আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৩৪

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#


#সুপ্রিম_বিয়িং#


পর্ব:৩৪


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


আনুবিস একজন গড অফ ডেড। এক্সব্লকের মধ্যে হাজারো গড রয়েছে। তাদের মধ্যে আনুবিস অন্যতম। একজন গড অফ ডেড হওয়ার ফলে আনুবিসের শক্তি সাধারন মানুষের কাছে যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা জ্যাক বুঝতে পারছে। জ্যাক পুরো ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছে। আর সেটায় তার মাইন্ডে আপাতোতো ঘুরপাক খাচ্ছিলো। অসহনীয় ব্যথা অনুভব করার পরও জ্যাকের মাইন্ড বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। হয়তো তার মাঝে অনেকের এক্সপিরিয়েন্স রয়েছে বলে এমন হচ্ছে। জ্যাকের মাথায় আপাতোতো এই ওয়ার্ল্ডগুলো নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। সে যেখান থেকে এসেছে সেখানে কোনো ট্রু গড ছিলো না। প্রথমে ড্রাকুলা, থর, লোকি এদের গড মনে করলেও, তারা কোনো ট্রু গড ছিলো না। বিষয়টা অনেক কমপ্লিকেটেড। জ্যাকের পুরাতন ওয়ার্ল্ডে কোনো গডের নজরই ছিলো না। অনেকটা বলতে গেলে গডরা সেই ওয়ার্ল্ডকে পুরো একা ছেড়ে দিয়েছিলো। তারা কোনো কিছুই করে নি সেই ওয়ার্ল্ডের জন্য। ঠিক যেমন ওয়ার্ল্ড চেন্জ হওয়ার সময় থর, লোকি কিংবা ড্রাকুলার কেউই কোনো কিছু না করে লিম্বোতে বসে ছিলো। তারা গড ছিলো না, তবে নাম মাত্রই অনেক সময় তারা তাদের টাইটেল ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারপরও তারা তাদের হাত পা গুটিয়ে বসে ছিলো একটা প্যালেসের মধ্যে।



"আমি এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি কেনো থর এবং ড্রাকুলার কেউই কিছু করে নি আমার ওয়ার্ল্ডে।" (জ্যাক ভাবছে)



জ্যাকের ভাবনা শক্তি হচ্ছিলো। যেহেতু তার মাথায় অনেক জনের চিন্তা শক্তি একসাথে কাজ করছে তাই তার ব্রেইন অন্য সবার থেকে অনেকটা দ্রুত। উদাহরন স্বরূপ জ্যাকের পাঁচ সত্ত্বা ছিলো, যেমনঃ হাফ-ডিম্যান, ডেভিল, ভ্যাম্পায়ার, এন্জেল এবং সর্বশেষ মানুষ। তার পাঁচ সত্ত্বারই আলাদা চিন্তা ভাবনা ছিলো। আর ভ্যাম্পায়ার সিজন ২ এর মধ্যে জ্যাক এই পাঁচ সত্ত্বাকে একত্র করে একটা সত্ত্বায় রূপান্তর করে। এই প্রসেস এর মাধ্যমে জ্যাকের মাইন্ডের পাওয়ার অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে। আর তাছাড়াও আকাশ চৌধুরীর স্মৃতি এবং সেই সাথে আরো একটা জীবন যেটাকে জ্যাক মনে করছে সেই কাটিয়েছে, এইসব মিলিয়ে জ্যাকের মাইন্ড একটা স্বাভাবিক মানুষের থেকে শতগুন দ্রুত কাজ করছে। তাইতো অসহনশীল ব্যথার মধ্যেও সে ভাবছে।


