আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৪৩

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৪৩

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


(টাওয়ারের মধ্যে)


এরিয়েল তার রুমের মধ্যে বসে আছে। সে ক্লান্ত, শুধুই ক্লান্ত না বরং অনেকটা ক্লান্ত। নিজের গল্পের চরিত্রদের সাথে কথা বলাটার মতো বিরক্তকর এবং ক্লান্তকর জিনিস হতে পারে এটা সে আগে জানতো না। বিশেষ করে তাদেরকে বর্তমান অবস্থাটা বোঝানো। যদিও তাদেরকে তেমন কিছুই বলে নি, তারপরও নিজের গল্পের বিষয়টা অন্যদের কাছে এক্সপ্লেইন করাটা অনেক ক্লান্তিকর একটা বিষয়। সকল লেখক লেখিকাই পছন্দ করে খাতা কলমের মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে। সেখানে খুব কম সংখ্যক লেখক লেখিকাই মুখ দিয়ে তাদের গল্পের বিষয়টা এক্সপ্লেইন করতে পারে। আর সেই কম সংখ্যকের মধ্যে এরিয়েলের নাম যুক্ত নেই। তাই তো তার কাছে এই বিষয়টা সবচেয়ে বিরক্তকর লাগছিলো।


-->>টাইম নিয়ে খেলা করেছে ওরা, আর প্রশ্ন করে আমাকে। এক কথায় দেখতে গেলে তো সকল ভুল ওদেরই। আবার অন্য ভাবে দেখতে গেলে সকল ভুল আমারই।(এরিয়েল)


এরিয়েল নিজের গল্পের বিষয়কে কাল্পনিক মনে করে। যেটা সে নিজেই তৈরী করেছে। এসব যা হচ্ছে তা সব কিছুই এরিয়েলের কাছে একটা ফ্যান্টাসি গল্পের মতো। সে মনে করছে সে তার গল্পের বইয়ের ভিতরে প্রবেশ করেছে যেখানে কোনো কিছুই সত্য ছিলো না। শুধুমাত্র এরিয়েলের চাওয়া উইশের জন্য সব কাল্পনিক জিনিস সত্য হচ্ছে। তাই বলে এমন নয় যে এরিয়েল এটাকে ফ্যান্টাসির মতোই দেখতে শুরু করেছে, এই ওয়ার্ল্ড তার বইয়ের গল্প অনুযায়ী চললেও এরিয়েল এটাকেই বাস্তব মেনে নিয়েছে। কারন এখানে সে জীবিত একটা চরিত্র, ফ্যান্টাসির মতো যদি এই ওয়ার্ল্ডকে ভাবতে শুরু করে তাহলে এক সময়ে সে নিজের জীবন হারাতে পারে।


-->>আমার গল্প অনুযায়ী টাইমের নিয়ম অনেক কমপ্লেক্স, তবে সহজেই বিবরণ বা বোঝা যায়।(এরিয়েল)


টাইম গডদের রুল অনুযায়ী কেউ চাইলে অতীত ট্রাভেল করতে পারবে। কিন্তু যদি কেউ ভবিষ্যতে টাইম ট্রাভেল করে এবং ভবিষ্যৎ কে চেঞ্জ করার চেষ্টা করে তাহলে সেই ব্যক্তির ওয়ার্ল্ডটা একটা টাইম লুপের মধ্যে পরে। টাইম লুপ এমন একটা জিনিস যেটা কিছু নির্দিষ্ট ওয়ার্ল্ডের টাইম অন্যান্য ওয়ার্ল্ডের থেকে ভিন্ন করে ফেলে। আর এই টাইম লুপের ফলেই হৃদয়ের ওয়ার্ল্ড আর এই ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সময়ের ভিন্নটা রয়েছে। ডাইভার্সের ফাইটের সময়ে নিয়াক এবং তাদের তৈরী টিমের মাধ্যমে তারা টাইম মেশিন তৈরী করেছিলো। যার সাহায্যে তারা সবাই ভবিষ্যতে টাইম ট্রাভেল করেছিলো। আর তাদের সেই কাজের জন্যই আজ এই ওয়ার্ল্ড একটা টাইম লুপের মধ্যে রয়েছে। আর,


-->>টাইম লুপে থাকা ওয়ার্ল্ড গুলো গড এবং তাদের অ্যাভেটারদের যুদ্ধ ময়দান হিসাবে ব্যবহার হয়।(এরিয়েল)


