আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৪৬

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৪৬

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী

.

.

.

অলিম্পাসের গডরা মিলে শক্তিশালী একটা কার্স পোসেইডনের উপরে প্রয়োগ করে, যার ফলে পোসেইডন একজন গড থেকে হাজারো হাজারো বার মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহন করতে থাকে। শুধু যে এটুকুই তার শাস্তি ছিলো এমন নয়? একজন গডের কাছে সবচেয়ে শাস্তির ব্যাপার তার পাওয়ার হারানো ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। সেখানে পোসেইডন তার পাওয়ার হারিয়ে ফেলার পরেও যন্ত্রনা থেকে মুক্ত পায় নি। কার্স বা অভিশাপের ফলে তার জীবনটা মোটেও তার ইচ্ছামতো চলবে না। খারাপ ভাগ্য, কষ্ট-বেদনা এবং সবশেষে মৃত্যু এটাই পোসেইডনের কপালে লেখা হয়েছিলো। কার্সটা এতো শক্তিশালী ছিলো যা পোসেইডন তার গডলি পাওয়ার ছাড়া ভাঙতে পারে নি বা কখনো চেষ্টাও করে নি। কারন তার পাওয়ারের সাথে সে তার পূর্বের পরিচয় সব ভুলে গিয়েছিলো।


পোসেইডন প্রত্যেকবার জন্ম গ্রহন করেছে নতুন নতুন মানুষের মাঝে। যারা পোসেইডনের সউলকে বহন করেছে তাদেরকে পোসেইডনের ইনকার্নেট বলা হয়ে থাকে। পূর্ব স্মৃতি তাদের মাঝে না থাকার কারনে তারা যে পোসেইডন ছিলো এটা তারা নিজেই জানতো না। আর এটাই কারন আজ পর্যন্ত কোনো ইনকার্নেটই তাদেরকে পোসেইডন বলে দাবী করে নি। তবে সব ইনকার্নেট এক রকম হয় না। সাধারণত কার্স অনুযায়ী পোসেইডন একটা মানুষ হয়ে জন্ম নিবে এবং যন্ত্রনা দায়ক মৃত্যুর পরে আবারো সে জন্ম নিবে। মানে সে মারা না যাওয়া পর্যন্ত নতুন করে জন্ম নিতে পারবে না। তবে একদিনের এক আশ্চর্যকর ঘটনার পরে পোসেইডনের সউল গুলো আলাদা হয়ে যায়। যেটা একটা না বরং পাঁচটা টুকরোতে পরিণত হয়। আর এই পাঁচটা টুকরো থেকে জন্ম হয় পাঁচজন একই ব্যক্তির। শুধু পার্থক্য তাদের পাঁচজনের ওয়ার্ল্ড একে অপরের থেকে ভিন্ন। পোসেইডনের সউলের মতো তার কার্সও পাঁচ ভাগে ভাগ হয়ে যায়। পূর্বে যে কার্স অনেক শক্তিশালী ছিলো সেটা ভাগ হয়ে যাওয়ার পর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। এখন আসা যাক পাঁচ জনের দিকে


হৃদয় টিটান, যে কিছুদিন পূর্বেও নিজেকে গড অফ ওয়াটার মনে করতো, সে এটা কেনো মনে করতো? কার তার মধ্যে পোসেইডনের সউল রয়েছিলো। এক কথায় বলতে গেলে সে নিজেই পোসেইডন ছিলো। পোসেইডনের ইনকার্নেট হিসাবে তার জীবনও বাকিদের মতোই গিয়েছে। খারাপ ভাগ্য এবং অনেক দুঃখ কষ্টের মাঝে। তবে সে তার বউদের সাপোর্টে সকল দুঃখ কষ্টকে দূর করতে পেরেছে। তাছাড়াও বাকি ইনকার্নেট থেকে সে একটু স্পেশাল ছিলো। কারন তার কাছে পোসেইডনের এক অংশ ক্ষমতাও ছিলো, যার সাহায্যে সে পানিকে নিজের ইচ্ছা মতো কন্ট্রোল করতে পারতো।