তার সামনে একজন ডেড গড। সকল গডদের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর গড শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা কিনা মর্টাল। গডরা দুই ভাবে তাদেরকে সাধারন স্পিসিজদের থেকে আলাদা করে। এক নিজেদেরকে ইমমর্টাল দাবী করিয়ে এবং দুই এখনো অজানা। আনুবিস যে কিনা একজন গড অফ ডেড সে দাঁড়িয়ে ছিলো জ্যাকের সামনে। আর জ্যাক চুপ চাপ তার হার্টে দুই হাত চেপে পুরো রুমের ডেড এনার্জি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। একজন জীবিত ব্যক্তি বা বস্তু মারা গেলে, তাদের শরীরে অন্য রকম একটা গন্ধ কাজ করে। খালি মানুষের চোখে সেটা কখনোই দেখা সম্ভব না। ঠিক একটা সাধারন মানুষ যেমন এনার্জি কি সেটা জানে না এবং দেখতে বা অনুভব করতে পারে না। ঠিক সদ্য মৃত বস্তুর শরীরের সদ্য চেন্জ তারাও বুঝতে পারে না। একটা জীবিত বস্তু মারা যাওয়ার সাথে সাথে তার শরীরের মধ্যে আস্তে আস্তে ডেড এনার্জি জমা হতে শুরু করে। সেই ডেড এনার্জির মাত্রা এতোটাই কম যে সেটা পরিবেশের মধ্যে তেমন পার্থক্য তৈরী করে না। কিন্তু শুধুমাত্র এই এনার্জির মাত্রা একদম সামান্য থাকে বলে আমরা মৃত কোনো ব্যক্তির আশেপাশে কিছুক্ষন থাকতে পারি। আপনি নিজেও খেয়াল করবেন একজন মানুষ মারা গেলে তার আশেপাশে বেশীক্ষন থাকা যায় না। এটার কারন কি? এটার একটাই কারন আর সেটা হলো ডেড এনার্জি। এই এনার্জিটা মৃত বস্তুর শরীরে অতি ক্ষুদ্র মাত্রায় তৈরী হওয়ার ফলে কোনো মৃত বস্তুকে বেশীক্ষন বাইরে রাখলে তার মধ্যে পচন ধরতে শুরু করে। ডেড এনার্জি এমন একটা এনার্জি যেটা যে কোনো একটা জিনিসকে মুহুর্তে পচিয়ে দিতে পারে। হোক সেটা জীবিত বা মৃত। 


জ্যাক তার আশেপাশে লক্ষ করতে লাগলো। পুরো রুমের মধ্যে যা কিছু ছিলো সব কিছুতেই পচন ধরেছে। শুধু যে তার আশেপাশে না। রুলার অফ ডেডের ডেড এনার্জি দিয়ে একটা শিল্ড তৈরীর পরেও জ্যাকের শরীরের আনুবিসের এনার্জি তার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলো। জ্যাকের হাত এবং পায়ের চামড়া আস্তে আস্তে পচতে শুরু করেছে। আর এটা যে কতটা ভয়ানক যন্ত্রনাদায়ক সেটা জ্যাক ছাড়া আর কেউ বুঝতে না জানতে পারছে না আপাতোতো সময়ে। জ্যাক চিল্লিয়ে উঠছে, কিন্তু তার করার কিছু নাই এখানে। তার সামনের ব্যক্তিটা একজন গড, আর 



-->>আর আমি আমার ফুল ফর্মে থাকলেও এরকম পাওয়ারের কাছেও যেতে পারতাম না।(জ্যাক)



জ্যাক তার এবং এই ওয়ার্ল্ডের মাঝের পার্থক্য বুঝতে পেরেছে। সে প্রথমেই ভেবেছিলো সে ছোট একটা পুনা মাছ এই বিশাল সমুদ্রের মাঝে। তাই তো সে আস্তে আস্তে তার স্টেপ গুলো নিচ্ছে। কিন্তু জ্যাক যে প্রথমেই বিশাল একটা শার্কের মুখে চলে আসবে এটা কখনো চিন্তা করে নি।


