আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৪৪

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৪৪

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.


গড অফ ওয়াটার পোসেইডন একবার ডিমিটারকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছিলো। ডিমিটারের একটা আবদার ছিলো যা হলো, "আমাকে এই বিশ্বের সব থেকে সুন্দর একটা প্রানী তৈরী করে দেখাও।" পোসেইডন যে তার জীবনের প্রথম ছ্যাকা খাওয়ার পরে জিউসকে কিছুই বলতে বা তাকে কিছুই করতে পারে নি। কিন্তু উপায় কি এক জায়গাতেই আছে নাকি। জিউস যেমন তার ভালোবাসাকে ছিনিয়ে নিয়েছিলো, ঠিক পোসেইডনও এক এক করে জিউসের ভালোবাসার মেয়েদেরকে এক রাতের জন্য আপন করে নিচ্ছিলো। তার সকল টার্গেটের মধ্যে সবচেয়ে কষ্টকর ছিলো ডিমিটার। যার পিছনে অনেক কাঠ কয়লা পোড়ানোর পরও কাছে আনতে পারে নি। কিন্তু এটা পোসেইডনের একমাত্র সুযোগ ছিলো। পোসেইডন তার সব ক্ষমতার অর্ধেককে ত্যাগ করে এবং তার জীবনের মূল উৎস পানির মধ্য থেকে সবচেয়ে সুন্দর একটা প্রানী তৈরী করে। যেটা ছিলো একটা ঘোড়া। না সঠিক ভাবে বর্ননা দিলে সেটা একটা ঘোড়া ছিলো না। বরং এই বিশাল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে প্রথম তৈরী ইউনিকর্ন ছিলো সেটা। পোসেইডন যার নাম রাখে স্ক্যালা। এটি এক্সব্লকের মধ্যে কিছুসংখ্যক অমর প্রানীর মধ্যে একটা যা সব সময় পোসেইডনের সুরক্ষা করে থাকে।



* * * * *


জ্যাক এবং জিতু দুজনেই তৃতীয় ফ্লোরের মধ্যে আছে। তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা আপাতোতো এটায়। যেহেতু তারা অন্য একটা পার্টির লিডার সহ তাদের মেম্বারদের হত্যা করেছে তাই তাদের বাকি মেম্বারদের সামনে পরলে আপাতোতো সমস্যা হতে পারে। 


-->>সিনিয়র আপনি ঠিক আছেন?(জিতু)


গ্যাং পার্টির লিডার সহ তাদের সদস্য হত্যা হয়েছে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা হয়ে যায়। তাদের হত্যাকৃত জায়গা থেকে জ্যাককে নিয়ে জিতু অনেকটা দূরে চলে এসেছে। যদিও প্যারালাইসিস দূর হওয়ার পর জিতু একদম ঠিক ছিলো কিন্তু জ্যাকের অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। সেই ঘটনার পরে জ্যাক সেন্স হারিয়ে ফেলে। আর মাত্র তার সেন্স ফিরে আসে। এতোক্ষন জিতু অনেক চিন্তিত ছিলো। সে জানে না একটু পূর্বে কি হয়েছিলো, কিন্তু একটা জিনিস সে ভালো করেই জানে। তার জীবনে সে এর পূর্বে এতো সুন্দর কোনো ঘোড়া দেখে নি। ঘোড়াটা একটা মানুষ না, ঘোড়াটা একটা মেয়েও না। কিন্তু তারপরও জিতু সেটার প্রতি একটা আলাদা টান অনুভব করছিলো, যা খুবই লজ্জাজনক ছিলো। ঘোড়াটার দিকে যতই তাকিয়ে ছিলো জিতুর মনে হচ্ছিলো সে নতুন করে আবার জন্ম নিয়েছে। সে কিভাবে সেই অনুভূতিকে বিশ্লেষন করবে তাই বুঝতে পারছে না। তাই আপাতোতো সেই বিষয় নিয়ে সে আর ভাবলো না। সে জ্যাকের সাথে কথা বলতে লাগলো,


-->>সিনিয়র আপনি ঠিক আছেন?(জিতু)


