আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

সুপ্রিম বিয়িং পর্বঃ ৪৭

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#

#সুপ্রিম_বিয়িং#

পর্ব:৪৭

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.

(অলিম্পাস)

অনেক অনেক বছর পূর্বে, অলিম্পাস তখন মোটেও স্বাভাবিক ছিলো না। জিউস সিংহাসনে বসে পূর্বে ভালো করেই রাজত্ব করছিলো। অলিম্পাসের জন্য একজন সেরা কিং ছিলো জিউস। তবে গাইয়ার কার্সের কারনে অলিম্পাসের সুখ শান্তি বেশী দিন টিকলো না। গাইয়া এ.কে.এ গডেস অফ আর্থ যার উপরেই সৃষ্টি সকল প্রাণ টিকে থাকে, সেই গডেস অলিম্পাসের গডদের উপরে অনেক শক্তিশালী কার্স দিয়েছে। যা আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারে নি। গাইয়ার কার্স অনুযায়ী অলিম্পাসের প্রতিটা কিং তাদের সন্তানকে হত্যা করবে নাহলে সন্তান গুলো তাদের পিতাকে হত্যা করবে। বিষয়টা হয়তো কেমন লাগবো সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু যে ব্যক্তিরা একটা গড লেভেলে পৌঁছেছে তাদের জন্য এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। গড টাইটেল যুক্ত ব্যক্তিরা অসীম শক্তির অধিকারী হওয়ার ফলে তারা অনেক অনেক বছর বাঁচার সুযোগ পায়। তাদের জীবনের বয়স বেশী হওয়ার কারনে বেশীর ভাগ গডেরই দেখা যায় একাধিক সন্তান হয়ে থাকে। তেমনি অলিম্পাসের কিং এবং রুলার জিউসের সন্তানের অভাব নেই। গাইয়ার কার্স অনুযায়ী সে তার পাপী বাবা ক্রোনোসকে হত্যা করেছিলো। এমন নয় যে তখন জিউসের সিংহাসনের লোভ ছিলো। তার বাবা এমন একটা ব্যক্তি ছিলো যে নিজের তার নিজের সন্তানদের জীবিত খেয়ে ফেলতো যাতে করে তার মতো শক্তিশালী কেউ না হতে পারে। জিউস, পোসেইডন, হেডিস এবং তাদের আরো ভাই এবং বোনেরা সবাইকেই ক্রোনোস জীবিত খেয়ে ফেলেছিলো। শুধু মাত্র মেটিসের সাহায্যের মাধ্যমেই জিউস, পোসেইডন হেডিস এবং তাদের কিছু বোনেরা বের হতে পেরেছিলো তাদের বাবা ক্রোনোসের পেটের মধ্য থেকে। জিউস তখন রাগে ছিলো। সে তার আর ভাই বোনকে তখন হারাতে চাই নি। তাইতো সে একটা সেনা সংগ্রহ করে এবং তার বাবা এবং অন্যান্য টাইটানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। যুদ্ধের শেষে জিউস ক্রেনোসকে হত্যা করে এবং তাকে খেয়ে ফেলে, যার মাধ্যমে জিউস তার বাকি ভাইদের থেকেও উচ্চ লেভেলে উঠে যায়। অলিম্পাসের গডদের মধ্যে একটা স্পেশাল এবিলিটি রয়েছে, যদি তারা তাদের অলিম্পাসের মধ্যকার কোনো গডকে জীবিত খেতে পারে, তাহলে তাদের পাওয়ার আরো বৃদ্ধি পাবে। আর জিউস ক্রোনোসকে খাওয়ার ফলে অলিম্পাসের সবচেয়ে শক্তিশালী গড এবং রুলার হয়ে উঠে সে। আর সকল টাইটান এবং অলিম্পাস বাসিদের উপরে রাজ করতে শুরু করে। 

প্রথমে জিউস তার বাবার মতো না হতে চাইলেও গাইয়া এর কার্স এতো শক্তিশালী ছিলো যে সেটাকে কোনো ভাবেই জিউস কাবু করতে পারে নি। নিজের অসীম শক্তি এবং সিংহাসনকে হারানোর ভয় সে নিজেও পেতে শুরু করেছিলো ঠিক যেভাবে ক্রোনোস পেয়েছে সে একই ভাবে। ক্রোনোসের মতোই সে সন্তান জন্ম নেওয়ার পূর্বেই তাদের স্ত্রীদের সহ জীবিত খেয়ে ফেলতো। যেহেতু জিউস একজন টাইটান ছিলো তাই তাদের স্ত্রীদের জীবিত খাওয়াটা তার কাছে অনেকটা চকলেট খাওয়ার মতোই ছিলো। জিউসের যেসব স্ত্রীদের বাচ্চা পেটে সহ জীবিত খাওয়ার কথা ছিলো তাদের মধ্যে একজন ছিলো লেটো। এপোলো এবং আর্টেমিসের মা হচ্ছে লেটো। 

