[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:৩৫
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
হোয়াইট পার্টির হেড কোয়ার্টার,
নতুন টিম সহ পুরাতন একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার যাওয়ার পরও প্রথম ফ্লোরের সামান্য একটা একটা ফ্লোর বসকে হত্যা না করতে পারা সবাই পার্টি কো লিডারের সামনে বসে আছে। যেহেতু পার্টি লিডার নিজের পরিচয় নিয়ে তেমন বেশী কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই সেটাকে কম পাবলিক করতে চাই, তাই পার্টির কাজ হাতে কলমে তার মেয়েই দেখাশোনা করে থাকে। হোয়াইট পার্টির কো লিডার মিস রোজা, যার বয়স আঠারো থেকে বিশের মতো হবে। কিন্তু এই বয়সেই সে এই টেস্ট ড্যানজনের মধ্যে শক্তিশালী এক প্লেয়ারে পরিণত হয়েছে। সে বসে আছে তার জন্য বরাদ্দকৃত স্পেশাল চেয়ারের উপরে। আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নতুন টিমের বিশজন প্লেয়ার। প্লেয়ার বিশ জনের টিম লিডারও সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মূলত তারা একটু পূর্বেও ড্যানজনের প্রথম ফ্লোরে ছিলো। কিন্তু ফিল্ড বস হত্যা হওয়ার মেসেজ সবার মোবাইলে চলে আসার ফলে তারা পার্টি হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে গেছে।
-->>তাহলে বলতে চাচ্ছো তোমাদের নাকের ডগা দিয়ে কিভাবে কেউ ফ্লোর বসকে হত্যা করতে পারে?(রোজা)
পার্টির কো লিডার অনেকটা রেগে গেলো। সে এটা কখনোই ভাবে নি যে অন্য কেউ তাদের হান্টিং এ ইন্টার ফেয়ার করবে। যেহেতু ব্লাক পার্টির সাথে চুক্তি হয়েছ তাই তারা এই সপ্তাহের ফিল্ড বসের রেইডে অংশ গ্রহন করে নি। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী সামনে সপ্তাহে হোয়াইট পার্টিও কিছুই করতে পারবে না। এখন হোয়াইট পার্টিকে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ফিল্ড বসকে আবারো রেইড করতে হলে। আর এই ভাবনাটায় পাগল করে দিচ্ছে রোজাকে। ছোট থেকেই রোজা হারতে শিখে নি। ঠিক তার বাবার মতোই তার জীননটা কষ্ট এবং শ্রমের মাধ্যমেই তৈরী করেছে। তাই সে যে এখানে হেরে যাবে এটা কল্পনাও করে নি।
-->>ম্যাম আমার মনে হয় ব্লাক পার্টি গোপনে আমাদের চুক্তি ভেঙেছে। তা নাহলে আপাতোতো অন্য কোনো পার্টির সেই ক্ষমতা নাই যে তারা আমাদের অবাধ্য হয়ে ফিল্ড বসকে হত্যা করবে।(নতুন টিমের লিডার)
-->>তোমাকে এজন্যই আমি এই টিমে রেখেছি যাতে তেমন কিছু না ঘটে, কিন্তু তারপরও। আমি সত্যিই তোমার উপরে সন্তুষ্ট না।(রোজা)
পার্টি কো লিডার তার মনের ভাবনা প্রকাশ করছে না। সে অনেক রেগে আছে, তার মন চাচ্ছে তার রাগ প্রকাশ করতে। কিন্তু তাতে কোনো ভালো ফল আসবে না জেনে সে চুপ রইলো।
-->>কে বা কারা হান্ট করেছে ফিল্ড বসকে এটা লক্ষ করো নি তাহলে?(রোজা)
-->>না ম্যাম, যেহেতু ফিল্ড বস হঠাৎ তার এরিয়া থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে, তাই আমরা কিছুই দেখতে পারি নি কে বা কারা সেটাকে হান্ট করেছে।(টিম লিডার)
-->>একটা ফিল্ড বস কিভাবে উধাও হলো? আমার জানা মতে এরকম কখনো হয় নি।(রোজা)
-->>ম্যাম, সেখানে একটা প্লেয়ার ছিলো, যাকে আমরা পূর্বে কখনো দেখি নি, কিন্তু আমার মনে হয় না সে নতুন কোনো প্লেয়ার ছিলো। ফিল্ড বসকে কন্ট্রোল করার পরে প্লেয়ারটা পিছন থেকে হঠাৎ আজব একটা বো দিয়ে এট্যাক করে। ফিল্ড বসের এগ্রো তার দিকে থাকায় বস তাকেই হত্যা করতে ছুটে যায়। আমরা তো মনে করেছিলাম প্লেয়ারটা নতুন হবে, তাই সেখানেই মারা যাবে........
