আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্ব: ২০

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:২০


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


টাওয়ারের কোনো এক অংশে,



হালকা কালচে একটা জায়গার মধ্যে উড়ছে এক ব্যক্তি। দেখতে মানুষের মতো হলেও সে মানুষ নয়। সে সাত ডিম্যান প্রিন্সের মধ্যে প্রিন্স অফ গ্রিড। অতীতের লিজেন্ডে ডিম্যান প্যালেসে মোট সাত প্রিন্স ছিলো। যাদের সাতটা ভিন্ন ভিন্ন টাইটেল ছিলো। তাদের মধ্যেই একজন এই গ্রিড। সে তার আসল নাম পছন্দ করে না তাই টাইটেলের নামই ব্যবহার করে সব সময়। 


কালচে একটা স্পেসের মধ্যে গ্রিড উড়তে ছিলো। তার সামনে বিশাল একটা টিভির স্ক্রিনের মতো রয়েছে। যার মধ্যে রিচুয়ালে অংশ নেওয়া প্রতিটা প্লেয়ারকে দেখা যাচ্ছে। গ্রিড এই পৃথিবীতে থাকা টাওয়ারের এক মাত্র মালিক এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তাই তার নিয়ম অনুযায়ীই সব কিছু হয়ে থাকে টাওয়ারের মধ্যে।



-->>আমার হোস্টটাকে আমি ধন্যবাদ জানায়। যদি না সে একজন আসক্ত গেমার হতো। তাহলে আমি কখনোই এতো মানুষকে কন্ট্রোল করতে পারতাম না।(গ্রিড)



ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্রিড কখনো অন্যকে নিয়ে চিন্তা করে না। সব সময় নিজের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে কারন পুরো ইউনিভার্সে তার মতো লোভী দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নেই নেই। সে সাধারনত মানুষের সংস্পর্শে আশা পছন্দ করে না। কিন্তু একটা সুন্দর কন্ট্রাকের জন্য সপ গডদের সাহায্য করছে। গড যাদের অন্য ভাবে রুলার বলা হয়ে থাকে। তারা ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্রিডের মতোই কিছু অস্তিত্ব, তাই তাদের সাথে তৈরীকৃত কন্ট্রাকে অনেকটা লাভ হচ্ছে গ্রিডের। গ্রিড কখনো কোনো কাজ করে নি। তবে আজ দশ বছর হলো সব কাজ তাকেই করতে হচ্ছে।



-->>দশ বছর হলো আমি এই শরীর দখল করেছি। কিন্তু এখনো আমি এটাকে শক্তিশালী করতে পারছি না।(গ্রিড)



দশ বছর পূর্বে গ্রিড যখন প্রথম তার হোস্টের শরীর দখল করে তখন অনেকটা হতাশ হয়েছিলো। একটা ভিডিও গেম আসক্ত ছেলে যে গেমের পিছনে টাকা ব্যয় করার জন্য চুরি করতো সে বিশাল যুদ্ধের মধ্যে বেঁচে যায় অর্ধমৃত অবস্থায়। এবং তখনি সে গ্রিডের অস্তিত্ব অনুভব করে। গ্রিড ছেলেটার সাহস দেখে অনেক অবাক হয়েছিলো। যার কারনে তাকেই নিজের হোস্ট বানায় সে। ছেলেটা এতো সাহসী ছিলো যে বিশাল যুদ্ধের মধ্যেও সে টাকার লোভে ছিলো। তার একটা আশায় ছিলো যুদ্ধ শেষ হলে সমস্ত টাকা দিয়ে সে ভিডিও গেমস খেলবে। আর তখনি গ্রিডের আগমন। 


ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্রিড বাকি ছয় প্রিন্সদের থেকে একদম আলাদা। অনেকেই অনেক কিছু জানে না তার সম্পর্কে। শুধু সে নয় বাকি প্রিন্সদের মধ্যেও অনেক রহস্য রয়েছে যেটা অনেকের কাছেই অজানা। গ্রিড আপাতোতো তার হোস্টের পূর্ব স্মৃতির মাধ্যমে টাওয়ারকে খুব সুন্দর ভাবে কন্ট্রোল করতে পারছে।