গাইয়ার কার্স এমন ভাবে কাজ করে না যেখানে জিউসের সকল সন্তানই তাকে হত্যা করার চেষ্টা করবে। বরং তার যদি শত সন্তান থাকে তাহলে সেই কার্সের ফলে সেই শত সন্তানদের মধ্য থেকে একজনই জিউসকে হত্যা করবে এবং তার পাওয়ার জিউসের থেকে নিয়ে যাবে। এই কার্সে স্পষ্ট বলা হয়েছে সেই সন্তান একজন ছেলে হবে। তাই তো জিউস প্রথম দিকে তার সবচেয়ে শক্তিশালী ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার পূর্বেই সেই সন্তানদের হত্যা করে গিয়েছে। এবং শেষের দিকে সে এমন একটা স্ট্যাটের মধ্যে পরে গিয়েছিলো যেখানে সে ছেলেমেয়ে কাউকেই জন্ম হতে দেই নি। আর লেটোর অবস্থাও অন্যান্যদের মতোই হতো, যদি না পোসোইডন তাকে সাহায্য না করতো। জিউস এতোতা পাগল হয়ে গিয়েছিলো যে লেটোর পেটের সন্তান গুলো তেমন এনার্জি না দিলেও, যেহেতু লেটো জমজ বাচ্চা প্রসব করবে তাই তার পেট সাধারণ থেকে বড় হওয়ার ফলে জিউস তাকে সহ বাচ্চাদের খেয়ে ফেলতে চেয়েছিলো। যেহেতু গাইয়ার কার্সে উল্লেখ ছিলো যে তারা বাবারা সন্তানদের এবং সন্তানরা তাদের বাবা এবং সন্তাদের জীবিত খাবে, তাইতো ক্রোনোস এবং জিউসের ব্যবহার পুরো একই ছিলো। 

পোসেইডন জিউসের কাছে কখনো তার একটা ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে নি। যেখানে তার ভাই হেডিস এবং তার বোন হেরা তাদের ইচ্ছাকে জিউসের থেকে পূর্ণ করতে পেরেছে। তাই পোসেইডন তার অপূর্ণ ইচ্ছা দিয়ে লেটোর জীবন বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। যার ফলে জিউস লেটোর এবং তার পেটে থাকা সন্তানদের হত্যা থেকে বিরত থাকে। ঠিকমতো সময়ে জন্ম হয় এপোলো এবং তার জমজ বোন আর্টেমিসের। যারা অলিম্পাসের হিস্টোরির মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল হয়ে জন্ম গ্রহন করেছিলো। আর এজন্যই জিউস বুঝতে পারে তাদের সাথে গাইয়ার কার্সে উল্লেখিত ছেলের কোনো মিল নেই। কারন যে সন্তান জিউসের জীবন নিবে কার্স অনুযায়ী জন্ম থেকে সে জিউসের বাকি সন্তানদের থেকে বেশী শক্তিশালী হবে। তাইতো জিউস কোনো রকমের রিক্স নিতে চাই নি। 


×××

এপোলো উপরোক্ত বিষয় গুলো মনে করতে লাগলো। সে এমন একটা গড যে জন্মগত ভাবে কোনো পাওয়ার পাই নি তার অন্যান্য ভাই বোনদের মতো। নিজের মেধা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের পাওয়ার নিজে সংগ্রহ করেছে। এজন্য তাকে বলা হয় দ্যা গড অফ সান বা লাইট। যদিও তার অন্যান্য টাইটেল রয়েছে তারপরও এটাই সে বেশী পরিচিত। তাছাড়া গড অফ আর্চার, হিলিং, মেডিসিন, হান্টার, প্রফেসি ইত্যাদি টাইটেলও তার রয়েছে। যেসবে সে বেশী পরিচিত না। আচ্ছা তার টাইটেল সম্পর্কে বাদ দেওয়া যাক, আসল কথায় ফিরে আসি।

