[প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]
#ডিম্যান_কিং_সিরিজ#
#সুপ্রিম_বিয়িং#
পর্ব:৪০
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
(তৃতীয় ফ্লোর)
জ্যাক আর পূর্বের ভুল করছে না। যদিও তার কাছে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসার স্কিল রয়েছে, তারপরও সে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছে। জ্যাকের হাতের রিং এর মাঝে থাকা ডেড এনার্জির সাহায্যেই সে তার স্কিল ব্যবহার করতে পারে। এখানে জ্যাক সরাসরি সেই এনার্জি ব্যবহার করতে পারছে না বা পারবে না। তার সাথে আনুবিসের কথা হয়েছে, আর তার মাধ্যমে জ্যাক জানতে পেরেছে, ডেড এনার্জি ব্যবহারের জন্য একজনকে অবশ্যই মৃত্যুকে জয় করতে হবে। যদি কেউ মৃত্যুকে জয় করতে পারে তাহলেই তারা ডেড এনার্জি ব্যবহারের সুযোগ পাবে। জ্যাক প্রথমে আনুবিসের কথা বুঝে নাই। তার নিজের ধারনা অনুযায়ী এই পর্যন্ত শত বার সে মারা গিয়েছ। কিন্তু সে ডেড এনার্জি নিজ থেকে ব্যবহার করতে পারে না। আনুবিস তাকে এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছে। একজন সাধারণ মানুষ কখনো নিজ থেকে ডেড এনার্জি ব্যবহার করতে পারবে না। তাকে ডেড এনার্জি ব্যবহারের জন্য অবশ্যই কোনো আইটেমের ব্যবহার করতে হবে নাহলে আনডেড হতে হবে।
-->>তাহলে আমি এ পর্যন্ত একটা ম্যাজিকাল আইটেমের মাধ্যমে ডেড এনার্জি ব্যবহার করছিলাম?(জ্যাক)
ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন ধরনের এনার্জি রয়েছে। আমরা সেগুলোকে দেখতে পাই না। তবে সব এনার্জিই কম বেশী আমাদের আশেপাশ দিয়ে রয়েছে। আমরা কিছু সময়ে তাদের অনুভব করতে পারি। উদাহরন দিয়ে যদি বলা যায় তাহলে ঘন সবুজ বড় বড় গাছের কাছে গেলে আমাদের মনটা রিফ্রেস হয়ে যায়। এটা কেনো হয়? প্রতিটা জীবিত বস্তুর মধ্যে লাইফ এনার্জি থাকে। একটা প্রানী কতদিন বাঁচবে সেটা তার লাইফ এনার্জির উপরেই ডিপেন্ড করে। মানুষ অসুস্থ হবে কিনা সেটাও লাইফ এনার্জির উপরেই ডিপেন্ড করে। আর এই লাইফ এনার্জি কিছু জীবিত বস্তুর মধ্য থেকে গাছপালা ত্যাগ করার অধিকার রাখে। এজন্য আমরা যখন কোনো গাছের নিচে ঠান্ডা হাওয়া খেতে থাকি তখন সামান্য পরিমাণ লাইফ এনার্জির সংস্পর্শে আশার ফলে আমাদের ভালো লাগে এবং মন রিফ্রেস হয়ে যায়।
এরকম অনেক রকমের এনার্জি রয়েছে আমাদের আশে পাশ দিয়ে। শুধু আমরা সেগুলোকে দেখতে পারি না। ঠিক সেইভাবে একটা এনার্জি হলো চি এনার্জি। পৃথিবীর মাঝে হরেক রকমের এনার্জির মধ্য থেকে মানুষ শুধু একটাকেই আবিষ্কার এবং ব্যবহার করতে পেরেছিলো এবং শিখেছিলো। সেই এনার্জিটাই চি এনার্জি। মানুষের মাঝে এই এনার্জি আবিষ্কারের পর থেকেই মার্শাল আর্টের জন্ম হয়। মার্শাল আর্ট যেটাকে দেখলে সাধারণ মানুষের কাছে একটা কষ্টকর নাচ মনে হলেও এর মাঝে আরো অনেক কিছু আছে। সাধারণ ব্যক্তিরা মার্শাল আর্ট শিখে তাদের