আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে পোস্ট হবে।

Want Premium Membership!

Demon King পর্বঃ ৭৭

হৃদয় বাপ্পী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
 [প্রথমেই বলি গল্পটা পুরো কাল্পনিক, কেউ বাস্তব কিংবা ধর্মের সাথে তুলনা করবেন না]

#Demon_King#

পর্ব:৭৭

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.

হিলারের কাছে নিয়ে আসা হয়েছে এলেক্সকে। মাইরা এবং বাকিরা তাদের শেষ করা মিশন সাবমিট করে আসার পর এলেক্সকে রাস্তার উপরে পরে থাকতে দেখে। যার সাথে সাথে তারা এলেক্সকে নিয়ে মেডিকেল হলের মধ্যে চলে যায়। একাডেমির মেডিকেল হলের মধ্যে সকল স্টুডেন্টদের ট্রিটমেন্ট করে বিভিন্ন অভিজ্ঞ হিলার। আর এলেক্সের ট্রিটমেন্ট ও এখন অভিজ্ঞ একজন হিলার করে যাচ্ছে। এলেক্সের শরীরের মধ্যে বৃদ্ধা হিলার তার নিজের প্রান এনার্জি প্রয়োগ করলো এবং ভিতরে কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটা দেখতে লাগলো। রুমের মধ্যে একটা বেডের উপরে এলেক্স শুয়ে ছিলো এবং বৃদ্ধা এক হিলার তার ট্রিটমেন্ট করছিলো। পাশে টিমের বাকি সদস্যরাও দাঁড়িয়ে আছে। হিলার তার মুখ খুললো,

-->> চিন্তার কোনো কারন নেই। কোনো সমস্যা নেই ওর, শুধু শরীরটা ক্লান্ত। মনে হয় কিছুদিন হলো ঘুমায় না। একটু রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। (হিলার)

বৃদ্ধা মহিলাটা সবাইকে শান্তনা দিলো। তারা সবাই অনেকটা চিন্তায় পরে গিয়েছিলো। কারন এর পূর্বেও এলেক্সের কিছু একটা হয়েছিলো ডিমনিক ফরেস্টের মধ্যে, হয়তো সেটার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে এটা চিন্তা করে সবাই চিন্তিত ছিলো। তবে সবাই এখন কিছুটা শান্ত হলো। হিলারের চেক আপ শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই এলেক্সের সেন্স ফিরে আসলো। সে লাফিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো। হঠাৎ এভাবে লাফিয়ে উঠার ফলে তার পাশে থাকা সবাই চমকে এবং ভয় পেয়ে গেলো। এলেক্সের ডান চোখে এখনো ব্যথা করছিলো। যা বলার ভাষা রাখে না। সে তার হাত দিয়ে আবারো ডান চোখকে ধরলো যার ফলে আস্তে আস্তে ব্যথাটা কেটে যেতে শুরু করলো। এলেক্সের মনে হচ্ছিলো কেউ তার ডান চোখকে তুলে নিয়ে গিয়েছে এবং সেখানে নতুন একটা বসিয়ে দিয়েছে। আর এই সব করেছে কোনো রকম ব্যথা দূর করা স্পেল বা ইনজেকশন ছাড়ায়। এলেক্স এতোক্ষন গভীর একটা ঘুমের মধ্যে ছিলো। যার মধ্যে সে একটা আজব স্বপ্ন দেখতে পেয়েছে। স্বপ্নটা সে পূর্বে কখনো দেখি নি। ঠিক তার চোখ ব্যথা হওয়ার সাথে স্বপ্নটার সম্পর্ক ছিলো।


* * * * *

(এলেক্সের স্বপ্নে এলেক্স চরিত্রে)