জ্যাক শুয়ে ছিলো। জিতু জ্যাককে একটা গুহার মধ্যে নিয়ে এসেছে। তৃতীয় ফ্লোরটা বিশাল বড় খোলা জায়গা। যার অনেকটা দূরে দূরে বিশাল বড় বড় একটা করে গাছ রয়েছে যেখানে মনস্টার থাকে। আর এই জায়গার মধ্যে ছোট একটা বন রয়েছে যার মধ্যে হিডেন বসের পুকুরটা ছিলো। এই বনের মধ্যেই ছোট এলটা গুহা ছিলো। যেখানে মানুষের আসা যাওয়া তেমন হয় না। জিতু আপাতোতো জ্যাককে নিয়ে এই জায়গাতেই এসেছে। ফ্লোরের উপরে ছোট একটা কাপড় ফেলে রেখে সেখানে জ্যাককে শুইয়ে রেখেছিলো। জ্যাক তার সেন্সে আসলো, জিতু কি বললো সেদিকে তার কোনো নজর ছিলো না। সে প্রথমে উঠে বসলো তারপর নিজের মাথায় হাত দিয়ে তা নারাতে লাগলো। ঠিক মাথায় ব্যথা হলে একজন যেমন করে জ্যাক সেটাই করছিলো।


-->>সিনিয়র আপনি ঠিক আছেন তো?(জিতু)


জিতু আবারো জিজ্ঞেস করলো। তার চিন্তা হচ্ছিলো। পূর্বের অবস্থায় জিতু কিছুই করতে পারে নি শুধু চুপ করে সব কিছু দেখা ছাড়া তার আর কিছু করার ছিলো না। আর সেই বিষয়টা তার মনের মধ্যে অনেক বড় একটা ছাপ ফেলেছে। আর এজন্য সে অনেক গিল্টি ফিল করছে। জ্যাক কোনো কথা বলছে না দেখে জিতু জ্যাকের কাধে হাত দিলো এবং আবারো বলতে লাগলো,


-->>সিনিয়র জ্যাক, আপনি ঠিক আছেন?(জিতু)


জ্যাকের মাথায় প্রচন্ড ব্যথা করছিলো। সে তার মাথা থেকে হাত নামিয়ে তার কাধে হাত দেওয়া ব্যক্তিটার দিকে তাকালো। তাকানোর পরে বলতে লাগলো,


-->>আপনি কে?(জ্যাক)


জিতু জ্যাকের প্রশ্নে হকচকিয়ে গেলো। সে এরকম কোনো প্রশ্নের আশা করে নি। তাই এখানে কি বলবে তা ভেবে পাচ্ছিলো না। 


-->>আমি কোথায়? আর এখানে আসলাম কিভাবে? আহহহহহহহহহ।(জ্যাক)


জ্যাক উঠার চেষ্টা করলো। কিন্তু তার মাথা এতোটা ধরলো যে তাকে মাথায় হাত দিয়ে বসে পরতে হলো। মাথায় এতো যন্ত্রনা করছে যে, তার মনে হচ্ছে কেউ হাতুড়ি দিয়ে পিটাচ্ছে। 


-->>সিনিয়র আপনি শান্ত হন।(জিতু)


-->>না আমার এখানে থাকার তো কোনো কথা নয়। আমি তো হাসপাতালে ছিলাম। এখানে, একটা অন্ধকার মাটির ঘরের মধ্যে কিভাবে আসবো।(জ্যাক)


জ্যাক আবারো উঠার চেষ্টা করতে লাগলো। জিতু এখানে কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না। সে জ্যাককে ধরলো। এবং আবারো বলতে লাগলো,


-->>সিনিয়র জ্যাক, আপনি শান্ত হন। একটু পূর্বে আমাদের উপরে গ্যাং পার্টি আক্রমন করেছিলো। তাদের লিডার আপনাকে গুরুতর ভাবে আহত করেছিলো। আমি পোশন দিয়ে আপনার ক্ষত ঠিক করলেও হয়তো আপনি হয়তো ছোট একটা শক খেয়েছেন। যার কারনে আপাতোতো কিছু মনে করতে পারছেন না। একটু শান্ত হয়ে ভাবতে থাকুন সব কিছু মনে পরবে।(জিতু)


জিতু কোনো নিশ্বাস না ফেলে একটানে কথাটা জ্যাককে বললো। জ্যাক কথাটার কিছুই বুঝতে পারলো না। তাই সে জিজ্ঞাসা করলো,