সেল্ফ ডিফেন্সের জন্য। তাই তারা এটার প্রতি সময় দিতে পারে না বা চাই না। কিন্তু যারা মন এবং প্রাণ থেকে মার্শাল আর্ট ভালোবাসে তারা এটাকে নিয়েই থাকে। আর সেই মানুষগুলোর মধ্যে জিতু একজন। জ্যাক নিজেও মার্শাল আর্ট সম্পর্কে এতো কিছু জানতো না। কিন্তু জিতুর সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে সে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে মার্শাল আর্ট সম্পর্কে। তবে সেটাও মাত্র আংশিক কিছু। জিতুর কোনো মাস্টার ছিলো না। সে এক ব্যক্তির দেখা দেখি চি এনার্জি ব্যবহার করতে শিখেছিলে, যাকে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট বলা হয়ে থাকে। তাই তার কাছ থেকে জ্যাকের তেমন কিছু শেখারই নাই। কিন্তু জ্যাক এমন একজনের সন্ধান পেয়েছে যে কিনা জ্যাককে সাহায্য করতে পারবে মার্শাল আর্টে। জ্যাকের কাছে আকাশের স্মৃতি থাকার কারনে সেটাকে সে ব্যবহার করলো। স্মৃতিতে ডোয়ার্ক মল্ট নামক কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে সে জানতে পারলো না। তাই সে জিতুকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো,
-->>তুমি কি ডোয়ার্ক মল্ট নামে কাউকে চিনো?(জ্যাক)
জিতু জ্যাকের হঠাৎ প্রশ্নে অবাক হয়ে গেলো। দুজনেই রেস্ট নিচ্ছিলো। তৃতীয় ফ্লোরে এসেও সাত দিনের মতো সময় ধরে তারা মনস্টার হত্যা করেই যাচ্ছিলো। তাই তাদের একটা লম্বা রেস্ট দরকার ছিলো। জিতু সেই রেস্টই নিচ্ছিলো। কিন্তু তখনি জ্যাকের আচমক প্রশ্ন।
-->>ডোয়ার্ক মল্ট, দ্যা কিং অফ আন্ডারওয়ার্ল্ড। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্যাং এর লিডার ছিলো। যে বিশ বছর বয়সেই পুরো রাশিয়াকে নিজের দখলে করে নিয়েছিলো।(জিতু)
এরকম একটা তথ্য সে জানতে পারলো না কেনো আকাশের স্মৃতির মাধ্যমে সেটা বুঝতে পারলো। সাধারণত আন্ডারওয়ার্ল্ডের কেউ তাদের পরিচয় পাবলিক করতে চাই না। তারা তাদের মধ্যেই থাকে শুধু। যখন প্রয়োজন হয় তখনি শুধু তাদের চেহারা বাইরে নিয়ে আসে। এখানে আন্ডারওয়ার্ল্ড আলাদা কোনো ওয়ার্ল্ডকে বোঝানো হচ্ছে না। বরং পৃথিবীর ক্রাইম জগৎকে ব্যাখ্যা দিচ্ছে। জ্যাক বুঝতে পারলো এই ডোয়ার্ক মল্ট নামক ব্যক্তিটা অনেক শক্তিশালী হবে। যেহেতু তার সাথে দেখা করার সুযোগ রয়েছে জ্যাকের চিঠিটার মাধ্যমে তাই তার মনে এক ঝলক হাসির ছিটা দেখা গেলো।
-->>সিনিয়র, আমি একটা প্রশ্ন করি?(জিতু)
-->>হ্যাঁ।(জ্যাক)
-->>বিষয়টা আমার মাথায় অনেক দিন হলো ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও আমি এতোটা স্মার্ট ব্যক্তি না তারপরও আমার কাছে একটা জিনিসে সন্দেহ মনে হচ্ছে।(জিতু)
-->>আর কি সেটা?(জ্যাক)
-->>আপনি নিশ্চয় আকাশ চৌধুরী না, তাই না?(জিতু)
জ্যাক বোতলে পানি খেতে যাচ্ছিলো। তখনি জিতুর কথায় তার পানি খাওয়া হলো না। গালে যতটুকু পানি দিয়েছিলো সব বাইরে বের করে দিলো।
