাই এসোসিয়েশান এর পদক্ষেপ ভালো লেগেছে তার কাছে।



-->>মাস্টার আমরা কোথায় দিয়ে যাবো ভিতরে?(জিতু)



জিতুর কৌতুহল মাখা প্রশ্ন। জ্যাক কি ভাবছে সেটা জিতু বুঝতে পারছে না। চৌধুরী বাড়িতে হামলা করা মোটেও সহজ হবে না। অন্তত পক্ষে জিতুর জন্য সম্ভব হবে না কখনো।



"কিন্তু যদি এটা মাস্টার জ্যাক হয় তাহলে নিশ্চয় সম্ভব হতে পারে।" (জিতু ভাবছে)



জিতু অপেক্ষা করছিলো জ্যাকের কিছু বলার জন্য। তবে জ্যাক জিতুকে আপাতোতো কিছু বলছে না। সামনা সামনি যদি আক্রমন করা হয় তাহলে কখনো বেঁচে ফিরতে পারবে না জ্যাক এটা নিশ্চিত। তাইতো এখানে আকাশের মেধা কাজে লাগাতে হবে। আকাশের স্মৃতি জ্যাকের কাছে থাকায় খুব সহজ হয়ে যাবে। মূলত জ্যাক চাচ্ছে না চৌধুরী বাড়িতে ঢুকে গনহত্যা করতে। বরং চুপচাপ আসল সম্পদের কাছে গিয়ে সেটা দখলে নেওয়া। এক কথায় এরিয়া এক্সের সবচেয়ে নিরাপদ এবং ভয়ানক বাসায় সে চুরি প্লান করছে।



"একটা চোর চুরি করার এক মাস পূর্ব হতে হয়তো প্লান করে যাতে চুরিটা সুন্দর ভাবে হয়। অনেকে তো এক/দুই বছর ও প্লান করে একটা ক্লিন চুরি জন্য। কিন্তু আমি এখানে চুরির কয়েক মিনিট পূর্বে প্লান করছি। চুরিটা সফল হলে হয়তো সকল চোরের গড হয়ে যাবো আমি।" (জ্যাক ভাবছে)




কাজটা আসলেই অনেক কষ্টের হয়ে যেতো কিন্তু জ্যাকের কাছে যেহেতু আকাশের স্মৃতি রয়েছে তাই এই বাসার মধ্যে ঢুকতে কোনো সমস্যা হবে না। ভিতরে মার্শাল আর্টিস্ট মাস্টার রয়েছে অনেক সেটা জ্যাক জানে কিন্তু সেটার জন্য জিতু রয়েছে। আর তাছাড়া একটা ভালো সোর্ড তার কাছে এখন আছে। তাই ফাইটে হারার কোনো প্রশ্নই আশে না।



-->>চলো আমরা পিছন দিক দিয়ে ঢুকবো।(জ্যাক)



জ্যাক জিতুকে নিয়ে পিছন দিকে আসলো চৌধুরী বাড়ির। জ্যাকের মুখে পূর্ব থেকে একটা মাক্স রয়েছে। জিতুর পরিচয় লুকানোর জন্য আরেকটা মাক্স কিনেছে তারা এখানে আসার পূর্বে। দুজনের পরিচয় লুকানোর দরকার আপাতোতো সময়ের জন্য। একটা বড় হাত যদি এখানে মারা যায় তাহলে পরে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। জ্যাক চাইলে তার আকাশ পরিচয় নিয়ে কলেজের মধ্যেই তখন থাকতে পারবে যেহেতু কলেজ একটা সেফ জোন।



-->>মাস্টার এসব কিছু কি ঠিক হবে? আমি আপনার লেভেলে না পৌছাতে পারলেও বাড়ির ভিতর থেকে বেশ কিছু মাস্টার লেভেলের এনার্জি অনুভব করতে পারছি। যদিও মাস্টার আপনি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু অনেক গুলো মাস্টার লেভেল মার্শাল আর্টিস্টের সামনে পরলে সমস্যা হতে পারে।(জিতু)



জ্যাক জিতুর কথা বুঝতে পারলো। জিতু অনেক চিন্তা করছে। চিন্তার মূল কারন জ্যাক এবং তার নিজের সুরক্ষা নিয়েই। জ্যাক যদিও জিতুর মতো এনার্জি অনুভব করতে পারে না, তবে বেশ একটা ধক ধক ফিলিংস সে অনুভব করতে পারছে। ঠিক যেমনটা সে জিতুর সাথে ফাইট করার সময় অনুভব করেছিলো।