-->>আঙ্কেল আমার জায়গা নিয়েছেন। নাহলে আজ আমার প্রফেসি অনুযায়ী আঙ্কেলের জায়গায় আমি নিজেই থাকতাম।(এপোলো)

এপোলোকে গড অফ প্রফেসি বলা হয় এজন্য কারন সে কিছু ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। ভবিষ্যৎ যদিও পরিবর্তন যোগ্য তারপরও যেভাবে কাহিনীটা হওয়ার কথা ছিলো তাতে এপোলো নিজে অলিম্পাস থেকে ইটার্নাল কার্সের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে যেতো।

-->>তবে কিছু ইভেন্ট চেঞ্জ হওয়ার কারনে আমার জায়গা আমার আঙ্কেল নিয়ে নিয়েছে। হয়তো আমাকে সাহায্য করার জন্যই।(এপোলো)

পোসেইডনকে যদিও বাইরে থেকে অলস, এবং কোনো দায়িত্বহীন গড মনে হতো। কিন্তু ভিতর থেকে সে সবার জন্যই কেয়ার করতো। সে সব সময় টাইফুনের সেনার সাথে যুদ্ধের সময় তার সেনাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে আদেশ করতো এবং নিজে যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশ করতো। তার নিজ সেনারা তার মূল্যবোধ বুঝলেও অলিম্পাসের গডরা পোসেইডেন কে দায়িত্বহীন এবং কনফিডেন্সে ভরপুর গড মনে করতো যে সব সময় শুধু ভাব নিতেই পছন্দ করে। কিন্তু পোসেইডন কখনো এটা চাইতো না যে যুদ্ধের মধ্যে তার সেনারা মারা যাক। পোসেইডন একটা কথা এপোলোকে বলেছিলো।  এপোলো সেটাকে মনে করতে লাগলো,

"যুদ্ধের মধ্যে একটা কমান্ডার শত্রুকে হারিয়ে জয়ী হলেও সে পরাজিত হয়েছে। কারন সে তার একটা সেনা হলেও হারিয়েছে।" (এটাই পোসেইডনের বাণী ছিলো)

এপোলো হঠাৎ পোসেইডনকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবতে ছিলো। তখনি তার বোন আর্টেমিস আসলো তার কাছে,

-->>এপোলো আমাদের যেতে হবে এখন।(আর্টেমিস)

-->>হ্যাঁ যাচ্ছি।(এপোলো)


* * * * * 

(টাওয়ার অফ গ্রিড)

জ্যাক হাঁটছে, হেটেই যাচ্ছে। তার কাছে আজ তার নিজেকেই পূর্ণ অনুভব হচ্ছে। সে এতোদিন অনুভব করেছিলো একটা জিনিস তার মধ্য থেকে মিশিং ছিলো। আর আজ তার মনে হচ্ছে সেই মিশিং জিনিসটা সে ফিরে বা খুজে পেয়েছে। জ্যাকের কাছে নানান ব্যক্তির স্মৃতি রয়েছে, যা সাধারণ একটা মানুষকে এতো ক্ষনে পাগল করে দিতো। কিন্তু তার সউলটা একটা মানুষের নয় তাইতো সে খুব স্বাভাবিক আছে।

-->>আমি কোনো কিছু মনে করতে চাচ্ছি না। আপাতোতো সময়ে আমি হৃদয়, নিয়াক, পোসেইডন, বাপ্পী, আকাশ কেউই না। আমি জ্যাক এবং আমাকে এই টাওয়ারকে শেষ করতে হবে দ্রুত।(জ্যাক)

জ্যাক কথাটা শেষ করলো এবং চতুর্থ ফ্লোরে প্রবেশ করলো। এতোক্ষন সে তৃতীয় ফ্লোর থেকে চতুর্থ ফ্লোরের সিড়ি দিয়ে হেটেছে এবং বিভিন্ন রকমের কথা সে ভেবেছে। যার মধ্যে একটা বিষয় এরকম, একটা গড হওয়ার এবং ইটার্নাল কার্সের কারনে সে অনেক জীবন কাটিয়েছে। যেখানে সব সেই ছিলো, যারা মারা গিয়েছে তারা তো গিয়েছেই কিন্তু যারা জীবিত ছিলো এবং একত্র হয়েছে তারা তো মারা যায় নি। তাদের সবাই মিলেই এক ব্যক্তি তৈরী হয়েছে। যদিও পোসেইডন এটা নিয়ে একটা কিছু করতে পারতো, কিন্তু সেটা করলে সে তার গড এর পাওয়ার আবারো হারাবে এবং কার্সের ফলে বার বার রেইনকার্নেট হতে থাকবে। তবে সে যদি তার সম্পূর্ণ ক্ষমতা এবং ফর্ম ফিরে পায় তাহলে সে তার ইনকার্নেট গুলোকে আলাদা করতে পারবে এবং প্রত্যেককে অ্যাভেটার বানিয়ে তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ল্ডে পাঠিয়ে দিতে পারবে। আর সে ঠিক করেছে এটাই করবে, কিন্তু তার প্লান শেষ হওয়ার পরে।