প্রন্স নিয়াক, যে তার ওয়ার্ল্ডের একজন প্রিন্স ছিলো। কিন্তু পোসেইডনের ইনকার্নেট হওয়ার ফলে কার্স তাকেও ছাড়ে নি। জন্মের পর থেকেই থাকে অনেক দুঃখ কষ্টের মাঝে থাকতে হয়েছে। এক সময় তো সে তার নিজের অস্তিত্বই হারিয়ে ফেলেছে।


হৃদয় বাপ্পী, পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এই লোকটার কার্সের ইফেক্টটা একটু বেশী ছিলো। সে তার জীবনে হয়তো একটু হাসারও সুযোগ পায় নি। ভয়ঙ্কর একটা চেহারা এবং অন্যদের র‍্যাগিং এই সব মিলে সে সুইসাইড করতে চাচ্ছিলো


আকাশ চৌধুরী, যে তার ওয়ার্ল্ডে এক সময়ে সবচেয়ে খুশি ব্যক্তি থাকলেও কার্সের ফলে তার জীবনটা হঠাৎ করেই অনেক কষ্টময় হয়ে উঠে এবং শেষ পর্যন্ত সে মারা যায়। 


জ্যাকসন, যে তার ওয়ার্ল্ডে পোসেইডনের কার্স সহ পোসেইডনের সউল থেকে মুক্ত হলেও তাকে পোসেইডনের অংশই বলা হয়ে থাকে। তার প্রথম জীবনে সে অনেক কষ্ট-যন্ত্রনার সম্মুখীন হয়েছে যার ফল স্বরূপ সে একবার মারাও যায়। 


এখানের উল্লেখিত পাঁচজন একই ব্যক্তি। তাদের ডি.এন.এ সম্পূর্ণ মিলবে একে অপরের সাথে। এরকম প্রতিটা পৃথিবীতেই এক এক করে প্রতি ব্যক্তির একটা মাত্র কপি থাকে, আর হৃদয়ের মোট পাঁচটা কপি রয়েছে যাদের মাঝে পোসেইডনের সউল ভাগ হয়েছে। পোসেইডনের ব্যাপারটা অন্য কারো জন্য জটিল হলেও তাকে বোঝাটা একদম পানির মতো সহজ। পাঁচটা ব্যক্তির মধ্যে সউল থাকার ফলে পোসেইডন সবার জীবনেই ছিলো। তাই তাকে পাঁচজন ব্যক্তিই বলা চলে। আকাশ চৌধুরী মারা গেলেও তার সউলের একটা অংশ তার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ছিলো যেটা জ্যাক স্মৃতি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো এতোদিন। আবার জ্যাক যার প্রথম মৃত্যুতে পোসেইডনের সউল তার থেকে মারা গেলেও যখন আকাশের শরীরে সে অবস্থান করেছে তখন আকাশের সেই আংশিক পোসেইডনের সউলটা জ্যাকের সাথে মার্জ হয়ে যায়। যার ফলে জ্যাকের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া পোসেইডনের সেই সউল আবার ফিরে আসে। আর এর ফলেই তাদের সবার মার্জ সম্পূর্ণ হয়েছে। 


সব সম্পূর্ণ হলেও পোসেইডন তার সম্পূর্ণ পাওয়ার ফিরে পায় নি। তার সউলকে সে সম্পূর্ন ভাবে ফিরে পেলেও পোসেইডনের প্রধান শরীর সে অনেক পূর্বেই হারিয়ে ফেলেছে। একটা গডের শরীর অনেক শক্তিশালী থাকে তাদের পাওয়ারকে স্টোর করার জন্য। কিন্তু সেই পাওয়ার যদি একটা মানুষের শরীরে থাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করাটা জীবনের জন্য মারাত্মক হয়ে যায়। যেহেতু পোসেইডনের শরীর এখন তার এক ইনকার্নেট আকাশ চৌধুরীর তাই সে নিজের পাওয়ার সেই অংশে ব্যবহার করতে পারবে না। আর যতদিন না তার শরীর শক্তিশালী হচ্ছে তাকে তার পরিচয় লুকাতে হবে। আর পরিচয় লুকানোটা কোনো ব্যাপারই না। যেহেতু তার সকল ইনকার্নেটের থেকে সে একটা ইনকার্নেটের জীবনকেই সবচেয়ে বেশী প্রাধন্য দিয়েছে তার পরিচয়েই সে আগাতে চাচ্ছে। আর এমনিতেও তার সামনে এখন এথিনা দাঁড়িয়ে আছে। আর যেহেতু তার সামনে সে পূর্বে জ্যাক পরিচয় দিয়েছিলো তাই তাকে এই পরিচয়টাই বহন করে নিতে হবে।