এরিয়েলের গল্প অনুযায়ী টাইম লুপ একটা ওয়ার্ল্ডকে তাদের নিজস্ব সময় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। যার ফলে তারা অন্যান্য ওয়ার্ল্ডের থেকে ছিটকে যায়। টাইম লুপে থাকা ওয়ার্ল্ড গুলোর সাথে তখন অন্যান্য ওয়ার্ল্ড গুলোর কোনো সম্পর্কই থাকে না। আর এই লুপে থাকা ওয়ার্ল্ডগুলোকেই গড এবং তাদের অ্যাভেটার বেছে নিয়ে থাকে তাদের যুদ্ধের জন্য। টাইম লুপের মধ্যে থাকা ওয়ার্ল্ড গুলোকে ধ্বংস করে দিলে সেটার দ্বারা অন্যান্য কোনো ওয়ার্ল্ডের ব্যালেন্স নষ্ট হবে না। তাই গড এবং তাদের অ্যাভেটার কোনো চিন্তা ছাড়ায় তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকে এসব ওয়ার্ল্ডের মধ্যে।


এরিয়েল এতোক্ষন তার হাতে থাকা একটা বই পড়ছিলো। মাঝে মাঝে উপরিউক্ত লাইন গুলো হালকা সূরে বলছিলো যা টাইম নিয়ে একটু ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। এরিয়েল নতুন ফ্যান্টাসি লেখিকা হিসেবে টাইম সম্পর্কে তেমন কিছু জানতো না। তাই সে যেটুকু জানতো সেটুকুই তার গল্পে উল্লেখ করেছিলো। 


-->>ওয়েল লেখিকা হিসেবে না জানলেও এখন গল্পের নায়িকা হিসেবে আমাকে সেসব সম্পর্কে জানতে হবে।(এরিয়েল)


এরিয়েল তার বইটাকে বন্ধ করে ফেললো এবং বিছানার উপরে শুয়ে ঘুমিয়ে পরলো।



* * * * *


হৃদয়, নিয়াক এবং এরিয়েল একটা ছোট হোটেলের মধ্যে প্রবেশ করেছিলো। তিনজনে মিলে দুটো রুম বুক করেছিলো, যার একটায় এরিয়েল থাকছে এবং অন্যটা হৃদয় এবং নিয়াক শেয়ার করছে একে অপরের সাথে।


-->>আচ্ছা নিয়াক আমার একটা প্রশ্ন আছে?(হৃদয়)


-->>হ্যাঁ করো।(নিয়াক)


-->>এটা তো তোমার ওয়ার্ল্ড হওয়ার কথা ছিলো, মানে এখানেই তো আমরা ফাইট করেছিলাম সেই এলিয়েনদের সাথে। এই জায়গার সময় আরো বিশ বছরের বেশী হয়েছে। কিন্তু তুমি বুড়ো হও নি কেনো?(হৃদয়)


-->>তিন বছর পূর্বে যখন আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায় তখন আমি এখানে ছিলাম বেশ কিছু সময়। কিন্তু আমাকে আমার প্রয়োজনীয় কিছু কাজের জন্য আমার নিজ, মানে আমার মাতৃওয়ার্ল্ডে ফিরে যেতে হয়। সেখানে আমি তিন বছরের মতো সময় অবস্থান করেছিলাম। এখনে আসার কোনো সুযোগই ছিলো না।(নিয়াক)


-->>তাহলে বুঝলে কিভাবে যে এই ওয়ার্ল্ড ধ্বংসের মধ্যে ছিলো?(হৃদয়)


-->>তোমাদের থেকে বা এই ওয়ার্ল্ডের থেকেও আমার মাতৃ ওয়ার্ল্ড টেকনোলজির দিক দিয়ে অনেক উন্নত। তাই এটা জানা কোনো ব্যাপারই ছিলো না।(নিয়াক)


-->>তাহলে কিছু করলে না কেনো? পূর্বের মতো আমাদের আবার ডাকতে। আমরা সবাই মিলে এই ওয়ার্ল্ডকে বাঁচাতাম।(হৃদয়)


-->>তুমি মনে হয় ভুল বুঝতেছো হৃদয়। বা নিজেকে নিয়ে একটু বেশীই কনফিডেন্স ফিল করছো। কিন্তু এটা পূর্বের মতো দুটো শক্তিশালী মনস্টার ছিলো না। এখানে গডরা ইনভলভ ছিলো, যাদের শক্তি আমাদের ধারনার বাইরে।(নিয়াক)


-->>তুমি কি এখানে আসার চেষ্টা করো নি?(হৃদয়)


