আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ৬০

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#Demon_King#


পর্ব:৬০


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


টাওয়ার অফ গ্লাটোনি, সাত ডিম্যান প্যালেসের মধ্যে একটা। এটা মূলত তৈরী হয়েছিলো ডিম্যান প্রিন্স অফ গ্লাটোনি এ.কে.এ বিলজবাবের জন্য। সব ডিম্যান প্রিন্সের মধ্যে শুধুমাত্র বিলজবাবই এমন এক ব্যক্তি ছিলো যাকে অন্য কোনো ডিম্যানই সহ্য করতে পারতো না। আর তার একটা কারনই ছিলো, বিলজবাব জন্মগত ভাবে ডিম্যান ছিলো না। সে একজন সাধারন মানুষ ছিলো। তবে বিলজবাব যখন তার সব কিছু হারিয়প ফেলে ঠিক তখনি ডিম্যান কিং তার হাত বারিয়ে দেই বিলজবাবের কাছে। তার পূর্বের বিলজবাবের নামও বিলজবাব ছিলো না। কিন্তু ডিম্যান কিং এর হাত ধরে উঠার পরই তার নতুন পরিচয় তৈরী হয়। ডিম্যান কিং এর এনার্জি শেয়ারের মাধ্যমে একটা ডিম্যানে পরিণত হতে শুরু করে বিলজবাব। যদিও সে অর্ধ ডিম্যান এবং অর্ধ মানুষ ছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার ডিম্যান অংশ তার মানুষ অংশকে মেরে ফেলে, যার ফলে সে পুরোপুরি ডিম্যানে পরিণত হয়ে যায়। যেহেতু স্পিসিজদের মধ্যে শক্তির দিক দিয়ে মানুষের থেকে ডিম্যান অনেক উপরে রয়েছে, তাই ডিম্যান ওয়ার্ল্ডের সকল ডিম্যান বিলজবাবকে ঘৃণা করতো। একটা মানুষ তাদের নেতৃত্ব দিবে এটা কখনোই কোনো ডিম্যান সহ্য করতে পারে নি। তাই তো বিলজবাবের হাতে গোনা মাত্র তিনজন ফলোয়ার বা চাকর ছিলো। যারা সর্বদায় বিলজবাবের সেবা করতো। আর ডিম্যানদের সাথে গডদের যুদ্ধের শেষের দিকে এই তিনজনই বিলজবাবের সাথে ছিলো। তবে বিলজবাব তার ইটার্নাল স্লিপে যাওয়ার পূর্বে তার তিন চাকরকে তার ব্যবহার করা তিন ম্যাজিকাল আইটেমের মধ্যে সিল করে রাখে। বিলজবাব তার তিন বিশ্বস্ত চাকর সহ তার আরো ব্যবহার যোগ্য দুটো স্পেশাল আইটেমকে নিয়ে এই টাওয়ার অফ গ্লাটোনির মধ্যে ইটার্নাল স্লিপের মধ্যে চলে যায়। বাকি ডিম্যান প্রিন্সের মতো বিলজবাবও রেইনকার্নেট হবে, আর এই পাঁচটা ম্যাজিকাল আইটেমই চাবি রূপে তখন কাজ করবে। আর এজন্যই সব ডিম্যান প্রিন্সের টাওয়ারের মধ্যে জীবিত স্পিসিজদের প্রবেশ করানো হয়। স্পিসিজ গুলো চাবি গুলো সংগ্রহ করবে এবং ডিম্যান প্রিন্সকে রেইনকার্নেট করবে। 


ডিম্যান প্রিন্সরা কোনো গড নয়, তাই তারা অ্যাভেটার তৈরী করতে পারে না। তাদেরকে একজনের শরীর সম্পূর্ন ভাবে দখল করে নিতে হয়। আর এই প্রসেস এর মাধ্যমে যদি হোস্ট মারা যায় তাহলে ডিম্যান প্রিন্সও মারা যাবে। এজন্য কোনো ডিম্যান প্রিন্সই দুর্বল হোস্ট বেছে নিতে চাই না। আর এই রকম দুর্বল ওয়ার্ল্ডে শক্তিশালী কাউকে খুজে পাওয়া অনেক কষ্টকর। তাইতো ছয় ডিম্যান প্রিন্স মিলে একটা পদ্ধতি বের করেছিলো। তারা ইটার্নাল স্লিপে যাওয়ার পূর্বে তাদের কিছুটা ভাবনাকে তাদের টাওয়ারের মধ্যে রেখে দিয়েছিলো, যাতে করে তাদের টাওয়ারগুলো একটা টেস্টের মতো চলতে পারে। আর সেই টেস্টের মাধ্যমে দুই পক্ষই লাভবান হবে। সাধারন ব্যক্তি যারা টাওয়ারে প্রবেশ করবে তারা মনস্টার হত্যার মাধ্যমে শক্তিশালী হতে পারবে এবং ছয় ডিম্যান প্রিন্স তাদের মধ্য থেকে একটা শক্তিশালী হোস্ট বেছে নিতে পারবে।



