আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ৫৯

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]


#Demon_King#


পর্ব:৫৯


লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


সময় গুলো খুব তারাতারি শেষ হয়ে গেলো। মেফাস একাডেমি থেকে, প্রায় অনেক স্টুডেন্টই টাওয়ারের টেস্টে প্রবেশ করার সুযোগ পেলো। যদিও তারা তেমন শক্তিশালী না, তারপরও টাওয়ারের টেস্ট সম্পূর্ন করতে তাদের বেশী কষ্ট হবে না। সময় পার হতে হতে কখন যে টাওয়ারের টেস্টের জন্য বের হতে হবে সেটা এলেক্স বুঝলোই না। এই কয়েকটা দিন তার জন্য খুব ভালোই গিয়েছে। সে ট্রেনিং এর মাধ্যমে অনেক শক্তিশালী হতে পেরেছে। এলেক্সের জন্য যেহেতু স্ট্যাট অপশন বরাদ্দ রয়েছে, তাই সে সহজেই বুঝতে পারে সে শক্তিশালী হয়েছে কিনা। তাছাড়া সময়টা এলেক্সের জন্য আরো ভালো কাটার আরেকটা বিষয় হলো,



-->>আমি ভাবতেও পারি নি এতো সহজেই আমার কাছে একটা চাবি চলে আসবে।(এলেক্স)



এলেক্স তার বাসা থেকে রওনা দিবে, রেডি হচ্ছিলো তখনি কথাটা বললো। তার কথার মাধ্যমে সে বোঝাতে চাচ্ছিলো ছোট একটা ড্যাগার সম্পর্কে। এলেক্সের প্রধান অস্ত্র হলো ড্যাগার বা সর্ট সোর্ড। তাই এলেক্সের জন্য এটা একটা পছন্দময় অস্ত্র ছিলো। যদিও এলেক্সের কাছে পূর্বে থেকেই একটা মারাত্মক অস্ত্র আছে, তারপরও এটা একটা ভালো অস্ত্র বলে মনে হলো এলেক্সের কাছে। কাল রাতে এলমন্ড এলেক্সের হাতে ড্যাগারটা তুলে দিয়েছে। যদিও প্রথমে এলেক্স বুঝতে পারে নি, ড্যাগারটা কিরকম। কিন্তু সেটা হাতে নেওয়ার পরই এলেক্সের স্ক্রিনে পপ আপ শুরু হয়ে যায়।



-""মাস্টার আপনি চতুর্থ চাবি সংগ্রহ করেছেন।""-



এটাই ছিলো সিস্টেম এর মেসেজ। যার দ্বারা প্রথমে এলেক্স বাকরুদ্ধ হয়ে ছিলো। কিন্তু পরেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। সে জানে না তার বাবা এই জিনিসের অধিকারী কিভাবে হয়েছে, কিন্তু একটা জিনিস সে ভালো করেই জানে। আর সেটা হলো এলেক্স বিনামূল্যে বিনাশ্রমে একটা চাবি সংগ্রহ করতে পেরেছে। এলেক্স তার বাবা এবং আম্মার থেকে বিদায় নিয়ে মেফাস একাডেমির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। কাল রাতে দুজনের সাথে একটু খোলা ভাবে কথা বলেছে এলেক্স, যদিও সে জানে যে এলমন্ড এবং মারিয়া টাওয়ারের ভিতরের বাসিন্দা, তারপরও তাদের পরিচয় সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না এলেক্স। আর এই ছোট বিষয় নিয়ে এলেক্সের তেমন চিন্তা ভাবনা নেই। কারন তার মাথায় অনেক বড় বড় বিষয় সব সময় ঘুরপাক খাচ্ছে। সে তার চিন্তা ভাবনাকে এক পাশে রেখে দিলো। তার প্যাকিং শেষ, তাই সে তার হাতে সোর্ডটাকে নিয়ে আবারো চেক করতে লাগলো।




××× আইটেম ইনফরমেশন ×××



নেইমঃ মুন ড্যাগার(টুইন ব্লেড)


ড্যাগার যেটা মৃত বস্তু কাটতে পছন্দ করে। এটা একটা টুইন ড্যাগার, তাই এর আপাতোতো এটা আংশিক হয়ে আছে।


