আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৩১

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:৩১


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


প্রথম ফ্লোর একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। যার প্রধান কারন হলো ফ্লোরের ফিল্ড বস। বসের কয়েকটা নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে যেখানে সাধারনত তারা জন্ম নিয়ে থাকে। ড্যানজনের মধ্যে প্রায় প্রতিটা মনস্টারই মারা যাওয়ার পর আবার জন্ম নিয়ে থাকে। এটা সাধারনত কিভাবে হয় এটা কেউ জানে না। কিন্তু সকল প্লেয়ারদের জন্য এটা ভালো একটা বিষয়। যদি  মনস্টার গুলো আবার জন্ম না নিতো, তাহলে মনস্টারের অভাবে কেউ তাদের লেভেল বৃদ্ধি করতে পারতো না এবং এই ড্যানজন থেকে বের হতে পারতো না। হয়তো সেরকম কিছু হলে ড্যানজনের নিয়মও পাল্টে যেতো। যাইহোক আপাতোতো সবার ফোকাসই রয়েছে প্রথম ফ্লোরের ফিল্ড বসের দিকে। ফিল্ড বস তার সাধারন জন্ম নেওয়ার একটা জায়গাতেও নেই। যেহেতু পুরাতন পার্টি গুলো খুব ভালো করেই জানে কোথায় কোথায় ফিল্ড বস জন্ম নিয়ে থাকে, তাই বেশ কিছু পার্টির টিম একত্র হয়ে ফিল্ড বসকে খোজার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ ফিল্ড বসটাকে খুজে পায় নি। 


জ্যাক এবং জিতু যাদের দুজনেরই প্রথম ফ্লোর ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে তারা এক অচেনা জায়গার মধ্যে প্রবেশ করেছে। জায়গাটা সবার চোখের আড়ালে, তাই এখানে অন্যদের আসার কোনো সম্ভবনা তেমন নেই। একটা ছোট ঝর্ণা জ্যাক এবং জিতুর সামনে রয়েছে। এমন কোনো জায়গা সম্পর্কে সে বৃদ্ধ লোকটার থেকে শুনতে পায় নি। তাই তো জ্যাকের কাছে মনে হলো তারায় প্রথম আপাতোতো এই জায়গায়। অবশ্য এটা শুধু তার ভাবনা। জিতু কিছুই বুঝতে পারছে না তারা এখানে কেনো এসেছে। জ্যাককে কিছু জিজ্ঞাসাও করতে পারছে না। জ্যাক খুব চুপচাপ পছন্দ করা ছেলে। যে প্রয়োজন ছাড়া এখন পর্যন্ত জিতুর সাথে একটা কথাও বলে নি। আর এমনিতেও জ্যাকের মনের মধ্যেও অনেক ভাবনা রয়েছে, ভেবে জিতু আর তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে নি।



"জিজ্ঞাসা করলেও আমি একটাই উত্তর পাবো। তাই না জিজ্ঞাসা করায় ভালো।" (জিতু ভাবছে)



জিতু জিজ্ঞাসা করলেই জ্যাকের উত্তর এরকম হবে, সামনে গেলেই বুঝতে পারবে কি হবে। এজন্য জিতু চুপ চাপই  আছে। জ্যাক এবং জিতু ঝর্ণাটার সামনে দাঁড়ালো। অনেক সুন্দর একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ। জ্যাক যেহেতু এর থেকেও সুন্দর পরিবেশ দেখেছে তাই সে তেমন মুগ্ধ হলো না। কিন্তু জিতুর জন্য এটা প্রথম ছিলো। তাই তো সে হা করে তাকিয়ে আছে ঝর্ণাটার দিকে। ঝর্ণার পানি যেখানে পরছে সেখান দিয়ে ধোঁয়ার সৃষ্ট হচ্ছে যা জায়গাটাকে আরো সুন্দর করে দিচ্ছে। জ্যাক বেশী সময় নষ্ট না করে ঝর্ণাটার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে থাকলো। জিতু কিছুটা অবাক হলো, সে জানে যে তারা এখানে গোসলের জন্য আসে নি, কিন্তু জ্যাক কেনো ঝর্ণার নিচে যাবে এই সময়ে? জিতু কিছুক্ষন নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলো, কিন্তু জ্যাককে দেখতে না পেরে সে বুঝতে পারলো সেখানে কিছু রয়েছে।