-->>তোমালে কোনো চিন্তা করতে হবে না। শুধু আমার সাথে আসো তুমি।(জ্যাক)



পিছনে পারিবারিক কবর স্থান ছিলো চৌধুরী পরিবারের। চৌধুরীরা অনেক বড় একটা পরিবার। তাই তাদের বাসাটাও অনেক বিশাল। দুটো ব্রাঞ্চ তৈরী হয়েছে এখন। একটা শহরের মধ্যখানে যেখানে আফিফ চৌধুরী একা তার স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে থাকে আর অন্যটায় বাকি চৌধুরা থাকে। জ্যাক তার প্রধান বাসায় আসে নি। আফিফ চৌধুরী যেখানে থাকে মূলত আকাশ সেখানেই থাকতো তার পরিবার নিয়ে। তবে সেখানে কিছু নাই বললেই চলে। 



"আফিফ চৌধুরী অনেক চালাক এক ব্যক্তি। আসিফ চৌধুরীর সম্পদ দুই ভাবে রাখা ছিলো। প্রধানত সকল অর্থ তার ক্রেডিটে ছিলো। এবং পরিবারের সম্পদ একটা ভল্টের মধ্যে রাখা ছিলো। আকাশের বাবা আসিফ চৌধুরী মারা যাবার পর আইন অনুযায়ী আসিফের সকল অর্থ আফিফ চৌধুরী লাভ করে কিন্তু সম্পদ না পেলেও সেটা ছেড়ে দেই নি।"(জ্যাক ভাবছে)




এই বিশাল জায়গার মধ্যে অনেক গার্ড রয়েছে। যার একটা মানে বোঝায় আফিফ চৌধুরী ভল্টের জন্য সিকিউরিটি রেখেছে। চৌধুরী পরিবার সবচেয়ে ধনী কিভাবে? এমন নয় যে সকল সম্পদ শুধু আফিফ চৌধুরীর কাছেই আছে। পরিবারের হেড হিসাবে অবশ্যই তার কাছে সম্পদের পরিমান বেশী তবে পরিবারে তো সে একাই চৌধুরী নয়। চৌধুরী পরিবারের এই বাসা যেখানে সকল চৌধুরী বাস করে তাদের পরিবার নিয়ে। বিশাল একটা জায়গার মধ্যে অনেকগুলো বাসা তৈরী আছে প্রতিটা চৌধুরীর জন্য। আর প্রতি চৌধুরীই এখানে ধনী ব্যক্তি যাদের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। এজন্যই চৌধুরী পরিবারকে অনেক ধনী বলা হয়।



"আমি এখানে বাকিদের কিছু লুটতে আসে নি। শুধু আকাশের বাবার ভল্টটা লুটলেই হয়ে যাবে।"(জ্যাক)





পিছনের দিকে বড় একটা কবর স্থান রয়েছে যেখানে চৌধুরী পরিবারের অনেকেই শুয়ে আছে। এই জায়গাটা একটু ভুতুড়ে হওয়ায় এখানে গার্ডের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। কম বললে ভুল হবে এদিকে গার্ডের সংখ্যা নেই বললেই চলে। আকাশ এমনি কোনো কিছুতে গুরুত্ব দিতো না। তার বাবার অধোর সম্পত্তি ছিলো তাই খরচ করা ছাড়া আর কোনো কাজই সে করতো না। তবে তার স্মৃতিতে খুব ভালো জিনিসই আছে।