-->>যদিও এক্সব্লক(মেইন টাওয়ার) এর ধারে কাছেও আমি যেতে পারবো না। তারপরও একজন ডিম্যান প্রিন্স হিসাবে আমার টাওয়ার বাকি প্রিন্সদের থেকে অনেকটা আলাদা।(গ্রিড)



গ্রিড উল্টো ভাবে উড়ছে আর মনিটর করছে রিচুয়ালের সকল প্লেয়ারদের। সে দেখতে আর নিজের সাথে নিজেই কথা বলছে। হঠাৎ তার নজর স্ক্রিনের এক কোথায় পরলো। যেটাকে একদম বড় করে সে দেখতে লাগলো।



-->>এরিয়া পি এর এমিলি? তাহলে গডেস এথিনা এতো তারাতারি একজন অ্যাভেটার বেছে নিয়েছে? কিন্তু সে তো চিট করছে। যাইহোক তার সাথে টক্কর দেওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই। তাই এটাকে গোপন রাখায় ভালো হবে আমার জন্য।(গ্রিড)



-->>আসলে আসল কাজ শুরু করা যাক। লাইভ স্ট্রিম চালু হেক।(গ্রিড)



গ্রিড তার টাওয়ারকে অনেকটা গেমের মতো তৈরী করেছে। অবশ্য এটা তার হোস্টের স্মৃতির জন্য সম্ভব হয়েছে। তার হোস্ট এতো পরিমান ভিডিও গেমস খেলেছে যে গ্রিড কিছু ভাবলেই গেমস নিয়ে ভাবে। তাই তো গডদের সাথের কন্ট্রাক তার জন্য সহজ হয়েছে। গ্রিডের কাজ তেমন বেশী কিছু না। শুধু মানুষদের কষ্টের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং সেটাকে ভিডিও করে সরাসরি গডদের দেখানো।



-->>ঔ বা* এর গডরা আসলেই অনেক বোরিং। যেদিকে আমরা ডিম্যান প্রিন্সরা ইউনিভার্স ডোমিনেশন করতে ব্যস্ত ছিলাম আর গডরা ব্যস্ত টিভি সো দেখতে।(গ্রিড)



গ্রিডের আদেশে ছোট ছোট বাদুরের মতো মনস্টার পুরো থেকে ছড়িয়ে পরলো। ছাব্বিশটা এরিয়ার মধ্যে সব গুলো ছোট বাদুর ছড়িয়ে পরলো। রিচুয়াল শুধু এরিয়া এক্সের মধ্যে হচ্ছিলো না বরং সব গুলো এরিয়ার মধ্যে হচ্ছিলো। তাই পঞ্চাশ হাজারের মতো বাদুর পাঠালো গ্রিড টাওয়ারের বাইরে। যেগুলোর ক্ষমতা রয়েছো ভিডিও রেকর্ড করা এবং গ্রিডের কাজ সেই ভিডিওকে সরাসরি লাইভ স্ট্রিম করা। 



-->>যাইহোক এবার যদি ভালো মিনারেলস না পাই এই বা* এর গডদের কাছ থেকে তাহলে আমি গ্রিড অবশ্যই মাঙ্কি কিং এর মতো তাদের ফ্লোরে আক্রমন করবো।(গ্রিড)




গ্রিডের মুখে একটা ভয়ঙ্কর হাসি ফুটে উঠলো। যেটা শুধু সে একাই দেখতে এবং শুনতে পাচ্ছে।




* * * 



জ্যাক এবং জিতু চৌধুরী বাড়িতে প্রবেশ করেছে। শহরে চৌধুরীদের দুটো বাড়ি রয়েছে। একটা যেখানে আসিফ চৌধুরী থাকতো তবে এখন তার ভাই আফিফ চৌধুরী থাকে। আরেকটা যেখানে এরিয়া এক্সের সমস্ত চৌধুরী একত্রে থাকে। একটা বিশাল জায়গা নিয়ে চৌধুরী পরিবারের সবাই থাকে। যেখানে প্রত্যেক ছোট পরিবারের জন্য আলাদা বাড়ি তৈরী আছে। অনেকটা একটা বিল্ডিং এ অনেকগুলো আলাদা ফ্লাটের মতোই৷ তবে এখানে পার্থক্য শুধু একটা বিশাল জায়গার মধ্যে অনেকগুলো বাসা।