-->>করেছিলাম। কিন্তু কোনো টেকনোলজিই কাজ করছিলো না। ডাইমেনশন ব্যারিয়ার সিল থাকার কারনে এখানে অন্য কোনো কিছুর সাহায্যে প্রবেশ করা যায় নি। কিন্তু অবশেষে আমার কাজ শেষ হওয়ার পর আমি একটা ব্লাক হোল খুঁজে পায়, যেটা আমাকে এখানে নিয়ে আসে।(নিয়াক)


-->>কি এতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ?(হৃদয়)


-->>সেটা তোমার জানার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।(নিয়াক)


নিয়াক যে কিনা এই ওয়ার্ল্ডের প্যারালাল একটা ওয়ার্ল্ডের প্রিন্স, সে ছোট থেকেই অনেক কঠোর পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলো। যার তুলনা করলে এটা তো কিছুই না। তার চোখে রাগের ছাপ দেখা যাচ্ছে, যেটা এখনো ক্লিয়ার হচ্ছে না। হৃদয় নিয়াককে শেষ যখন দেখেছিলো তার থেকে অনেক চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে সে। তার শরীর থেকে অন্য রকম একটা অউরা বের হচ্ছিলো যা তাকে শক্তিশালী একজন ব্যক্তির মতো লাগাচ্ছিলো হৃদয়ের চোখে। কিন্তু এই সময়ে শুধু কি নিয়াক নিজেই শক্তিশালী হয়েছে? 


"আমার কাছে আমার সিকরেটও রয়েছে।" (হৃদয় ভাবছে)



* * * * *


(টেস্ট ড্যানজন)


জ্যাক এবং জিতু তৃতীয় ফ্লোরের হিডেন বসকে খুজে বের করেছে। দ্বিতীয় ফ্লোরের পর থেকে নবম ফ্লোর পর্যন্ত প্রতিটা ফ্লোরের মধ্যেই মোট তিনটা বস মনস্টার রয়েছে। ফিল্ড বস, হিডেন বস এবং ফ্লোর বস। এই তিনটা বসের মধ্যে ফিল্ড বস এবং হিডেন বসদের হত্যা করাটা অনেক সহজ। কিন্তু ফ্লোর বসদের হত্যা করার জন্য একটা ভালো পার্টির প্রয়োজন হয়। দুজনে হাজার চেষ্টা করলেও এখনো দ্বিতীয় ফ্লোরের ফ্লোর বস হত্যা করতে পারবে না এজন্যই জ্যাক এবং জিতু কোনো ফ্লোর বসের কাছে যায় নি। প্রথমে তাদের উদ্দেশ্য শক্তিশালী হওয়া এবং লেভেল বৃদ্ধি করা। তাদের এই গোল শেষ হওয়ার সাথে সাথে তারা তাদের পার্টির জন্য নির্দিষ্ট কিছু সদস্যও পেয়ে যাবে। আর তখন এই ফ্লোর বস গুলোও তাদের জন্য কোনো ঝামেলা তৈরী করবে না।


-->>সিনিয়র। এই ফ্লোরের হিডেন এবং ফিল্ড বস তো আমার কাছে মনে হলো সবচেয়ে দুর্বল।(জিতু)