-->>তোমার এটা মনে হলো কেনো?(জ্যাক)
-->>আমি রাজ খানের সাথে বেশ কিছু বছর ছিলাম। আর সে সুবাধে আকাশ চৌধুরীকে ভালো করে চেনার সুযোগ পেয়েছিলাম। যেহেতু রাজ খান এবং আকাশ চৌধুরীর মোটেও মিশতো না একে অপরের সাথে তাই রাজ খান আমাকে আকাশ চৌধুরীর উপরে নজর রাখতে বলতো। আর আমার সেই অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমি বলতে পারছি আকাশ চৌধুরী এবং আপনার মাঝে কোনো মিল নেই।(জিতু)
জিতু কিছুটা থেমে আবার বলতে শুরু করলো,
-->>সন্দেহ আমার আরো অনেক পূর্বেই এসেছে, কিন্তু আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই নি। তবে এখন শেয়ার করলাম। আপনি যেই হন না কেনো তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই, শুধু আমি বলতে চাই আমি আপনাকে বিশ্বাস করি এবং সব সময় ফলো করে যাবো।(জিতু)
জিতু মোটেও স্মার্ট ব্যক্তি নয় সেটা জ্যাক বুঝতে পারলো। এখানে অন্য কেউ হলে জ্যাকের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইতো। অবশ্য ভুল গুলো জ্যাকেরই। সে মাক্স দিয়ে চেহারা ঢাকলেও তার স্বভাব চেঞ্জ করতে পারবে না। আকাশ চৌধুরী এবং জ্যাকের চিন্তা ভাবনা দুটো সম্পূর্ন আলাদা। জ্যাক এক রকম কাজ করে আর আকাশ চৌধুরী এক রকম কাজ করতো, যার ফলে আকাশকে কেউ ভালো করে ফলো করে থাকলে সাথে সাথে বলে দিতে পারবে বর্তমানের সে আকাশ চৌধুরী না। জ্যাক জিতুর কথা শুনে নিজের মাক্সটা খুললো। পরিচয় লুকিয়ে রেখে লাভ কোথায়? জ্যাক যে মাক্সটা শুধু তার পরিচয় লুকানোর জন্য রেখেছ তা নয়। জ্যাকের পরিচয় লুকানো টাওয়ারের বাইরেই প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু এখন আর সেটার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। তারপরও টাওয়ারে প্রবেশের পরে সে শুধু শুধু মাক্সটা পরে ছিলো। অনেকটা ফ্যাশনের কথা চিন্তা করে। আবার তৃতীয় লেভেলে উঠার সাথে সাথে জ্যাকের জন্য মাক্সটা এখন প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
-->>সিনিয়র, আপনার ডান চোখে কি হয়েছে?(জিতু)
জিতু অবাক হয়েছে। মাক্সের উপর দিয়ে চোখের বিষয়টা দেখা যায় না। জ্যাকের পরিহিত মাক্সটা একটা আইটেম যেটা ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখে। সেটা পরলে মুখের কোনো অংশই দেখা যায় না বাইরে থেকে। আর এর ফলে জ্যাকের লাল চোখ জ্যাক বাদে আর কেউ দেখে নি।
-->>ওয়েল এটাই আমি। আমার নাম জ্যাক।(জ্যাক)
জিতু তার মাথা খাঁটিয়ে কিছু বের করতে লাগলো। যেহেতু আকাশ চৌধুরী এবং তার সামনে থাকা ব্যক্তির চেহারা একই,
-->>আপনি নিশ্চয় আকাশ চৌধুরীর জমজ ভাই হবেন।(জিতু)
-->>যেটা ভেবে খুশি থাকো।(জ্যাক একটা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করে কথাটা বললো)