ইফেক্টঃ 

১)কোনো মৃত বস্তুর উপরে এট্যাক করলে ড্যাগারের ফুল পাওয়ার দেখা যাবে।


২)মৃত বস্তুকে এবজোর্ব করতে পারে, যেমনঃ আনডেড।


৩)প্রথম বার ব্যবহার করলে ২০ এজিলিটি স্ট্যাট বৃদ্ধি পাবে।


৪)টুইনের সাথে ব্যবহার করলে উপরের সব ইফেক্ট দ্বিগুণ হবে।




এলেক্স সোর্ডটা হাতে নিয়েই বুঝলো আরো দুটো চাবির মধ্যে আরেকটাও ড্যাগার। যেহেতু টুইন ড্যাগারের কথা উল্লেখ আছে। আর যেহেতু এটার নাম মুন ড্যাগার, তাই নিঃসন্দেহে আরেকটার নাম সান ড্যাগার হবে। অবশ্য এটা এলেক্সের ধারনা মাত্র।



* * * * *



(উয়েক্সকুল ম্যানশন)



মেফাসের শক্তিশালী ডিউক হচ্ছে ডিউক এভেস্ট ভন উয়েক্সকুল। আর তারই বিশাল ম্যানশনের মধ্যে তার মেয়ে এলিন এবং প্রিন্সেস এনরি বসে আছে। দুজনই রেডি হয়েছে, এনরি এবং এলিন দুজনই টাওয়ারের টেস্টের জন্য রওনা দিবে। যদিও মেফাসের একাডেমিতে প্রিন্সেস এনরি সরাসরি অংশগহন করে নি, তারপরও কাগজের দিক দিয়ে সে মেফাসের একজন স্টুডেন্ট ছিলো এবং দুই মাসের টেস্টেও অংশগ্রহন করেছিলো। শুধু কেউ তাকে দেখে নি বা লক্ষ করে নি। ডিউক এভেস্ট অনেকটা সময় হয়েছে প্রিন্সেস এনরিকে তার বাসায় নিয়ে এসেছে। সকলেই জানতো প্রিন্সেস ডিউকের বাসায় ছিলো, যেহেতু মেফাসের কিং নিজেও এভেস্টের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করার সাহস পায় নি, তাই তার ছেলেগুলোও জানে ডিউক এভেস্ট কতটা শক্তিশালী। যদিও প্রথম প্রিন্সের সাথে ডিউক ম্যান্ডেলার সম্পর্ক রয়েছে, তারপরও প্রথম প্রিন্সও ডিউক এভেস্টের কিছু করতে পারে নি। এক অংকে ডিউক এভেস্টের কাজে প্রথম প্রিন্সের অনেক বড় উপকার হয়েছে। রাজ্যের তিন পিলার হলো তিনজন রাজ সন্তান। যেহেতু কিং মারা গিয়েছে, তাই রাজ্যের ভার তিনজনের উপরেই পরেছে। আর তার মধ্যে প্রিন্সেস এনরিও রয়েছে। যেহেতু রাজ নিয়ম অনুযায়ী প্রিন্সেস নিজে রাজ ভার গ্রহন করতে পারবে না, কিন্তু তার সাপোর্ট অনেকটা প্রয়োজন একটা কিংডমের রাজা হতে হলে। আর এজন্যই দুই প্রিন্স প্রিন্সেসকে নিজের দলে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও প্রথম প্রিন্সের কাছে বেশী সাপোর্ট রয়েছে তারপরও যেহেতু দ্বিতীয় প্রিন্স মিলিটারিকে কন্ট্রোল করে, তাই সে খেলাটা সুরক্ষিত বানাতে চাচ্ছিলো। আর সেই সময় ডিউক এভেস্ট নাক গলিয়ে পুরো খেলা মাটি করে দেয় দুই প্রিন্সের।