জ্যাক তার চিন্তা ভাবনাকে এক সাইডে রাখলো, কারন চতুর্থ ফ্লোরটা বেশ ফ্রেন্ডলি না। যেহেতু এখানে সে অনেক কম্পিটেশন খুঁজে পাবে। জ্যাক বেশী সময় নষ্ট না করে চলে গেলো মনস্টার হান্ট করার জন্য। যদিও তার গডলি ক্ষমতা সে ব্যবহার করতে পারবে না, কিন্তু তার বাকি অংশ গুলো কম শক্তিশালী নয়। 

-->>আমি ভেবেছিলাম, অন্যরকম অনুভব করবো। কিন্তু আমার এই ইনকার্নেট এর ফলে এটা স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।(জ্যাক)

জ্যাকের পূর্বে পাঁচ সত্ত্বার সাথে থাকার অভিজ্ঞতা ছিলো। তাই তো এখন সব ইনকার্নেটদের সাথে থাকতে তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। জ্যাক হাঁটতে হাঁটতে মনস্টার ফিল্ডের মধ্যে চলে আসলো। মনস্টার ফিল্ড বলা হয় সেটাকে যেখানে মনস্টাররা থাকে এবং এখানেই ফিল্ড মনস্টার থাকে। চতুর্থ ফিল্ড বসকে খুজে পাওয়া সবচেয়ে সহজ। যেহেতু এখানেই সব প্লেয়ার বেশী জমা হয়। মনস্টার ফিল্ডের মধ্যে প্রায় তিন চারটার বেশী পার্টি একত্র হয়েছে। সবাই ফিল্ড বসকে হত্যা করার চেষ্টা করছিলো। চতুর্থ ফ্লোর থেকে ফিল্ড বস গুলো হত্যার জন্য বেশী সংখ্যক প্লেয়ারের প্রয়োজন হয়। তাই বেশ কয়েকটা পার্টি মিলে একত্র হয়ে মনস্টার হত্যার চেষ্টা করে। যারা ভাগ্যবান হবে তারাই শেষমেষ বসকে হত্যা করতে পারে। আর ভাগ্য খারাপ হলে সবাই মিলে মারা যায় কিংবা রেইড বাতিল করে দিয়ে পালিয়ে যায়।

-->>যা ভেবেছিলাম সেটায় হচ্ছে।(জ্যাক)

জ্যাক প্রথমেই ভেবেছিলো এখানে অনেক কম্পিটেশন হবে। আর সেটাই হচ্ছে। এতো প্লেয়ারের মধ্য দিয়ে একটা বস মনস্টারকে হত্যা করাটা আসলেই অনেক কষ্টকর একটা বিষয়।

-->>তবে আমি এখন পূর্ব জ্যাক নই।(জ্যাক)

জ্যাক আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলো। যেহেতু সে মাস্ক পরা ছিলো তাই তার পরিচয় পাবলিক হওয়ার কোনো ভয় নেই। আর পাবলিক হলেও সে সেটা নিয়ে চিন্তা করছে না। আপাতোতো তার নজর ফিল্ড মনস্টারের দিকে। যেটা র‍্যামপেজের মধ্যে রয়েছে।