হাই, আমার নাম হৃদয়। অবশ্য এক সময়ে নামটা হৃদয় ছিলো। আমি পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে চলে এসেছি এবং এলেক্স হয়ে রেইনকার্নেট হয়েছি। তাই এখন আমি এলেক্স নামেই পরিচিত। আমি জানি আমি স্বপ্ন দেখছি এখন, তবে কি স্বপ্ন দেখছি সেটা বলতে পারছি না। হয়তোবা আবারো বিলজবাব এর জীবনী দেখবো। স্বপ্ন গুলো অনেকটা মুভির মতো, যদিও অনেক কিছু শেখা যায় তাদের থেকে কিন্তু সেটার সময় অনেক অনেক থাকে। এক একটা স্বপ্ন এক বছর দুই বছর সময় ধরেও চলে। যদিও আমি বারো ঘন্টাও ঘুমায় না তারপরও এই বারো ঘন্টার মধ্যে দশ বছর সময়ের স্বপ্নও দেখা সম্ভব। যে প্রথম বিষয়টা শুনবে তার কাছে আজব মনে হবে কিন্তু আমি এক্সপেরিয়েন্স করেছি বিষয়টা। আর আবারো একটা স্বপ্নের মধ্যে চলে এসেছি। জানি না এটা শেষ করতে আমার কত বছর সময় লাগবে। তবে যত বছরই লাগুক না কেনো যখন ঘুম ভাঙবে আমার তখন আমি দেখতে পারবো মাত্র কিছুটা সময় পার হয়েছে। হয়তোবা এক রাত পার হবে। আমি একটা অন্ধকার পরিবেশের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, না দাঁড়িয়ে আছি বললে ভুল হবে। অনেকটা ভাসছি বলা যায়। কারন আমি আমার পায়ের নিচে দাঁড়ানোর মতো কোনো শক্ত জিনিস খুঁজে পাচ্ছি না। চারপাশে অন্ধকার শুধু আমার সামনে একটা উজ্জ্বল বস্তু ছিলো। লাল একটা চোখ যা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যার দিকে তাকালেই মনে হচ্ছিলো সেটা আমাকে ধ্বংস করে দিবে। আমি স্বপ্নের মধ্যে কি করবে সেটা বুঝতে পারলাম না। তাই সোজা লাল চোখটার দিকে আগানোর চেষ্টা করলাম। ভাসছিলাম হাওয়ার মধ্যে অনেকটা পানির মধ্যে সাতার কাতার মতোই আমি চোখের সামনে এগিয়ে যেতে শুরু করলাম। যা হয়তো চোখের পছন্দ হয় নি। আমি সেটার উপরে স্পর্শ করতে যাবো তখনি চোখটা কালার চেঞ্জ হলো। সেটা লাল থেকে সম্পূর্ণ গোল্ডেন কালারে পরিণত হলো। কালার চেঞ্জ হওয়ার সাথে সাথেই একটা তীব্র ফোর্স আমাকে সেই চোখ থেকে এতোটা দূরে ঠেলে পাঠিয়ে দিলো যে আমি চোখটাকে আর দেখতে পারছিলাম না। সেই সাথে আমার মনে হচ্ছিলো আমার শরীরের অংশ গুলো এক এক করে উধাও হয়ে যাচ্ছিলো। অনুভবটা এমন ছিলো যে আমি এক্সিস্টিং থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। আর তখনি আমার ঘুম ভেঙে যায় এবং আমি লাফিয়ে উঠি।


* * * * *

এলেক্সকে হঠাৎ লাফিয়ে উঠতে দেখে সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। তবে এখন সবাই স্বাভাবিক হয়েছে। ডুফেস এলেক্সকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে একটা শক্তিশালী হাগ দিলো। এলেক্সের স্ট্রেন্থ, ভাইটালিটি এবং স্ট্যামেনা স্ট্যাটে পয়েন্ট বেশী না থাকলে হয়তো ডুফেসের বিশাল শরীরের হাগের ফলে দম বন্ধ হয়ে আসতো তার। তবে এলেক্স ঠিক আছে।

-->> ম্যান, আমরা অনেক মিস করেছি তোমাকে এই সময়টা। বিশেষ করে মেয়েরা তোমাকে অনেক মিস করেছে। (ডুফেস)

ডুফেস আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো, কিন্তু তখনি মাইরা এগিয়ে এসে ডুফেসের কান ধরলো এবং টেনে সরিয়ে নিলো। মাইরা এলেক্সকে বলতে লাগলে,

-->> দেখো এলেক্স আমরা এমনিতেই অনেক রেগে আছি। প্রথমত তোমার আমাদের সাথে টেস্ট ড্যানজনে প্রবেশ করার কথা ছিলো। কিন্তু তুমি অন্য টিমদের সাথে প্রবেশ করেছো। দ্বিতীয়ত আমি জানি তুমি দিন রাত না ঘুমিয়ে মিশন এবং ট্রেনিং এ সময় দিচ্ছো যার কারনে তোমার শরীরের অবস্থা তেমন ভালো না এখন। তবে আমরা কোনো ব্যাখ্যা চাচ্ছি না তোমার থেকে। শুধু এইটুকু বলবো কাল থেকে আমরা একসাথে মিশনে বের হবো। এখন তুমি রেস্ট নাও। (মাইরা)

