[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:৩৬
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
এরিয়েল বসে আছে একটা কফি শপের মধ্যে। তার সামনে হৃদয় চুপচাপ বসে কফি খাচ্ছে। এরিয়েলের ম্যাজিকের কারনে হৃদয়ের কোনো কথায় সে শুনছে না। তাই হৃদয় একা একা বকবক করে ক্লান্ত হয়ে নিশ্চুপ হয়ে আছে। এরিয়েল হৃদয়কে চুপচাপ দেখতে পেয়ে নিজের ম্যাজিককে ক্যান্সেল করে দেয়। আর তখনি হৃদয় কথা বলতে শুরু করলো,
-->>আমরা কি এখানে কারো জন্য অপেক্ষা করছি?(হৃদয়)
হৃদয় টিটানের স্বভাব অনেক দ্রুত পাল্টে গেলো। সে বুঝতে পারলো তার সামনের মেয়েটা তার ধরা ছোয়ার অনেক বাইরে, তাই সে আপাতোতো তার সাথে ফ্লার্ট করা বাদ দিলো। সে মেয়েটার কথায় এখানে এসেছে মেয়েটার রূপের জন্য নয়। বরং নিজের অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর বের করতে। এরিয়েল কিছু বলছে না দেখে হৃদয় আরো ইরিটেড হলো। কিন্তু তখনি ক্যাফের মধ্যে একজন ব্যক্তি প্রবেশ করলো। লোকটার শরীর থেকে এক ধরনের এনার্জি বের হচ্ছিলো যেটা হৃদয়ের কাছে অনেক পরিচিত মনে হচ্ছিলো।
"এই অনুভবটা ঠিক আমার ব্লাক পাওয়ারের মতো।" (হৃদয় ভাবছে)
হৃদয়ের কাছে তিন ধরনের ক্ষমতা রয়েছে যেটা সে ব্যবহার করে থাকে। প্রথমত হলো পানির, দ্বিতীয়ত আগুনের এবং সবশেষে ডার্ক। তাছাড়াও হৃদয় রিয়েলিটি এবং টাইম বিষয়ক ক্ষমতাও ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু এই ওয়ার্ল্ডে তার রিয়েলিটি প্রিজম এবং টাইম বিষয়ক কোনো ক্ষমতায় কাজ করছে না। যেহেতু তার সামনের সুন্দরী তাকে পাত্তা দিচ্ছিলো না তাই হৃদয় রিয়েলিটি প্রিজম ব্যবহার করে মেয়েটার রিয়েলিটি চেন্জ করতে চাচ্ছিলো, কিন্তু হৃদয়ের সেই ক্ষমতা কোনো ভাবেই কাজ করছে না। হৃদয় আপাতোতো তার চিন্তা ভাবনাকে এক পাশে রাখলো। তার নজর ক্যাফের মধ্যে প্রবেশকৃত ব্যক্তিটার দিকে চলে গেলো। লোকটার অবস্থা তেমন ভালো মনে হচ্ছে না। যদিও হৃদয় লোকটার ভিতরে দেখতে পারছে না তারপরও বাইরে থেকে সে বুঝতে পারছে লোকটার শরীর বেশীদিন টিকবে না।
-->>অনেকক্ষন অপেক্ষা করালাম মনে হলো। এরিয়েল এ.কে.এ অ্যাভেটার, কিং অফ ডেসটিনি।
এরিয়েল চুপ ছিলো, কিন্তু সে আর চুপ রইলো না। সে কথা বলতে লাগলো,
-->>আমি পূর্বেই বলেছি আমি কোনো অ্যাভেটার না। তাই আশা করবো এই নামে আমাকে না ডাকতে।(এরিয়েল)
এরিয়েল এবং হৃদয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটা আর কেউ নয় বরং টাওয়ার অফ গ্রিডের মালিক গ্রিড নিজেই। এরিয়েলের কথায় গ্রিড কিছু মনে না করেই আবারো বলতে লাগলো,
-->>এই পর্যন্ত তোমার সকল কথায় সত্য হয়েছে তাই আমি বিশ্বাস না করে থাকতে পারছি না যে তুমি কিং অফ ডেসটিনি এর অ্যাভেটার নও। একমাত্র কিং অফ ডেসটিনির ক্ষমতা ছাড়া কোনো গডের ভবিষ্যৎ প্রেডিক্ট করা সম্ভব নয়।(গ্রিড)
গ্রিড তার লজিক বলতে লাগলো, কিন্তু সেই লজিকে এরিয়েল কান দিলো না। সে তার মতো চুপ করে রইলো। গ্রিডের নজর হঠাৎ এরিয়েলের পাশে থাকা ব্যক্তিটার উপরে পরলো।