-->>হিলার, হিলার, হিলার। হিল কর আমাকে, তারাতাড়ি। আমি মরে যাচ্ছি।

-->>ফায়ার বল। কেউ ফায়ার বল ব্যবহার করো।

-->>ট্যাংক আমাদের হিলার মারা যাচ্ছে তারাতাড়ি শিল্ড দাও আমাদের।

-->>সবাই কি করছে? ফরমেশন ভেঙে গিয়েছ আমাদের। এভাবে আমরা সবাই মারা যাবো।

-->>আমি মরতে চাই না। আম্মা, আব্বা আমাকে কেউ বাঁচাও

সকল পার্টির সদস্যরা এক এক করে বসের শিকার হচ্ছিলো। অনেকেই এই সময়ের মধ্যে পালিয়ে গিয়েছে আবার অনেকে চেষ্টা করছিলো। কিন্তু সাহসী প্লেয়াররা পালাচ্ছে না। বরং তারা রিস্ক নিতে চাচ্ছে। ফিল্ডের মধ্যে প্লেয়ারদের ফরমেশন পুরো নেই বললেই চলে। তাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা বসের ফেয়ার ইফেক্টের মধ্যে রয়েছে। যার কারনে ঠিক মতো কিছু করতে পারছে না। চতুর্থ ফ্লোরের ফিল্ড বস পোলার বিয়ার, যেটা একটা শক্তিশালী শিকারী নিজেই সে তার প্রতিটা চিৎকারে প্লেয়ারদের মধ্যে ফেয়ার ইফেক্ট প্রয়োগ করতে পারে। যে ইফেক্টে কোনো প্লেয়ারই কিছু সময়ের জন্য নরতে পারে না। আর বেয়ারটা প্রতি দুই মিনিট পর পরই একটা করে চিৎকার দিয়ে থাকে। যেটা পাঁচ মিনিটের মতো থাকে। ফেয়ার ইফেক্ট কাটতে পারে এরকম কোনো আইটেম না থাকলে এই পোলার বেয়ারকে হত্যা করা অসম্ভব বিষয়। 

তবে জ্যাককে সে বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে না। তার মধ্যে একটা ড্রাগন সিল রয়েছে, যেটা সাধারন সময়ে হয়তো সে বুঝতে পারতো না। তবে নিয়াকের স্মৃতিও তার সাথে মার্জ হওয়ার কারনে সে বিষয়টা জানতে পেরেছে। মনস্টার এবং বিস্টদের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাণী একটা ড্রাগন। যার সামনে একটা পোলার বেয়ারের ফেয়ার ইফেক্ট কিছুই না। বেয়ারের ইফেক্ট জ্যাকের উপরে কাজ করলো না। আর এই সুযোগে সে বেয়ারের অনেকটা কাছে চলে আসলো। প্রায় পনেরো ফুট সাইজের একটা পোলার বেয়ার যা তার হাতের এক আঘাতেই একটা গাছ উঠিয়ে ফেলতে পারে। তার সামনে প্লেয়ার গুলো উড়ে উড়ে যাচ্ছিলো। সকল হিলার এবং ড্যামেজ ডিলার গুলো প্রায় পালিয়ে গিয়েছে। শুধু ট্যাংক এবং কিছু সংখ্যক হিলার এবং ড্যামেজ ডিলার রয়েছে এখানে। তাদের জন্য এটাকে হারানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। যদিও তারা এই সময়ে শক্তিশালী কারো সাহায্য চাচ্ছে মনে মনে। কিন্তু জ্যাক জানে সে এটাকে হত্যা করলে তাদের থেকে ধন্যবাদ না পেয়ে বরং তাদেরকে নিজের শত্রু বানাতে চলেছে।

-->>ওয়েল আমি কম্পিটেশন করতে চাচ্ছি না। কিন্তু বাকি ফ্লোর গুলো তারাতাড়ি ক্লিয়ার করার জন্য আমাকে আমার নাম ছড়াতেই হবে।(জ্যাক)

জ্যাক বস মনস্টারের একদম সামনে চলে এসেছে। যেখানে অন্যান্য পার্টির ট্যাংকরা তাদের শক্তিশালী শিল্ড দিয়ে মনস্টারের এট্যাককে আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো। জ্যাক তার মাইন্ডে একটা ভয়েস শুনতে পেলো।

"আমার ক্ষমতার এক শতাংশ ব্যবহার করতে পারবে।"

জ্যাক বুঝতে পারলো ভয়েসটা কার। গোল্ডেন ড্রাগন তার পাওয়ার শেয়ার করতে চাচ্ছে জ্যাকের সাথে। যা এখন জ্যাকের প্রয়োজন ছিলো। তারপরও ড্রাগনের সাহায্য ছাড়াও জ্যাক এই মনস্টারকে হারাতে পারতো। কারন তার মধ্যে নিয়াকের সকল সুপার ন্যাচারাল ক্ষমতা গুলো যুক্ত হয়েছে। আর নিয়াকের স্মৃতির কারনে সব গুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা খুব ভালো করেই জানে। জ্যাক বস মনস্টারের সামনে চলে এসেছে কিন্তু তার রাস্তার সামনে কয়েকটা ট্যাংক গার্ড দেওয়ার কারনে সে সামনে যেতে পারছে না। তাই জ্যাক তার সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার ব্যবহার করলে।