ঠিক বাকিদের মতো বিলজবাবের টাওয়ারও সেভাবেই চলছিলো। কিন্তু যেখানে বাকিরা কোনো চাবি টাবির ব্যবস্থা করে নি, সেখানে বিলজবাব তার হোস্টকে স্পেশাল ভাবে বেছে নিবে। বিলজবাবকে রেইনকার্নেট হতে হলে অবশ্যই পাঁচ চাবিকে একত্র করতে হবে। আর পাঁচ চাবির একটাও যদি কারো কাছে থাকে, তাহলে বাকিদের সংগ্রহ করার প্রবল ইচ্ছা তাদের মনে জন্ম নিবেই। তবে এমন নয় যে টাওয়ার শুরু পর থেকেই বিলজবাবের চাবিগুলো তার টাওয়ারের মধ্যেই ছিলো। আবার এমনও নয় যে তাদের শুধু একটা মাস্টারই ছিলো। কথাটা ঘুরিয়ে না বলে সোজা ভাবেই বিশ্লেষণ করি। পাঁচ চাবির একটাও হাজার বছর পূর্বে টাওয়ার অফ গ্লাটোনির মধ্যে ছিলো না। যেহেতু টাওয়ারের মধ্যে অনেক ম্যাজিকাল আইটেম থাকে, তাই তাদের মধ্য থেকে কোনটা বিলজবাবের আইটেম সেটা খুজে পাওয়া অনেক কষ্টকর। ডিম্যান কিং যখন সাত ডিম্যান প্যালেস তৈরী করেছিলো তখন তার সংগ্রহ করা হাজারো লক্ষ ম্যাজিকাল আইটেমের মধ্য থেকে কিছু সাত প্যালেসের মধ্যে রেখে দেই। আর এরফলেই সাত টাওয়ারের মধ্যেই বিভিন্ন রকম মিশন এবং মনস্টার হত্যার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ম্যাজিকাল আইটেম পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। যদিও হাজারো ম্যাজিকাল আইটেম ছিলো টাওয়ার অফ গ্লাটোনির মধ্যে, কিন্তু শুরুর পর থেকে তার মধ্যে বিলজবাবের ম্যাজিকাল আইটেম পাঁচটা ছিলো না। বিলজবাব পাঁচটা ম্যাজিকাল আইটেম ব্যবহার করেছে তার জীবনে। যার মধ্যে একটা তার ব্রেসলেট, একটা রিং, একটা হ্যাভি গ্রেট সোর্ড এবং দুটো টুইন ব্লেড ড্যাগার। যদিও বিলজবাব ম্যাজিকে দক্ষ ছিলো তারপরও সে অস্ত্রের ব্যবহার করতো। আর তার তিনটা অস্ত্রই মারাত্মক ছিলো। পাঁচ ম্যাজিকাল আইটেমের মধ্য থেকে বিলজবাব তার রিং এবং ব্রেসলেট পেয়েছিলো ডিম্যান কিং এর থেকে এবং গ্রেট সোর্ড পেয়েছিলো একজন ওয়ার গডকে হত্যা করার পর। কিন্তু তার বাকি দুই ড্যাগার দুটো সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কেউ কোনো তথ্য জানে না।


