[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:৪১
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
"জ্যাক এন্ড জায়েন্ট" নামক একটা লিজেন্ড ছিলো জ্যাকের পুরাতন ওয়ার্ল্ডে। যেটা অনেকটা লোক কাহিনীর মতোই অনেকের মুখে মুখে শোনা যেতো। অনেক জনপ্রিয় একটা গল্প ছিলো যেটা দিয়ে একটা মুভিও তৈরী হয়েছিলো। সে লিজেন্ডে কিছু বীজ থাকে যেগুলোকে জায়েন্ট ট্রি বা প্লান্ট বলা হতো। বীজগুলো পানির সংস্পর্শে আসার সাথে সাথেই বিশাল বড় গাছে রুপান্তর হতে শুরু করে। আর এই ট্রান্সফরমেশন অনেক দ্রুত হতে থাকে যেটা পুরোটাই কাল্পনিক একটা বিষয়। জ্যাক এবং জিতু একটা বড় ডালের উপরে বসে আছে এখন। জ্যাক তার আইটেম ব্যবহার করার সাথে সাথে গল্পের মতোই সেটা বিশাল বড় হতে শুরু করেছে।
××× আইটেম ×××
নেইমঃ সিড অফ ওয়ার্ল্ড ট্রি
ইফেক্টঃ পানির সংস্পর্শে আসলে এই সিড গুলো বড় হতে শুরু করে। যদিও ওয়ার্ল্ড ট্রির সিড তারপরও এটা ওয়ার্ল্ড ট্রির মতো কোনো ক্ষমতা বহন করবে না।
-->>সিনিয়র, আমার মনে হচ্ছে আমি পরে যাবো।(জিতু)
জ্যাক এবং জিতু অনেকটা উচ্চতায় উঠেছে। যেহেতু জিতু উচ্চতা ভয় পায় তাই সে অনেক ভয় পাচ্ছে এই অবস্থায়। সাধারণ একটা উচু ভবনের ছাদে উঠতে জিতুর ভয় করে আর সেখানে একটা বৃদ্ধি প্রাপ্ত জায়েন্ট গাছের ডালের উপরে বসে আছে এখন।
-->>কিছুই হবে না জিতু, আমাকে শক্ত করে ধরে বসে থাকো তুমি।(জ্যাক)
জ্যাক জিতুকে শক্ত করে ধরে বসে থাকতে বললো। জিতু সেটাই করলো। তবে তাদের বেশীক্ষন বসে থাকতে হলো না। কারন গাছটা মনস্টারদের বাসকৃত গাছের থেকেও বড় হচ্ছে। আর জ্যাক এবং জিতু দুজনে সেভাবে বসে থাকলে হয়তো আকাশে চলে যাবে। তাই তারা দুজনেই উঠে দাঁড়ালো। সামনের দশ তলা ভবনের মতো উঁচু গাছের চুড়া দেখা যাচ্ছিলো। যার উপরে সাধারণত পাতা থাকার কথা ছিলো। কিন্তু জায়গাটা শক্ত মেঝে দিয়ে তৈরী যেটার উপরে বস মনস্টার রিলাক্সে ঘুম দিচ্ছিলো।
-->>আমার তিন গোনাতে আমরা লাফ দিবো। এক-দুই-তিন।((জ্যাক)
জ্যাকের তিন বলাতে দুজনেই লাফ দিলো। এক লাফে তারা গাছের পাতার উপরের সমান মেঝের উপরে পৌঁছে গেলো।
-->>আমি তো ভেবেছিলাম আমার জীবনটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে।(জিতু)
জিতু তার বুকে হাত রেখে হাঁফাতে হাঁফাতে কথাটা বললো। জ্যাক সেদিকে নজর না দিয়ে বস মনস্টারের দিকে তাকিয়ে রইলো। তৃতীয় ফ্লোরের ফিল্ড বস জায়েন্ট ব্যাট। গাছের পাতাহীন একটা কান্ড সমান মেঝের দশ হাত উচু পর্যন্ত উঠেছে, যার একটা ডাল উপরে এল আকার ছিলো। প্রায় আট হাত সাইজের বাদুড়টা সেই এল আকারের ডালের সাথে উল্টো ঝুলে আছে। দুটো পা দিয়ে শক্ত করে ধরে ঘুমাচ্ছে বাদুড়টা। দেখতে ভয়ঙ্কর মনে হলেও এখন সেটা ঘুমাচ্ছিলো তাই জ্যাক এবং জিতুর জন্য সবচেয়ে সহজ টার্গেট এটা এখন।
-->>আমাদের খুব তারাতাড়ি এই বসকে হত্যা করতে হবে। যেহেতু এর সকল দুর্বলতা সম্পর্কে আমরা জানি তাই বেশী কষ্ট হবে না।(জ্যাক)