-->>তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো একটা পুরাতন প্লেয়ার আমাদের রেকর্ডের বাইরে প্রথম ফ্লোরে প্রবেশ করেছে এবং আমাদের টিমের নাকের ডগা দিয়ে একটা ফিল্ড বসকে গায়েব করে দিয়েছে।(রোজা)
-->>জ্বী ম্যাম।
-->>তাহলে কিভাবে করলো? কোনো স্পেশাল আইটেম কি ব্যবহার করতে দেখেছো?(রোজা)
-->>না ম্যাম। সে দূরে থাকার ফলে আমি লক্ষ করি নি সে কি ব্যবহার করে সেটা করেছে।
-->>তাহলে কে সে? তোমরা বিশজনের এক জন হলেও তো তার চেহারা দেখেছো নাকি?(রোজা)
-->>ম্যাম, তার মুখে একটা মনস্টার মাক্স ছিলো। তাই আমি সিওর তার পরিচয় সম্পর্কে বলতে পারছি না।
-->>মাস্ক! ঠিক আছে তোমরা গিয়ে রেস্ট নাও, আমি দেখছি কি করা যায়।(রোজা)
রোজা আর কিছু বললো না। তাদের আদেশ মতো নতুন প্লেয়ার গুলো চলে গেলো। কিন্তু তাদের যাওয়ার পূর্বে সে এমিলিকে ডাক দিলো,
-->>এমিলি তুমি থাকো শুধু।(রোজা)
-->>জ্বী আপু।(এমিলি)
রোজার বাবা যে হোয়াইট পার্টির লিডার সে এক সময়ে অনেক জনপ্রিয় রিপোর্টার ছিলো। যদিও সে এখন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে কিন্তু তার বয়স এতোটাও বৃদ্ধ বলা যায় না। আর সেই বৃদ্ধ লোকটা সম্পর্কে এমিলির মামা হয়। সম্পর্কের দিক দিয়ে রোজা তার মামাতো বোন হয় এবং আকাশ চৌধুরী তার চাচাতো ভাই। যদিও এথিনা বর্তমানে এমিলির শরীরকে প্রসেস করেছে, তারপরও একজন গড তার অ্যাভেটারের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সবই জানে। তাই প্রসেস করার পরে তার অ্যাভেটার হয়ে কি রকম ব্যবহার সবার সাথে করতে হবে এটা খুব ভালো করেই জানে সকল গডরা। ঠিক তেমনই এথিনা নিজেও এমিলির অতীত সম্পর্কে খুব ভালো করে জানে। তাই সব সময় তার আশেপাশের মানুষদের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে এটা সে ভালো করেই জানে। আর সেজন্য এথিনা এমিলির মতোই ব্যবহার করছে।
-->>কেমন লাগলো প্রথম দিনটা?(রোজা)
রোজা এতোক্ষন অনেক চিন্তার মধ্য ছিলো। কিন্তু তার সকল চিন্তা নিমিষেই কেটে গেলো। এমিলি সম্পর্কে রোজার ফুফাতো বোন হয়। যদিও দুজনে সমবয়সী, তারপরও বয়সের দিক দিয়ে রোজা কিছুটা বড়। আর তাছাড়াও এমিলি রোজাকে অনেক সম্মানও করে, সেই সাথে রোজা ছোট বোনের মতোই স্নেহ করতো এমিলিকে। শুধু টাওয়ার তাদেরকে পার্থক্য করে দিয়েছে আজ দুটো বছর হলো।
-->>ভালোই ছিলো, কিন্তু আমি আশা করি নি কেউ আমাদের টিমের সামনে থেকেই ফিল্ড বসকে গায়েব করে দিবে।(এমিলি)
-->>আর বলো না, এমনিতেই টেনশনে আছি কিভাবে অষ্টম ফ্লোর ক্লিয়ার করা যায় সেটা নিয়ে। আর সেই সাথে আবার প্রথম ফ্লোরের এই ঘটনা।(রোজা)