আসিফ চৌধুরী জীবনে অনেক খারাপ কাজ করেছে। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে এই দুনিয়ায় ভালো লোক আছে এটা বললে কেউই বিশ্বাস করবে না। প্রত্যেক ধনীই যত ভালো সাজার অভিনয় করুক না কেনো পিছন দিক দিয়ে দেখলে তার হাতেও ব্লাডের ছাপ পাওয়া যাবে। যদিও আসিফ চৌধুরী তার সব কিছু তার পরিবারের জন্য করেছিলো তবে আজ সেই পরিবার পথের মধ্যে। আকাশের মা মারা যায় আকাশ ছোট থাকার সময়েই। আর আসিফ চৌধুরী এক মাস পূর্বে। আকাশের বাবা মারা যাওয়ার পর সকল কিছু তার চাচা দখল করে নিলোও কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ছিলো যেটা শুধু আকাশ নিজেই জানতো। আর তার মধ্যেই একটা এই কবর স্থান। এই কবরস্থান প্রায় সাত বছর পূর্বে বানানো হয়েছিলো। এমন নয় যে এই সময়ে একশোর অধিক চৌধুরী মারা গিয়েছে, তবে একশোর অধিক মানুষ মাটি চাপা দেওয়া আছে এখানে। অনেকেই বিষয় টা সন্দেহ করবে না। তাই তো আসিফ চৌধুরী এখানেই একটা গোপন রাস্তা তৈরী করেছিলো। যেটা সোজা চৌধুরী বাড়ির ভল্টের মধ্যে যুক্ত হয় এবং সেখানেই আসিফ চৌধুরীর সমস্ত সম্পদ রয়েছে অর্থ বাদে। আর সেইসব আকাশের জন্যই অপেক্ষা করছে।



"আকাশ বললে ভুল হবে। আমি জ্যাকের জন্য সেসব অপেক্ষা করছে।" (জ্যাক)




আকাশের স্মৃতির সাহায্যে জ্যাক পনেরো নম্বর কবরের সামনে গেলো এবং নিজের সোর্ডটা বের করে কবরের উপরে ঢুকিয়ে দিলো। উপরে সিমেন্ট করা ছিলো বিধায় জ্যাকের শক্তিশালী সোর্ড কিছুই করতে পারলো না। তবে এমন নয় যে জ্যাক কোনো প্লান করে আসে নি। সে জিতুর দিকে তাকালো,



-->>মাস্টার আমি বুঝতে পেরেছি। আপনি ভাঙলে অনেক বড় ধ্বংসাত্মক শক্তি বের হবে। তাই এটা আমার উপরে ছেড়ে দিন।(জিতু)




জিতু বুঝতে পারলো জ্যাক কেনো তাকে এখানে এনেছে। সে ভাবছে মাস্টার জ্যাক এতোটা শক্তিশালী যে এটা ভাঙলে হয়তো তার শব্দে সকল গার্ড চলে আসবে। যেহেতু জিতু এতোটাও শক্তিশালী নয় তাই হালকা মাধ্যমে কাজটা হয়ে যাবে। প্রতিটা মুহুর্তে জ্যাকের প্রতি জিতুর সম্মান বারছে এবং বেরেই চলেছে।


জিতু তার হাতে এনার্জি সংগ্রহ করতে লাগলো। এবং তার স্কিল বা টেকনিক "এক্সট্রিম ফিস্ট" ব্যবহার করলো সিমেন্টের উপরে। এক ঘুষিতে পুরো সিমেন্টের তৈরী প্লাটফর্ম ভেঙে গেলো এবং একটা গুপ্ত দরজা বেরিয়ে গেলো তাদের সামনে। দরজাটা খোলার সাথে সাথে একটা সিড়ি দেখা গেলো যেটা একদম নিচের দিকে চলে যাচ্ছে।



-->>তো জিতু চলো যাওয়া যাক।(জ্যাক)





* * *


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন। ফাইটের অপেক্ষায় আছেন অনেকেই আমি জানি। আরেকটু অপেক্ষা করেন, কারন এই গল্পে এতো ফাইট থাকবে যে পরে আপনারাই ক্লান্ত হয়ে যাবেন।


About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

6 comments

  1. Arey vai atoh clean babe bujanor dorkar nai olpo te oii amra bujte parbo... Tomi bujaite bujaite poro part complete kore feltaso....part gula boro kore dioo and please atoh bujanor dorkar nai🥴🥴
  2. এতো বুঝানোর দরকার কি...যেভাবে বুঝাও তাতে তো আমরা বরিং হয়ে যাই.. আর একটা বিষয় নিয়ে বার বার আলোচনা করো. এতেই গল্পটা খারাপ লাগে..
  3. inshallah opekkhai achi fight er jonno
  4. Vaiya khub valo hoice?
  5. Awesome ❤️❤️
  6. খুব বোরিং গল্প আর এতো পেচানো গল্প কখনো পরি নাই এটার থেকে ওইটা খুব ভালো ছিলো আর ডিমন কিং ও ভালো তবে লেখক গল্প অনেক কষ্ট করে লেখেন তাই একটু সুন্দর ও রোমান্টিক হলে ভালো লাগবে
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.