জ্যাক এবং জিতু হিডেন বসকে খুঁজে বের করেছে এবং তাকে হত্যা করেছে। খুব বেশী সময় লাগে নি। জ্যাকের আদেশে জিতু মার্কেট থেকে পঞ্চাশ হাজার গোল্ড কয়েন ব্যবহার করেছে এটাকে হত্যা করার জন্য। যেহেতু এ পর্যন্ত সকল আইটেম জ্যাক নিজেই কিনেছে, তাই এবার সে জিতুর সঞ্চয় করা কিছু গোল্ড কয়েন ব্যবহার করেছে। হিডেন বস যা একটা বিশাল স্টার ফিশ ছিলো। মূলত হিডেন বসের লোকেশন ছোট একটা পুকুরের মধ্যে ছিলো। যদিও পুকুরটা ছোট, তারপরও পুকুরের গভীরতা বেশী থাকার কারনে স্টার ফিশকে খুজে পাওয়া কষ্টকর। একটা বয়স্ক ভাল্লুকের মতোই স্টার ফিশের সাইজ ছিলো। হিডেন বসটা একটা পানির মনস্টার হওয়ার ফলে এটাকে পানিতে হারানো প্রায় অসম্ভব। আর যেহেতু পুকুরটা ছোট তাই জিতু এবং জ্যাককে বসের আক্রমনের চিন্তা করতে হয় নি। যেহেতু স্টার ফিশ পানির মনস্টার তাই এটা পানির বাইরে থাকতে পছন্দ করে না। প্লেয়াররা যখন এটাকে আক্রমন করার জন্য পুকুরে পাশে আসে তখন স্টার ফিশটা পানির মধ্য থেকে বের হয়ে একটা এট্যাক করে আবার চলে যায় পানির মধ্যে। তাই এটাকে হারানো সহজ নয়। বিশেষ করে তাদের জন্য সহজ নয় যাদের কাছে লাইটনিং স্কিল এবং লাইটনিং আইটেম নেই। জিতু মার্কেট থেকে পঞ্চাশ হাজার গোল্ড কয়েনের পঁচিশটা লাইটনিং বোম্ব ক্রয় করেছে। যার প্রতিটায় জ্যাক এবং জিতু মিলে পানির মধ্যে ফেলেছে। পানির মনস্টার, পানির এট্রিবিউট যুক্ত মনস্টার বা প্লেয়ার যাদের কথায় বলা হোক না কেনো? তাদের দুর্বলতা একটায় আর সেটা হলো লাইটনিং। জ্যাকের লাইটনিং ম্যানিপুলেশন স্কিলটা তেমন শক্তিশালী না, নাহলে তাকে এতো গোল্ড কয়েন দিয়ে লাইটনিং বোম্ব কিনতে হতো না। পঁচিশটা বোমা পানিতে ছাড়ার পরে সেটার সংস্পর্শে আসার সাথে সাথেই সেগুলো ব্লাস্ট হয়েছে এবং পুরো পুকুরের পানিকে বিদ্যুৎ বানিয়ে দিয়েছে। যেহেতু বোমার পরিমান কম ছিলো না তাই স্টার ফিশের বেঁচে থাকাটা কোনো প্রশ্নেই উঠে না।


-->>সিনিয়র আমরা কি এখন আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিতে ফিরে যাবো?(জিতু)


জ্যাকের কথা ছিলো যে তারা এই হিডেন বসকে হান্ট করার পরে কিছু সময় রেস্ট নিবে। আর রেস্ট নেওয়ার একমাত্র জায়গায় আন্ডাগ্রাউন্ড সিটি। যেখানে কোনো মনস্টারের ভয় নেই। তাই জিতু ভেবেছিলো তারা আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিতে যাবে এখন।


-->>প্রতিবার দুইশত কয়েন দিয়ে যাওয়া আসা তোমার ভালো লাগে?(জ্যাক)


জ্যাকের কথাটা শুনে জিতু একটু অবাক হলো। যে ব্যক্তি হাজার হাজার গোল্ড কয়েন উড়িয়ে দিতে একবারও ভাবে না। যে লক্ষ গোল্ড কয়েন উড়াইলেও তেমন কিছু বোধ করবে না। সেই ব্যক্তি দুইশত গোল্ড কয়েনের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিতে প্রবেশ করবে না। জিতু ভাবছে,


"আমি আমার জীবনে এরকম স্টাইলিষ্ট কৃপণ কোনোদিনও দেখি নি।" 




* * * * *


হিডেন বসের লোকেশনের দিকে বেশ কিছু পুরাতন প্লেয়ার আসছিলো। তারা ত্রিশজনের একটা পার্টি। যেখানে চার ধরনের প্লেয়ারই রয়েছে। ত্রিশ জনের মধ্যে সবাই চার থেকে ছয় লেভেলের মধ্যে রয়েছে। তারা তৃতীয় ফ্লোরের ফিল্ড বস অনেক পূর্বেই হত্যা করেছিলো এবং উপরের ফ্লোরে চলে গিয়েছিলো। হিডেন বসকে তখন হত্যা করার মতো শক্তি তাদের কাছে ছিলো না। তাই তো তারা ফিরে এসেছে আজকে হিডেন বসকে হত্যা করার জন্য। কিন্তু হিডেন বসের লোকেশনের কাছাকাছি আসার সাথে সাথেই তাদের মোবাইলের স্ক্রিনে জি.এম থেকে মেসেজ আসে।


<<"মাস্ক" পার্টি তৃতীয় ফ্লোরের হিডেন বস স্টার ফিশকে হত্যা করেছে। হিডেন বস আবারো এক সপ্তাহ পরে স্পন হবে তার জায়গা মতো।>>