জ্যাক জিতুকে খুব আস্তে আস্তে কথাটা বললো। তৃতীয় ফিল্ড বস অনেক শক্তিশালী হলেও তার অনেক দুর্বলতা রয়েছে। সাধারণত বাকি ফ্লোর থেকে তৃতীয় ফ্লোরের বসকে হত্যা করাটা অনেকের কাছেই সহজ মনে হয়। যার বেশ কিছু কারন রয়েছে। তৃতীয় ফ্লোরে ফিল্ড বস হত্যার থেকে ফিল্ড বসের কাছে পৌঁছানোটা কষ্ট কর হওয়ার জন্য ফিল্ড বসকে হারানো সহজ করে দিয়েছে জি এম। কিন্তু শুধু তারাই হারাতে পারে যাদের কাছে সঠিক তথ্য এবং সঠিক স্কিল বা আইটেম রয়েছে।
-->>জিতু আমি প্রথমে আমার ডট ড্যামেজ এরো দিয়ে এট্যাক করবো এটাকে এবং আমার দিকে এগ্রো নিয়ে আসবো। এরোটা লাগার সাথে সাথে তুমি তোমার এক্সট্রিম ফিস্ট ব্যবহার করবে। তোমার স্কিলটা এমন ভাবে ব্যবহার করবে যাতে করে বসটা যেনো আমার দিকে ঝুঁকে আসে। আর তখনি আমার ট্রাম্প কার্ড ব্যবহার করবো।(জ্যাক)
জ্যাক এবং জিতু দুজনেই তাদের মাস্টার প্লান তৈরী করে ফেললো। এবং সেই প্লান তৈরীর পথেই ছিলো তারা।
* * * * *
টাওয়ারের মধ্যে,
হৃদয় টিটান হাঁটতে লাগলো টাওয়ারের মধ্য দিয়ে। সে তার নতুন আগমনের জায়গাতে এসে তেমন অবাক হয় নি যতটা না এই টাওয়ারের মধ্যে প্রবেশ করে হয়েছে। বাইরে থেকে টাওয়ারের শুধু উচ্চতায় দেখা যায়, আর সেই উচ্চ টাওয়ারের মাঝে বিশাল ওয়ার্ল্ড রয়েছে যেটা কল্পনা করাটাও কষ্টকর। হৃদয় এর পূর্বে অনেক কিছু দেখেছে তাই তার বিশ্বাস না করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সাধারণত নতুন কোনো জায়গায় গেলে হৃদয় টিটান সেই জায়গাকে অনুভব করতে পারে, যার কারনে তার চোখ বন্ধ করেও যদি তাকে সেই জায়গাতে আবার নিয়ে যায় তাহলেও সে বলে দিতে পারবে জায়গাটার নাম। আর হৃদয় যখন এই নতুন ওয়ার্ল্ডে এসেছে তখন সে চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পেরেছে সে কোথায় আছে। কিন্তু অপরিচিত মানুষদের সাথে সেটা নিয়ে সে কোনো কথা বলতে চাই নি।
-->>আমি আশা করছি নিয়াকের সাথে খুব তারাতাড়ি আমার দেখা হয়ে যাবে।(হৃদয়)
হৃদয় হাঁটছিলো এবং কথাটা বললো। সে এই ওয়ার্ল্ডে পূর্বেও এসেছিলো, যেখানে তার সাথে দেখা হয়েছিলো প্রিন্স নিয়াক এবং তার বোনের সাথে। প্রিন্স নিয়াকের বোন আপাতোতো হৃদয় টিটানের স্ত্রী হয়ে টিটানের ওয়ার্ল্ডেই আছে, কিন্তু যতদূর হৃদয়ের মনে আছে প্রিন্স নিয়াকের এখানেই থাকার কথা।
-->>প্রথমে সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার, তারপর এলিয়েন, তারপর টাইম ট্রাভেল এবং সবশেষে আবারো সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার এই সব কিছু আমাকে অনেক চিন্তার মধ্যে ফেলেছিলো। সেগুলো অরিজিন না জানতে পেরে এখন আবার দেখা হয়ে গেলো ম্যাজিকের সাথে। আমার মাথা ভালো করে কাজ করছে না। এই সময়ে হৃদিতা আমার পাশে থাকলে অনেক ভালো হতো।(হৃদয়)