জ্যাক তার মাথাটা উচু করলো। এতোক্ষন যন্ত্রনা সহ্য করেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে চিন্তা করছিলো। যার ফলে সে তার সামনের গডকে ভালো করে দেখতে পারে না। আনুবিস, যে একজন গড অফ ডেড সে একজন,



-->>কুকুর!(জ্যাক)



জ্যাক অবাক হয়ে কথাটা বললো। আর তার কথাটা বলার সাথে সাথেই আনুবিসের শরীর থেকে বের হওয়া ডেড এনার্জি গুলো নিমিষেই উধাও হয়ে গেলো। একটা কুকুর যেভাবে গোসলের পরে তার পুরো শরীরকে নারা দিয়ে থাকে, ঠিক তেমনি আনুবিসও তার শরীরকে নারা দিয়ে দিলো। এতোক্ষন আনুবিস গভীর ঘুমের মধ্যে ছিলো, তাই কখন তার শরীর থেকে ডেড এনার্জি বের হয়েছে সে খেয়ালই করে নি। সে এখন লক্ষ করতে লাগলো পুরো রুমের পাথরের দেওয়ালে পচন লেগেছে। পাথরগুলো এতোটায় মরমর হয়ে গিয়েছে যে তাতে একটু ছোঁয়া লাগলেই এই পুরো জায়গাটা ভেঙে পরে যাবে। আনুবিস এর নজর তার সামনের দিকে চলে আসলো। যদিও সে জ্যাকের কথা পূর্বের গুলো শুনে নি। তারপরও তার শেষ কথা ঠিকই তার কানে এসেছে।



-->>আমি কোনো কুকুর না, মর্টাল। আমি একজন গড। গড অফ ডেড, আনুবিস।(আনুবিস)



আনুবিস একটা পাগলা কুকুরের মতো জ্যাকের সামনে দৌড়ে আসলো এবং কথাটা বলতে লাগলো। জ্যাক ভালো করে আনুবিসের দিকে তাকিয়ে আছে, তাকে কোনো দিক দিয়ে একটা গডের মতো মনে হচ্ছে না। একটা কথায় তার মনের মধ্যে শুধু ভেসে যাচ্ছে।



"একটা কুকুরও কি তাহলে গড হওয়ার যোগ্যতা রাখে।" (জ্যাক)



জ্যাকের ফেস দেখে আনুবিস বুঝতে পারলো জ্যাক কি ভাবছে। এটা তার সাথে একবার হয় নি। অনেকবারই হয়েছে। তাই সে নিজের রাগকে কন্ট্রোলে রাখলো। সে এতো বছর পর ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই তার হাতকে লাল করতে চাচ্ছে না। তাই ঠান্ডা মাথায় সে জ্যাকের উত্তর দিয়ে দিলো।



-->>আমি কোনো কুকুর না। যদি আমার স্পিসিজ সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকো, তাহলে আমি বলবো আমি একজন জ্যাকেল।(আনুবিস)



আনুবিস গর্ব করে তার পরিচয় জানালো। কিন্তু জ্যাক তার পরিচয়ে ইন্টারেস্ট রাখলো না। বরং তার মাথায় একটা জিনিসই যাচ্ছে না, একটা কুকুর কিভাবে একজন গড অফ ডেড হতে পারে? এই একটা প্রশ্ন তার মাথায় কোনো ভাবেই খেলছে না। 



-->>ওয়েট এ মিনিটি, মর্টাল আমি তোমার মধ্য থেকে ডেড এনার্জি অনুভব করতে পারছি, তাহলে কি আমার থেকে পূর্বে কোনো গড অফ ডেড তার সিল ভাঙতে পেরেছে? হ্যাঁ সেটা সম্ভব।(আনুবিস)