-->>আপু আমি না অনেক চিন্তায় ছিলাম। এক হিসাবে ভালোই হয়েছে। জীবনে একটা মশাও হত্যা করি নি, আর সেই আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম একটা বিশাল ওল্ফ মনস্টারের সামনে।(এমিলি)
এমিলি তার দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কথাটা বললো। তার স্বভাবে সে ভয় পেয়েছে এটা প্রকাশ করতে চাচ্ছে। রোজা এমিলির এই স্বভাবে অবাক হচ্ছে না। এমিলি ছোট থেকেই এমন। ছোট একটা পিঁপড়া দেখলেও যে ভয়ে চিল্লাতে শুরু করতো তার কাছে একটা মনস্টার আসলে তো ভয় পাবে এটা স্বাভাবিক।
-->>এমিলি দেখো তোমাকে সেসব কিছু মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে। এই জায়গাটা মোটেও ভয় পাওয়ার মতো নয়। আমি জানি তোমার মধ্যেও ট্যালেন্ট রয়েছে। আর এই নতুন জায়গায় বেঁচে থাকতে হলে ট্যালেন্ট এর সাথে সাহস থাকাটা প্রয়োজন।(রোজা)
-->>আমি জানি আপু।(এমিলি)
রোজা এমিলির দিকে একটু তাকালো। সাধারনত প্রথম ফ্লোরে কোনো পার্টিই তাদের অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের পাঠায় না, কিন্তু রোজা হোয়াইট পার্টির অনেক অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে তাদের সাথে পাঠিয়েছিলো টিম লিডার করে, যাতে তার বোনের কিছু না হয়। অবশ্য তার বোনের কিছু হয় নি। কিন্তু তার ছোট বোনের কাছে যে তার সম্মান হানী হলো এটা সে মনে মেনে নিতে পারছে না।
-->>তুমি চিন্তা করো না এমিলি, আমাদের কাছে এখনো অনেক সময় রয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে কিছু স্লাইম রেইডের মাধ্যমে তোমার ভয় অনেকটা কমে যাবে।(রোজা)
রোজা যদিও এমিলিকে শান্তনা দেওয়ার জন্য কথাটা বলছে। তার মনে অন্য কথা চলছে,
"একটা মাক্স প্লেয়ার, ঠিক আছে দেখে নিবো কতদূর যেতে পারো আমার সম্মানে আঘাত করে।" (রোজা ভাবছে)
রোজা এমিলিকে এই রেইডে পাঠিয়েছিলো একটা কারণের জন্য। সে জানে তার বোন ছোট থেকেই অনেক ভয় পায়। আর প্রথম ফ্লোরের ফিল্ড বসের বিপক্ষে পরলে হয়তো সেই ভয়কে কিছুটা হলেও আয়ত্বে আনতে পারতো। ঠিক যেমন রোজা করেছিলো। কিন্তু তার বোনের ভয় দূর করার রাস্তায় আরেকজন এসেছে, সেই সাথে এই রেইডে হোয়াইট পার্টির যে সম্মান হানি হয়েছে সেটা কোনো ভাবেই রোজা মেনে নিতে পারছে না। তাইতো খুব তারাতারি সে এটা নিয়ে কিছু করবে বলে প্লান করছে।
* * * * *
