আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্ব: ৪৬

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [গল্পটা পুরো কাল্পনিক, বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]


#Demon_King#


লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী


পর্বঃ৪৬




মেফাস ক্যাপিটালের থেকে কিছুটা দূরে,



ঘোড়ার গাড়িতে দুজন ব্যক্তি বসে ছিলো। যাদের একজন টাওয়ার থেকে আসা একজন ইনসাইডার যার নাম হাইক এবং অন্যজন হান্টার এসোসিয়েশান এর এক হান্টার যে হাইকের গাইড হিসাবে এসেছে। হাইক অনেকটা সতর্ক ছিলো কারন সে একটা এনার্জি অনুভব করতে পারছিলো। সাধারন তিন এনার্জির বদলেও বেশ কিছু ছোট ছোট এনার্জি রয়েছে। যার মধ্যে ব্লাডলাস্ট একটা। যখন কেউ একজন ব্যক্তিকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হয় বা নিজের মনকে তৈরী করে তখন তার শরীর থেকে একটা অউরার মতোই এনার্জি বের হতে থাকে। এটাকে ব্লাডলাস্ট বলা হয়। একজন ব্যক্তি যত খুনের জন্য পাগল হবে তার ব্লাডলাস্টও বেশী হয়। আর হাইক অনুভব করছে তাদের পিছন থেকে অতিরিক্ত আকারের ব্লাডলাস্ট।



"আমি হাই লেভেল মনস্টারদের থেকেও এরকম ব্লাডলাস্ট অনুভব করি নি?" (হাইক ভাবছে)



হাইকের হাত পা কাপতে শুরু করেছে। সে বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে। যদিও তার কাছে টাওয়ারের শক্তিশালী আইটেম রয়েছে তারপরও সে সাহস করতে পারছে না। ব্লাডলাস্ট এনার্জি এমন একটা এনার্জি যে প্রতিপক্ষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করে। যদি প্রথম ব্যক্তির থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তি বেশী শক্তিশালী হয় তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তির ব্লাডলাস্ট এ প্রথম ব্যক্তির মনে ভয় তৈরী হবে। যেমনটা বনের শক্তিশালী পশুর দেখলে দুর্বল পশুরা ভয় পায় তেমনই।


হাইক ভয় পাওয়া সত্ত্বেও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতে লাগলো। যেহেতু সে টাওয়ারের বাইরে আছে তাই এখানে তার নিজের চেহারা সে নষ্ট করতে চাই না। টাওয়ারের মধ্যে অনেক নাম রয়েছে হাইকের, তাই একটা দুর্বল হান্টারের সামনে নিজের সম্মান সে হারাতে চাই না। যেহেতু তার সামনের হান্টার এসবের কিছুই না বুঝতে পেরে আরামে খাচ্ছে তাই হাইক বুঝতে পারলো,



"নিশ্চয় অনেক দুর্বল হবে। তাই তো এতো শক্তিশালী এনার্জিও অনুভব করতে পারছে না।" (হাইক ভাবছে)




হাইকের চিন্তা হঠাৎ থেমে গেলো। সে একজন উচ্চ লেভেলের অউরা ইউজার হওয়ার ফলে এনার্জি একটু ভালো ভাবেই অনুভব করতে পারে। তাই এনার্জি ভিত্তিক বেশ কিছু আক্রমন সে অনেক সময় প্রথম থেকেই বুঝতে পারে। তাই তো সে তার হাতের স্টোরেজ রিং থেকে একটা ড্যাগার বের করলো। ড্যাগারটা তার হাতে জ্বলতে লাগলো। হাইক সময় নষ্ট না করে গাড়ির কাঠের দেওয়ালের দুটো স্লাশ দিলো তার ড্যাগার দিয়ে। এবং সেখান দিয়ে সে লাফিয়ে বেরিয়ে গেলো।