হৃদয় নিজের সাথে কথা বলতে লাগলো। সে এখানে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। হয়তো এরিয়েল নামক মেয়েটার সাথে থাকাটায় তার জন্য ভালো হতো, কারন মেয়েটা হৃদয়ের সম্পর্কে সব কিছু জানতো বলে দাবী করেছে। কিন্তু আবার পরক্ষনে মেয়েটাকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। হৃদয়ের মাথায় অনেক চিন্তা ভাবনা ঘুরতে লাগলো। বিশেষত সে যে ওয়াটার গড পোসেইডন এর বংশধর হবে এটা কখনো কল্পনা করে নি।
-->>একজন গড হুহ। তারা যদি সত্যিই থাকতো তাহলে এতোদিনে আমাদের সামনে আসলো না কেনো?(হৃদয়)
হৃদয়ের অনেক কৌতূহল জাগছে এই গড বিষয়ক কথা নিয়ে। যেটা সে আজ পর্যন্ত শুনে নিয়ে। এরিয়েল নামক মেয়েটার কথা অনুযায়ী হৃদয় ওয়াটার গডের বংশধর, আর এর জন্যই হৃদয় পানির ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে কেনো সেটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু সে আজ পর্যন্ত পোসেইডন কিংবা অন্য গডদের ব্যাপারে কিছু শুনে নি। তাই সহজেই বিষয়টা মেনে নিতে পারছে না সে। হৃদয়ের সামনে হঠাৎ করে একটা ব্যক্তি টেলিপোর্ট হয়ে গেলো, যার মুখ একটা হুডে ঢাকা ছিলো। হৃদয় লোকটাকে দেখেই চিনে ফেললো। এটা সেই ব্যক্তি যার সাথে এরিয়েল একটু পূর্বেই কথা বলেছে।
-->>ওয়েল উই মিট এগেইন।(গ্রিড)
হৃদয় লোকটার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলো এবং সে বলতে লাগলো,
-->>আমি কি কোনো সাহায্য করতে পারি?(হৃদয়)
-->>হ্যাঁ অবশ্যই তোমার সাহায্যের জন্যই তো আমি এখানে এসেছিলাম।(গ্রিড)
গ্রিড তার হুডটা খুললো এবং হৃদয় কিছু করার পূর্বেই হৃদয়ের বুকের মধ্যে তার হাত ঢুকিয়ে দিলো। হৃদয় এই অবস্থার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। কারন সে এতোক্ষনে অনেক ভাবনার মধ্যে ছিলো, আর সব সময় সারপ্রাইজ এট্যাক তার উপরে কাজ করে না বলে সে নিশ্চিত ছিলো তার কিছু হবে না। কিন্তু এই জায়গাটার মধ্যে যে সবাই তার চেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হবে এটা সে আশা করে নি।
-->>এখন তুমি ইটার্নাল স্লিপের মধ্যে চলে যাও এবং তোমার এই শরীরটাকে আমাকে ব্যবহার করতে দাও।(গ্রিড)
গ্রিড হৃদয়ের কাছে এসেছিলো তার শরীরটাকে নিজের হোস্ট বানানোর জন্য। যেহেতু তার হাতের কাছে বেশী সময় নেই তাই তাকে শীঘ্রই নিজের একটা হোস্ট বানাতে হবে। তা না হলে খুব দ্রুত সে মারা যাবো তার দুর্বল হোস্টের শরীরে। আর এরিয়েলের সাথে কথা বলার সময়ে একটা পারফেক্ট হোস্ট তার নজরে চলে আসে।
-->>আমি প্রথমে অবাক হয়েছিলাম, কিন্তু তোমার শরীরে সামান্য পরিমাণ ডার্ক এনার্জি রয়েছে, সেই সাথে..........(গ্রিড)
গ্রিড আরো কিছু বলতে যাবে তখনি হৃদয় তার রিয়েলিটি প্রিজম ব্যবহার করলো। যার মাধ্যমে সেই পুরো রিয়েলিটি থেকে সে সরে গেলো। রিয়েলিটি প্রিজম এমন একটা ক্ষমতা হৃদয় টিটানের যেটা তাকে অন্যদের থেকে স্পেশাল করে। প্রথম দিকে এই রিয়েলিটি প্রিজমের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার না করতে পারলেও এখন এটা সম্পর্কে অনেক কিছু সে জানে। আর যেটার একটায় মাত্র সে ব্যবহার করেছে।
-->>আমি আরেকটা রিয়েলিটিকে ধ্বংস করেছি। নিশ্চয় আমার সামনের বিপদ আরো ভয়াবহ হবে।(হৃদয়)