-->>আপনি বলতেছেন আমি গুরুতর আহত হয়েছিলাম? হ্যাঁ আমার যতদূর মনে আমাকে দুই দিন পূর্বে টয়লেটের সামনে কয়েকজন ছেলে মিলে পিটিয়েছিলো।(জ্যাক)


জিতু তার নিজ কপালে নিজেই ঠাপ্পর দিলো। সে পূর্বে স্মৃতি হারানোর কথা শুধু শুনেই গিয়েছে। কিন্তু এই পর্যন্ত তেমন কোনো কিছু দেখে নি। আজ প্রথম সে মেমোরি লস এর সম্মুখীন হচ্ছে। সেটাও আবার তার সিনিয়র যাকে সে ফলো করে যাচ্ছে আজ কয়েকমাস হলো। কিন্তু আজ প্রথম সে বিরক্ত হচ্ছে জ্যাকের ব্যবহারে। কিন্তু এখন সে বিরক্ত বোধ হলে হবে না। কারন জ্যাককে একা ছেড়ে দিলেই সে কি করে বসবে তার কোনো ধারনা নেই। তাইতো জিতু বোঝানোর চেষ্টা করছিলো তাকে।


-->>শেষ আমার যা মনে আছে আমি সুইসাইড করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শেষে জানালার বাইরে থেকে একজন উড়ন্ত ব্যক্তি আমার কাছে আসে। তারপর আমি এখানে। নিশ্চয় সেই কালো ভূতটা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।(জ্যাক)


"সিনিয়র কি কোনো ভূতের স্বপ্ন দেখেছিলো? মনে হচ্ছে স্মৃতি হারিয়ে সিনিয়র স্বপ্নকে সত্য মনে করছে।" (জিতু ভাবছে)



* * * * *


(টাওয়ারের মধ্যে)


এরিয়েল তার প্লান নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। যেখানে তার সামনে হৃদয় টিটান এবং প্রিন্স নিয়াক বসে ছিলো। তখনি হঠাৎ এরিয়েলের স্কিল একটিভ হলো। 


"রাইটার্স ভিউ"


এরিয়েলের চোখের সামনে হঠাৎ ভিশন আসতে শুরু করলো। জ্যাকের সাথে জিতু ছিলো এবং সেই জিতু যা দেখছিলো এরিয়েল তাই দেখতে শুরু করলো। জ্যাকের স্মৃতি হারানোর যে অবস্থাটা ছিলো এরিয়েল সেটা দেখতে পেলো। যা দেখা মাত্র সে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।


-->>আমাকে যেতে হবে।(এরিয়েল)


-->>কোথায় যাচ্ছো?(নিয়াক)


-->>জরুরী কাজে।(এরিয়েল)


-->>আমিও যাচ্ছি সাথে।(নিয়াক)


-->>হ্যাঁ তোমরা দুজনি যাও। আমি এখানে থেকে একটু রিলাক্স করি।(হৃদয়)


-->>তুমিও যাচ্ছো সাথে। কারন তোমাকে একা রেখে গেলো তুমি কোন মেয়ের পিছনে চলে যাবে তার কোনো ঠিক নাই।(নিয়াক)


-->>আচ্ছা আমার পিছনে আসো তোমরা।(এরিয়েল)


এরিয়েলের কাছে বিরক্ত লাগছিলো, তারপরও তার প্লান কাজে দেওয়ার জন্য দুজনকে তাকে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হবে। তাই তাদেরকে কোনো ভাবে শত্রু বানানো যাবে না। বিশেষ করে গল্পের নায়কের শত্রু বানানো যাবে না। এরিয়েল তার হাতের তালু উঁচু করলো যার উপরে একটা খালি বই চলে আসলো, যেটা একটা ম্যাজিকাল আইটেম। এরিয়েল সেই বইয়ের একটা পাতা ছিরলো এবং সেটা তার সামনে ফেলে দিলো, বইয়ের পাতা মাটিতে পরার সাথে সাথে সেটা থেকে কালো একটা গোল বলের তৈরী হলো। যার ভিতরে কি আছে সেটা দেখা যাচ্ছে না। এরিয়েল সেটার মধ্যে প্রবেশ করলো। যার পিছন পিছন হৃদয় এবং নিয়াকও প্রবেশ করলো। তিনজনেই বের হলো টেস্ট ড্যানজনের মধ্যে, যেখানে জ্যাক এবং জিতু নামের দুজন ব্যক্তি বসে ছিলো।