-->>আমি কতবার বলেছি যে টাওয়ারের লুপ হোল ব্যবহার না করতে। যদি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সেই ব্যাপারে জেনে যায় তাহলে আমার রিচুয়ালের কোনো দামই থাকবে না।(গ্রিড)
-->>আমি জানি, আর জানি বলেই লুপ হোল ব্যবহার করেছি। যায়হোক, আমার একটা বিষয় জানার খুব আগ্রহ ছিলো।(এরিয়েল)
-->>আমি যেটা জানি, অবশ্যই সেটা তুমিও জানো।(গ্রিড)
-->>মোটেও না। আমি ভবিষ্যৎ প্রেডিক্ট করতে পারি কিছুটা, কিন্তু এই বলে এটা নয় যে অন্যের ভাবনাও জানতে পারবো।(এরিয়েল)
-->>আচ্ছা, তা কি জানতে চাচ্ছো?(গ্রিড)
এরিয়েল কিছুক্ষন চুপ রইলো, তারপর বলতে লাগলো,
-->>যেহেতু এক সময়ে তুমি এক্সব্লকের মধ্যে ছিলো। তাই গডদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানো তুমি। আমি শুধু জানতে চাচ্ছি একটা গড এক্সব্লকের বাইরে তাদের বংশধর কিভাবে রাখে?(এরিয়েল)
এতো সহজ একটা প্রশ্ন করবে এরিয়েল সেটা গ্রিড ভাবতেও পারে নি। সে এতোদিন ভেবে আসছিলো এরিয়েল সব কিছু সম্পর্কেই জানে, কিন্তু এখন তার ধারনা পাল্টে গেলো। সে বুঝতে পারলো তার জানারও একটা লিমিট রয়েছে। যাইহোক গ্রিড হালকা করে ব্যাখ্যা করতে লাগলো।
-->>কোনো গড যখন তার অ্যাভেটার বানায় তখন সেই গডের অ্যাভেটারের শরীরের সাথে তাদের গডদের শরীর একটা অদৃশ্য বন্ধন দিয়ে যুক্ত থাকে। এজন্য যদি কখনো তাদের কোনো অ্যাভেটার মারা যায় তাহলে সেই ব্যথা তাদের গডও অনুভব করে। কিন্তু তুমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছো তাতে আমি বলবো, এরকম খুব কম গডই আছে যাদের অ্যাভেটার শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সব গডের অ্যাভেটার করার সময় একটা শর্তই থাকে, তাদের অ্যাভেটার কোনো ভাবেই অন্য কারো সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবে না। যদি তাদের গডরা অনুমতি দিয়ে থাকে তাহলে আরেক কথা। আর এজন্যই সব গডের অ্যাভেটারই শারিরীক সম্পর্ক থেকে দূরে থাকে।(গ্রিড)
গ্রিড আবারো বলতে লাগলো,
-->>কিন্তু কিছু লুইচ্চা মার্কা গড রয়েছে, যাদের গডেস, নিজস্ব চাকরানি কিংবা এক্সব্লকের মেয়েদের দিয়েও মন ভরে না। তাই তারা টাওয়ারের বাইরে অ্যাভেটার তৈরী করে শুধু ফুর্তির জন্য। আর তাদের অ্যাভেটারদের শরীরকে প্রজেস করে তারা যখন শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় তখনি তাদের বংশধর এক্সব্লকের বাইরে জন্ম নিয়ে থাকে।(গ্রিড)
গ্রিডের কথাগুলোকে হৃদয় খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো। গ্রিডের পরিচয় কিংবা এই এক্সব্লক সম্পর্কে হৃদয় কিছুই জানে না, কিন্তু সে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে। এই আজব ওয়ার্ল্ডে আসার পর হৃদয়ের প্রথম দেখা হয় এরিয়েলের সাথে। আর এরিয়েল তাকে যতটা বলেছে, তা সম্পর্কে হৃদয় নিজেও জানতো না। গ্রিড কি বলছিলো এতোক্ষন তার অধিকাংশই হৃদয় বুঝতে পারছিলো না। তবে একটা জিনিস সে ঠিকই বুঝতে পারলো গ্রিডের কথায়। তার পাশে বসে থাকা এরিয়েল সাধারন কেউ না। গ্রিডের কথা মতো এরিয়েল সব কিছু সম্পর্কেই জানে। আর এটা যে হৃদয় অবিশ্বাস করছে এমন নয়। এর পূর্বেও হৃদয় তার থেকে শক্তিশালী মানুষদের দেখেছে, যারা তার ওয়ার্ল্ডের সম্পূর্ন বাইরে ছিলো। যেহেতু সে মাল্টিভার্সে ঘোরাঘুরি করছে তাই তার থেকেও শক্তিশালী ব্যক্তি অনেক রয়েছে এখানে এটাই স্বাভাবিক।