তখনি একটা কালো লাইটনিং ঘোড়ার গাড়িটার উপরে লাগলো। যেটার ফলে গাড়িটা চূর্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। হাইক হাফ ছেড়ে বাচলো। লাইটনিং টা এতো শক্তিশালী ছিলো যে সেটা তার শরীরে লাগলে সে নিজে ছাই হয়ে যেতো। সে আপাতোতো গাড়ির দিকে নজর দিলো না। কারন নিশ্চিত গাড়ির চালক এবং হান্টারটা মারা গিয়েছে এতো ক্ষনে। সে পিছনের দিকে তাকালো। যেদিক থেকে লাইটনিংটা এসেছে সেদিকে তাকালো হাইক। দুজন হুড পরা ব্যক্তি তার দিকেই এগিয়ে আসছে। হুডের যে কাপড় সেটার দ্বারা সারা শরীর ঢাকা রয়েছে বিধায় তাদের চেহারা দেখা যাচ্ছিলো না। দুজনের একজনের হাত থেকে হালকা ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিলো,  তাতেই বোঝা যাচ্ছে স্পেলটা সেই ব্যক্তি ব্যবহার করেছে।



"আমি ভাবিও নি এখানে একজন শক্তিশালী মানা ইউজারের সাথে দেখা হবে। কিন্তু আমার পিছনেই পরলো কেনো? টাওয়ার থেকে কি কেউ আমাকে হত্যার কন্ট্রাক দিয়েছে? আমি বুঝতে পারছি না। নাকি বাকি দুজন চাবির হোস্ট এরা? না তাহলে তো আমারটা সতর্ক করতো।" (হাইক ভাবছে)




হঠাৎ হাইকের ড্যাগার থেকে একটা আওয়াজ হাইকের কানে আসতে লাগলো। আওয়াজটা একটা বাচ্চা মেয়ের মনে হচ্ছিলো। মেয়েটা ভয় পেয়েছে এমন গলায় কথা বলছে,



-->>মাস্টার, এরা অনেক ভয়ানক। আমি এদের থেকে ডেভিলিস এনার্জি অনুভব করতে পারছি। আমার মনে হয় না আমি আমার বোনকে ছাড়া এদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবো।



ড্যাগারের কথা শুনে হাইক আরো চিন্তায় পরে গেলো। এটা ডিম্যান প্রিন্স বিলজবাব এর চতুর্থ চাবী। আজ হাইক এতো শক্তিশালী হয়েছে শুধু এই ড্যাগারের জন্যই। ড্যাগারটার একটা ক্ষমতা রয়েছে যেটার ফলে খুব তারাতারি হাইকে টাওয়ারের উচ্চতায় উঠতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটা জীবিত বস্তুর ব্লাড এবজোর্ব করতে পারে এই ড্যাগার। যার অর্ধেক হাইকের শরীর শক্তিশালী হতে ব্যবহৃত হয় এবং বাকিটা ড্যাগার নিজের শক্তির জন্য ব্যবহার করে। আজ পর্যন্ত কোনো শত্রুর সামনে তাকে হারতে হয় নি এই ড্যাগারের জন্য। কিন্তু সেই ড্যাগার বলছে সে কিছু করতে পারবে না।



"তাহলে কতটা শক্তিশালী এই দুইজন?"(হাইক ভাবছে)




অন্যদিকে, দুজন ব্যক্তি এমোরাস এবং জেমেরাস। তারা আস্তে আস্তে হাইকের কাছে চলে আসলো। এমোরাস চুপ রইলো। জেমোরাস কথা বলতে শুরু করলো। একটু পূর্বে সেই তার একটা লাইটনিং স্পেল ব্যবহার করেছে।



-->>আমি ভেবেছিলাম আমার এক স্পেলেই কাজটা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখানের মানুষরা আসলেই অনেকটা শক্তিশালী।(জেমোরাস)