"আর এমনিতেও জ্যাক সবচেয়ে ফ্যাসনময় নাম।" (জ্যাক ভাবছে)


এথিনা তার ফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলো। মুখে একদম রাগের ছাপ ছিলো। একটু হলেই সে জ্যাকের সাথে ফাইট শুরু করে দিবে। একটা ভয়ানক ফাইট হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলো কিন্তু এথিনা তার রাগকে কন্ট্রোল করে নিলো এবং তার পূর্ব সেন্সে ফিরে আসলো।


"না না আমি রাগ করছি কেনো। আমি জ্বলছি না। আমি ওকে আর ভালোবাসি না।" (এথিনা ভাবছে)


এথিনা তার অ্যাভেটারের ফর্মে ফিরে আসলো। যেহেতু সে পোসেইডনকে আর ভালোবাসে না তাই তার জন্য কোনো অনুভূতি তার তৈরী করা ঠিক না। কিন্তু যতই সে মুখ দিয়ে বলে যে সে তাকে ভালোবাসে না, তবে মনে মনে সে এখনো তাকে চেয়ে যাচ্ছে। আর ভালোবাসার ব্যক্তিটার হাতে অন্য কোনো কাউকে দেখতে পাওয়াটার থেকে কষ্টের বিষয় আর হতে পারে না। জ্যাকের কাজ হয়ে গেলে সে এরিয়েলকে নামিয়ে দিলো। গুহার যে জায়গার মধ্যে সে পূর্বে শুয়ে ছিলো সেখানেই শুইয়ে দিলো এরিয়েলকে। এবার এথিনার দিকে সে ফিরলো।


-->>লং টাইম নো সি এমিলি।(জ্যাক)


জ্যাক তার খোলা মাস্কটা আবার পরে নিলো। যেটা পরে সে এমন ভাব নিলো যে তার সাথে কোনো পার্থক্য হয় নি। যদিও সে এখনো জ্যাকই আছে কিন্তু সে যে তার গডলি মেমোরি পুরোপুরি ভাবে ফিরে পেয়েছে এটা এথিনার থেকে গোপন রাখতে চাচ্ছে। আর এথিনাও তার নাটকে কনফিউজড হয়ে আছে। সে এখানে দ্রুত এসেছে কারন সে পোসেইডনের এনার্জি অনুভব করতে পেরেছিলো। যেহেতু পোসেইডনের এনার্জি অনুভব করেছে তাই নিশ্চয় পোসেইডন আবারো জেগে উঠেছে, আর এজন্যই এথিনা খুব দ্রুত এখানে এসেছে।


"যদিও পোসেইডনের কখনোই তার স্মৃতি ফিরে পাওয়ার কথা না কার্সের ফলে। তারপরও সে কোনো এক ভাবে বার বার তার নিজ পাওয়ার ব্যবহার করতে পারছে এবং সেই সাথে সে একবার তো তার নিজ ফর্মেও আসতে পেরেছিলো। আমার মনে হয় কার্সটা তার ইফেক্ট হারিয়ে ফেলছিলো খুব দ্রুত। এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো অলিম্পাস থেকে কেউ এই ব্যাপারে কিছু করলো না কেনো?" (এথিনা ভাবছে)