-->>ধন্যবাদ আমি আমার উত্তর পেয়েছি।(এরিয়েল)
এরিয়েল এমন একটা ভাব নিলো যে তার কথা শেষ হয়ে গিয়েছে গ্রিডের সাথে এবং সে বিদায় নিবে। কিন্তু গ্রিড তখনি আবার বলতে শুরু করলো।
-->>এখন আমার প্রশ্নের উত্তর দাও একটা।(গ্রিড)
এরিয়েলের মনোযোগ গ্রিডের দিকে গেলো। সে গ্রিডের কথা শোনার জন্য অপেক্ষায় আছে। যদিও সে জানে গ্রিড কি বলতে চাচ্ছিলো।
-->>তুমি বলেছো এই রিচুয়ালে আমি আমার জন্য পারফেক্ট হোস্ট খুঁজে পাবো, কিন্তু আমি সিওর বলতে পারছি না কে আমার হোস্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাই......
-->>তাই তুমি আমার থেকে জানতে চাচ্ছো আসলে কে তোমার হোস্ট হবে তাইতো?(এরিয়েল)
-->>হ্যাঁ একদমই। যতদূর দেখতে পারছো আমার এই শরীর আর বেশীদিন টিকবে না। তাই আমাকে দ্রুত নতুন হোস্ট খুঁজে নিতে হবে।(গ্রিড)
এরিয়েল কিছুক্ষন চুপ ছিলো। কিন্তু সে আর চুপ না থেকে তার হাতকে সামনের দিকে এগিয়ে দিলো। হাতটা গ্রিডের দিকে বারিয়ে দিয়েছিলো। এমন একটা ভাবে সে বারিয়ে দিয়েছে যেটায় বোঝাচ্ছে সে কিছু একটা গ্রিডকে দিবে। কিন্তু তার হাতে কিছুই ছিলো না। তখনি সে তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে একটা চুটকি বাজালো এবং সাথে সাথে তার হাতে বেশ কয়েকটা ছবি চলে আসলো। ছবি গুলো গ্রিডের হাতে দিয়ে দিলো।
-->>এরা সবাই বর্তমানে কোনো গডের অ্যাভেটার নয়। সেটা তুমি নিশ্চয় জানো। আর এদের সবাই তোমার হোস্ট হওয়ার জন্য পারফেক্ট, কিন্তু আমি বলবো প্রথম ব্যক্তিটাকে চয়েজ না করতে, যদিও সে তোমার হোস্টের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট হবে, কিন্তু যেহেতু তার পাশের জন আরো ভয়ানক একজন ব্যক্তি হবে ভবিষ্যতে তাই আমি বলবো এটার দিকে না যেতে।(এরিয়েল)
গ্রিড ছবিগুলো নিলো, এরিয়েলের কথা শুনে সে হাসতে লাগলো। বেশী সময় সে আর ব্যয় না করে সেখান থেকে চলে গেলো। আর এদিকে হৃদয় কোনো কিছু বুঝতে না পেরে তার কফি সে ইনজয় করতে লাগলো। সে তার ছোট প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুরো প্রশ্নটা এখনো রয়ে গিয়েছে। এরিয়েল সর্বপ্রথম তাকে বলেছিলো, "তুমি কি জানতে চাও তোমার এই পানির ক্ষমতা আসলো কোথায় থেকে?"। আর এই কথাটায় হৃদয়ের ইন্টারেস্ট কেড়ে নিয়েছে। যদিও হৃদয় বেশ কয়েকটা ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে তারপরও তার প্রধান এবং প্রথম ক্ষমতা ছিলো পানির। ঠিক ভাবে বলতে গেলে পানি তাকে ভালোবাসে, পানির সমস্ত জীবিত বস্তু তাকে ভালোবাসে। আর তার এই অরিজিন কিভাবে হলো সেটা জানার অনেক আগ্রহ তার। হৃদয়ের পানির ক্ষমতা পাওয়ার ব্যাপারটাও অনেক আশ্চর্যের ছিলো। কিন্তু এসব কিভাবে আসলো এটা জানার জন্য অনেক দিন হলো সে অপেক্ষা করছে। আর এখন সেই সুযোগ তার চোখের সামনে রয়েছে।