হাইক বুঝে উঠতে পারছে না সে কি করবে। তার হাত পা কাপছে। তার মনে হচ্ছিলো সে দুটো মনস্টার দেখছে যাদের সে কখনোই হারাতে পারবে না। তার চোখে দুজন ডেভিলকে মনে হচ্ছিলো কোনো এনার্জির সাগর। দুজনের শরীর থেকে কালো এনার্জি বের হচ্ছিলো যেটা পুরো আকাশ পর্যন্ত উঠে যাচ্ছিলো। হাইক বুঝতে পারছে না কি করবে। কিন্তু তাকে কিছু তো করতে হবে।



"না আমাকে ভয় পেলে হবে না। আমাকে বাকি চাবি গুলো সংগ্রহ করতে হবে। সেই সাথে আমার স্বপ্নটা পূরন করতে হবে খুব তারাতারি।" (হাইক ভাবছে)




অন্যদিকে,


কিছুটা দূরে জেমোরাসের লাইটনিং স্পেলের ফলে ঘোড়ার গাড়িটা ছাই হয়ে গিয়েছে। শেষ সময়ে এলমন্ড গাড়ির চালককে কোনো রকমে বাঁচিয়ে নিজেদের গোপন রেখেছিলো।



-->>আমি ভাবলাম ভালো একটা সো দেখতে পারবো। কিন্তু ছেলেটা এতোটা দুর্বল হবে ভাবতে পারি নি। এর থেকে তো আমার এলেক্স এখানে থাকলেও সাহস নিয়ে দাড়িয়ে থাকতো।(এলমন্ড)



এলমন্ড প্রথমে একটা ফাইট দেখতে চাচ্ছিলো কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সে জানে এক সেকেন্ডেই ছেলেটার ফাইট শেষ হয়ে যাবে তাই সে অপেক্ষা করতে লাগলো। হঠাৎ এলমন্ডের নজরে হাইকের হাতের ড্যাগারটা নজরে পরলো।



-->>ওহো। এলেক্সের জন্মদিন আসছে শীঘ্রই। আর ওর টেস্টও শেষ হচ্ছে। ছেলেটা অনেক কষ্ট করছে আমার। একটা পুরস্কার তো তাকে দেওয়ায় যায়।(এলমন্ড)




এলমন্ড অপেক্ষা করতে লাগলো তাদের ফাইটের। কিন্তু আশ্চর্যকর কিছু একটা তার সামনে হয়ে গেলো।



এমোরাস অপেক্ষা করা পছন্দ করে না। জেমোরাস তার শত্রুদের সাথে সব সময় মজা করতে পছন্দ করে। শত্রুদের হত্যার পূর্বে সব সময় সে মজা নিয়ে কষ্ট দিয়ে হত্যা করে। তবে এমোরাস সেরকম নয়। সে বারতি সময় একটা দুর্বল মানুষকে হত্যা করতে কাটাতে চাই না। তাই তো জেমোরাসের কথার মধ্যে সে এক মুহুর্তের মধ্যেই কয়েক মিটার জায়গা পার করে হাইকের সামনে চলে আসলো। সে তার হাত দিয়ে সোজা হাইকের পুরো মুখ সহ মাথা ধরে ফেললো। এবং সেটাকে সোজা মাটিতে মারলো। হয়তো হাইক মারায় যেতো যদি না তার ড্যাগার সাধারন একটা হতো।


শেষ সময়ে হাইকের শরীরে একটা ব্যারিয়ার তৈরী হলো যেটা এমোরাসের শরীরকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দিলো। হাইক বুঝতে পারলো তার সোর্ড তাকে সুরক্ষা করেছে। কিন্তু এটা কি যথেষ্ঠ ছিলো? হাইকের মাথা এতো যন্ত্রনা করছে যে সেটা ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিলো। এমোরাস তার মাথাকে এতো জোরে ধরেছিলো যে আরেকটু হলে হাইকের পুরো মাথা ভেঙে গুড়ো গুড়ো হয়ে যেতো। তবে যন্ত্রনার মধ্যেও সে চেঁচিয়ে উঠলো।