যেহেতু টিমের লিডারই মাইরা তাই সেই সবার মনের কথাটা বলে দিলো। তারা চাচ্ছিলো তাদের টিমটা সম্পূর্ন করতে। এমনটা নয় যে এলেক্স এখন শক্তিশালী একটা এট্রিবিউট আনলক করেছে বলে তারা এলেক্সকে তাদের টিমে নিতে যাচ্ছে। বরং তারা সবাই ডিমনিক ফরেস্টে একসাথে থাকার পরে অনেকটা একটা ফ্যামিলির মতো হয়ে গিয়েছে। অনেক কাছের বন্ধু হয়েছে সবাই। তাই একে অপরের প্রতি সবারই কেয়ার রয়েছে এখন। যেহেতু এনরি এবং এবা এর বোন জেবা তাদের টিমে ছিলো না তাই তাদেরই এই বিষয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই।

-->> আমরা চলে যায় এখন। কাল কথা হবে। মেয়েরা এভাবে রাতে ছেলেদের সাথে থাকলে পরে সমস্যা হবে। (এলিন)

এলিন তার কথাটা শেষ করলো এবং তার কথাটা শেষ হওয়াতেই সব মেয়েরা বিদায় জানিয়ে চলে গেলো তাদের ডোর্মের দিকে। আর এদিকে ডুফেস এবং জেয়াব এলেক্সকে নিয়ে তাদের ডোর্মের দিকে যেতে লাগলো।

-->> আমি শুনেছি তুমি নাকি অনেক গুলো মিশন শেষ করেছো? (ডুফেস)

-->> চেইন বললো সেগুলো নাকি পাবলিক করো নি। (জেয়াব)

-->> ছোট খাটো মিশন গুলো পাবলিক করার কি আছে? (এলেক্স)

-->> হ্যাঁ তুমি ঠিক বলেছো। আমরাও ভাবলাম দারুন একটা মিশন পাবো আজকে। তবে কি মিশন পেলাম? মেডিকেল হলের কিছু পন্য দরকার ছিলো সেগুলো কিনে এনেছি। (জেয়াব)

-->> এর থেকে লেইম মিশন আমি জীবনেও দেখি নি। (ডুফেস)

-->> প্রথম প্রথম এরকম মিশনই দিবে। যদি সাথে কোনো অভিজ্ঞ স্টুডেন্ট থাকে তাহলে নিজ র‍্যাংকের ভালো কোনো মিশন সিলেক্ট করতে দেই মিশন হল থেকে। (এলেক্স)

-->> তাহলে চেইন আর লুবার সাথে মিশনে গেলে কি রকম হয়? (ডুফেস)

-->> তুমি কি ভুলে গেছো ডুফেস ওরা দুজনেই D র‍্যাংকের স্টুডেন্ট। ওদের সাথে যেতে হলে আমাদের অন্তত E র‍্যাংকে উঠতে হবে।(জেয়াব)

-->> দূর ভালো লাগে না। মাত্র একটা মিশন শেষ  হলো। কবে যে আরো নিরানব্বই টা শেষ হবে কে জানে। (ডুফেস)

জেয়াব এবং ডুফেস গল্প করছিলো এলেক্স সেগুলো চুপচাপ শুনছিলো। তারা তিনজনই তাদের ডোর্মের মধ্য চলে গেলো।