-->>তো তোমার মতে আমার পূর্বপুরুষ একজন গড?(হৃদয়)
-->>............(এরিয়েল চুপ রইলো)
-->>চুপ মানে উত্তর হ্যাঁ। আর আমি নিশ্চিত সে একজন ওয়াটার গড হবে।(হৃদয়)
হৃদয় গড সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। তাই তো এরিয়েলের থেকে সেটা সম্পর্কে শোনার পর থেকেই হৃদয়ের আগ্রহ বারতে শুরু হয়েছে।
-->>চলো, তোমাকে তোমার পূর্বপুরুষের সাথে দেখা করিয়ে আনি।(এরিয়েল)
এরিয়েল বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকার পর কথাটা বললো। সে কি বলতে চাচ্ছিলো সেটা হৃদয়ের মাথায় ঢুকলো না। তবে সে বুঝতে পারলো অনেক কিছু সম্পর্কে সে জানতে পারবে। আর এজন্য অনেক উত্তেজিত হলো হৃদয়।
* * * * *
(ব্লু আর্থ)
একটা পুরো ওয়ার্ল্ড যার মধ্যে অনেক গুলো প্লানেট থাকে, তবে সেই ওয়ার্ল্ডে যদি একটা প্লানেটই এমন হয় যেখানে ছাড়া অন্য কোথাও জীবিত বস্তু পাওয়া যায় না তাহলে সেই প্লানেটকেই একটা ওয়ার্ল্ড ধরা হয়। আবার যদি একাধিক প্লানেটে জীবিত বস্তু থাকে, তাহলে সেই পুরো ইউনিভার্সকে একটা ওয়ার্ল্ড ধরা হয়। আর জায়গাটা ঠিক এমনি একটা ওয়ার্ল্ডে যেখানে একাধিক প্লানেট রয়েছে। একটা প্লানেট যেটা দূর থেকে দেখতে সূর্যের মতো মনে হবে, কিন্তু আসলে সেটা কোনো সূর্য না। প্লানেটটা থেকে একটা গোল্ডেন আলো বের হচ্ছে, যেটা অনেক উজ্জ্বল যে দূরের কোনো প্লানেট থেকে মনে হবে আকাশে দুটো সূর্য রয়েছে। সেই প্লানেটের মধ্যে বিশাল একটা গোল্ডেন ক্যাসেল রয়েছে। পুরো ক্যাসেলটা স্বর্ন দিয়ে তৈরী ছিলো। যার আকারটা ছিলো বিশালাকার। সেই ক্যাসেলের মধ্যে একটা শক্তিশালী বিয়িং এর বাস ছিলো। বিয়িং টা আর কেউ না বরং গোল্ডেন কালারের একটা ড্রাগন। ড্রাগনটা যদিও এতো শক্তিশালী যে সে চাইলেই একটা ইউনিভার্স ধ্বংস করে দিতে পারবে, কিন্তু সে সেরকম কিছুই করে না। বরং সে তার দিন গুলো বোরিং কাজ কর্ম করেই কাটিয়ে দেয়। যার মধ্যে হলো ঘুম। তার প্রতিটা ঘুমে এক বছর পার হয় এবং প্রতি এক বছর অন্তর সে এক দিনের জন্য ঘুম থেকে উঠে। আর আজকে সেই একদিন যেদিন ড্রাগনটা তার গভীর ঘুম থেকে উঠেছে। চার পা ওয়ালা বিশাল ডানা যুক্ত গোল্ডেন ড্রাগন প্যালেসের বিশাল হল রুমের মধ্যে শুয়ে ছিলো। ড্রাগনটার সাথে যে কেউ দেখা করতে পারে না। শুধু মাত্র কয়েকজন ব্যক্তিই ড্রাগনের এই প্লানেটে প্রবেশ করার অনুমতি পেয়েছে, তাছাড়া কেউ এদিকে আসার চেষ্টা করলেই গোল্ডেন একটা আলোক রশ্মিতে মারা যায়। আর ড্রাগনের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যাকে অন্যভাবে বলতে গেলে ড্রাগনটার বেস্ট ফ্রেন্ড সে প্রবেশ করেছে প্যালেসের মধ্যে।
একটা কম বয়স্ক যুবক এসে দাঁড়ালো ড্রাগনের সামনে। ড্রাগন এক বছর পর ঘুম থেকে উঠার পর এই পরিচিত চেহারাটা দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হলো। কিন্তু তার খুশি বেশীক্ষন রইলো না।