-->>আমার স্বপ্নের মাঝে আমি কাউকে আস্তে দিবো না। ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে দুটো চাবি রয়েছে। সেটাকে নিজের করার পর এই ওয়ার্ল্ডের সবাই আমার পায়ের নিচে থাকবে। আহহহহহহহ।(হাইক)



হাইক তার এনার্জি সংগ্রহ করলো, এবং সেটাকে তার ড্যাগারের মধ্যে চ্যানেল করালো। তার এনার্জি এবং ড্যাগারের এনার্জি মিলে মারাত্মক পরিমানের একটা এনার্জি তৈরী হলো সেখানে। হাইকের এই স্কিল একটা নদীর পানিকে দ্বিখন্ডিত করার ক্ষমতা রাখে। আর এই দুটো অচেনা ব্যক্তি তো কিছুই না। হাইক জানে দুজন ব্যক্তি তার থেকেও শক্তিশালী। তাইতো প্রথমেই নিজের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষমতাটা ব্যবহার করছে সে। তা নাহলে পরের এট্যাকে নিশ্চয় মারা যাবে।



-->>"উইন্ড স্লাশ"




হাইক জোরে চেঁচিয়ে উঠলো। তার ছোট ড্যাগার নিয়ে সে এগিয়ে গেলো এমোরাসের দিকে। অনেক ভয়ানক একটা বাতাস চার দিক দিয়ে চলে আসলো। সেটা হাইকের চারপাশ দিয়ে গিরে ধরলো। অনেক টা পরিমান বাতাস তার হাতের ড্যাগারের চারপাশেও রইলো। হাইক এগিয়ে গিয়ে এমোরাসকে আক্রমন করলো। সে এমোরাসকে আক্রমন করে তার পিছনে চলে গেলো। তার ড্যাগার থেকে একটা অদৃশ্য ক্ষমতা বের হয়েছে। যেটা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। 


অউরা এনার্জি বাতাসের রূপ নিয়ে তার স্লাশের সামনে যা ছিলো সব কিছুকে কেটে ফেলেছে। রাস্তার পাশের যত গাছপালা ছিলো সব একদম সমান ভাবে কেটে নিচে পরে গেলো। সেই সাথে বড় একটা পাথর ছিলো অনেকটা দূরে যেটা কেটে দু টুকরো হয়ে গেলো। এই স্কিলটা আজ পর্যন্ত যে দেখেছে হাইকের থেকে কেউই জীবিত থাকে নি। তাই সে সিওর ছিলো যত শক্তিশালীই হোক না কেনো তার এই শত্রু। এটার পরে সে দাড়িয়ে থাকতে পারবে না।


হাইক পিছনে ফিরলো। সে ভাবতেও পারে নি সে কি দেখছে। এমোরাসের যাকে সে আক্রমন করেছিলো সে একদম ঠিক ঠাক দাড়িয়ে আছে। শুধু তার ডান হাতটা কেটে পরে গিয়েছে। তবে এমোরাস সেদিকে কোনো খেয়াল না দিয়ে ডান হাতটা উঠিয়ে কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিলো। সাথে সাথে হাতটা আবারো আগের মতো হয়ে যেতে লাগলো।



-->>কিন্তু কেনো? কিভাবে সম্ভব এটা? আমার সবচেয়ে শক্তিশালী স্কিল ছিলো এটা।(হাইক)



হাইক এবার আসলেই ভয় পাচ্ছে। তার সামনের ব্যক্তিটা মোটেও মানুষ নয়। হুড খুলে যাওয়ার ফলে তার চেহারা স্পষ্ট দেখতে পারছিলো হাইক। মানুষের মতো ফিগার হলেও মোটেও মানুষ নয় তার সামনের ব্যক্তির।



-->>একটা মনস্টার!(হাইক)



হাইক টাওয়ারের বর্তমান উচু ফ্লোরে গেলেও কখনো এই রকম মনস্টার দেখে নি। না এটা টাওয়ারের কোনো মনস্টার হতেই পারে না। সে কি করবে বুঝতে পারছিলো না। তার সকল কিছু ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছিলো।