জিতু কনফিউজড ছিলো, কিন্তু তার প্রশ্নের উত্তর সে পেয়েছে। সে যে বলেছে সে স্মার্ট নয়, তা তার ব্যবহারে বুঝলো এখন। জিতু সেরকম টাইপের মানুষ না। জ্যাক এই পর্যন্ত যা বলেছে সব কিছুই জিতু করেছে। এক কথায় বলতে গেলে সে মানুষের সাথে চলতে গেলে খুবই অনভিজ্ঞ। কিন্তু যদি ফাইটের কথা বলা হয় তাহলে সেটায় সে এক্সপার্ট। জ্যাক তার মাক্সটা পরে নিলো। তার ডান চোখটা লাল হয়ে গেছে। এটার মানে জ্যাকের লেভেলের সাথে তার পাওয়ার গুলোও ফেরত আসতে শুরু করেছে। জ্যাক এখনো চেষ্টা করে দেখে নি। কিন্তু তার মন চাচ্ছে।
-->>চলো তাহলে ফিল্ড বসের কাছে যাওয়া যাক।(জ্যাক)
জিতু আর কোনো কথা না বলে জ্যাককে ফলো করতে শুরু করলো।
* * * * *
(তৃতীয় ফ্লোর)
বিশাল বিশাল পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গা। যেখানে তাকানো যায় শুধু উঁচু পাহাড়। মাটি গুলো হালকা লালচে এবং কয়েক মাইল পর পর কয়েকটা বিশাল বিশাল দশ তলা ভবনের মতের মতো গাছ রয়েছে। প্রতিটা গাছের উপরে মনস্টার রয়েছে। এখানে হরেক রকমের মনস্টার না থেকে মাত্র এক ধরনের মনস্টারই রয়েছে। "ব্যাট" মনস্টার থাকে সেই বিশাল বিশাল গাছের উপরে। প্রত্যেকটা গাছে কয়েক হাজারের উপরে ব্যাট মনস্টার থাকে। তারা দেখতে সাধারণ বাদুড়ের মতো হলেও সাইজে একটা বাজ পাখির চেয়েও বড়। আবার প্রত্যেকটা ব্যাট আকাশ থেকে হামলা করে বলে তাদের হত্যা করাও কষ্টকর। একজন প্লেয়ার একসাথে একই সময়ে দুটো ব্যাটই সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রন করতে পারে। কিন্তু গাছের উপরে হাজার হাজার ব্যাট থাকার কারনে তাদের হত্যা করাটা অনেক কষ্টকর। তৃতীয় ফ্লোরের মধ্যে একটা সুবিধা রয়েছে। এখানের ফিল্ড বস একটা নয়। বরং প্রতি মাইল দূরে দূরে এক একটা করে ফিল্ড বস থাকে। ব্যাট মনস্টার যে গাছের উপরে থাকে ঠিক সেই গাছের একদম উপরে এই ফ্লোরের প্রত্যেকটা ফিল্ড বস থাকে। সাধারণ অর্থে বলা যায় একটা ফিল্ড বসই রয়েছে কিন্তু সেটাই যে প্লেয়ার যে গাছের মাথায় উঠবে সেখানে সেই বসও চলে যাবে। নতুন প্লেয়ারদের কাছে এটা একটা সহজ ফ্লোর মনে হলেও পূর্বের দুটোর থেকে শত গুনে বেশী ঝামেলা হয়েছে এই ফ্লোরে।
-->>আমার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফ্লোর ক্লিয়ার করতে গিয়েই এক লক্ষ গোল্ড কয়েন শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি কল্পনাও করি নি ট্রাপ গুলোর এতো দাম হবে।(জ্যাক)
জ্যাক রিচুয়ালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী গোল্ড কয়েন প্রাপ্ত ব্যক্তি। কিন্তু তার পরও তার গোল্ড কয়েন গুলো অনেক তারাতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রথমত জ্যাক অনেক পরিমাণ গোল্ড কয়েন দিয়ে তথ্য ক্রয় করেছে। দ্বিতীয়ত জ্যাক এবং জিতু একা থাকায় তাদের মনস্টারদের হত্যা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্রাপ প্রয়োজন হয়। এক বড় পার্টির সকল মেম্বাররাই কম বেশী মনস্টার হত্যায় সাহায্য করে। যদি দশজন প্লেয়ার দশটা মনস্টারের সামনে পরে তাহলে দশজনই দশজন মনস্টারের সাথে ফাইট করতে পারবে। কিন্তু জ্যাক এবং জিতু মাত্র দুজন হওয়ার জন্য তাদের দশটা মনস্টার একসাথে হত্যা করা অনেক কষ্টকর একটা বিষয়, যদিও অসম্ভব কিছু না। তাই সময় এবং পরিশ্রম বাঁচানোর জন্য জ্যাক বিভিন্ন ধরনের ট্রাপ ক্রয় করে এবং সেগুলো দ্বারা মনস্টারদের হত্যা করেছে।