* * * * *


এথিনা যে আপাতোতো তার অ্যাভেটার এমিলির শরীরে আছে, সে চেষ্টা করছিলো যে নিজের পাওয়ার ব্যবহার করবে না। কিন্তু তার কিছু করার ছিলো না। তার একটা লক্ষ এখানে আসার সেটা হলো পোসেইডনের সকল সিক্রেট বের করা। আর সেটা পোসেইডনের কাছে না থাকলে কখনোই সম্ভব হবে না। তবে সে যে জায়গায় রয়েছে এখানের নিয়ম কানুন মেনে চললে পোসেইডনের কাছে যেতেই পারবে না। তাই তো সে সকল নিয়ম থেকে বঞ্চিত হয়েছে কিছু সময়ের জন্য এবং নিজের সামান্য ক্ষমতা ব্যবহার করে দুই ফ্লোর খুব দ্রুত ক্লিয়ার করে তৃতীয় ফ্লোরে প্রবেশ করেছে। এথিনা তৃতীয় ফ্লোরে মাত্র আজকে প্রবেশ করেছে। সে চাচ্ছিলো সরাসরি পোসেইডনের কাছে চলে যেতে কিন্তু মাঝখানে ছোট একটা ঝামেলা হওয়ার কারনে তাকে একটু সময় নিতে হলো। এমিলির কাজিন যে হোয়াইট পার্টির কো লিডার, সে সরাসরি তৃতীয় ফ্লোরে এসেছে এমিলির সাথে কথা বলার জন্য।


-->>তুমি পাগলামি করছো কেনো? জানো একা একটা ফ্লোরে থাকা কতটা বিপদজনক?(রোজা)


রোজাকে না জানিয়েই এথিনা দুটো ফ্লোর ক্লিয়ার করেছে। রোজা প্রথমে এটা বিশ্বাস করতে পারে নি। তার যে বোনটা এক সময়ে ছোট একটা পোকা দেখলেই ভয়ে পাগল হয়ে যেতো সে দুটো বস মনস্টারকে হত্যা করবে সেটা আসলেই আশা করা যায় না। কিন্তু টাওয়ার আসার পর থেকে এমিলির মতো অনেক মানুষকেই রোজা চেঞ্জ হতে দেখেছে তাই ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে। কিন্তু সে এটা বাদ দিতে পারছে না যে একা মনস্টারদের সাথে ফাইট করা অসম্ভব। 


-->>আমি জানি তুমি অ্যাভেটার হয়েছো কোনো গড বা গডেস এর। তাই তোমার মাঝে এরকম চেঞ্জ হঠাৎ। কিন্তু এমিলি সব কিছুর পূর্বে তুমি আমার বোন। তোমার সুরক্ষা নিয়ে প্রথমে আমারই চিন্তা হবে।(রোজা)


-->>তোমাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আমি আর পূর্বের এমিলি না। আমি এখন অনেকটা শক্তিশালী। আর তাছাড়া আমার গডেস অনেক শক্তিশালী হওয়ার কারনে এই সাধারন মনস্টার গুলো আমাকে কিছুই করতে পারবে না।(এথিনা এমিলি হয়েই কথাটা বললো)


-->>এমিলি দেখো, আমরা যারা অ্যাভেটার হয়েছি তারা গড বা গডেস থেকে ক্ষমতা লাভ করলেও সেটার কিছু রিক্স রয়েছে। তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেনো তারা কখনো আমাদের লিমিটের বাইরে ক্ষমতা দিবে না ব্যবহার করতে। আর এই ড্যানজনের মনস্টার গুলো আমাদের লিমিটের বাইরে।(রোজা)


-->>কিন্তু আপু, আমার গডেস এর আদেশ এটা। আমাকে এই ফ্লোরের একজনকে খুঁজে বের করতে হবে।(এমিলি)