জ্যাক চুপ হয়ে গেলো। কিছু সময়ের জন্য কুকুরটা তার সামনে বক বক করতে লাগলো নিজের সাথেই। জ্যাক কি করবে বুঝতে পারছে না। তার কাছে সব স্বপ্নের মতো লাগছে। একটা গডকে সামনে থেকে দেখছে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু একটা গড যে কুকুর হবে এবং সেটা কথা বলতে পারবে এটা জ্যাককে এখনো ভাবাচ্ছে। জ্যাক এখনো তার বিস্ময় কাটাতে পারে নি।



-->>যায়হোক মর্টাল, তুমি কোন গডের অ্যাভেটার সেটা আমাকে প্রথমে বলো। যদিও আমি এক্সব্লকের মধ্যে থাকলে সিওর বলে দিতে পারতাম তুমি কোন গডের অ্যাভেটার, কিন্তু এখানে থাকার ফলে আমার মূল পাওয়ারের এক পার্সেন্টেজও আমি ব্যবহার করতে পারছি না।(আনুবিস)



হঠাৎ জ্যাকের চিন্তা আনুবিসের আকৃতি থেকে তার কথায় আটকে গেলো। একজন গডের কোনো দিক দিয়ে মিথ্যা বলা সাজে না। কিন্তু সে যেটা বলেছে সেটা জ্যাক কোনো ভাবেই মানতে পারছে না।



"তাহলে আমি এতোক্ষন যা দেখেছি এবং সহ্য করেছি তা এই কুকুরের আসল ক্ষমতার এক পার্সেন্টেজও ছিলো না?" (জ্যাক ভাবছে)



জ্যাক বিশাল একটা ডিপ্রেশনের মধ্যে চলে গেলো। সে যদিও তার সামনের গডকে একটা শার্ক মনে করছিলো, কিন্তু সেটা শুধু একটা শার্ক নয়। সে বিশাল একটা মেগালডন।



-->>ভয় পাওয়ার কিছু নেই মর্টাল। আমি কামড় দেই না। কিন্তু যে আমাকে অপেক্ষা করাই তাকে মোটেও পছন্দ করি না। তার সউলকে তার শরীর থেকে বের করে ইটার্নাল হেল এর মধ্যে নিক্ষেপ করি শুধু।(আনুবিস)



জ্যাক হঠাৎ ঢোক গিললো। সে আনুবিসকে কি বলবে বুঝতে পারছে না। তবে একজন গডের সামনে মিথ্যা বলা যে কতটা কষ্টকর সেটা সে মাত্র বুঝতে পারলো। ভয়ে তার সারা শরীর কাপছিলো। তারপরও সে তার সউলকে হারাতে চাই না। তাই বলতে শুরু করলো,



-->>আমি কোনো গডেরই অ্যাভেটার না।(জ্যাক)



জ্যাকের খুব সংক্ষিপ্ত একটা উত্তর। কিন্তু এটা মোটেও আনুবিসের পছন্দ হলো না। আনুবিস জ্যাকের শরীর থেকে ডেড এনার্জি অনুভব করছে। আর এই একটা এনার্জি যেটা কখনো জীবিত অবস্থায় অর্জন করা সম্ভব নয়। এটা অর্জন করার দুটো উপায় আছে। এক হলো হয়তো মৃত্যুকে জয় করতে হবে আর দ্বিতীয় নিজেকেই মরতে হবে। মৃত্যুকে জয় করা মানে বোঝানো হয়েছে, একজন ডেড গডের অ্যাভেটার হওয়া। একজন গডের অ্যাভেটার হওয়ার মাধ্যমে অ্যাভেটারটা তার গডের এনার্জির কিছু পরিমাণ ব্যবহার করতে পারবে। আর আনুবিস এজন্যই জ্যাককে কোনো গডের অ্যাভেটার মনে করছে। আর কোনো গডের অ্যাভেটার ছাড়া ডেড এনার্জির মালিক হওয়া,



-->>সম্পূর্ন অসম্ভব।(আনুবিস)