এথিনার জ্যাকের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে নিজ চিন্তায় ব্যস্ত ছিলো। সে জানে তার সামনের ব্যক্তিটা মূলত পোসেইডন নয়। বরং তারই ইনকার্নেট যার মধ্যে পোসেইডন এর কোনো স্মৃতি নেই। তবে মাঝে মাঝে পোসেইডন সব কিছু মনে করতে পারে। মূলত কার্সের ফলে সেটা কখনো সম্ভব হওয়ার কথা ছিলো না। যদি পোসেইডন কখনো সে কে এটাই মনে করতে না পারে তাহলে তার পাওয়ার গুলোও কখনো ব্যবহার করতে পারবে না। এটাই কার্সের একটা ইফেক্ট ছিলো। কিন্তু পূর্বের দিন তার সশরীরে কথা বলার পর এথিনা এটা বুঝতে পেরেছে যে তার উপরে থাকা কার্স দুর্বল হয়ে গিয়েছে। যার ফলে পোসেইডন মাঝে মাঝে তার ইনকার্নেটের মধ্যে নিজের স্মৃতি ফিরে পায়। এই বিষয়টা পূর্বে এথিনার একারই দেখার কথা না। সে মনে করছে অলিম্পাসের অন্যান্য গডদেরও জানার কথা। কিন্তু তারা কোনো কিছু করছে না কেনো এই বিষয়ে এথিনা কিছুই বুঝতে পারছে না।


-->>কিছু বলার না থাকলে এই মেয়েটার খেয়াল রাখতে পারো একটু। আমি চলে যাচ্ছি, আমাকে এই ড্যানজন ক্লিয়ার করতে হবে।(জ্যাক)


জ্যাক কোনো কথা না বারিয়ে সোজা সেখান থেকে সাধারন ভাব করে চলে যেতে লাগলো। এথিনা পোসেইডনকে অনেক ভালো করেই চিনে। তাই তার কথা বলার স্টাইল এবং চালচলন সাথে সাথেই ধরে নিতে পারতো। তবে পোসেইডন এখানে অনেক চালাক ব্যক্তি। সে হাজারো জীবন কাটিয়েছে বিভিন্ন ইনকার্নেটের মধ্যে। যার ফলে একজনের স্টাইলেই থাকা তার জন্য কঠিন কোনো বিষয় না। সে পুরোপুরি জ্যাকের আচরন এবং মানসিকতাকে লাগাচ্ছে। যদিও তার কাছে অন্যান্য জীবন কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে তাদের মধ্য থেকে এটায় সবথেকে বেস্ট এবং ভালো লাগে জ্যাকের। এথিনা জ্যাকের কথা শুনে বুঝতে পারলো পোসেইডন একটু পূর্বেই তার স্মৃতি ফিরে পেয়েছিলো এবং এখানে কিছু একটা করেছিলো বা করার চেষ্টা করেছিলো। এথিনা একজন ওয়ার গডেস হওয়ার কারনে এইসব ম্যাজিকের প্রতি তার কোনো ধারনা নেই। তাই এখানে সে কি করেছে সেটা এথিনা বুঝতে পারছে না। আর যেহেতু জ্যাকের উপরে কার্স এখন কাজ করছে বলে সে সব ভুলে গিয়েছে তাই এথিনা মনে করছে তার কাছে থেকে আপাতোতো কোনো উত্তর সে পাবে না। তাই জ্যাককে আটকালো না সে। তাছাড়াও এখানে একটা মেয়ে রয়েছে যাকে একা রেখে সে পারে না। 


-->>বলা যায় না লুচুটা আবার কখন ফিরে আসে।(এথিনা)


এথিনা এরিয়েলের কাছে এসে বসে রইলো। সে এরিয়েলের সেন্সে ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। যেহেতু জ্যাক গুহা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে তাই এথিনা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটা সাহায্যের প্রয়োজন অনুভব করলো। এথিনা তার পেঁচাকে আদেশ করলো,


-->>ইয়োলো, এপোলোকে ডেকে আনো আমার জন্য।(এথিনা)