ঝর্ণার পিছনে একটা ছোট গুহার মতো রাস্তা রয়েছে, যা বাইরে থেকে দেখা পুরো অসম্ভব। জ্যাক সেই গুহার মধ্যে প্রবেশ করেছে ঝর্ণার সৌন্দর্যতা বাদ দিয়ে। এখানে অন্য কোনো প্লেয়ার হলে জায়গাটা সম্পর্কে জানতোই না। কিন্তু জ্যাকের জন্য এটা একদম সহজ হয়ে গিয়েছে। জ্যাক এবং জিতু কোনো কথা ছাড়ায় গুহার মধ্যকার রাস্তা দিয়ে ভিতরে হেঁটে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে তাদের সামনে রাস্তাটার শেষ চলে আসলো। একটা মাঝারি আকারের রুমের মতো জায়গা যার চারপাশে পাথরের দেওয়াল রয়েছে, এরকম একটা জায়গার ঠিক মাঝখানে রয়েছে ওল্ফ মনস্টার যেটা প্রথম ফ্লোরের ফিল্ড বস। 



-->>তাহলে আমি খুজে বের করেছি।(জ্যাক)



জ্যাক তার রেইনবো বো এর ব্যবহার করে ফিল্ড বসকে আঘাত করেছিলো। যার ফলে ফিল্ড বস তার দিকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসে। প্রথমে জ্যাক ধনুকটাকে সাধারন মনে করলেও পরে সেটার ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হয় সে। সাত ধরনের তীর রয়েছে ধনুকটার জন্য। আর সাত তীরের ক্ষমতাও ভিন্ন। বিশেষ করে লালটা যেটা জ্যাক এর পূর্বেও দুই তিনবার ব্যবহার করেছিলো, এই লাল তীরের স্পেশাল ইফেক্ট রয়েছে। সাধারন ভাবে বলতে গেলে এগুলোকে ম্যাজিকাল আইটেম বলা হয়। এবং প্রতিটা ম্যাজিকাল আইটেমেরই স্পেশাল কিছু ইফেক্ট থাকে। ঠিক রেইনবো বো এর তীর গুলোরও ইফেক্ট রয়েছে। লাল রঙের তীরের ইফেক্ট হলো যে যদি কোনো বস্তুর শরীরে লাগে, তাহলে য সেটাকে নিক্ষেপ করেছে সে যেখানেই থাকুক না কেনো একদিনের মধ্যে টার্গেটকে খুজে বের করতে পারবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে জ্যাক এতোক্ষন ফিল্ড বসের লোকেশন জানতো, তাইতো সে এই জায়গায় চলে এসেছে। এই তীরের মাধ্যমে টার্গেট যেখানেই পালাক না কেনো, একবার তীরের আঘাত খেলে তাকে একদিনের মধ্যে খুজে বের করা সম্ভব। আর জ্যাক এটার স্পেশাল ইফেক্ট জানার পরেই তার মাস্টার প্লান তৈরী করে। যেহেতু সবার সামনে সে ফিল্ড বসকে হত্যা করতে পারবে না, তাতে করে বড় বড় পার্টির শত্রু হতে হবে তাকে। তাই আপাতোতো এটাই সবচেয়ে ভালো প্লান ছিলো। 


জ্যাক তার রেইনবো বো আবার বের করো তার পিছনের স্পেস ব্যাগের মধ্য থেকে। তবে এবার আর লাল রঙের তীর নয়, বরং হলুদ রঙের একটা তীর বের করলো। তার মোবাইলে একটা মেসেজ আসলো, তবে সেটা দেখার সময় তার এখন নেই,