এলিন এবং প্রিন্সেস এনরি এক রুমের মধ্যে বসে আছে। প্রিন্সেস এনরি আবারো নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য নিজের চেহারা পাল্টিয়ে নিয়েছে। ম্যাজিকাল পাউডার, যেটা যে কারো চেহারা পাল্টিয়ে দিতে পারে। এটা অনেকটা মেকআপের মতো কাজ করে। তবে মেকআপের থেকেও শতগুন বেশী কার্যকারীতা রয়েছে এই পাউডারের। যদিও প্রিন্সেস অনেক সুন্দরী, এই পাউডার তাকে আরো সুন্দরী করে দিতে পারবে। কিন্তু তাতে প্রিন্সেসের লাভ হবে না। বরং সকল নজর তার দিকেই থাকবে। তাই তো স্যামবর্ণের করে নিয়েছে প্রিন্সেস। যদিও তার চেহারা অনেকটা মিল শুধু রঙ বাদে তারপরও এটা গল্প হওয়ার কারনে কেউ তাকে চিনবে না।



-->>জাঁহাপনা আমি আপনাকে যতই দেখি এই রূপে ততই চিন্তে পারি না।(এলিন)



এলিন ম্যাজিক পাউডারের কার্যকারিতা দেখতে পেয়ে প্রতিবারই অবাক হয়। অবাক হওয়ারই কথা এটা এমন একটা পাউডার যেটা বৃদ্ধ মহিলাকেও কম বয়সী যুবতী করে দিতে পারে। 



-->>তুমি মজা নিচ্ছো আমার? আমি নাহয় এটা নিচ্ছি কালো হতে, যাতে আমার পরিচয় গোপন থাকে। কিন্তু তুমি? তুমি তো এমনিতেই সুন্দরী অনেক, আরো ফর্সা হচ্ছো কেনো?(এনরি)



এনরি বেশ কিছুদিন হলো লক্ষ করছে। যে এলিন হঠাৎ বদলে গিয়েছিলো, একদম ঠান্ডা ছিলো তার ব্যবহার। সেই এলিন আবারো বদলে গিয়েছে। তবে এবারের চেন্জ একদম অন্যরকম। এনরি যদিও কখনো এরকম চেন্জের সাথে সরাসরি সাক্ষাত করতে পারে নি, তবে সে অনেক গল্প পড়েছে। আর সেসব গল্পের মাধ্যমে এনরি জানে যে এটা কি,



"আমি সিওর এলিন কারো প্রেমে পড়েছে।" (এনরি ভাবছে)



কিংডমের মধ্যে নোবেলদের জন্য বিয়ের পূর্বে ভালোবাসা একটা নিষিদ্ধ কাজ। তাই অধিকাংশ নোবেলই ভালোবাসা বা প্রেম কি সেটা সম্পর্কে জানে না। তবে কমোনারদের মধ্যে এই বিষয়টা মাঝে মাঝেই দেখা যায়। নোবেলদের বিয়ে কখনো ভালোবাসার মধ্য দিয়ে হয় না। অধিকাংশ সময় দেখা যায় নোবেলরা তাদের শত্রুদের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে তাদের সন্তানদের সাথে শত্রুদের সন্তানদের বিবাহ দিয়ে থাকে। এর ফলে তাদের মধ্যে কখনো ভালোবাসা নামক জিনিসটা তৈরী হয় না। আর এভাবেই ভালোবাসা কি সেটা তারা বুঝতে পারে না। আবার কমনাররা এই বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে আছে। এনরি নিজেও এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানতো না। তবে তার কাছে অনেক কমনারের লেখা নোবেল ছিলো তার নিজস্ব লাইব্রেরীতে। আর এর ফলেই এনরি ভালোবাসা-রোমান্টিকতার ব্যাপারে জানতে পেরেছে। এনরি খেয়াল করেছে টেস্ট থেকে আসার পর থেকে এলিনের মনোযোগ থাকে না কোনো কিছুতেই, তাছাড়াও লুকিয়ে লুকিয়ে হাসতেও খেয়াল করেছে এলিনকে। আর এই সব তো ভালোবাসারই লক্ষন। তবে এনরি এখনো এই বিষয়ে এলিনকে কিছু বলে নি।