যাক আসল কথায় ফিরি, বিলজবাব তার তিন চাকরকে তার তিন ম্যাজিকাল আইটেমের মধ্যে সিল করে ম্যাজিকাল আইটেমের সাথে একত্র করে দিয়েছিলো, বাকি দুটো নিয়ে তাকে কিছু করতে হয় নি। এই পাঁচটা ম্যাজিকাল আইটেম টাওয়ার অফ গ্লাটোনির মধ্যে ছিলো না। এই পাঁচটা ম্যাজিকাল আইটেম টাওয়ার অফ র‍্যাথ ব্যতিত বাকি পাঁচটা টাওয়ারের মধ্যে অবস্থিত ছিলো। যেগুলো বিভিন্ন ওয়ার্ল্ডের বুকে উদয় হওয়ার সাথে সাথেই টাওয়ার অফ গ্লাটোনিতে ফিরে এসেছে। ঠিক অনেকটা জিডুরীর মতো। জিডুরীর মতোই বাকি চার ম্যাজিকাল আইটেম অন্য চার টাওয়ারের মধ্যে ছিলো, যেটা থেকে অনেক সময় পূর্বেই টাওয়ার অফ গ্লাটোনির মধ্যে এসেছে। পাঁচ চাবি এতোদিন টাওয়ার অফ গ্লাটোনির মধ্যে না থাকার কারনে বিলজবাব এখনো রেইনকার্নেট হওয়ার সুযোগ পায় নি। এখন যেহেতু পাঁচটা চাবি এক টাওয়ারের মধ্যেই আছে তাই বিলজবাব অপেক্ষায় আছে তার ইটার্নাল স্লিপ থেকে জেগে উঠার জন্য।



[স্পেশাল নোটঃ পূর্বে যদি বিলজবাবের অধিক সংখ্যক চাকর তুলে ধরি তাহলে সেটাকে এরিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। আর হ্যা ইন্ট্রো পর্বে জিরোর চরিত্র তুলে ধরেছিলাম। ইন্ট্রো পর্বটা আবার সংশোধন করেছি অনেক পূর্বেই। সেখানে প্রথমে বলেছিলাম জিরো বিলজবাব এবং বেলফেগর দুজনকেই মাস্টার বলে দাবি করে, কিন্তু সংশোধিত জায়গাতে বিলজবাবের সাথে জিরোর কোনো সম্পর্ক নেই।]




* * * * *



চার এম্পায়ার যথাক্রমে ফায়ার, ওয়াটার, আর্থ এবং এয়ার অনেক পুরানো এম্পায়ার ছিলো এগনোলেনিয়াতে। তবে মাত্র কয়েক বছর হয়েছে নতুন একটা এম্পায়ারের জন্ম হয়েছে। লাইটনিং এম্পায়ার, এটা সদ্য তৈরী হওয়া একটা এম্পায়ার। যদিও চার এম্পায়ারের মধ্যে ফায়ার এম্পায়ারই সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো, কিন্তু লাইটনিং এম্পায়ার তৈরী হওয়ার পর থেকে সেটা অনেকটা ভুল ধারনাতেই পরিনত হয়ে যায়। যদিও লাইটনিং এম্পায়ারের অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি রয়েছে, কিন্তু গড় হিসাবে ফায়ার কিংডমে শক্তিশালী ব্যক্তির সংখ্যা তুলনামূলক বেশী। কিন্তু তারপরও ফায়ার এম্পায়ারের সবার মনের মধ্যেই লাইটনিং এম্পায়ার নিয়ে একটা অজানা ভয় কাজ করে। কারন তারা এমন সব ব্যক্তি যাদের চার এম্পায়ার পূর্বে কখনো দেখে নি বা তাদের সম্পর্কে শোনে নি। লাইটনিং এম্পায়ারের মধ্যে আইন তেমন কাজ করে না। এক কথায় বলতে গেলে তারা আসামীদের নিয়ে একটা এম্পায়ার তৈরী করেছে। চার এম্পায়ারের চোখের সামনে দিয়ে একটা নতুন এম্পায়ার তৈরী হয়েছিলো, আর সেখানে চার এম্পায়ার কিছুই করতে পারে নি। বিষয়টা অনেক লজ্জা জনক ছিলো, যা কেউ মনে করতে চাই না।