হিডেন বসের জন্য আসা উক্ত পার্টির সকল সদস্য তাকিয়ে ছিলো কিছুক্ষণ মোবাইলের দিকে। তখন তাদের মধ্য থেকে তাদের পার্টির লিডার বলতে শুরু করলো,


-->>এই মাস্ক পার্টি কাদের?(পার্টি লিডার)


-->>লিডার, আমরা সঠিক জানি না। কিন্তু দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফ্লোরের কিছু তথ্য অনুযায়ী মাস্ক পার্টি নতুন তৈরী হয়েছে যাদের মধ্যে আপাতোতো দুজন ব্যক্তিকেই দেখা গিয়েছে।


-->>আমি শুনেছি তারা দুজনেই দ্বিতীয় ফ্লোরের ফিল্ড বস এবং তৃতীয় ফ্লোরের ফিল্ড বসের বিশাল গাছের সব মনস্টার হান্ট করেছে।


-->>হাহাহাহাহাহা। কোথাকার ইঁদুর যারা মাস্কের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে তারা আমাদের টার্গেটকে চুরি করার সাহস করেছে। বয়েস চল আমরা দেখিয়ে দি তৃতীয় ফ্লোরের বস আসলে কারা।(পার্টি লিডার)


মেসেজটা মাত্র এসেছে মানে মাত্রই বস মনস্টার হত্যা হয়েছে। আর যেহেতু উক্ত পার্টি বস মনস্টারের লোকেশনের কাছাকাছি ছিলো তারা জলদি সেই জায়গায় যেতে লাগলো।


-->>লিডার যেহেতু দুজনই তারা একটা বসকে হত্যা করতে পারে, তাহলে নিশ্চয় S বা A+ র‍্যাংকের আইটেম রয়েছে তাদের কাছে।


-->>হ্যা আর শীঘ্রই সেটা আমাদের "গ্যাং" পার্টির হবে।(পার্টি লিডার)


সবাই খুব দ্রুত সে জায়গায় পৌঁছে গেলো। তাদের পৌঁছানো লেট হয় নি। বরং তারা ভালো সময়েই সেখানে এসেছে। দুজন মাস্ক পরা ব্যক্তি তাদের সামনে ছিলো, যারা এখান থেকে যাওয়ার জন্যই প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু ত্রিশজনের পার্টি তাদের সামনে থাকায় তারা যেতে পারছে না সেই রাস্তা দিয়ে।


-->>আমাদের তাড়া আছে, রাস্তা দিলে ভালো হয়।(জ্যাক)


-->>ঔ তোর সাহস কত বড়? তুই জানিস তুই কাদের সাথে কথা বলতেছিস। আমরা দ্যা গ্যাং পার্টি।(গ্যাং পার্টির এক সদস্য)


জ্যাক তাদের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। যেহেতু মাস্ক পরা সে তাই তার এক্সপ্রেশন বোঝা যাচ্ছিলো না। কিন্তু জিতুর মাস্কে ঠিকই তার রাগ দেখা যাচ্ছিলো। জ্যাক আর জিতু কিছু বলতে যাবে তখনি গ্যাং পার্টির লিডার একটা কথা বললো,


-->>আমরা ব্লাক পার্টির মতো কাজ করি না। কিন্তু দিন শেষ দেখা যায় একই কাজ করি। তোরা আমাদের বসকে হত্যা করেছিস, তাই এর ফল তোদের দিতে হবে। তোদের সব ম্যাজিকাল আইটেম এবং গোল্ড কয়েন আমাদের দিয়ে দে আমরা তোদের জীবিত ছেড়ে দিবো।(পার্টি লিডার)


জ্যাক একবার তাদের পার্টি লিডারের দিকে তাকালো। তার আইটেম এবং শরীর দেখে বোঝা যাচ্ছে সে একজন ট্যাংক। তাদের সবার লেভেল  জ্যাক এবং জিতুর থেকে বেশী তাই তারা এখানে কোনো বাজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।


-->>যদি না দি তাহলে?(জিতু)


জ্যাক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবলেও জিতু গুন্ডাদের সাথে গুন্ডাদের মতোই ব্যবহার করতে শুরু করেছে। জিতুর উত্তর শুনে তাদের পার্টি লিডার বলতে লাগলো,


-->>তাহলে খুব খারাপ বিষয়। আমরা খুব আরামে সে গুলো নিয়ে যেতে পারবো।(পার্টি লিডার)