-->>মাস্টার, আপনি পালিয়ে যান।



-->>মাস্টারের জীবন শঙ্কায় আছে।




হাইক তার কানে ড্যাগারের কথা শুনতে পাচ্ছিলো। একটা বাচ্চা যেটার আওয়াজ সে ড্যাগারটা পাওয়ার পর থেকেই শুনতে পাচ্ছিলো, সে কান্না মাখা স্বরে হাইককে এখান থেকে পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করতে বলছে। কিন্তু হাইকের পা শক্ত হয়ে গিয়েছে, সে নরাচরা করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। একে তো তার শক্তিশালী স্কিল কোনো কাজে লাগে নি আর অন্যদিকে স্কিলটা ব্যবহারের ফলে সকল এনার্জি হারিয়ে হাইক ওঠার শক্তিও পাচ্ছে না।



-->>আমার এসব সময় নষ্ট করা মোটেও ভালো লাগে না। জেমোরাস, ওকে হত্যা করে ওর থেকে ড্যাগারটা নিয়ে চলো। আমরা অনেক ভালো একটা ইনফরমেশন পেয়েছি।(এমোরাস)



হাইক টাওয়ার থেকে এক ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছে তার খোজ কৃত ব্যক্তি টাওয়ারের বাইরে রয়েছে। দুজনেই অনেক দুর্বল তাই হারানো কোনো ব্যাপার হবে না তাদের। লোকটা নিজেকে ওরাক্যাল বলে দাবি করেছিলো, যে ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। হাইকের সন্ধান ছিলো বাকি চার চাবির। তাই ওরাক্যাল নামক ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য পেয়েই সে সোজা চলে আসে। ওরাক্যালের নির্দেশনা অনুযায়া এই ডিমনিক ফরেস্ট নামক জায়গার মধ্যে তাদের পাওয়া যাবে। এমোরাসের সাথে লড়ার সম্য উত্তেজিত হয়ে সে এটা এমোরাসকে বলে দিয়েছে। যার ফলে দুই ডেভিলই অনেক ভালো একটা ইনফরমেশন পেয়েছে ফ্রিতে।



-->>এমোরাস যেহেতু সিরিয়াস হয়ে আছে। তাই তোমার মৃত্যুটা আমি কম যন্ত্রনা দিয়ে নিচ্ছি।(জেমোরাস)



ছোট ডেভিল ভাইয়ের মুখে একটা পৈচাশিক হাসি ফুটে উঠলো। 



ফুফুহফুফুহ



হাসির সাথে সে তার হাত হাইকের মাথার দিকে রাখলো। এবার সে তার স্পেল কাস্ট করতে যাচ্ছে। তার হাতে হঠাৎ লাইটনিং দেখা যাচ্ছিলো। এমন মনে হচ্ছিলো কোনো স্পেল সে পড়েই নি বা উচ্চারন করে নি। কোনো কথা ছাড়ায় লাইটনিং তৈরী হলো ডেভিলটার হাতে। হাইক তার সামনের ব্যক্তিটার দিকে তাকালো মাথা উচু করে। সে নরতে পারছে না।



"হয়তো এটায় আমার শেষ।" (হাইক)




-বুম বুম খাবুম-



বিশাল একটা ব্লাস্ট হলো সেখানে। কি হয়েছে সবাই কনফিউশনে ছিলো। এমোরাস প্রথমে ভেবেছিলো হয়তো তার ভাই বড় একটা স্পেল ব্যবহার করে ফেলছে। যেহেতু সে পিছনে রেখে চলে যাচ্ছিলো তাদের। কিন্তু হঠাৎ তার ভাইয়ের এনার্জি সে অনুভর করতে পারছিলো না। কি হয়েছে বোঝার জন্য সে আবার পিছনে ফিরলো। চারিদিকে ধোঁয়া রয়েছে, তাই এমোরাস কিছুই দেখতে পাচ্ছিলো না। তবে সে নিশ্চিত তার ভাইয়ের এনার্জি সে অনুভব করতে পারছে না। একটু এনার্জিও না। 