টাওয়ারের টেস্টে শুধু ফায়ার এম্পায়ারের ছেলে মেয়েরাই প্রবেশ করে নি। তাদের ব্যতিত বিভিন্ন ব্যক্তি প্রবেশ করেছে। শুধু যে একাডেমি থেকেই মানুষ টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে এমন বিষয় না সেটা একাডেমির ছেলে মেয়েরা বুঝতে পারলো। একাডেমিতে ভর্তির জন্য অবশ্যই একজনের বয়স পনেরো এর নিচে হতে হবে। কারন এটাই প্রথম সময় থাকে এট্রিবিউট আনলকের। আর তাছাড়াও এই বয়সের ছেলে মেয়েদের মধ্যে যাদের ট্যালেন্ট রয়েছে তাদেরকে প্রপার ট্রেনিং দেওয়ার জন্যই একাডেমি খোলা হয়েছে। আর সব সময় এসব ছেলেমেয়েরাই টাওয়ারের মধ্যে কিছু একটা করতে পারে বা করে থাকে। এই বয়সের ছেলে মেয়ে ছাড়াও সব বয়সের ছেলে মেয়েরা টাওয়ারে প্রবেশের সুযোগ পায়। শুধু যে একাডেমি টাওয়ারের গেইটকে নিয়ন্ত্রন করে এমন নয়। টাওয়ারে প্রবেশের জন্য যেকোনো কিংডমের রাজা, যেকোনো এম্পায়ারের এম্পেরর, যেকোনো হান্টার এসোসিয়েশন এর লিডার এবং সবশেষে একাডেমির প্রিন্সিপালের রিকমেন্ডেশন হলেই প্রবেশ করা যাবে। আর তাছাড়াও নিজের পাওয়ার একটা নির্দিষ্ঠ পরিমান থাকলে সেখানে কারো কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। আপাতোতো সময়ে প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর টাওয়ারের টেস্টের গেইট খুলে দেয় টাওয়ার। আর এই তিন মাস অন্তর অন্তরই পাঁচ এম্পায়ার তাদের থেকে নতুন লোক পাঠায় টাওয়ারের টেস্টে অংশ নেওয়ার জন্য। যদিও সবাই টাওয়ারের টেস্ট সম্পূর্ন করতে পারে না, কিন্তু তারা আবারো চেষ্টা করে পরের বার। যেহেতু এতো লোকের মধ্যে অনেকে আছে যারা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা অনেকে আছে যারা অধিক সংখ্যক বার টেস্টে অংশ নিচ্ছে, তাই টেস্ট সম্পর্কে তাদেরই অনেক ভালো একটা ধারনা রয়েছে। আর এজন্যই টাওয়ারের টেস্ট গ্রাউন্ডে প্রবেশের পর তার লোক জোগাড় করছে।




* * * * *


এলেক্স একটা ভিন্ন জায়গার মধ্যে চলে এসেছে। টাওয়ার অফ স্লোথের টেস্ট গ্রাউন্ডে থাকার কারনে এলেক্স জায়গাটা দেখা অবাক হচ্ছে না। অনেক বিশাল একটা জায়গা, যেখানে এলেক্সের চোখ শেষ করতে পারছে না। যদিও জায়গাটা এলেক্সের মনের জায়গাটার কাছে কিছুই না কিন্তু এটা অন্য সবার জন্য আশ্চর্যকর একটা জায়গা। ছোট একটা টাওয়ার যার প্রস্থ্য একটা কিংডমের ক্যাপিটালের সমান হবে, সেই বস্তুর ভিতরের জায়গা একটা ওয়ার্ল্ড থেকে কম নয়। শুধু মাত্র টেস্ট গ্রাউন্ডই এতো বড়, তাহলে বাকি ফ্লোর গুলো তো আরো বড় হবে।



"লিচ্ টার সুবাধে আমি কিছুটা হলেও জানতে পেরেছি।" (এলেক্স)



লিচ্ দ্যা আনডেড এর স্মৃতির কারনে এলেক্স যা জানতে পেরেছে এই টাওয়ারের মধ্যে স্পেস ম্যাজিক ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা এতোটা শক্তিশালী ম্যাজিক যেটার ফলে কেউ চাইলে ছোট একটা আংটির মাঝেও হাজারো ওয়ার্ল্ডের কপি তৈরী করতে পারবে। আর এটা যে কারো দ্বারা সম্ভব নয়। 



-->>তাহলে ডিম্যান কিং এটা কিভাবে করেছে?(এলেক্স)



এলেক্স যতদূর বুঝতে পেরেছে ডিম্যান কিং এর পক্ষেও এটা তৈরী করা সম্ভব হতো না। কিন্তু এটা তার ধারনা মাত্রই। যেহেতু যারা ডিম্যান কিং কে হত্যা করেছে তাদের দ্বারাও এটা সম্ভব ছিলো না, তাই এলেক্স এতটুকু ধারনা ঠিকই করতে পারছে। তারপরও তার ধারনা তার কাছেই রাখলো। কারন তাকে টেস্ট শেষ করতে হবে।