এখানে অনেক গার্ড থাকায় জ্যাক জিতুকে নিয়ে পিছনের দিকটা দিয়ে প্রবেশ করেছে যেখানে একটা কবর স্থান রয়েছে। চৌধুরীদের এই বাড়িতে শুধু আফিফ চৌধুরীর গার্ড একা নয় বরং সকল চৌধুরীদের গার্ড রয়েছে। এরিয়া এক্স সহ অন্যান্য এরিয়াতে চৌধুরীরা এতো ধনী কেনো? কারন প্রত্যেক চৌধুরীরই অনেক বড় ব্যবসা আছে এবং সবাই আলাদা ভাবে ধনী। তাই তো সবাই অনেক শক্তিশালী গার্ডের ব্যবস্থা করেছে তাদের পরিবারের সুরক্ষা জন্য।


তবে জ্যাক আকাশ চৌধুরীর স্মৃতিকে কাজে লাগিয়ে পিছনের কবর স্থানে অনেক সহজেই পৌছে যায়। যেটা থেকে সে একটা গুপ্ত রাস্তা বের করে যেটা সম্পর্কে আকাশের বাবা বলেছিলো অনেক পূর্বে আকাশকে। জিতু এবং জ্যাক প্রবেশ করলো সেই গোপন রাস্তার মধ্যে। জ্যাক আসার সময় সকল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। দুটো টর্চা লাইট কিনে এনেছিলো জিতুর টাকা দিয়ে। যেহেতু নিজেরটা সব রিচার্জে চলে গিয়েছে তাই আপাতোতো জিতুর কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই তার। 



-->>মাস্টার জ্যাক, আমরা কি সঠিক জায়গায় যাচ্ছি? অনেক ক্ষন হলো শুধু হেটেই যাচ্ছি তো আমরা।(জিতু)




জিতুর কথা শুনে জ্যাক বুঝতে পারলো সে ভয় পাচ্ছে। জ্যাকেরও কিছুটা ভয় লাগছে এখন। যদিও সে এক সময় সকল ভয়কে জয় করেছিলো কিন্তু দুই ব্যক্তির আলাদা স্মৃতির কারনে সেও এখন সাধারন একটা মানুষ। তাই ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। 



-->>চিন্তা করো না। চৌধুরীদের তৈরী সবচেয়ে শক্তিশালী বাঙ্কার এটা। তাই কোনো সমস্যা হবে না। তুমি কি আসার সময় রাস্তাকে ভালো করে বন্ধ করেছো?(জ্যাক)



জ্যাক বুঝতে পেরেছে জিতু ভয় পাচ্ছিলো কোথায় যাচ্ছি বলে। দশ মিনিটের মতো সময় ধড়ে তারা সিঁড়ি বেয়ে নামছে কিন্তু সিঁড়ি শেষ হচ্ছেই না। দুজন ভিতরে আসার সময় জ্যাক জিতুকে পথকে ভালো করে আটকাতে বলেছিলো। যার জন্য জিতু ভাঙা সিমেন্ট গুলো একত্র করে পথকে আটকে রাখে। আপাতোতো দূর থেকে এই কবর স্থানকে দেখা যায়। তাই গার্ডের তেমন ভয় নেই৷ তারপরও একটা নিরাপত্তার ব্যাপার আছে না?


জ্যাক আর কোনো কথা বললো না। জিতুকে নিয়ে সমস্ত প্লান করে সে এসেছে এখানে। এই পুরো এক মাস জিতু জ্যাকের সাথে থাকবে। তাই সমস্ত প্লান এবং ব্যবস্থা দুজনে এখানে আসার সময় নিয়ে এসেছে। তারায় হয়তো প্রথম চোর যারা অনেক বড় একটা চোরের প্লান চুরি করতে যাওয়ার পথে করেছে।


জ্যাক আসার সময় জিতুর অনেকটা টাকা খরচ করেছে। জিতু সে নিয়প একটা কথাও বলে নি। জ্যাক জানে সে টাকা জিতু এবং তার স্ত্রীর সেভিংস ছিলো। তাই কিছুটা খারাপ লেগেছিলো জ্যাকের কাছে। তবে এই আকাশের স্মৃতি যদি সঠিক হয় তাহলে জ্যাকের জন্য অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে।