<নামঃ ইয়োলো এরো, স্পেশাল ইফেক্টঃ পয়জন, ডট ড্যামেজ>



জ্যাক পূর্বে এটার বর্ননা দেখেছে তাই সে এটা এটার আর কোনো বিবরন দেখা প্রয়োজন মনে করলো না। প্রতিটা স্কিল ব্যবহার করার সময় মোবাইলের মধ্যে জি এম এর তরফ থেকে একটা মেসেজ আসে। তাছাড়া প্রতিটা ম্যাজিকাল আইটেম ব্যবহারের সময়ও মোবাইলে ম্যাসেজ আসে। পূর্বে জ্যাক খেয়াল করে নি, কিন্তু এটা সে আন্ডারগ্রাউন্ড সিটির মধ্য থেকেই জানতে পেরেছে। প্রতিটা ম্যাজিকাল আইটেম ব্যবহারের কিছু শর্ত থাকে। আর সেগুলো পূর্ন না করতে পারলে সেই ম্যাজিকাল আইটেম গুলো সাধারন পন্য ছাড়া আর কিছু নয়। রেইনবো বো ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ব্যবহারকারীকে ০১ লেভেলে থাকতে হবে। আর জ্যাক যেহেতু এক লেভেলে রয়েছে তাই সে এখন এটা ব্যবহার করতে পারছে। যদিও পূর্বে সে ধনুকটা ব্যবহার করেছিলো, কিন্তু তখন সেটা একটা সাধারন ধনুক ছাড়া আর কিছু ছিলো না।


জ্যাক তার ধনুক রেডি করো তীর ছোড়ার জন্য। অন্যদিকে জ্যাকের স্পেশাল স্কিল "হেল্প" এর ব্যবহারের ফলে ফিল্ড বস কিছুটা কনফিউশান স্ট্যাটের মধ্যে ছিলো। সে এখানে টেলিপোর্ট হয়েছে জোর পূর্বক, একজন মনস্টার হয়ে তার মাথা তেমন কাজ করছে না। যদিও ওল্ফ অনেকটা বুদ্ধিমান মনস্টার তারপরও এরকম জিনিস হয়তো তার সাথে কখনো হয় নি। বিশেষ  করে এক দিন হয়েছে তার জন্মের তাই আজই এমন কিছু হবে এটা হয়তো সে আশা করে নি। যায়হোক জ্যাক এই সময়টাকে কাজে লাগালো। যেহেতু সে তার ক্ষমতাকে টেস্ট করতে চাচ্ছে, তাই জিতুকে পিছনে যেতে বলেছে। আর নিজে হলুদ তীরটাকে বের করে সেটা ঠিক ওল্ফের মাথা বরাবর ছুঁড়ে মারলো। 



-->>বুম হেডশট।(জ্যাক)



জ্যাকের তীরটা ঠিক ওল্ফের মাথা বরাবর লাগলো, কিন্তু তীরটার স্পেশাল ইফেক্টে স্ট্রেন্থ বা থাকার কারনে সেটা ঐপাশ দিয়ে বের হলো না। বরং মাথার মধ্যেই গেথে রইলো। তীরটার স্পেশাল ইফেক্টে রয়েছে ডট ড্যামেজ যা,



-->>যা প্রতি সেকেন্ডে ভালো পরিমান ড্যামেজ দিবে।(জ্যাক)



এখন যদি জ্যাক পালিয়েও যায় তারপরও আস্তে আস্তে করে ফিল্ড বসটা ড্যামেজ নিতে নিতে এক সময়ে মারা যাবে। এটার ইফেক্ট শেষ হবে না। জ্যাক বৃদ্ধ লোকটার থেকে এরকম কয়েকটা ম্যাজিকাল আইটেম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। যার মধ্যে একটা ব্লাক পার্টির শক্তিশালী প্লেয়ারের কাছে ছিলো। সে তার ম্যাজিকাল আইটেম দিয়ে একাই চতুর্থ ফ্লোরের ফ্লোর বসকে হত্যা করেছিলো, যেটা হোয়াইট পার্টির কেউই করতে পারে নি এখনো। ডট ড্যামেজ পার্টি রেইডের জন্য অনেক ভালো একটা জিনিস। তবে ব্লাক পার্টির সেই প্লেয়ার কিভাবে একা কাজটা করেছিলো এটা কেউই জানে না। তবে জ্যাক সাধারন একটা ধারনা করতে পেরেছে,