হাজারো মানুষ টাওয়ারের টেস্টে অংশ নিচ্ছে। বছরের প্রথম টেস্ট ছিলো আজকে, তাই স্বভাবতই টেস্টে অংশগ্রহন কারীদের সংখ্যাও বেশী। সবাই গেইট দিয়ে প্রবেশের পরই একটা খোলা মাঠের মধ্যে টেলিপোর্ট হয়ে চলে এসেছে। জায়গাটা টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোর। কিন্তু কোনো দিক দিয়েই সেটাকে আন্ডারগ্রাউন্ড মনে হচ্ছে না। আকাশে সূর্য রয়েছে, চাদও আবার দেখা যাবে রাতে। এই বিষয়টা সবাইকে ভাবাচ্ছে। আবদ্ধ জায়গায় খোলা নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। আর এই সব কিছুই প্রথম অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবাক করছে। যারা নতুন এসেছে তারা টাওয়ারের টেস্ট সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। এখানে আসার সময় একাডেমি থেকে যতটুকু শুনতে পেরেছে সেটা তাদের তেমন সাহায্য করছে না এখানে। টেস্ট গ্রাউন্ডের মধ্যে অনেক রকমের মনস্টার রয়েছে। তাদের হত্যার মাধ্যমে খাবার এবং প্রয়োজনীয় ম্যাজিকাল আইটেম খুজে পাওয়া যাবে। আর তাছাড়া এই জায়গা থেকে টাওয়ারে প্রবেশ করতে হলে প্রতি ব্যক্তিকেই টেস্ট গ্রাউন্ডে থাকা একশত ড্যানজনের একটা ক্লিয়ার করতে হবে।ড্যানজন ক্লিয়ার দুই মাধ্যমে করা যায়, এক হলো একা এবং দুই হলো দল বানিয়ে। যদি কোনো ব্যক্তি একা একটা ড্যানজনের মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে তাকে ড্যানজন ক্লিয়ার করতে হবে একাই। এবং সেটা ক্লিয়ার করার পরই সে টাওয়ারের এই জায়গা থেকে বের হতে পারবে এবং প্রথম ফ্লোরে প্রবেশের সুযোগ পাবে। আবার কয়েকজন একসাথে ড্যানজনের মধ্যে প্রবেশ করার পর, যদি একজনও ড্যানজন ক্লিয়ার করতে পারে তাহলে ড্যানজনের মধ্যে এক সাথে প্রবেশ করা বাকিরাও টাওয়ারের প্রথম ফ্লোরে প্রবেশ করতে পারবে।


অনেকটা সহজ মনে হলেও এটা কোনো সহজ কাজ না। একশত ড্যানজনের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মনস্টার থাকে এবং প্রতিটা মনস্টার অনেক শক্তিশালী হয়। আর তাছাড়া মনস্টারের সংখ্যা অধিক হওয়ার কারনে সেখানে একা কিংবা কম সংখ্যক মানুষ নিয়ে ক্লিয়ার করাটা কষ্টকর। তাছাড়া একশত ড্যানজন তাদের লেভেল অনুযায়ী আলাদা করা। মোট চার ভাগে একশত ড্যানজন গুলোকে আলাদা করা হয়। লাল, হলুদ, নীল, সবুজ এভাবে চার ভাগে ভাগ করা হয় ড্যানজন গুলোকে। তার মধ্যে সবুজ সবচেয়ে সহজ ড্যানজন কিন্তু এর লোকেশন পাওয়া একটু কষ্টকর। তারপর নীল যেটা কিছুটা কষ্টকর। এরপর হলুদ সেটা মারাত্মক লেভেলের ড্যানজন। আর লাল ড্যানজন সেটা অসম্ভব ক্লিয়ার করা।



সবুজ ড্যানজন সহজ হওয়ার কারনে নতুন মানুষ সেটা খোঁজার চেষ্টায় করে প্রথমে। কিন্তু পুরো তিনমাস খোঁজার পরও একটা সবুজ ড্যানজন খুজে পাওয়ার সম্ভবনা মাত্র এক পার্সেন্টেজ থাকে। এজন্য অধিকাং মানুষই নীল ড্যানজনে প্রবেশ করে। তাছাড়া যারা পূর্বে টেস্টে অংশ নিয়েছিলো তারাও নীল ড্যানজনই খুজে বের করে। যেহেতু সেটা একটু কষ্টকর তাই অনেকে বড় বড় টিম বানানোর পরই সেখানে প্রবেশ করে। 