এথিনার আদেশের সাথে সাথে তার মাথার চুলের ক্লিপে ট্রান্সফর্ম হয়ে থাকা তার পেঁচাটা তার আসল ফর্মে চলে আসলো এবং সেখানেই একটা পোর্টাল তৈরী করে চলে গেলো তার মধ্যে। বেশী সময় লাগলো না, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই আরেকটা পোর্টাল তৈরী হলো সেখানে যার মধ্য থেকে পেঁচাটা বেরিয়ে আসলো। সেটা আবারো এথিনার চুলের উপরে ক্লিপ হয়ে বসে রইলো। পোর্টালের মধ্য থেকে শুধু ইয়োলো বের হলো না। তার সাথে হলুদ চুল যুক্ত একটা হ্যান্ডসাম ব্যক্তিও বের হলো। যে এথিনাকে দেখা মাত্রই একটা মৃদু হাসি দিলো।


-->>আমি আশা করি নি এখানে আমার আদেশ ছাড়া আসার পর আমার বোন আমার সাহায্যের জন্য বসে থাকবে।(এপোলো)


এথিনা যদিও চাই নি এপোলো কে ডাকতে। কিন্তু এখানে তার একটা জিনিস জানার অনেক প্রয়োজন ছিলো। সেটা শুধু তার নিজের জন্য না। অলিম্পাস যায় করুক না কেনো এথিনা সেখানের একজন গুরুত্বপূর্ণ গডেস। সেই অনুযায়ী অলিম্পাসের সুরক্ষার দায়িত্বও রয়েছে তার হাতে। আর পোসেইডন যেহেতু একবার সেটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে তাই সে একজন বিশ্বাসঘাতক ছাড়া আর কিছু নয়। যদিও তাকে সবচেয়ে কষ্টময় শাস্তি দেওয়া হয়েছে তারপরও সে আবারো তার স্মৃতি ফিরে পাচ্ছে। আর হাজারো বছরের কষ্ট আর বেদনা এতো সহজে কাটবে বলে মনে হয় না এথিনার কাছে। তাই তো এথিনার পূর্বেই জানতে চাচ্ছে এখানে পোসেইডন আসলেই কি করেছে। আর সেটা জানার জন্য এপোলোই সবচেয়ে পারফেক্ট ব্যক্তি।


-->>দেখো আমি এখানে এসেছি কেনো সেটা তুমি জানো। আর আমার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি যাবো না এটাও তুমি জানো। তাই আমার কাজটা যাতে তারাতাড়ি শেষ হয় এজন্য সাহায্য করো আমাকে।(এথিনা)


-->>তুমি নিশ্চয় জানো অলিম্পাসের অবস্থা এখন কিরকম। এজগার্ডের সাথে যুদ্ধ হচ্ছে এবং এই সময়ে তোমাকে আমাদের কাছে থাকাটা অনেক প্রয়োজন।(এপোলো)


-->>এপোলো, আমি আমার ছুটিতে আছি এটা তো আরেকবার মনে করাতে হবে না। আর তাছাড়াও এখনো বাবা আমাকে কোনো আদেশ দেই নি। সে যদি আদেশ করে তাহলে আমি ফিরে যাবো আবারো যুদ্ধের ময়দানে।(এথিনা)


-->>হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি তুমি তোমার কাজটা শেষ না করে এখান থেকে ফিরবে না। আচ্ছা কি সাহায্য করতে হবে আমাকে?(এপোলো)


এথিনা এপোলোকে বুঝিয়ে বললে, বিশেষ করে পোসেইডনের ব্যাপারটা।


-->>এথিনা আমি তোমাকে পূর্বেও বলেছি আঙ্কেল এখন আর আমাদের মাঝে নেই। তার সউল অগণিত বছর পর্যন্ত রেইনকার্নেট হতেই থাকবে এবং সে মানুষ হয়ে দুঃখ কষ্ট ভোগ করবে। কিন্তু সব কিছু হওয়ার পরও সে জানবে না সে কেনো সব দুঃখ কষ্ট ভোগ করছে।(এপোলো)


-->>আমি তোমাকে এটা বলার জন্য এখানে ডাকি নি। তোমার বলা কথা আমিও জানি। তাইতো তোমার ম্যাজিক সেন্স ব্যবহার করো এবং দেখো এখানে কি হয়েছে?(এথিনা)