এনরির কথাতে এলিনের মুখ কিছুটা লাল হয়ে গেলো। এলিনের এরকম লুক এনরি অনেক বছর হলো দেখে না। এলিন অনেকটা চেন্জ হয়েছিলো, কিন্তু এনরির ভালো লাগছে এটা দেখে যে এলিন আবারো আগের মতো হয়ে যাচ্ছে। এলিন লজ্জা পেয়েছে, তাই এনরি সিওর হলো তার ভাবনা নিয়ে।



-->>আমি সিওর তুমি কারো প্রেমে পরেছো। তো কতদূর এগোলো কথাবার্তা? আঙ্কেল উয়েক্সকুল  তো এই বিষয়ে আমাকে কিছু বললো না যে তোমার বিয়ে ঠিক করেছে। তাহলে কি সব কিছু আমার জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে রেখেছো?(এনরি)



এনরি জানে এলিন অন্য কারো প্রেমে পরার মতো ব্যক্তি নয়। আর নোবেল হিসেবে সেটা সম্ভবও না। তাইতো সে ধারনা করছে হয়তো এভেস্ট ভন উয়েক্সকুল এলিনের বিয়ে কোথাও ঠিক করেছ। আর এলিন তার প্রেমেই পরেছে।



-->>তাহলে কি তোমার হবু বর টেস্টের মধ্যেই ছিলো? নাকি আবার বুড়ো কোনো নোবেল।(এনরি)



এনরি মজা নিয়েই কথাটা বললো। নোবেলদের মাঝে যে একেবারেই ভালোবাসা হয় না এমনটা নয়। যদি কোনো নোবেলের সন্তানদের একে অপরের সাথে বিয়ে ঠিক হয় তাহলেই তাদের মধ্যে ভালোবাসা জন্ম হয় বা হতে পারবে।



-->>কি বলতেছো তুমি। সময় হয়ে গিয়েছে চলো বের হই।(এলিন)



এলিন এক কথায় পুরো কথাকে অন্যদিকে নিয়ে গেলো। যদিও এনরির কথা সে বুঝতে পেরেছে স্পষ্ট ভাবেই। এলিন নিজেও জানে না সে এরকম ব্যবহার কেনো করছে। হয়তো এটাই মেয়েদের ন্যাচার। সে এই বিষয়ে ভাবা বাদ দিয়ে এনরিকে নিয়ে চললো একাডেমির জন্য। 


প্রিন্সেস এনরি একজন প্রাণ এনার্জি ইউজার। মেফাস একাডেমিতে মাত্র দশজন প্রাণ এনার্জি ইউজার রয়েছে আর তাদের মধ্যে সে একজন। একজন প্রিন্সেস হওয়ার কারনে টাওয়ারের টেস্টে প্রবেশের অধিকার রয়েছে এনরির, কিন্তু এনরি তার পরিচয় ব্যবহার করে নি এখানে। সে তার পরিচয় গোপন রেখে উয়েক্সকুলের ম্যানসন থেকেই একাডেমিতে ভর্তি হয়েছে। যেহেতু সে একজন প্রাণ ইউজার তাই তার কোনো সমস্যা হয় নি।


দুজনে বের হলো ম্যানসন থেকে এবং রথে করে রওনা দিলো একাডেমির উদ্দেশ্যে। 



"আমি অপেক্ষায় আছি এলিনের প্রিয়তমকে দেখার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি কাউকে পেলাম না। এলিনের বাবার অফারটাও খারাপ ছিলো না। কিন্তু এডওয়ার্ডকে আমার মোটেও ভালো লাগে না। হয়তো এই ট্রিপে আমিও আমার মনের মতো কাউকে খুজে পাবো, যেহেতু আমি এখন একজন কমনার হয়েছি তাই আমার কাছে কোনো লিমিটেশনই নেই।" (এনরি ভাবছে)