"এমন হবে জানলে তো আমি আমার ওয়ার্ল্ড থেকে অসংখ্যা টাকা নিয়ে আসতাম।" (জ্যাক ভাবছে)



জ্যাক এবং জিতু আধা ঘন্টা হলো হেটে যাচ্ছে কিন্তু সিঁড়িটা শেষ হচ্ছে না। তারা যে মাটির অনেক নিচে নেমে গিয়েছে এটা বুঝতে পারলো।



-->>মাস্টার জ্যাক, মাটির এতো নিচে একটা বাঙ্কার তৈরী করা আসলেই অনেক প্রশংসনীয়।(জিতু)



জ্যাক জিতুর কথায় মাথা নারালো। আসলেই অনেক প্রশংসনীয় কাজ এটা। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেক দেশেই এরকম অনেক বাঙ্কার তৈরী হয়েছিলো। যার ফলে কিছু পরিমান মানুষ বাঁচতে পেরেছিলো। তারপরও অনেক বাঙ্কার পারমানবিক বোমার ফলে নিখোঁজও হয়েছে। সেই হিসাবে বলা যায় এটা অনেক শক্তিশালী একটা বাঙ্কার। আর এতো গভীরে মাটির নিচে কোনো সুরঙ্গ তৈরী করা মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। 



-->>মাস্টার আমি সামনে দরজা দেখতে পাচ্ছি।(জিতু)



জিতু খুশিতে চিল্লিয়ে উঠলো। তারা আধা ঘন্টার উপরে সিঁড়ি বেয়ে নামছিলো। অবশেষে পথ শেষ হওয়ায় দুজনের ক্লান্ত শরীরে মনে হলো জান ফিরে আসলো। যদিও জিতু একজন মার্শাল আর্টিস্ট যার সহজে ক্লান্ত হওয়ার কথা না তারপরও পূর্বে দুবার তার এক্সট্রিম ফিস্ট ব্যবহার করতে হয়েছে এজন্য শরীর অনেক ক্লান্ত ছিলো তার।



-->>এই দরজার খুললে হয়তো আমরা কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারবো। কিন্তু সাবধান জিতু দরজার সাথে লেজার রয়েছে। যদি সঠিক পাসকোড না দিতে পারি তাহলে এই পুরো সিড়ির মধ্যে থাকা ছোট ছোট লেজার আমাদের শরীরকে টুকরো টুকরো করে কেটে দিবে।(জ্যাক)




আকাশের স্মৃতি অনুযায়ী আসিফ চৌধুরীর বাবা এই বাঙ্কার তৈরী করেছিলো। কিন্তু এই বাঙ্কারের এই গোপন রাস্তা আসিফ চৌধুরী নিজে তৈরী করেছিলেন। তাই তো সে তার ছেলে আকাশকে এ সম্পর্কে বলেছিলো।



"হ্যা আকাশের স্মৃতি আমার কাছে থাকার ফলে সব কিছুই অনেকটা সহজ হয়ে যাচ্ছে।"



জ্যাক জিতুকে পিছনে থাকতে বললো এবং নিজে দরজার কাছে গেলো। দরজাতে অনেক উন্নত মানের একটা সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। মাঝখানে একটা স্ক্যানারের মতো রয়েছে। যেখানে জ্যাক তার ডান হাতের তালুর ছাপ দেওয়া জন্য রাখলো। তার হাতের ছাপ নেওয়া শেষ হলে স্ক্যানারের মধ্য থেকে একটা আলো বেরিয়ে আসলো যেটা জ্যাকের চোখের রেটিনাকে স্ক্যান করতে লাগলো। এরপর আরেকটা আলো বের হলো যেটা অনেকটা এক্সরে রশ্নির মতো। সেটা জ্যাকেী পুরো শরীরকে উপর থেকে নিজ পর্যন্ত এক বার স্ক্যান করলো। 



-->>খুল যা সিসসিম।(জ্যাক)



সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো। আসিফ চৌধুরী দরজার লক হিসাবে তার এবং তার ছেলের হাতের ছাপ, রেটিনা স্ক্যান, ফুল বডি স্ক্যান এবং ভয়েস লক এড করেছিলো। জিনিসটা অনেক সহজ মনে হলেও একটা যদি না মিলতো তাহলে এই পুরো জায়গাটা লেজারে ভরে যেতো। যেটা তাদের দুজনকে হাজার টুকরোতে কেটে ফেলতো।



-->>চলো জিতু যাওয়া যাক। এটা হবে আপাতোতো সময়ে আমাদের সিকরেট জায়গা।(জ্যাক)




ভিতরে কি কি আছে এটা আসিফ চৌধুরী আকাশকে কখনো বলে নি। তবে যেহেতু সিকরেট ভল্টের একটা রাস্তা রয়েছে এখান থেকে সে হিসাবে অনেক সম্পদই আছে। জ্যাকের মনের পরলো একটা কথা আকাশের স্মৃতি থেকে।



-->>আকাশ, যদি আমার কখনো কিছু হয়। তাহলে তোমার উপরে অনেক কষ্ট আসতে পারে। যদি মনে হয় কষ্টটাকে তুমি সহ্য করতে পারছো না আর কিংবা পরিবারে জায়গা পাচ্ছো না তাহলে তখন আমার তৈরী সিকরেট বাঙ্কারে প্রবেশ করবে। দেখবে সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে।(আসিফ চৌধুরী)



এটায় বলেছিলো আকাশকে আসিফ চৌধুরীর মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে। স্মৃতি গুলো জ্যাকের নিজের না হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী জ্যাকের মনে পরে এসব কথা। এখানে না আসার কথা ভাবলে হয়তো কখনো মনেই পরতো না এই স্মৃতি। তবে এসেছে যখন তখন ভালোই হয়েছে। কি এমন আছে যেটা আকাশের সকল সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে, জ্যাক সেটা দেখতে চাচ্ছে।


একটা ভালো বড় রুম তৈরী করা আছে এই মাটির নিচে। জ্যাক অনুভব করলো তারা প্রায় হাজার মিটার মাটির নিচে রয়েছে।। এতো নিচে শরীরে একটা প্রেসার এমনিতে তৈরী হয়। জ্যাকের সাধারন শরীরটা ক্লান্ত ছিলো এতো সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামাতে। সেই সাথে মাটির নিচে থাকার ফলে প্রেসারে তার শরীর আরো ক্লান্ত হয়ে গেলো। সে চুপ চাপ রুমের ভিতরে দাড়িয়ে দেখতে লাগলো।


একটা বড় রুম হওয়ার ফলে এর মধ্যে থাকার জন্য সব কিছুই রয়েছে। বিছানা থেকে শুরু করে বসার সোফা, ফ্রিজ, খাবার টেবিল, এসি, বিশাল টিভি ইত্যাদি। জ্যাক ভাবতে পারছে না এটা একটা বাঙ্কার কিনা? তবে তার মনে পরতে লাগলো আকাশের স্মৃতি থেকে। আসিফ চৌধুরী হয়তো জানতো সে মারা যাবে এজন্য সে আকাশের জন্য এরকম একটা জায়গা তৈরী করেছিলো, যাতে সে মারা যাওয়ার সময় আকাশ এখানে থাকতে পারে।



-->>ওয়েল খারাপ না জায়গাটা।(জ্যাক)



-->>মাস্টার জ্যাক এটা কিরকম জায়গা?(জিতু)




জিতু অবাক হচ্ছে। কারন একটা বাঙ্কারের মধ্যে থাকার মতো একটা জায়গা দেখতে পারবে সেটা কল্পনাও করে নি। অনেকে বাঙ্কারের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করেছে কিন্তু সেটার এটার কাছেও আসতে পারবে না। জিতু পূর্বেও একটা বাঙ্কার দেখেছে তাই সে জানে যে এই রুমটা কতটা প্রিমিয়াম।



-->>বলতে পারো এটা একটা স্টুপিড বন্ধুর বাবা তৈরী করেছিলো তার ছেলের জন্য। কিন্তু স্টুপিডটা মারা যাওয়ার ফলে এখন আমার হাতে এসেছে।(জ্যাক)