জ্যাক এবং জিতু দুজনে মিলে রওনা দিলো ড্যানজনের দ্বিতীয় ফ্লোরের দিকে। উত্তরের দিকে বিশাল সিঁড়ি রয়েছে যেটা সরাসরি দ্বিতীয় ফ্লোরে গিয়ে শেষ হয়েছে। জিতু এবং জ্যাক দুজনেই সিঁড়ি বেয়ে সেদিকে প্রবেশ করছে। জিতু কোনো কিছু না দেখেই সামনে তাকিয়ে সিঁড়ি পার হচ্ছে। এই সময়ে তার কিছুই করতে হয় নি, সে শুধু দূর থেকে সব কিছু দেখেছে। জ্যাক ফিল্ড বসের সাথে একা একা ফাইট করেছে, জিতু সেটা শুধু দেখেছে দূর থেকে। সে জানতো জ্যাক অনেক শক্তিশালী, আর সেই ফাইটের মাধ্যমে সেটার প্রমাণ সে পেয়েছে।
"আমি সিনিয়র জ্যাককে ফলো করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদমই ভুল করি নি। তার থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি আমি।" (জিতু ভাবছে)
জ্যাককে সেই লা লিগার ফাইটের পর থেকেই খুব কাছ থেকে দেখে আসার এবং তার থেকে বেশ কিছু শেখার চেষ্টা করছে জিতু। সেই সব জিনিসের মধ্যে বর্তমানে রয়েছে জ্যাকের সোর্ড স্কিল। জিতু প্রথমে জ্যাককে একজন হ্যান্ড ফাইটার মনে করলেও তার ধারনা পুরো পাল্টে যায়। ফিল্ড বসের সাথে একটু আগের ফাইটে জিতু বুঝতে পেরেছে জ্যাকের সোর্ড স্কিল কতটা ভয়ানক।
জিতু তার চিন্তাতে সিঁড়ি বেয়ে যাচ্ছে, কিন্তু জ্যাক সেদিকে দেখছে না। তার হাতের মধ্যে একটা আইটেম রয়েছে। যেটা সে অনেকক্ষন হলো দেখেই যাচ্ছে। একটা কালো রঙের ক্রসের মতো জিনিস তার হাতে রয়েছে। যার লম্বা প্রান্তটা একটু বড়। যেটা যোগ তৈরী করেছে সেটা একটু ছোট। এবং মাথার জায়গাতে গোল হয়ে আছে। জ্যাক তার মোবাইলের স্ক্রিনে দেখার চেষ্টা করছে, কিন্তু আইটেমের কোনো ইনফরমেশনই সে দেখতে পারছে না।
""
××× আইটেম ×××
<???আনুবিস???>
গ্রেডঃ???গড লেভেল???
ইফেক্টঃ??????
""
জ্যাক শুধু এই অপশন গুলোই দেখতে পারছে, যেখানে প্রশ্নবোধকই বেশী। এতো প্রশ্নবোধকের কারনে তার বুঝতেই সমস্যা হচ্ছে। জ্যাকের তেমন কিছু মনে নেই, যা মনে করতে পারছে গুহার নিচের একটা রুমের মধ্যে কুকুর মাথা যুক্ত একটা মনস্টারের সাথে তার দেখা হয়েছিলো, যে নিজেকে গড অফ ডেড বলে দাবী করছিলো। তার উপস্থিতি এতো মারাত্মক ছিলো যে জ্যাকের জীবন প্রায় শেষের দিকে চলে গিয়েছিলো। আর শেষ মেষ জ্যাক তার সেন্স হারিয়ে ফেলে। সব মিলিয়ে তার পরে কি হয়েছে জ্যাক জানে না। যখন তার সেন্স ফিরে আসে তখন সে সেই জায়গাতেই নিজেকে শুয়ে থাকতে পায়। তার আশে পাশে কেউ ছিলো না। কোনো কুকুর ছিলো না, কোনো কুকুরের মাথা যুক্ত মানুষও ছিলো না। শুধু জ্যাক একা পরে ছিলো। আর সেখানেই এই আইটেমটা পরে ছিলো। জ্যাক এতোক্ষনে অনেকবার এটাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে কিন্তু কোনো ভাবেই সে সেটা ব্যবহার করতে পারছে না।
"এটাকে অনেকটা আমার গড হ্যান্ডের মতোই লাগছে।" (জ্যাক ভাবছে)