* * * * *


সবাই এক এক করে একাডেমিতে প্রবেশ করেছে। আবারো একাডেমির অডিটোরিয়ামের মধ্যে সবাই উপস্থিত হয়েছে। শিক্ষক ডিয়ারা যে কিনা মানা ক্লাস নিয়ে থাকে, সে সকাল থেকেই একটা সার্কেল ড্রয়িং নিয়ে ব্যস্ত। অডিটোরিয়ামের ঠিক মাঝখানে অনেকটা বড় এবং গোল করে আজব ধরনের সার্কেল তৈরী করছে সে। এগুলো ম্যাজিক সার্কেল বলা হয়। যেটা বিভিন্ন ম্যাজিকের কাজ করে থাকে। এর পূর্বেও শিক্ষক ডিয়ারা একটা সার্কেল তৈরী করেছিলো। আর সেটার মাধ্যমেই সবাই জানে যে এটা একটা টেলিপোর্টেশন সার্কেল। এই সার্কেল তৈরী করা হয়ে গেলে কেউ যদি এর মধ্যে এনার্জি প্রবেশ করায় তাহলে তারা গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে পারবে এক মুহুর্তে। শিক্ষক ডিয়ারা বিভিন্ন ধরনের স্টোনের ব্যবহার করে টেলিপোর্টেশন সার্কেল রেডি করছিলো।



-->>এরকম একটা সার্কেল আমরা বানাতে পারলে ভালো হতো না?



-->>হয়তো আমরাও শিখতে পারবো টাওয়ারের মধ্য থেকে।



-->>আমি শুনেছি এসব সার্কেল তৈরীর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। সাধারনত এক লক্ষ গোল্ড কয়েনের প্রয়োজন হয় এক একটা সার্কেলের জন্য।



-->>তাহলে তো শিখতেই হবে। যদি কারো জন্য একটা বানিয়ে দিতে পারি এরকম জিনিস, তাহলে তো কয়েন আর কয়েন।



-->>...........




প্রিন্সিপাল হঠাৎ অডিটোরিয়ামের মধ্যে আসলো এবং সবাই চুপ হয়ে গেলো। এতোক্ষনে সবাই নিজেদের মতামত শেয়ার করছিলো। যা একেক জনের এক এক রকম। শিক্ষক ডিয়ারা তার সার্কেল শেষ করার পরই সেটাকে এক্টিভেট করে দিলেন। ফ্লোরের উপরে আঁকা সার্কেলের মধ্য থেকে আলো বের হতে লাগলো। একেক করে সকল স্টুডেন্ট গোল সার্কেলের মধ্যে যেতে লাগলো। যারা গোল জায়গাটার মধ্যে পা দিলো সবাই সেখান থেকে টেলিপোর্ট হয়ে গেলো।



বিশাল টাওয়ারের বাইরে একটা টেলিপোর্টেশন সার্কেল তৈরী ছিলো, যেখানে একাডেমির অনেক ব্যক্তিই দাঁড়িয়ে ছিলো। তারা প্রতিজন মানুষই ফায়ার এম্পায়ারের ক্যাপিটালের একাডেমির শিক্ষক। এক একজন অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি, যাদের সাথে এম্পায়ারের এম্পেররও ঝামেলায় পরতে চাই না। তাদের সামনে মেফাসের মতো ছোট কিংডমের চার শিক্ষক এবং সকল স্টুডেন্ট দাঁড়িয়ে আছে। সবাই অনেকটা নার্ভাস ফিল করছিলো। 



-->>আমি অপেক্ষায় ছিলাম অনেকদিন। মেফাস একাডেমির প্রিন্সিপালের সাজেশন শুনে প্রথমে সেটাকে বোকামি মনে হলেও আমি বুঝতে পেরেছি সেটা কতটা কার্যকারিতা পালন করছে।



এম্পায়ারের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন এগিয়ে এসে কথাটা বলতে লাগলো। মেফাসের প্রিন্সিপালও কথাটার উত্তর দিতে লাগলো,



-->>সবই আপনাদের অনুমতির জন্য হয়েছে। তবে আমি আশা করছি এর মাধ্যমে টাওয়ারের ইনসাইডারদের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও রুখে দাড়ানো যাবে।(মেফাসের প্রিন্সিপাল)