হৃদয় সেই পুরো জায়গার রিয়েলিটি চেঞ্জ করে নি। যেটা করলে সে অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতো নিজের কাছে। সে শুধু নিজের সময়ের রিয়েলিটি চেঞ্জ করেছে। এক ঘন্টা পূর্বে সে এরিয়েল নাম মেয়ের কাছ থেকে একা একা চলে এসেছে এই জায়গায় আর এখানেই গ্রিড নামক ব্যক্তিটা তাকে আক্রমন করেছে। হৃদয় শুধু এই সময়ের রিয়েলিটি চেঞ্জ করেছে যেখানে হৃদয় কখনো এরিয়েলের কাছ থেকে আসেই নি। বিষয়টা টাইম ট্রাভেলের মতো না, তবে সেটার মতোই ধরা হয়। রিয়েলিটি প্রিজম একটা নতুন রিয়েলিটি তৈরী করে এবং পূর্বের রিয়েলিটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যেহেতু হৃদয়ের চেঞ্জ করা রিয়েলিটির ব্যবধান এক ঘন্টা ছিলো এবং হৃদয় পূর্বের রিয়েলিটিতে ফেরত যেতে চাই না। তাই পূর্বের রিয়েলিটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আর এই রিয়েলিটি চেঞ্জ করার জন্য হৃদয়কে অনেক বড় মাশুল দিতে হবে।
হৃদয় তার রিয়েলিটি চেঞ্জ করেছে এমন নয় যে সময় পিছনে পাঠিয়ে দিয়েছে। এক ঘন্টা যেখানে সে একা ছিলো পূর্বের রিয়েলিটিতে, সেখানে সে বর্তমানে এরিয়েলের সাথেই আছে। এরিয়েলের সাথে একটা জায়গায় সে যাচ্ছিলো। রিয়েলিটি চেঞ্জের কারনে এই এক ঘন্টায় কি হয়েছে সেটা সম্পর্কে হৃদয় কিছুই জানে না। এরিয়েল বরাবরের মতোই চুপ ছিলো। হৃদয় অনেকটা ভিন্ন রকম আচরণ করছিলো দেখতে পেয়ে এরিয়েল থামলো,
-->>রিয়েলিটি প্রিজম, তুমি রিয়েলিটি প্রিজম ব্যবহার করেছো?(এরিয়েল)
এরিয়েল এই গল্পের লেখিকা যে গল্পে নায়ক ছিলো হৃদয় টিটান। সেই নায়কের সব রকম ব্যবহার এবং আচরণ এরিয়েলের মুখস্ত থাকারই কথা। তাই রিয়েলিটি প্রিজম ব্যবহার করার পরে যে কনফিউজিং চেহারা বানাচ্ছে হৃদয় সেটা দেখেই বুঝতে পারলো এরিয়েল যে হৃদয় রিয়েলিটি চেঞ্জ করেছে।
-->>তুমি জানলে কিভাবে?(হৃদয়)
হৃদয়ের স্পেশাল এবিলিটি যেটা সম্পর্কে কেউই জানে না সে বাদে। যেটাকে হাতে গোনা তিন থেকে চারবারই ব্যবহার করেছে সে এটা সম্পর্কে এরিয়েলের জানার কোনো প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু তখনি মনে পরলো এরিয়েল বলেছিলো সে সব কিছু সম্পর্কেই জানে, তাই কিছুতা শান্ত হলো সে।
-->>কি হয়েছিলো পূর্বের রিয়েলিটিতে এবং কত ক্ষন আগের ছিলো সেটা?(এরিয়েল)
এরিয়েলের চোখ দুটো হালকা লাল হয়ে গেলো। হৃদয় তার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাচ্ছিলো না। কিন্তু এরিয়েলের রাগী লুকের প্রশ্ন দেখতে এবং শুনতে পেয়ে সে চুপ থাকতে পারলো না। সে বলতে চাচ্ছিলো না কিন্তু তার মুখ থেকে এমনিতেই কথা বেরিয়ে যেতে লাগলো,
-->>এক ঘন্টা পূর্বে আমি তোমাকে ছেড়ে একা একা বেরিয়েছিলাম। তখনি আমার সাথে দেখা যায় সেই ব্যক্তিটার সাথে যার সাথে তুমি কথা বলতে ছিলে। আর সেখানেই সে আমাকে হোস্ট বানানোর কথা বলে আমার বুকে তার হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। আর তখনি আমি আমার রিয়েলিটি প্রিজম ব্যবহার করে রিয়েলিটি চেঞ্জ করে ফেলি।(হৃদয়)