-->>আমি এই জায়গা থেকে চলে গেলে আস্তে আস্তে ঠিকই ওল্ফটা মারা যাবে যদি না তার রিজেনারেশন ক্ষমতা থাকে।(জ্যাক)



রিজেনারেশন ক্ষমতা থাকলে তাদের উপরে ডট ড্যামেজ কাজ করে না। ডট ড্যামেজ ইফেক্ট যুক্ত ম্যাজিকাল আইটেমের ডট ড্যামেজ খুব কম হয়, যেটা প্রতি সেকেন্ড কিংবা অনেক গুলো প্রতি মিনিটে একটা নির্দিষ্ট পরিমান ড্যামেজ দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ড্যামেজের পরিমান রিজেনারেশন স্কিল বা এবিলিটির থেকে কম হয় সর্বদা, তাইতো তাদের উপরে এটা কাজ করবে না। কিন্তু প্রথম ফ্লোরের ওল্ফ মনস্টারের কোনো রিজেনারেশন ক্ষমতা নেই। যদিও বিস্ট মনস্টারদের রিজেনারেশন এবিলিটি থাকে, তারপরও প্রথম ফ্লোর বলে এটার তেমন কোনো এবিলিটি নেই, আর এজন্যই এটাকে জ্যাক শুধু তার তীর দিয়েই হত্যা করতে পারবে। যদি সে এটাকে এখানে আটকে রেখে চলে যেতে পারে, তাহলে এক সময় দেখা যাবে তার তীরের ইফেক্টেই মারা যাবে ফিল্ড বস। সাধারন ডট ড্যামেজ ইফেক্ট যুক্ত ম্যাজিকাল আইটেম একটা নির্দিষ্ট পরিমান ডট ড্যামেজ দিয়ে আর ড্যামেজ দিতে পারে না। কিন্তু জ্যাকের রেইনবো বো অনেকটা স্পেশাল। তীরের ক্ষমতাকে ম্যাক্সিমাম করে তার ইফেক্টকে বারিয়ে দেয় সেটা। আর এজন্যই যতক্ষন পর্যন্ত না টার্গেটের পুরো লাইফ শেষ হবে না তীরের ইফেক্ট ততক্ষন এক্টিভ থাকবে। হোক সেটা এক মাস, কিংবা এক বছর।


কিন্তু জ্যাক ততক্ষন অপেক্ষা করতে পারবে না। সেই সময়ে অন্য কেউ তার শিকারকে চুরি করে নিবে। জ্যাক তার ব্যাগের মধ্য থেকে ভিরুদা মানে ফায়ার ড্রাগন সোর্ড বের করলো। সোর্ডটা এক সময়ে অনেক ব্যবহার করলেও সময়ের সাথে সেটার ব্যবহারও কমে যায়। আর এক সময়ে তো সব সোর্ডের ফিউশনে নতুন একটা সোর্ডই বানিয়ে নেয় সে। জ্যাক হাতে সোর্ডটাকে নিয়ে তার প্রথম সোর্ড স্কিল ব্যবহার করলো। "কুইক ড্র" যেটার নাম সে রেখেছে "সোর্ড স্কিল ১"(পূর্বে অন্য কিছু লিখলে সরি, মনে করতে পারছিলাম না। কারো মনে পরলে কমেন্টে জানাবেন, পরে ঠিক করে নিবো)