"এটা কখনো সম্ভব নয়। ওর মতো ছেলে কিভাবে জেমোরাসকে? না না এটা অন্য কেউ।" (এমোরাস ভাবছে)



এমোরাস ভালো ভাবে লক্ষ করলো। যেহেতু সে উচ্চ লেভেল একটা প্রানী তাই অনেক দূর পর্যন্ত ক্লিয়ার দেখতে এবং শুনতে পাই। যেখানে ব্লাস্ট হয়েছে সেখানে ধোঁয়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার পরে দেখা গেলো একটা লম্বা ব্যক্তি দাড়িয়ে আছে দুজনের মাঝখানে। লোকটার ডান হাত জেমোরাসের গলাকে ধরে তাকে উচু করে রেখেছে এবং বাম হাত দিয়ে হাইক নামক ছেলেটার মাথা ধরে আছে।



-->>আমি ভাবছিলাম টাওয়ার থেকে হঠাৎ কেউ এখন ডিমনিক ফরেস্টে প্রবেশ করতে চাইবে কেনো? পরে মনে পরলো আমার ছেলেও তো সেখানে আছে।(এলমন্ড)



এলমন্ড কথাটা বলেই বাম হাত মুঠো করলো সাথে সাথে হাইকের মাথাটা একদম গুড়ো গুড়ো হয়ে গেলো তার হাতের মধ্যে। রক্তে পুরো হাত মাখিয়ে গেলো তার। যদিও সাধারন একটা মানুষের এই সময়ে কিছুটা হলেও মায়া কিংবা অপেক্ষা দেখা যেতো। কিন্তু এলমন্ড পুরো একটা মনস্টারের মতো কোনো সময়ই দিলো না। হাইকের শরীর পরে গেলো পাশে। এলমন্ড তার বাম হাতের কিছুটা ব্লাড তার মুখে দিলো।



-->>কতদিন হলো মানুষের ব্লাড খাওয়া হয় না? ওয়েল মারিয়া নিশ্চয় রাগারাগি করবে কিন্তু এলেক্সের সুরক্ষার ছুতো তো দিতেই পারবো।(এলমন্ড)



ধোয়ার মধ্যে এলমন্ডের বিশাল শরীরকে একটা মনস্টারের থেকে কম লাগছে না। তার কালো চুল গুলো হলুদ কালারে পরিনত হয়েছে। পূর্বে তার চোখ দুটো নীল থেকে লাল কালারে পরিনত হয়েছে। তার শরীর বিশাল দেখতে হলেও একটা বাচ্চার মতো তার চেহারা যেটা অনেকটা এলেক্সের সাথে মিলে যাচ্ছে। তার ডান হাতে জেমোরাস নাম ডেভিল ছিলো। সেটাকে এতোক্ষন গলায় ধরে উচু করে রেখেছিলো এলমন্ড। কিন্তু এখন ফেলে দিলো। বেশ কিছু হাড্ডি পরে গেলো নিচে। জেমোরাসের এই অবস্থা দেখে তার ভাই এমোরাস অনেকটা রেগে গেলো। ডেভিলদের মধ্যে আহামরি বলতে কিছু নেই। লড়াই করে তাদের আপন জন মারা গেলে তাদের প্রতিশোধ তার জীবন দিয়ে হলেও নিয়ে থাকে। 



"এইটা কি এনজোর্বশন? না মাস্টারের বলা মতো তো এখানে এমন কেউ থাকতে পারে না।"