"গোস্ট মুড"

জ্যাক গোস্ট মুডে চলে আসলো। যেটার মাধ্যমে নিয়াক যেকোনো কঠিন জিনিসের মধ্য দিয়ে পার হতে পারতে। জ্যাকের শরীরের উজ্জ্বলতা কমে গেলো। তাকে অনেকটা অদৃশ্য মনে হচ্ছিলো। সে আস্তে আস্তে হেঁটে গেলো ট্যাংক গুলোর মধ্যে দিয়ে। 

-->>এটা কি ছিলো?

-->>আমার মধ্যে দিয়ে কি কেউ প্রবেশ করেছে মাত্র?

-->>এটা ভূত মনে হচ্ছে।

ট্যাংক গুলো কথা বলতে লাগলো। তারা কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছে কারন তাদের পিছন থেকে শরীরের মধ্য দিয়েই জ্যাক বের হয়েছে সামনে। যা একটা ভয়ানক ব্যাপার ছিলো। জ্যাক তার গোস্ট মুডের পাওয়ার বন্ধ করলো এবং তার পরবর্তী সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার ব্যবহার করলো।

"সুপার হিউম্যান স্ট্রেন্থ"

জ্যাকের শরীরে হঠাৎ শক্তি সংগ্রহ হতে লাগলো। তার মনে হচ্ছিলো সে এখন সব কিছুই করতে হবে। তার কাছে নিজেকে অনেকটা সুপারম্যানের মতো মনে হচ্ছিলো।

-->>ওয়েট এ মিনিট, আমি হৃদয় বাপ্পীর মতো ভাবছি এখন। একটা কুল মুভের নাম মনে পরেছে আমার।(জ্যাক)

জ্যাক কথাটা বলেই দুই হাঁটুতে বসলো। পুরো শক্তি তার পায়ে ফোকাস করলো এবং একটা বড় লাফ দিলো সে। সুপার স্ট্রেন্থের কারনে সে লাফ দিলো অনেক উঁচুতে,

"আমার কেনো জানি হাল্কের মতো ফিল হচ্ছে।" (জ্যাক ভাবছে)

জ্যাক বস মনস্টার থেকেও প্রায় দশ ফুট উঁচুতে লাফ দিয়ে উঠেছে। যেখান থেকে নামার সময় সময় সে তার অন্য একটা সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার ব্যবহার করলো।

"সুপার সনিক পান্স"

জ্যাকের ঘুষি বেয়ার মনস্টারের মাথা বরাবর লাগলো। ড্রাগনের পাওয়ার ব্যবহার করার ফলে সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার ব্যবহার করতে পেরেছে জ্যাক, আর এক পার্সেন্টেজ হওয়ার কারনে সেটা বেয়ারটার জন্য অনেক মারাত্মক ছিলো। ঘুষিটার ফলে বেয়ার মনস্টার পুরো টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। 

-->>এটার একটা স্পেশাল নাম রাখা দরকার। এটার নাম আজ থেকে, সুপার সনিক সুপার ম্যান পান্স।(জ্যাক)

জ্যাক হাওয়া খাওয়ার জন্য তার মাস্কটা খুললো। মনস্টারকে হত্যা করার পর একটা ভিলেইনের মতো ল্যান্ড করেছে সে। আর পিছন ফিরে মাস্ক খোলার কারনে তার চেহারাটা সেরকম ভাবে কেউ দেখতে পারলো না। তবে একটা জিনিস তারা ঠিকই দেখতে পেরেছে, যা হলো তার ডান চোখ থেকে বের হওয়া আগুন। সবার মনেই তখন একটা কথা ভাসছিলো। তারা এতোক্ষন আসল কোনো মনস্টারের সাথে ফাইট করে নি, বরং আসল মনস্টার তাদের সামনে এখন দাঁড়িয়ে ছিলো।


* * * 

To Be Continued

* * * 

কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

2 comments

  1. its superb bro. thats was a another great part for this story...........................
  2. Supper
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.