জ্যাক তার সোর্ডের খাপকে বাম হাত দিয়ে ধরা ধরা ছিলো। সে তার ডান হাত দিয়ে সোর্ডের হাতলকে শক্ত করে ধরলো এবং খু দ্রুত তার সোর্ডকে বের করলো খাপ থেকে। ফিল্ড বস জ্যাকের থেকে তীরের আঘাত খেয়ে তার দিকেই দৌড়ে আসছিলো। আর জ্যাক এই সময়েই তার সোর্ড স্কিল ১ ব্যবহার করেছে। এই সময়েই বাম হাতে থাকা রিং টা তার ডান হাতের আঙ্গুলে চলে আসলো। রিং টার মধ্য থেকে কালো এনার্জি বের হলো, যেটা তার ফায়ার ড্রাগন সোর্ডের ব্লেডের চারদিককে ঘিরে ফেললো। এই সময়েই জ্যাক তার স্কিল সম্পূর্ন করলো। ফলাফল জ্যাক নিজেও আশা করে নি। রিং থেকে এনার্জি বের হয়েছে এটা জ্যাকের নজরে পরে নি। কিন্তু অন্য কেউ আছে যাদের নজরে এটা ঠিকই পরেছে।



এমিলির শরীরে এথিনা যে কিনা হোয়াইট পার্টির নতুন টিমের মধ্যেই ছিলো, সে তার টিম মেম্বারদের সাথে ফিল্ড বসকে খোজার চেষ্টা করছে। সে পূর্বে জ্যাকের শরীর থেকে একটা এনার্জি অনুভব করেছিলো, কিন্তু সেটা কার এনার্জি ছিলো এটা সে মনে করতে পারছিলো না। কিন্তু সেই পরিচিত এনার্জি আবারো এথিনা অনুভব করছে। একজন গডেস এবং অলিম্পাসের রুলার গডেস হওয়ার সুবাধে এথিনা এক ওয়ার্ল্ড থেকে অন্য ওয়ার্ল্ডের এনার্জি অনুভব করতে পারে। কিন্তু তার মন থেকে যে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা এনার্জির অরিজিন মুছে যাবে এটা সে কখনো ভাবতে পারে নি।



"রুলার অফ ডেড। এ.কে.এ লিচ্ দ্যা আনডেড।" (এথিনা ভাবতেছে)


এথিনা বুজতে পারলো পোসেইডন এর মধ্যে কার এনার্জি রয়েছে। না পোসেইডন বললে ভুল হবে। মূলত জ্যাকের মধ্যে লিচ্ দ্যা আনডেড এর  এনার্জি রয়েছে। যার একটায় মানে হয়তো রুলার অফ ডেড জ্যাককে তার অ্যাভেটার তৈরী করেছে, আর নাহলে জ্যাক নিজেই বর্তমান রুলার অফ ডেড।



"মনে হচ্ছে তুমি জিনিসটাকে আরো জটিল করতে চাচ্ছো পোসেইডন। কিন্তু আমি কিছুতেই তোমার কোনো প্লানকে সফল হতে দিবো না।" (এথিনা ভাবছে)




* * * * *


অন্যদিকে এরিয়া এক্সের মধ্য থেকে এরিয়েল তার সব কাজ সম্পূর্ণ করে ছেলেদের হোস্টেলের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কলেজের হোস্টেলের ছাদটা তার নিত্যদিনের জায়গা। এখানে সে প্রতিদিন আসে বলেই অনেকে তাকে ভূত ভেবে ভূল করে ভূতের গল্প বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এরিয়েলের সেদিকে নজর নেই। কারন আজকের সময়টা অনেক স্পেশাল তার জন্য। তার গল্পের হিরোর এন্ট্রি হওয়ার কথা ছিলো আজকে।



-->>আমি তো আমার গল্পের হিরো বানিয়ে ফেলেছি অন্য কাউকে, তাহলে পুরাতন হিরোকে কি করবো?(এরিয়েল)



এরিয়েল ভাঙা চাঁদের দিকে তাকিয়ে কথাটা বলতে লাগলো। তার গল্প অনুযায়ী আজকে এই জায়গায় তার গল্পের নায়কের যাত্রা শুরু হবে, কিন্তু যেহেতু তার গল্পের মধ্যে সে নিজেই একটা চরিত্র ছাড়া চরিত্র ছিলো তাই গল্পের অনেক কিছুই চেন্জ হয়েছে। যার মধ্যে একটা হলো আকাশ চৌধুরীর মৃত্যু না হওয়া। তার গল্প অনুযায়ী আকাশ চৌধুরী একটা সাইড চরিত্র ছিলো যেটার সাথে রাজ খান এবং জারা চৌধুরীর সম্পর্ক ছিলো। ভবিষ্যতে টাওয়ারের একটা টেস্টের সময়ে রাজ খানের সবচেয়ে বড় শত্র হিসাবে আকাশ চৌধুরীর আনডেডকে দেখা যায়। এই অংশ টুকু এরিয়েল অনেক মনোযোগ সহকারেই লিখেছিলো, তাইতো আকাশ চৌধুরীর মৃত্যু না হওয়াতে অনেকটা অবাক হয়েছিলো সে।