-->>সিনিয়র, সকল মনস্টার শেষ, এখন আমরা গাছের উপরে উঠবো কিভাবে?(জিতু)
-->>যেভাবে লোক কাহিনীতে উঠে।(জ্যাক)
-->>কি! আমাদের দশ তলা সমান একটা গাছ বেয়ে উঠতে হবে? সিনিয়র আমার মনে হয় এটা নিয়ে আপনাকে একটু ভাবা উচিত। আমি উচ্চতা অনেক ভয় পায়।(জিতু)
-->>কে বলেছে আমরা এই গাছ বেয়ে উঠবো? সেটা তো পাগলেই চাইবে।(জ্যাক)
জ্যাক তার পকেটের মধ্য থেকে তিনটা বীজ বের করলো। যেটাকে সে বিশাল গাছের পাশের মাটি খুঁড়ে গেঁড়ে দিলো। পানির বোতল থেকে কিছুটা পানি সেটার উপরে ঢেলে দিলো এবং কয়েক হাত দূরে গিয়ে দাঁড়ালো।
-->>সিনিয়র আপনি কি এখানে বৃক্ষচাষ করতে চাচ্ছেন?(জিতু)
-->>কোনোদিন জ্যাক এবং জায়েন্টের কাহিনী শুনেছো?(জ্যাক)
-->>না?(জিতু)
-->>ও আচ্ছা। জ্যাক একজন কৃষকের ছেলে ছিলো, যে নিজেও কৃষিকাজ করতো। সেই জ্যাকের কাছে কিছু বীজ ছিলো, যেগুলো পানির সংস্পর্শে আসলেই বিশাল গাছে পরিণত হয়। এবং সেই গাছ গুলো এতো বিশাল হয় যে আকাশে থাকা মেঘের উপরে জায়েন্টদের কিংডমে সেটা পৌঁছে যায়।(জ্যাক)
-->>তাহলে কি আমাদেরও এই বীজ গুলো জায়েন্টদের কিংডমে পৌঁছে দিবে?(জিতু)
-->>এটা তোমার সবচেয়ে বোকার মতো প্রশ্ন ছিলো।(জ্যাক)
-->>ও সরি, আচ্ছা লোক কথার সেই জ্যাকটা যে কিনা কৃষক ছিলো, কোনো ভাবে সে আপনি নন তো?(জিতু)
-->>তুমি চুপ করে আমার পিছনে এসে দাঁড়াও তো।(জ্যাক)
জিতু আর কোনো কথা না বলে জ্যাকের পিছনে এসে দাঁড়ালো। জিতু বেশ কিছুদিন চুপচাপ ছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে জ্যাকের সাথে তার বন্ধুত্ব শক্ত হওয়ার ফলে সে এখন সব কথায় বলে। তার কথা বার্তা বেশীর ভাগই বাচ্চাদের মতো, যেটার ফলে তাকে সহজেই তাবিজ(নিয়ন্ত্রন) করা সম্ভব। তাই জ্যাক কখনো জিতুকে একা কোথাও যেতে দেই না।
-->>হঠাৎ মাটি কাঁপতে শুরু হলো কেনো?(জিতু)
-->>আমাকে শক্ত করে ধরো জিতু। গল্পের সেই কৃষক জ্যাক জায়েন্টদের কাছে গিয়েছিলো। কিন্তু আমরা যাচ্ছি ফিল্ড বসের দিকে।
হঠাৎ মাটি ফেড়ে খুব দ্রুত গাছের কান্ড বৃদ্ধি হতে শুরু করলো। কান্ড গুলো এমন স্পিডে বারছিলো যেটা দেখলে মনে হবে সময় শুধু সেটার জন্যই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল বড় বড় কান্ড জন্ম হতে লাগলো এবং সেটা উপরের দিকে বেরেই যাচ্ছে। জ্যাক এবং জিতু দুজনেই শক্ত একটা ডালের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলো, যেটা তাদের খুব দ্রুত উপরে নিয়ে যাচ্ছে।
-->>বস হেয়ার উই কাম।
* * *
To Be Continued
* * *
কেমন হলো জানাবেন।