গ্যাং পার্টির লিডার একজন গুন্ডা হলেও সে বোকা না। দুজন ব্যক্তি একটা হিডেন বসকে একা হত্যা করতে পারলে তাদের কাছে শক্তিশালী আইটেম অবশ্যই আছে। আর সেটা নিতে হলে ভয়ানক একটা ফাইট করতেও হতে পারে। তাই আশেপাশের সবার দৃষ্টি এদিকে না এনে সে এটাকে নিশ্চুপে শেষ করতে চাচ্ছে। তাই সে তার স্পেশাল এট্যাক ব্যবহার করলো। 


"প্যারালাইস"


ট্যাংকদের স্পেশাল স্কিল এটা। এটা দ্বারা তারা তাদের বিপক্ষ শত্রুদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্যারালাইস করে দিতে পারবে। মনস্টারদের উপরে এটা বেশী কাজ করলেও প্লেয়ারদের উপরেও করে। আর সেটা ব্যবহারের মাধ্যমে জ্যাক এবং জিতু দুজনের শরীরই প্যারালাইস হয়ে গেলো। তারা তাদের শরীরকে নারাতে পারছে না। এমনকি কথাও বলতে পারছে না। দুজনে শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না। প্যারালাইস হওয়ার পর তাদের শরীর যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। গ্যাং পার্টির লিডার তাদের সামনে এগিয়ে গেলো যেখানে সে তার লং সোর্ড নিয়ে জ্যাকের সামনে দাঁড়ালো। কোনো কথা না বলেই সে তার সোর্ডটা জ্যাকের বুকের ভিতরে ঢুকে দিলো। জিতু রাগে চিল্লানি দিতে চাইলেও সে পারছে না। সেই সাথে জ্যাক ব্যথায় চিল্লানি দিতে চাইলেও সে ও পারছে না। গ্যাং পার্টির লিডার হাসি মুখে আরেকবার সোর্ডটা জ্যাকের পেটে ঢোকাতে যাবে তখনি জ্যাক তার কানের মধ্যে আওয়াজ শুনতে পেলো।


"মাস্টার।"


"মাস্টার।"


"মাস্টার, আমাকে ডাকুন। সেবা করতে দিন আমাকে আপনার।"


জ্যাক বুঝতে পারছিলো না কি শব্দ। যেহেতু সে মারা যাবে না, তাই বেশী চিন্তা করলো না। কারন পরের বার সে দেখে নিবে এদের। কিন্তু সোর্ডটা জ্যাকের পেটে ঢুকতে যাবে তখনি জ্যাকের পেটে প্রথমের ক্ষতের থেকে অনেকটা ব্লাড বের হলো, যেটা হাওয়ার মধ্যে উড়তে লাগলো। জ্যাক আবারো শুনতে পেলো সেই শব্দটা।


"আমি থাকতে আমার মাস্টারকে কেউ হত্যা করতে পারবে না।"


বেশ অনেকটা ব্লাড জ্যাকের শরীর থেকে বের হলো যেটার জন্য জ্যাক তার সেন্স হারিয়ে ফেললো। জ্যাক মাটির উপরে পরে গেলো এবং অন্যদিকে তার শরীর থেকে বের হওয়া ব্লাড ছোট একটা ড্যাগারের রূপ নিয়ে নিলো। ড্যাগারটা হাওয়ার মধ্যে উড়তে ছিলো। যেটা এক পলকের মধ্যে উড়ে গিয়ে সবার গলা কেটে আবার তার জায়গা মতো চলে আসলো। গ্যাং পার্টির লিডার এবং বাকি সদস্যরা কিছু বলতে যাচ্ছিলো তখনি তাদের গলা থেকে মাথাটা নেমে নিচে পরে যায়। তাদের পরে যাওয়া বডির মধ্য থেকে ব্লাড বের হতে শুরু হয়। যেগুলো একত্রিত হয়ে একটা ঘোড়ার আকার ধারন করে। ঘোড়াটা জ্যাকের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো হাওয়ার মধ্যেই।


"মাস্টার আমি থাকতে কেউ কখনো আপনাকে কিছুই করতে পারবে না। কারন আমি আপনাকে ভালোবাসি।"



* * *


To Be Continued 


* * *


কেমন হলো জানাবেন। 

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

5 comments

  1. Eta ki silo vai???☹️☹️
    Sob mather upor dia gelo...☹️
  2. what the fao kotha vai eta ki chilo asolei mathar upore gese but oshadharon
  3. Bujtei parlam na kakhon suru karlam ar ses haye gelo
  4. oooooooooooo
  5. Amazing nice next 🥰🥰🥰💐
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.