জ্যাক হঠাৎ ঠান্ডা ভাবে উত্তর দিলো। জিতু জ্যাকের কথায় তেমন গুরুত্ব দিলো না। সে রুমের বিভিন্ন জিনিস গুলো দেখতে লাগলো। একটু পূর্বের ক্লান্ত জিতু মনে হচ্ছে নিমিষেই নতুন জিনিস দেখতে পেয়ে এনার্জি ফিরে পেলো।



-->>মাস্টার এখানের প্রতিটা পন্যই তাদের কোয়ালিটির সবথেকে দামী পন্য। আমি ভাবিও নি একদিন এমন একটা দিন আসবে যে আমি এগুলো ব্যবহার করতে পারবো।(জিতু)



জিতুর কথায় জ্যাক খেয়াল করলো। হ্যা প্রতিটা পন্যই সবচেয়ে দামী তাদের কোয়ালিটির মধ্যে। কিন্তু লাভ কি? 



"আমি তো আর অর্থ ছাড়া কোনো কিছু রিচার্জ করতে পারবো না।" (জ্যাক ভাবছে)




জ্যাক চিন্তা করলো হয়তো এগুলো রিচার্জ হবে না। তাই আর চেষ্টা করলো না। রিচার্জ করার জন্য তো আসল অর্থ দরকার। আর সেটা এখানে নেই। তবে এটা একটা জায়গা যেখান থেকে খুব সহজেই চৌধুরীদের ভল্টের মধ্যে যাওয়া যায়। যেহেতু ভল্টটা উপরে রয়েছে এই রুমেরই।


জ্যাকের নজর হঠাৎ রুমের এক কোনায় থাকা একটা কম্পিউটার সেট আপের দিকে পরলো। দরজার খোলার পরই ভিতরে ইলেকট্রিসিটি প্রবেশ করেছে। যার ফলে রুমের মধ্যে বেশ কিছু লাইট জ্বলে উঠেছে। সেই সাথে এক কোনার মধ্যে থাকা কম্পিউটার সেট আপও চালু হয়ে আছে। জ্যাক কম্পিউটারকে দেখে অবাক না হয়ে পারলো না। এটা তো সেই কম্পিউটার। জ্যাক এগিয়ে গেলো তার সামনে।



{ওয়েলকাম আকাশ চৌধুরী। আমার নাম মরিচ। এবং আমি একজন সুপার কম্পিউটার।}




জ্যাক সামনে যাওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটার কথা বলতে লাগলো। হ্যা আকাশের স্মৃতি অনুযায়ী এটা সুপার কম্পিউটার মরিচ। যেটা পুরো এরিয়া এক্সের ইকোনমিক কন্ট্রোল করে। চৌধুরীরা এরিয়া এক্সের মধ্যে সবচেয়ে ধনী কিভাবে? কারন তারায় সকল ইকোনমিক দেখাশোনা করে। স্টান্ডার্ড ব্যাংক যেটা বর্তমানে আফিফ চৌধুরীই দেখাশোনা করে যার মধ্যে প্রায় সকল এরিয়া এক্সের মানুষের লেন দেন রয়েছে। আর এ লেন দেন কন্ট্রোল করে সুপার কম্পিউটার। তাই তো আফিফ চৌধুরী এখনো অন্যের টাকা মেরে দিতে পারে নি।



-->>আমি আশা করি নি। আসিফ চৌধুরী এমন একটা জিনিস এখানে তার ছেলের জন্য রেখে যাবে। হাহাহাহাহা।(জ্যাক)




* * * 


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন। গল্পটার ফাইট সিন গুলো আগামী পর্ব থেকে দেওয়ার চেষ্টা করবো।


About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

7 comments

  1. Thanks bhai, taratari dewar jonno.
    1st comment 🔥
  2. Vai super computer ar nam moric dilen
  3. Kicho money amare o diyen
  4. sei hoice
  5. 🤩🤩🤩🤩🤩🤩
  6. Valoi hoiche
  7. #ফ্যান্টাসি সিরিজ#
    ৷৷৷৷৷ সুপ্রিম বিয়িং ৷৷৷৷৷৷
    ২৮ পর্ব লেখার পর আর লেখেন নাই।
    ভাই বাকি পর্ব গুলো একটু কষ্ট করে লিখেন প্লিজ😊😊

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.