এমোরাসের রাগে শরীর কাপছিলো। কিন্তু সে কি করবে বুঝতে পারছে না। তার সামনে যে ব্যক্তি দাড়িয়ে আছে তার থেকে কোনো এনার্জি সে অনুভব করতে পারছে না। একদম নরমাল একটা ব্যক্তি। সাধারন সময়ে হয়তো সে একটা সাধারন মানুষ মনে করতো এলমন্ডকে। কিন্তু সে তার ভাইকে এক আঘাতে হত্যা করে ফেলেছে। হত্যা বললে ফুল হবে। তাই ভাইয়ের পুরো লাইফ এনার্জি এবজোর্ব করে নিয়েছে।



"ওয়েট হলুদ চুল কালো, লাল চোখ এবং লাইফ এনার্জি এবজোর্ব করার ক্ষমতা। নিশ্চয়ই ভ্যাম্পায়ার ওয়ার্ল্ডের কেউ হবে।" (এমোরাস হঠাৎ ভাবতে লাগলো)




-->>আপনি মেইন টাওয়ার থেকে এসেছেন?(এমোরাস)



এমোরাস পালানোর চেষ্টা করছিলো। কারন যদি তার সামনের লোকটা মেইন টাওয়ার থেকে আসে তাহলে অবশ্যই দুর্বল কোনো ব্যক্তি না। কারন এমোরাসের কাছেও ক্ষমতা নেই স্বইচ্ছায় মেইন টাওয়ার থেকে বের হওয়ার। এখানে আসা তো শুধু তার মাস্টারের জন্য সম্ভব হয়েছে। তাই সে তার সামনের লোকটার সাথে কথা বলে একটা সুযোগ খোজার চেষ্টা করছিলো।



-->>আশা করি নি একটা ডেভিল হওয়ার পরও আমাকে চিনতে পারবে। অবশ্যই উচ্চ লেভেল একটা ডেভিল তুমি। কিন্তু ভাগ্য খারাপ তোমার। কারন আমি ভ্যাম্পায়ার ওয়ার্ল্ড থেকে আসি নি। আসলে নয়তো পালানোর সুযোগ পেতে।(এলমন্ড)




এমোরাস বুঝতে পারলো তার সামনের ব্যক্তিটা কে হতে পারে। তার পালানোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সে যতই চেষ্টা করুক তার সামনের ব্যক্তি একটা মনস্টার ছাড়া আর কিছু না। এলমন্ড তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলো এমোরাসের দিকে। এমোরাস বুঝলো এলমন্ড তাকে হত্যা করবে। তাই সে তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে লাগলো। এনার্জি এমোরাসের চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে লাগলো। সাথে সাথে দুইশো মিটারের মতো জায়গা ধ্বংস হয়ে গেলো। এমোরাসের এনার্জির প্রেসারের ফলে সে জায়গার মধ্যে অনেক বড় একটা গর্ত তৈরী হয়ে গেলো। হ্যা এটা গ্রাভিটি কন্ট্রোল ছিলো। এমোরাসের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষমতা। যেটা তার মাস্টারের জন্য হলেও কিছুটা সমস্যা তৈরী করে। 


চারিদিকে অনেক ভারি গ্রাভিটির প্রেসার পরলো। যার ফলে প্রায় কয়েকশত মিটার জায়গা গর্ত হয়ে নিচে পরে গিয়েছে তারা। এই প্রেসারের মধ্যেও এলমন্ড স্বাভাবিক ভাবে দাড়িয়ে আছে। সে তার হাতের আঙ্গুল এমোরাসের দিকে রেখে আছে এখনো। তার দিয়ে সে ইশারা করলো এমোরাসের দিকে। অনেকটা ডাক দেওয়ার মতো ইশারা। সাথে সাথে এমোরাস উড়তে উড়তে এলমন্ডের দিকে যেতে লাগলো।



-->>আমার বাচ্চাদের মতো খেলা করার সময় নেই। যেহেতু আমি আমার লিমিটার খুলেছি তাই এটা তারাতারি শেষ করতে হবে। তা নাহলে আবার আমার স্ত্রী রাগারাগি করবে।(এলমন্ড)