-->>হ্যা, সেটার আশায় করছি আপাতোতো।



মেফাস একাডেমির প্রিন্সিপাল এম্পায়ারের শিক্ষকদের সাথে কথা বার্তা শেষ করলো। তাদের কথা শেষ হওয়ার পরই সবাই রেডি হয়ে গেলো। স্টুডেন্টদের সামনে বিশাল টাওয়ার, যেটার নাম বড় অক্ষরে লেখা, "টাওয়ার অফ গ্লাটোনি"। টাওয়ারের আকার এতো বিশাল যে সেটা একটা শহরের পুরো জায়গা জুড়ে রয়েছে। টাওয়ারটা ফায়ার এম্পায়ারের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার ফলে ফায়ার এম্পায়ারের সুযোগ সুবিধা একটু বেশী। আবার এমন নয় যে বাকি এম্পায়ার গুলোও সু্যোগ সুবিধা ভোগ করে না। সবারই ইন্টারেস্ট রয়েছে এখানে। বিশাল টাওয়ারের নিচ থেকে উপরের শেষ দেখা যাচ্ছে না। মানা ইউজার রয়েছে যারা উড়তে পারে, তারা পূর্বে উড়ে এটার শেষটা দেখার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত টাওয়ারের শেষ দেখতে পারে নি। আর এই সব কিছুর রহস্য নিয়ে হাজার বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও কেউ বেশী কিছুর উত্তর পায় নি। 


টাওয়ারের নিচে বিশাল বড় একটা গেইট খুলে গেলো। যার মধ্যে এক এক করে সব স্টুডেন্ট প্রবেশ করতে লাগলো। স্টুডেন্ট গুলো শুধু যে মেফাস থেকে এসেছে এমন নয়। তাদের ছাড়াও পাঁচ এম্পায়ারের মধ্য থেকে সর্বমোট কয়েক হাজার স্টুডেন্ট প্রবেশ করছে টাওয়ারের মধ্যে।




* * * * *



একটা কালো গুহার মধ্যে এক ব্যক্তি প্রবেশ করলো। তার শরীরে কালো পোষাক। পুরো শরীরই কালো পোষাকে ঢাকা থাকায় তার চেহারা বা শরীরের কোনো অংশই দেখা যাচ্ছে না। সে গুহার একদম গভীরে প্রবেশ করলো। গুহাটার উপরে বিশাল বড় বড় পাঁচটা পর্বত রয়েছে যেটার কারনে গুহার এই জায়গার মধ্যে অনেক উচ্চ লেভেলের গ্রাভিটি রয়েছে। এখানে সাধারন কোনো গডও টিকে থাকতে পারবে না। তবে কালো পোষাক পরিহিত ব্যক্তিটার কোনো কিছুই হচ্ছে না। সে খুব স্বাভাবিক একটা ব্যক্তির মতোই হেটে যাচ্ছে গুহার মধ্য থেকে। সে ভিতরে প্রবেশ করার পর একটা জায়গায় এসে থামলো। সেই জায়গার মধ্যে বিশাল একটা সিল করা পাথর রয়েছে। আর সেই পাথরের নিচে একজন ব্যক্তি শুয়ে আছে। শুয়ে থাকলে ভুল হবে, সঠিক ভাবে বললে সেখানে সে আটকা রয়েছে। কালো পোষাক পড়া লোকটা কথা বলতে লাগলো।



-->>তাহলে স্টোন মাংকি এখনো এখানে বন্ধী আছে।



পাথরের নিচে চাপা থাকা ব্যক্তিটা বলতে লাগলো,



-->>মুন গডের অ্যাভেটার কি আমার সাথে মজা করতে এসেছে তাহলে।



-->>না আমি শুধু সান গডের কাছে একটা ম্যাসেজ দিতে এসেছি। দাবার স্টেজ সে সাজিয়েছিলো, কিন্তু গুটি গুলো আমি ঠিক করেছি। এখন শুধু দুই সুপ্রিম গডের চাল দেওয়াটায় বাকি।(কালো পোষাক পড়া ব্যক্তিটা)



কথাটা শেষ করার সাথে সাথেই কালো পোষাক পরা ব্যক্তিটা হাওয়ার মধ্যে উধাও হতে শুরু করলো। তার শরীরটা একটা ধোঁয়া তৈরী করলো এবং কয়েক সেকেন্ডেই সেখান থেকে উধাও হয়ে গেলো।




* * * 


To Be Continued 


* * *



কেমন লাগলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.