রোজা এমিলিকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলো। রোজা নিজেও শক্তিশালী একটা গডেস এর অ্যাভেটার। যদিও গড এবং গডেস দের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলা যায় না কিন্তু এই টাওয়ারের সাথে যেসব গড বা গডেসদের সম্পর্ক রয়েছে তাদের মধ্যে শক্তিশালী একটা গডেসের অ্যাভেটার রোজা। যার নাম শুনলেই এখানের বাকি অ্যাভেটারের গডরা ভয় পেয়ে যায়। রোজা শক্তিশালী একটা গডেস এর অ্যাভেটার হওয়া সত্ত্বেও এই ড্যানজন এখনো ক্লিয়ার করতে পারে নি। যার কারন শুধু তার লিমিটের জন্য নয়। সে এই ড্যানজনে থাকা সময়ে একটা জিনিস জানতে পেরেছে যা হলো, গড বা গডেস কখনো এই টাওয়ারের প্লেয়ারদের জীবন নিয়ে ভাবে না। গডরা তাদের ফ্রি সময়কে কাটানোর জন্য এই টাওয়ারের সাথে সম্পর্ক তৈরী করেছে। যেখানে তার বিভিন্ন প্লেয়ারদের জীবন নিয়ে যুদ্ধ করাটা দেখে মজা নিয়ে থাকে। যে গডরা চাইলেই সকল মানুষদের বাঁচিয়ে নিতে পারে, তারা সেটা না করে মানুষদের আরো কষ্ট দিয়ে তিল তিল করে হত্যা করে। তাইতো রোজার কোনো গড বা গডেস এর উপরে বিশ্বাস হয় না। এমন নয় যে রোজা নিয়েই অন্য গডদের বিশ্বাস করে না। একজন গডের অ্যাভেটার হলে সেই গডের পছন্দ এবং অপছন্দ তাদের অ্যাভেটার গুলোর মধ্যেও দেখা যায়। আর রোজার গডেসই এমন একজন যে অন্য কোনো গডদের বিশ্বাস করে না। আর এজন্যই অন্যান্য গড বা গডেসরা তাকে ভয় পেয়ে থাকে। অবশ্য সেটা এই টাওয়ারে সিমীত। কারন এমিলির গডেস আরো উপরের কেউ। এমিলি হঠাৎ খেয়াল করলো তার বোন রোজা নিজের চিন্তার মধ্যে ছিলো না। যেহেতু এমিলির শরীরকে এথিনা কন্ট্রোল করছিলো, তাই সে সব কিছুই দেখতে পারছিলো। রোজা যখন কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না তখন তার শরীরকে তার গডেস প্রজেস করে। কারনটা এথিনা ভালো করেই বুঝতে পারলো। রোজার গডেস এথিনাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতে চাচ্ছিলো। যেহেতু সেই গডেস এথিনার পরিচয় সম্পর্কে এখনো কিছু জানে না তাই সে তাকে ভয় দেখানোর একটা ব্যর্থ চেষ্টা করলো।


-->>জেস্টার। অনেক দিন পর দেখা হলো আমাদের তাহলে।(এথিনা)


এথিনা এমিলির শরীরে থেকেই একটা চুটকি দিলো তার আঙ্গুল। আর সাথে সাথে তাদের চারপাশের স্পেস বদলে গেলো। তারা অন্য একটা স্পেসে চলে এসেছে। যেখানে দুজনেই দুজনেই গডেস ফর্মে ছিলো। গডেস এথিনা তার সাইনিং আর্মারে দাঁড়িয়ে ছিলো যার ডান হাতে তার বড় স্পেয়ার এবং বাম হাতে গরগনের মাথার শিল্ড। এথিনার সৌন্দর্য এতো ছিলো যে, যেকোনো মানুষ এক নজর সেদিকে দেখলেই পাগল হয়ে যাবে। আর সেখানে তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে জেস্টার। গডেস অফ ক্লাউন জেস্টার, যে একজন তার ক্লাউন কস্টিউমে এথিনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার উদ্দেশ্য ছিলো এমিলির গডেসকে একটু ভয় দেখানো যাতে করে তার অ্যাভেটার রোজা চিন্তা একটু কম করে তাকে নিয়ে। কিন্তু জেস্টার এমিলির গডেসকে সেটা দেখার পর কোনো কথায় বলতে পারছে না। তার সামনে অলিম্পাসের গডেস অফ ওয়ার দাঁড়িয়ে ছিলো যে কিছু গড এবং গডেসদের মধ্যে একজন যার হাতে সবচেয়ে বেশী রক্তের বন্যা বয়েছে। জেস্টার কি বলবে এখানে সে বুঝতে পারছে না।


-->>হাই।(জেস্টার)



* * * 


To Be Continued 


* * *



কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

1 comment

  1. Valo laglo na onek coto part😭
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.