* * * * * 

পরের দিন,

সবাই তাদের নিজ নিজ ক্লাসের মধ্যে চলে গিয়েছে। প্রথম ক্লাসটা লেকচারের হয়ে থাকে, তাই সবাইকে তাদের নিজ নিজ এট্রিবিউট ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে। এলেক্স নিজেও তার এট্রিবিউট ক্লাসের মধ্যে প্রবেশ করলো। এলেক্সের দুটো এট্রিবিউট হওয়ার ফলে সে একদিন ফায়ার এবং অন্যদিন ডার্ক মানা এট্রিবিউট ক্লাসে প্রবেশ করে। যদিও এলেক্সের লেকচারের প্রয়োজন হয় না কারন সে নিজেই কোনো স্পেল দেখলে সেটাকে তৈরী করতে পারে এবং নিজ টাইটেলের সাহায্যে মডিফাইও করতে পারে। তবে যেহেতু একাডেমি বাধ্যতামূলক করেছে তাই সবাইকে প্রথম ক্লাসে হাজিরা দিতেই হবে। এলেক্স তার রুটিন অনুযায়ী আজকে ফায়ার এট্রিবিউট ক্লাসের মধ্যে প্রবেশ করলো। ক্লাসে প্রবেশের পূর্বেই তার দেখা মাইরার সাথে হলো। যেহেতু তাদের একাডেমির মধ্যে শুধু মাত্র তারা তিনজন ফায়ার এট্রিবিউটর রয়েছে তাই এখানে পরিচিত অন্য কারো মুখ দেখা সম্ভব নয়। এলিনের ফায়ার এট্রিবিউট থাকলেও সে তার আইস এট্রিবিউটের ক্লাসে গিয়েছে। তাই আপাতোতো একই একাডেমির মধ্য থেকে শুধু মাইরা এবং এলেক্সই এই ক্লাসের মধ্যে রয়েছে। দুজনে ক্লাসের মধ্যে প্রবেশের সময় একে অপরের সাথে কথা বলতে লাগলো,

-->> তো যাচ্ছো তো আজকে আমাদের সাথে? (মাইরা)

-->> হ্যাঁ। (এলেক্স)

-->> না গেলেও তোমাকে জোর করে নিতাম। (মাইরা)

-->> কি মিশনে যেতে চাচ্ছো আজকে? (এলেক্স)

-->> কোনো ড্যানজনের মিশন হলে ভালো হয়। তবে মনে হয় না তেমন কোনো মিশন আমাদের আজকেও দিবে। (মাইরা)

-->> আচ্ছা, দেখা যাক আমি কিছু করতে পারি কিনা। (এলেক্স)

-->> আচ্ছা এলেক্স? তুমি তো এক মাস হয়েছে এখানে আছো। আমাদের টিমের জন্য একজন বা দুজন অউরা ইউজার দরকার ছিলো। তুমি কি সেরকম কাউকে চিনো? (মাইরা)

-->> অউরা ইউজার! (এলেক্স অবাক হলো)

-->> এমন নয় যে ডুফেস এবং জেয়াব দুর্বল। তবে তাদের মধ্যে ডুফেস একটু বেশী কনফিডেন্সে থাকে। তাই সব প্রেসার জেয়াবের উপরে পরে। তাই আমাদের টিমে আরো একজন অউরা ইউজার হলে সবচেয়ে বেশী ভালো হয়। তুমি তো এখানে আছো অনেক দিন। অবশ্যই এমন কারো সাথে মিশনে গিয়েছো। (মাইরা)

মাইরার কথায় এলেক্স সত্যটা বলতে পারলো না। মাইরা সহ পুরো টিম ভাবছে এলেক্স হয়তো এখানে নতুন একটা টিম বানিয়ে নিয়েছিলো তাই তো তারা অনেক হিংসে বোধ করছিলো। যেভাবেই হোক তারা এলেক্সকে নিজেদের টিমে নিয়ে আসার প্লান করেছিলো, আর সেটা সফল হয়েছে। তবে তারা তো এটা জানে না যে এলেক্সের কোনো টিম নেই। আর তাছাড়া সে একাই সব মিশন শেষ করেছে। এলেক্স এই বিষয়ে ঢোল না বাজিয়ে ভাবতে লাগলো।

"আমি তো এরকম কাউকেই চিনি না। না ওয়েট আমি চিনি এরকম কাউকে। কিন্তু ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না।" (এলেক্স ভাবছে)

-->> কি হলো? (মাইরা)

-->> একজনকে আমি চিনি। তবে.....

মাইরা এলেক্সের কথা আর শেষ করতে দিলো না। সে বলতে শুরু করলো,

-->> তাহলে আমাদের অউরা ইউজার হয়ে গিয়েছে। (মাইরা)

মাইরা কথাটা বলেই একটা চোখ টিপ দিলো এলেক্সকে এবং নিজের সিটের দিকে যেতে লাগলো। যেহেতু ক্লাসের মধ্যে ছেলে মেয়ে দূরত্ব বজায় রেখে বসে তাই তাদের একত্র বসার কোনো সুযোগ নেই। এলেক্স যখন তার সিটের দিকে যাচ্ছিলো তখন টাওয়ারের কিছু ইমসাইডার বলতে শুরু করলো,