অন্যদিকে হলুদ ড্যানজন গুলো মারাত্মক লেভেলের। সেগুলো ক্লিয়ার খুব কম সংখ্যক মানুষই করতে পেরেছে। যারা করেছে তাদের রিভিউ গুলো মারাত্মক হওয়ার জন্য নতুনরা সেটাকে খুজে পাওয়ার পরও সেটায় প্রবেশ করে না। তবে একটা হলুদ লেভেলের ড্যানজনের মধ্যে সবুজ কিংবা নীল লেভেল ড্যানজনের তুলনায় শক্তিশালী এবং রেয়ার ম্যাজিকাল আইটেম পাওয়া যায়। এজন্য অনেক লোভি ব্যক্তিই রিক্স নিয়ে নেয়। 


আর লাল ড্যানজন, সেটা একটা অসম্ভব ড্যানজন হাজারো বছর পরেও। হাতে গোনা কয়েকটা মানুষই সেটাকে ক্লিয়ার করতে পেরেছে। কিন্তু তাদের থেকে সেই ড্যানজন সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যায় নি।



পুরাতন ব্যক্তিরা যেহেতু পূর্বেও টাওয়ারের টেস্টে অংশ নিয়েছিলো তাই তারা এখন থেকেই টিম বানাতে লেগে গেলো। কিন্তু সব ভীরের পাশ কাটিয়ে এলেক্স বেরিয়ে গেলো। তার লোকজনের সাথে ভালো লাগে না। পূর্বে টেস্টের শর্ত ছিলো, বলেই সে টিমের সাথে ছিলো। কিন্তু এখানে,



-->>এখানে আমি আমার মতোই সব কিছু করতে পারবো।(এলেক্স)



এলেক্স আস্তে আস্তে কথাটা বললো। আজ অনেকদিন হলো এলেক্স তার পাওয়ার সঠিক মতো ব্যবহার করতে পারে না। আর কারো সাথে টিম তৈরী করলে সে আরো পারবে না। তাছাড়াও এলেক্স মানুষের সাথে থাকতে পছন্দ করে না। কাউকেই সে বিশ্বাস করে না। আর,



-->>আর আমার কোনো টিমের প্রয়োজন হবে না। আমার বিশ্বস্ত সেনা আমার অপেক্ষাতেই আছে।(এলেক্স)




এলেক্স হাটতে শুরু করলো। লোক জনরাদের থেকে অনেক দূরে চলে যেতে লাগলো। তার গন্তব্য সবুজ, নীল বা হলুদ ড্যানজনের দিকে না। বরং এলেক্স লাল ড্যানজনের সন্ধান করতে বের হলো।।



* * *


To Be Continued 


* * *


অনেক ভুল হতে পারে বানানে। যেহেতু দ্বিতীয় বার পড়ার সময় পায় না। তাই যারা পড়বেন, তাদের নজরে কোনো ভুল বানান হলে একটা স্ক্রিনশট তুলে আমার ইনবক্সে পাঠাতে পারেন। তাতে আমার অনেক উপকার হবে। ধন্যবাদ।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

5 comments

  1. bekkha aktu kom kore dio ...taile valo lagbe
    1. Ok bro
  2. Vai last osthir
    Asa korchi next part a
    Fight seen thankba 🥰🥰
  3. যদি কোন ব্যাক্যা দাও, তবে এমন ভাবে দাও যেন সেটা গল্পের অংশ হয়। লেখক বাপ্পি গল্পের ভিতর ঢুকে কথা বললে মনে হয় যেন ওরে ঘাড় ধরে গল্পের ভিতর থেকে বের করে দেই। আর লেট লতিফ স্বভাব টা বাদ দাও। মানুষের ভাল লাগে বলে গল্প দিবা ১০ দিন পর এটা কাম্য না কোন ভাবে। আর সবশেষে বলব, গল্প ভাল হয়ে হয়েছে। গল্প যত ইনটেন্স হবে মজাও তত বেশি।
  4. ভাই এত লেট করে গল্প দেন কেন?
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.