আনুবিসের প্রথমে রাগ হলেও তার নজর হঠাৎ জ্যাকের হাতে থাকা একটা রিং এর উপরে পরলো। সেটা এমন একটা রিং যেটা আনুবিস কেনো, বাকি গড অফ ডেড দের নজরে আসলেও না চেনার কোনো উপায় নেই। আনুবিসের শরীর থেকে হঠাৎ আবারো ডেড এনার্জি বের হতে শুরু করলো, কিন্তু সেটা পুরো রুমে ছরানোর পূর্বেই আনুবিস শান্ত হয়ে গেলো। সে শান্ত মাথায় কথা বলতে লাগলো,



-->>তাহলে লিচ্ টা মারা গিয়েছে। এজন্যই তো বলি, হঠাৎ আমাদের সিল এতো দুর্বল কেনো হয়েছিলো। কিন্তু আমি এই কোন জায়গার মধ্যে আছি?(আনুবিস)



আনুবিসের নজর জ্যাকের ডেড এনার্জিতে থাকার ফলে সে তার দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা সম্পর্কে আগ্রহী হওয়ার সময় পায় নি। তবে এখন তার মনে পরলো, জায়গাটা তার কাছে সম্পূর্ন নতুন। জ্যাকের থেকে আনুবিস তার পুরো নজর এবং আগ্রহ সরিয়ে সব কিছু দেখতে লাগলো। দেওয়াল গুলো এতোটা মুরমুরে হয়ে গিয়েছে যে সেখানে হাতের আঙ্গুল দিলেই সেটা ভেঙে যাবে। এমনি সময় আনুবিস দেওয়ালের কাছে যাওয়ার আগেই সেটা যত শক্তিশালী দেওয়াল হোক না কেনো, ভেঙে আনুবিসের জন্য রাস্তা তৈরী করে দিবে। কিন্তু আনুবিসের মনে এই ভাঙা মুরমুরে পাথরের দেওয়ালের কাছে যেতে ভয় লাগছে।



"আমি একজন গড। এই সামান্য জিনিস আমাকে নার্ভাস কেনো করছে?" (আনুবিস ভাবছে)



আনুবিস সকল চিন্তা বাদ দিয়ে তার সামনের দুই পায়ে ভর করে দৌড় দিলো দেওয়ালের দিকে। দেওয়ালটা এতোটা নরম ছিলো, তারপরও আনুবিস অনেক শক্ত করে একটা বারি খেলো সেটার সাথে। মাথায় এতোটা ব্যথা পেলো যে মুখ দিয়ে জ্যাকেলের শব্দ বের হয়ে গেলো। কিন্তু পরক্ষনেই লজ্জা পেয়ে সে আবারো একজন গডের মতো ব্যবহার করতে লাগলো।



-->>আমি জানতাম এখানে একটা শক্তিশালী ব্যারিয়ার রয়েছে, যেটা আমাকে এই জায়গা থেকে বের হতে দিবে না।(আনুবিস)