এমোরাসের গ্রাভিটির থেকে শত গুন শক্তিশালী একটা গ্রাভিটি এমোরাসকে তার শত্রুর দিকে টানছে। এমোরাস কিছুই করতে পারছে না। এলমন্ড সাথে সাথে এমোরাসের গলা ধরে ফেললো এবং কোনো সময় নষ্ট না করে তার লাইফ এনার্জি এবজোর্ব করতে লাগলো।



-->>আহহহহহ, এটাকে বলে শান্তি। অনেক দিন পর ডেভিলদের কালো ব্লাড।(এলমন্ড)




এমোরাসের সারা শরীর থেকে তার ব্লাড বের হতে শুরু করলো এবং সেটা এনার্জি হয়ে এলমন্ডের শরীরে প্রবেশ করতে লাগলো। সব শেষে শুধু এমোরাসের হাড্ডি ওয়ালা শরীরটা পরে রইলো। এবং শেষ সময়ে বড় একটা আহাকার।



-->>তাহলে আমার ছেলের জন্মদিনের উপহার হয়ে গেলো। ওয়েল এটাকে চুরি বলে না। খারাপ মানুষ হত্যার পরে তার লুট হত্যা কারীরই হয়।



এলমন্ড হাইকের সাথে থাকা ড্যাগারটা তুললো। এবং সেটাকে নিজের পকেটে রেখে দিলো। তার ছেলেটা একবার বলেছিলো একটা সর্ট সোর্ডের কথা। তখন সময় হয়েছিলো না তার জন্য। কিন্তু এখন সময় হয়েছে।



-->>এটা দিয়ে এলেক্স আরো শক্তিশালী হতে পারবে।





* * * * *


অন্যদিকে, 


(ডিমনিক ফরেস্টে)



এলেক্স হাটছিলো এবং একটা হাঁচি আসলো তার। 



-->>অবশ্যই আমাকে নিয়ে কেউ কথা বলছে।(এলেক্স)




* * *


To Be Continued 


* * * 




কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

12 comments

  1. ajke purai fatiye dichen vai ...
  2. Nice
  3. এলমন্ডের পাওয়ার দেখে পুরাই অবাক হয়েছি। তার সামনে এঁটো শক্তিশালী ডেবিল একমিনিত ও টিকতে পারলো না।
    ভবিষ্যতে তাহলে এলেক্সের পাওয়ার কেমন হবে । তা ভাবতেই শিহরিত ।


    এলেক্স তাহলে একটা চাবি ফ্রিতে পেয়ে গেল

  4. শুরুর দিকটা একটু বিরক্তিকর লাগলেও, মাঝখানে আসতে আসতে মাথা পুরা নষ্ট হয়ে গেছে।
    একদম আগুন লেগেছে পর্বের মধ্যের জায়গাটা 🔥
    এলেক্সের বাবাকে অনেকটা Invincible Tv shows এর Omni-Man এর মতো লেগেছে কিন্তু দারুন লেগেছে twist টা 😲🔥✌
    মনে হচ্ছে, এলেক্সের বাবা একাই ডিম‍্যান প্রিন্স বিলজবাবকে হারিয়ে দেবে⚔
  5. Awesome ❤️❤️
  6. Well বাবা ছেলের মাঝে এত মিল হয়তবা। বাস্তবিক অরথে বাবা হলেও এত টা মিল থাকতনা।।। এবং আলেক্স তাহলে ব্দিতীয় চাবি টা নিজের করে পাচ্ছে।। just wow
  7. Bhi re bhi ajker part ki chilo❤
  8. ajk tumi akdom fatiye diecho ... akdom ager feel pailam ...atodin besi explain korta tai kom valo lagto
  9. Ami kolponao korte pari ni je Alex ar babar ato poriman sokti ace
  10. Ajkar porbo ta shara silo bai. Ai rokom fight ar power wow.

    Ar Alex ar baba ashola ka ??
  11. Ai part ta khub vlo hoyce...❤❤❤
  12. I just obak hoye gechi bro,, oshadhron carry on 🥰🥰🥰🥰🥰
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.