-->> দেখ লুজারটার গার্লফ্রেন্ডও আছে একটা।

-->> ওগো সুন্দরী এই লুজারের সাথে সময় না কাটিয়ে আমার কাছে চলে আসো, আমি তোমাকে জগৎ ঘুরিয়ে দেখাবো।

-->> হাহাহাহাহা।

সবাই এলেক্সকে নিয়ে মজা করতে শুরু করলো। আরো অনেক ছোট করে তাকে কথা শোনাতে লাগলো। এলেক্স সেগুলো চুপচাপ শুনে যাচ্ছিলো কোনো কথা ছাড়াই। শুধু সে না টাওয়ারের বাইরে থেকে যারা এসেছে তাদের সবারই অবস্থা এরকম। সাধারণত F, E এবং D র‍্যাংকের ইনসাইডাররাই এরকম র‍্যাগিং করে থাকে। উপরের র‍্যাংকের স্টুডেন্টরা এই বিষয়টায় একদম গুরুত্বই দেই না। ক্লাসের মধ্যে কোনো ইনসাইডার যদি আউটসাইডারদের মারতেও শুরু করে তাহলে তারা সেটাকে না দেখার ভান করে বসে থাকে। মূলত তারা এইসব বিষয়ে হাত দেই না। ছেলেরা তাদের কথা থামালো না। ক্লাসের মধ্য শুধু এলেক্স আর মাইরাই বাইরে থেকে আসে নি। এরকম অনেক স্টুডেন্ট আছে। তবে এই ক্লাসের ৯০℅ স্টুডেন্টই ইনসাইডার। যার কারনে তাদের ক্ষমতাও বেশী। তাই ১০% আউটসাইডারদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার হয়। এলেক্সের এখানে এক মাস সময় কাটিয়ে এই সব বিষয়ে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তাই সে এসবে বেশী গুরুত্ব দেই না। কারন সে জানে,

"এরা শুধু মুখই চালাতে পারে।" (এলেক্স ভাবছে)

ক্লাস শুরু হলো। শিক্ষক আসলেন এবং তার লেকচার শেষ করলেন। প্রতিবারের প্রতিই মানা কত ভাবে ব্যবহার করা যায় তার বর্ননা দিলেন তিনি। এবং ক্লাস শেষের পরে একটা বিশেষ নোট দিয়ে গেলেন সবাইকে।

-->> কালকে কাউকে এট্রিবিউট লেকচার ক্লাসে যেতে হবে না। বরং সবাই প্রাকটিক্যাল ক্লাসে উপস্থিত থাকবে। অনেক স্পেশাল একটা জিনিস হবে কালকে। (শিক্ষক)

শিক্ষকের নোট এটুকুই ছিলো। যা শেষ হওয়ার পর সবাই তাদের নিজ নিজ ইচ্ছা মতো ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো। এলেক্স এবং মাইরা বাইরে বের হয়ে একত্রে তাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছে গেলো। ফায়ার অউরা লেকচার ক্লাসের সামনে দুজনে গিয়ে উপস্থিত হলো। যেখানে তারা অপেক্ষা করতে লাগলো তাদের কাঙ্খিত ব্যক্তির জন্য। প্রিন্স হ্যারি তার ক্লাস শেষ করার পরে সেখান থেকে বের হচ্ছিলো। সে একজন প্রিন্স হওয়ার কারনে তার আশে পাশে বিভিন্ন নোবেল ছেলে মেয়েরা সব সময়ই ঘুরঘুর করে। কথা বলার চেষ্টা করে, আবার অনেকে কথাও বলে। প্রিন্স হ্যারি নরম মনের মানুষ হওয়ার কারনে সবার সাথেই সমান ভাবে কথা বলে। তবে সে মনে মনে নোবেলদের সাথে থাকা বা কথা বলা তেমনটা পছন্দ করে না।

"দেখি আজকে এলেক্সকে মানাতে পারি কিনা। তারপর একসাথে মিশনে যেতে পারবো।" (হ্যারি ভাবছে)

হ্যারির সাথে যেসব ছেলে মেয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলো বা বলছিলো হ্যারি তাদের থেকে বিদায় নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়েছে। বের হওয়ার সাথে সাথেই সে অবাক হয়ে গেলো। সে এলেক্সের খোঁজে যেতে চাচ্ছিলো। কিন্তু এলেক্স যে তারই ক্লাসের সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকবে এটা সে আশা করে নি।