আনুবিস হঠাৎ অনেক কড়া ব্যবহার করতে শুরু করলো। জ্যাক হাফাচ্ছে আনুবিসের দ্বিতীয় বার ডেড এনার্জি বের হওয়ার ফলে। তার শরীরের হাত এবং পায়ের চামড়া পচতে শুরু করেছে, যেটাকে সে হিলিং পোশন দিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করলেও সেটা ঠিক হচ্ছে না। তাই সে দূর থেকে আনুবিসের অবস্থা দেখছে এবং হাফাচ্ছে। আনুবিস অনেক রেগে গেলো, তার শরীরের চারদিক দিয়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে গেলো এবং সেই ধোঁয়ার সাথে তার শরীরও ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। মানুষের মতো হাত পা ওয়ালা একটা শরীর হয়ে গেলো তার। তবে মাথাটা আর মানুষের মতো হলো না। একটা জ্যাকেলের মতো মাথা ওয়ালা মানুষ দেহীতে রূপান্তর হলো সে। এবং সময় নষ্ট না করে সে সরাসরি তার হাত দিয়ে জোরে আঘাত করলো দেওয়ালে। কিন্তু সাথে সাথে দেওয়াল থেকে একটা ফোর্স আনুবিসের শরীরকে অনেকটা দূরে ফেলে দিলো। আনুবিস একটা মর্টালের সামনে তার ইজ্জত হারাচ্ছে বুঝতে পেয়ে আর ব্যর্থ চেষ্টা করলো না। জ্যাক কিছুটা স্বাভাবিক হলো, যদিও তার হাত পায়ের বোধ হালকা হালকা হারিয়ে গিয়েছে, তারপরও হেটে সে দেওয়ালের কাছে গেলো। দেওয়ালের কাছে যাওয়ার পরই সে তার হাতকে দেওয়ালের উপরে রাখলো। ছোট পাথরের কোণা বের হয়ে ছিলো, যার উপরে আঙ্গুল লাগতেই সেটা ভেঙে নিচে পরে গেলো। আনুবিস এই দৃশ্য দেখে বিশ্বাস করতে পারছে না।



"আমি একজন গড হয়ে এই দেওয়ালের কিছুই করতে পারলাম না। সেখানে একটা মর্টাল আমার বিরোধিতা করছে এবং দেওয়ালকেও ভাঙতে পারছে।" (আনুবিস ভাবছে)



আনুবিস নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বলতে লাগলো,



-->>মর্টাল, আমি এখানে সিল ছিলাম, আর এই রুম গডদের আটক করার জন্য তৈরী করা হয়েছে। তাই তুমি এটাকে ভাঙতে পারছো।(আনুবিস)



-->>একটা ডিল করি আমরা এখানে।(জ্যাক)



জ্যাক বুঝতে পারলো সে তার সামনের বসকে হত্যা করতে পারবে না। আনুবিসের কথাটা সত্য, এই রুমটা তাকে আটক করে রাখছে এখানে। জ্যাক তার এনার্জি অনুভব করেই বুঝতে পারছে সে কতটা শক্তিশালী হতে পারে। পূর্বে তো তেমন কিছু ছিলো না, কিন্তু বর্তমানে আনুবিস যে ফর্মে আছে তাতে জ্যাকের ভয় করছে দাঁড়িয়ে থাকতেই। আনুবিস চাচ্ছিলো জ্যাককে হত্যা না করতে, কারন সে ঘুম থেকে উঠার পরই নিজের হাত লাল করতে চাই না। সে জানে রুলার অফ ডেড মারা গিয়েছে এবং কোনোভাবে রুলার অফ ডেডের রিং তার হাতে চলে এসেছে। আর তার সামনের মর্টালের শরীরের এনার্জি মূলত সেই রিং থেকেই আসছে। আনুবিস অবাক হলো, একজন সাধারন মর্টাল কোনো ভয় ছাড়া একজন গডের সামনে ডিলের কথা বললো। এটা অনেকটা তার প্রাইডে লাগলো। তারপরও ছেলেটার মাঝে কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে চিন্তা করে আনুবিস ছেলেটার কথা শুনতে লাগলো।


জ্যাক ব্যথার ফলে কিছুক্ষন পূর্বে তার জ্ঞান হারিয়েছে। অনেকটা বলা চলে সে ঘুমের মধ্যে চলে গিয়েছে। কিন্তু তার শরীর হাটছে, সেই সাথে আনুবিসের সাথে কথাও বলছে। জ্যাকের শরীরের কন্ট্রোল কিছুক্ষনেী জন্য পোসেইডন নিয়ে নিলো। সে আনুবিসকে অনেক ভালো করেই জানে এবং চিনে, তাই জ্যাককে এই পরিস্থিতি থেকে ঠিক ভাবে বের করার জন্য একটা প্রস্তাব রাখলো আনুবিসের সামনে। আনুবিস একজন ডেড গড, বাকি গডদের তুলনায় তার মাথার স্ক্রু অনেক ঢিলা। সে এখন জ্যাককে কিছু করতে না চাইলেও, পরে ঠিকই তাকে খুজে নিবে। আনুবিসের শাস্তি দেওয়ার স্টাইলও আলাদা, সে জ্যাকের ভালো এবং খারাপ কাজ গুলোকে আলাদা করে মাপ দিবে এবং ভালো হলে হত্যা করে ফেলবে জ্যাককে এবং খারাপ হলে কঠোরতম শাস্তি দিয়ে হত্যা করে ফেলবে। আর পোসেইডন এখন সেই বিষয়টা এরানোর জন্যই জ্যাকের শরীরকে নিয়ন্ত্রন করছে।