এথিনা তার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছিলো। তার শীঘ্রই জানার প্রয়োজন ছিলো পোসেইডন কি করেছে। যেহেতু এপোলো নিজেই পোসেইডনের চেঞ্জের কথা বিশ্বাস করছে না এর মানে পোসেইডন যে মাঝে মাঝে তার স্মৃতি ফিরে পাচ্ছে এবং মাঝে মাঝে তার পাওয়ার ব্যবহার করছে এটা সে বাদে অন্য কেউ জানে না। এথিনার কথা মতো এপোলো তার ম্যাজিক সেন্স ব্যবহার করলো। যার মাধ্যমে সে খুব সহজেই বুঝতে পারে একটা জায়গার মধ্যে কোন ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার হয়েছ এবং সেটা কি করতে পারে।


-->>এখানে কিছুই হয় নি।(এপোলো)


-->>তাহলে পোসেইডনের এনার্জি এখানে কিভাবে আসলো? আমাকে এক্সপ্লেইন করো তারাতাড়ি।(এথিনা)


এথিনা রেগে যাচ্ছিলো। তার রাগটা যে পোসেইডন কি করবে সেটা নিয়ে নাকি পোসেইডন হয়েই এরিয়েল নামক মেয়ের সাথে কিছু করেছে এই দুইয়ের মাঝে খেলা করছিলো। শুধু এথিনা বের করতে পারছিলো না কোনটার জন্য সে রেগে আছে।


-->>স্ক্যালা। আঙ্কেলের ইনকার্নেট বিপদে ছিলো, তাই স্ক্যালা তাকে সাহায্য করেছিলো।(এপোলো)


এপোলোর কথ শুনে এথিনা এবার কিছু লজিক খুজে পেলো। গুহার বাইরে অনেক জনের লাশ দেখতে পেয়েছিলো এথিনা। তাই সে সঠিক ধারনা করতে পারছে কেনো সে পোসেইডনের এনার্জি অনুভব করেছে। যেহেতু স্ক্যালাকে পোসেইডন তার পুরো পাওয়ারের অর্ধেক ত্যাগ করে তৈরী করেছিলো তাই সেটার এনার্জিই পোসেইডনের এনার্জি বলা যায়।


-->>কিন্তু স্ক্যালাকে না বন্ধী করে রাখা হয়েছে অলিম্পাসের ড্যানজনের মধ্যে? হঠাৎ মুক্ত হলো কিভাবে?(এথিনা)


-->>থর আমাদের ড্যানজনে আক্রমন করেছিলো, যার ফলে স্ক্যালা সহ আরো সবাই মুক্ত হয়ে যায়।(এপোলো)


এপোলোর কথা শুনে এথিনা ভাবতে শুরু করলো। সে বুঝতে পারলো যুদ্ধের অবস্থা বেশী ভালো না। কিন্তু যেহেতু এখনো তার বাবা কোনো আদেশ পাঠায় নি এখনো এথিনার জন্য তাই এথিনা ভাবছে সব কিছু তার বাবার কন্ট্রোলেই আছে। এথিনার আর কোনো কিছু বলার না থাকায় এপোলো তার কাছ থেকে বিদায় নিলো। এপোলো সশরীরে এখানে আসে নি। সে তার অ্যাভেটারের সাহায্যে এথিনার সাথে কথা বলে গেলো। তার অ্যাভেটার তার ওয়ার্ল্ডে চলে যাওয়ার পর এক্সব্লকের মধ্য থেকে এপোলো তার অ্যাভেটারের শরীরের প্রজেসন ছেড়ে দিলো।


-->>আমি আশা করি নি কেউ অলিম্পাসের ইটার্নাল কার্স ভাঙতে পারবে। আঙ্কেল তুমি সত্যি একজন জিনিয়াস ছাড়া আর কিছু না। তোমার মাস্টার প্লান খুব তারাতাড়ি বাস্তবে পরিণত হবে মনে হচ্ছে।(এপোলো)



* * * 


To Be Continued 


* * * 


কেমন হলো জানাবেন।


About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

1 comment

  1. Wow ajker porbota khub valo hoice....Dhonnobad vaiya erokom valo valo golpo amader upohar dewar jonno...😊
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.