জ্যাকের গড হ্যান্ড প্রথমে সে নিজেও ব্যবহার করতে পারতো না। কারন সেটা ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট শর্ত ছিলো, আর সেই শর্ত পূর্ণ করার পরেই জ্যাক সেটা ব্যবহার করতে পেরেছিলো। ঠিক সেইভাবেই তার হাতের ক্রসেরও একটা শর্ত থাকবে হয়তো। আর জ্যাক সেই শর্ত কোনো ভাবেই খুজে পাচ্ছে না। সময় লাগবে ভেবে জ্যাক সেটা নিয়ে বেশী চিন্তা করলো না আর। সে তার স্পেস ব্যাগপ্যাকের মধ্যে ক্রসটা রেখে দিলো।
-->>সিনিয়র আমরা চলে আসছি সেকেন্ড ফ্লোরে।(জিতু)
জিতুর কথায় জ্যাকের হুশ ফিরলো। এতোক্ষন জ্যাক চিন্তা করছিলো ম্যাজিকাল আইটেমটা নিয়ে। সে বিভিন্ন পসিবিলিটি মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলো। কিভাবে এই ম্যাজিকাল আইটেম তার কাছে আসলো এটা সে নিজেও জানে না। কিন্তু কিভাবে আসলো সেটা মিলিয়ে দেখতে তো কোনো ভুল নেই। জ্যাক এবং জিতু দুজনে পা বারালো সেকেন্ড ফ্লোরের দিকে। সেকেন্ড ফ্লোরে পা দেওয়ার সাথে সাথেই পুরো পরিবেশ চেন্জ হয়ে গেলো। সিঁড়ি থেকে বের হয়ে যতদূর চোখ যায় ততদূরই শুধু বন আর বন। বিশাল বড় বড় গাছের ফরেস্টের মধ্যে জ্যাক এবং জিতু প্রবেশ করলো। গাছের সংখ্যা অগণিত হওয়ার জন্য বেশীদূর নজরও যাচ্ছে না।
জিতুর শরীর কিছুটা কেঁপে উঠলো। পরিবেশটা অনেক নিশ্চুপ আর সেখানে তারা ব্যতীত আরো কেউ নেই। সিঁড়ির কাছে কিছু প্লেয়ার ছিলো যারা গেইটকে গার্ট দিচ্ছিলো। তারা প্রতিটা প্লেয়ারের নাম এবং প্রাথমিক ডিটেইলস নোট করে রাখছিলো। জ্যাক এবং জিতুর ডিটেইলস নেট করা হয়ে যাওয়ায় তারা তাদের থেকে সরে আসে। যেহেতু জ্যাক একসাথে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে, তাই তাকে আপাতোতো কোথায় যেতে হবে সেটা আর ভাবতে হলো না। বুড়োটার মতে এই ফ্লোরে সাধারনত তিন ধরনের মনস্টার দেখা যায়। স্লাইম, গবলিন এবং ওল্ফ। যদিও স্লাইম সবার জন্য একটা কমন মনস্টার হয়ে যায়, কিন্তু তাদের জন্যই গবলিন এবং ওল্ফ অনেক হিংস্র মনস্টার। ওল্ফ মনস্টার যারা একত্রে একটা প্যাকের সাথে চলাচল করে, ছোট ছোট পার্টির জন্য তারা অনেক ভয়ানক হয়ে থাকে। আবার অন্যদিকে গবলিন, যারা লুটপাট করতে পছন্দ করে, সেই সাথে মেয়েদের এবং ছোট বাচ্চাদের ধরে নেওয়া তাদের নিত্য দিনের কাজ। এই তিন ধরনের মনস্টারের মতোই, ফ্লোরের ফিল্ড বস গুলো। সেকেন্ড ফ্লোরের ফিল্ড বস, গবলিন এল্ডার। সেকেন্ড ফ্লোরের হিডেন বস, ওল্ফ লর্ড। সেকেন্ড ফ্লোরের বোনাস বস, মাদার স্লাইম। বুড়োটার তথ্য অনুযায়ী এটায় ছিলো সেকেন্ড জোনের তথ্য।
-->>তাহলে জিতু চলো, আমরা সবার পূর্বে বস গুলোকে ক্লিয়ার করে ফেলি।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।