-->>ডিলটা অনেক সহজ। আমি তোমাকে এই জায়গা থেকে বের হতে সাহায্য করবো, এবং তার বিনিময়ে একটা কাজ আমার জন্য তোমাকে করতে হবে।(পোসেইডন)




* * * *


এরিয়েল টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করেছে। গল্পটা তার নিজের লেখা হওয়ায় ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার ধারনা রয়েছে। আর তাই টাওয়ার অফ গ্রিডের লুপ হোল গুলো তার মুখস্ত রয়েছে। যেহেতু নিজেই তৈরী করেছে সেই লুপ হোল গুলো, তাই সেই লুপ হোলের ব্যবহার করে এরিয়েল একজন ব্যক্তিকে টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করিয়েছে। যদিও সে চাচ্ছিলো না তারপরও চরিত্রটা অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে গল্পটাকে শেষ করার জন্য।



-->>সুন্দরী আমি বুঝতে পারছি না আমি এখানে কিভাবে আসলাম, তোমার কাছে কি কোনো ক্লু আছে?(হারকিউমাস)



এরিয়েল চুপ করে আছে। তার কান এতোক্ষনে ঝালাপালা হয়ে যেতো যদি না সে ম্যাজিক ব্যবহার না করতে পারতো। সাউন্ড ক্যান্সেলেশন ম্যাজিক, যেটা এরিয়েলকে যেকেনো নির্দিষ্ট বস্তুর শব্দ শোনা থেকে বিরত রাখে। এটা অনেক কাজে দিচ্ছে।



-->>সুন্দরী আমার মনে হয় আমি এখানে শুধুমাত্র তোমার জন্যই এসেছি। নাহলে কি কখনো আমার মতো হ্যান্ডসাম ব্যক্তি তার রানীদের ছেড়ে অন্য কোনো ইউনিভার্সে আস্তে পারে।(হারকিউমাস)



-->>কিন্তু এই টাওয়ার টা কি, এটা সম্পর্কে তো কিছু বললে না আমাকে সুন্দরী, আর তুমি বললে আমার পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কাউকে আমি এখানে খুজে পাবো, তুমি কি সিউর সেই ব্যাপারে?(হারকিউমাস)



এরিয়েল কোনো কথা বলছে না দেখে, হারকিউমাস এরিয়েলের হাত ধরতে যাবে, কিন্তু তার হাত ধরার পূর্বেই এরিয়েল তার ম্যাজিক স্কিল ব্যবহার করে। "টাইম এক্সেলেশন" যেটা ব্যবহারের মাধ্যমে এক পলকের মধ্যে এরিয়েল হারকিউমাসের থেকে দশ হাত দূরে সরে গেলো। হারকিউমাস বিরক্ত হয়ে বলতে শুরু করলো,



-->>লেখক, আমি এই রসহীন গল্পে থাকতে চাই না। আমাকে আমার রঙিন গল্পে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।(হারকিউমাস)





* * * 


To Be Continued 


* * * 



কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

1 comment

  1. Amar onak gula posno roa ca,,, ai universe ar men character ka ar ai writer ka,, puro golpar world ka ka control korca...😶😶😶
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.