-->>কিন্তু কে জানতো যে আমার আগমনের জন্য ভবিষ্যৎ এভাবে চেন্জ হবে। আর আকাশ চৌধুরী যে কোনো চরিত্রই ছিলো না বলা চলে, সে গল্পের হিরো হবে।(এরিয়েল)



এরিয়েল প্রথমে অবাক হয়েছিলো আকাশের হাতে রিং টা দেখতে পেয়ে। রিংটা এমন একটা জিনিস যেটা তার গল্পের হিরোর হাতে থাকার কথা ছিলো। আর সেটায় এমন ক্ষমতা আছে যেটা হিরোকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে খুব দ্রুত। আর তার গল্পের হিরো তার আগমন এখনি হতে যাচ্ছে।



আকাশ থেকে একটা বিশাল আলো ঠিক হোস্টেলের ছাদের উপরে পরলো। আলোতে পুরো এরিয়া এক্স আলোকিত হয়ে গেলো। সেই আলোর মধ্য থেকে একটা ছেলে বেরিয়ে আসলো। ছেলেটা অনেক অবাক হলো তার আশে পাশের জায়গা দেখতে পেয়ে। যদিও এটা পৃথিবী কিন্তু এটাকে পৃথিবী বলা চলে না।



-->>ও সিট, হেয়ার উই গো এগ্যাইন। আবারো প্যারারাল ডাইমেনশন। লেখক কি আমাকে ডাইভার্সে নেওয়ার পরও শান্তি পায় নায় যে এই ভাঙা চোরা পৃথিবীতেও নিয়ে আসলো।



ছেলেটা আশেপাশের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু কোনো কিছু বুঝতে না পেরে তার নজর একদিকেই চলে গেলে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে হাজারো সুন্দরীর মধ্য সেরা এক সুন্দরী। আর তার মন তাকে দেখার পরই গলে গেলো।



-->>হাই সুন্দরী, আমার নাম হৃদয়, হৃদয় টিটান। নাম তো সুনা হোগা। একা একা এভাবে দুটো চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নেই, চাঁদের মতোই দুজনের প্রয়োজন এরকম রোমান্টিক একটা পরিবেশের জন্য।



এরিয়েল ছেলেটার কথা শুনে কপালে হাত দিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলো। সে ভবতে লাগলো,



"আমি কোনোদিন ভাবি নি আমার গল্পের নায়ক আসলেই এতোটা লুচু হবে। হয়তো গল্পের নায়ক চেন্জ হয়ে ভালোই হয়েছে।" (এরিয়েল ভাবছে)




* * *


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন। হৃদয় টিটানকে না চিনে থাকলে একটা হলেও কমেন্ট করবেন ফেসবুকে।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

6 comments

  1. Lucu the great hridoy titan is back🤣.
  2. It's 'জলপরীর প্রেমে'র হৃদয় টিটান এবার মনে হয় লুচুগিরি হাই লেভেলে চলে গেল,,এসেই শুরু করে দিল বাহ্,,, carry on bro 🥰😍
  3. H I D R A
    This comment has been removed by the author.
  4. 🖤🖤🖤🖤🖤
  5. Awesome..❤️❤️
  6. Bingo! Brings us out of this virtual world. This game is annoying. Bring us the vampire, werewolf, Angel, devil, king of sea thing. I am missing the old you. You suddenly disappeared after 22 October 2020. I was searching for you everywhere. But now you are back. But the old you is gone somewhere. I miss the old Hridoy Bappy. We don't like virtually, we like natural.

    your biggest fan

    Ahnaf
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.