হৃদয় ফটাফট সব কিছু বলে দিলো। সে বুঝতে পারলো না সে চুপ থাকতে চেয়েও কেনো পারলো না।
-->>আমি বলবো, রিয়েলিটি নিয়ে খেলা না করতেই। কারন তাতে অনেক বড় কিছুর সামনে পরতে হবে তোমাকে।(এরিয়েল)
হৃদয় টিটান আর কিছু বললো না। সে জানে সে কি করেছে এবং তার ফল খুব খারাপ হবে সেটাও জানে। কিন্তু নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য এটাই একমাত্র পথ ছিলো তার জন্য।
-->>আমি আবারো ইন্টারেস্টেড, তুমি এতো কিছু জানো কিভাবে?(হৃদয়)
-->>আমি জানি, তাই আমি জানি।(এরিয়েল)
এরিয়েলের কথা বুঝতে পারলো না হৃদয়, তাই অহেতুক সেটা নিয়ে পরে থাকলো না। তাই সে প্রশ্ন ঘুরিয়ে আবারো বলতে লাগলো,
-->>কোথায় যাচ্ছি আমরা?(হৃদয়)
-->>একটা প্রিন্সের সাথে দেখা করতে।(এরিয়েল)
-->>প্রিন্স মানে কি প্রিন্স নিয়াক?(হৃদয়)
এরিয়েল হৃদয়ের দিকে একবার তাকালো। এরিয়েল অবাক হলো না, কারন সে হৃদয়ের জীবন নিয়ে লেখার কারনে এটা ভালোই জানে যে তার সাথে প্রিন্স নিয়াকের সম্পর্ক রয়েছে। আর প্রিন্স নিয়াক যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্ব এরিয়েলের গল্পের জন্য সেটা বলার রাখে না।
-->>নিয়াকও এখানে আছে?(হৃদয়)
-->>না কিন্তু তাকে এখানে আনতে হবে। আর সেটার জন্য আমাদের এই ইউনিভার্স থেকে তার ইউনিভার্সে যেতে হবে।(এরিয়েল)
-->>কিন্তু সেটা কিভাবে?(হৃদয়)
এরিয়েল কোনো কথা বললো না। হৃদয়কে এমন একটা জায়গার কাছে সে নিয়ে এসেছে যেটা একটা গুহার মধ্যে ছিলো। হৃদয় এতোক্ষন তার আশেপাশের জায়গার দিকে তেমন নজর দিচ্ছিলো না। কিন্তু এখন সে খেয়াল করেছে। তাদের সামনে একটা কালো গোল বলের মতো জিনিস ছিলো। যেটার ব্যাসার্ধ একটা মানুষের সমান হবে। কালো বলটা একটা ভিন্ন ধর্মী এনার্জির তৈরী ছিলো, যেটা তার দিকে সব কিছুকে টানছে।
-->>এটা?(হৃদয়)
-->>এটা একটা ব্লাকহোল, যেটা কানেক্টেড আমাদের খোজকৃত প্রিন্সের ওয়ার্ল্ডের সাথে।(এরিয়েল)
-->>তাহলে দেরী কেনো করছি, চলো আমরা প্রবেশ করি।(হৃদয়)
-->>না সেটার প্রয়োজন হবে না। কারন প্রিন্স আমাদের কাছেই চলে আসবে।(এরিয়েল)
দুজনে দাঁড়িয়ে ছিলো তাদের জায়গা মতো, তখনি সেই কালো বলের মতো জায়গার ভিতর থেকে একটা শক্তিশালী এনার্জি বের হতে শুরু করলো। যেটা এতোক্ষনে হৃদয় এবং এরিয়েলকে তার মধ্যে প্রবেশ করাতে চাইলেও এখন সেটা তাদেরকে দূরে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে। তখনি সেই বল থেকে একটা মানুষ সুপারহিরোর মতো এসে ল্যান্ড করলো।
-->>তুমি?(নিয়াক)
নিয়াক তার রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে ছিলো হৃদয়ের চোখে, তার চোখ দেখেই মনে হচ্ছে সে হৃদয়কে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। কিন্তু শত চেষ্টা করে নিজের রাগকে কন্ট্রোলে রাগলো নিয়াক এবং বলতে লাগলো,
-->>আমি কোথায় আছি এখন?(নিয়াক)
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।