-->> এলেক্স তুমি এখানে? আমি তো ভাবতেও পারি নি। (হ্যারি)

-->>....... (এলেক্স কিছু বলতে যাবো তখনি মাইরা কথা বলতে শুরু করলো)

-->> হাই আমি মাইরা। এলেক্সের টিমের লিডার। তুমি নিশ্চয় একজন অউরা ইউজার। আমাদের টিমের জন্য একজন অউরা ইউজার প্রয়োজন। আর এলেক্স বলেছে তুমি সেটার জন্য পারফেক্ট চয়েজ হবে। আমরা আজকে মিশনে যাচ্ছি একটা। হয়তোবা কোনো ড্যানজন ক্লিয়ারের মিশন পেতে পারি। তুমি কি আমাদের টিমে আসবে? (মাইরা)

এলেক্স বেশী কথা বলে না। তাই মাইরা ভাবছিলো ছেলেটাকে সে রাজি করাতে পারবে না। তাই এক নিশ্বাসে মাইরা সব কিছু বলে দিলো আর আশা করছে যাতে ছেলেটা রাজি হয়ে যায়। মাইরার কথা শুনে হ্যারি অনেকটা অবাক হয়ে গেলো। তার সাথে আজ পর্যন্ত কোনো মেয়েই এভাবে কথা বলে নি। একজন প্রিন্স হওয়ার কারনে সে সব সময় সবার সম্মান পেয়েছে। কিন্তু এখানে মাইরা যে তার পরিচয় সম্পর্কে জানে না সেটা সে বুঝতে পারলো। মাইরার একটা কথাও সে বুঝতে পারলো না, শুধু এটুকু বুঝলো যে,

"আমার এই মেয়েটাকে ভালো লেগেছে।" (হ্যারি মনে মনে বলছে)

হ্যারি হা করে মাইরার দিকে তাকিয়ে ছিলো তখন মাইরার কথায় সে বাস্তবে ফিরে আসলো,

-->> হ্যালো? (মাইরা)

-->> ও আমি সত্যি অনেক দুঃখিত। আপনি বললেন আপনি এলেক্সের টিমের লিডার? মানে এলেক্স আপনাদের টিমে যোগ দিয়েছে? (হ্যারি)

-->> হ্যাঁ আমরা সবাই একই টিমের মধ্যে ছিলাম। তবে টাওয়ারের টেস্টে এলেক্স ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার ফলে ও পূর্বে এখানে এসেছে আর আমরা পরে। তো তুমি কি আসবে আমাদের টিমে? (মাইরা)

-->> হ্যাঁ অবশ্যই। (হ্যারি)

হ্যারি বারতি কোনো কথা না বলে মাইরার প্রপোজালে রাজি হয়ে গেলো। সে চাচ্ছিলোই এলেক্সের সাথে একটা মিশনে যেতে। আর সেটা যে এভাবে পূর্ণ হবে সেটা হ্যারি কল্পনাও করতে পারে নি। 

"হয়তো এখন থেকে দুজন ব্যক্তির কাছাকাছি থাকতে হবে আমাকে।" (হ্যারি ভাবছে)

মাইরা হ্যারির পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানতে পারলো না, তাই সে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলছিলো। তার কথা বলার ফলে অনেকেই তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো হা করে, যদিও মাইরা এটা লক্ষ করেছে তবে এটাকে এলেক্সের মতোই সে এরিয়ে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

-->> তাহলে আমাদের বাকি টিম মেম্বারদের কাছে যাওয়া যাক। (মাইরা)

-->> সেই ব্যাপারে আমাকে আমার ডোর্মের মধ্যে যেতে হবে একটু। আপনারা সবাই মিশন হলের দিকে চলে যান। আমি সেখানেই সবার সাথে দেখা করবো। (হ্যারি)

হ্যারি খুশিতে এলেক্স এবং মাইরার থেকে বিদায় নিলো। হ্যারি মূলত যেতে যাচ্ছিলো এখনি এলেক্স আর মাইরার সাথে, তবে তার ম্যাজিকাল আইটেম গুলো তার পারশোনাল ডোর্মের মধ্যে রয়েছে। আর সেগুলো ছাড়া কোনো মিশনে সে যেতে পারবে না। তাইতো প্রথমে তাকে সেগুলো নিতে হবে।