-->>সময় হয়ে এসেছে। তোমার শরীর এখন অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে। তারপরও এই কাজে অনেক রিক্স রয়েছে। তুমি কি রাজি আছো? আমি আবারো বলে রাখি। এটা করলে তোমার মৃত্যুও হতে পারে।(ড্রাগন)
-->>তুমি এখন এটা বলছো? আমি অনেক পূর্বে থেকেই সব কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং আছি। যেহেতু আমাদের পাওয়ারের সোর্চ তুমি নিজেই, আর আমরা তোমার সাহায্যে অনেক কিছুই করেছি। তাই এখন আমাদের দায়িত্ব আমার পূর্বপুরুষের সব ঋণ পূরন করা।
-->>আমি তোমাকে বলছি না এটা করতে। তাই ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নাও।(গোল্ডেন ড্রাগন)
-->>তুমি বলেছো এটার পরে আমরা দুজন একত্র হয়ে যাবো। আর সেটার থেকে বড় কিছু আর কি হতে পারে? আর তাছাড়াও ঔ ওয়ার্ল্ডে আমার জন্য আর কিছু বাকি নেই। সব তো ধ্বংস হয়েই গিয়েছি আমি বাদে। তাই এগুলোর প্রতিশোধ যতদিন আমি না নিতে পারছি ততদিন আমি শান্ত হতে পারবো না। আর সেটার জন্য এটা করতেই হবে আমাকে।
-->>আমি আবারো বলি নিয়াক, আমি যদিও একজন পাওয়ারফুল ড্রাগন, কিন্তু তুমি যাদের বিরুদ্ধে যেতে চাচ্ছো তাদের পিছনে যারা রয়েছে তাদের জন্যই আমাকে এক্সব্লক থেকে এই জায়গায় এসে থাকতে হচ্ছে। তাই আমি বলবো তুমি তোমার সিদ্ধান্তকে একটু সাবধানে নিতে।(গোল্ডেন ড্রাগন)
-->>আমি নিয়েছি সব ভেবে চিন্তেই। এটা শুধু আমার জন্যই না। তোমার জন্যও আমি করছি এটা।
-->>আমি তোমাকে সব কিছু সম্পর্কে পূর্বেই বলেছি, কিন্তু যেহেতু তুমি তোমার সিদ্ধান্তে অটুট, তাই ঠিক আছে। আমার ক্ষমতাকে ভালো করে ব্যবহার করবে নিয়াক। আমি বেশ কিছু সময়ের জন্য তোমার ভিতরে সিল থাকবো।(গোল্ডেন ড্রাগন)
গোল্ডেন ড্রাগনটা হঠাৎ উজ্জ্বল হতে লাগলো। সেটার শরীর শক্ত বস্তু থেকে আলোতে রূপ নিতে লাগলো। আর সেই আলো সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তার বন্ধু নিয়াক যে একজন মানুষ ছিলো তার মুখে প্রবেশ করতে লাগলো। ড্রাগনের শরীরের পুরো আলোটা নিয়াকের মুখে প্রবেশ করলো। আর দেখতে দেখতে নিয়াকের শরীরের চারিদিক দিয়ে একটা মারাত্মক এনার্জি বের হতে লাগলো। সে দুই পায়ে ভর করে দুই হাতের মুঠোকে শক্ত করে ধরে চিল্লানি দিতে লাগলো। এনার্জিটা এতোটা ভয়ানক ছিলো যে গোল্ডেন ড্রাগন যে প্লানেটে ছিলো সেটা পুরোটায় ধ্বংস হয়ে গেলো এক পলকের মতো। নিয়াক তার সেন্সে ফিরে আসলো। আর তখনি সে আলোর স্পিডে উড়তে শুরু করলো এবং মহাকাশের মধ্য দিয়েই সে সেই ইউনিভার্স থেকে আলোক স্পিডের থেকে বেশী স্পিডে উড়ার ফলে তার প্যারারাল ইউনিভার্সে প্রবেশ করলো। যেখানের পৃথিবীতে একটা ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিলো।
-->>গড এবং তাদের অ্যাভেটার, আমি কাউকেই ছারবো না। আমি নিয়াক কথা দিলাম আমার বন্ধু গোল্ডেন ড্রাগনের নামে, প্রতিটা গডকে আমি হত্যা করবো।(নিয়াক)
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।