-->> ছেলেটা তো অনেক ভালো, আমার কথা শুনেই রাজি হয়ে গেলো আমাদের টিমে আসার জন্য। চলো এলেক্স আমরা এখন ভালো একটা মিশন চয়েজ করি। (মাইরা)

এলেক্স কিছু বললো না। সে মাইরার সাথে মিশন হলের দিকে রওনা দিলো। যেখানে বাকিরা এতোক্ষন তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো।

-->> মাইরা আর এলেক্স মনে হয় ডেট থেকে আসলো, যার জন্য এতো সময় লাগলো তাদের। (ডুফেস)

ডুফেস দূর থেকে এলেক্স এবং মাইরাকে একসাথে আসা দেখতে পেরেই কথাটা বললো এবং পরিবেশের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দিলো। স্নেরা এবং এলিন দুজনেই এলেক্সের দিকে আগুন জ্বলা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে। যদিও কিছু বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু কিছু বলতে পারলো না। এলেক্স তাদেরকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো এবং মাইরা তাদের সবাইকে বলতে লাগলো,

-->> এলেক্স আমাদেরকে ভালো একটা মিশন এনে দিবে। আর আমরা আমাদের টিমের জন্য আরেকজন অউরা ইউজার পেয়েছি আজকে। (মাইরা)

-->> অউরা ইউজার কেনো? আমরা কি যথেষ্ট না? (ডুফেস)

-->> হ্যাঁ, তবে আমাদের টিমকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। (মাইরা)

সবাই দাঁড়িয়ে রইলো বাইরে, আর এলেক্স ভিতরে চলে গেলো। এক স্টুডেন্ট একটা মিশন পেলে সেটা তার সহকর্মীদের সাথে সে শেয়ার করতে পারবে। এভাবে সে এবং তাদের সহকর্মী সবারই একটা করে মিশন শেষ হবে। তাই এলেক্স নিজেই মিশনটা আনতে চলে গেলো। ভিতরে যাওয়ার পর এলেক্স গিয়ে দাঁড়ালো মিশন বোর্ডের সামনে। যার মধ্যে শত শত মিশন রয়েছে। এখানের সব মিশনই E এবং F র‍্যাংকের। যেহেতু এলেক্স এখনো F র‍্যাংকে রয়েছে তাই সে E র‍্যাংকের কোনো মিশন সিলেক্ট করতে পারবে না। এলেক্স বোর্ডে তার মন মতো কোনো মিশন খুঁজে না পেয়ে কাউন্টারে চলে গেলো। যেখানে একজন বৃদ্ধ শিক্ষক বসে ছিলো।

-->> তো আজকেও কোনো মিশন খুঁজে পাও নি? (শিক্ষক)

-->> না। আজকে আমাদের কোনো E র‍্যাংকের ড্যানজনের মিশন দেওয়া যাবে? (এলেক্স)

-->> সরি এলেক্স, তুমি তো নিয়ম জানোই। একশত মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বাই দা ওয়ে আমাদের বলতে কি? (শিক্ষক)

-->> আমার টিম টাওয়ারে এসেছে, তাই তাদের সাথে যাচ্ছও আজকে। (এলেক্স)

-->> ওহো, নিশ্চয় সবাই তোমার মতো স্পেশাল হবে। (শিক্ষক)

-->> সবার খরব জানি না। তবে আমাদের টিমে প্রিন্স হ্যারি ও আছে। (এলেক্স)

এলেক্সের কথা শুনে কিছুটা অবাক হলো বৃদ্ধ শিক্ষক। প্রিন্স হ্যারি তার একটা ড্যানজন ক্লিয়ারের রেকর্ড নিয়ে একাডেমির মধ্যে অনেক ফেমাস। তবে কিছু শিক্ষকই সেটার আসল ঘঠনা সম্পর্কে জানে। তবে কাউন্টারে থাকা ব্যক্তিটা সেটা সম্পর্কে জানে না। সে এটা জানে যে প্রিন্স হ্যারি এবং এলেক্স দুজনেই ড্যানজন ক্লিয়ার করেছে একা। তাইতো সে কিছুক্ষন ভাবলো এবং ফাইলের মধ্যে থাকা কিছু কাগজের মধ্য থেকে একটা মিশনের কাগজ বের করলো।

-->> প্রিন্স আর তোমার জন্য এই টুকু তো করতেই পারি আমি। শুধু এটাকে সিকরেট রাখার চেষ্টা কইরো বাকি গুলোর মতো। (শিক্ষক)

এলেক্স মিশনের পেপার টা নিলো এবং মিশন হল থেকে বের হয়ে গেলো। বাইরে বের হওয়ার সময় সে দেখতে পেলো হ্যারিও বাইরে উপস্থিত রয়েছে। যার সাথে টিমের সবারই পরিচয় হয়ে গিয়েছে। হ্যারির ব্যবহার এতোটা ভালো যে সবারই তাকে পছন্দ হয়েছে। কেউ তাকে নিয়ে কোনো কম্প্লেইন করলো না।

-->> এলেক্স পেয়েছো কোনো ড্যানজনের মিশন? (মাইরা)

-->> আজকে ডিলিভারি মিশন হলে আমি যাচ্ছি না। (ডুফেস)

-->>যেই মিশনই হোক না কেনো আমাদের শেষ করতে হবে নাহলে ভালো কোনো মিশন পাবো না এই র‍্যাংকে। (এবা)

এলেক্স তার হাতের মিশনের পেপারটা মাইরার হাতে তুলে দিলো। যেহেতু টিমের লিডার সে তাই তার হাতেই সেটা মানায়। মাইরা পেপারটা পড়লো এবং বলতে লাগলো।

-->> ওয়াও এলেক্স আমি ভাবিও নি তুমি টিমের জন্য একটা E র‍্যাংকের ড্যানজন মিশন নিয়ে আসতে পারবে। (মাইরা)

-->> কি! একটা E র‍্যাংকের মিশন আনলে কিভাবে? তুমি তো আমাদের মতোই F র‍্যাংকে না? (জেয়াব)

-->> হয়তো এলেক্স প্রায় E র‍্যাংকে চলে যাবে বলে পেরেছে। (ডুফেস)

-->> কিংবা কাউন্টারে থাকা লোকটা ঘুষ খেয়েছে। (এনরি)

সবাই এনরির দিকে তাকালো।

-->> আমি আবার কি বললাম যে সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো? (এনরি)

-->> আচ্ছা গাইস এই বিষয়ে কথা না বলে আমরা এখান থেকে চলে যায় আমাদের মিশনে। (এলিন)

-->> হ্যাঁ আমাদের দিকে সবাই অনেক মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে। আমাদের উচিত তারাতাড়ি এখান থেকে বের হওয়া। (মাইরা)

আশেপাশের সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো। এলেক্স এবং হ্যারি বাদে কেউই তার কারন বুঝতে পারলো না। তাই তারা তাদের গন্তব্যের দিকে যেতে লাগলো।


* * * * *

(ড্যানজনের মধ্যে)

সবাই অনেক কনফিডেন্সে ড্যানজনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তবে তাদের কনফিডেন্স বেশীক্ষন টিকে থাকলো না। 

-->> এটা কি আমাদের এলেক্স? (ডুফেস)

-->> আমার তো মনে হয় না। (এবা)

-->>এলেক্স একজন মানা ইউজার না? তাহলে অউরা ইউজারদের থেকে ভালো করে সোর্ড দিয়ে ফাইট কিভাবে করছে? (জেয়াব)

-->> হয়তো আমরা ডিমনিক ফরেস্ট থেকে বের হওয়ার পর থেকে এলেক্সের ব্যাপারে অনেক কিছুই মিস করেছি। (মাইরা)

সবাই ড্যানজনের মধ্যে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে এলেক্স তার দুই হাতে দুই ড্যাগার নিয়ে একের পর এক মনস্টার হত্যা করে যাচ্ছে।

(৩০৪০ শব্দ)

* * * 

To Be Continued 

* * *


কেমন হলো জানাবেন।

About the Author

হৃদয় বাপ্পী
Hello Friends, My Name is Bappy and Welcome To Our Website. My Passion is to Share Knowledge With Everyone. Also I am a writer.

6 comments

  1. Vai eto choto
  2. Nice amazing 🥰🥰🥰
  3. ভাই, নেক্সট পার্টে এলেক্স এর ফাইট দেখতে চাই🥰🥰
  4. kichuta changa chilo but plot daeun sundar hoyeche vai go ahead ...
  5. Shundor hoyece vaiya asa kori aro intrestinghobe?😊
  6. Vai next part koi 🤨
    3din hoye galo 😑
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.